রাজশাহী বিভাগের করোনা রোগীদের চিকিৎসা এখন রাজশাহীর একটি ও বগুড়ার দুটি হাসপাতাল ঘিরেই হচ্ছে। এই দুই জেলাতেই শুধু আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার রোগীদের আইসিইউর জন্য রাজশাহী ও বগুড়ায় নেয়া হয়। কিন্তু বগুড়া কিংবা রাজশাহী গেলেই আইসিইউ শয্যা পাওয়া যায় না। অনেক সময় পথেই মৃত্যু হচ্ছে অনেকের।
এ বিভাগের আট জেলার মধ্যে শুধু বগুড়া, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জে করোনা নমুনা পরীক্ষার সুযোগ আছে। এর মধ্যে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের একটি ল্যাবে পরীক্ষা চলছে। বগুড়ায় আছে দুটি পিসিআর ল্যাব। এর একটি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজে। অন্যটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ ছাড়া পরীক্ষা হচ্ছে সিরাজগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে।
রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা ও জয়পুরহাটের নমুনা পরীক্ষা করা হয় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে। এসব জেলা থেকে সিভিল সার্জন অফিসের তত্ত্বাবধানে নমুনা পাঠানো হয় করোনা পরীক্ষার ল্যাবে। বগুড়ায় নিজ জেলার নমুনা ছাড়াও জয়পুরহাট ও পাবনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সিরাজগঞ্জে নিজ জেলার নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি চাপ বেড়ে গেলে পাবনার নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, যে জেলায় যখন সুযোগ হয়, সেখানে নমুনা পাঠানো হয়।
আট জেলার মধ্যে ছয়টির হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। যে দুই জেলায় আইসিইউ বেড আছে, তা-ও খুবই অপ্রতুল। এ কারণে করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের বেশির ভাগই আইসিইউ সেবা পাচ্ছেন না। এ কারণে লম্বা হচ্ছে মৃতের তালিকা।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, বর্তমানে বিভাগে করোনা চিকিৎসার জন্য মোট ৫৩৩টি সাধারণ বেড আছে। আইসিইউ রয়েছে ৪১টি। এর মধ্যে রাজশাহী মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে ১০টি, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৩টি, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৮টি এবং টিএমএসএস হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেড রয়েছে।
তিনি জানান, কোভিড রোগী মানেই আইসিইউ লাগবে, এমনটি নয়। এই ধারণা পরিবর্তন করতে হবে। আইসিইউ একেবারে শেষ পর্যায়ে লাগে। তবে আইসিইউ বাড়ানোর কার্যক্রম চলছে। চলতি মাসেই রাজশাহীতে আরও ১০টি এবং বগুড়ায় আরও ২০টি আইসিইউ চালু করার কাজ চলছে।
হাবিবুল আহসান বলেন, ‘আইসিইউর জন্য আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাগবেই। কারণ, আমরা হাই ফ্লো নেজাল দিয়ে যখন অক্সিজেন দিতে যাব, তখন সিলিন্ডার অক্সিজেন ৫ মিনিটও চলবে না। সেন্টাল অক্সিজেন ছাড়া হবে না।’
গত এক বছরেও সীমাবদ্ধতাগুলো কেন দূর করা গেল না, জানতে চাইলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, ‘এটা আমাদের নীতিনির্ধারকদের বিষয়। আমি বলতে পারব না।’
করোনা রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এখানকার আইসিইউর কোনো শয্যাই ফাঁকা নেই। করোনা ইউনিটে বেড আছে ১৫৩টি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১০ জন।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানিয়েছেন, ২০টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ১০টি কোভিড-১৯ রোগীদের দেয়া হয়েছে। বাকি ১০টি অন্যান্য মুমূর্ষু রোগীর জন্য সংরক্ষিত আছে। ফলে চাইলেও এই ১০টি শয্যা কোভিড রোগীদের দেয়া সম্ভব হয় না। রোগীদের সাধারণ ওয়ার্ডেই থাকতে হয়। এসব ওয়ার্ডে অবশ্য অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, রাজশাহী মেডিক্যালে করোনা রোগীর চাপ অনেক বেড়ে গেছে। এখানে এখন ১৬৩টি বেডে করোনার চিকিৎসা চলছে। আইসিইউ বেড আছে ১০টি। এখানকার ২২, ২৭, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড এখন করোনা ওয়ার্ড। রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখানে করোনা ওয়ার্ড বা বেড আর বেশি বাড়ানোর সুযোগ নেই। আর সর্বোচ্চ দুটি ওয়ার্ড বাড়ানো যেতে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, এই হাসপাতালের পুরোটাই কোভিড চিকিৎসার জন্য ছেড়ে দিতে হবে, অথবা সদর হাসপাতালকেও কোভিড হাসপাতাল করার বিষয়ে ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ৯০টি অক্সিজেন লাইন লাগানো হয়েছে। এক মাসের মধ্যে আমাদের অক্সিজেনের সমস্যা নেই। হাই ফ্লো অনেকগুলো আছে। তবে এগুলোর যন্ত্রাংশের ঘাটতি আছে। এগুলোর সার্কিটগুলো ব্যবহারের পর বদলাতে হয়। এগুলো পরবর্তী সময়ে পাওয়া যায় না। এ কারণে সেই হাই ফ্লো কাজ করে না।
‘এগুলোর দামও অনেক। আমাদের ১৮টি হাই ফ্লো আছে। আরও ২১টি পাচ্ছি। ডিভিশনাল কমিশনার স্যার ৩টি দিয়েছেন। এগুলো নিয়ে সমস্যা হবে না। একটি ওয়ার্ডে হাই ফ্লো প্রতিটি বেডে দেয়া যাবে না। ২০টি বেড থাকলে ৭-৮টিতে দেয়া যায়। কারণ, এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ।’
নাটোর প্রতিনিধি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, নাটোরে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে মোট ৩১টি বেড আছে। মোট চিকিৎসক ১৫ জন, ১৬ জন নার্সসহ আরও ৮ জন নিয়োজিত আছেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১৭০টি।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ রায় জানান, সদর হাসপাতালে আইসিইউ বেড ও পিসিআর ল্যাব নেই। সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট নেই। তবে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। রোগীর অবস্থা বুঝে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। অবস্থা বেশি জটিল হলে রাজশাহী মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুর রব নাহিদ জানিয়েছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনার নমুনা পরীক্ষার সুযোগ নেই। নিয়মিত রাজশাহী মেডিক্যালের করোনা ল্যাব থেকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। নমুনা পাঠানোর ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল পাওয়া যায়। সদর হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য করোনা ইউনিট গত বছর শুরু করা হয়েছিল। সেটিতে দীর্ঘদিন রোগী ছিল না, বর্তমানে ৭ জন রোগী ভর্তি আছেন। ১০টি অবজারভেশন বেড ও করোনা রোগীদের জন্য ২০টি বেড রয়েছে।
সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, করোনা ইউনিট চালাতে যে বাড়তি খরচ হবে, সেই অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। অর্থ প্রাপ্তির আশ্বাসে ইউনিটটি চালু করা হয়েছে।
নওগাঁ প্রতিনিধি সবুজ হোসেন জানিয়েছেন, নওগাঁয় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য মোট ২০১টি আইসোলেশন বেড রয়েছে। মোট ৭৪ জন চিকিৎসক, ৩৫ জন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং ৮৫ জন নার্সসহ আরও ৪৯ জন স্টাফ করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত। অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে ২০১টি।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) আশীষ কুমার সরকার জানান, ‘এখানে আইসিইউ বেড ও পিসিআর ল্যাব নেই। আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বরাবর চিঠি দিয়েছি। তবে সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট সংযুক্ত করার কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে, আমাদের দেয়া হটলাইনে যোগাযোগ করলে রোগীদের প্রাথমিক পরামর্শ দেয়া হয়। পরীক্ষার পর যাদের রিপোর্ট পজিটিভ হয়, তাদের ফোনে পরামর্শ দেয়া হয়। তবে কোনো রোগীর জটিলতা দেখা দিলে, তাকে নির্ধারিত আইসোলেশন বেডে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। প্রয়োজনে রাজশাহী মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
জয়পুরহাট প্রতিনিধি রাজীব হাসান জানিয়েছেন, ১৫০ শয্যার জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ২০ শয্যার একটি করোনা ওয়ার্ড রয়েছে। পাশাপাশি চারটি উপজেলা স্ব্যস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি করে শয্যার করোনা ওয়ার্ড রয়েছে। জেলা হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন রয়েছে। তবে আইইসিইউ নেই। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে ১০ থেকে ১২ দিন লেগে যায়।
বগুড়া প্রতিনিধি খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, বগুড়ায় করোনায় সংক্রমণের হার ৩৯। এখানে দুটি পিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, গত শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৩৫০। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭২ জন। শনিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৬৪ জন। করোনা রোগীর চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে রয়েছে বগুড়ার ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল। তবে এখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা গত এক বছরেও চালু করা যায়নি। মোহাম্মদ আলীতে সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সহবরাহ করা হয়।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ৭৮টি বেড আছে। আইসিইউ বেড রয়েছে আটটি। গত বছর এই হাসপাতাল করোনা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত করা হলেও এবার এখনও তা করা সম্ভব হয়নি বলে জানান মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিক আমীন কাজল।
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়। এখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা আছে। কিন্তু এখানে চিকিৎসা ব্যয়বহুল। শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা রয়েছে।
গত ১৪ মার্চ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে সৈয়দ রুহুল আমিন নামের এক করোনা রোগী মারা যান। তার ছেলে আরিফ হাসানের অভিযোগ, ‘বাবার মৃত্যুর দিন ভোরে লোডশেডিং হওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় হাসপাতালে। ওই সময় বাবার অক্সিজেন বন্ধ থাকে। কারণ, ওই মেডিক্যালের দুজন অবেদনবিদ ছাড়া হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা সম্পর্কে কারও ধারণা ছিল না। বিদ্যুৎ আসার পর হাসপাতালের অন্য চিকিৎসক ও নার্সরা হাই অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা চালুও করতে না পারায় বাবার মৃত্যু হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যালের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ওই রোগী হাই ফ্লো অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন হয়তো বিষয়টা এমন নয়। দুজন চিকিৎসক হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়ে বেশি দক্ষ। অন্য চিকিৎসক-নার্সরাও এখন ওই ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন।’
পাবনা প্রতিনিধি আফ্রিদি খান মিঠু জানিয়েছেন, গুরুতর রোগীকে আইসিইউর জন্য ঢাকা বা রাজশাহীতে স্থানান্তর হয়। এ কারণে পথেই কেউ কেউ মারা যান। অন্যদিকে নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে করোনা রোগীদের।
২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা নেই। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। পাবনায় পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়নি। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি আছেন ১৩ জন ও বেডসংখ্যা ১০০।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আইয়ুব হোসেন জানান, ‘আশা করছি, এক মাসের মধ্যেই আইসিইউ ইউনিট চালু করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন:ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।
টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।
তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।
দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় দুই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মুন্নি খাতুন (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী সিজারিয়ান অপারেশনের সময় মারা যান। এর আগে ৮ জুন ওই ক্লিনিকেই আখি খাতুন (২২) নামের আরেক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরপর এমন দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিনিক মালিকের ছেলে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করছে বলে জানাগেছে।
সোমবার রাতে মুন্নির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিক আবুল হোসেনের ব্রাকপাড়া এলাকার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। পরে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত মুন্নি খাতুন উপজেলার তারাগুনিয়া ব্রাকপাড়া এলাকার মঞ্জু হোসেনের মেয়ে। আর নিহত আখি খাতুন পূর্ব কবিরাজপাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।
মুন্নির পরিবারের সদস্যরা জানান, গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে সোমবার তাকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ঝুঁকির কথা বলে কুষ্টিয়া বা রাজশাহীতে রেফার করার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় তাকে তারাগুনিয়া থানার মোড় বাজারের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন তারাগুনিয়া ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ানে সম্মত হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময়ই মুন্নির মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের মালিক আবুল হোসেন বলেন, “রোগী কীভাবে মারা গেছে সেটা ডাক্তাররাই ভালো বলতে পারবেন। আমি নিজে অপারেশনে ছিলাম না, তাই কিছু জানি না। টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা. সফর আলী বলেন, “রোগীকে ওটিতে আনার আগে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমরা ওটিতে ঢুকেই দেখি রোগী স্ট্রোক করেছে। এরপর দ্রুত নবজাতকের প্রাণ রক্ষায় সিজারিয়ান সম্পন্ন করি।”
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, “একই প্রতিষ্ঠানে পরপর দুই প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। আজই ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “গতকাল রাতে তারাগুনিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিক এলাকায় উত্তেজনা ও হট্টগোলের আশঙ্কায় আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠাই। পরে জানতে পারি, নিহত নারীর এলাকা থেকে কিছু লোকজন ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। শুনেছি দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছে।”
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এক মাসের মধ্যে দুইজন রোগীর মৃত্যু অত্যান্ত দুঃখজনক। ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে বলবো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
একই ক্লিনিকে এক মাসের ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের) সাবেক সংসদ সদস্য মো: হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সেলিম নামে এক ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকায় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া স্বাক্ষাতকারে এ দাবি করেন হাফিজ ইব্রাহিম।
এর আগে দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, যায়যায়দিন সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার ডিজিটাল প্লাট ফরমে একটি সংবাদে দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তুলে সেলিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সংবাদটি ডিজিটাল প্লাট ফরমে প্রকাশ হওয়ার পর আমার নজরে আসে। আমি মনোযোগ দিয়ে তার অভিযোগ শুনি। যে ব্যক্তি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা না। আমি খবর নিয়ে জেনেছি, তিনি ভোলা-১ সদর আসনের বাসিন্দা ভোলা সদর আসনের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেলিম নামে ওই ব্যক্তির সাথে তার আপন ভাতিজি জামাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তার ভাতিজি জামাই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এমনকি ওই বিষয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা রয়েছে।
হাফিজ ইব্রাহিম আরও বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত সরকারের পলাতক একটি কুচক্রী মহল বিএনপির নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এই ঘটনার পেছনে যে আসল সত্য রয়েছে তা উদঘাটন করুন।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহী মহানগরীর একটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব-৫।
রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার একটি বালুর স্তূপের আনুমানিক ২ ফুট গভীর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে র্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অভিযানে একটি ৭.৬২ মি.মি. বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫; সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল জানতে পারে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন লুট হওয়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি দুষ্কৃতকারীরা বোয়ালিয়া থানাধীন টিকাপাড়া এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। পরে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে বালুর স্তূপের ভেতর থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে র্যাবের গোয়েন্দা দল।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাসস’কে জানান, এটি পুলিশের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে কোন থানার অস্ত্র সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ পিস্তলের গায়ে বাট নম্বর ঘষা-মাজার চিহ্ন স্পষ্ট। উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি বোয়ালিয়া থানায় জিডির পর হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য