× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
আমাদের টিকার কার্যকারিতা কম চীনের কর্মকর্তা
google_news print-icon

আমাদের টিকার কার্যকারিতা কম: চীনের কর্মকর্তা

আমাদের-টিকার-কার্যকারিতা-কম-চীনের-কর্মকর্তা
চীন উদ্ভাবিত টিকা সিনোভ্যাক। ছবি: এএফপি
সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান গাও ফু বলেন, ডোজের সংখ্যা, সময়ের ব্যাপ্তি পরিবর্তনসহ অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকার কার্যকারিতা বাড়ানো যেতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন টিকা একত্র করেও টিকদান কর্মসূচি চালানো যেতে পারে।

চীন উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার কার্যকারিতা কম ও সুরক্ষা দেয়ার মাত্রা বেশি নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান গাও ফু।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সময় শনিবার তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

কার্যকারিতা বাড়াতে চীন টিকা সংমিশ্রণের চিন্তাভাবনা করছে বলেও জানান ফু।

তিনি বলেন, ডোজের সংখ্যা, সময়ের ব্যাপ্তি পরিবর্তনসহ অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকার কার্যকারিতা বাড়ানো যেতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন টিকা একত্র করেও টিকদান কর্মসূচি চালানো যেতে পারে।

পরে অবশ্য নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে ভিন্ন মন্তব্য করেন ফু। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব টিকার সুরক্ষা মাত্রা কখনো কম, কখনো বেশি। টিকার কার্যকারিতা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের ভেবে দেখা জরুরি।’

চীনা টিকার সুরক্ষার মাত্রা কম-সংক্রান্ত আগে দেয়া নিজের বক্তব্য খারিজ করে ফু বলেন, তার কথা সম্পূর্ণ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ফুর প্রথম ও পরবর্তী মন্তব্য চীনের বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যমে আসেনি।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েবোতে চীনের টিকা নিয়ে ফুর প্রথম মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা হয়। তার চুপ থাকা উচিত বলে কয়েকজন সেখানে মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সামান্য তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ হওয়ায় চীন উদ্ভাবিত করোনার বিভিন্ন টিকার কার্যকারিতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

চীন এখন পর্যন্ত চারটি টিকা উদ্ভাবন করেছে, যা দেশটিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদনও পায়। চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশে পরিচালিত কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এসব টিকার কার্যকারিতা ৫০ শতাংশের মতো ছিল।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সিনোভ্যাকের কথা। ব্রাজিলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এ টিকার কার্যকারিতা মাত্র ৫০.৪ শতাংশ দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন পেতে যেকোনো দেশের টিকা কমপক্ষে ৫০ শতাংশ কার্যকর হতে হয়। সে হিসেবে চীনের টিকা ওই সীমার একটু উপরে।

অবশ্য তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ায় শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যবর্তী ফলে সিনোভ্যাকের টিকা যথাক্রমে ৬৫ শতাংশ থেকে ৯১ শতাংশ কার্যকর হিসেবে দেখা যায়।

অন্যদিকে ফাইজার/বায়োএনটেক, মডার্না বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন টিকা ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি কার্যকর।

চীনে এক কোটিরও বেশি মানুষ এরই মধ্যে তাদের উদ্ভাবিত টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছে।

চীনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত টিকা কার্যকর। চীনের টিকা নেয়া বিদেশিরাই কেবল দেশটিতে প্রবেশে ভিসা পাবেন।

আরও পড়ুন:
উইঘুর ইস্যুতে ৯ ব্রিটিশ নাগরিকের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা
সামরিক শক্তিতে প্রথম চীন, চতুর্থ ভারত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Israel cabinet decision to give tough response to Iran

ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত

ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার কয়েক ঘণ্টা পর রোববার ইসরায়েলের যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রিসভা ও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তেল আবিবে বৈঠক করেন। ছবি: টাইমস অফ ইসরায়েল।
হামলার জবাব দিয়ে ইসরায়েল কোনোভাবেই আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়াতে চায় না বলে টাইমস অফ ইসরায়েলের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করেই তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চায়।

সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাব হিসেবে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার কঠোর জবাব দেয়া হবে বলে ইসরায়েলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল ১২-এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অফ ইসরায়েল।

সিরিয়ায় গত ১ এপ্রিল ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো।

হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটিতে কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। এ হামলায় সাত বছর বয়সী এক ইসরায়েলি শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে। এর বাইরে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

টাইমস অফ ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, (ইরানকে) এমন বার্তা পাঠানোর জন্য প্রতিক্রিয়াটি জানানো হবে যে, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যেকোনো মাত্রার হামলারই জবাব নিশ্চিত করা হবে’, সেটা যেন তারা বুঝতে পারে। প্রতিক্রিয়ায় এটিও স্পষ্ট করা হবে যে, কয়েকদিন ধরে ইরান যে হামলার পাল্টা জবাব দিয়ে ‘সমীকরণ স্থাপনের’ কথা বলছে, তা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। ভবিষ্যতেও ইরানের ভূখণ্ড, তাদের আন্তর্জাতিক কনস্যুলেটগুলোকে হামলার জবাব হিসেবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট ও আইডিএফের চিফ অফ স্টাফ হারেজি হালেভি মনে করেন, ইসরায়েলের অবশ্যই (ইরানের হামলার) জবাব দেয়া উচিৎ। সেইসঙ্গে তারা এটাও বিবেচনায় রাখছেন যে, এমন কিছু করা ঠিক হবে না যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়।

হামলার জবাব দিয়ে ইসরায়েল কোনোভাবেই আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়াতে চায় না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করেই তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চায়।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার আবারও আলোচনায় বসবে মন্ত্রিসভা। তবে তারা তাদের মূল লক্ষ্য থেকে সরে আসবে না।

এর ফলে আজ রাতে আর ইরানকে পাল্টা জবাব দেয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

আরও পড়ুন:
ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস
ইসরায়েলে হামলার আগে সতর্ক করা হয়েছিল: ইরান
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ চায় না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হামলার পর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা ইরানের
ইসরায়েলে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করল ইরান

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
US will not participate in retaliatory strikes on Iran White House

ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস

ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শনিবার রাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ফাইল ছবি
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোববার বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো সরাসরি ও নজিরবিহীন ইরানি হামলার জবাবে ‘খুবই সতর্কভাবে ভেবেচিন্তে এবং কৌশলগতভাবে’ ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতিক্রিয়া ঠিক করতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

ইসরায়েলে হামলার জবাবে ইরানের ওপর কোনো ধরনের প্রতিশোধমূলক হামলায় যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেবে না বলে তেল আবিবকে সতর্ক করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

সিরিয়ায় গত ১ এপ্রিল ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি আরও জানায়, ইরানের হামলার বিষয়ে ‘সতর্কভাবে’ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে ইসরায়েলকে তাগিদ দিয়েছেন বাইডেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোববার বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো সরাসরি ও নজিরবিহীন ইরানি হামলার জবাবে ‘খুবই সতর্কভাবে ভেবেচিন্তে এবং কৌশলগতভাবে’ ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতিক্রিয়া ঠিক করতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলি হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডারদের প্রাণহানির পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল ‘সবচেয়ে ভালোটা’ পেয়েছে বলে মনে করে বাইডেন প্রশাসন।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলে হামলার আগে সতর্ক করা হয়েছিল: ইরান
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ চায় না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হামলার পর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা ইরানের
ইসরায়েলে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করল ইরান
হরমুজ প্রণালিতে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ জব্দ ইরানের

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Iran warns Israel and the US after the attack

হামলার পর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা ইরানের

হামলার পর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা ইরানের ইরানের ছোড়া হামলা প্রতিহত করছে ইসরায়েল। ছবি: রয়টার্স
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ান বলেছেন, ইসরায়েলে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এবং আত্মরক্ষার অংশ হিসেবে হামলা চালানো হবে বলে ওয়াশিংটনকে অবহিত করেছিল তেহরান।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে শনিবার রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রোববার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে ইরান বলেছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্রটিতে পাল্টা হামলা চালানো হলে ‘অনেক বড় জবাব’ দেয়া হবে।

অন্যদিকে ইরানের বদলার শিকার ইসরায়েল বলেছে, অভিযান এখনও শেষ হয়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মধ্যপ্রাচ্যের চিরশত্রু দুই দেশের যুদ্ধের প্রকাশ্য হুমকি এবং এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা উদ্বেগ বাড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।

এমন বাস্তবতায় ওয়াশিংটন বলেছে, ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায় না আমেরিকা, তবে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সেনা ও ইসরায়েলকে রক্ষায় ইতস্তত বোধ করবে না।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কমান্ডার নিহত হন। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে দেশটিতে পাল্টা হামলা চালায় ইরান।

ইসরায়েলের দিকে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের বেশির ভাগ ছোড়া হয় ইরানের অভ্যন্তর থেকে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জর্ডানের সহায়তায় এসব ড্রোনের বেশির ভাগ ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যার ফলে এগুলো সামান্য ক্ষতি করেছে ইহুদি রাষ্ট্রটির।

হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটিতে কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। হামলায় সাত বছর বয়সী এক ইসরায়েলি শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে। এর বাইরে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ান বলেছেন, ইসরায়েলে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এবং আত্মরক্ষার অংশ হিসেবে হামলা চালানো হবে বলে ওয়াশিংটনকে অবহিত করেছিল তেহরান।

আরও পড়ুন:
২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র
ইরানে এবার সরাসরি হামলা চালানোর হুমকি ইসরায়েলের
ঈদের দিনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান ইরানের সর্বোচ্চ নেতার
ইসরায়েলি হামলা অবরোধের মধ্যে নিরুত্তাপ ঈদ গাজায়

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Iran launched a direct missile attack on Israel

ইসরায়েলে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করল ইরান

ইসরায়েলে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করল ইরান
এই হামলায় একটি সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে আহত হয়েছে এবং একটি সামরিক স্থাপনা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রথম বারের মতো সরাসরি হামলা চালানো শুরু করেছে ইরান।

স্থানীয় সময় শনিবার রাতে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করে এই হামলা চালানো শুরু হয় বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।

এই হামলায় একটি সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে আহত হয়েছে এবং একটি সামরিক স্থাপনা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইরানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদন বলছে, গভীর রাতে চালানো হামলায় তেল আবিব এবং পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েল জুড়ে শহরগুলোতে বিমান হামলার সাইরেন বন্ধ হয়ে যায়। ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বাধা দেয়ার সাথে সাথে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।

‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইসরায়েলে ইরানের এ হামলার পর লেবানন, জর্ডান ও ইরাক তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইরান থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে। আইডিএফ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।

জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি।

আরও পড়ুন:
হরমুজ প্রণালিতে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ জব্দ ইরানের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন
ইসরায়েলে ইরানের হামলার হুমকি বাস্তব: হোয়াইট হাউস

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Israel seizes Iranian ships in the Strait of Hormuz

হরমুজ প্রণালিতে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ জব্দ ইরানের

হরমুজ প্রণালিতে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ জব্দ ইরানের পর্তুগালের পতাকাবাহী জাহাজ এমএসসি অ্যারিসে অবতরণ করে সেটিকে ইরানের জলসীমায় নিয়ে গেছে আইআরজিসির হেলিকপ্টার। ছবি: আল জাজিরা
কার্গো জাহাজটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান এমএসসি জানিয়েছে, জাহাজটি জব্দ করেছে ইরান। একে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ২৫ ক্রুর কল্যাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরের মধ্যবর্তী হরমুজ প্রণালিতে শনিবার ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট একটি পণ্যবাহী (কার্গো) জাহাজ জব্দ করেছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি)।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কৌশগলতভাবে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথটি বন্ধ করতে তেহরানের হুমকির কয়েক দিন পর এবং সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবের হুঁশিয়ারির মধ্যে জাহাজ জব্দের ঘটনাটি ঘটল।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএর প্রতিবেদনে জানানো হয়, হেলিকপ্টার থেকে পর্তুগালের পতাকাবাহী জাহাজ এমএসসি অ্যারিসে নেমে সেটিকে ইরানের জলসীমায় নিয়ে গেছেন আইআরজিসির সদস্যরা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জাহাজটি ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট।

কার্গো জাহাজটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান এমএসসি জানিয়েছে, জাহাজটি জব্দ করেছে ইরান। একে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ২৫ ক্রুর কল্যাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, জোডিয়াক মেরিটাইম নামের প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট গোর্টাল শিপিংয়ের কাছ থেকে অ্যারিস নামের কার্গো জাহাজটি লিজ নেয় এমএসসি।

জোডিয়াকের বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাজের সমস্ত কর্মকাণ্ডের দায়ভার এমএসসির।

ইসরায়েলি ব্যবসায়ী এয়াল ওফারের আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জোডিয়াক।

আরও পড়ুন:
ইরানে এবার সরাসরি হামলা চালানোর হুমকি ইসরায়েলের
ঈদের দিনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান ইরানের সর্বোচ্চ নেতার
ইসরায়েলি হামলা অবরোধের মধ্যে নিরুত্তাপ ঈদ গাজায়
ইসরায়েলে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ তুঙ্গে
জিম্মি মুক্তিতে হামাসকে চাপ দিতে মিসর ও কাতারকে বাইডেনের চিঠি

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Eyewitness accounts of the Sydney attack

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সিডনির হামলা

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সিডনির হামলা কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরছেন শপিং মলে থাকা কয়েকজন। ছবি: বিবিসি
প্রত্যক্ষদর্শী হুমা হুসাইনি বলেন, ‘এর মধ্যে হঠাৎ গুলির আওয়াজ পাই। আমি তখন শেষ! ভেবেছিলাম, ওর কাছে পিস্তলও আছে।’

ঘড়িতে তখন তিনটা বেজে কিছু বেশি। সিডনির ওয়েস্টফিল্ড বন্ডি জংশন শপিং মলে তখন লোকে লোকারণ্য। হঠাৎ করেই শোরগোল, সেইসঙ্গে শপিং মল থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের হুমমুড়িয়ে বের হয়ে আসতে দেখা গেল। জানা গেল, ভেতরে ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়েছেন এক ব্যক্তি।

প্রত্যক্ষদর্শী দোকানকর্মী রাশদান আকাশাহ বিবিসিকে বলেন, ‘ছুরি ধরে থাকা ব্যক্তি চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছিল। সেসময় একটি রড দিয়ে আরেক যুবক তাকে সিঁড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সিডনির হামলা
ক্রোতাদের নিরাপত্তায় তাদের দোকানের মধ্যে ঢুকতে সাহায্য করেন রাশদান। ছবি: বিবিসি

‘সঙ্গে সঙ্গে আমি দোকানের সিইওকে দোকানের শাটার নামানোর অনুমতি দিতে অনুরোধ করি। ওই লোকটি হামলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায় আর এসব হচ্ছিল আমাদের দোকানের সামনেই।’

শপিং মল থেকে বের হয়ে একজন বলেন, ‘আমি তাকে (হামলাকারীকে) পুরোপুরি দেখিনি। কোনোমতে প্রাণ নিয়ে বের হয়ে এসেছি।

‘এটা একেবারে পাগলামি। মনে হচ্ছিল, প্রাণটা বুঝি আজকেই গেল।’

আরেকজন বলেন, ‘ছুরি দিতে আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে একজন লুটিয়ে পড়ে। তারপর আমিও প্রাণভয়ে দৌড় দেই।’

ওলিন্ডা নেমার নামের এক যুবতী হামলাকারীকে সরে যেতে বাধ্য করেন। তার কথায়, ‘আমি তাকে কাউকে আঘাত করতে দেখিনি। তবে দেখলাম যে সে পালাচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সিডনির হামলা
একটি দোকানের মধ্যে ঢুকে প্রাণ রক্ষা করেন ওলিন্ডা।

‘প্রথমে আমিও বুঝতে পারিনি ঘটনাটি কী ঘটেছে। ভেতরের লোকজন চিৎকার করছিল আর পালাচ্ছিল। তাই আমিও দৌড় দেই।

‘দৌড় দিয়ে এক দোকানে ঢুকে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তারা দরজা বন্ধ করে দেয়। সেখানে আরও অনেকে ছিল। কেউ কেউ পুলিশে ফোন করছিল। ফোন করার দশ মিনিটের মধ্যে পুলিশ চলে আসে।’

পুরো ঘটনার সময় ৪৫ মিনিট ধরে একটি দোকানের চেঞ্জ রুমে লুকিয়ে ছিলেন হুমা হুসাইনি ও মোহাম্মদ নাভিদ।

কাঁপতে কাঁপতে বিবিসিকে হুমা বলেন, ‘আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না! ওর (হামলাকারীর) হাতে বিশাল বড় একটি ছুরি ছিল, প্রায় এক হাত হবে। আমি ওর খুব কাছেই ছিলাম।

‘আর ওর পেছনে দুই জন অল্পবয়সী নারী মেঝেতে পড়ে ছিলেন। একজন ওঠার চেষ্টা করলেও অন্যজন নিথর ছিলেন।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সিডনির হামলা
পুরো ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন হুমা হুসাইনি (বাঁয়ে) ও মোহাম্মদ নাভিদ।

এর মধ্যেই পুলিশ এসে হামলাকারীকে গুলি করে। তবে বিষয়টি বুঝতে না পেরে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হুমা।

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে হঠাৎ গুলির আওয়াজ পাই। আমি তখন শেষ! ভেবেছিলাম, ওর কাছে পিস্তলও আছে। পরে বুঝতে পারি যে, পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গুলি করেছে।’

ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। এক নারী পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হন, যাকে স্থানীয় গণমাধ্যমে ‘হিরো’র তকমা দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত আটজন, যাদের মধ্যে নয় মাস বয়সী এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। শিশুটির মা অবশ্য প্রাণ হারিয়েছেন।

একাই ওই ব্যক্তি ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানিয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ।

এ হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট হতে না পারলেও ঘটনার পুনরাবৃত্তির কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের সহকারী কমিশনার অ্যান্থনি কুক।

আরও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় শপিং মলে ছুরি হামলা, হামলাকারীসহ নিহত ৭

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Ireland Norway Spain ready to recognize Palestine

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন শুক্রবার ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস (বাঁয়ে) ও স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। ছবি: আল জাজিরা।
শুক্রবার ডাবলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে শুধু স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণাই নয়, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে তারা যাতে স্বীকৃতি পায়, সেজন্যও আমাদের অটুট সমর্থন থাকবে।’

স্পেনের পর আয়ারল্যান্ড ও নরওয়েও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো মানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে দুই দেশ।

শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেন, আয়ারল্যান্ড শিগগিরই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায়। তবে ইউরোপের আরও দেশ যদি এ বিষয়ে রাজি থাকে, তাহলে তাদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আয়ারল্যান্ড সফরের আগে ওইদিন নরওয়েতে যান সানচেজ। সেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়োনাস গার স্তোরের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনিও একই ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন।

স্তোরে বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ওসলোও (নরওয়ের রাজধানী) প্রস্তুত। আরও যেসব দেশ একইরকম ভাবছে, তাদের সঙ্গে একসঙ্গে এ ঘোষণা দেয়া হবে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন। এতে ওই অঞ্চলের শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়া সত্যিকার অর্থে গতি পাবে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় অন্তত এক হাজার ১০০ বেসামরিক ইসরায়েলি নিহত হন।

ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আগ্রাসনে ক্রমবর্ধমান মৃত্যু, অনাহার ও অবকাঠামোর ক্ষতি মিলিয়ে এই কয়েক মাসে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে গাজা।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন
মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে গাজা। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ইসরায়েলের এমন অমানবিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহল। তারই ধারাবাহিকতায় উপত্যকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এরইমধ্যে শুধু নরওয়ে আয়ারল্যান্ড নয়, স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ইউরোপের অনেক দেশই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

গত মাসে মাল্টা ও স্লোভেনিয়াকে সঙ্গে নিয়ে স্পেন ও আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দেয়। সেসময় তারা জানায়, আমরা প্রস্তত, ‘সঠিক পরিস্থিতিতে’ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

শুক্রবার সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে হ্যারিস বলেন, ‘বিষয়টি ধীরে ধীরে আরও এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা (স্বীকৃতির) ঘোষণা দেয়ার খুব কাছাকাছি রয়েছি। সবাই মিলে আমরা এর বাস্তবায়ন করব।

‘নিজ দেশের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের দাবি ফিলিস্তিনের দীর্ঘদিনের। তারাও আয়ারল্যান্ড ও স্পেনের মতো স্বাধীন ও স্বকীয়ভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মাঝে স্থান করে নেয়ার অধিকার রাখে।’

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন
শুক্রবার ডাবলিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস। ছবি: সংগৃহীত

ওই সংবাদ সম্মেলনে সানচেজ বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছুক রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে যৌথভাবে ঘোষণা দেয়া হবে। তবে অবশ্যই ঘোষণার আগে সময়ের উপযুক্ততা বিবেচনা করে হবে।

‘শুধু স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণাই নয়, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে তারা যাতে স্বীকৃতি পায়, সেজন্যও আমাদের অটুট সমর্থন থাকবে।’

এক পায়ে খাড়া নরওয়ে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশ না হয়েও ইইউ দেশগুলোর সঙ্গে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ‘তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তুত’ নরওয়ে।

শুক্রবার শেনজেন অঞ্চলের সদস্য এ দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্তোরে বলেন, ‘তবে আমরা এর জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ ঠিক করিনি। একই মনোভাবের সব দেশের সম্মিলিত কার্যক্রম হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া হবে।’

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন
শুক্রবার স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইয়োনাস গার স্তোরে। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের নভেম্বরে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে নিজেদের সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে নরওয়ে।

এর আগে ১৯৯০-এর দশকের শুরুতেও একবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি শান্তি আলোচনার আয়োজন করে দেশটি, যা পরবর্তীতে ‘অসলো চুক্তি’তে রূপান্তরিত হয়।

অসলো চুক্তি

অসলোতে ওই আলোচনার জন্য তৎকালীন ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইসাক রবিন নোবেল শান্তি পুরষ্কার পান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অসলো চুক্তি-১ স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৯৫ সালে মিশরের তাবায় অসলো চুক্তি-২ স্বাক্ষরিত হয়।

ওই চুক্তির মাধ্যমে দুপক্ষের মধ্যে যে বোঝাপড়া হয়, তা হলো- ফিলিস্তিনিরা নিজেদের অংশের ভূখণ্ড শাসনের অধিকার পাবে এবং ইসরায়েল প্রথমে পশ্চিম তীরের জেরিকো এবং তারপর গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে। এর পরিবর্তে, ইসরায়েলি রাষ্ট্রের বৈধতা স্বীকার করে নেবে ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা (পিএলও)।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন
১৯৯৩ সালে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অসলো শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এটি ছিল দুপক্ষের মধ্যে প্রথম শান্তি চুক্তি। ছবি: বিবিসি

কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটায় ওই সমঝোতা চুক্তি। তখনকার প্রেক্ষাপটে একে বিরাট সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হলেও বাস্তবতা হচ্ছে- ওই চুক্তির তিন দশক পর এখন আবার সেই ‘যুদ্ধাবস্থা’ বিরাজ করছে।

২০০৭ সাল থেকে কট্টরপন্থী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস উপত্যকার ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে পরিস্থিতির আবারও অবনতি হতে শুরু করে। হামাস অবশ্য অসলো চুক্তির সময়ই এর বিরোধিতা করেছিল।

সবশেষ ইসরাইলের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে হামাসের আকস্মিক অথচ ব্যাপক হামলার কারণে গত অক্টোবর থেকে উপত্যকায় সব ধরনের ধৈর্যের সীমা লঙ্ঘিত হয়েছে।

ইসরায়েলের হুঁশিয়ারি

গাজায় চলমান আগ্রাসনের শুরু থেকেই প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সমালোচনা করে আসছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী। এ সপ্তাহে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারিসও নেতানিয়াহুর সেনা আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর এই কার্যক্রমের কঠোর সমালোচনা করেছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন
ইউরোপের দেশগুলোর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। ছবিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে আর না এগোতে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের এ উদ্যোগ ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য একটি পুরস্কার’ হিসেবে গণ্য হবে। সেইসঙ্গে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা এ সংঘাত যদিও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব, তার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেবে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ৩৩ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন ৭৬ হাজারের অধিক।

সর্বোপরি, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৩৯টিই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা ও বিবিসি।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলে ইরানের হামলার হুমকি বাস্তব: হোয়াইট হাউস
ইরানের হামলার শঙ্কা, শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসছেন নেতানিয়াহু
২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

p
উপরে