× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
কোথায় গেলে মিলবে আইসিইউ?
google_news print-icon

কোথায় গেলে মিলবে আইসিইউ?

কোথায়-গেলে-মিলবে-আইসিইউ?
প্রতীকী ছবি
দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা রোগী হুহু করে বাড়ছে। রাজধানীতে এখন আইসিইউর জন্য হাহাকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ৫২টি আইসিইউ শয্যা ফাঁকা দেখালেও বাস্তবে রোগীরা হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরছেন।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে থাকেন আলমগীর হোসেন। পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী। দিন দশেক আগে করোনা আক্রান্ত হন। নিজ ঘরে বিচ্ছিন্ন হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

দিন কয়েক পার হতেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। দেরি না করে চলে যান মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ১৯ মার্চ সেখানে ভর্তি হন আলমগীর। তার অবস্থা বিবেচনা করে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউতে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ওই সময় মুগদায় কোনো আইসিইউ ফাঁকা ছিল না।

রাজধানীর এভারকেয়ার, স্কয়ার, ইউনিভার্সাল, আনোয়ার খান মডার্ন, ইউনাইটেড- সবখানে হন্যে হয়ে আইসিইউ খুঁজতে থাকেন রোগীর স্বজনেরা। কিন্তু কোথাও আইসিইউ ফাঁকা নেই। সবকটিতে সংকটাপন্ন রোগী।

আলমগীরের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়ছিলেন তিনি। শেষমেশ সোমবার সকালে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউর ব্যবস্থা হয় তার। হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন তার স্বজনেরা।

রাজধানীতে এখন আইসিইউর জন্য হাহাকার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি হুট করে অবনতি হওয়ার কারণ তৈরি হয়েছে এই অবস্থা। সংক্রমণ ঠেকাতে পারলে এই সংকট থাকবে না বলে মনে করেন তারা।

আইসিইউ সংকট বেশি রাজধানীতে

গোটা দেশের সঙ্গে তুলনা করলে রাজধানীতে আইসিইউ সংকট সবচেয়ে বেশি। রোগীর স্বজন হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে হতাশ হয়ে ফিরছেন। আইসিইউ পেতে উচ্চপর্যায় থেকেও আসছে তদবির।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীতে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বিশেষায়িত করোনা হাসপাতালের সংখ্যা ১৯। যেখানে সব মিলিয়ে আইসিইউর সংখ্যা ২৬৩। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রোগী ভর্তি আছে ২১১টিতে। আর ফাঁকা আছে ৫২টি আইসিইউ শয্যা।

পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীতে ৮০ দশমিক ২৩ শতাংশ আইসিইউতে ভর্তি আছেন রোগী। আর ঢাকা বাদে সারা দেশে ২৩২ আইসিইউতে রোগী ভর্তি আছে ৬৩ জন। ফাঁকা পড়ে আছে ১৬৯টি।

সব মিলিয়ে সারা দেশে ৫৪০ আইসিইউ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ২৯৮টিতে। সে হিসেবে দেখা যাচ্ছে আইসিইউর কোনো সংকট নেই দেশে। অর্থাৎ সারা দেশে ৫৫ দশমিক ১৯ শতাংশ আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তি আছে।

সরকারি হাসপাতালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে আইসিইউর কোনো শয্যা খালি নেই।

শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শয্যার আটটির মধ্যে ছয়টিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ১৫ শয্যার মধ্যে ১২টি এবং ১৬ শয্যার মধ্যে ১৩টিতে রোগী ভর্তি রয়েছে।

রাজধানীতে করোনা সংক্রান্ত বিশেষায়িত সরকারি ১০ হাসপাতালের মধ্যে দুটিতে কোনো আইসিইউর ব্যবস্থা নেই। বাকি আটির মধ্যে পাঁচটি হাসপাতালে এই মুহূর্তে শয্যা খালি নেই। মোট ৯৫টি শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৯০ জন। আর খালি আছে মাত্র পাঁচিট শয্যা। অর্থাৎ ৯৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ আইসিইউ শয্যা রোগী ভর্তি। খালি রয়েছে ৫.২২ শতাংশ শয্যা।

এদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল ও এএম জেড হাসপাতালে আইসিইউর কোনো শয্যা খালি নেই। আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৩০ শয্যার মধ্যে ২২টি, আসগর আলী হাসপাতালে ৩২ শয্যার মধ্যে ২১টি, স্কয়ার হাসপাতালে ৯ শয্যার মধ্যে ৭টি, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৯ শয্যার মধ্যে ৭টি, এভারকেয়ার হাসপাতালে ১২টার মধ্যে ১১টি, ইমপালস হাসপাতালে ৩৫ শয্যার মধ্যে ২৫টিতে রোগী ভর্তি রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, আইসিইউ সংকট শুধু ঢাকায়। ঢাকার বাইরে এই সংকট খুবই কম। রোগীরা আক্রান্ত হলেই ঢাকায় চলে আসছে, যে কারণে ঢাকায় একটি চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

করোনায় লাগাম পরাতে হবে

এমন বাস্তবতায় সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরার ওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অসীম কুমার বলেই ফেললেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আইসিইউ সংকট নিরসনের একমাত্র পথ।’

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক মাস আগেও আইসিইউতে রোগীর চাপ অনেক কম ছিল। গত ৯ মার্চ থেকে আমাদের হাসপাতালের ১৪টি আইসিইউ বেড পরিপূর্ণ ছিল। এই সংকট শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের প্রতিটা দেশে। সংকট নিরসনে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।’

আইসিইউর চাহিদা বাড়তে থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও পাঁচটি আইসিইউ বেড যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান এই পরিচালক। কিন্তু এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয় বলে মনে করেন তিনি।

অসীম কুমার বলেন, ‘আইসিইউ সংকট নিরসনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। গত এক মাস বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসছে আইসিইউ রোগীর জন্য, যা দুই মাস আগেও অনেক কম ছিল। আইসিইউর সঙ্গে করোনা পরীক্ষা বেড়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে। মুগদা হাসপাতালে প্রতিদিন ২০০ জনের নমুনা টেস্ট করানো হয়। বেশ কিছু দিন ধরে রোগীর ভিড় বেশি থাকার কারণে টেস্ট করতে না পেরে অনেকেই ক্ষোভ নিয়ে ফিরে যান।

দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর সঙ্গে করোনা রোগী ৭ থেকে ১০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, এক সপ্তাহ ধরে আইসিইউ শয্যার চাহিদা বাড়ছে। আমাদের করোনা রোগীদের জন্য দুই পাশে আইসিইউ-এর ব্যবস্থা ছিল। তবে সম্প্রতি আগুন লাগার কারণে ১৪টি আইসিইউ শয্যা বন্ধ করা হয়েছে। যে কারণে অন্যান্য হাসপাতালের চেয়ে আমাদের হাসপাতালে চাপ আরও বেশি। আগামীকাল বা পরশু পাঁচটি আইসিইউ শয্যা যুক্ত করা হবে, যেগুলো আগুনে পুড়ে গেছে। সেগুলোও মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ১০টি আইসিইউ শয্যা চালু করা হবে।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, প্রতিদিনই আইসিইউ শয্যার জন্য বিভিন্ন পর্যায় থেকে তার কাছে অনুরোধ আসে। অনেক ঘনিষ্ঠজন ফোন করে একটি আইসিইউ শয্যার জন্য সহায়তা চান। কিন্তু শয্যা ফাঁকা না থাকায় তারা রোগী ভর্তি করতে পারছেন না বলে জানান তিনি।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় কী এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা পূর্বশর্ত। যেটা আমাদের মধ্যে শিথিলতা দেখা দিয়েছে। আমরা মাস্ক পরছি না। বিয়েশাদি ও সামাজিক অনুষ্ঠানে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘সবার কাছে একটা পরিষ্কার তথ্য থাকা দরকার: স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। টিকা নিই আর না নিই, আমাদের মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। ৩০ মিনিট পরপর হাত ধুতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।’

যুক্তরাজ্যের নতুন স্ট্রেইনে সংক্রমিত হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যফেরত ছয়জনের শরীরে নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর তাদের কোয়ারেন্টাইন করা হয়। তাদের সবাই সুস্থ আছেন। একই সঙ্গে ওই ছয়জনের কন্টাক্ট ট্রেসিংও করা হয়েছে। সে হিসাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম। এরপরও জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

বিশেষজ্ঞ যা বলছেন

নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে জোরালো প্রস্তুতির তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দেশে টিকা আসায় জনগণ স্বাধীন হয়ে গেছে, এমন ভাব দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনা সংক্রমণের হার ২ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশে এসেছে। নতুন করে সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক। সুতরাং সবাইকে সতর্ক হতে হবে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে। না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।’

একই মত দিয়েছেন করোনা সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. নজরুল ইসলাম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, আবার যেন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে সতর্ক হতে হবে। প্রতিনিয়ত যে হারে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে মানুষের উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য আগের তুলনায় বেশি প্রস্তুতির প্রয়োজন হতে পারে। যে হারে আইসিইউর চাহিদা দেখা দিচ্ছে, সে জন্য জোরালো প্রস্তুতি নিতে হবে।

সংকট নিরসনে সরকারে প্রস্তুতি

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য হাসপাতালগুলো সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছে, চিকিৎসা ও সুরক্ষা সামগ্রীর কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ আসছে। এ বিষয়ে সারা দেশের সব সিভিল সার্জনকে জেলা পর্যায়ের কোভিড ডেডিকেটেড শয্যাগুলো প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিভাগীয় পরিচালক ও রাজধানীর সব হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, ‘আগামী এক বছরও যদি করোনার প্রকোপ থাকে, আমরা তা মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।'

সিএমএসডি পরিচালক আরও বলেন, ‘করোনার প্রকোপ সারা দেশেই বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে সব ধরনের উপকরণ মজুত রয়েছে। যখনই হাসপাতালগুলো চাচ্ছে, তখনই আমরা সেগুলো সরবরাহ করছি।’

আরও পড়ুন:
হাসপাতালের আইসিইউ আনসারের নিয়ন্ত্রণে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
 USA Today featured LabAid leader Sakif Shamim in the headline
“Sakif Shamim: Labaid’s Bold Vision to Revolutionize Healthcare in Bangladesh” শিরোনামে

ল্যাবএইডের কর্ণধার সাকিফ শামীমকে নিয়ে ফিচার করলো ইউএসএ টুডে

ল্যাবএইডের কর্ণধার সাকিফ শামীমকে নিয়ে ফিচার করলো ইউএসএ টুডে

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা শিল্পের জন্য এক অনন্য ও গৌরবের মুহূর্ত নিয়ে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী প্রকাশনা 'ইউএসএ টুডে'। এই বিশ্বখ্যাত দৈনিকের বিশেষ প্রতিবেদনে ফিচার্ড হয়েছেন ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের দূরদর্শী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ল্যাবএইড গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সাকিফ শামীম। ইউএসএ টুডে-র মত আন্তর্জাতিক পত্রিকায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে তুলে ধরা নিঃসন্দেহে দেশের জন্য বিশাল সম্মান এবং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা মানচিত্রে বাংলাদেশকে এক উদীয়মান কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

ইউএসএ টুডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ ও সবচেয়ে বেশি প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র। এর গতিশীল নকশা, সংক্ষিপ্ত, সুস্পষ্ট প্রতিবেদন এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতি বিষয়ক গল্প অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এটি বিশ্বজুড়ে অনেক সংবাদপত্রের শৈলীকে প্রভাবিত করেছে। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ পাঠকের কাছে পৌঁছানো এই প্রকাশনায় সাকিফ শামীমের সাক্ষাৎকার ও ল্যাবএইডের কার্যক্রম তুলে ধরায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি এবং চিকিৎসা সক্ষমতা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলো।

সাকিফ শামীম বর্তমানে ল্যাবএইড গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা তাঁর বাবার হাতে ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করেছিল। এটি এখন ছয়টি বিশেষায়িত হাসপাতাল, ৪৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, একটি মেডিকেল কলেজ, ফার্মাসিউটিক্যালস, রিয়েল এস্টেট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ১২,০০০-এরও বেশি কর্মচারী নিয়ে দেশের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা গ্রুপে পরিণত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার বর্তমানে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও এশিয়ার সেরা হাসপাতালগুলোর মধ্যে গণ্য হচ্ছে, যা রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে সমন্বিত ক্যান্সার পরিচর্যা প্রদান করছে।

সাকিফ শামীমের নেতৃত্ব স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তিনির্ভর বিপ্লব ঘটিয়েছে। তিনি লাইফপ্লাস বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা তিন লাখেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে দেশের বৃহত্তম হেলথটেক কোম্পানিগুলোর একটি। পাশাপাশি, তিনি Labaid GPT নামে একটি জেনারেটিভ এআই প্ল্যাটফর্ম চালু করেছেন, যা ডাক্তার ও রোগীদের জন্য সেকেন্ড অপিনিয়ন প্রদানের লক্ষ্যে তৈরি এবং এটি ল্যাবএইডের বহু বছরের সংরক্ষিত ডেটা দ্বারা চালিত। তাঁর দূরদর্শী উদ্যোগে, ল্যাবএইড গ্রুপ ভার্চু-কেয়ার এআই (Virtuecare AI)-এর মাধ্যমে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (AR) এবং ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (VR) প্রযুক্তির ব্যবহারও শুরু করেছে, যার লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা এবং অনুরূপ অঞ্চলের মানুষের জন্য উন্নত প্রযুক্তি সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করে তোলা।

ল্যাবএইড গ্রুপের সম্প্রসারণ কৌশল সুদূরপ্রসারী; তারা ঢাকায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের (আনুমানিক ২০০০ কোটি টাকা) একটি ৭৫০ শয্যার সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা করেছে এবং আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে দেশজুড়ে ৩০টি ক্যান্সার সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে উদ্ভাবন ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ল্যাবএইড বাংলাদেশ ছাড়াও সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে পাবলিক হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের মত বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর সাথেও তাদের কোশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।

সাকিফ শামীম বলেন, ল্যাবএইড শুধু একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নয়—এটি রূপান্তরের একটি মঞ্চ। সাকিফ শামীমের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসা। তিনি বিশ্বাস করেন, সঠিক অবকাঠামো এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশীদের আর চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখী হতে হবে না, বরং বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে রোগীদের আকৃষ্ট করতে পারবে। তাঁর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হলো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ল্যাবএইড গ্রুপকে $১০ বিলিয়ন কর্পোরেশনে রূপান্তরিত করা, যার মাধ্যমে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে বছরে প্রায় ৭-৮ মিলিয়ন মানুষের কাছে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া যাবে। সাকিফ শামীমের মতে, বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা একটি বিলাসিতা নয়, বরং প্রতিটি মানুষের অধিকার।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Palestinians are risking medical care from the roof

ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা

কুমিল্লার দাউদকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা

চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই কুমিল্লার দাউদকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ১৯৭২ সালে ২০ শয্যা দিয়ে চালু হয় হাসপাতালটি। বর্তমানে এটি ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে হওয়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। দাউদকান্দি ছাড়াও আশেপাশের উপজেলা থেকে রোগীরা আসে এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে। পরিত্যক্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে এখানকার চিকিৎসক নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের। জীবন বাঁচাতে আসা রোগীদের চিকিৎসা নিতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখা যায়, রোগীর মাথার ওপর পলেস্তারা খসে পড়ছে। পিলার ফেটে বেরিয়ে পড়েছে রট। আতঙ্ক কাজ করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মাঝে।

প্রতিদিন এ হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ১শত ৩০ থেকে ১শত ৫০ জন, ইনডোরে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। নরমাল ডেলিভারি হয় ৪ থেকে ৫ জনের, সিজার হয় ৩ থেকে ৪ জনের। আউটডোরে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ শত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

উপজেলার থৈরখোলার বাসিন্দা মতিন ভূইয়া তার চিকিৎসারত স্ত্রীকে নিয়ে আছেন হাসপাতালে। কিছুক্ষণ পর পর ছাদ থেকে খসে পড়ছে সিমেন্ট। চোখে-মুখে ঢুকে বালি। তিনি বলেন জানিনা কখন পুরো ছাদটাই ভেঙে পড়বে। সারাক্ষণ ভয়ে থাকি।

গজারিয়া থেকে চিকিৎসা নিতে আসা স্বপ্না বেগম বলেন, এটা হাসপাতাল না যেন মৃত্যুপুরি। ওপর থেকে ভিম ভেঙে পড়েছিল শরীরে। চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো আহত হতে হয়েছে।

ওয়ার্ড ইনচার্জ আকলিমা আক্তার বলেন, কিছুদিন আগে ৫ নম্বর বেডের নতুন ফ্যান ছাদসহ ভেঙে এক রোগীর মাথায় পড়ে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আমরা আতঙ্কে কাজ করি। প্রতিদিন মনে হয় কখন ভবনটা ভেঙে পড়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এখনও কোনো সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। এত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চিকিৎসা দেওয়া সত্যিই কঠিন। এই হাসপাতালটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে হওয়ায় আশপাশের অনেক এলাকা থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। আমরা জীবনের ঝুঁকি হলেও চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন বর্ষায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ড্রেন না থাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ কুমিল্লার সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, আমরা ভবনটি পরিদর্শন করে দেখেছি। এটি সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী। তাই পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছি। কাজটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে হবে তাই কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। সরকারের প্রশাসনিক পরিবর্তনের কারণে আপাতত টেন্ডার প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। কাজ শুরু হলে কুমিল্লার মধ্যে প্রথমেই দাউদকান্দি হাসপাতালের সংস্কারকাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের যেসব অংশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলো সাময়িকভাবে মেরামতের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এ হাসপাতালে রোগীর চাপ তুলনামূলক বেশি থাকায় এটিকে ১ শত থেকে দেড়শ শয্যার করার প্রস্তাব ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Cancer Treatment should be created by a specialist physician Health Advisor

ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

দেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় অধিক সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ক্যান্সার রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
গতকাল সোমবার রাজধানীর ন্যাশনাল বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, শুধু স্তন ক্যান্সার নয়, আমাদের দেশে এখন ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে আমাদের আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির আহ্বান জানান তিনি।
নূরজাহান বেগম আরও বলেন, আমাদেরকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে, যাতে করে আমরা ৬৪ জেলায় ক্যান্সার সচেতনতার বিষয়টি পৌঁছে দিতে পারি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি বিভাগীয় হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনি ও ডায়ালাইসিস চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য লিনাগ মেশিন খুবই প্রয়োজনীয়। বর্তমান সরকার ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ছয়টি লিনাগ মেশিন ক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছে।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মেশিন গুলো দেশে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায় যুগোপযোগী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ন্যাশনাল বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা সরকার অব্যাহত রাখবে।
দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দায়ী করে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানলে অবাক হবেন যে একটি ফাইল একজনের কাছেই ছিল এক মাস দশ দিন। তাহলে বলুন, উন্নয়ন কাজ কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায়?
তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
নূরজাহান বেগম আরো বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের পর হয়তো আমরা কেউ থাকব না। তবে আমাদের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ এনজিও আপনাদের পাশে থাকবে সব সময়।
তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকব এবং আপনারা আমাদেরকে যখনই ডাকবেন, আমরা তখনই আপনাদের ডাকে সাড়া দেব।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের টাকার অভাব রয়েছে। তাই আমরা হয়তো পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সব সময় বিদেশে যেতে পারি না। কিন্তু বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেশে এনে তো আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি। এক্ষেত্রে তো কোন বাধা নাই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সকলকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মহা-পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মো. আবু জাফর বলেন, স্তন ক্যান্সার ধরা পড়লে শতভাগ নিরাময় সম্ভব। এজন্য আমাদের লজ্জা বা ভয় না পেয়ে যথাসময়ে স্ক্যানিং করতে হবে।

মন্তব্য

শসার সঙ্গে যে খাবারগুলো খেলে বেশি পুষ্টি পাবেন

শসার সঙ্গে যে খাবারগুলো খেলে বেশি পুষ্টি পাবেন

শসা হলো কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ সবজি। এই সবজির প্রায় পুরোটাই পানি (প্রায় ৯৬%)। সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত, বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যকর এবং হাইড্রেটিং খাবার তৈরি করতে শসা ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবারের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা হাইড্রেশন ও সুস্থতায় সাহায্য করে। এর উচ্চ ফাইবার এবং জলীয় উপাদান হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট ফাঁপা রোধ করতে সাহায্য করে।

শসায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে কিউকারবিটাসিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড, প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। শসা ভিটামিন কে সরবরাহ করে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা ক্যালসিয়াম শোষণ এবং হাড় মেরামতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো শসার সঙ্গে খেলে শসার পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

টমেটো

গবেষণা অনুসারে, টমেটো লাইকোপিন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে এবং সামগ্রিক ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে বলে জানা গেছে। শসা এবং টমেটো অলিভ অয়েল এবং বিভিন্ন ভেষজের সঙ্গে মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর সালাদ তৈরি করে খেতে পারেন। যা ডিটক্সিফিকেশন এবং হাইড্রেশনের জন্য উপযুক্ত। চাইলে এই সংমিশ্রণ স্যান্ডউইচ স্টাফিং হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন।

দই

দই প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং প্রোবায়োটিক যোগ করে এবং শসা থেকে প্রাপ্ত পানির সঙ্গে মিশে এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়তা করে। শসার রায়তা বা স্মুদি তৈরি করতে পারেন। যা শীতল, ক্রিমি এবং হজম-বান্ধবও।

ছোলা

ছোলা উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, আয়রন এবং ফাইবার সরবরাহ করে বলে জানা গেছে, যা শসার সঙ্গে মিলে আরও বেশি পুষ্টিকর হয়ে ওঠে। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে এবং সুষম খাবারের বিকল্প হতে পারে। সেদ্ধ ছোলা, শসা, অলিভ অয়েল, কাঁচা মরিচ এবং পুদিনা পাতা একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।

পুদিনা বা তুলসী

এই ভেষজগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং হজমে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে এগুলো শসার শীতল প্রকৃতির পরিপূরক। সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো শসা-পুদিনা মিশ্রিত পানি বা তুলসী-শসার সালাদ যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং আপনাকে সতেজ বোধ করায়।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Dab water or saline which one is more effective in reducing insight?

ডাবের পানি নাকি স্যালাইন—পানিশূন্যতা কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর?

ডাবের পানি নাকি স্যালাইন—পানিশূন্যতা কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর?

ভরা শরতে হঠাৎ বৃষ্টি আর রোদের পালা বদলে ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি, পেটের সমস্যা। এর সঙ্গে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা, যা হতে পারে রোদের তাপে ঘাম, শরীরচর্চা বা পরিশ্রমের পর পর্যাপ্ত পানি না খেলে। গুরুতর ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতীও হতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শরীর থেকে শুধু পানি নয়, হারিয়ে যায় প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ক্লোরাইড। এর ফলেই দেখা দেয় ক্লান্তি, মাথা ধরা, দুর্বলতা— এমনকি শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

ডাবের পানি: প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়
পুষ্টিবিদরা বলেন, ডাবের পানি হলো একেবারে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম, যা অল্প পানিশূন্যতা দূর করতে কার্যকর। রোদে দীর্ঘক্ষণ হাঁটা, শরীরচর্চা বা উপবাসের পর এক গ্লাস ডাবের পানি শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনে। এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরকে চাঙ্গা রাখে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।

স্যালাইন: গুরুতর অবস্থার নির্ভরযোগ্য সমাধান
তবে বমি, ডায়রিয়া বা আন্ত্রিকের কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বের হয়ে গেলে তখন প্রয়োজন হয় স্যালাইন। এতে নির্দিষ্ট মাত্রায় সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও গ্লুকোজ থাকে, যা দ্রুত শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে।

কতটা খাওয়া উচিত?

  • সাধারণভাবে দিনে এক গ্লাস ডাবের পানি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো।
  • বেশি পরিশ্রম বা রোদে থাকার পর দুই গ্লাস খাওয়া যেতে পারে, তবে একসঙ্গে নয়।
  • বমি বা আন্ত্রিকের ক্ষেত্রে দিনে ২০০–৪০০ মিলিলিটার স্যালাইন অল্প অল্প করে খেতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে চামচে করে দেওয়া যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
হালকা পানিশূন্যতায় ডাবের পানি যথেষ্ট কার্যকর। কিন্তু শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বের হতে থাকলে স্যালাইনই সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প। এছাড়া লবণ–চিনি–দইয়ের পাতলা ঘোল বা পাতিলেবুর শরবতও শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে সহায়ক।

পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বেছে নিলেই পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

মন্তব্য

যেসব খাবার খেলে ফুসফুস ভালো থাকে

যেসব খাবার খেলে ফুসফুস ভালো থাকে

প্রকৃতিতে হেমন্তের বাতাস বইতে শুরু করেছে। এর হাত ধরেই আসবে শুষ্কতার দিন। কারণ দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে শীতকাল। আবহাওয়ার পরিবর্তনে এমন সময় বাড়তে থাকে দূষণের মাত্রাও। বিশেষ করে কমতে থাকে বাতাসের মান। যে কারণে তা আমাদের শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ফুসফুসের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার ও খাদ্যাভ্যাস ফুসফুসের পরিশ্রম কমিয়ে আপনাকে সহজে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. হাইড্রেশন বজায় রাখুন

সুস্থ ফুসফুস বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অভ্যাস শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা পাতলা রাখতে সাহায্য করে, যা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া সহজ করে তোলে। ভেষজ চা, মধু দিয়ে গরম পানি এবং গ্রিন টি এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। আমেরিকান জার্নাল অফ রেসপিরেটরি অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্রিন টি ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ করুন

ভিটামিন সি এবং ই-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল এবং শাক-সবজি দূষণের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে আপনার ফুসফুসকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। কমলা, বেরি, পালং শাক এবং বাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ বৃদ্ধি করলে তা ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে।

৩. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই স্বাস্থ্যকর চর্বিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি প্রদাহ কমিয়ে ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিবিদরা স্যামন, ম্যাকেরেল, তিসি এবং আখরোটের মতো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৪. প্রতিরক্ষার জন্য মসলা

হলুদ, মৌরি, হলুদ এবং আদার মতো মসলা শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। এগুলো শ্বাসনালীতে দূষণকারী পদার্থের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। আদার মতো মসলা শ্লেষ্মা ভেঙে দেয়, যা আমাদের শ্বাস নেওয়া সহজ করে তোলে। মসলা ফুসফুসে রক্ত ​​সঞ্চালনও উন্নত করে এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত আদা, রসুন এবং হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৫. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শরীরকে পরিষ্কার করতে এবং টক্সিন অপসারণে সাহায্য করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের কার্যকারিতা বজায় রাখে। আমেরিকান থোরাসিক সোসাইটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার প্রাপ্তবয়স্কদের ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
To keep the liver good to keep

লিভার ভালো রাখতে যা খাবেন

লিভার ভালো রাখতে যা খাবেন

লিভার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ অঙ্গের মধ্যে একটি। এর কাজ হলো ডিটক্সিফাই করা, চর্বি ভেঙে ফেলা, পুষ্টি প্রক্রিয়াজাত করা এবং সিস্টেমকে সচল রাখা। আমাদের খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশগত কারণ ইত্যাদি অনেক সময় লিভারকে অতিরিক্ত চাপে ফেলে। তবে লিভার সঠিকভাবে পরিষ্কার করার জন্য খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন হয় না। প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিয়ে সাধারণ কিছু খাবার প্রতিদিন খাওয়া হলে তা লিভারকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, লিভার ভালো রাখতে কোন ৫ খাবার প্রতিদিন খেতে হবে-

১. পেঁয়াজ

পেঁয়াজ সালফার যৌগ দিয়ে পূর্ণ যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে, বিশেষ করে যখন লিভারের কথা আসে। এতে কোয়ারসেটিন নামে একটি উপকারী যৌগ রয়েছে, যা একটি উদ্ভিদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কোষকে যেকোনো ধরনের অক্সিডেটিভ ক্ষতি এবং যেকোনো অঙ্গের প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন পেঁয়াজ খেলে তা লিভারকে বর্জ্য বিপাকে সাহায্য করে এবং ডিটক্সিফিকেশন উন্নত করে।

২. বাঁধাকপি

বাঁধাকপির উপকারিতা জেনে আপনি অবাক হবেন। এটি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য সেরা সবজির মধ্যে একটি। বাঁধাকপি একটি ক্রুসিফেরাস সবজি যা ডিটক্সিফাইং এনজাইম বৃদ্ধি করে। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজম এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। এতে গ্লুকোসিনোলেট রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়া এবং লিভারকে পরিশোধনকারী এনজাইম নিঃসরণে সহায়তা করে। যদি প্রতিদিন এক বা অন্য আকারে খাওয়া হয় তবে এটি ফ্যাটি লিভার তৈরিতে বাধা দেবে এবং প্রদাহ কমাবে।

৩. বিটেরুটের রস

লিভারের জন্য শক্তিশালী অস্ত্র বিটরুট পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং লিভারকে ডিটক্সিফাইং করতে সহায়তা করে। বিটের রসে উপস্থিত বিটালাইন এবং নাইট্রেট রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে এবং লিভারের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এই যৌগগুলো লিভার দ্বারা বিষাক্ত পদার্থ নির্মূল করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ নিরাময়ে সহায়তা করে। প্রতিদিন বিটের রস খেলে পিত্ত উৎপাদনও ভালো হয়, যা হজম এবং চর্বি বিপাকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪. গ্রিন টি

আমরা সবাই গ্রিন টি-এর ওজন কমানোর উপকারিতা সম্পর্কে জানি, কিন্তু আমরা হয়তো যা জানি না তা হলো, এর মৃদু কিন্তু শক্তিশালী লিভারের স্বাস্থ্য উপকারিতা। এতে ক্যাটেচিন রয়েছে, এই্ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারে চর্বি জমা কমায় এবং লিভারের এনজাইমের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তাদের নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। গ্রিন টি শক্তিও বাড়ায় এবং বিপাকক্রিয়ায় লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখে।

৫. কুমড়া

​কুমড়া বিটা-ক্যারোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যা লিভারের টিস্যুকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এর কোমল পুষ্টি উপাদান খাবার হজমে সাহায্য করে যার ফলে শরীর সহজেই বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে পারে। কুমড়ায় থাকা ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় এবং লিভারে চর্বি জমা কমায়। কুমড়া পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফোলেটের একটি ভালো উৎস, এগুলো সবই লিভার-বান্ধব পুষ্টি, যা লিভারের কার্যকারিতায় সহায়তা করে।

মন্তব্য

p
উপরে