× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিলে রক্ত জমাট বাঁধে গবেষণা
google_news print-icon

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় কিছু ক্ষেত্রে রক্ত জমাটের প্রমাণ

অ্যাস্ট্রাজেনেকার-টিকায়-কিছু-ক্ষেত্রে-রক্ত-জমাটের-প্রমাণ-
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিচ্ছেন যুক্তরাজ্যের ৮২ বছর বয়সী নাগরিক। ছবি: এএফপি
গ্রাইনাকার বলেন, ‘খুব অল্পসংখ্যক মানুষের দেহে টিকা পরবর্তী জটিলতা দেখা দিতে পারে। আর এমনটা ঘটলে রোগীদের কী চিকিৎসা দেয়া উচিত, তা আমরা জানি। দ্রুত রোগ নির্ণয় করা গেলে যেকোনো মাঝারি পর্যায়ের হাসপাতাল এর চিকিৎসা দিতে পারবে।’

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস টিকা নেয়ার পর ইউরোপে বেশ কয়েকজনের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার খবর বেরিয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। কয়েকজনের মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দাবি টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন ইউরোপের একদল বিজ্ঞানী। শুধু তাই নয়, রক্ত জমাট বাঁধার কারণও তারা চিহ্নিত করেছেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগ ওঠার পর নরওয়ে ও জার্মানির গবেষকদের দুটি দল ওই টিকা নিয়ে গবেষণা করেন। এতে দেখা যায়, টিকাটি নেয়ার পর অল্প কিছু ক্ষেত্রে আপনাআপনি প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধতে ভূমিকা রাখে। পুরো প্রক্রিয়াটিকেই বিরল হিসেবে বলছেন বিজ্ঞানীরা।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়ার পর জটিলতায় পড়া কয়েকজনকে পরীক্ষা করে দেখা যায়, তারা সেরেব্রাল ভেনাস সাইনাস থ্রম্বসিস বা সিভিএসটি নামের রক্ত জমাট বাঁধাজনিত সমস্যায় ভুগছেন। আক্রান্তদের বেশির ভাগই নারী এবং তাদের বয়স ৫৫ বছরের নিচে।

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ইউরোপের ১৩টি দেশ এ টিকা প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ করে। দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত টিকার কারণে রক্ত জমাট বাঁধে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও ইইউভুক্ত দেশের ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ এ টিকা নিয়েছে। ৮ মার্চের দিকে এদের মধ্যে কেবল ৩৭ জন ব্যক্তি রক্ত জমাটের কথা বলেছেন। যে পরিমাণ মানুষ এ টিকা নিয়েছে, সে তুলনায় এ সংখ্যা নিতান্ত কম।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন্সস এজেন্সি (ইএমএ) টিকাটি নিয়ে পর্যালোচনায় বসে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করে তারা। সেখানে বলা হয়, রক্ত জমাট বাঁধার সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কোনো সম্পর্ক নেই।

সংস্থাটি টিকা প্রয়োগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলে, টিকার উপকারিতা এত বেশি যে এর সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলা সম্ভব।

ইএমএর বক্তব্যের পরপরই শুক্রবার জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নেয়।

তবে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে বলেও সতর্ক করে দেশগুলো।

ফ্রান্সে টিকা নেয়ার পর তিনজনের দেহে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দেশটিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কর্মসূচি ফের শুরু হয়। তবে ফরাসি সরকারকে ৫৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদেরই কেবল টিকা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ডসহ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ স্থগিত করা ইউরোপের অন্যান্য দেশ জানিয়েছে, ফের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে এ টিকা নিয়ে তারা আরও গবেষণা করবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়া জার্মানির প্রায় ১৬ লাখ মানুষের মধ্যে ১২ নারীসহ ১৩ জনের রক্ত জমাট বাঁধে। এদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়। নরওয়েতে তিন জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধে। এদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে নরওয়ের গবেষণাকারী দলের নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক পাল আন্ড্রে হোম। তিনি অসলো ইউনির্ভাসিটি হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক।

হোম বলেন, টিকার কারণে সৃষ্ট অ্যান্টিবডি শনাক্ত করেছে তার দল। এর কারণেই দেহে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, টিকা নেয়ার পর কেন মানবদেহে আপনাআপনি প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা টিকা উদ্ভাবনকারী দলই বলতে পারবে।

অধ্যাপক হোমের গবেষণালব্ধ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন জার্মানির গ্রাইফসভাল্ট ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকের অধ্যাপক আন্ড্রেয়াস গ্রাইনাকার।

তিনি বলেন, তার নেতৃত্বাধীন গবেষণা দলও নরওয়ের গবেষক দলের মতো একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।

অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের গবেষকদের সঙ্গে কাজ করছেন জার্মানির গবেষকেরা। তারা এক বিবৃতিতে বলেন, টিকা নেয়ার চার দিনের মাথায় মাথাব্যথা, মাথাঘোরা বা চোখে কম দেখার মতো উপসর্গ দেখা দিলে রক্ত পরীক্ষা করে তা সহজে শনাক্ত সম্ভব। এরপর প্রচলিত সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমেই মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা ঠেকানো সম্ভব।

গ্রাইনাকার বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘খুবই অল্পসংখ্যক মানুষের দেহে টিকা পরবর্তী জটিলতা দেখা দিতে পারে। আর এমনটা ঘটলে রোগীদের কী চিকিৎসা দেয়া উচিত, তা আমরা জানি। দ্রুত রোগ নির্ণয় করা গেলে যেকোনো মাঝারি পর্যায়ের হাসপাতাল এর চিকিৎসা দিতে পারবে।’

গ্রাইনাকার বলেন, তারা গবেষণা প্রতিবেদনটি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানেসেটে প্রকাশের জন্য জমা দেবেন।

এদিকে অধ্যাপক গ্রাইনাকারের গবেষণা পর্যালোচনা করেছে জার্মান সোসাইটি ফর থ্রম্বসিস অ্যান্ড হেমোস্টাসিস রিসার্চ। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি রোগ নির্ণয় ও রোগের চিকিৎসা কী হতে পারে, সে বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ দেয়।

সোসাইটি ফর থ্রম্বসিস অ্যান্ড হেমোস্টাসিস রিসার্চের ডেপুটি চেয়ারম্যান ডা রবার্ট ক্ল্যামরোথ বলেন, টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে বিরল প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিক্রিয়া জার্মানিতে বেশি দেখা গেছে। কারণ শুরুর দিকে দেশটি ৬৪ বছরের নিচের ব্যক্তিদের টিকা দেয়। অন্যদিকে তুলনামূলকভাবে যুক্তরাজ্যে বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু রক্ত জমাট বেঁধেছে এমন রোগীর সংখ্যা সেখানে কম। কারণ দেশটিতে বয়স্ক ব্যক্তিদেরই টিকার আওতায় আনা হয়েছিল।

ক্ল্যামরোথ বলেন, রোগ নির্ণয়ের পর রক্ত পাতলা করা ওষুধ ও জটিলতা সৃষ্টিকারী অ্যান্টিবডি মোকাবিলা করতে সক্ষম ইমিউনোগ্লোবুলিন দিয়ে রক্ত জমাট বাঁধার চিকিৎসা করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় আপনাআপনি প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, যা অ্যন্টিবডি তৈরি করছে। এসব অ্যান্টিবডি পরে রক্তের প্লাটিলেটে মিশছে। তবে কেন এটা হচ্ছে, তা আমরা বলতে পারছি না।’

আরও পড়ুন:
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার জার্মানি ফ্রান্স ইতালির
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান চলবে: ভারত
অস্ট্রেলিয়াকে টিকা দিচ্ছে না ইতালি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Iran and Russia agree to strengthen security cooperation

নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারে ইরান-রাশিয়া সমঝোতা

নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারে ইরান-রাশিয়া সমঝোতা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: এপি
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এসএনএসসি) সচিব আলি আকবর আহমেদিয়ান ও তার রাশিয়ার সমকক্ষ নিকোলাই পাত্রুশেভ এমওইউতে সই করেন।

নিরাপত্তা খাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে একটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেছে রাশিয়া ও ইরান।

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বুধবার নিরাপত্তা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের আন্তর্জাতিক বৈঠকের ফাঁকে এমওইউটি সই করে দুই দেশ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এসএনএসসি) সচিব আলি আকবর আহমেদিয়ান ও তার রাশিয়ার সমকক্ষ নিকোলাই পাত্রুশেভ এমওইউতে সই করেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, কৌশলগত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করবে তেহরান ও মস্কো।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক গভীরতর করেছে ঘনিষ্ঠ ও কৌশলগত দুই মিত্র ইরান ও রাশিয়া।

সেন্ট পিটার্সবার্গে গত ২৩ এপ্রিল থেকে নিরাপত্তা বিষয়ে ১২তম আন্তর্জাতিক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের বৈঠক শুরু হয়, যা শেষ হবে ২৫ এপ্রিল। এতে অংশ নেন ১০৬টি দেশের প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে দেয়া ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগ্রহী যেকোনো অংশীদারের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতায় প্রস্তুত মস্কো।

আরও পড়ুন:
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না
ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত
ইরানের তেল বাণিজ্যে লাগাম টানতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The US is secretly sending long range missiles to Ukraine

গোপনে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

গোপনে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস পরীক্ষা। ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস সরবরাহ করেছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি।’

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছে ইউক্রেন, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্র গোপনে সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

বিবিসি বৃহস্পতিবার জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অনুমোদিত ৩০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অংশ। চলতি বছরের মার্চে সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়। এপ্রিলে অস্ত্রগুলো ইউক্রেনে পাঠানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য অন্তত একবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ছয় হাজার ১০০ কোটি ডলার সহায়তার প্যাকেজে সই করেছেন বাইডেন।

ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে বিভিন্ন সময়ে ওয়াশিংটনকে তাগিদ দিয়ে আসছিল কিয়েভ, তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এর আগে ইউক্রেনকে মধ্যমপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমস তথা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেয়া হয়েছিল।

ইউরোপের দেশটিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিতে রাজি হচ্ছিল না বৈশ্বিক পরাশক্তিটি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিতে বাইডেন ফেব্রুয়ারিতে সবুজ সংকেত দেন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস সরবরাহ করেছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি।’

আরও পড়ুন:
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই: যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Mass graves found in two Gaza hospitals

গাজার দুই হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান

গাজার দুই হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, ‘গাজা শহরের আল শিফা মেডিক্যাল সেন্টার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল ধ্বংস এবং ইসরায়েলিরা চলে যাওয়ার পর ওইসব স্থাপনার আশপাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবরে আমি আতঙ্কিত।’

ইসরায়েলি সৈন্যরা অভিযান চালিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা গাজার দুটি প্রধান হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। সেসব গণকবরের স্পষ্ট, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বস্ত তদন্তকারীদের অবশ্যই স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে। গাজার প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য আরও সাংবাদিকদের নিরাপদে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, ‘গাজা শহরের আল শিফা মেডিক্যাল সেন্টার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল ধ্বংস এবং ইসরায়েলিরা চলে যাওয়ার পর ওইসব স্থাপনার আশপাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবরে আমি আতঙ্কিত।’

এই হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দায়মুক্তির বিদ্যমান পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে এতে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’

ভলকার তুর্ক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে হাসপাতালগুলো বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী। আর যুদ্ধে অংশ নিতে অক্ষম এমন বেসামরিক নাগরিক, বন্দি ও অন্যদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা যুদ্ধাপরাধ।’

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল হাসপাতালগুলোতে গণকবরের খবরকে অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইসরায়েলি সরকারের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন।

আরও পড়ুন:
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার
ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের
ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Mass arrests at various US universities as protests spread
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্যাম্প স্থাপন করে বিক্ষোভ চলছে। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি হামলা-হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে কলাম্বিয়া, এনওয়াইইউ, ইয়েল, বার্কলের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান, এমারসন কলেজ এবং টাফ্টসে ক্যাম্প স্থাপন করে বিক্ষোভ হয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ থামাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে প্রশাসন।

নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে (এনওয়াইইউ) বিক্ষোভকারীদের একটি ক্যাম্প ভাঙতে সোমবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দিনের শুরুতে ইয়েল থেকে বহুসংখ্যক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি সশরীরে ক্লাস বাতিল করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে ইহুদি-বিদ্বেষ ছড়ানোর উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এনওয়াইইউ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

গাজার শাসক দল হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালানোর পর সাঁড়াশি হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেই থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিক্ষোভ ও উত্তপ্ত বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বেড়েই চলেছে।

উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরাই বলছেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি-বিদ্বেষ ও ইসলাম-বিদ্বেষ উভয় ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ গত সপ্তাহে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডেকে এনে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করার পর এই বিক্ষোভ-আন্দোলনের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।

এরপর থেকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। এনওয়াইইউ এবং ইয়েল ছাড়াও বার্কলের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি), ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান, এমারসন কলেজ এবং টাফ্টসে ক্যাম্প স্থাপন করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা-হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

অন্যান্য বিক্ষোভকারীর মতো এনওয়াইইউ-এর বিক্ষোভকারীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে ইসরায়েলি দখলদারত্বে আগ্রহী অস্ত্র প্রস্তুতকারক এবং সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আর্থিক অনুদান না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আলেহান্দ্রো তানন নামের এক শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি সংকটময় মুহূর্তে রয়েছে। এই বিক্ষোভ ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও সাউথ আফ্রিকার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনীয়।’

এক বিক্ষোভকারী সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘আমরা প্যালেস্টাইনের পাশে আছি এবং সব মানুষের মুক্তির পক্ষে।’

এনওয়াইইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিজনেস স্কুলের বাইরে মূল ক্যাম্পে ৫০ জন ছিল। তারা এই বিক্ষোভকে অননুমোদিত বলে বর্ণনা করে বলেছে, এর ফলে ক্লাস ব্যাহত হচ্ছে।

সোমবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার শুরু করে। তবে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে কানেক্টিকাটের নিউ হ্যাভেনের ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল। তাদের অনেকেই বিক্ষোভস্থল থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।

সোমবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষার্থীদের ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানিমূলক আচরণের উল্লেখ করে ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। সেখানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন:
ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের
ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর
পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Iran has a strong message to Israel not to make mistakes again

ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের

ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটি লাহোরে (জিসিইউএল) মঙ্গলবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সংস্কৃতি ও শিক্ষাঙ্গনের প্রভাবশালীদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: প্রেস টিভি
ইসরায়েলকে ফের ভুল না করার বিষয়ে সতর্ক করে রাইসি বলেন, ‘জায়নবাদী সরকার যদি আরেকবার ভুল করে ইরানের মাটিতে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে এবং এই শাসনব্যবস্থার কতটা অবশিষ্ট থাকবে, তা পরিষ্কার নয়।’

ইরানের মাটিতে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, আরেকবার ‘ভুল’ করলে তেহরানের জবাব হবে বিপর্যয়কর।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটি লাহোরে (জিসিইউএল) মঙ্গলবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সংস্কৃতি ও শিক্ষাঙ্গনের প্রভাবশালীদের সঙ্গে বৈঠকে রাইসি এ বার্তা দেন বলে জানায় প্রেস টিভি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, বক্তব্যে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে সম্প্রতি ইসরায়েলের মাটিতে তেহরানের আক্রমণের বিষয়টি তুলে ধরেন রাইসি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, দামেস্কে ইসরায়েলের হামলাটি ছিল সব আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের বিরোধী। এ কারণে ইসরায়েলকে শাস্তি দিয়েছে ইরান।

ইসরায়েলকে ফের ভুল না করার বিষয়ে সতর্ক করে রাইসি বলেন, ‘জায়নবাদী সরকার যদি আরেকবার ভুল করে ইরানের মাটিতে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে এবং এই শাসনব্যবস্থার কতটা অবশিষ্ট থাকবে, তা পরিষ্কার নয়।’

গত ১৩ এপ্রিল ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’ নামে অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক শ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ ভূপাতিত করে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এ কাজে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র রাষ্ট্রগুলো।

আরও পড়ুন:
ইরানে হামলার খবরে পুঁজিবাজারে ধস, তেলের দামে উল্লম্ফন
ইসরায়েলের তিন ড্রোন ভূপাতিত: ইরান
ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ: প্রতিবেদন
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Biggest post election challenge in India Unemployment Survey

ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ

ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ ভারতের দিল্লিতে পণ্যবাহী গাড়ি টেনে নিচ্ছেন এক শ্রমিক। ছবি: রয়টার্স
গত ১৬ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬ জন অর্থনীতিবিদের ওপর জরিপ চালায় রয়টার্স, যাদের মধ্যে ১৫ জনই বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সরকারের জন্য বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হবে বেকারত্ব।

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসা সরকারের জন্য বেকারত্ব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

বার্তা সংস্থাটি অর্থনীতিবিদদের ওপর চালানো জরিপের ফল বুধবার এক প্রতিবেদনে তুলে ধরে।

জরিপে অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদদের আশা, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বড় অর্থনীতিগুলোর ‍তুলনায় দ্রুততম গতিতে ভারতের প্রবৃদ্ধি হলেও বিপুল ও ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি।

গত ১৬ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬ জন অর্থনীতিবিদের ওপর জরিপ চালায় রয়টার্স, যাদের মধ্যে ১৫ জনই বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সরকারের জন্য বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হবে বেকারত্ব।

অন্যদিকে আট অর্থনীতিবিদ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটির গ্রামাঞ্চলে ভোগকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন। অন্যদিকে দুজন অর্থনীতিবদ মূল্যস্ফীতি এবং একজন দারিদ্র্যকে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দল বিজেপি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল। চলতি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারে দলটি।

বিজেপির প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেকারত্বের হার পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে না।

আরও পড়ুন:
ভারতীয় পণ্য বর্জন বাস্তবসম্মত কি না, প্রশ্ন কাদেরের
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের সময় পাশে ছিল ভারত: কাদের
বিহারে নির্মাণাধীন সেতু ধসে একজন নিহত
দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার
গুজরাটে ‘তারাবির নামাজ পড়ায়’ হামলা, আহত ৫ বিদেশি ছাত্র

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Hizbollah attacks deep into Israel

ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর

ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর ইসরায়েলি হামলায় এক যোদ্ধা নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ইসরায়েলে হামলাটি চালানো হয় বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। ছবি: এএফপি
হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানায়, ফাঁদ সৃষ্টিকারী ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে আকাশপথ থেকে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল একর ও নাহারিয়ার মধ্যবর্তী ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি।

ইসরায়েলের একর শহরের উত্তরে দেশটির ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের এত ভেতরে এটিই হিজবুল্লাহর প্রথম হামলা।

হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানায়, ফাঁদ সৃষ্টিকারী ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে আকাশপথ থেকে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল একর ও নাহারিয়ার মধ্যবর্তী ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি।

ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির ভাষ্য, ইসরায়েলি হামলায় তাদের এক যোদ্ধা নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ইসরায়েলে হামলাটি চালানো হয়।

হামলার একটি ছবি প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ, যেটি দৃশ্যত স্যাটেলাইট চিত্র। এতে হামলাস্থল চিহ্নিত করা হয়েছে লাল দাগ দিয়ে।

হিজবুল্লাহর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের কোনো স্থাপনায় হিজবুল্লাহর হামলার বিষয়ে তথ্য নেই।

এর আগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের কাছে ‘আকাশপথে আসা দুটি লক্ষ্য’ প্রতিহত করা হয়েছে।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হানিনে আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত ও ছয়জন আহত হন।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলের তিন ড্রোন ভূপাতিত: ইরান
ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ: প্রতিবেদন
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা
হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা আহত

মন্তব্য

p
উপরে