নরওয়েতে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বয়স্কদের রক্ত জমাট বাঁধার খবরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়ারল্যান্ড।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিফেন ডনলি রোববার এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নরওয়ে থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। এটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।
নরওয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা শনিবার জানান, দেশটিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে তিন স্বাস্থ্যকর্মীর রক্ত পড়া, রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তে প্লাটিলেট কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এমন বাস্তবতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) টিকাটি প্রয়োগের কথা বলছে। সংস্থাটির মতে, টিকা নেয়ার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
এদিকে রোববার অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে বলা হয়, টিকা নেয়া লোকজনের ওপর পর্যালোচনা চালিয়েছে তারা। তবে টিকা নেয়ায় রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকির কোনো আলামত তারা পায়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের টিকা নেয়া ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের তথ্য পর্যালোচনা করেছে বলে জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ইইউ ও যুক্তরাজ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা নেয়া ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সব উপাত্ত নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা, জেন্ডার, ব্যাচ বা নির্দিষ্ট কোনো দেশে কারও ফুসফুসের কোনো শিরা বন্ধ হয়ে যাওয়া, রক্ত জমাট বাঁধা বা প্লাটিলেট কমে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গৃহবধু নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন ননদের স্বামী বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর গতকাল রোববার রাতে পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকা থেকে অভিযুক্ত আসামী মো.বাবুল মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ১ ঘন্টা পর টাকার বিনিময়ে আসামী ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১২টায় ভৈরব থানার সামনে গ্রেপ্তারকৃত আসামী ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম পাড়া এলাকায় আপন ননদের স্বামী মো.বাবুল মিয়া বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে গৃহবধূ নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তার গায়ে জামা কাপড় ছিড়ে ফেলেন। পরে গৃহবধূর শ্বাশুরি এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় আসামী বাবুল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ভৈরব থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে ভিকটিম ১৯ জুন কিশোরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম বন্দ এলাকার মৃত আতর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫)। এঘটনায় পুলিশ বাবুল মিয়াকে রোববার (২০ জুলাই) রাত ১০টার দিকে কালিপুরের তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করলেও অর্থের বিনিময়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বিন ইসলাম আসামীকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ নারী জানান, আমার ঘরের পাশে আসামী বাবুলের একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। সে প্রায় সময় সেখানে বিভিন্ন মানুষজন নিয়ে আড্ডা ও নেশা করতে আসতো। এছাড়া আসামী আমার আপন ননদের স্বামী হওয়ায় সেই সুবাধে আমাদের ঘরেও মাঝেমধ্যে আসা যাওয়া করতো। গত ১৭ জুন সকালে আমার বসত ঘরে আমি কাজ করছিলাম। তখন আমার অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে স্কুলে ছিল এবং আমার স্বামী ভৈরব থানার একটি মামলায় জেল হাজতে ছিলো। এই সুবাদে আসামী আমাকে একা পেয়ে আমার বসত ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পরে আমি কোনো রকম আমার শ্বাশুড়িকে ফোন করলে তিনি স্থানীয়দের নিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূর শ্বাশুড়ি নাজমা বেগম বলেন, আসামি বাবুল আমার মেয়ের জামাই। আমার ছেলের ঘরের সাথে তার একটি ঘর রয়েছে। সেখানে সে প্রতিদিন এসে মাদক বিক্রি করে এবং নিজেও খাই। এমনকি সে অনেক সময় রাতে সেখানে মেয়েও নিয়ে আসে। সে আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে আমার ছেলের বউকে নির্যাতনের করার জন্য অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছিল। আমি আমার ছেলের বউ এর সাথে থাকছি বলে সে সুযোগটা নিতে পরছিলো না। একদিন আমার ছোট ছেলে হঠাৎ অসুস্থ হলে আমি আমার বাড়িতে চলে যায়। ঐদিন আমার নাতিও স্কুলে ছিলো। এই সুযোগে বাবুল আমার ছেলের বউকে ঘরে একা পেয়ে তাকে পিছন থেকে জাপ্টে ধরে তার কাপড় চাপড় ছিড়ে ফেলে এবং তারা শরীরে বিভিন্ন জায়গায় শারীরিক আঘাত করে। এই অবস্থা আমার ছেলের বউ আমাকে ফোন দিলে আমি স্থানীয় আরো লোকজন নিয়ে ঐ স্থানে উপস্থিত হয়। তখন গিয়ে দেখি আমার ছেলের বউ অনেক কান্নাকাটি করছে আর বাবুল আলাদা আরেকটা ঘর থেকে আরেকজন লোক নিয়ে বের হয়ে চলে যাচ্ছে। তখন আমি বাবুলকে জাপ্টিয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করতে চাইলে সে দৌঁড়িয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনাটি এলাকার আরো অনেকেই দেখেছে। তাই আমি প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচাই চাই।
এই বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে এসআই রাকিবের নেতৃত্বে একটি টিম নারী নির্যাতন মামলার আসামী বাবুল মিয়াকে আটক করে। পরবর্তীতে আসামী বার্থরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। এতে পুলিশের অসাবধানতার কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে টাকা নিয়ে যদি কেউ আসামী ছেড়ে দেয় তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের চড়িলাম গ্রামে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাতিজার হাতে চাচার কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রায়ই ১ মাস অতিবাহিত হলেও আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উল্লেখ্য গত ২৬ জুন এই হামলার পর ২৭ জুন রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। বাদী আরিফুল ইসলাম বলেন- "আমি মামলা করেছি বলে আসামিরা আমাদের হুমকি দিচ্ছে,আতঙ্কে আমারা দিন কাটাচ্ছি। মামলার প্রধান আসমি মো. বায়েজিদ ইসলামসহ অন্যান্য আসামিরা এখনো অধরা"। তাই বাধ্য হয়ে বাধ্য হয়ে গত ১৩/৭/২৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাহী মাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি ফৌজদারি কার্যবিধি নং- ১০৭/১১৪/১১৭(গ) এর ধারায় মামলা করেছি। মামলা নাম্বার- পি-১২১৩. প্রত্যক্ষদর্শী ইকবাল হোসেন বলেন-"আমার বাড়িতে রফিকুল ভাইয়ের দাওয়াত ছিল। তিনি আমার বাড়িতে আসছিলেন। তখনই তার উপর হামলা হয়। আমি তার চিৎকারে ছুটে এসে দেখি তার হাত নেই। আমি তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই"।
রফিকুল ইসলাম বলেন- "আমাকে হত্যা করতে চেয়ে ছিল। আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গেছি। কিন্তু এখন আমার হাত নেই, আমি স্বাভাবিক জীবনে আর ফিরতে পারব না। আমি কেবল ন্যায় বিচার চাই"।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনূর ইসলাম বলেন-“আমরা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে তৎপরতা অব্যাহত আছে ও সংশ্লিষ্ট ইউনিট গুলোকে ও অবহিত করা হয়েছে"।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়/দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক ঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ অসহায় পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৯ পরিবারে বিনামূল্যে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করা হয়। সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে পরিবার প্রতি এক বান ঢেউটিন ও তিন হাজার টাকার চেক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার। উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিশকাতুর রহমান, প্রকৌশলী ইমদাদুল হক, কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী, চাষীর হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ,দৈনিক বাংলার নোয়াখালী উত্তর প্রতিনিধি খোরশেদ আলম প্রমূখ।
নীলফামারীতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে নীলফামারী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে।
সোমবার সকালে (২১ জুলাই) নীলফামারী প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সাইদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) আতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নুর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র-জনতার ত্যাগ কোনদিন ভুলবার নয়। ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে যারা শহিদ ও আহত হয়েছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নই এখন মুল বিষয়।
নীলফামারী প্রেসক্লাব শহিদদের স্মরণে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।
নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) আতিয়ার রহমান জানান, শহরের শাহীপাড়া, নীলফামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পুলিশ লাইন্স একাডেমির তিন’শ শিক্ষার্থীর মাঝে ফলদ গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া ২০ মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ।
সোমবার (২১ জুলাই) পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে অপরাধ পর্যালোচনা সভা শেষে মোবাইল ফোনগুলো মালিকদের বুঝিয়ে দেন পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় বিভিন্ন কারণে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মোবাইল মালিকদের সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গত কয়েকদিনে ২০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায় এ ধরণের ঘটনায় বিচলিত না হয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানালে ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে পুলিশের কাজ করতে সহজ হয়। জনস্বার্থে পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
এ সময় মোবাইল ফোন ফেরৎ পেয়ে আনন্দিত মালিকরা পুলিশকে সাধুবাদ জানান।
জামালপুরের ইসলামপুর সরকারি জে.জে.কে.এম.গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের নারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ (বরখাস্তকৃত) আব্দুস সালামকে স্বপদে পূর্ণঃবহাল না করে চূড়ান্তভাবে অপসারণ চেয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২০ জুলাই) ইসলামপুর সরকারি জে.জে.কে.এম.গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ইসলামপুরের সর্বস্তরের জনগণ। ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, গত ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারী দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা ট্রেনের কেবিনে আপত্তিকর অবস্থায় এক ছাত্রীসহ কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সালামকে যৌন মিলনের সরঞ্জামাদিসহ রেলওয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইসলামপুরের ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সাথে ট্রেনে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনার সাথে জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ আবারো আইনের মারপেচে নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করে যোগদান করার পায়তারা করছে। তার বিরুদ্ধে গত ১৭ জুলাই একটি মানববন্ধন হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি'র বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন সরকার, ইসলামপুর সরকারি জে.জে.কে.এম.গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, অভিভাবক মহাবুবুল আলম, সাঈদ খান লোহানী, ইসলামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও অভিভাবক মোরাদুজ্জামান, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির খান লোহানী, অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রৌদশীসহ আরো অনেকে।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় কোস্টগার্ডের অভিযানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীদের আঘাতে মো.শাহরিয়ার (২৬) নামে এক কোস্টগার্ড সদস্যসহ ২জন গুরুত্বর আহত হয়। পরে শাহরিয়ারকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল সিএমএইচ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটের নীল বয়া এলাকার মেঘনা নদীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় অবৈধ জাল উদ্ধারে অভিযান চালায় হাতিয়া কোস্টগার্ডের একদল সদস্য। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাছ ধরার কারেন্ট জালসহ একটি ট্রলারকে থামার জন্য সংকেত দেয় কোস্টগার্ড সদস্যরা। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মাছ ধরার ট্রলার থেকে কোস্টগার্ড সদস্যদের উদ্দেশ্য করে ইট,পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে হামলাকারীদের বাঁশের আঘাতে শাহরিয়ারের মাথা ফেটে যায়। ওই সময় হামলাকারীরা তাকে নদীতে ফেলে দেয়।
হাতিয়া কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো.আশরাফুল আলম বলেন, একদল জেলের কাছে অবৈধ কারেন্ট জাল আছে শুনে মেঘনা নদীর নীল বয়া এলাকায় অভিযান চালায় কোস্টগার্ড। ওই সময় তাদের মাছ ধরার ট্রলারকে থামতে বললে তারা উল্টো আমাদের ওপর ইট,পাটকেল ও বাঁশ নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে একটি বাঁশের আঘাতে কোস্টগার্ড সদস্য শাহরিয়ার মাথায় জখম পায়। পরিস্থিতি ঘোলাটে দেখে দ্রুত অভিযান শেষ করে আমরা চলে আসি।
মন্তব্য