× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
উহানের সেই অপয়া মার্কেট করোনার উৎস নয়  
google_news print-icon

উহানের সেই ‘অপয়া’ মার্কেট করোনার উৎস নয়  

উহানের-সেই-অপয়া-মার্কেট-করোনার-উৎস-নয়- 
উহানের আলোচিত হুয়ানান সি-ফুড মার্কেট এখনও বন্ধ।
চীনা বিজ্ঞানীরা এই মার্কেটের প্রতিটি জায়গা থেকে নমুনা পরীক্ষা করেছেন। মার্কেটের আশপাশের প্রাণীর নমুনা নিয়েছেন। তারা বিড়াল, ইঁদুর, এমনকি একটি বেজির নমুনা নিয়েও কাজ করেছেন। সাপ পরীক্ষা করেছেন। মার্কেটে জীবন্ত সাপ, কচ্ছপ ও ব্যাঙ বিক্রি করা লোকজনকেও পরীক্ষা করা হয়েছে।

কোভিড-১৯-এর জন্য দায়ী করোনাভাইরাসের (সার্স-কোভ-২) উৎস অনুসন্ধানে সম্প্রতি চীনের উহানে গিয়ে কাজ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দল। এই দলেরই একজন সদস্য ব্রিটিশ প্রাণিরোগ বিশেষজ্ঞ পিটার ডাসজাক।

পিটার ডাসজাক মনে করেন, উহানের গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এমনকি উহানের আলোচিত হুয়ানান সি-ফুড মার্কেটও ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক কেন্দ্র নয়। চীনের দক্ষিণাঞ্চলের অন্য কোনো প্রদেশ থেকে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঘটে ওই মার্কেটে। বিশ্বজুড়ে আলোচিত সেই মার্কেট এখনও স্থানীয়দের জন্য নিষিদ্ধ। চলছে নানা ধরনের অনুসন্ধান।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে পিটার ডাসজাক বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রকৃত উৎস জানতে আরও অনুসন্ধান দরকার। তবে সেই অনুসন্ধান হতে হবে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে।

পিটার ডাসজাক ব্রিটিশ নাগরিক হলেও তিনি ইকোহেলথ অ্যালায়েন্সের প্রধান হিসেবে নিউইয়র্ক সদরদপ্তরে দায়িত্ব পালন করছেন। তার সাক্ষাৎকারটি নিউজবাংলার পাঠকের জন্য বাংলায় ভাষান্তর করেছেন মোশফেকুর রহমান

চীন ও উহানে আপনি আগে অনেকবার গিয়েছিলেন। এবারের অভিজ্ঞতা কেন ব্যতিক্রমী?

পিটার: এবারের অভিজ্ঞতা ছিল উদ্ভট। এর আগে, চীনে গেলে আমরা প্রচলিত নিয়মে কয়েকটি কাজ করতাম। প্রথমটি হলো, সংশ্লিষ্ট চীনা নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোজে অংশ নিতাম। এবার হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় জুমে টানা দুই সপ্তাহ চীনাদের সঙ্গে মিটিং করেছি। এরপর তাদের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হয়েছে, তবে তখনও একসঙ্গে খাবার খেতে পারিনি। আলাদা কক্ষে আমাদের খেতে হয়েছে।

তাই এবারের ভ্রমণ ছিল অনেক বেশি কঠিন আর চাপের। উহানজুড়ে ছড়িয়ে আছে মহামারি-পরবর্তী মনো-অভিঘাত।

উহানের সেই ‘অপয়া’ মার্কেট করোনার উৎস নয়
উহান পরিদর্শনে যাওয়া ডাব্লিউএইচও প্রতিনিধি দলের সদস্য পিটার ডাসজাক

শহরটিতে দীর্ঘদিন লকডাউন ছিল, আমার মনে হয় সেটি সব মিলিয়ে ৭৬ দিন। শহরের বাসিন্দারা বাসায় আটকে ছিলেন, মানুষ মারা গেছে এবং এ বিষয়ে অনেকে জানতেও পারেননি। এবং তখন থেকেই তাদের বিরুদ্ধে মহামারি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে, এটিকে চীনা ভাইরাস, উহান ভাইরাস বলে অভিহিত করা হয়েছে। ফলে সেখানে ক্ষোভ ও দুঃখের একটি আবহ রয়েছে।

এ অবস্থা কি আপনাদের বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানকে কঠিন করে তুলেছিল?

পিটার: না, আপনি কাজটি করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। আপনি জানেন, কাজের ধারা কেমন হতে চলেছে। আপনি এর ঐতিহাসিক গুরুত্বও বুঝতে পারছেন। আমি জানি না, আমরাই প্রথম বিদেশি ছিলাম কি না, যারা হুয়ানান সি ফুড মার্কেট ঘুরে দেখেছি, যে জায়গাটি এমনকি চীনা নাগরিকের জন্য এখনও নিষিদ্ধ। সেখানে কেবল চীনা রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদেরই প্রবেশাধিকার আছে। আমরা এমন চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করেছি, যারা প্রথম দিকের কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন।

এই মানুষেরা একটি ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছেন এবং এখন তারা চীনে নায়ক হিসেবে প্রশংসিত, যেখানে বাকি বিশ্ব এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে চীন এখনও ভাইরাসটির ফের সংক্রমণের বিষয়ে অবশ্যই শংকিত।

আপনি যখন বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন, তখন তারা পুরো পিপিই পরে উড়োজাহাজে ঢুকবে; আপনাকে কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে আলাদা একটি পথ দিয়ে নামিয়ে আনা হবে; আপনাকে পরীক্ষা করা হবে। হোটেল পৌঁছানোর পর আপনাকে নিজের কক্ষে ঢুকিয়ে দিয়ে দুই সপ্তাহ দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। আপনার দরজার কাছে আসা প্রতিটি মানুষ সম্পূর্ণ পিপিই ঢাকা থাকবে। হোটেল কক্ষ থেকে আবর্জনা সরানো হবে হলুদ ব্যাগে করে, যাতে বায়ো-হ্যাজার্ডের চিহ্ন থাকবে।

চীন থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর আমার অভিজ্ঞতা ছিল একদম আলাদা, এমনকি কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়ে আমি কোনো নোটিশও পাইনি। আমি নিউইয়র্ক রাজ্য অ্যাপে সাইন ইন করেছি, কিন্তু কেউ আমার বাড়ির দরজায় এসে কড়া নেড়ে বলেনি, ‘বাসার ভিতরে থাকুন।’

এবারের ভ্রমণ থেকে আপনি কি নতুন কিছু শিখেছেন?

পিটার: অনুসন্ধানের প্রথম দিন থেকে আমরা যেসব উপাত্ত পেয়েছি তা চীনের বাইরে থেকে কখনও জানা যেত না। হুয়ানান সি-ফুড মার্কেটে বিক্রেতা কারা? তার কোথা থেকে পণ্যের জোগান পেতেন? প্রথম দিকে আক্রান্তরা কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন? প্রথম সংক্রমণের তথ্য কতটা সঠিক? আক্রান্তদের অন্য গুচ্ছগুলোর বিষয়ে কী তথ্য রয়েছে?

এ ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা যখন আরও তথ্য জানতে চেয়েছি, চীনা বিজ্ঞানীরা চলে গেলেন। এর কয়েক দিনের মধ্যে তারা সমস্ত বিশ্লেষণ হাজির করেন এবং আমরা নতুন তথ্য পেয়ে যাই। এগুলো পাওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল। সেই সময়ে আপনি সত্যিই বেশি কিছু বলতে পারেন না। আমরা চেষ্টা করেছি, অনুসন্ধানের ওই পর্যায়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করে পুরো প্রক্রিয়াটিকেই দুর্বল করে না ফেলতে।

ওই মার্কেটের বর্তমান অবস্থা এখন কেমন? কী দেখেছেন সেখানে?

পিটার: উহানের মার্কেটটি (সি ফুড মার্কেট) ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা ১ জানুয়ারিতে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং চীনা রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগ (সিডিসি) সেখানে বিজ্ঞানীদের একটি দল পাঠায়। এটি ছিল অনেক বিস্তৃত অনুসন্ধান, সেখানকার প্রতিটি জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

প্রথম দিকে অন্তত ৫০০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে অনেক নমুনাতেই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এসব নমুনার মধ্যে মৃত প্রাণী ও মাংসও রয়েছে। তবে সেখানে কী করা হচ্ছে সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য জনসমক্ষে আসেনি। আমরা উহানে যাওয়ার পর সেগুলো জানতে পেরেছি, এটি সত্যিই আমার জন্য চোখ খুলে দেয়ার মতো ঘটনা ছিল।

প্রকৃতপক্ষে তারা (চীনা বিজ্ঞানী) ৯০০টির বেশি নমুনা সংগ্রহ করে, যেটি ছিল এক বিশাল কাজ। তারা নর্দমা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ভ্যান্টিলেটর থেকে বাদুর ধরে পরীক্ষা করেছে। মার্কেটের আশপাশের প্রাণীর নমুনা নিয়েছে। তারা বিড়াল, বেওয়ারিশ বিড়াল, ইঁদুর, এমনকি একটি বেজির নমুনা নিয়েও কাজ করেছে। সাপ পরীক্ষা করেছে। মার্কেটে জীবন্ত সাপ, কচ্ছপ ও ব্যাঙ বিক্রি করা লোকজনকেও পরীক্ষা করা হয়েছে।

নমুনার মধ্যে জীবিত ও মৃত খরগোশ ছিল। খরগোশের একটি খামার সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ব্যাজার (গর্তবাসী এক জাতীয় ছোট নিশাচর প্রাণী) নিয়ে কথা উঠেছিল এবং চীনারা যে ব্যাজারের কথা বলে সেটি আসলে ফেরেট ব্যাজার। এর লেজ খানিকটা লম্বা। মার্কেটে যেসব প্রাণী আনা হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসের পোষক থাকতে পারে। এরা চীনের অন্য কোথাও বাদুড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে এবং তারপর তাদের হয়ত এই মার্কেটে আনা হয়ে থাকতে পারে। সুতরাং এটা হলো করোনাভাইরাসের মানুষে সংক্রমণের উৎস সংক্রান্ত প্রথম ক্লু বা সূত্র।

উহানের সেই ‘অপয়া’ মার্কেট করোনার উৎস নয়
উহানের আলোচিত হুয়ানান সি-ফুড মার্কেট পরিদর্শনে ডাব্লিউএইচও প্রতিনিধি দল

সেখানে ১০টি দোকানে বন্যপ্রাণী বেচাকেনা হতো। বিক্রেতারা ছিলেন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউনান, গুয়াংজি ও গুয়াংডং প্রদেশের বাসিন্দা। ইউনান প্রদেশে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের (কোভিড ১৯ এর জন্য দায়ী ভাইরাস) খুব কাছাকাছি নমুনা বাদুরের দেহে পাওয়া গেছে। গুয়াংজি ও গুয়াংডং প্রদেশ থেকে প্যাঙ্গোলিন ধরে এনে মার্কিটে বিক্রি হতো, এদের দেহেও প্রায় একই ধরনের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

মার্কেটে আনা এমন অনেক সন্দেহজনক প্রাণী রয়েছে। কিছু প্রাণী এমন সব জায়গা থেকে আনা হয়েছে, যেখানে ভাইরাসটির কাছাকাছি ধরনের ভাইরাসের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা জানি। সুতরাং সেখানে প্রকৃত ঝুঁকি লুকিয়ে থাকতে পারে।

এখন চীনা দলটি সন্দেহজনক সব প্রাণীর দেহ ধ্বংস করেছে। তবে এগুলো হলো ফ্রিজে থাকা প্রাণীদের ছোট্ট একটি অংশ। আমরা জানি না সেখানে বিক্রি করার জন্য আর কী ছিল। সুতরাং এই দুটি সূত্র সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা যখন মার্কেটটি দেখতে গেলাম, বিষয়টি আমাকে খুব তাড়িত করছিল। শাটার লাগানো সারিবদ্ধ ভবনের বন্ধ মার্কেটটির এখনকার ছবি দেখে আপনি হয়ত মনে করেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ শহুরে বাজার। এটিকে সত্যিই জীবন্ত প্রাণী বেচাকেনার জায়গা বলে মনে হয় না। তবে সরেজমিনে দেখলে একদম আলাদা মনে হবে। এটি খুবই ভগ্নদশার একটি মার্কেট।

দেখেই মনে হয়, জায়গাটি জীবিত প্রাণী বিক্রির জন্য তৈরি। জীবিত জলজ প্রাণী বিক্রির নিদর্শন যত্রতত্র ছড়ানো, রয়েছে কচ্ছপ, মাছের ট্যাঙ্ক, সাপের খোয়াড়, যেগুলো এখানে হরদম বিক্রি হতো বলে আমরা জানি। আমাদের কাছে এখন যে তথ্য আছে, তা হলো এটি ভাইরাসের একটি স্পষ্ট সম্পর্ক সূত্র ও ছড়ানোর একটি সম্ভাব্য পথ।

মহামারির প্রাদুর্ভাবের আগে সি-ফুড মার্কেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনাগুলো কেমন ছিল?

পিটার: হুয়ানান মার্কেটের বাইরেও অন্যদের মাঝে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছিল। এমন আরও কিছু রোগী আছেন যাদের সঙ্গে বাজারের কোনো সম্পর্ক নেই, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এ ধরনের কিছু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সেখানে আরও কয়েকটি বাজার রয়েছে। আমরা এখন জানি কিছু রোগীর সঙ্গে অন্য বাজারের সম্পর্ক ছিল। আমাদের আরও কাজ করা দরকার এবং এরপর চীনা সহকর্মীদেরও বেশকিছু কাজ করতে হবে।

কাজের শেষ দিকে চীনা দল এবং ডাব্লিউইএচওর প্রতিনিধিরা যখন একসঙ্গে বসলাম, তখন বলা হলো, ‘আসুন আমরা একটি অনুমানের মধ্যে দিয়ে যাই’। সেখানে যে বিষয়টি সমর্থন পেয়েছে তা হলো, ঘরোয়া পরিবেশে আবদ্ধ বন্যপ্রাণী থেকে সংক্রমণ।

পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?

পিটার: প্রাণীর সরবরাহ লাইনের ধারাটি খুবই স্পষ্ট। সরবরাহকারীদের পরিচয় জানা গেছে। তারা খামারের নাম জানে, এগুলোর মালিকদের সম্পর্কে জানে। খামারে গিয়ে তাদের মালিক ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তাদের পরীক্ষা করতে হবে। কমিউনিটির সদস্যদের পরীক্ষা করতে হবে। আপনাকে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে, খামারের কাছাকাছি সংক্রমিত কোনো প্রাণী আছে কিনা এবং তাদের আন্তঃসীমান্ত চলাচল রয়েছে কিনা। ভাইরাসটি যদি চীনের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী রাজ্যে থেকে থাকে, তাহলে আক্রান্ত প্রাণীদের সম্ভবত ভিয়েতনাম, লাওস বা মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশেও চলাচল রয়েছে। আমরা এখন এই ভাইরাসের কাছাকাছি ধরনের আরও ভাইরাস খুঁজে পাচ্ছি। এর একটি আছে জাপানে, একটি কম্বোডিয়ায় এবং একটি রয়েছে থাইল্যান্ডে।

মানুষের ক্ষেত্রে প্রথম দিকের গুচ্ছ ও আক্রান্তের দিকে লক্ষ্য রাখুন; সম্ভব হলে সিরামের জন্য ব্লাড ব্যাংকের দিকে নজর দিন। চীনের মধ্যে এ জাতীয় বিষয়গুলোকে এগিয়ে নেয়া বেশ স্পর্শকাতর এবং এটি করতে গেলে তাদের কিছুটা কূটনীতি এবং শক্তির আশ্রয় নিতে হবে। কারণ, সত্যি বলতে আমি মনে করি, নিজের দেশের ভেতরে এই ভাইরাসের উত্স অনুসন্ধান করার বিষয়টি চীনা সরকারের উচ্চ অগ্রাধিকারে নেই। যেখানেই এই ভাইরাসটির উৎস শনাক্ত হোক না কেন, সেটি শেষ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক ইস্যু। এটি অন্যতম একটি সমস্যা।

এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রাণীকে কি আপনি সন্দেহ করছেন?

পিটার: বিষয়টি এখনও ধোয়াশাপূর্ণ। আমরা জানতে পারিনি সেখানে গন্ধগোকুল বেচাকেনা হয়েছিল কিনা। আমরা জানি, এরা খুব সহজে সংক্রমিত হয়। আমরা জানি না, চীনে বেজি জাতীয় প্রাণী বা কুকুরের মতো অন্য রোমশ প্রাণীর খামারগুলোর কী অবস্থা। এগুলোও পর্যবেক্ষণ করা দরকার।

তবে আপনি যদি বলেন, ভাইরাসটির কোন পথে বিস্তারের সম্ভাবনায় আমি জোর দিচ্ছি; সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, ভাইরাসটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অথবা দক্ষিণ চীন থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে একটি বন্যপ্রাণী খামারে সংক্রমিত হয়েছে। গন্ধগোকুল, ফেরেট ব্যাজার, কুকুর- এ ধরনের প্রাণী বাদুড় থেকে সংক্রমিত হতে সক্ষম।

হয় ওই খামারে কাজ করা লোকজন সংক্রামিত হওয়ার পর হুয়ানান মার্কেটে এসে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে, অথবা আক্রান্ত জীবন্ত বা মৃত প্রাণির মাধ্যমে সেটি বাজারে এসেছে। একবার এটি হুয়ানান বা উহানের অন্য কোনো মার্কেটে পৌঁছানোর পর জনঘনত্বের সুবিধা নিয়ে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ঘটায়।

বিক্রেতা এবং তাদের সরবরাহ চেইন সম্পর্কে যেসব নতুন তথ্য পেয়েছেন সেগুলো কি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে প্রকাশ করবেন?

পিটার: আশা করি করব। তবে সন্দেহাতীতভাবে কিছু বিষয় গোপন রাখা হবে। চীনের অভ্যন্তরীণ নীতি অনুযায়ী, রোগীদের পরিচয় গোপন রাখা হয়। পশ্চিমে একটি ধারণা হলো, চীনে একনায়কতান্ত্রিক শাসক সব নাগরিকের ভিডিও ধারণ করে। সব ক্ষেত্রে তাদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। তবে এরপরেও সেখানে রোগীদের তথ্য অত্যন্ত গোপনীয় এবং কিছু বিষয় কখনও প্রকাশ করা হয় না।

আমরা নির্দিষ্ট কিছু রোগীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। তবে তারা দেখা করতে চাননি বলে কর্তৃপক্ষও তাদের বাধ্য করেনি। আশা করছি, বিক্রেতা ও সরবরাহ চেইনের গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্যই থাকবে। যদি সেটি না থাকে, তারপরেও বলব, আমরা সেগুলো দেখেছি, সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। আমরা বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে রাখব।

আরও পড়ুন:
করোনায় আরও ১৬ মৃত্যু
টিকা নিবন্ধনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বুথ
করোনায় শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে
করোনা: চীনে ভেজাল টিকা কেলেঙ্কারির হোতা গ্রেপ্তার
টিকা জাতীয়তাবাদে ভুগবে বিশ্ব: ডব্লিউটিও প্রধান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
A young man set himself on fire outside the court during Trumps trial

ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের

ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের আদালতের বাইরে স্থাপিত টেলিভিশন ক্যামেরায় ওই ব্যক্তিকে কয়েক মিনিট ধরে পুড়তে দেখা যায়।  ছবি: এএফপি
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি বেঁচে ফেরেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে নিজ গায়ে আগুন দিয়েছেন এক যুবক।

নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যে আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে, তার বাইরে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন এক ব্যক্তি। আদালতের বাইরে স্থাপিত টেলিভিশন ক্যামেরায় ওই ব্যক্তিকে কয়েক মিনিট ধরে পুড়তে দেখা যায়।

নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি বেঁচে ফেরেন।

সম্পর্ক গোপন রাখতে পর্নো তারকাকে দেয়া ঘুষের মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচারিক কার্যক্রম চলছিল এ আদালতে। ওই ব্যক্তি যখন নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন, ট্রাম্প তখন ভেরতেই ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, তিনি ট্রাম্পকে লক্ষ্যবস্তু করে এমনটা করেননি।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ব্যক্তি প্রথমে নিজের শরীরে তরল জ্বালানি ঢালেন, এর পর আগুন ধরিয়ে দেন সবার সামনেই।

ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মধ্যেই এ মামলায় ট্রাম্পের বিচার চলবে।

আরও পড়ুন:
ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বাল্টিমোরে সেতু ধস: নিখোঁজ দুই শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় শ্রমিক
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, বহু হতাহতের শঙ্কা

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The G 7 emphasized the need to create an environment of justice and accountability

রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা: জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর জি-৭ দেশগুলোর

রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা: জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর জি-৭ দেশগুলোর
রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প খেলা করছে দুই শিশু। ছবি: ইউএনবি
যৌথ বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিয়ানমারে অস্ত্র ও জেট ফুয়েলসহ অন্যান্য উপকরণের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নৃশংসতার ঘটনায় ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সাত দেশের জোট জি-৭-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

তারা এক যৌথ বিবৃতিতে এ অবস্থান ব্যক্ত করেন বলে শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএনবি।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, যৌথ বিবৃতিতে তারা মিয়ানমারে অস্ত্র ও জেট ফুয়েলসহ অন্যান্য উপকরণের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সব রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে স্থায়ী প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলেছেন। তারা একটি অর্থবহ ও টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে অবিলম্বে যেকোনো সহিংসতা বন্ধ, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের থেকে শুরু করে নির্বিচারে আটক সব বন্দিদের মুক্তি এবং সব অংশীজনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ প্রতিষ্ঠার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি শুক্রবার বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে, যেকোনো ধরনের জোরপূর্বক শ্রম থেকে বিরত থাকতে এবং সব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ও অভাবী মানুষের কাছে দ্রুত, নিরাপদ ও অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার দেয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।’

মিয়ানমারে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের জন্য জবাবদিহি অপরিহার্য উল্লেখ করে জি-৭ দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৬৬৯ নম্বর প্রস্তাবের (২০২২) ব্যাপক বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেছি। মিয়ানমার বিষয়ক নবনিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূতের নেতৃত্ব এবং দেশটিতে আবাসিক সমন্বয়কারী নিয়োগের মাধ্যমে এ সংকটে জাতিসংঘের আরও সম্পৃক্ততা সমর্থন করি।’

আরও পড়ুন:
টেকনাফে থেমে থেমে আসছে মর্টার শেলের শব্দ
মিয়ানমারের জান্তাকে সহিংসতা কমাতে বলল থাইল্যান্ড
এখন সেই রোহিঙ্গাদেরই সহায়তা নিচ্ছে জান্তা
মিয়ানমারের ১৮০ সেনা ফিরে যাবে, তবে এখনই নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে নৌকাডুবি, অর্ধশত প্রাণহানির শঙ্কা

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Response to attack not now Iranian official

হামলার জবাব এখনই নয়: ইরানের কর্মকর্তা

হামলার জবাব এখনই নয়: ইরানের কর্মকর্তা ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তরাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ছবি সংবলিত ব্যানারের পাশ দিয়ে শুক্রবার হেঁটে যান এক নারী। ছবি: এপি
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইরানের ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ঘটনার বিদেশি উৎসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাইরের কোনো হামলার শিকার হইনি এবং আলোচনা হামলার চেয়ে বেশি হচ্ছে অনুপ্রবেশ নিয়ে।’

ইরানের ইস্পাহানে শুক্রবার ‘ইসরায়েলের’ হামলার তাৎক্ষণিক জবাব দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ঘটনার বিদেশি উৎসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাইরের কোনো হামলার শিকার হইনি এবং আলোচনা হামলার চেয়ে বেশি হচ্ছে অনুপ্রবেশ নিয়ে।’

সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।

‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইস্পাহানের কাছে বিস্ফোরণের পর কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। সেখানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়নি।

ইস্পাহান শহরের কাছে ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক ক্ষেত্র রয়েছে, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম।

আরও পড়ুন:
ইরানে হামলার খবরে পুঁজিবাজারে ধস, তেলের দামে উল্লম্ফন
ইসরায়েলের তিন ড্রোন ভূপাতিত: ইরান
ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ: প্রতিবেদন
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Oil prices jump on news of attack on Iran

ইরানে হামলার খবরে পুঁজিবাজারে ধস, তেলের দামে উল্লম্ফন

ইরানে হামলার খবরে পুঁজিবাজারে ধস, তেলের দামে উল্লম্ফন যুক্তরাষ্ট্রের একটি পুঁজিবাজারে হতাশ বিনিয়োগকারী ও একটি তেলক্ষেত্র। ছবি: পিবিএস ও সিজিটিএন
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি জানার পর পুঁজিবাজার ও তেলের বাজারে শুরুতে যে প্রভাব পড়ে, সেটি কমে এসেছে। হামলার পরিসর ছোট এবং কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়নি বলে ইরানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমন বাস্তবতা সৃষ্টি হয়।

ইরানের ইস্পাহানে বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের হামলার খবরে শুক্রবার পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে উল্লেখ করে রয়টার্স জানিয়েছে, এশিয়ার শেয়ার ও বন্ডে ধস নামে, যেখানে উল্লম্ফন দেখা যায় স্বর্ণ ও অশোধিত জ্বালানি তেলের দামে।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি জানার পর পুঁজিবাজার ও তেলের বাজারে শুরুতে যে প্রভাব পড়ে, সেটি কমে এসেছে। হামলার পরিসর ছোট এবং কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়নি বলে ইরানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমন বাস্তবতা সৃষ্টি হয়।

শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিভিত্তিক এমএসসিআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সূচকের পতন হয় দুই দশমিক ছয় শতাংশ, যেটি পরবর্তী সময়ে কমে দাঁড়ায় দুই শতাংশে।

অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার শঙ্কায় ব্রেন্টের অশোধিত জ্বালানি তেলের দাম শুরুতে চার দশমিক দুই শতাংশ বাড়লেও পরবর্তী সময়ে তা কমে বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়ায় দুই দশমিক চার শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধি কমার পর ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্টের অশোধিত তেলের দাম দাঁড়ায় ৮৯ দশমিক ২২ ডলারে।

সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।

‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইস্পাহানের কাছে বিস্ফোরণের পর কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। সেখানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়নি।

ইস্পাহান শহরের কাছে ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক ক্ষেত্র রয়েছে, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম।

আরও পড়ুন:
২৫ হাজার টন বিস্ফোরক ছোড়া হয়েছে গাজায়: জাতিসংঘের দূত
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না
ইরানের তেল বাণিজ্যে লাগাম টানতে পারে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান
ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Three Israeli drones shot down Iran

ইসরায়েলের তিন ড্রোন ভূপাতিত: ইরান

ইসরায়েলের তিন ড্রোন ভূপাতিত: ইরান ইসরায়েল কোয়াডকপ্টার দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। ছবি: এক্স
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শুক্রবার দেয়া পোস্টে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান লিখেন, ‘তারা (ইসরায়েল) বলেছে যে, আমরা ৫০০ সুইসাইড ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছি...এখন তারা জবাব দিয়েছে এই তিন কোয়াডকপ্টার (ড্রোনসদৃশ আকাশযান) দিয়ে, যার সবগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।’

ইসরায়েলের তিনটি ড্রোন ইরান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির মহাকাশ সংস্থা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শুক্রবার কোয়াডকপ্টারের ছবি সংযুক্ত করে দেয়া পোস্টে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান লিখেন, ‘তারা (ইসরায়েল) বলেছে যে, আমরা ৫০০ সুইসাইড ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছি...এখন তারা জবাব দিয়েছে এই তিন কোয়াডকপ্টার (ড্রোনসদৃশ আকাশযান) দিয়ে, যার সবগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।’

হাসির ইমোজি দিয়ে ওই পোস্টে দালিরিয়ান আরও লিখেন, ‘তারা শুধু বলেছে যে, তারা (হামলার) আগে আমেরিকাকে জানায়নি।’

সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।

‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’

আরও পড়ুন:
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না
ইরানের তেল বাণিজ্যে লাগাম টানতে পারে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান
ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত
ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Irans nuclear sites completely safe report

ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ: প্রতিবেদন

ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ: প্রতিবেদন ইস্পাহানের কাছে শেকারি সেনা বিমানঘাঁটিতে তিনটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ। ছবি: এএফপি
‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’

ইসরায়েলের হামলার খবরের মধ্যে ইরানের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম শুক্রবার বলেছে, দেশটির পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদে আছে।

সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।

‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’

এদিকে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে লিখেন, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সফলভাবে কিছু ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এ মুহূর্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কোনো খবর নেই।

ইস্পাহানের কাছে শেকারি সেনা বিমানঘাঁটিতে তিনটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ।

আরও পড়ুন:
ইরানের তেল বাণিজ্যে লাগাম টানতে পারে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান
ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত
ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস
ইসরায়েলে হামলার আগে সতর্ক করা হয়েছিল: ইরান

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Indias Lok Sabha polls begin amid chances of BJP hat trick

বিজেপির হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনার মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু

বিজেপির হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনার মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে শুক্রবার ভোট দেয়ার পর আঙুলের কালি দেখাচ্ছেন তিন ভোটার। ছবি: প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া
ভারতে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের জন্য বড় পরীক্ষার এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে এককভাবে ৩৭০টিতে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তথা এনডিএ ৪০০টি আসনে জয়ী হোক, এমনটি চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হ্যাটট্রিক তথা টানা তৃতীয় জয়ের সম্ভাবনার মধ্যে শুক্রবার দেশটিতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে আজ ভোট হচ্ছে।

সাত ধাপের এ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সব আসনে ভোট হচ্ছে তামিলনাড়ু (৩৯), রাজস্থান (১২), উত্তর প্রদেশ (৮), উত্তরাখণ্ড (৫), অরুণাচল প্রদেশ (২), মেঘালয় (২), আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (১), মিজোরাম (১), নাগাল্যান্ড (১), পুদুচেরি (১), সিকিম (১) ও লাক্ষাদ্বীপে (১)। এর বাইরে আসাম ও মহারাষ্ট্রের পাঁচটি করে আসনে, বিহারের চারটি, পশ্চিমবঙ্গের তিনটি, মণিপুরের দুটি এবং ত্রিপুরা, জম্মু-কাশ্মীর ও ছত্রিশগড়ের একটি করে আসনে ভোট হচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই চার রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে আজ ভোট।

ভারতে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের জন্য বড় পরীক্ষার এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে এককভাবে ৩৭০টিতে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তথা এনডিএ ৪০০টি আসনে জয়ী হোক, এমনটি চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এর আগে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লোকসভায় ৩৫৩টি আসন পায় এনডিএ, যেখানে বিজেপির একক আসনের সংখ্যা ৩০৩টি।

লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট ১ জুন।

আরও পড়ুন:
লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার

মন্তব্য

p
উপরে