× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
উহানের সেই অপয়া মার্কেট করোনার উৎস নয়  
google_news print-icon

উহানের সেই ‘অপয়া’ মার্কেট করোনার উৎস নয়  

উহানের-সেই-অপয়া-মার্কেট-করোনার-উৎস-নয়- 
উহানের আলোচিত হুয়ানান সি-ফুড মার্কেট এখনও বন্ধ।
চীনা বিজ্ঞানীরা এই মার্কেটের প্রতিটি জায়গা থেকে নমুনা পরীক্ষা করেছেন। মার্কেটের আশপাশের প্রাণীর নমুনা নিয়েছেন। তারা বিড়াল, ইঁদুর, এমনকি একটি বেজির নমুনা নিয়েও কাজ করেছেন। সাপ পরীক্ষা করেছেন। মার্কেটে জীবন্ত সাপ, কচ্ছপ ও ব্যাঙ বিক্রি করা লোকজনকেও পরীক্ষা করা হয়েছে।

কোভিড-১৯-এর জন্য দায়ী করোনাভাইরাসের (সার্স-কোভ-২) উৎস অনুসন্ধানে সম্প্রতি চীনের উহানে গিয়ে কাজ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দল। এই দলেরই একজন সদস্য ব্রিটিশ প্রাণিরোগ বিশেষজ্ঞ পিটার ডাসজাক।

পিটার ডাসজাক মনে করেন, উহানের গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এমনকি উহানের আলোচিত হুয়ানান সি-ফুড মার্কেটও ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক কেন্দ্র নয়। চীনের দক্ষিণাঞ্চলের অন্য কোনো প্রদেশ থেকে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঘটে ওই মার্কেটে। বিশ্বজুড়ে আলোচিত সেই মার্কেট এখনও স্থানীয়দের জন্য নিষিদ্ধ। চলছে নানা ধরনের অনুসন্ধান।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে পিটার ডাসজাক বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রকৃত উৎস জানতে আরও অনুসন্ধান দরকার। তবে সেই অনুসন্ধান হতে হবে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে।

পিটার ডাসজাক ব্রিটিশ নাগরিক হলেও তিনি ইকোহেলথ অ্যালায়েন্সের প্রধান হিসেবে নিউইয়র্ক সদরদপ্তরে দায়িত্ব পালন করছেন। তার সাক্ষাৎকারটি নিউজবাংলার পাঠকের জন্য বাংলায় ভাষান্তর করেছেন মোশফেকুর রহমান

চীন ও উহানে আপনি আগে অনেকবার গিয়েছিলেন। এবারের অভিজ্ঞতা কেন ব্যতিক্রমী?

পিটার: এবারের অভিজ্ঞতা ছিল উদ্ভট। এর আগে, চীনে গেলে আমরা প্রচলিত নিয়মে কয়েকটি কাজ করতাম। প্রথমটি হলো, সংশ্লিষ্ট চীনা নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোজে অংশ নিতাম। এবার হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় জুমে টানা দুই সপ্তাহ চীনাদের সঙ্গে মিটিং করেছি। এরপর তাদের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হয়েছে, তবে তখনও একসঙ্গে খাবার খেতে পারিনি। আলাদা কক্ষে আমাদের খেতে হয়েছে।

তাই এবারের ভ্রমণ ছিল অনেক বেশি কঠিন আর চাপের। উহানজুড়ে ছড়িয়ে আছে মহামারি-পরবর্তী মনো-অভিঘাত।

উহানের সেই ‘অপয়া’ মার্কেট করোনার উৎস নয়
উহান পরিদর্শনে যাওয়া ডাব্লিউএইচও প্রতিনিধি দলের সদস্য পিটার ডাসজাক

শহরটিতে দীর্ঘদিন লকডাউন ছিল, আমার মনে হয় সেটি সব মিলিয়ে ৭৬ দিন। শহরের বাসিন্দারা বাসায় আটকে ছিলেন, মানুষ মারা গেছে এবং এ বিষয়ে অনেকে জানতেও পারেননি। এবং তখন থেকেই তাদের বিরুদ্ধে মহামারি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে, এটিকে চীনা ভাইরাস, উহান ভাইরাস বলে অভিহিত করা হয়েছে। ফলে সেখানে ক্ষোভ ও দুঃখের একটি আবহ রয়েছে।

এ অবস্থা কি আপনাদের বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানকে কঠিন করে তুলেছিল?

পিটার: না, আপনি কাজটি করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। আপনি জানেন, কাজের ধারা কেমন হতে চলেছে। আপনি এর ঐতিহাসিক গুরুত্বও বুঝতে পারছেন। আমি জানি না, আমরাই প্রথম বিদেশি ছিলাম কি না, যারা হুয়ানান সি ফুড মার্কেট ঘুরে দেখেছি, যে জায়গাটি এমনকি চীনা নাগরিকের জন্য এখনও নিষিদ্ধ। সেখানে কেবল চীনা রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদেরই প্রবেশাধিকার আছে। আমরা এমন চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করেছি, যারা প্রথম দিকের কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন।

এই মানুষেরা একটি ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছেন এবং এখন তারা চীনে নায়ক হিসেবে প্রশংসিত, যেখানে বাকি বিশ্ব এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে চীন এখনও ভাইরাসটির ফের সংক্রমণের বিষয়ে অবশ্যই শংকিত।

আপনি যখন বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন, তখন তারা পুরো পিপিই পরে উড়োজাহাজে ঢুকবে; আপনাকে কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে আলাদা একটি পথ দিয়ে নামিয়ে আনা হবে; আপনাকে পরীক্ষা করা হবে। হোটেল পৌঁছানোর পর আপনাকে নিজের কক্ষে ঢুকিয়ে দিয়ে দুই সপ্তাহ দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। আপনার দরজার কাছে আসা প্রতিটি মানুষ সম্পূর্ণ পিপিই ঢাকা থাকবে। হোটেল কক্ষ থেকে আবর্জনা সরানো হবে হলুদ ব্যাগে করে, যাতে বায়ো-হ্যাজার্ডের চিহ্ন থাকবে।

চীন থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর আমার অভিজ্ঞতা ছিল একদম আলাদা, এমনকি কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়ে আমি কোনো নোটিশও পাইনি। আমি নিউইয়র্ক রাজ্য অ্যাপে সাইন ইন করেছি, কিন্তু কেউ আমার বাড়ির দরজায় এসে কড়া নেড়ে বলেনি, ‘বাসার ভিতরে থাকুন।’

এবারের ভ্রমণ থেকে আপনি কি নতুন কিছু শিখেছেন?

পিটার: অনুসন্ধানের প্রথম দিন থেকে আমরা যেসব উপাত্ত পেয়েছি তা চীনের বাইরে থেকে কখনও জানা যেত না। হুয়ানান সি-ফুড মার্কেটে বিক্রেতা কারা? তার কোথা থেকে পণ্যের জোগান পেতেন? প্রথম দিকে আক্রান্তরা কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন? প্রথম সংক্রমণের তথ্য কতটা সঠিক? আক্রান্তদের অন্য গুচ্ছগুলোর বিষয়ে কী তথ্য রয়েছে?

এ ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা যখন আরও তথ্য জানতে চেয়েছি, চীনা বিজ্ঞানীরা চলে গেলেন। এর কয়েক দিনের মধ্যে তারা সমস্ত বিশ্লেষণ হাজির করেন এবং আমরা নতুন তথ্য পেয়ে যাই। এগুলো পাওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল। সেই সময়ে আপনি সত্যিই বেশি কিছু বলতে পারেন না। আমরা চেষ্টা করেছি, অনুসন্ধানের ওই পর্যায়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করে পুরো প্রক্রিয়াটিকেই দুর্বল করে না ফেলতে।

ওই মার্কেটের বর্তমান অবস্থা এখন কেমন? কী দেখেছেন সেখানে?

পিটার: উহানের মার্কেটটি (সি ফুড মার্কেট) ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা ১ জানুয়ারিতে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং চীনা রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগ (সিডিসি) সেখানে বিজ্ঞানীদের একটি দল পাঠায়। এটি ছিল অনেক বিস্তৃত অনুসন্ধান, সেখানকার প্রতিটি জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

প্রথম দিকে অন্তত ৫০০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে অনেক নমুনাতেই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এসব নমুনার মধ্যে মৃত প্রাণী ও মাংসও রয়েছে। তবে সেখানে কী করা হচ্ছে সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য জনসমক্ষে আসেনি। আমরা উহানে যাওয়ার পর সেগুলো জানতে পেরেছি, এটি সত্যিই আমার জন্য চোখ খুলে দেয়ার মতো ঘটনা ছিল।

প্রকৃতপক্ষে তারা (চীনা বিজ্ঞানী) ৯০০টির বেশি নমুনা সংগ্রহ করে, যেটি ছিল এক বিশাল কাজ। তারা নর্দমা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ভ্যান্টিলেটর থেকে বাদুর ধরে পরীক্ষা করেছে। মার্কেটের আশপাশের প্রাণীর নমুনা নিয়েছে। তারা বিড়াল, বেওয়ারিশ বিড়াল, ইঁদুর, এমনকি একটি বেজির নমুনা নিয়েও কাজ করেছে। সাপ পরীক্ষা করেছে। মার্কেটে জীবন্ত সাপ, কচ্ছপ ও ব্যাঙ বিক্রি করা লোকজনকেও পরীক্ষা করা হয়েছে।

নমুনার মধ্যে জীবিত ও মৃত খরগোশ ছিল। খরগোশের একটি খামার সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ব্যাজার (গর্তবাসী এক জাতীয় ছোট নিশাচর প্রাণী) নিয়ে কথা উঠেছিল এবং চীনারা যে ব্যাজারের কথা বলে সেটি আসলে ফেরেট ব্যাজার। এর লেজ খানিকটা লম্বা। মার্কেটে যেসব প্রাণী আনা হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসের পোষক থাকতে পারে। এরা চীনের অন্য কোথাও বাদুড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে এবং তারপর তাদের হয়ত এই মার্কেটে আনা হয়ে থাকতে পারে। সুতরাং এটা হলো করোনাভাইরাসের মানুষে সংক্রমণের উৎস সংক্রান্ত প্রথম ক্লু বা সূত্র।

উহানের সেই ‘অপয়া’ মার্কেট করোনার উৎস নয়
উহানের আলোচিত হুয়ানান সি-ফুড মার্কেট পরিদর্শনে ডাব্লিউএইচও প্রতিনিধি দল

সেখানে ১০টি দোকানে বন্যপ্রাণী বেচাকেনা হতো। বিক্রেতারা ছিলেন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউনান, গুয়াংজি ও গুয়াংডং প্রদেশের বাসিন্দা। ইউনান প্রদেশে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের (কোভিড ১৯ এর জন্য দায়ী ভাইরাস) খুব কাছাকাছি নমুনা বাদুরের দেহে পাওয়া গেছে। গুয়াংজি ও গুয়াংডং প্রদেশ থেকে প্যাঙ্গোলিন ধরে এনে মার্কিটে বিক্রি হতো, এদের দেহেও প্রায় একই ধরনের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

মার্কেটে আনা এমন অনেক সন্দেহজনক প্রাণী রয়েছে। কিছু প্রাণী এমন সব জায়গা থেকে আনা হয়েছে, যেখানে ভাইরাসটির কাছাকাছি ধরনের ভাইরাসের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা জানি। সুতরাং সেখানে প্রকৃত ঝুঁকি লুকিয়ে থাকতে পারে।

এখন চীনা দলটি সন্দেহজনক সব প্রাণীর দেহ ধ্বংস করেছে। তবে এগুলো হলো ফ্রিজে থাকা প্রাণীদের ছোট্ট একটি অংশ। আমরা জানি না সেখানে বিক্রি করার জন্য আর কী ছিল। সুতরাং এই দুটি সূত্র সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা যখন মার্কেটটি দেখতে গেলাম, বিষয়টি আমাকে খুব তাড়িত করছিল। শাটার লাগানো সারিবদ্ধ ভবনের বন্ধ মার্কেটটির এখনকার ছবি দেখে আপনি হয়ত মনে করেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ শহুরে বাজার। এটিকে সত্যিই জীবন্ত প্রাণী বেচাকেনার জায়গা বলে মনে হয় না। তবে সরেজমিনে দেখলে একদম আলাদা মনে হবে। এটি খুবই ভগ্নদশার একটি মার্কেট।

দেখেই মনে হয়, জায়গাটি জীবিত প্রাণী বিক্রির জন্য তৈরি। জীবিত জলজ প্রাণী বিক্রির নিদর্শন যত্রতত্র ছড়ানো, রয়েছে কচ্ছপ, মাছের ট্যাঙ্ক, সাপের খোয়াড়, যেগুলো এখানে হরদম বিক্রি হতো বলে আমরা জানি। আমাদের কাছে এখন যে তথ্য আছে, তা হলো এটি ভাইরাসের একটি স্পষ্ট সম্পর্ক সূত্র ও ছড়ানোর একটি সম্ভাব্য পথ।

মহামারির প্রাদুর্ভাবের আগে সি-ফুড মার্কেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনাগুলো কেমন ছিল?

পিটার: হুয়ানান মার্কেটের বাইরেও অন্যদের মাঝে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছিল। এমন আরও কিছু রোগী আছেন যাদের সঙ্গে বাজারের কোনো সম্পর্ক নেই, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এ ধরনের কিছু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সেখানে আরও কয়েকটি বাজার রয়েছে। আমরা এখন জানি কিছু রোগীর সঙ্গে অন্য বাজারের সম্পর্ক ছিল। আমাদের আরও কাজ করা দরকার এবং এরপর চীনা সহকর্মীদেরও বেশকিছু কাজ করতে হবে।

কাজের শেষ দিকে চীনা দল এবং ডাব্লিউইএচওর প্রতিনিধিরা যখন একসঙ্গে বসলাম, তখন বলা হলো, ‘আসুন আমরা একটি অনুমানের মধ্যে দিয়ে যাই’। সেখানে যে বিষয়টি সমর্থন পেয়েছে তা হলো, ঘরোয়া পরিবেশে আবদ্ধ বন্যপ্রাণী থেকে সংক্রমণ।

পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?

পিটার: প্রাণীর সরবরাহ লাইনের ধারাটি খুবই স্পষ্ট। সরবরাহকারীদের পরিচয় জানা গেছে। তারা খামারের নাম জানে, এগুলোর মালিকদের সম্পর্কে জানে। খামারে গিয়ে তাদের মালিক ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তাদের পরীক্ষা করতে হবে। কমিউনিটির সদস্যদের পরীক্ষা করতে হবে। আপনাকে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে, খামারের কাছাকাছি সংক্রমিত কোনো প্রাণী আছে কিনা এবং তাদের আন্তঃসীমান্ত চলাচল রয়েছে কিনা। ভাইরাসটি যদি চীনের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী রাজ্যে থেকে থাকে, তাহলে আক্রান্ত প্রাণীদের সম্ভবত ভিয়েতনাম, লাওস বা মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশেও চলাচল রয়েছে। আমরা এখন এই ভাইরাসের কাছাকাছি ধরনের আরও ভাইরাস খুঁজে পাচ্ছি। এর একটি আছে জাপানে, একটি কম্বোডিয়ায় এবং একটি রয়েছে থাইল্যান্ডে।

মানুষের ক্ষেত্রে প্রথম দিকের গুচ্ছ ও আক্রান্তের দিকে লক্ষ্য রাখুন; সম্ভব হলে সিরামের জন্য ব্লাড ব্যাংকের দিকে নজর দিন। চীনের মধ্যে এ জাতীয় বিষয়গুলোকে এগিয়ে নেয়া বেশ স্পর্শকাতর এবং এটি করতে গেলে তাদের কিছুটা কূটনীতি এবং শক্তির আশ্রয় নিতে হবে। কারণ, সত্যি বলতে আমি মনে করি, নিজের দেশের ভেতরে এই ভাইরাসের উত্স অনুসন্ধান করার বিষয়টি চীনা সরকারের উচ্চ অগ্রাধিকারে নেই। যেখানেই এই ভাইরাসটির উৎস শনাক্ত হোক না কেন, সেটি শেষ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক ইস্যু। এটি অন্যতম একটি সমস্যা।

এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রাণীকে কি আপনি সন্দেহ করছেন?

পিটার: বিষয়টি এখনও ধোয়াশাপূর্ণ। আমরা জানতে পারিনি সেখানে গন্ধগোকুল বেচাকেনা হয়েছিল কিনা। আমরা জানি, এরা খুব সহজে সংক্রমিত হয়। আমরা জানি না, চীনে বেজি জাতীয় প্রাণী বা কুকুরের মতো অন্য রোমশ প্রাণীর খামারগুলোর কী অবস্থা। এগুলোও পর্যবেক্ষণ করা দরকার।

তবে আপনি যদি বলেন, ভাইরাসটির কোন পথে বিস্তারের সম্ভাবনায় আমি জোর দিচ্ছি; সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, ভাইরাসটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অথবা দক্ষিণ চীন থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে একটি বন্যপ্রাণী খামারে সংক্রমিত হয়েছে। গন্ধগোকুল, ফেরেট ব্যাজার, কুকুর- এ ধরনের প্রাণী বাদুড় থেকে সংক্রমিত হতে সক্ষম।

হয় ওই খামারে কাজ করা লোকজন সংক্রামিত হওয়ার পর হুয়ানান মার্কেটে এসে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে, অথবা আক্রান্ত জীবন্ত বা মৃত প্রাণির মাধ্যমে সেটি বাজারে এসেছে। একবার এটি হুয়ানান বা উহানের অন্য কোনো মার্কেটে পৌঁছানোর পর জনঘনত্বের সুবিধা নিয়ে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ঘটায়।

বিক্রেতা এবং তাদের সরবরাহ চেইন সম্পর্কে যেসব নতুন তথ্য পেয়েছেন সেগুলো কি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে প্রকাশ করবেন?

পিটার: আশা করি করব। তবে সন্দেহাতীতভাবে কিছু বিষয় গোপন রাখা হবে। চীনের অভ্যন্তরীণ নীতি অনুযায়ী, রোগীদের পরিচয় গোপন রাখা হয়। পশ্চিমে একটি ধারণা হলো, চীনে একনায়কতান্ত্রিক শাসক সব নাগরিকের ভিডিও ধারণ করে। সব ক্ষেত্রে তাদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। তবে এরপরেও সেখানে রোগীদের তথ্য অত্যন্ত গোপনীয় এবং কিছু বিষয় কখনও প্রকাশ করা হয় না।

আমরা নির্দিষ্ট কিছু রোগীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। তবে তারা দেখা করতে চাননি বলে কর্তৃপক্ষও তাদের বাধ্য করেনি। আশা করছি, বিক্রেতা ও সরবরাহ চেইনের গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্যই থাকবে। যদি সেটি না থাকে, তারপরেও বলব, আমরা সেগুলো দেখেছি, সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। আমরা বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে রাখব।

আরও পড়ুন:
করোনায় আরও ১৬ মৃত্যু
টিকা নিবন্ধনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বুথ
করোনায় শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে
করোনা: চীনে ভেজাল টিকা কেলেঙ্কারির হোতা গ্রেপ্তার
টিকা জাতীয়তাবাদে ভুগবে বিশ্ব: ডব্লিউটিও প্রধান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
I went to Bangla the artist of singing in Bengal Pratul Mukhopadhyay

চলে গেলেন ‌‘আমি বাংলায় গান গাই’য়ের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়

চলে গেলেন ‌‘আমি বাংলায় গান গাই’য়ের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। ছবি: বেঙ্গল ফাউন্ডেশন
প্রতুলের গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান হলো ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার গানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। মমতার তত্ত্বাবধানেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।

‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের প্রখ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই, যার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শনিবার তার মৃত্যু হয়।

গত সপ্তাহ থেকেই এ শিল্পী হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই স্নায়ু এবং নাক-কান ও গলা বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা হয় তার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, প্রতুলের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। দ্রুত তাকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে শিল্পীর ফুসফুসেও সংক্রমণ দেখা দেয়। দ্রুতই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।

প্রতুলের গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান হলো ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার গানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। মমতার তত্ত্বাবধানেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।

বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বাবা ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। শৈশব থেকেই গান লিখে তাতে সুর দিয়ে গাওয়ার ঝোঁক ছিল তার।

প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে পাদপ্রদীপের আলোয় আনে তার গাওয়া ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এ ছাড়া সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবির নেপথ্য শিল্পী ছিলেন তিনি।

তার মতে, সৃষ্টির মুহূর্তে লেখক-শিল্পীকে একা হতে হয়। তারপর সেই সৃষ্টিকে যদি মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যায়, কেবল তাহলেই সেই একাকিত্বের সার্থকতা। সেই একক সাধনা তখন সকলের হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-সৌদি শ্রম ও অভিবাসন সম্পর্ক জোরদার হবে: আসিফ নজরুল
বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিকল্পনা তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির
তিনজনকে বাদ দিয়ে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের নতুন তালিকা
পরিবেশ সুরক্ষার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু অ্যাক্ট বাংলাদেশের
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বাংলাদেশের

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
5 people killed in the explosion in Pakistan

পাকিস্তানে বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত

পাকিস্তানে বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় হারনাই জেলায় বিস্ফোরণস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। ছবি: এএফপি
জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা শাহজাদ জাহরি এএফপিকে জানান, হারনাই জেলায় এ বোমা বিস্ফোরণে ১০ খনিশ্রমিক নিহত হন।

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় হারনাই জেলায় শুক্রবার শ্রমিক বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।

দেশটির কোয়েটা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা শাহজাদ জাহরি এএফপিকে জানান, হারনাই জেলায় এ বোমা বিস্ফোরণে ১০ খনিশ্রমিক নিহত হন।

একই জেলার আরেক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সেলিম তারিন এএফপিকে বলেন, ‘শ্রমিকরা কাজের জায়গা থেকে বাজারে কেনাকাটার জন্য যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই তাদের গাড়িটি আক্রমণের শিকার হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি ছিল একটি আইইডি বিস্ফোরণ।আমরা হামলার তদন্ত করছি।’

হারনাই দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি জেলা।

কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে বেলুচ লিবারেশন আর্মি প্রায়ই অন্যান্য প্রদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বা পাকিস্তানিদের, বিশেষ করে বেলুচিস্তানের পাঞ্জাবিদের বিরুদ্ধে মারাত্মক হামলার দাবি করে।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০
বাসায় গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ জাতীয় কবির নাতি
পাকিস্তানে ফিরতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’ মালালা
পাকিস্তান থেকে এবার দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে জাহাজ
একাত্তরের অমীমাংসিত সমস্যা মীমাংসা করুন: শাহবাজকে ড. ইউনূস

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The United States did not have a role in the fall of the government in Bangladesh Trump

বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প

বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি
ট্রাম্প বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে আমেরিকা বা আমেরিকান ডিপ স্টেটের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন; শত শত বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। তাই বিষয়টি (বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তর দেওয়ার বিষয়) আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতেই ছেড়ে দেব।’

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্যের ভার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ছেড়ে দিতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন দুই নেতা।

ওই সময় বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জড়িত ছিল। সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জুনিয়র সোরোসের (জর্জ সোরোসের ছেলে) বৈঠকও তা প্রমাণ করে। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?’

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে আমেরিকা বা আমেরিকান ডিপ স্টেটের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

‘এটি এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন; শত শত বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। তাই বিষয়টি (বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তর দেওয়ার বিষয়) আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতেই ছেড়ে দেব।’

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেননি ট্রাম্প। ওই সময় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আকর্ষণীয় বাণিজ্যচুক্তি হতে চলেছে বলে জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অভিবাসন নীতির প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে দেশটিতে অবস্থানরত কয়েক হাজার অনথিভুক্ত ভারতীয় অভিবাসীকে মোদি সরকার ফিরিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন:
লিবিয়ায় আটকে পড়া ১৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী ঢাকায়
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প
দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৪তম
অ্যারিজোনায় বিমান দুর্ঘটনায় একজন নিহত, তিনজন আহত
নেভাডায় বার্ড ফ্লুর নতুন ধরন শনাক্ত: সিডিসি

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Putin agrees to meet the Ukraine war to stop the war Trump

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প কুশল বিনিময় করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: ইউএনবি
ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘এ যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।’

ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সৌদি আরবে এ বৈঠক হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।

এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গেল তিন বছর ধরে চলা আমেরিকান নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছেন তিনি।

অ্যাসোসিয়েটে প্রেসের খবরে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বুধবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘এ যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।’

এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা হবে বলে জানান ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনও সমানভাবে অংশীদার হবে কি না, সে বিষয়ে তার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা শান্তি অর্জনের পথে রয়েছি। আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও শান্তি চান।

‘আমিও শান্তি চাই। আমি কেবল দেখতে চাই, লোকজনের প্রাণহানি হচ্ছে না।’

পুতিনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জনগণ সত্যিকার অর্থে জানেন না। কিন্তু আমি মনে করি, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, তিনিও এ যুদ্ধের অবসান দেখতে চান। কাজেই সেটা ভালো এবং আমরা এ যুদ্ধ বন্ধের দিকে যাচ্ছি, যত দ্রুত সম্ভব।’

ওই সময় শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান ট্রাম্প। বৈঠকটি সৌদি আরবে হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার মাধ্যমে এ আভাসই দেওয়া হচ্ছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ওয়াশিংটন ও মস্কো একটি চুক্তি পৌঁছাতে একমত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধ নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিয়েভও যে পরিপূর্ণ একটি অংশীদার হবে বলে মনে করত জো বাইডেন প্রশাসন, সেখান থেকে সরে এসেছে ওয়াশিংটন।

ইউক্রেনও এ যুদ্ধের সমান অংশীদার হতে যাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘খুবই চমৎকার প্রশ্ন। আমি মনে করি তারাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান।’

এ ছাড়া ইউক্রেন যে পশ্চিমাদের সঙ্গে আরও ঘেঁষতে চাইছে, সে প্রত্যাশায় আরেকটি আঘাত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেট হেগসেথ।

ব্রাসেলসে ন্যাটোর প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সদস্য হওয়া বাস্তবসম্মত নয়।’

পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‌‘হেগসেথ যে কথা বলেছেন, সেটিই সত্য বলে আমি মনে করি।’

ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা এ সামরিক জোটের সদস্য হওয়া অপরিহার্য।

আরও পড়ুন:
কানাডাকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের
মেক্সিকো, কানাডা ও চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে ৬ আরোহীসহ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার জন্য ওবামা, বাইডেনের নীতিকে দুষলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ: নদী থেকে উদ্ধার ১৮ মরদেহ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Three killed in a plane crash in Arizona

অ্যারিজোনায় বিমান দুর্ঘটনায় একজন নিহত, তিনজন আহত

অ্যারিজোনায় বিমান দুর্ঘটনায় একজন নিহত, তিনজন আহত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের স্কটসডেল বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুটি বিমানের সংঘর্ষ হয়। ছবি: ইউএনবি
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অবতরণের পর একটি লিয়ারজেট ৩৫এ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এ সময় অ্যারিজোনার স্কটসডেল মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরের র‌্যাম্পে গালফস্ট্রিম ২০০ বিজনেস জেটকে ধাক্কা দেয় এটি।’

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের স্কটসডেল বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুটি বিমানের সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত ও অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।

আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার একাধিক সংবাদমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অবতরণের পর একটি লিয়ারজেট ৩৫এ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এ সময় অ্যারিজোনার স্কটসডেল মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরের র‌্যাম্পে গালফস্ট্রিম ২০০ বিজনেস জেটকে ধাক্কা দেয় এটি।’

দেশটিতে বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি জানায়, বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিলেন, তা তারা এখনও নিশ্চিত নয়।

আরও পড়ুন:
নেভাডায় বার্ড ফ্লুর নতুন ধরন শনাক্ত: সিডিসি
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: ট্রাম্প
আলাস্কায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০
ঘন কুয়াশা: শাহজালালে অবতরণ করতে পারেনি ৬ ফ্লাইট
মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল তিন বন্ধুর

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
New type of bird flu in Nevada Identify CDC

নেভাডায় বার্ড ফ্লুর নতুন ধরন শনাক্ত: সিডিসি

নেভাডায় বার্ড ফ্লুর নতুন ধরন শনাক্ত: সিডিসি এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিভিন্ন কণা। ছবি: সিডিসি
গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া বার্ড ফ্লু থেকে এটি নতুন ও ভিন্ন ধরনের ভাইরাস।

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডায় নতুন ধরনের বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন এক দুগ্ধ শ্রমিক।

গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া বার্ড ফ্লু থেকে এটি নতুন ও ভিন্ন ধরনের ভাইরাস।

দেশটির ফেডারেল স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা স্থানীয় সময় সোমবার এ তথ্য জানান।

ওই ব্যক্তির অসুস্থতাটিকে হালকা বলে মনে করা হয়েছিল। তার শরীরে প্রধান লক্ষণ ছিল চোখের লাল ভাব ও জ্বালা।

এমন অসুস্থতা সাধারণত বেশির ভাগ দুগ্ধবতী গরুর ক্ষেত্রে দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানায়, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হননি, তবে সুস্থ হয়েছেন।

এর আগে হাঁস-মুরগির সংস্পর্শে আসা এক ডজনেরও বেশি মানুষের শরীরে নতুন এ ধরন দেখা গেছে। তবে এই প্রথম কোনো গরুর মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ল।

নেভাডা অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, নেভাডার পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলের চার্চিল কাউন্টির একটি খামারে আক্রান্ত ওই দুগ্ধ শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া যায়।

সিডিসির কর্মকর্তারা জানান, এ ব্যক্তি থেকে ভাইরাসটি অন্য কারও মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।

সংস্থাটি নিয়মিতই বলছে, ভাইরাসটি সাধারণ মানুষের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ।

বর্তমানে প্রাণী ও কিছু মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বার্ড ফ্লু বিজ্ঞানীদের কাছে ‘টাইপ এ এইচ৫এন১’ ইনফ্লুয়েঞ্জা নামে পরিচিত। তবে এটির বিভিন্ন ধরন রয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানান, ২০২৩ সালের শেষের দিকে গবাদি পশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বার্ড ফ্লু। পরের বছরের মার্চে বি৩.১৩ নামে পরিচিত একটি সংস্করণ নিশ্চিত করা হয়েছিল। এটি ১৬টি অঙ্গরাজ্যের ৯৬২টি গবাদি পশুকে সংক্রামিত করে। আর এসব আক্রান্তের বেশির ভাগই ক্যালিফোর্নিয়ায় হয়েছিল।

ডি১.১ নামে পরিচিত নতুন ধরনের ভাইরাসটি ৩১ জানুয়ারি নেভাডার গবাদি পশুর শরীরে শনাক্ত করা হয়। ডিসেম্বরে শুরু হওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগ্রহ করা দুধে এটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৬৮ জন বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হন। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই গরু বা হাঁস-মুরগির সংস্পর্শে কাজ করতেন।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ: নদী থেকে উদ্ধার ১৮ মরদেহ
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি চীনের অর্থনীতিকে চাপে ফেলতে পারে
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বাংলাদেশের
ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় আল গোর
ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী আইন কংগ্রেসে অনুমোদন: ৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Progressing in talks with Russia over the Ukraine war is progressing Trump

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: ট্রাম্প

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: ইউএনবি
গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে কিংবা পরে পুতিনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা করেছি, ধরা যাক, আমি এটা করেছি...এবং আরও অনেক আলোচনা হবে বলে আমি মনে করছি। এই যুদ্ধ আমাদের বন্ধ করতে হবে।’

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনো আলাপ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন তিনি।

স্থানীয় সময় রবিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন।

ট্রাম্পের আভাস, পুতিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। আর এমন কিছু যদি হয়ে থাকে, তাহলে ২০২২ সালের পর কোনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পুতিনের আলোচনার প্রথম স্বীকারোক্তি হবে এটি।

গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে কিংবা পরে পুতিনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা করেছি, ধরা যাক, আমি এটা করেছি...এবং আরও অনেক আলোচনা হবে বলে আমি মনে করছি। এই যুদ্ধ আমাদের বন্ধ করতে হবে।’

রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ আছে বলেও জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছি।’

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি চীনের অর্থনীতিকে চাপে ফেলতে পারে
সৌদির এক সিদ্ধান্তে বন্ধ হবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বাংলাদেশের
ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় আল গোর
ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী আইন কংগ্রেসে অনুমোদন: ৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

p
উপরে