× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
অবশেষে করোনা নিয়ন্ত্রণ
google_news print-icon

অবশেষে করোনা নিয়ন্ত্রণে

অবশেষে-করোনা-নিয়ন্ত্রণে
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে। রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে ছবিটি তুলেছেন সাইফুল ইসলাম
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে সংক্রমণের হার ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে গত ২৪ ঘণ্টায় তা নেমেছে তিন শতাংশের নিচে। গত এপ্রিলের পর পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার কখনও এত কম ছিল না।

গত টানা ১৬ দিন করোনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নামল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহ পাঁচ শতাংশের নিচে হলে করোনা নিয়ন্ত্রণে বলা যায়।

অবশ্য নীতিমালায় এও বলা আছে যে, দিনে পরীক্ষা হতে হবে ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে এক বারও ২০ হাজার পরীক্ষা করা হয়নি। একদিন ছাড়া প্রতিদিনই পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজারের নিচে।

এই ১৬ দিনে সর্বনিম্ন ১১ হাজার ১১৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৯৭ জন নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

এই কম নমুনা পরীক্ষার পেছনে অবশ্য সরকারের কোনো দায় নেই। শুরুর দিকে কিটসহ অবকাঠামোগত সমস্যায় পরীক্ষা করতে বাধা পেলেও এখন আর সে পরিস্থিতি নেই। দেশের ২০৬টি ল্যাবে এখন পরীক্ষা করা যায়, সেই সঙ্গে শুরুর হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্টও। জনগণই পরীক্ষা করতে কম যাচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার কমে হয়েছে ২.৯১ শতাংশ। এটি গত বছরের ৪ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ২.০৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৬টি ল্যাবে এক হাজার ৯৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩৮ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এখন পর্যন্ত দেশে যত যত পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে শনাক্তের হার পাওয়া গেছে ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত বছরের মার্চ থেকে মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৪ জনের। এর মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৫ জনের।

অবশেষে করোনা নিয়ন্ত্রণে
গত ২৭ জানুয়ারি রুনু ভেরোনিকা ডিকষ্টাকে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়

এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন চার লাখ ৮১ হাজার ৩০৬ জন। মারা গেছেন আট হাজার ১৬১ জন। এখনও অসুস্থ আছেন ৪৭ হাজার ৭৮ জন।

এবারের শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় ছিল সরকার। ইউরোপে শীতে দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে বেশি প্রাণঘাতি হওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দেয় সরকার।

বিশেষ করে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। মাস্ক ছাড়া সেবা মিলবে না- এমন নীতি ঘোষণা করার পরও কাজ না হওয়ায় নামানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অসংখ্য মানুষকে করা হয় জরিমানা।

নামানো হয় অক্টোবর-নভেম্বরে। তবে শীত বাড়ার পর সংক্রমণ না বেড়ে উল্টো কমতে থাকে।

টানা দুই সপ্তাহ ধরেই সংক্রমণের হার ক্রমন্বয়ে নিম্নমুখী অবস্থানে। কমছে মৃত্যুও। তিন মাস আগে যেখানে দিনে ৩০ জনের বেশি মারা যেত, সেই সংখ্যাটি কমে এখন ১০ এর কিছু ওপরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সংক্রমণের নিম্নমুখী হার আমাদের আশা যোগাচ্ছে। দেশে পাঁচ শতাংশের নিচে সংক্রমণ হলে এবং এটা যদি টানা দুই সপ্তাহ চলে তাহলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বলতে পারি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানাচ্ছি।’

করোনা মোকাবিলায় গঠিত সরকারের কারিগরি কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম অবশ্য আরও অপেক্ষা করতে চান। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করব। যদি এর মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার না বাড়ে, তাহলে আমরা ধরে নেব সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে।’

ফেব্রুয়রি ও মার্চে তামপাত্রা ক্রমে বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন কি না- এমন প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বলেন, ‘গরম আসলে করোনা বাড়ার আশঙ্কা আমরা করছি না। তার পরেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

অবশেষে করোনা নিয়ন্ত্রণে
৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রয়োগের জন্য জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে করোনার টিকা

এর মধ্যে বাংলাদেশ করোনার টিকা প্রয়োগও শুরু করেছে। গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন। তবে গণটিকা শুরু হচ্ছে ৭ ফেব্রুয়ারি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে ৭০ লাখ টিকা। প্রতি মাস ভারত থেকে আসবে ৫০ লাখ করে। আবার বিশ্বজুড়ে টিকা বিতরণে গড়ে উঠা জোট কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া যাবে আরও পৌনে সাত কোটি টিকা।

এই অবস্থার মধ্যে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরছে। সরকার স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার চিন্তাও করছে।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৫৭৮ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন চার লাখ ৮১ হাজার ৩০৬ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে ১১ পুরুষ ও দুই জন নারী।

গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাস শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম। আর মৃতের দিক থেকে ৩৮তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের প্রায় সব দেশ লকডাউন দিলেও বাংলাদেশ কখনও সে পথে হাঁটেনি। তবে ঘরের বাইরে মানুষের চলাচল সীমিত করতে গত বছরের ২৬ মার্চ ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি। চলে ৩০ জুন পর্যন্ত।

এরপর একে একে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা এসেছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় ‘করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সফল’। এটি চিঠি দিয়েও জানিয়েছে তারা।

প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গও প্রশংসা করেছে বাংলাদেশের। ডিসেম্বরের শেষের দিকে ‘কোভিড রেজিলিয়েন্স র‌্যাংকিং’-বাংলাদেশকে বিশ্বে ২০তম ও দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ অবস্থানে রাখা হয়।

অবশেষে করোনা নিয়ন্ত্রণে
গত ২১ জানুয়ারি ভারত থেকে উপহারের ২০ লাখ টিকা আসে। চারদিন পর আসে বাংলাদেশের কেনা ৫০ লাখ

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক আঘাত মোকাবিলায় সক্ষমতাসহ বিভিন্ন সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই র‍্যাংকিং প্রকাশ করছে ব্লুমবার্গ। নভেম্বরে ২৪তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ। এক মাসে চারধাপ উপরে উঠে এসেছে দেশটি।

বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে গত বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসও বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের আট নারীর অবদান বিশ্বজুড়ে ‘স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য’।

ম্যাগাজিনের নিবন্ধে বলা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেওয়া ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের দেশ-বাংলাদেশ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে এক পরিচিত নাম।

শেখ হাসিনা তার দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে ক্ষমতা দেখিয়েছেন তা ‘প্রশংসনীয়’ বলে এক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামও।

গত দুই সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হার কত?

গত ১৭ থেকে ১৮ জানুয়ারি ২৪ ঘণ্টায় যত নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে সংক্রমণের হার পাওয়া যায় ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এরপর প্রতিদিনই এই হার ছিল পাঁচ শতাংশের কম। ১৯ জানুয়ারি পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ৪.৬৫।

গত ২০ জানুয়ারি এই হার ছিল ৪.২৬ শতাংশ, পরের দিন যা সামান্য বেড়ে হয় ৪.৭ শতাংশ।

গত ২২ শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৪.১৭ শতাংশ, যা গত ২৩ জানুয়ারি আরও কমে হয় ৩.৯২ শতাংশ।

২৪ জানুয়ারি আরও কমে ৩.৩৪ শতাংশ শনাক্ত হলেও পরের তিন তা আবার বেড়ে হয় ৪.০৬ শতাংশ।

২৬ জানুয়ারি আবার শনাক্তের হার কমে হয় ৩.৩৬ শতাংশ। পরের দিন তা প্রায় সমান থাকে। সেদিন শনাক্তের হার পাওয়া যায় ৩.৪৩ শতাংশ।

২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার কিছুটা বেড়ে হয় ৩.৭৬ শতাংশ, পরের দিনও তা থাকে একই রকম, ৩.৭৬ শতাংশ।

৩০ জানুয়ারি পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার আরও কমে হয় তিন শতাংশ, পরের দিন যা দাঁড়ায় ৩.০২ শতাংশ।

১ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার কিছুটা বেড়ে হয় ৩.৫৫ শতাংশ, যা ২ ফেব্রুয়ারি দাঁড়ায় ৩.৬৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
করোনায় আরও ১৩ মৃত্যু
করোনায় আরও ১২ জনের মৃত্যু
ডা. আব্দুল্লাহর স্ত্রী আর নেই
ডা. আব্দুল্লাহর স্ত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন
করোনায় মৃত্যু আরও ১০

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Kuchri Mahal is chaotic in the government office using BNP name Rizvi

বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

আয়কর অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নামে আন্দোলন চালিয়ে একটি ‘কুচক্রী মহল’র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘যারা আয়কর অফিসে বা অন্যান্য বিভাগে বিএনপির নামে আন্দোলন করছেন—তারা বিএনপির অংশ নয়। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই এটা করছে।’

শুক্রবার (২৭ জুন) রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সরকারি অফিসে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নামে নতুন নতুন কার্যকলাপ শুরু করার চেষ্টা করছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সকলেরই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তারেক রহমান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও অনেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’

রিজভী বলেন, তিনি এমন একজনের কথা শুনেছেন যিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে আয়কর অফিসে আন্দোলন করছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (সেই ব্যক্তি) এখন (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতে অন্য কাউকে অপসারণের চেষ্টা করবেন। কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব—আমি এ বিষয়ে জানি না। আপনি নিজেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে একটি অফিসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেখানে আরও অনেক বিএনপি নেতা আছেন, কেউ এ সম্পর্কে জানেন না।’

বিএনপির নামে যারা অপকর্ম করছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান রিজভী। বলেন, ‘রক্তপাত এবং সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্ট সুযোগ আগামী দিনে একটি উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা করলেও সরকারের ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনা অনুসারে, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল স্বীকার করেছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘তার এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে (শেখ) হাসিনার আমলে সমস্ত নির্বাচন অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’

বিএনপি নেতা দাবি করেন, প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক—যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। তারা বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’

স্বাস্থ্য
Notification to form a District Committee to celebrate the July Mass uprising Day

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে জেলা কমিটি গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে জেলা কমিটি গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি

দেশব্যাপী ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ যথাযথভাবে উদযাপনে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কমিটি ও অর্থনৈতিক) মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে ৩৫ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন-জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সভাপতি); পুলিশ সুপার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার; নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ; নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ; উপপরিচালক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর; নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর; নির্বাহী প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জেলা কমান্ড্যান্ট, আনসার ও ভিডিপি/অধিনায়ক, আনসার ব্যাটালিয়ন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সকল), জেলা সদরের সরকারি কলেজের একজন প্রতিনিধি (অধ্যক্ষ মনোনীত), সরকারি মহিলা কলেজের একজন প্রতিনিধি (অধ্যক্ষ মনোনীত), বেসরকারি কলেজের একজন অধ্যক্ষ (জেলা প্রশাসক মনোনীত), মাদ্রাসার একজন অধ্যক্ষ (জেলা প্রশাসক মনোনীত), জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর; উপপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর; উপপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন; জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক (জেলা প্রশাসক মনোনীত), বালিকা বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক (জেলা প্রশাসক মনোনীত), কওমি মাদ্রাসার একজন অধ্যক্ষ (জেলা প্রশাসক মনোনীত), জেলা কালচারাল অফিসার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি. ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এ শহিদ পরিবারের দু’জন সদস্য (যদি থাকে, জেলা প্রশাসক মনোনীত), আহত দু’জন সদস্য (যদি থাকে, জেলা প্রশাসক মনোনীত), জেলার পাঁচজন রাজনৈতিক নেতা/গণ্যমান্য ব্যক্তি (একজন মহিলা অন্তর্ভুক্তসহ, জেলা প্রশাসক মনোনীত), কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় নির্বাহী কমিটির পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন, জেলা পর্যায়ের বাস্তবতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান এবং জাতীয় কমিটি ও নির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত কাজ করবে জেলা বাস্তবায়ন কমিটি।

কমিটি প্রয়োজনে নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে এবং প্রয়োজন অনুসারে সভা আহ্বান করা যাবে। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Form a committee to investigate the controversial three elections

বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন

বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন ছবি : সংগৃহীত

বিগত তিনটি বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্ত এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার রাতে এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনগুলো নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে একটি নির্দিষ্ট দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার অভিযোগ রয়েছে। সংবিধানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও, এই নির্বাচনে তা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। এতে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার হুমকির মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ‘এই প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভবিষ্যতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, দেশে গণতন্ত্রকে রক্ষা করা এবং ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের আশঙ্কা প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই তিন নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই লক্ষ্যেই সরকার ‘বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করেছে।’

পাঁচ সদস্যের এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক, আইনজীবী ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মো. আবদুল আলীম।

কমিটির কার্যপরিধিতে যা রয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক, তদারকি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ বিশ্লেষণ; এসব নির্বাচনে সংঘটিত দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ ও বিশ্লেষণ; রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ সীমিত করা, ভোটাধিকার হরণ এবং তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা পর্যালোচনা; তৎকালীন নির্বাচন কমিশন, সচিবালয়, প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণ এবং নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ যাচাই ও অনুসন্ধান।

কমিটি এসব বিশ্লেষণের ভিত্তিতে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করবে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে প্রযোজ্য আইন, বিধি-বিধান, নির্বাচন কমিশনের কাঠামো ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিষয়ে সুপারিশ দেবে।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে কমিটি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা এবং নির্বাচন কমিশন লজিস্টিক ও তথ্য সহায়তা দেবে।

কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো সরকারি দপ্তরের দলিল-দস্তাবেজ তলব করতে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। প্রয়োজনে কমিটি অতিরিক্ত সদস্য কো-অপ্টও করতে পারবে।

এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Social business can change the whole world chief adviser

সামাজিক ব্যবসা পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

সামাজিক ব্যবসা পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সামাজিক ব্যবসা (সোশ্যাল বিজনেস) শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার একমাত্র সঠিক পথ হল সামাজিক ব্যবসা। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।

শুক্রবার সাভারের জিরাবো সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে দু’দিনের ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসা সর্বোত্তম পন্থা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের সোশ্যাল বিজনেস ডে উদযাপন করা হচ্ছে।

এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ৩৮টি দেশ থেকে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Professor Yunus has joined the 5th Social Business Day

১৫তম সোশ্যাল বিজনেস ডে-তে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস

১৫তম সোশ্যাল বিজনেস ডে-তে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস

১৫তম সোশ্যাল বিজনেস ডে উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে সামাজিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নেতা ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মূল প্রবন্ধও উপস্থাপন করবেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে সাভারের জিরাবোতে সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে আজ প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়।

ইউনূস সেন্টার ও গ্রামীণ গ্রুপ আয়োজিত এবারের সোশ্যাল বিজনেস ডে-র মূল প্রতিপাদ্য: ‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সোশ্যাল বিজনেসই সর্বোত্তম পথ।’

প্রথম দিনের উদ্বোধনী পর্বে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট (১৯৯২–২০০০) ড. ইসমাইল সেরাগেলদিন, গ্রামীণ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান ও ইউনূস সেন্টারের রিলেশনস ম্যানেজার জিনাত ইসলাম।

দুদিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের লক্ষ্য হলো, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে বৈষম্য ও সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করে একটি টেকসই, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বিশ্ব গড়ে তোলা।

এই আয়োজনে রয়েছে পাঁচটি প্লেনারি ও আটটি ব্রেকআউট সেশন, যেখানে বৈচিত্র্যময় মত ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন অংশগ্রহণকারীরা। ৩৪টি দেশের ১৮০ জনের বেশি বিদেশি প্রতিনিধিসহ সহস্রাধিক অংশগ্রহণকারী এতে যোগ দিয়েছেন।

আলোচকদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সহকারী অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান, মেডট্রনিকের সাবেক সিইও ও চেয়ারম্যান এবং ইন্টেল করপোরেশনের সাবেক বোর্ড চেয়ারম্যান ওমর ইশরাক, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও নরওয়ের সাবেক পরিবেশ ও জলবায়ুমন্ত্রী এরিক সোলহেইম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সম্প্রসারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৯ জুন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ অ্যাকাডেমিয়া ডায়লগ, যেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা অংশ নিয়ে সমাজে অগ্রগতির চালিকাশক্তি হিসেবে সামাজিক ব্যবসায়ের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন।

এ ছাড়া, সেদিন ৩-জিরো ক্লাব কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। এই কনভেনশনের উদ্দেশ্য হলো ‘তিন শূন্য’ বা ‘থ্রি জিরো’ অর্জন: শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্ব।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The wind of Dhaka on the holidays means the degradation

ছুটির দিনে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় অবনতি

ছুটির দিনে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় অবনতি

টানা চার দিন ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে থাকার পর ছুটির দিনে অনেকটা অবাক করে দিয়ে ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি হয়েছে। সেইসঙ্গে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকাতেও লম্বা লাফ দিয়ে উপরের দিকে চলে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ১০২। বায়ুমানের শ্রেণি অনুযায়ী, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষের জন্য এই মান অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়।

সবশেষ গত ২১ জুন এই শ্রেণিতে নেমেছিল ঢাকার বায়ুমান। তার পরের চার দিন ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে থাকার পাশাপাশি দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকাতেও বেশ নিচে অবস্থান করছিল শহরটি।

এর মধ্যে ২১ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দশম, ২২ জুন একই সময়ে ১৭তম, ২৩ জুন সকাল ৯টায় ২১তম, ২৪ জুন ২৯তম, ২৫ জুন ৩১তম এবং গতকাল ২৬ জুন ঢাকার অবস্থান ছিল ৩৮তম। অর্থাৎ ক্রমেই উন্নতি হচ্ছিল ঢাকার বায়ুমানে।

গত কয়েক দিনে একটু একটু করে দূষণ থেকে দূরে সরলেও আজ (শুক্রবার) ফের শীর্ষ দশ শহরের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ঢাকা। শহরটির অবস্থান আজ দশম।

এই সময়ে ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, স্কোর ১৬৫ নিয়ে পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থান দ্বিতীয় এবং গতকাল এই সময়ে শীর্ষে থাকা কঙ্গোর কিনশাসা রয়েছে আজ তিন নম্বরে; শহরটির একিউআই স্কোর ১৫৯।

এ ছাড়া ১৫৪ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে শীর্ষ পাচ শহরের অপর দুটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও চিলির সান্তিয়াগো।

এর মধ্যে আজ লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে দিল্লির বাতাসের। ৭৯ স্কোর নিয়ে ভারতের শহরটির বায়ুমান ‘মাঝারি’, আর তালিকায় রয়েছে ২১তম স্থানে।

কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Courtesy of CEC with the chief adviser

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ কথা জানিয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে