× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
করোনায় আরও ১৮ মৃত্যু
google_news print-icon

করোনায় আরও ১৮ মৃত্যু

করোনায়-আরও-১৮-মৃত্যু
এতে বলা হয়, গত একদিনে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৬০২ জনের শরীরে। এই নিয়ে মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩২ হাজার ৪০১ জনে।

দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৪১ জনে।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত একদিনে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৬০২ জনের শরীরে। এই নিয়ে মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩২ হাজার ৪০১ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৮২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯১ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৫০২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন চার লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৯ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১৫ ও নারী তিন জন।

বয়স বিবেচনায় ত্রিশোর্ধ্ব এক, চল্লিশোর্ধ্ব তিন, পঞ্চাশোর্ধ্ব দুই, ষাটোর্ধ্ব দুই জন। শতাংশ হিসাবে পুরুষ ৭৫ দশমিক ৮০ শতাংশ ও নারী ২৪ দশমিক ২০শতাংশ।

বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় সাত, চট্টগ্রামে আট, রাজশাহী দুই, ময়মনসিংহে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের দশম মাস চলছে।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাস শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম আর মৃতের দিক থেকে ৩৮তম অবস্থানে রয়েছে।

আরও পড়ুন:
করোনা: যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত আড়াই কোটি ছাড়াল
করোনায় আরও ২০ মৃত্যু
করোনায় মৃত্যু ৮ হাজার ছাড়াল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
The trial of Abu Saeeds murder began in the tribunal tearful father

আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু, ট্রাইবুনালে অশ্রুসিক্ত বাবা

আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু, ট্রাইবুনালে অশ্রুসিক্ত বাবা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হলো।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আজ এই মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এরপর আবু সাঈদকে গুলি করার দুটি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন মনিটরে ছেলেকে গুলির দৃশ্যের ভিডিও দেখে বার বার চোখ মুছছিলেন।

এরপর প্রসিকিউসনের আবেদনে আগামীকাল এই মামলায় প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ৩০ জুলাই প্রসিকিউসনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এই মামলায় অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করেন।

অন্যদিকে, আসামী পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চাওয়া হয়।

এরপর গত ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

এই মামলার যে ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হয়, তাদের মধ্যে গ্রেফতার ৬ জন আজ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।

এরা হলেন-বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেল, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কর্মচারী মো. আনোয়ার পারভেজ, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৩০ জুন ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ।

২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে, সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন।

ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে বলে, একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে।

জাজ্জ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
DMP 2 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩৪৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Two Bangladeshi arrested with 1 lakh Indian fake rupees at the Maheshpur border

মহেশপুর সীমান্তে ৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপিসহ দুই বাংলাদেশি আটক

মহেশপুর সীমান্তে ৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপিসহ দুই বাংলাদেশি আটক

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৫ লাখ ৪ হাজার ভারতীয় জাল রুপিসহ দুই বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহেশপুর সীমান্তের খোসালপুর এলাকা থেকে তাদের দু’জনকে আটক করা হয়।

আটককৃত ওলিয়ার শেখ (৩৭) ও তার শিশু পুত্র আমান শেখ (০৫) কে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি। তাদের মধ্যে ওলিয়ার শেখকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আমান শেখ শিশু হওয়ায় তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ওলিয়ার শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার বেশরগাতী গ্রামের শামসুল হকের পুত্র।

আজ বেলা ১১টায় মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সি ইমদাদুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খোসালপুর বিওপির নায়েক দীনবন্ধু রায়ের নেতৃত্বে সীমান্ত পিলার-৬০/১০৫ এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। এসময় ৫ লাখ ৪ হাজার ভারতীয় জাল রুপিসহ ওলিয়ার শেখ নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। ওলিয়ার শেখের ৫ বছর বয়সী শিশু সন্তান আমান শেখ এসময় তার সঙ্গে ছিল। পরে দুজনকেই মহেশপুর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।

বিজিবি আরও জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ওলিয়ার শেখ ভারতের বিহারে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি দর্জির কাজ করতেন। ২০১৭ সালে বিহারের আরাবিয়া থানার এক নারীকে বিয়ে করেন ওলিয়ার। বিয়ে করার পর ২০২২ সাল থেকে বাগেরহাট সদর উপজেলার মারুফ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়মিত ভারতীয় জাল রুপি সংগ্রহ করতেন ওলিয়ার। ওই জাল রুপি তিনি ভারতে বসবাসকালে নিয়মিত ব্যবহার করতেন।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে মারুফের কাছ থেকে ৫ লাখ ৪ হাজার ভারতীয় জাল রুপি সংগ্রহ করেন ওলিয়ার শেখ। ওই রুপি নিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে তিনি বিজিবির হাতে আটক হন।

মহেশপুর থানার ওসি সাজ্জাদুর রহমান বাসসকে বলেন, ভারতীয় জাল রুপিসহ আটক ওলিয়ার শেখের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। আটক ওলিয়ার শেখের শিশু পুত্র আমানকে মানবিক দিক বিবেচনায় পরিবারের জিম্মায় দেয়া হবে।

মন্তব্য

কোটালীপাড়ায় গরুচোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

কোটালীপাড়ায় গরুচোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

গরু চোর চক্রের দুই সদস্য সোহান শেখ (২৩) ও সাগর শেখ (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।

সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে কোটালীপাড়া থানার এসআই সাদ্দাম হোসেন খান দিপ্তরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোটালীপাড়া ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গরুচোর চক্রের এই দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত গরুচোর মোঃ সোহান শেখ গোপালগঞ্জ জেলা সদরের মানিদাহ গ্রামের মৃত হানিফ শেখের ছেলে, এবং সাগর শেখ কোটালীপাড়া উপজেলার ধোরাল গ্রামের কাজল শেখের ছেলে। মঙ্গলবার তাদেরকে কোটালীপাড়া থানায় দায়েরকৃত গরু চুরির মামলায় আটক দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন খান দিপ্ত জানান, গত ২৮ জুলাই গভীর রাতে উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের পুর্বপাড়া গ্রামের সঞ্জয় মুখার্জীর একটি কালো রঙের গাভী ও কুশলা ইউনিয়নের লাখিরপাড় গ্রামের সুভাষ বিশ্বাসের একটি লাল রঙের বকনা গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুর্বপাড়া গ্রামের লোকদের ধাওয়া খেয়ে চোরেরা গরুসহ গাড়ী রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৯ জুলাই পুর্বপাড়া গ্রামের সঞ্জয় মুখার্জি বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি আরো জানান, এই মামলার পর গরু চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ মাঠে নামে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গরু চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ সোহান শেখকে গোপালগঞ্জ ও সাগর শেখকে কোটালীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই গরু চুরির সিন্ডিকেট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সোহান গরু চুরির ঘটনায় চোর চক্রদের গাড়ি সরবরাহ করতেন অন্যদিকে সাগর শেখ সরাসরি গরু চুরিতে অংশ নিতো। পুরো গরু চোর চক্রদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

জুলাই শহীদ পরিবারে অনুদান-ভাতা বণ্টনে নতুন বিধিমালা

জুলাই শহীদ পরিবারে অনুদান-ভাতা বণ্টনে নতুন বিধিমালা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবারকে দেওয়া এককালীন অনুদান ও মাসিক ভাতা স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান এবং বাবা-মায়ের মধ্যে সমান তিন ভাগে বণ্টনের বিধান রেখে নতুন বিধিমালা জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সরকারি সহায়তাকে কেন্দ্র করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অনেক শহীদ পরিবারের স্বামী-স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার বণ্টনের এই পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিল।

সমস্যা সমাধানে ‌‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সহায়তা নিয়ে শহীদ পরিবারের‌ সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এসব দ্বন্দ্ব মেটাতে হয়রান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রতিনিয়তই এ বিষয়ে বিচার-সালিশ আসছে। এমনকি শহীদদের উত্তরাধীকারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়ায় সহায়তা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি বিলম্ব হচ্ছে বলেও জানান তারা।

এই প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যার যার ধর্মীয় উত্তরাধিকার আইন মেনে সহায়তার এককালীন অর্থ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া শুরু করেন। কিন্তু পরিবারের অনেক সদস্য এটি মানছিলেন না। যেহেতু অনুদান-ভাতার অর্থ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া কোনো সম্পদ নয়, তাই এটি কেন ধর্মীয় উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী বণ্টন করা হচ্ছে— এমন প্রশ্ন ওঠে। এ পরিস্থিতিতে বিধিমালা করে সহায়তার অর্থ বণ্টন করার পদ্ধতি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ ও আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। সরকারিভাবে জুলাই শহীদ পরিবারকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। গত অর্থবছরে (২০২৪-২০২৫) ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র চলতি (২০২৫-২০২৬) অর্থবছরে দেওয়া হচ্ছে। গত জুলাই থেকে শহীদ পরিবারকে মাসিক ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা জানায় সরকার। এ পর্যন্ত ৮৪৪ জন শহীদের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, পরে অবশ্য আটজনের গেজেট বাতিল করা হয়।

গত ৭ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও সরকারি এসব সহায়তা নিয়ে শহীদ পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি আলোচিত হয়। বৈঠকে এ বিষয়ে একটি বিধিমালা করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই শহীদদের পরিবারের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব দেখছি, শহীদদের জন্য যে সম্মানী দেওয়া হচ্ছে সেটা নিয়ে। কে টাকাটা পাবেন তা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হচ্ছে। এজন্য একটি বিধি করে দেওয়া হবে। কে কতটুকু অংশ পাবে সেটা বিধিতে উল্লেখ করা হবে। এ বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জানতে পারবেন।’

এ বিষয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মশিউর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ‘শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সহায়তার অর্থ কীভাবে বণ্টন করা হবে সেটি বিধিমালয় উল্লেখ করা হয়েছে। আগে অনুদানের প্রথম কিস্তির যে অর্থ বণ্টন করা হয়েছে সেটি বিধিমালা অনুযায়ী সমন্বয়ের চেষ্টা করা হবে। অনুদানের বড় অংশটি চলতি অর্থবছরে বিতরণ করা হবে; এটি বিধিমালা অনুযায়ী হবে। এই অর্থ বিতরণের কাজটি করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বিধিমালা জারি হওয়ার মাধ্যমে জুলাই শহীদ পরিবার ও যোদ্ধাদের সহায়তা ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে আমরা একটি গাইডলাইন পেলাম। প্রাথমিকভাবে কোনো বিধি-বিধান না থাকায় আমরা ধর্মীয় উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা দেওয়া শুরু করেছিলাম।‌ এখন বিধিমালা অনুযায়ী সহযোগিতার কার্যক্রম চলবে।’

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে শহীদদের স্বামী বা স্ত্রী, ঔরসজাত বা গর্ভজাত সন্তান এবং মাতা ও পিতার মধ্যে সরকারের দেওয়া আর্থিক সহায়তা তিন ভাগে বণ্টন করতে হবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

শহীদের স্বামী বা স্ত্রী আর্থিক সহায়তার এক-তৃতীয়াংশ পাবেন। তবে একাধিক স্ত্রী থাকলে আর্থিক সহায়তা সমানভাবে বণ্টন করতে হবে।

শহীদের ঔরসজাত বা গর্ভজাত সন্তানও আর্থিক সহায়তার এক-তৃতীয়াংশ পাবেন। তবে একাধিক সন্তান থাকলে আর্থিক সহায়তা সমানভাবে বণ্টন করতে হবে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, শহীদের বাবা-মা আর্থিক সহায়তার এক-তৃতীয়াংশ পাবেন। তবে মা ও বাবার অনুকূলে দেওয়া আর্থিক সহায়তা সমানভাবে বণ্টন করতে হবে। আবার মা ও বাবার মধ্যে কোনো একজনের অবর্তমানে অপরজন আর্থিক সহায়তা উভয়ের সম্মিলিত অংশ অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশই পাবেন। তবে যদি শহীদের স্বামী বা স্ত্রী না থাকে তবে স্বামী বা স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত আর্থিক সহায়তার অংশটি শহীদের সন্তান ও বাবা মায়ের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ হবে।

তবে সন্তান না থাকলে সন্তানের সহায়তার অংশটি স্বামী বা স্ত্রী এবং বাবা-মায়ের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হবে। আর যদি বাবা-মা না থাকেন, তবে বাবা-মায়ের অংশ স্বামী বা স্ত্রী এবং সন্তানদের মধ্যে সমানভাগে ভাগ হবে।

এ ছাড়া কোনো অবিবাহিত ব্যক্তি শহীদ হলে তার জন্য প্রদত্ত আর্থিক সহায়তা তার বাবা-মায়ের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করতে হবে। তবে বাবা ও মায়ের মধ্যে যেকোনো একজনের অবর্তমানে অপরজন সম্পূর্ণ আর্থিক সহায়তা পাবেন বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের মাসিক ভাতা সহায়তাপ্রাপ্ত কোনো সদস্য মারা গেলে মারা যাওয়ার তারিখ থেকে ভাতার অবসান ঘটবে। পরবর্তী সময়ে এ ভাতা শহীদ পরিবারের অন্য কোনো সদস্য দাবি করতে পারবেন না।

শহীদের স্বামী বা স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করলে বিয়ে হওয়ার তারিখ থেকে তার মাসিক অনুদান বা ভাতার অংশের অবসান ঘটবে। পরিবারের অন্য কোনো সদস্য এই ভাতা পাবেন না।

এককালীন সহায়তা গ্রহণের আগে জুলাই যোদ্ধা মারা গেলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তা তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। শহীদ পরিবারের মতো এক্ষেত্রে একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। একই সঙ্গে জুলাই যোদ্ধা মারা গেলে তার মাসিক ভাতার অংশের অবসান ঘটবে বলেও বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিধিমালায় জানানো হয়েছে, যদি কোনো জুলাই যোদ্ধা অভ্যুত্থানের সময় এক বা একাধিক শারীরিক আঘাতজনিত কারণে অতি গুরুতর হয়ে অব্যাহতভাবে দেশে বা বিদেশে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান, তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ হিসেবে গণ্য হবেন এবং তার পরিবার সুযোগ-সুবিধা পাবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা এককালীন ৩০ লাখ টাকা সমমূল্যের পরিবার সঞ্চয়পত্র পাওয়ার অধিকারী হবেন। তবে যদি তিনি আহত হিসেবে এককালীন আর্থিক সহায়তা নেন, সেই অংশ কেটে রাখা হবে। একই সঙ্গে তার পরিবার শহীদ পরিবারের মতো মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

সব সরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি ক্লিনিক বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সরকার নির্ধারিত বিশেষায়িত হাসপাতাল সব শ্রেণির আহত জুলাই যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেবে।

চিকিৎসা সহায়তা নিতে হাসপাতাল, ক্লিনিক বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনো লিখিত আবেদন করার প্রয়োজন হবে না। তবে সেবা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের দেওয়া পরিচিতিমূলক হেলথ কার্ডের মূল কপি দেখিয়ে জুলাইযোদ্ধার স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ফটোকপি দাখিল করতে হবে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনের জন্য তিনটি কমিটি থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা কমিটি ও উপজেলা কমিটি।

কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা উপদেষ্টা, জেলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা কমিটির সভাপতি হবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। বিধিমালায় তিনটি কমিটির গঠন ও কার্যাবলী উল্লেখ করা হয়েছে।

শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য গৃহীত পরিকল্পনা বা প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিধি দ্বারা নির্ধারণ করতে হবে। তবে বিধি না হওয়া পর্যন্ত প্রচলিত বিধি-বিধান ও পদ্ধতি অনুযায়ী পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কাজ সম্পাদন করা যাবে বলে বিধিমালায় জানানো হয়েছে।

পুনর্বাসনের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক; ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স-বিষয়ক; ডিজিটাল মার্কেটিং, আইটি সাপোর্ট সার্ভিস, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট; ফ্রিল্যান্সিং, মোবাইল সার্ভিসিং, অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, মেকানিক্যাল ও অটোমোবাইল-বিষয়ক; ড্রাইভিং, আধুনিক অফিস ব্যবস্থাপনা, নির্মাণ ও প্রকৌশলবিষয়ক; খাদ্য ও আতিথেয়তাবিষয়ক; বিউটিফিকেশন আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস; বস্ত্রশিল্পবিষয়ক; কৃষি, নার্সারি, গবাদি পশুপালন, মৎস্য হ্যাচারি ও মৎস্য চাষ এবং পোল্ট্রি ফার্মিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।

উপার্জনমুখী কাজ বা আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সহজ শর্তে ঋণ বা এমন সুবিধাদি দিতে অধিদপ্তর উদ্যোগ নিতে পারবে বলেও বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আর্থিক সহায়তা বা পুনর্বাসন-সংক্রান্ত বিষয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা নিষ্পত্তিতে একটি সালিশ বোর্ড গঠন করা হবে বলে বিধিমালায় জানানো হয়েছে। শহীদ পরিবারের বিরোধ-সংশ্লিষ্ট সদস্য, গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মনোনীত কমপক্ষে সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, দুই পক্ষের ভিত্তিতে মনোনীত একজন সালিশকারীর সমন্বয়ের সালিশ বোর্ড গঠন করা হবে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, সালিশ বোর্ডের সিদ্ধান্তের কারণে কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হলে তিনি ৩০ দিনের মধ্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আপিল করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে মহাপরিচালকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

সূত্র: ইউএনবি

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Bangladesh Banks net profit is Tk 22000 crore

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা

বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৭,৩০০ কোটি টাকা বেশি। মূলত ট্রেজারি বিল, বন্ড এবং সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত সুদের মাধ্যমে এই মুনাফা অর্জিত হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের মোট পরিচালন আয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে আনুষঙ্গিক ব্যয় ও কর পরিশোধের পর চূড়ান্ত নিট মুনাফা নির্ধারণ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই মুনাফা প্রতি বছরই বাড়ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিট মুনাফা ছিল ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ১০ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা। পরপর তিন অর্থবছরে মুনাফার এই প্রবৃদ্ধি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির স্পষ্ট প্রমাণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি মুনাফা অর্জন করেছে। বিশেষ করে সরকারের কাছে ধার দেওয়া এবং ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ থেকে বড় অঙ্কের সুদ আয় হয়েছে, যা মুনাফা বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি।’

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের ৪৪৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব বিবরণী অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে জানানো হয়, নিট মুনাফার এই বিপুল অঙ্কের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে, যা বাজেটসহ বিভিন্ন আর্থিক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন ধারাবাহিকভাবে মুনাফা বাড়াতে সক্ষম হয়, তখন তা দেশের আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে সরকারের রাজস্ব আদায়ে সহায়তা যেমন বাড়ে, তেমনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বাধীনতা ও সক্ষমতাও বাড়ে।

এদিকে এ মুনাফার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আকর্ষণীয় বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে। বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ব্যাংকের কর্মীদের নিজ নিজ বেসিক বেতনের ছয় গুন ইনসেনটিভ বোনাস দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে নানামুখী আলোচনা থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালার আওতায় এবং মুনাফার অংশ হিসেবেই প্রদান করা হবে।

শুধুমাত্র গত অর্থবছরেই বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে দিয়েছে ১০ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। এবারের মুনাফা এর চেয়েও দ্বিগুণের কাছাকাছি হওয়ায়, সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থাপনাতেও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই মুনাফা বৃদ্ধি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধিরই একটি চিত্র তুলে ধরে। যদিও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং অভ্যন্তরীণ নানা চ্যালেঞ্জ ছিল, তবুও বাংলাদেশ ব্যাংক তার আয় বাড়াতে সক্ষম হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Swachip doctors stopped treating the injured in the coup
ট্রাইবুনালে চিকিৎসকের জবানবন্দি

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় বাধা দিয়েছিলেন স্বাচিপের চিকিৎসকরা

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় বাধা দিয়েছিলেন স্বাচিপের চিকিৎসকরা

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আন্দোলনকারীদের হতাহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রসিকিউশনের আরো পাঁচ সাক্ষী। তারা হলেন মিটফোর্ড হাসপাতলের সহকারী পরিচালক মফিজুর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম, একই হাসপাতালের একই বিভাগের চিকিৎসক মোস্তাক আহমেদ, ফেনীর ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ নাসিরউদ্দিন ও শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের নানা সাইদুর রহমান খান।

গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তারা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীরা হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ জড়িতদের বিচার দাবি করেন ট্রাইব্যুনালের কাছে।

পরে তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমীর হোসেন। এই মামলার ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর‌্যন্ত ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য করা হয়েছে। এই মামলার তিন আসামির মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পলাতক।

সাক্ষ্য নেওয়ার আগে আসামির কাঠগড়ায় তোলা হয় সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যাজুয়ালটি বিভাগের আবাসিক সার্জন মোস্তাক আহমেদ সাক্ষ্যে বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনকারীদের গুলি করা হয়েছিল উঁচু জায়গা বা হেলিকপ্টার থেকে। এসব গুলি কারও কারও মাথায় লেগে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসায় বাধা দেন তৎকালীন সরকার-সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ তথা স্বাচিপের চিকিৎসকরা। এমনকি ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে জুলাই যোদ্ধাদের সেবা দিতে বারণও করা হয়।’

তিনি বলেন, গত বছর ১৯, ২০ ও ২১ জুলাই এবং ৪ ও ৫ আগস্ট সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গুলিবিদ্ধকে চিকিৎসা দেওয়া আমাদের হাসাপাতাল থেকে। ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চাকরির সুবাদে আগেও অনেক গুলিবিদ্ধের সেবা দিয়েছি। তবে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের ধরন ছিল কিছুটা ভিন্ন। তাদের গুলির নির্দেশনা ছিল ওপর থেকে নিচের দিকে। সাধারণত নির্দেশনা থাকে নিচ থেকে ওপরে বা সমান্তরাল।’

এ সাক্ষী বলেন, রোগীদের কোনো উঁচু জায়গা বা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে। কোনো কোনো আহতের মাথায় গুলি লেগে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। এছাড়া আন্দোলন চলাকালে একদিন একটি পরিবারের বাবা-ছেলে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আহতদের বেশিরভাগের বয়স ছিল ২০-৩০ বছরের মধ্যে। আন্দোলন চলাকালে ঢাকা মেডিকেলের শহীদুল্লাহ হল-সংলগ্ন গেট দিয়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে পরিচয় জানতে চাইতেন ছাত্রলীগের ছেলেরা। ছাত্র পরিচয় পেলে ঢুকতে বাধা দিতেন। এছাড়া চিকিৎসা চলাকালে ছাত্রলীগের সশস্ত্র কর্মীরা হাসপাতালে ঢুকে আহতদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতেন। তখন গুলিবিদ্ধ ছাত্ররা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার জন্য আমাদের অনুরোধ করেন।

‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) চিকিৎসকদের নিয়ে ডা. মোস্তাক বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের চিকিৎসা দিতে আমাদের অতিউৎসাহী হতে বারণ করেন আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থিত স্বাচিপের কতিপয় চিকিৎসক। তারা বলেন, এরা সন্ত্রাসী। এদের চিকিৎসা দেওয়া যাবে না। এমনকি গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের চিকিৎসা দেওয়ায় গত বছরের ২৫ জুলাই আমাদের পাঁচ ডাক্তারকে অন্যত্র বদলি করা হয়। আহতদের চিকিৎসায় বাধার উদ্দেশেই তাদের বদলি করা হয়েছে।’ এ সময় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নৃশংসতার জন্য ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দায়ী করেন এই চিকিৎসক। একই সঙ্গে সেই সময়ে আইন-শৃঙ্খলা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিতদের বিচার ও শাস্তি দাবি করেন তিনি।

গত বছর ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুল এলকায় পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ শাহারিয়ার খান আনাসের নানা সাইদুর রহমান খান তার সাক্ষ্যে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ দায়ীদের ফাঁসি দাবি করেন।

মন্তব্য

p
উপরে