× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
প্রতি জেলায় ৭ লাখ টিকা মজুত স্বাস্থ্যমন্ত্রী
google_news print-icon

প্রতি জেলায় ৭ লাখ টিকা মজুত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রতি-জেলায়-৭-লাখ-টিকা-মজুত-স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্টোরেজের খোঁজ খবর নিয়েছি। প্রতি জেলায় স্টোরিং ফ্যাসিলিটি রয়েছে। এক একটা জেলায় সাত লাখের অধিক ভ্যাকসিন ডোজ রাখতে পারব এবং প্রতিটি উপজেলায় প্রায় দুই লাখের অধিক ডোজ রাখতে পারবে।’

দেশের সব এলাকায় করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিতে প্রতি জেলায় সাত লাখ ও প্রতি উপজেলায় দুই লাখ ডোজ মজুত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে টিকা বিষয়ক এক জরুরি সভা শেষে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা স্টোরেজের খোঁজ খবর নিয়েছি। প্রতি জেলায় স্টোরিং ফ্যাসিলিটি রয়েছে। এক একটা জেলায় সাত লাখের অধিক ভ্যাকসিন ডোজ রাখতে পারব এবং প্রতিটি উপজেলায় প্রায় দুই লাখের অধিক ডোজ রাখতে পারবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, টিকা প্রয়োগে ৪২ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার। এই কর্মীদের মধ্যে ছয় জন করে মোট সাত হাজার দল গঠন করা হবে। প্রতি দিল দিনে ১৫০ জন মানুষের দেহে টিকা প্রয়োগ করতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘টিকা বিতরণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং টিকা প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকা পেতে সবাইকে নিবন্ধন করতে হবে।’

টিকা বিতরণে ফ্রন্টলাইন ফাইটার তথা ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, সাংবাদিকদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা আবারও পুনর্ব্যক্ত করলেন মন্ত্রী।

সেই সঙ্গে জানালেন, সরকার ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানালেও সেখান থেকে সরে আসা হয়েছে। ৫৫ বছর বয়সীদেরও অগ্রাধিকার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশে এরই মধ্যে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ দেশই দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানির অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা। এ ছাড়া রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না, রাশিয়ার স্পুতনিক ও চীনের সিনোভ্যাক্স টিকা।

তবে বাংলাদেশ আস্থা রাখছে অক্সফোর্ডের টিকার ওপরই। এই টিকা ভারতীয় উপমহাদেশে উৎপাদন করবে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। তাদের কাছ থেকে তিন কোটি টিকা কিনবে বাংলাদেশ।

এ জন্য ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় গত ৫ নভেম্বর, ১৩ ডিসেম্বর হয় ক্রয় চুক্তি। চুক্তির পক্ষ তিনটি- বাংলাদেশ সরকার, সিরাম ও বেক্সিমকো।

২৫ জানুয়ারির মধ্যে টিকার ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালানটি দেশে পৌঁছার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্রতি জেলায় ৭ লাখ টিকা মজুত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে করোনার টিকা সম্পর্কীত হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: নিউজবাংলা

টিকা পাওয়া নিয়ে তাই বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। জানান, ১৮ বছরের নিচে যারা, যারা খুব অসুস্থ, আর গর্ভবতী মায়েরা টিকা পাওয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়ছে। তবে প্রবাসী বাঙালি যারা দেশে আছেন, তারাও টিকা পাবে।

অক্সফোর্ডের টিকার পাশাপাশি কোভেক্স জোটের মাধ্যমে ফাইজারের আট লাখ টিকা পাওয়া যাবে বলেও জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টিকা আনতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের টিকা আনতে পারবে। সে জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে।’

মন্ত্রী জানান, সেই নীতিমালার আলোকে বেসরকারি খাত কিভাবে তাদের টিকা বিক্রি প্রয়োগ করতে পারবে তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা থাকবে। ওই নীতিমালায় কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে টিকা দেয়া হবে সেটাও জানিয়ে দেয়া হবে।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গাব্রিয়েসাস বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
টিকার অ্যাপ তৈরিতে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ের খবর ‘মনগড়া’
করোনা টিকা ভারতের দামেই পাবে বাংলাদেশ
করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রুখতে গাইডলাইন
ভারতে তিন কোটি টিকা দেয়া হবে বিনা মূল্যে
টিকা পেতে নিবন্ধন শুরু ২৬ জানুয়ারি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Rajbari DC Zahidul Islam next to the affected 4 thousand onion farmers

ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার পেঁয়াজচাষির পাশে রাজবাড়ীর ডিসি জাহিদুল ইসলাম

ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার পেঁয়াজচাষির পাশে রাজবাড়ীর ডিসি জাহিদুল ইসলাম গত রোববার রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২০০ জন, কালুখালী উপজেলায় ৩০০ জন এবং পাংশা উপজেলায় ৫০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে পুনরায় এক কেজি করে পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
জেলার হোসনাবাদ পৌরসভার প্রান্তিক কৃষক  সমশের শেখ জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এমন কৃষকবান্ধব জেলা প্রশাসক পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা আমাদের যেকোনো সমস্যা নিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে যেতে পারব বলেও তিনি আজ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’

এবার ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় চার হাজার প্রান্তিক পেঁয়াজচাষির পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

জেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী বিভিন্ন উপজেলার প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৭২৫ জন প্রান্তিক কৃষক। তাতে এ বছর পেঁয়াজ চাষ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন তারা।

রাজবাড়ী জেলা দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়। এই বছর পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ৮৫১ টন পেঁয়াজ।

গত ১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পেঁয়াজ বীজের অংকুরোদগম না হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। তার পরের দিনই ২ ডিসেম্বর জেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সভা আহ্বান করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা পেঁয়াজ বীজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলে দ্রুত সমাধান কী হতে পারে সেটাও জানতে চান জেলা প্রশাসক।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে লাল তীর কোম্পানির তাহেরপুরি বীজ স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে। সভায় আরও জানানো হয়, এই বীজের গুণগত মান ভালো।

এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আমি ৩ ডিসেম্বর একটি ৫ সদস্যের টিম গঠন করি। কমিটির প্রতিবেদনে নিয়ে সেই দিনই সচিব স্যার বরাবর এ বিষয়ে পত্র প্রেরণ করি। ৩ ডিসেম্বর প্রেরিত পত্রের প্রেক্ষিতে সচিব এবং উপদেষ্টা মহোদয় ৪ তারিখ বিকেলে রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং পাবনা জেলা প্রশাসনের সাথে জরুরি ভার্চুয়াল সভা করেন।’

এ বিষয়ে মিজানপুর ইউনিয়নের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের চার হাজার প্রান্তিক কৃষককে উন্নত জাতের প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করেছিল উপজেলা কৃষি বিভাগ।

চলতি নভেম্বরে সরকারিভাবে বিনা মূল্যে এক কেজি করে ৪ হাজার জন প্রান্তিক কৃষককে পেঁয়াজ বীজ দেয়া হয়। এই বীজ বপন, সেচ, সার, কীটনাশক ও জমি প্রস্তুত বাবদ প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছে প্রতিটি কৃষকদের, কিন্তু বীজ থেকে চারা গজায়নি। এখন নতুন করে বীজ বপন করার বেশি সময়ও বেশি নেই।

‘সব মিলিয়ে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে আমাদের কৃষককে এ বছর ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ার ঝুঁকি ছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসক নিজে উদ্যোগ নিয়ে দ্রুততার সাথে নতুন পেঁয়াজের বীজ না দিলে অনেক বেশি ক্ষতির মুখে পড়তাম।’

জেলার হোসনাবাদ পৌরসভার প্রান্তিক কৃষক সমশের শেখ জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এমন কৃষকবান্ধব জেলা প্রশাসক পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা আমাদের যেকোনো সমস্যা নিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে যেতে পারব বলেও তিনি আজ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রবি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রাজবাড়ী জেলায় ৪ হাজার জন কৃষকের মাঝে বিএডিসি থেকে প্রাপ্ত বারি পেঁয়াজ-১ জাতের বীজ ৫০০ জন, বারি পেঁয়াজ-৪ জাতের বীজ ১ হাজার জন এবং তাহেরপুরী জাতের বীজ ২ হাজার ৫০০ জনকে বিতরণ করা হয়েছিল। ওই বীজ না গজানোর কারণে তদন্তপুর্বক ৩ হাজার ৭২৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে পুনরায় লালতীর কোম্পানির তাহেরপুরী জাতের বীজ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গত রোববার রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২০০ জন, কালুখালী উপজেলায় ৩০০ জন এবং পাংশা উপজেলায় ৫০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে পুনরায় এক কেজি করে পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

বাকি পেঁয়াজ বীজ দ্রুত বিতরণ করার কথা জানান তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় গত রোববার বীজ বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

তিনি ওই সময় পেঁয়াজচাষিদের দ্রুত পেঁয়াজ রোপণ করার অনুরোধ করেন, যাতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের কোনো সংকট দেখা না দেয়।

ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজবাড়ীর উপপরিচালক ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হকসহ সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন:
হিলি দিয়ে ৬ দিনে সাড়ে ৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ঢুকল ১২৩ টন পেঁয়াজ
পেঁয়াজ আলুতে কমানো হলো শুল্ক
পেঁয়াজু শিঙাড়ায় বাজিমাত আবদুস সালামের
ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Narcotics Control Directorate case against Jamaat leader in Coxs Bazar

টেকনাফে জামায়াত নেতার নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মামলা

টেকনাফে জামায়াত নেতার নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মামলা কক্সবাজারের টেকনাফের জামায়াত নেতা মো. ইসমাইল। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, `ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হবে।’

কক্সবাজারের টেকনাফে জামায়াত নেতা মো. ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

মামলায় সরকারি কাজে বাধা, কর্মকর্তাদের মারধর ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

টেকনাফ মডেল থানায় মঙ্গলবার মামলাটি করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পৌরসভার কুলালপাড়া এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি আলমগীরের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে ডিএনসি। এ ঘটনায় আলমগীরকে আসামি করে মামলা করা হয়।

এ অভিযানের কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টেকনাফ পৌরসভার সহসভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইলের বাড়িতে আরও কিছু ইয়াবা মজুত আছে–এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযানে যায় ডিএনসি কর্মকর্তারা।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই সময় ইসমাইল অভিযানে বাধা প্রদান করেন এবং লোকজন জড়ো করে অভিযানিক টিমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ডিএনসির তিন সদস্য আহত হন। পরে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ডিএনসি অফিসে ভাঙচুর চালায়।

এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চারজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।

‘ওই কর্মকর্তারা সাদা পোশাকে এসেছিলেন। স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে তারা দ্রুত চলে যান। কারা অফিস ভাঙচুর করছে, আমার জানা নেই।’

মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিষয়টি তিনি আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন বলেও জানান।

জানতে চাইলে ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, ‘ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হবে।

‘এ ঘটনা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।’

আরও পড়ুন:
অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ: সেই কিশোরের জামিন
অস্ত্রের মুখে টেকনাফের পাহাড় থেকে দুই কৃষককে অপহরণ
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন পূরণে জামায়াত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: শফিকুর
স্কুলছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ 
মিয়ানমারে যুদ্ধবিমানের গোলা, বিকট শব্দে এপারে আতঙ্ক

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Autorickshaw crushed by truck covered van kills four

অটোরিকশায় ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের চাপা, চারজন নিহত

অটোরিকশায় ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের চাপা, চারজন নিহত প্রতীকী ছবি
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার এসআই দুলাল চন্দ্র জানান, চারজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

গাজীপুরে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের মাঝে চাপা পড়ে একটি অটোরিকশার চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বুধবার রাত ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো চারজন হলেন ছালেহা আক্তার টুকটুকি (২৬), ইমরান হাসান রাজন (৩৮), মো. মামুন (২৩) ও মো. দুলাল (৪২)।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, বুধবার রাতে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি ট্রাক ভোগড়া বাইপাস এলাকা থেকে চান্দনা চৌরাস্তাগামী যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ওই সময় সামনে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ওই অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। একপর্যায়ে অটোরিকশাটি ট্রাক ও কভার্ডভ্যানের মাঝে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই চালক নিহত হন।

অটোরিকশার তিনজন যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার এসআই দুলাল চন্দ্র জানান, চারজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন গাড়ির দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
অটোরিকশায় মাইক্রোর ধাক্কায় দুজন নিহত, তিনজন আহত
নওগাঁয় ট্রাক-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু
কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু ও নারীসহ নিহত ৫

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
VAT exemption on ship recycling yard machinery

শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের যন্ত্রপাতিতে ভ্যাট অব্যাহতি

শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের যন্ত্রপাতিতে ভ্যাট অব্যাহতি চট্টগ্রামের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সরকার বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবেশগতভাবে টেকসই অনুশীলনের উন্নয়নে শিপ-রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম করসহ ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

আদেশে বলা হয়, ‘সরকার ২০২৫ সালের ২৬ জুনের মধ্যে সব শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডকে গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে বদ্ধপরিকর। এই রূপান্তর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্জনে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত সময়ের পরে বাংলাদেশে রিসাইক্লিং করার জন্য জাহাজ আমদানি নিষিদ্ধ হবে।

‘ফলে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নম্বর আইন) এর ১২৬ ধারার উপধারা (৩) অনুযায়ী মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’

অব্যাহতির শর্তগুলো

আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি কেবল জাহাজ ভাঙা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইয়ার্ডগুলোর বিকাশের জন্য ব্যবহার করতে হবে।

কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় আমদানিকারকদের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তার কাছে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে, যন্ত্রপাতিটি কেবল এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে।

এনবিআর সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে, রেয়াতি মূল্যে আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি আমদানির পাঁচ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। এ সময়ের আগে কোনো যন্ত্রপাতি বিক্রি বা স্থানান্তর করা হলে ভ্যাট ছাড় প্রত্যাহার করা হবে এবং অগ্রিম করসহ প্রযোজ্য সব কর পরিশোধ করতে হবে।

এ ছাড়া ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তা উভয়ই জাহাজ ভাঙা ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে এককভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নির্ধারিত পাঁচ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করা হয়নি- তা নিশ্চিত করতে কমপ্লায়েন্স তদারকি করবেন।

এ ছাড়া আমদানিকারকদের ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যন্ত্রপাতি বিক্রি বা হস্তান্তর না করার অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে। ছাড়পত্রের সময় এ অঙ্গীকারনামা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন:
বাঁকখালীতে ভাসল ‘কল্প জাহাজ’
কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে 
কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজে আগুন, ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার
জাহাজে আগুন নাশকতা হতে পারে: বিএসসি
পতেঙ্গায় অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, দুজনের মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Dhaka Yamuna bridge highway with lights on vehicles even during the day 
ঘন কুয়াশা

ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কে দিনেও বাতি যানবাহনে 

ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কে দিনেও বাতি যানবাহনে  ঘুন কুয়াশায় দিনের বেলাতেও বাতি জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ছবিটি মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতীর সল্লা এলাকা থেকে তোলা। ছবি: নিউজবাংলা
যমুনা সেতু পূর্ব থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ বলেন, ‘রাত থেকেই তীব্র কুয়াশা পড়েছে। ফলে স্বাভাবিক গতির চেয়ে কিছুটা কম গতিতে যানবাহন চলাচল করছে, তবে মহাসড়কে কোনো ধরনের যানজট নেই। এ ছাড়া দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।’

কয়েক দিন ধরে অতিরিক্ত ঘনকুয়াশায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে দিনের বেলাতেও বাতি জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

এ মহাসড়কে কোনো যানজটের চিত্র না থাকলেও স্বাভাবিক গতির তুলনায় কিছুটা ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল লক্ষ করা গেছে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে মহাসড়কের যমুনা সেতু পূর্ব রেলস্টেশন, জোকারচর ও সল্লা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে ঘন কুয়াশার ফলে দিনের আলোতে লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে করে যানবাহন চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটছে না।

ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা নীলফামারীর সৈয়দপুরগামী হানিফ পরিবহনের চালক উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই খুব কুয়াশা পড়েছে। এই কুয়াশার জন্যে দূরের কিছু দেখা যায় না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাতেও লাইট জ্বালিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে কম গতিতে গাড়ি চালাচ্ছি।’

যমুনা সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ বলেন, ‘রাত থেকেই তীব্র কুয়াশা পড়েছে। ফলে স্বাভাবিক গতির চেয়ে কিছুটা কম গতিতে যানবাহন চলাচল করছে, তবে মহাসড়কে কোনো ধরনের যানজট নেই। এ ছাড়া দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।’

আরও পড়ুন:
ফিটনেসহীন যানবাহন ৬ মাসের মধ্যে অপসারণ করতে হবে: উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক সংঘের্ষ নিহত চার, আহত ১০
হাজার বছরে শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়েছে কি না, সন্দেহ মামুনুলের
ঘাটাইলে লটকনের বাণিজ্যিক চাষ
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান বাড়লেও কমেছে টোল আদায়

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Reports of attack on ISKCON in Indian media are fake CA Press Wing

ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া: সিএ প্রেস উইং

ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া: সিএ প্রেস উইং ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ ভুয়া বলে জানিয়েছে সিএ প্রেস ‍উইং। ছবি: বাসস
সিএর প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকার উত্তরা এলাকার রাধারমণ মন্দিরের (ইসকন উত্তরা) পুরোহিত কৃষ্ণ প্রিয়া নিতাই দাস বলেছেন, তিনি উত্তরা এলাকায় কোনো ইসকন ভক্ত বা সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বুধবার বলেছে, মঙ্গলবার ঢাকার উত্তরা এলাকায় একজন ইসকন সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি ভুয়া।

১০ ডিসেম্বর এবিপি আনন্দ এবং সংবাদ প্রতিদিনসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ঢাকার উত্তরায় একজন ইসকন সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে।

সিএর প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকার উত্তরা এলাকার রাধারমণ মন্দিরের (ইসকন উত্তরা) পুরোহিত কৃষ্ণ প্রিয়া নিতাই দাস বলেছেন, তিনি উত্তরা এলাকায় কোনো ইসকন ভক্ত বা সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন।’

ঢাকার পুলিশও জানিয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পায়নি।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতীয় মিডিয়া ‘ভুক্তভোগীর’ কোনো বক্তব্য বা পরিচয় প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশ পুলিশ অথবা কোনো ইসকন নেতারও বক্তব্য নেই এসব প্রতিবেদনে, যা সার্বিক বিবেচনায় খবরগুলোকে অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাংবাদিকতার নীতি বহির্ভূত হিসেবে চিহ্নিত করে।

প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশ ইসকনের কেন্দ্রীয় নেতা হৃষিকেশ গৌরাঙ্গ দাস বলেছেন, উত্তরায় সাম্প্রতিক একটি পারিবারিক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পারিবারিক বিষয়ে জড়িত যুবকরা ইসকনের সদস্য নন।

আরও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে নেই সরকার: আসিফ 
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো ছাড়া নয়াদিল্লির দ্বিতীয় চিন্তা নেই
দিল্লিকে বার্তা, ভারতে বসে হাসিনার বক্তৃতা পছন্দ করছে না ঢাকা
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
People of the country will not care about anyones bloodshed Jamaat Amir

দেশের মানুষ কারও রক্তচক্ষুর পরোয়া করবে না: জামায়াত আমির

দেশের মানুষ কারও রক্তচক্ষুর পরোয়া করবে না: জামায়াত আমির
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশ যখন পরিবর্তনের ইতিবাচক ধারায় রয়েছে তখন দেশকে অশান্ত করতে পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা দেশ-বিদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা অবশ্যই ব্যর্থ হবে।’

জাতীয় স্বার্থে দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা অবশ্যই ব্যর্থ হবে। আল্লাহ তাদেরকে ব্যর্থ করে দেবেন ইনশাআল্লাহ।

রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলানায়তনে বুধবার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বার্ষিক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের পরিচালনায় অধিবেশনে নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচনের নামে প্রহসন করায় দেশের মানুষ ভোটের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। অসংখ্য যুবক-যুবতীর বয়স হয়েছে ভোট দেয়ার। কিন্তু তারা ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচনের প্রতি তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এজন্য আমরা যৌক্তিক সময় দেয়ার পক্ষে।

‘বিলম্বিত বা দীর্ঘায়িত সময় নয়, যৌক্তিক সময় দিতে চাই। পাশাপাশি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রবাসী ভাইয়েরা আমাদের সঙ্গে সমান তালে যুদ্ধ করেছেন। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদেরকেও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশ যখন পরিবর্তনের ইতিবাচক ধারায় রয়েছে তখন লক্ষ্য করছি, দেশকে অশান্ত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা দেশ-বিদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারা সমাজকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বাংলাদেশের বিচক্ষণ দেশপ্রেমিক জনতা তাদের পালস বুঝতে পেরে তাদেরকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।

‘তাদের এই অপপ্রয়াস জাতিকে আরেকবার ঐক্যবদ্ধ হতে সহযোগিতা করেছে। এই দেশের মানুষ আর কারও কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করবে না এবং কোনো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করবে না।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ মানবিক, দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাই। সুবিচারপূর্ণ একটি সমাজ চাই। আমরা যুবকদেরকে এদেশের উন্নয়নের কারিগর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব ক্রমান্বয়ে তাদের হাতে তুলে দিতে চাই। আমরা আশাবাদী, প্রিয় দেশবাসীর সহযোগিতা পেলে একটা কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব।’

আরও পড়ুন:
দেশের আধা ইঞ্চি জায়গাও ছাড়ব না: ভারতকে জামায়াতের আমির
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন পূরণে জামায়াত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: শফিকুর
আরও ৭৫ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত সরকার
বিচারালয় চাইলে শেখ হাসিনাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন
৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন: জামায়াত আমির

মন্তব্য

p
উপরে