দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে আরও ১ হাজার ১৫৩ জন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭১৩ জনে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৮০ জনে।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৯২৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯০০টি নমুনা। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৮.৬৬ শতাংশ।
মোট শনাক্তের হার ১৭.২৮ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৭.৩৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।
বয়স বিবেচনায় মৃত ৩৮ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ১, ত্রিশোর্ধ্ব ১, চল্লিশোর্ধ্ব ৪, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৯, ষাটোর্ধ্ব ২২ ও ১০ বছরের কম বয়সী ১ শিশু রয়েছে।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় ২২, চট্টগ্রামে ৮, রাজশাহীতে ২, বরিশালে ১, সিলেটে ৩, রংপুরে ১ ও ময়মনসিংহে ১ জনের মৃত্যু হয়।
দেশে করোনা শনাক্তে পরীক্ষা শুরু হয় গত ২১ জানুয়ারি। প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। শুরুতে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও মে থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।
১১৭ দিনের মাথায় গত ৫ জুলাই রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় দেড় লাখ। দুই লাখ হতে সময় লাগে আর ১৩ দিন। এর পাঁচ সপ্তাহে রোগী বাড়ে আরও এক লাখ। ২৬ আগস্ট রোগীর সংখ্যা হয় তিন লাখ।
এরপর থেকে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে থাকে। গত ২১ সেপ্টেম্বর রোগী দাঁড়ায় সাড়ে তিন লাখ। তিন সপ্তাহে রোগী বাড়ে ৫০ হাজার।
এরপর ৫০ হাজার রোগী বাড়তে সময় লাগে আরেকটু বেশি। পাঁচ সপ্তাহে রোগী বাড়ে আরও ৫০ হাজার।
গত ২৬ অক্টোবর এ ভাইরাসে রোগী শনাক্ত সংখ্যা চার লাখ ছাড়ায়। এরপর মাত্র ২৮ দিনে আরও ৫০ হাজার রোগী বেড়ে শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়ায়।
এর ২৬ দিন পর রোগী সংখ্যা আরও ৫০ হাজার বেড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে।
নভেম্বরের শুরুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগমন ঘটে। তবে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে কি না এটার সঠিক তথ্য না থাকলেও নভেম্বরজুড়ে রোগী শনাক্তের হার বেশি ছিল। ডিসেম্বরে এই হার কিছুটা কমে আসে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬ লাখ ৯২ হাজার ৪৬৫ জন। মোট শনাক্ত হয়েছে ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার ৭০৯ জন। সুস্থ হয়েছে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৭৮ হাজার ১১জন।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাস শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম। আর মৃতের দিক থেকে ৩৩তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার (৩০ জুন) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুকের সই করা আবহাওয়ার সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত
এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব কিংবা পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে বলে বিশ্ব শান্তিসূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, বিশ্ব শান্তিসূচক সংক্রান্ত মূল রিপোর্টের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এক্সিকিউটিভ সামারি অংশে লেখা রয়েছে, হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। বিশ্ব শান্তিসূচকে বাংলাদেশ ৩৩ ধাপ পিছিয়েছে, যার অন্যতম কারণ জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের চালানো হত্যাযজ্ঞ।
রিসার্চ টিম জানায়, অনেকে এই অবনতিকে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরছেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম ও ফটোকার্ড দেখে অনেক পাঠক বিভ্রান্ত হচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ব শান্তিসূচক রিপোর্টটি এ বছর প্রকাশিত হলেও এই সূচক তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কাল বিবেচনা করে।
মূল রিপোর্টের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এক্সিকিউটিভ সামারি অংশে বাংলাদেশের সূচকের এই অবনতির কারণ হিসেবে লেখা রয়েছে, হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।
বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনোই বন্ধ হবে না বলে দাবি করেছেন জতিসংঘে দেশটির রাষ্ট্রদূত আমির-সাঈদ ইরাভানি। তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্রবিস্তাররোধ চুক্তির অধীনে শান্তিপূর্ণ জ্বালানির উদ্দেশ্যে তাদের এই প্রকল্প অনুমোদিত।
রবিবার (২৯ জুন) সিবিএস নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সমৃদ্ধকরণ আমাদের অধিকার, এটি একটি অখণ্ড অধিকার এবং আমরা এই অধিকার বাস্তবায়ন করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ইরান আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ আলোচনার নাম নয়, এটি আমাদের প্রতি একটি নীতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
তবে ইরাভানি বলেন, “তেহরান আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু এই আগ্রাসনের পর নতুন করে আলোচনা শুরুর মতো কোনো উপযুক্ত পরিবেশ নেই এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক বা আলোচনার জন্য কোনো অনুরোধও নেই।”
জাতিসংঘে ইরানের এই দূত আরও দাবি করেন, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি কিংবা সংস্থার পরিদর্শকদের প্রতি তাদের সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হুমকি নেই।
যদিও কিছু ইরানি কর্মকর্তা এই পরিদর্শকদের অভিযুক্ত করেছেন ইসরায়েলের হামলাকে যৌক্তিকতা দিতে তারা সাহায্য করছে বলে। বর্তমানে আইএইএ পরিদর্শকরা ইরানে অবস্থান করছেন, তবে তারা দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না।
জয়পুরহাটে কালাইয়ে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে ঘণ্টাব্যাপী জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। জেলার ২১টি হিমাগারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি হিমাগার এ উপজেলায় অবস্থিত। এমনিতেই আলুর দাম না থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালাই পৌরশহরে অবস্থিত আর.বি কোল্ড স্টোরেজের সামনে আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ীদের ব্যানারে মানববন্ধন শেষে সড়ক অবরোধ করে সড়কে বসে পড়েন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরবর্তীতে থানার ওসি ও ইউএনও এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রির মৌসুম পুরোদমে শুরু না হতেই ভাড়া বাড়ানো এবং বাজার অস্থিরতায় জেলার অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
কৃষক শাহাদুল ইসলাম ও আব্দুল রশিদ বলেন, এবার ৫০০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছি আর.বি কোল্ড স্টোরে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রতি বস্তা ৪৩০ টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে প্রশাসনের চাপে ৩৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী বগুড়ার হিমাগারগুলোতে প্রতি বস্তা আলু সংরক্ষণের ভাড়া প্রতি বস্তা ৩৫০-৩৬০ টাকা।
কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায় দৈনিক বাংলাকে বলেন, হিমাগারগুলো যে ভাড়া বাড়িয়েছেন তা অযৌক্তিক। মৌসুমের শুরুতে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করে গত বছরের ভাড়া পুনর্বহাল করার কথা বলা হয়েছিল এবং সবাই তা মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে হিমাগারগুলো অতিরিক্ত ভাড়া বেশি নেওয়া কাম্য নয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান দৈনিক বাংলাকে বলেন, এখন হিমাগার থেকে আলু বাহির করার মৌসুম চলছে। আমরা ইতোমধ্যে জানতে পারি আর. বি কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণের যে ভাড়া তা থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুই দফা বসা হয়েছে। গতক শনিবার দুপুরে বগুড়া-জয়পুরহাট কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের মিটিংয়ের পরে তারা সিদ্ধান্ত জানাতে চেয়েছিলেন কিন্তু তারা জানাননি।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৯২০টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়া অভিযানকালে ২৭৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত শনিবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইমামরা সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। নৈতিকতা ও আদর্শিক মূল্যবোধের বিকাশে তাদের অবদান বিশাল। জনগণের সঙ্গে তাদের সংযোগ সরাসরি। তারা সামাজিক শক্তির প্রতিভূ তাই তাদের সংগঠিত করা গেলে সমাজ পরিবর্তনের ধারাকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় হিফজুল কোরআন ও সিরাত প্রতিযোগিতা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের জাতীয় সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ হোসেন বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার (২০০১) পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৬৩ হাজার ১৯৭ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মধ্যে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ও অনুদান হিসেবে ৩৭ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং ২০ কোটি ৯১ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য এককালীন অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে বিতরণ করা হয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামের অপব্যাখ্যাকে রুখে দেওয়া, সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা এবং সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা প্রতিষ্ঠার এখন গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা চাই এক শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ- যেখানে মসজিদ হবে জ্ঞানের কেন্দ্র, ইমাম হবেন নেতৃত্বের দিশারী। প্রতি বছর আমাদের প্রতিযোগিরা আন্তর্জাতিক হিফজ ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় যে সাফল্য অর্জন করছে তা গোটা জাতির জন্য গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে-আমাদের সন্তানদের মধ্যে কোরআনের আলো জ্বলছে। এখন দরকার এই আলোর ব্যবস্থাপনা।
আর সেই কাজেই ইমামদের প্রশিক্ষণ, উৎসাহ ও অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, ড.খলিলুর রহমান মাদানী, ওলামায়ে কেরাম, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
সম্মেলনে হিফজুল কোরআন ও সিরাত প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী তিন গ্রুপের ৯ জন করে প্রতিযোগী এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ৩ জন শ্রেষ্ঠ ইমাম, বিভাগীয় পর্যায়ে ২৪ জন, জেলা পর্যায়ে ১৯২ জন ইমাম এবং ৬৪ জন শ্রেষ্ঠ খামারি ইমামকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ২ লাখ টাকা, দ্বিতীয় দেড় লাখ, তৃতীয় ১ লাখ টাকা এবং সিরাত প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার, দ্বিতীয় ৪৫ হাজার এবং তৃতীয় ৪০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ ইমাম ও খামারি ইমামদের ক্ষেত্রেও যথা নিয়মে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে সারাদেশে অনুপস্থিত ছিলেন ২২ হাজার ৩৯১ (২২,৩৯১) জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার সময় নিয়মভঙ্গের দায়ে ৪১ শিক্ষার্থী ও ১ শিক্ষকসহ মোট ৪২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পাঠানো পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
রোববার সারাদেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৫১ হাজার। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৫ (১,০৯৭,৮৭৫) জন। অর্থাৎ, অনুপস্থিতির হার প্রায় ২ শতাংশের কাছাকাছি। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ঢাকা বোর্ডে। সেখানে উপস্থিতির হার বেশ ভালো হলেও অনুপস্থিত ছিল ৩,৬৫৫ জন এবং বহিষ্কৃত হয়েছে ৮ জন।
কুমিল্লা বোর্ডে অনুপস্থিতির হার তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল—২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ৮৬ হাজার ৯৮৯ জন, যার মধ্যে ২,৬৮২ জন অনুপস্থিত ছিল এবং ২ জনকে বহিষ্কার করা হয়। দিনাজপুর, রাজশাহী, সিলেট ও কুমিল্লা বোর্ডেও অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে চট্টগ্রাম ও যশোর বোর্ডে অনুপস্থিতির হার কিছুটা কম ছিল। এছাড়া ময়মনসিংহ বোর্ডে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ শিক্ষার্থীর সঙ্গে একজন শিক্ষককেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আরবি প্রথম পত্রের (সাধারণ ও বিজ্ঞান শাখা) পরীক্ষা হয়। এ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ হাজার ৭৮৩ জন। অংশগ্রহণ করেন ৭৯ হাজার ২৯২ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৪৯১ জন। এখানে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছেন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫২ জন শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিল ২ হাজার ২ জন, এবং বহিষ্কৃত হয়েছেন ৮ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাইরে ঢাকা বোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১২ লাখ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থী। প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী। আর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় ৪৩ জনকে।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
মন্তব্য