× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
করোনাভাইরাস চীনা গবেষণা নাকচ দেশের বিজ্ঞানীদের
google_news print-icon

করোনা: বাংলাদেশ নিয়ে চীনা দাবি নাকচ বিজ্ঞানীদের

করোনা-বাংলাদেশ-নিয়ে-চীনা-দাবি-নাকচ-বিজ্ঞানীদের
চীনের একদল গবেষক সম্প্রতি দাবি করেন, ২০১৯ সালের গ্রীষ্মেই সম্ভবত করোনার জীবাণু ছড়িয়েছিল। আর সেটা ছড়িয়ে থাকতে পারে ভারত অথবা বাংলাদেশ থেকে। তবে বাংলাদেশের ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারি ঠেকাতে ব্যর্থ চীন বিশ্বের মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে।

কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী ভাইরাসটি (সার্স কভ টু) ভারত অথবা বাংলাদেশ অঞ্চলে প্রথম মানবদেহে ছড়িয়ে থাকতে পারে- চীনের একদল গবেষকের এমন দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। গবেষণার পদ্ধতি নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তাদের।

বাংলাদেশের ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদম শুরুতে মহামারি ঠেকাতে ব্যর্থ চীন এখন বিশ্বের মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে। এ জন্য বিভিন্ন সময়ে তারা বিভ্রান্তিকর গবেষণার তথ্য প্রকাশ করছে।

চীনের একদল গবেষক সম্প্রতি দাবি করেন, ২০১৯ সালের গ্রীষ্মেই সম্ভবত করোনার জীবাণু ছড়িয়েছিল। আর সেটা ছড়িয়ে থাকতে পারে ভারত অথবা বাংলাদেশ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র, গ্রিস, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, চেক রিপাবলিক, রাশিয়া ও সার্বিয়াকেও সম্ভাব্য উৎসের তালিকায় রাখা হয়েছে।

চীনা বিজ্ঞানীদের ধারণা, এসব দেশের কোনো একটি থেকে কোভিডের ভাইরাস চীনের উহানে বাহিত হয়েছে। আর উহানেই এটা প্রথম শনাক্ত হয়।

চিকিৎসা বিষয়ে বিশ্বের সবচেয়ে অভিজাত সাময়িকী ল্যানসেট-এর একটি প্রি-প্রিন্ট প্ল্যাটফর্মে গত ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত হয় গবেষণা নিবন্ধটি।

চীনের বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের জিন নিয়ে কাজ করেছেন এমন কয়েকজন গবেষকের সঙ্গে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণা নিবন্ধটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের। এর উপর ভিত্তি করে কিছু বলা যায় না।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘তারা (চীনা গবেষক দল) একটি মাত্র ফাইন্ডিংস নিয়ে কাজ করেছে। কিন্তু করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়েছে। আমরা সেগুলো অনুসন্ধান করতে চাইলে সারা পৃথিবীর সব জায়গা থেকে জেনোম সিকোয়েন্স কালেক্ট করতে হবে। এটা মিউটেশনের সংখ্যা দিয়ে হবে না। কোন পয়েন্টে এই মিউটেশন হয়েছে সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।’

চীনা গবেষকেরা বলেছেন, ‘২০১৯ সালের মে থেকে জুনের মধ্যে উত্তর-মধ্য ভারত ও পাকিস্তানে তীব্র দাবদাহ বয়ে গেছে। এর ফলে এ অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছিল। পানি সংকটের কারণে বানরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর মধ্যে খাবার পানি নিয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত শুরু হয়। এ থেকে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে সংস্পর্শের সম্ভাবনা নিশ্চিতভাবে বেড়েছে।’

তবে এই দাবিকে ‘হাস্যকর’ মনে করছেন বাংলাদেশে কোভিড ১৯ এর জন্য দায়ী ভাইরাসের প্রথম জিনরহস্য উন্মোচনকারী বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চীনের গবেষণা দল যে দাবি করছে, সেটি প্রমাণ করতে হলে তারা যে প্রাণীর নাম বলেছে সেই প্রাণীর অস্তিত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তাদের দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা ভারতে এই প্রাণী নিশ্চয়ই রয়েছে। ওখান থেকে নুমনা নিয়ে সিকোয়েন্স পরীক্ষা করতে হবে বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য।’

পুরো গবেষণা পদ্ধতিই ভুল- মন্তব্য করে এই অণুজীববিজ্ঞানী বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রায় ৫০০ জিনোম সিকোয়েন্স হয়ে গেছে। ভারতে দুই হাজারের উপরে জিনোম সিকোয়েন্স হয়েছে। পাকিস্তানেও এমন হয়েছে। সবগুলো জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই ভাইরাস চীনের উহান শহর থেকে এসেছে।’

গবেষণার পদ্ধতিগত ক্রটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘জিনোম সিকোয়েন্সের পরিবর্তন নির্ভর করে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের উপর। চীনের গবেষকেরা যে মডেল ব্যবহার করেছেন সেটির নাম হল পার্সিমন মডেল। এই মডেল আজকাল আর খুব বেশি ব্যবহার করা হয় না। এটি অনেক পুরানো একটা মডেল।

‘আমরা এখন অনেক নতুন মডেল নিয়ে কাজ করে থাকি। আমরা দেখার চেষ্টা করি একটা এন্টিবায়োটিক রেজিট্যান্স জিন বাংলাদেশে কখন এসেছে, কীভাবে এসেছে। এটা এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কেনো তারা মাত্র চার হাজার জিন নিয়ে কাজ করল বা কেনো পুরোন মডেল ব্যবহার করল সেটি ভেবে দেখার বিষয়।’

সেজুঁতির পাল্টা প্রশ্ন, ‘মাত্র চার হাজার সিকোয়েন্স নিয়ে তারা কয়টা মিউটেশন বের করতে পারবে, যেখানে লাখ লাখ সিকোয়েন্স রয়ে গেছে?

‘শুধু ভারত, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রচুর সিকোয়েন্স নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা গেছে উহান শহর থেকেই করোনার জীবাণু ছড়িয়েছে।’

বাংলাদেশে প্রথম দিকে (মার্চে) যাদের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল তাদের সবার সঙ্গে বিদেশের কোনো না কোনো সংযোগ পাওয়া গিয়েছিল বলেও মনে করিয়ে দেন সেজুঁতি সাহা। তিনি বলেন, এর মধ্যে দিয়েও প্রমাণিত হয় করোনাভাইরাসটি বাংলাদেশে প্রথম মানবদেহে সংক্রমিত হয়নি।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চীনা বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা আসলে বাস্তবে কিছুই হয়নি।

‘এটা পক্ষপাতমূলক অনেকটা। যে সিকোয়েন্সগুলা নিজেদের কাজে লাগে শুধু সেগুলোই বিশ্লেষণ করেছে তারা। জেনোম সিকোয়েন্স নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে সেখানে জানতে হবে কোন ভাইরাসের হাই মিউটেশন হয় আবার কোন ভাইরাসের স্লো মিউটেশন হয়। এটা সারা পৃথিবীতেই হচ্ছে। আর স্লোগুলোর মধ্যে সবচেয়ে স্লোগুলো নিয়ে তারা কাজ করেছে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘এই গবেষণায় কোনো বিশেষত্ব নাই, কারণ প্রত্যেক ক্ষেত্রে হোস্ট স্ট্রেস বলে একটা কথা আছে। কিছু সিকোয়েন্স পরিবর্তন হয় শুধু হোস্টের উপর নির্ভর করে। সেটা ভাইরাসের চরিত্রে কোনো প্রভাব ফেলে না।’

অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের জিন মানচিত্র করা পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চীনের গবেষণাটি তো এখন পর্যন্ত রিভিউই হয়নি। তারা যে পদ্ধতি ব্যবহার করে এই গবেষণা করেছে সেটা কতখানি ঠিক সেটাও জানার বিষয়। পদ্ধতিটা উদ্দেশ্যমূলক কিনা সে প্রশ্ন থেকে যায়।

‘আমরা তো দেশের মোট জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে দেখিনি। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জেনোম সিকোয়েন্স করেছে, তাদের কাছে আলাদা আলাদা ফলাফল আছে। সবগুলো নিয়ে বসে একসাথে যে বিশ্লেষণ করা যাবে, সেটা তো আমাদের এখানো করা হয়নি। তাই এটা নিয়ে তো হুট করে কিছু বলা যাবে না। ’

আরও পড়ুন:
নতুন বিপদ ‘লং কোভিড’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ দিন প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এছাড়া ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৮২ জন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The number of people in the dengue is increasing

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

একদিনে রেকর্ড ৪২৯ জন শনাক্ত, চলতি বছর ১০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সারা দেশে মশা নিধন কার্যক্রমের দুর্বলতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের শুরুর দিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬ এবং এপ্রিলে ৭০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে মে মাস থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে এবং জুনে এসে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। আশঙ্কার বিষয় হলো, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে, বিশেষ করে বরগুনায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২৯৬ জনে পৌঁছেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
অঞ্চলভেদে নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগীর তালিকা:

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে— বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৯ জন; চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন; ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬১ জন; ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২ জন; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৫ জন; খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১ জন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫৮ জন রোগী। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৪২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এডিস মশার বিস্তার এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, 'মে মাসের তুলনায় জুনে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ে এ সংখ্যা চার থেকে পাঁচগুণ এবং আগস্টে দশগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।'

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জনে। এর আগে ২০২৩ সালের পুরো বছরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালের পুরো বছরের (১ জানুয়ারি–৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সর্বমোট হিসাব অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৭৫ জন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The body of 20 more people in the country

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে আরও ২১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব শনাক্ত হয়েছে। তবে, নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এই সময়ের মধ্যে।

সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Dengue death of 5 more people in a day

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।

মন্তব্য

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সারাদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর সিলেট এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে করোনার আক্রমন শুরুর পর সিলেটে প্রথম এই কোন রোগী মারা গেলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৬৯ বছর বয়েসি পুরুষ ১৯ জুন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি। এছাড়া সিলেটে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহত ব‍্যক্তির বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়। তিনি করোনা ছাড়াও আরও অন‍্যান‍্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
One more death in Karona in Chittagong is the new identification

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে; গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। এ নিয়ে চলতি জুন মাসেই জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়াল।

২৮ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা সালেহা বেগম (৪০) নামে এক নারী শুক্রবার নগরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন নগরের এবং দুজন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে নগরের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চারজন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে চলতি জুন মাসে মোট ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৬৩ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Two more deaths in Barisal Dengue

বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

নতুন আক্রান্ত ১০৫
বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

মশাবাহীত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের দুই জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় গোটা বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৫ জন আক্রান্ত রোগী। এ নিয়ে বর্তমানে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন। মৃত্যুবরণ করা দুজন হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আ. করিম (৫০) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রাজপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ খন্দকার (৭২)। এর মধ্যে আ. করিম বরিশাল শেরইবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ও বৃদ্ধ মো. ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হবে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন।

বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত ১১ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু মৃত্যুই নয় এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি, বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে