× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

করোনার টিকার প্রয়োগ কবে

করোনার-টিকার-প্রয়োগ-কবে
বিষয়টি পরিষ্কার যে, স্বাভাবিক সময়ে নেই বিশ্ব। এই রোগের প্রতিষেধক উদ্ভাবনেও উঠেপড়ে লেগেছে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। চলমান মহামারি এক বছর পার না হতেই মনে হচ্ছে, কার্যকরী টিকা খুব দূরে নেই।

কোনো রোগের টিকা উদ্ভাবন দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়া। সাধারণ পরিস্থিতিতে কোনো টিকা অনুমোদন, বাজারে ছাড়া ও বিতরণের স্তরে আসতে লেগে যায় ১০ থেকে ১৫ বছর সময়।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ার শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন মহামারি বিশারদরা। অতি ছোঁয়াচে এই ভাইরাসে এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের।

বিষয়টি পরিষ্কার যে, স্বাভাবিক সময়ে নেই বিশ্ব। এই রোগের প্রতিষেধক উদ্ভাবনেও উঠেপড়ে লেগেছে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। চলমান মহামারি এক বছর পার না হতেই মনে হচ্ছে, কার্যকরী টিকা খুব দূরে নেই।

নভেম্বরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ওষুধ কোম্পানির ঘোষণা করোনা প্রতিরোধ নিয়ে আশার সঞ্চার করেছে।

তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে ফাইজার জানায়, করোনা প্রতিরোধে তাদের উদ্ভাবিত টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকর।

সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রতিষ্ঠান মডার্না জানায়, তাদের টিকা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে মানুষকে রক্ষায় প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর।

ফাইজার এরই মধ্যে তাদের টিকা নিয়ে চূড়ান্ত বিশ্লেষণ সম্পন্ন করেছে। তাতে দেখানো হয়, প্রতিষ্ঠানটির করোনা টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর। ‘কয়েক দিনের’ মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে বলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, একটি টিকা উদ্ভাবন ও অনুমোদন কেবল একটি চ্যালেঞ্জের অর্ধেক। এরপর আসছে আরও কঠিন কাজ—টিকা বিতরণ ও জনসাধারণের দোড়গোড়ায় পৌঁছানো। আর এসব চ্যালেঞ্জ জানান দিচ্ছে, চলমান মহামারির লাগাম এখনই টানা যাচ্ছে না।

বেশ কয়েকজন শীর্ষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ২০২১ সালের শীত পর্যন্ত মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি চালিয়ে যেতে হতে পারে।

করোনার টিকার প্রয়োগ কবে

টিকার বর্তমান অবস্থা

নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ৫৪টি করোনা টিকার পরীক্ষা চলছে মনুষ্য শরীরে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র দুটি টিকা অনুমোদন পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে।

ফাইজার: ৯ নভেম্বর আশাব্যঞ্জক এক ঘোষণা নিয়ে আসে ফাইজার। তারা জানায়, জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়ো-এনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ভাবিত টিকা আগে আক্রান্ত হয়নি এমন লোকজনকে ৯০ শতাংশের বেশি নিরাপদ রাখতে পারে।

টিকাটি ২১ দিনের ব্যবধানে নিতে হয় দুই ডোজ। প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ৯০ শতাংশ কার্যকারিতার খবর দেয়ার পর ১৮ নভেম্বর ট্রায়ালের চূড়ান্ত বিশ্লেষণের তথ্য জানায় ফাইজার।

কোম্পানিটির ঘোষণায় বলা হয়, টিকাটি হালকা ও গুরুতর পর্যায়ের সংক্রমণ রোধে ৯৫ শতাংশ কার্যকর। কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও তৈরি করে না।

এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিস্তৃত প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে থাকা বয়স্কদের ক্ষেত্রেও টিকাটি ৯৪ শতাংশ কার্যকর। টিকা ব্যবহারের অনুমতি পেতে দ্রুতই এফডিএর অনুমতি চাওয়া হবে বলে ফাইজার থেকে জানানো হয়।

মডার্না: ১৬ নভেম্বর মডার্না এক ঘোষণায় জানায়, গবেষণায় দেখা গেছে তাদের টিকা করোনা রোধে ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর। চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ নিতে হয় এই টিকা। যদিও এটির ট্রায়াল এখনও শেষ হয়নি।

এই টিকার ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের করোনা মহামারি মোকাবিলাবিষয়ক টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, ‘আমি আগে থেকেই বলছিলাম, ৭৫ শতাংশ কার্যকর কোনো টিকা পেলেই আমি সন্তুষ্ট থাকব।

‘উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বললে, আপনারা হয়তো ৯০, ৯৫ শতাংশ কার্যকর টিকা দেখতে চাইবেন। তবে আমি এমনটা প্রত্যাশা করছি না।’

এ ছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের করোনা টিকা পাইপলাইনে আছে। টিকা উদ্ভাবন প্রতিযোগিতায় ফাইজার ও মডার্নার খানিক পরই রয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন, সানোফি অ্যান্ড জিএসকে, নোভাভ্যাক্স ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার অবস্থান।

একাধিক টিকা পাওয়া যাবে?

বিশ্বজুড়ে করোনার যে বিস্তৃতি, তাতে একাধিক টিকার প্রয়োজনের প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বেথ ইসরায়েল ডেকোনেস মেডিক্যাল সেন্টারের ভাইরাস ও টিকা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. ড্যানিয়েল ব্যারোচ বলেন, ‘বিশ্বে ৭০০ কোটি মানুষ। তাই সফল হওয়ার জন্য আমাদের একাধিক টিকা প্রয়োজন। এটা কেবল টিকা উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরেকটি টিকা উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতা নয়। এটা বৈশ্বিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা।

‘সকল টিকা উদ্ভাবকদের আমি বলব, আমরা চাই সবগুলো প্রকল্পই সফল হোক।’

মডার্না ও ফাইজারের সামনের বাধা

কার্যকারিতার প্রমাণ দিতে পারায় জরুরি ব্যবহারের জন্য প্রতিষ্ঠান দুটির টিকা এখন অবশ্যই অনুমোদন দেবে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও মানবসেবাবিষয়ক মন্ত্রী অ্যালেক্স অ্যাজার সিএনবিসিকে জানান, উভয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে তার দফতর। অপ্রয়োজনীয় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সে ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

এরপরও কিছু চ্যালেঞ্জ থেকে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু অঙ্গরাজ্য আছে, যেখানে করোনার টিকার প্রতি তেমন আস্থাই নেই। টিকা সম্পর্কে সেসব এলাকায় আস্থা ফেরানোটা কঠিনই হবে বৈকি।

এ ছাড়া এফডিএ অনুমোদিত কোনো টিকার জন্য ভ্যাট না দেয়ার ব্যাপারে অনেক গভর্নর এরই মধ্যে জোট বেঁধেছেন বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

টিকা নিয়ে ফেডারেল সরকার ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের জানাশোনার ব্যাপারটি এখনও যথাযথভাবে শেষ হয়নি। এসব কারণেও টিকা জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্বাস্থ্য ও জনসেবা বিভাগের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ পল ম্যাঙ্গো বলেন, ‘কোনো অঙ্গরাজ্য যদি বাধা আরোপ করে, তাহলে খুব ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের টিকা পেতেও দেরি হবে।’

করোনার টিকার প্রয়োগ কবে

প্রথমে টিকা পাবে কারা?

টিকার খবর আসার পর কাদের ওপর আগে প্রয়োগ করা হবে, এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বেশ কিছু সংস্থা। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তরও পাওয়া যায়নি।

তবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চারটি গ্রুপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। এতে প্রথমেই রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপরই রয়েছেন অতি প্রয়োজনীয় দায়িত্বে নিযুক্ত কর্মীরা। এরপর বৃদ্ধ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতায় শয্যাশায়ীরা।

শিশুদের ক্ষেত্রে কী হবে?

প্রকৃতিগভাবে পর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকার কারণে শিশুদের ক্ষেত্রে টিকার সাড়াটা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো পাওয়া যায় না। ফলে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠাগুলোও ট্রায়ালে শিশুদের রাখেনি।

অবশ্য অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই বলছে, শিশুদের জন্যও টিকা উদ্ভাবনের ইচ্ছা আছে তাদের। তাই ২০২১ সালের শেষ নাগাদ শিশুদের জন্য করোনার টিকা পাওয়া যাবে কি না, তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

ব্যাপকভাবে টিকা বিতরণ কবে

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের জুনের মধ্যেই করোনার টিকা পেয়ে যেতে পারে প্রত্যেক আমেরিকান।

তবে বিতরণ প্রক্রিয়াটা সহজ হবে না। বিশেষ ক্ষেত্রে ফাইজারের টিকা বিতরণ বেশি কঠিন হবে।

ফাইজার ও মডার্না ‘এমআরএনএ’ জেনেটিক কোড ব্যবহার করলেও প্রথম কোম্পানিটির টিকা সংরক্ষণ প্রক্রিয়াটা জটিল।

টিকাটি মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার বিশেষায়িত ডিপ ফ্রিজ স্যুটকেসে বহন করতে হবে ফাইজারের টিকা। স্যুটকেস দিনে খোলা যাবে দুবার। তবে কোনোবারই ১৮০ সেকেন্ডের বেশি খোলা অবস্থায় রাখা যাবে না।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী সরবরাহ প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ারের পরিচালক সুমি সাহা সিবিসিকে বলেন, ‘বাস্তবতা হলো কোনো ওষুধ সংরক্ষণে এমন তাপমাত্রার প্রয়োজন পড়েনি।’

তার মতে, গ্রামাঞ্চলের যেসব হাসপাতাল টিকা সংগ্রহ ও সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম নয়, সেসব এলাকার লাখ লাখ মানুষের কাছে টিকা পৌঁছানোটা ‘যৌক্তিকভাবেই দুঃস্বপ্ন’।

মডার্নার টিকাটিও হিমায়িত জাহাজে বহন করতে হবে। তবে বিষয়টি ফাইজারের টিকার মতো দুরূহ হবে না। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রাতেই মডার্নার টিকা বহন করা যাবে।

টিকার দাম কেমন হবে?

বিষয়টি নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে করোনাভাইরাস সংকট নিয়ন্ত্রণে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া ‘অপারেশন র‌্যাপ স্পিড’-এ বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে টিকা কেনার পর তা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বিনা মূল্যে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন:
এবার ‘৯৪% কার্যকর’ টিকা আনার দাবি ফাইজারের
করোনা: টিকার লড়াইয়ে জিতবে কে
‘দ্রুত’ অ্যান্টিবডি তৈরি করে সিনোভ্যাকের টিকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Mass graves found in two Gaza hospitals

গাজার দুই হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান

গাজার দুই হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, ‘গাজা শহরের আল শিফা মেডিক্যাল সেন্টার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল ধ্বংস এবং ইসরায়েলিরা চলে যাওয়ার পর ওইসব স্থাপনার আশপাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবরে আমি আতঙ্কিত।’

ইসরায়েলি সৈন্যরা অভিযান চালিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা গাজার দুটি প্রধান হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। সেসব গণকবরের স্পষ্ট, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বস্ত তদন্তকারীদের অবশ্যই স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে। গাজার প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য আরও সাংবাদিকদের নিরাপদে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, ‘গাজা শহরের আল শিফা মেডিক্যাল সেন্টার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল ধ্বংস এবং ইসরায়েলিরা চলে যাওয়ার পর ওইসব স্থাপনার আশপাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবরে আমি আতঙ্কিত।’

এই হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দায়মুক্তির বিদ্যমান পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে এতে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’

ভলকার তুর্ক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে হাসপাতালগুলো বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী। আর যুদ্ধে অংশ নিতে অক্ষম এমন বেসামরিক নাগরিক, বন্দি ও অন্যদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা যুদ্ধাপরাধ।’

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল হাসপাতালগুলোতে গণকবরের খবরকে অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইসরায়েলি সরকারের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন।

আরও পড়ুন:
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার
ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের
ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Mass arrests at various US universities as protests spread
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্যাম্প স্থাপন করে বিক্ষোভ চলছে। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি হামলা-হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে কলাম্বিয়া, এনওয়াইইউ, ইয়েল, বার্কলের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান, এমারসন কলেজ এবং টাফ্টসে ক্যাম্প স্থাপন করে বিক্ষোভ হয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ থামাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে প্রশাসন।

নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে (এনওয়াইইউ) বিক্ষোভকারীদের একটি ক্যাম্প ভাঙতে সোমবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দিনের শুরুতে ইয়েল থেকে বহুসংখ্যক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি সশরীরে ক্লাস বাতিল করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে ইহুদি-বিদ্বেষ ছড়ানোর উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এনওয়াইইউ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

গাজার শাসক দল হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালানোর পর সাঁড়াশি হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেই থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিক্ষোভ ও উত্তপ্ত বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বেড়েই চলেছে।

উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরাই বলছেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি-বিদ্বেষ ও ইসলাম-বিদ্বেষ উভয় ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ গত সপ্তাহে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডেকে এনে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করার পর এই বিক্ষোভ-আন্দোলনের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।

এরপর থেকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। এনওয়াইইউ এবং ইয়েল ছাড়াও বার্কলের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি), ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান, এমারসন কলেজ এবং টাফ্টসে ক্যাম্প স্থাপন করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা-হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

অন্যান্য বিক্ষোভকারীর মতো এনওয়াইইউ-এর বিক্ষোভকারীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে ইসরায়েলি দখলদারত্বে আগ্রহী অস্ত্র প্রস্তুতকারক এবং সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আর্থিক অনুদান না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আলেহান্দ্রো তানন নামের এক শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি সংকটময় মুহূর্তে রয়েছে। এই বিক্ষোভ ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও সাউথ আফ্রিকার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনীয়।’

এক বিক্ষোভকারী সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘আমরা প্যালেস্টাইনের পাশে আছি এবং সব মানুষের মুক্তির পক্ষে।’

এনওয়াইইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিজনেস স্কুলের বাইরে মূল ক্যাম্পে ৫০ জন ছিল। তারা এই বিক্ষোভকে অননুমোদিত বলে বর্ণনা করে বলেছে, এর ফলে ক্লাস ব্যাহত হচ্ছে।

সোমবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার শুরু করে। তবে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে কানেক্টিকাটের নিউ হ্যাভেনের ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল। তাদের অনেকেই বিক্ষোভস্থল থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।

সোমবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষার্থীদের ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানিমূলক আচরণের উল্লেখ করে ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। সেখানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন:
ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের
ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর
পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Iran has a strong message to Israel not to make mistakes again

ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের

ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটি লাহোরে (জিসিইউএল) মঙ্গলবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সংস্কৃতি ও শিক্ষাঙ্গনের প্রভাবশালীদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: প্রেস টিভি
ইসরায়েলকে ফের ভুল না করার বিষয়ে সতর্ক করে রাইসি বলেন, ‘জায়নবাদী সরকার যদি আরেকবার ভুল করে ইরানের মাটিতে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে এবং এই শাসনব্যবস্থার কতটা অবশিষ্ট থাকবে, তা পরিষ্কার নয়।’

ইরানের মাটিতে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, আরেকবার ‘ভুল’ করলে তেহরানের জবাব হবে বিপর্যয়কর।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটি লাহোরে (জিসিইউএল) মঙ্গলবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সংস্কৃতি ও শিক্ষাঙ্গনের প্রভাবশালীদের সঙ্গে বৈঠকে রাইসি এ বার্তা দেন বলে জানায় প্রেস টিভি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, বক্তব্যে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে সম্প্রতি ইসরায়েলের মাটিতে তেহরানের আক্রমণের বিষয়টি তুলে ধরেন রাইসি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, দামেস্কে ইসরায়েলের হামলাটি ছিল সব আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের বিরোধী। এ কারণে ইসরায়েলকে শাস্তি দিয়েছে ইরান।

ইসরায়েলকে ফের ভুল না করার বিষয়ে সতর্ক করে রাইসি বলেন, ‘জায়নবাদী সরকার যদি আরেকবার ভুল করে ইরানের মাটিতে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে এবং এই শাসনব্যবস্থার কতটা অবশিষ্ট থাকবে, তা পরিষ্কার নয়।’

গত ১৩ এপ্রিল ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’ নামে অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক শ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ ভূপাতিত করে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এ কাজে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র রাষ্ট্রগুলো।

আরও পড়ুন:
ইরানে হামলার খবরে পুঁজিবাজারে ধস, তেলের দামে উল্লম্ফন
ইসরায়েলের তিন ড্রোন ভূপাতিত: ইরান
ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ: প্রতিবেদন
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Biggest post election challenge in India Unemployment Survey

ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ

ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ ভারতের দিল্লিতে পণ্যবাহী গাড়ি টেনে নিচ্ছেন এক শ্রমিক। ছবি: রয়টার্স
গত ১৬ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬ জন অর্থনীতিবিদের ওপর জরিপ চালায় রয়টার্স, যাদের মধ্যে ১৫ জনই বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সরকারের জন্য বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হবে বেকারত্ব।

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসা সরকারের জন্য বেকারত্ব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

বার্তা সংস্থাটি অর্থনীতিবিদদের ওপর চালানো জরিপের ফল বুধবার এক প্রতিবেদনে তুলে ধরে।

জরিপে অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদদের আশা, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বড় অর্থনীতিগুলোর ‍তুলনায় দ্রুততম গতিতে ভারতের প্রবৃদ্ধি হলেও বিপুল ও ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি।

গত ১৬ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬ জন অর্থনীতিবিদের ওপর জরিপ চালায় রয়টার্স, যাদের মধ্যে ১৫ জনই বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সরকারের জন্য বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হবে বেকারত্ব।

অন্যদিকে আট অর্থনীতিবিদ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটির গ্রামাঞ্চলে ভোগকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন। অন্যদিকে দুজন অর্থনীতিবদ মূল্যস্ফীতি এবং একজন দারিদ্র্যকে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দল বিজেপি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল। চলতি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারে দলটি।

বিজেপির প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেকারত্বের হার পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে না।

আরও পড়ুন:
ভারতীয় পণ্য বর্জন বাস্তবসম্মত কি না, প্রশ্ন কাদেরের
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের সময় পাশে ছিল ভারত: কাদের
বিহারে নির্মাণাধীন সেতু ধসে একজন নিহত
দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার
গুজরাটে ‘তারাবির নামাজ পড়ায়’ হামলা, আহত ৫ বিদেশি ছাত্র

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Hizbollah attacks deep into Israel

ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর

ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর ইসরায়েলি হামলায় এক যোদ্ধা নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ইসরায়েলে হামলাটি চালানো হয় বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। ছবি: এএফপি
হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানায়, ফাঁদ সৃষ্টিকারী ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে আকাশপথ থেকে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল একর ও নাহারিয়ার মধ্যবর্তী ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি।

ইসরায়েলের একর শহরের উত্তরে দেশটির ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের এত ভেতরে এটিই হিজবুল্লাহর প্রথম হামলা।

হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানায়, ফাঁদ সৃষ্টিকারী ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে আকাশপথ থেকে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল একর ও নাহারিয়ার মধ্যবর্তী ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি।

ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির ভাষ্য, ইসরায়েলি হামলায় তাদের এক যোদ্ধা নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ইসরায়েলে হামলাটি চালানো হয়।

হামলার একটি ছবি প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ, যেটি দৃশ্যত স্যাটেলাইট চিত্র। এতে হামলাস্থল চিহ্নিত করা হয়েছে লাল দাগ দিয়ে।

হিজবুল্লাহর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের কোনো স্থাপনায় হিজবুল্লাহর হামলার বিষয়ে তথ্য নেই।

এর আগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের কাছে ‘আকাশপথে আসা দুটি লক্ষ্য’ প্রতিহত করা হয়েছে।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হানিনে আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত ও ছয়জন আহত হন।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলের তিন ড্রোন ভূপাতিত: ইরান
ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ: প্রতিবেদন
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা
হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা আহত

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
10 killed in mid air collision between two planes in Malaysia

মালয়েশিয়ার আকাশে দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, নিহত ১০

মালয়েশিয়ার আকাশে দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, নিহত ১০
রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজের জন্য একটি সামরিক মহড়া চলাকালীন মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর ওই দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়।

মালয়েশিয়ায় একটি সামরিক মহড়ার সময় মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর দুটি উড়োজাহাজের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলভার সাড়ে ৯টার দিকে মালয়েশিয়ার লুমু শহরে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

প্রতিবেদন বলছে, রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজের জন্য একটি সামরিক মহড়া চলাকালীন মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর ওই দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়। পরে বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায় বাহন দুটি। কেউই বেঁচে নেই।

নানা মাধ্যমে এর ফুটেজও প্রকাশিত হয়েছে।

রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই ১০ জনকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। লুমুত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মরদেহ শনাক্তের জন্য। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

যে দুটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে এর মধ্যে একটি হলো এইচওএম এম৫০৩-৩। এতে সাতজন আলোরী ছিলেন। চলমান ট্র্যাকে বিধ্বস্ত হয়েছে এই উড়োজাহাজটি। অন্যটি ফেনেক এম৫০২-৬। এতে ছিলেন তিনজন আরোহী। এটি বিধ্বস্ত হয় কাছাকাছি একটি সুইমিং পুলে।

রাজ্যের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার বিষয়য়ে সতর্ক করা হয়েছিল।

এর আগে গত মার্চ মাসে একটি মালয়েশিয়ান কোস্ট গার্ড উড়োজাহাজ প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় মালয়েশিয়ার আংসা দ্বীপের কাছে সাগরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনার পর পাইলট, কো-পাইলট এবং এতে থাকা দুই যাত্রীকে জেলেরা উদ্ধার করেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Taiwan was shaken by more than 80 earthquakes

ভূমিকম্পে ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান

ভূমিকম্পে ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান গত ৩ এপ্রিল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল। ছবি: এপি
১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত আনে। এতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যায়।

এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্পে দফায় দফায় কেঁপে উঠল তাইওয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এসব কম্পন অনুভূত হয়।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তীব্রতার ভূমিকম্পের উৎপত্তি পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েনে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশিমক ৩।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসনের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে প্রথম যে ভূমিকম্প আঘাত হানে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশিমক ৫। রাজধানী তাইপেতেও এ কম্পন অনুভূত হয়। এরপর দফায় দফায় কম্পন অনুভূত হতে থাকে। বিশেষ করে মঙ্গলবার সকালে আঘাত হানা দুটি ভূমিকম্প ছিল তীব্র।

রিখটার স্কেলে প্রথমটির তীব্রতা ছিল ৬.০ এবং দ্বিতীয়টির ৬.৩।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল। এতে অন্তত ১৭ জন মারা গেছে। অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

তীব্র এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে।

তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত আনে। তাতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যায়।

এদিকে নতুন এ ভূমিকম্পের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপক দলকে পাঠানো হয়েছে।
কেউ হতাহত হয়নি বলে তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বলে তাইওয়ানে ঘন ঘন ভূমিকম্প আঘাত হানে।

আরও পড়ুন:
মৃদু ভূমিকম্পে কাঁপল চুয়াডাঙ্গা
চীনে আঘাত হানল ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
জাপানে ভূমিকম্পে নিহত ৩০, চলছে উদ্ধারকাজ
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
চীনে ভূমিকম্পে নিহত শতাধিক

মন্তব্য

p
উপরে