কোনো রোগের টিকা উদ্ভাবন দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়া। সাধারণ পরিস্থিতিতে কোনো টিকা অনুমোদন, বাজারে ছাড়া ও বিতরণের স্তরে আসতে লেগে যায় ১০ থেকে ১৫ বছর সময়।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ার শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন মহামারি বিশারদরা। অতি ছোঁয়াচে এই ভাইরাসে এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের।
বিষয়টি পরিষ্কার যে, স্বাভাবিক সময়ে নেই বিশ্ব। এই রোগের প্রতিষেধক উদ্ভাবনেও উঠেপড়ে লেগেছে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। চলমান মহামারি এক বছর পার না হতেই মনে হচ্ছে, কার্যকরী টিকা খুব দূরে নেই।
নভেম্বরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ওষুধ কোম্পানির ঘোষণা করোনা প্রতিরোধ নিয়ে আশার সঞ্চার করেছে।
তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে ফাইজার জানায়, করোনা প্রতিরোধে তাদের উদ্ভাবিত টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকর।
সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রতিষ্ঠান মডার্না জানায়, তাদের টিকা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে মানুষকে রক্ষায় প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
ফাইজার এরই মধ্যে তাদের টিকা নিয়ে চূড়ান্ত বিশ্লেষণ সম্পন্ন করেছে। তাতে দেখানো হয়, প্রতিষ্ঠানটির করোনা টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর। ‘কয়েক দিনের’ মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে বলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, একটি টিকা উদ্ভাবন ও অনুমোদন কেবল একটি চ্যালেঞ্জের অর্ধেক। এরপর আসছে আরও কঠিন কাজ—টিকা বিতরণ ও জনসাধারণের দোড়গোড়ায় পৌঁছানো। আর এসব চ্যালেঞ্জ জানান দিচ্ছে, চলমান মহামারির লাগাম এখনই টানা যাচ্ছে না।
বেশ কয়েকজন শীর্ষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ২০২১ সালের শীত পর্যন্ত মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি চালিয়ে যেতে হতে পারে।
টিকার বর্তমান অবস্থা
নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ৫৪টি করোনা টিকার পরীক্ষা চলছে মনুষ্য শরীরে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র দুটি টিকা অনুমোদন পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
ফাইজার: ৯ নভেম্বর আশাব্যঞ্জক এক ঘোষণা নিয়ে আসে ফাইজার। তারা জানায়, জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়ো-এনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ভাবিত টিকা আগে আক্রান্ত হয়নি এমন লোকজনকে ৯০ শতাংশের বেশি নিরাপদ রাখতে পারে।
টিকাটি ২১ দিনের ব্যবধানে নিতে হয় দুই ডোজ। প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ৯০ শতাংশ কার্যকারিতার খবর দেয়ার পর ১৮ নভেম্বর ট্রায়ালের চূড়ান্ত বিশ্লেষণের তথ্য জানায় ফাইজার।
কোম্পানিটির ঘোষণায় বলা হয়, টিকাটি হালকা ও গুরুতর পর্যায়ের সংক্রমণ রোধে ৯৫ শতাংশ কার্যকর। কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও তৈরি করে না।
এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিস্তৃত প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে থাকা বয়স্কদের ক্ষেত্রেও টিকাটি ৯৪ শতাংশ কার্যকর। টিকা ব্যবহারের অনুমতি পেতে দ্রুতই এফডিএর অনুমতি চাওয়া হবে বলে ফাইজার থেকে জানানো হয়।
মডার্না: ১৬ নভেম্বর মডার্না এক ঘোষণায় জানায়, গবেষণায় দেখা গেছে তাদের টিকা করোনা রোধে ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর। চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ নিতে হয় এই টিকা। যদিও এটির ট্রায়াল এখনও শেষ হয়নি।
এই টিকার ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের করোনা মহামারি মোকাবিলাবিষয়ক টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, ‘আমি আগে থেকেই বলছিলাম, ৭৫ শতাংশ কার্যকর কোনো টিকা পেলেই আমি সন্তুষ্ট থাকব।
‘উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বললে, আপনারা হয়তো ৯০, ৯৫ শতাংশ কার্যকর টিকা দেখতে চাইবেন। তবে আমি এমনটা প্রত্যাশা করছি না।’
এ ছাড়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের করোনা টিকা পাইপলাইনে আছে। টিকা উদ্ভাবন প্রতিযোগিতায় ফাইজার ও মডার্নার খানিক পরই রয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন, সানোফি অ্যান্ড জিএসকে, নোভাভ্যাক্স ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার অবস্থান।
একাধিক টিকা পাওয়া যাবে?
বিশ্বজুড়ে করোনার যে বিস্তৃতি, তাতে একাধিক টিকার প্রয়োজনের প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বেথ ইসরায়েল ডেকোনেস মেডিক্যাল সেন্টারের ভাইরাস ও টিকা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. ড্যানিয়েল ব্যারোচ বলেন, ‘বিশ্বে ৭০০ কোটি মানুষ। তাই সফল হওয়ার জন্য আমাদের একাধিক টিকা প্রয়োজন। এটা কেবল টিকা উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরেকটি টিকা উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতা নয়। এটা বৈশ্বিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
‘সকল টিকা উদ্ভাবকদের আমি বলব, আমরা চাই সবগুলো প্রকল্পই সফল হোক।’
মডার্না ও ফাইজারের সামনের বাধা
কার্যকারিতার প্রমাণ দিতে পারায় জরুরি ব্যবহারের জন্য প্রতিষ্ঠান দুটির টিকা এখন অবশ্যই অনুমোদন দেবে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও মানবসেবাবিষয়ক মন্ত্রী অ্যালেক্স অ্যাজার সিএনবিসিকে জানান, উভয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে তার দফতর। অপ্রয়োজনীয় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সে ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
এরপরও কিছু চ্যালেঞ্জ থেকে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু অঙ্গরাজ্য আছে, যেখানে করোনার টিকার প্রতি তেমন আস্থাই নেই। টিকা সম্পর্কে সেসব এলাকায় আস্থা ফেরানোটা কঠিনই হবে বৈকি।
এ ছাড়া এফডিএ অনুমোদিত কোনো টিকার জন্য ভ্যাট না দেয়ার ব্যাপারে অনেক গভর্নর এরই মধ্যে জোট বেঁধেছেন বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
টিকা নিয়ে ফেডারেল সরকার ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের জানাশোনার ব্যাপারটি এখনও যথাযথভাবে শেষ হয়নি। এসব কারণেও টিকা জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্বাস্থ্য ও জনসেবা বিভাগের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ পল ম্যাঙ্গো বলেন, ‘কোনো অঙ্গরাজ্য যদি বাধা আরোপ করে, তাহলে খুব ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের টিকা পেতেও দেরি হবে।’
প্রথমে টিকা পাবে কারা?
টিকার খবর আসার পর কাদের ওপর আগে প্রয়োগ করা হবে, এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বেশ কিছু সংস্থা। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তরও পাওয়া যায়নি।
তবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চারটি গ্রুপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। এতে প্রথমেই রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপরই রয়েছেন অতি প্রয়োজনীয় দায়িত্বে নিযুক্ত কর্মীরা। এরপর বৃদ্ধ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতায় শয্যাশায়ীরা।
শিশুদের ক্ষেত্রে কী হবে?
প্রকৃতিগভাবে পর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকার কারণে শিশুদের ক্ষেত্রে টিকার সাড়াটা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো পাওয়া যায় না। ফলে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠাগুলোও ট্রায়ালে শিশুদের রাখেনি।
অবশ্য অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই বলছে, শিশুদের জন্যও টিকা উদ্ভাবনের ইচ্ছা আছে তাদের। তাই ২০২১ সালের শেষ নাগাদ শিশুদের জন্য করোনার টিকা পাওয়া যাবে কি না, তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
ব্যাপকভাবে টিকা বিতরণ কবে
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের জুনের মধ্যেই করোনার টিকা পেয়ে যেতে পারে প্রত্যেক আমেরিকান।
তবে বিতরণ প্রক্রিয়াটা সহজ হবে না। বিশেষ ক্ষেত্রে ফাইজারের টিকা বিতরণ বেশি কঠিন হবে।
ফাইজার ও মডার্না ‘এমআরএনএ’ জেনেটিক কোড ব্যবহার করলেও প্রথম কোম্পানিটির টিকা সংরক্ষণ প্রক্রিয়াটা জটিল।
টিকাটি মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার বিশেষায়িত ডিপ ফ্রিজ স্যুটকেসে বহন করতে হবে ফাইজারের টিকা। স্যুটকেস দিনে খোলা যাবে দুবার। তবে কোনোবারই ১৮০ সেকেন্ডের বেশি খোলা অবস্থায় রাখা যাবে না।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী সরবরাহ প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ারের পরিচালক সুমি সাহা সিবিসিকে বলেন, ‘বাস্তবতা হলো কোনো ওষুধ সংরক্ষণে এমন তাপমাত্রার প্রয়োজন পড়েনি।’
তার মতে, গ্রামাঞ্চলের যেসব হাসপাতাল টিকা সংগ্রহ ও সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম নয়, সেসব এলাকার লাখ লাখ মানুষের কাছে টিকা পৌঁছানোটা ‘যৌক্তিকভাবেই দুঃস্বপ্ন’।
মডার্নার টিকাটিও হিমায়িত জাহাজে বহন করতে হবে। তবে বিষয়টি ফাইজারের টিকার মতো দুরূহ হবে না। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রাতেই মডার্নার টিকা বহন করা যাবে।
টিকার দাম কেমন হবে?
বিষয়টি নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে করোনাভাইরাস সংকট নিয়ন্ত্রণে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া ‘অপারেশন র্যাপ স্পিড’-এ বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে টিকা কেনার পর তা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বিনা মূল্যে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন:ফিলিপাইনের দক্ষিণের মিন্দানাও অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর মিন্দানাও দ্বীপে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ফিলিপাইনের হিনাতুয়ান শহরের ২১ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। ভূপৃষ্ঠের ৩২ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।
অন্যদিকে, মিন্দানাওয়ে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি)। তাদের তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৩ কিলোমিটার গভীরে।
ফিলিপাইনের উপকূলীয় শহর হিনাতুয়ানের পুলিশ প্রধান রেমার্ক জেনতালান বলেছেন, ভূমিকম্পের পর শহর এবং আশেপাশের এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল এখনও কোথাও হতাহত হওয়া বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পায়নি।
ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনের সিসমোলজিক্যাল এজেন্সি-ফিভল্ক্স থেকে দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মধ্যরাতে সুনামি আঘাত হানতে পারে এবং তা কয়েকঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে।
এ ঘটনায় জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপানের টেলিভিশন এনএইচকে থেকে প্রকাশিত সতর্কতামূলক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় আধাঘণ্টা পর (জাপানের স্থানীয় সময় রোববার ১:৩০ মিনিট) সমুদ্র থেকে প্রায় এক মিটার উঁচু ঢেউ জাপানের দক্ষিণপশ্চিম উপকূলে উঠে আসতে পারে।
এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে দেশটির সারাঙ্গানি, কোটাবাটো এবং দাভাও প্রদেশে অন্তত আট প্রাণহানি ঘটে, আহত হন আরও ১৩ জন। ভূমিকম্পে দেশটিতে অর্ধ-শতাধিক বাড়িঘর এবং অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত ফিলিপাইনে প্রায়শই ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা রিং অব ফায়ারকে বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন:ব্রাজিলে এক নারীকে হাসপাতাল থেকে মৃত বলে জানানোর পর তাকে মর্গে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনার দুইদিন পর তাকে ফের মৃত বলে জানান চিকিৎসক।
সান জোসে শহরে শনিবার এ ঘটনা ঘটে বলে ব্রাজিলের একটি মিডিয়া আউটলেটের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়।
ব্রাজিলের এক সমাধিস্থানকর্মী জানান, গত ২৫ নভেম্বর (শনিবার) হাসপাতালের কর্মীরা ৯০ বছর বয়সী নরমা সিলভেরা দা সিলভাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর তিনি মরদেহ সংগ্রহ করতে মর্গে গেলে বডি ব্যাগের মধ্যে সিলভাকে জীবিত অবস্থায় পান।
সিলভার বন্ধু জেসিকা মার্টিন্স সিলভি পেরেইরা জানান, সিলভাকে গত ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার) খুব খারাপ অবস্থায় সাও হোসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন শনিবার রাতে সিলভার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের কর্মীরা নিশ্চিত করেন। এর পর রাত ১১টা ৪০ মিনিটে মৃত্যু সনদ দিয়ে তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।
রাত দেড়টার দিকে সমাধিস্থানকর্মী মরদেহ সংগ্রহ করতে গেলে তিনি ব্যাগটি খুলে দেখেন সিলভা খুব দুর্বলভাবে শ্বাস নিচ্ছিলেন এবং কিছুটা নড়ছিলেন।
এ ঘটনার পর সিলভাকে আবারও হাসপাতালের কক্ষে নেয়া হয়, তবে ২৭ নভেম্বর (সোমবার) সকালে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর ৬১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির বরাত দিয়ে শনিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ৫৪ জন ফিলিস্তিন, চারজন ইসরায়েল ও তিনজন লেবাননের নাগরিক।
সিপিজের ভাষ্য, যুদ্ধে ১১ জন সাংবাদিক আহত ও তিনজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৯ সাংবাদিক।
সংস্থাটি আরও জানায়, অনেক সাংবাদিক নিহত, নিখোঁজ কিংবা হুমকির শিকার হওয়ার অসমর্থিত খবর পাওয়া গেছে, যা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয় প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি।
আরও পড়ুন:সাত দিনের বিরতির পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার সকাল থেকে উপত্যকায় অনবরত বোমা হামলায় কমপক্ষে ১০৯ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, শুক্রবার সকাল থেকেই গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এখন পর্যন্ত ১০৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এবং রাফাহ অঞ্চলে সবচেয়ে তীব্র হামলা চলছে। ওই অঞ্চলে কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া গাজার মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের বাড়িঘরগুলোও বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে অনবরত বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার ভোর থেকেই আকাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় বলে রয়টার্সের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
তাদের বর্ণনা অনুসারে, প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় বাসিন্দারা পশ্চিমাঞ্চলে পালাতে শুরু করেছে। ভোর থেকেই গাড়িতে জিনিসপত্র বোঝাই করে তারা রাস্তায় নেমে পড়ে।
উপত্যকার উত্তরাঞ্চল, যে জায়গা থেকে হামলার শুরু, সেখানে পুনরায় হামলা করতে দেখা গেছে। বোমা হামলার সঙ্গে সেখানে গোলাগুলির শব্দও শোনা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এমনকি কয়েকবার রকেট হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ ঘটনার কারণ হিসেবে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে রকেট ছুড়ে হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।
গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) চার দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। দুই পক্ষের কাছে জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ ও বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে এ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তারা।
কাতার ও মিশরের মধ্যস্ততায় এবং রেড ক্রসের সহযোগিতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
চার দিনের ওই বিরতি পরে আরও দুইদিন বাড়ানো হয়। পরে তা বাড়ে আরও একদিন। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাপ দিচ্ছিল জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল। তবে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির চুক্তিতে একমত হতে পারেনি হামাস-ইসরায়েল। এরপর শুক্রবার সকাল থেকেই উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।
সাত দিনের এই যুদ্ধবিরতিকালে মোট ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি নাগরিক, বিদেশি নাগকি ও দ্বৈত নাগরিক। অন্যদিকে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দখলদার ইসরায়েল।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতি চলাকালে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকে উপত্যকতায়। তবে যুদ্ধবিরতির সাত দিনে যে পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম গাজায় পৌঁছেছে, সেগুলো দিয়ে আহতদের আর মাত্র একদিন চিকিৎসা সেবা দেয়া যাবে বলে জানিয়েছে হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশে রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয়ার অনুরোধও জানিয়েছে তারা।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসে বিমান হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলির নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন:সাত দিনের বিরতির পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবারের পর আর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ না বাড়ার প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সময় শুক্রবার গাজাজুড়ে বোমার শব্দ শোনা গেছে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেও যুদ্ধবিরতির চুক্তির অধীনে ইসরায়েল ৩০ বন্দিকে এবং হামাস ৮ জিম্মিকে ছেড়ে দেয়।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের আগের দু দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল ছয় দিন, সেই মেয়াদ শেষ হয় বুধবার। এরপর বৃহস্পতিবার আরও একদিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
শুক্রবার সকালে গাজা থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক আবু আজজুম জানান, এই মুহূর্তে, দক্ষিণ ইসরায়েলি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এটি এমন একটি এলাকা যা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বেসামরিকদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপদ বলে সুপারিশ করেছিল।
তিনি বলেন, গত এক ঘণ্টায় আমরা ব্যাপকভাবে ইসরায়েলি বোমা হামলার শিকার হয়েছি।
এমন পরিস্থির আগে অবশ্য ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন সিনিয়র উপদেষ্টা মার্ক রেগেভ বৃহস্পতিবার বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক যতদিন পর্যন্ত হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে থাকবে। হামাসের ওপর চাপ দিতে হবে। যদি তারা জিম্মিদের মুক্তি দিতে থাকে, তাহলে বিরতি চলতে পারে।
তবে শেষ পর্যন্ত আর এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকেনি। যার প্রভাব পড়ল শুক্রবারই। একের পর এক বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
রয়টার্স বলছে, দেড় মাসের বেশি সময় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে সোমবার নাগাদ চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই পক্ষ।
সেই যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়িয়ে বুধবার পর্যন্ত করতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। পরে তা বাড়ে আরও একদিন। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের সপ্তম দিনে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে উপত্যকার শাসক দল হামাস ছেড়ে দিয়েছে আটজন ইসরায়েলি জিম্মিকে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার রাতে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগের দু দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল ছয় দিন, সেই মেয়াদ শেষ হয় বুধবার। এরপর বৃহস্পতিবার আরও একদিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামাস বলেছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সপ্তম দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে।
অবশ্য এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো কথা জানালেও, ঠিক কতদিন তা বাড়বে তা জানায়নি।
দেড় মাসের বেশি সময় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে সোমবার নাগাদ চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই পক্ষ।
সেই যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়িয়ে বুধবার পর্যন্ত করতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিখিল গুপ্তা নামের ওই ব্যক্তিকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র: বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এ নিয়ে যে অভিযোগপত্র প্রকাশ করেছে তাতে লেখা হয়েছে- গ্রেপ্তার হওয়া ওই ভারতীয় নাগরিক হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন ভাড়াটে খুনি নিয়োগের চেষ্টা করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিক অভিযোগপত্র প্রকাশ করার পরই ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তা ধরা পড়েন চেক প্রজাতন্ত্রে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ৫২ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখনও ওই দেশেই আটক রয়েছেন।
নিখিল গুপ্তা নগদ এক লাখ ডলার দিয়ে ভাড়াটে খুনিকে হত্যাকাণ্ডের জন্য নিয়োগ করতে যাচ্ছিলেন। তবে সেই ভাড়াটে খুনি আসলে ছিলেন একজন ছদ্মবেশী ফেডারেল এজেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর অবশ্য এটা উল্লেখ করেনি যে কাকে হত্যার পরিকল্পনার জন্য ওই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
তবে কয়েকদিন আগে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমস খবর দেয় যে ভারতে ঘোষিত সন্ত্রাসী গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুকে হত্যার ষড়যন্ত্র যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ করে দিয়েছে।
মন্তব্য