× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

অক্সফোর্ডের ৩ কোটি টিকা আনতে চুক্তি

অক্সফোর্ডের-৩-কোটি-টিকা-আনতে-চুক্তি
বেক্সিমকোর কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি টিকা কিনবে সরকার। পরিবহনসহ প্রতি ডোজ টিকা দেশে আনতে খরচ হবে ৫ ডলার। শুরুতেই টিকা পাবেন করোনার মোকাবিলায় নিয়োজিত ফ্রন্টলাইনাররা।   

অক্সফোর্ডের করোনার টিকা পেতে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালস ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে।

সমঝোতা অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসকে অক্সফোর্ডের তৈরি সার্স-সিওভি-টু এজেডডি ওয়ান টু টু টু (অক্সফোর্ড/এস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন) সরবরাহ করবে।

বেক্সিমকোর কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি টিকা কিনবে সরকার। পরিবহনসহ প্রতি ডোজ টিকা দেশে আনতে খরচ হবে ৫ ডলার। শুরুতেই টিকা পাবেন করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত ফ্রন্টলাইনাররা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট তাদের কারখানাতেই অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদন করবে। বেক্সিমকো বাংলাদেশে এই টিকা আমদানি, সংরক্ষণ ও সরবরাহের দায়িত্ব পালন করবে। টিকা কিনতে প্রয়োজনীয় অর্থও বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো। পরে সরকার তা পরিশোধ করবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নুর ও ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন তৈরি হলে প্রথম দফাতেই বাংলাদেশকে তিন কোটি ডোজ দেবে সিরাম ইনস্টিটিউট। এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে নিয়ে আসবে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেড় কোটি মানুষকে এই ভ্যাকসিন দিতে পারব। কারণ, একজন মানুষের দুই ডোজ করে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে।’

জানুয়ারির মধ্যেই টিকার জোগান পাওয়ার আশা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, নিরাপদ, কার্যকর এবং কম দামের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই সিরামের কাছ থেকে অক্সফোর্ডের টিকা আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অন্যদিকে, ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন অক্সফোর্ডের টিকা শুধু দামের দিক থেকে সস্তা হবে না। কার্যকর টিকা হিসেবে এটিই সবচেয়ে দ্রুত বাজারে আসতে পারে। এই টিকা এ অঞ্চলের আবহাওয়ারও উপযোগী।

করোনা টিকার ১০০ কোটির বেশি ডোজ উৎপাদন ও বিভিন্ন দেশে সরবরাহের জন্য অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে আংশীদারত্ব চুক্তি রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটের।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
7 ways to avoid dehydration during fasting

রোজায় পানিশূন্যতা এড়ানোর ৭টি উপায়

রোজায় পানিশূন্যতা এড়ানোর ৭টি উপায় রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে ইফতার ও সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
‘ইফতারে উচ্চ মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এ ধরনের খাবার শরীরে পানির চাহিদা বাড়ায়। এ ছাড়া সালাদ ও তরকারিতে লবণ কম দেয়া উচিত। বেশি পরিমাণে লবণ খেলে বাড়তে পারে তৃষ্ণা।’

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবারের পাশাপাশি পানি পান থেকে বিরত থাকেন মুসলিমরা। রোজা শীতকালে হলে তৃষ্ণার অনভূতি কম হয়, তবে গ্রীষ্মকালে রোজায় দেহে পানিশূন্যতার ঝুঁকি তৈরি হয়, যা থেকে হতে পারে অবসাদ ও বমি বমি ভাব।

কাতারের প্রধান অলাভজনক স্বাস্থ্যসেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হামাদ মেডিক্যাল করপোরেশন জানিয়েছে, সাধারণত শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক, ডায়াবেটিস, কিডনি বা অন্যান্য দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত কিংবা সূর্যের নিচে শারীরিক ব্যায়াম করা লোকজন পানিশূন্যতার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন।

রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে করণীয়

হামাদ মেডিক্যাল করপোরেশন পানিশূন্যতা এড়াতে সাতটি পরামর্শ দিয়েছে।

১. ইফতার ও সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে আট থেকে ১২ কাপ পানি পান করুন। ঠান্ডা পানির তুলনায় দ্রুত শোষণ হয় বলে কুসুম গরম পানি পান করা যেতে পারে।

২. রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে প্রতিদিন স্যুপ খেতে পারেন। শরীরে তরলের চাহিদা পূরণের ভালো উৎস হতে পারে খাবারটি।

৩. তরমুজ, টমেটো, শসা, আঙুরের মতো ফল ও সবজিতে অনেক পানি থাকে, যা তৃষ্ণা কমাতে সাহায্য করে।

৪. ইফতারে উচ্চ মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এ ধরনের খাবার শরীরে পানির চাহিদা বাড়ায়। এ ছাড়া সালাদ ও তরকারিতে লবণ কম দেয়া উচিত। বেশি পরিমাণে লবণ খেলে বাড়তে পারে তৃষ্ণা।

৫. গবেষণায় দেখা যায়, প্রচুর চিনি থাকায় মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে তৃষ্ণা বাড়ে। এর পরিবর্তে ফল খেতে পারেন, যা দেহে তরলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তৃষ্ণাও মেটায়।

৬. ক্যাফেইন শরীরের তরল শুষে নিয়ে তৃষ্ণা বাড়ায়। এ কারণে রমজানে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। এ ধরনের পানীয়র মধ্যে এনার্জি ও কার্বনযুক্ত পানীয়, চা ও কফি রয়েছে। ধূমপান মুখকে শুষ্ক করে তৃষ্ণা বাড়ায়। এ কারণে ধূমপানও এড়িয়ে চলুন।

৭. গরমের দিনে সূর্যতাপে ব্যায়াম করলে প্রচুর পরিমাণে পানি পানের চাহিদা তৈরি হয়। এ কারণে রোজায় ব্যায়ামের সবচেয়ে ভালো সময় হলো ইফতারের পর। কারণ ইফতারের মধ্য দিয়ে শরীর পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানীয়র মাধ্যমে শক্তি পায়। রোজা ভেঙে ব্যায়াম করলে শরীর থেকে ঝরে যাওয়া তরলের চাহিদা পূরণের জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
রমজানে ১০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করছেন এরশাদ
রোজা ভঙ্গের কারণ
ফেসবুকে পণ্যের দাম কমিয়ে বিজ্ঞাপন, রোজায় স্বস্তি ক্রেতাদের
বিভিন্ন ভাষায় রমজানের শুভেচ্ছা
রোজার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা, যা ঘটে শরীরে

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Quick Recipe of Lachir for Diabetics on Fasting

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের লাচ্ছির কুইক রেসিপি

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের লাচ্ছির কুইক রেসিপি রোজায় টক দই দিয়ে সহজেই লাচ্ছি তৈরি করা যায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। ছবি: সংগৃহীত
রোজায় লাচ্ছি খেতে ইচ্ছুক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব সহজেই পানীয়টি তৈরি করা যায়।

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে অন্য অনেকের মতো রোজা রাখেন ডায়াবেটিস রোগীরা। এ ক্ষেত্রে মাসজুড়ে খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে তাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সতর্কতার সঙ্গে খাদ্যগ্রহণ কিংবা চলাচল করলে তারা অনেক বিপদের ঝুঁকি কমাতে পারেন।

রোজায় লাচ্ছি খেতে ইচ্ছুক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কীভাবে পানীয়টি তৈরি করতে হয়, তা তুলে ধরা হয়েছে বিটিভির এক অনুষ্ঠানে। এ প্রক্রিয়ায় খুব সহজেই লাচ্ছি বানানো যাবে।

উপকরণ

তিনটি খেজুর ও দুই টেবিল চামচ টক দই।

প্রস্তুত প্রণালি

খেজুর কুচি ও টক দই একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে তাতে কিছু বরফকুচি ও অল্প পরিমাণ পানি দিন। এবার ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুন:
রোজা ভঙ্গের কারণ
ফেসবুকে পণ্যের দাম কমিয়ে বিজ্ঞাপন, রোজায় স্বস্তি ক্রেতাদের
বিভিন্ন ভাষায় রমজানের শুভেচ্ছা
রোজার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা, যা ঘটে শরীরে
রমজানে বেশি দাম নিলে দোকান বন্ধের হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Institutional practice of government doctors started on March 30

সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু ৩০ মার্চ

সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু ৩০ মার্চ  সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য অপেক্ষমান ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস আগামী ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু করা হবে।’

সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস আগামী ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু করা হবে।

‘প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলা হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু হবে। কার্যক্রমের আওতায় বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা দিবেন চিকিৎসকরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা সপ্তাহে দুইদিন করে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আওতায় রোগী দেখবেন। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আওতায় রোগী দেখাতে অধ্যাপককে ৫০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপককে ৪০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপককে ৩০০ টাকা এবং অন্য চিকিৎসককে ২০০ টাকা করে ফি দিতে হবে।

‘এসব ফি থেকে অধ্যাপকরা ৪০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপক ৩০০ টাকা সহকারী অধ্যাপক ২০০ টাকা এবং অন্যান্য চিকিৎসকরা ১৫০ টাকা করে পাবেন। বাকি টাকা সার্ভিস চার্জ বাবদ কাটা হবে এবং চিকিৎসকদের সহায়তাকারীরা পাবেন।’

আরও পড়ুন:
বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসার সঙ্গে যাতায়াতের খরচও পাবে ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিপাহ ভাইরাসের চিকিৎসা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যতদিন, উন্নয়নও ততদিন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক কিনলে শাস্তি

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Types of headache causes and remedies

মাথাব্যথার ধরন, কারণ ও দূর করার উপায়

মাথাব্যথার ধরন, কারণ ও দূর করার উপায় মাথাব্যথার রয়েছে অনেক ধরন। ছবি: সংগৃহীত
“মাইগ্রেনে হেডেকটা হয় মাথার এক দিকে। রোগীরা সাধারণত বলে ‘ধব ধব’ করে এবং ব্যথা ‍শুরুর আগে পেশেন্ট বুঝতে পারেন। কারণ অনেক সময় তিনি আলোকচ্ছ্বটা দেখতে পান চোখে এবং যখন ব্যথাটা ওঠে, তখন সাধারণত পেশেন্ট প্রেফার করে কোনো অন্ধকার, কাম অ্যান্ড নয়েজ ফ্রি একটা এনভায়রনমেন্টে থাকার জন্য।”

জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে আমরা মাথাব্যথার শিকার হই। কেউ কেউ প্রায়ই এ সমস্যায় ভোগেন। এক ভিডিওতে এ সমস্যার ধরন, কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. নওসাবাহ্ নূর। পরামর্শগুলো তার ভাষায় তুলে ধরা হলো পাঠকদের সামনে।

ধরন

আমাদের মধ্যে এমন কেউ হয়তো নেই, যার জীবনে কখনও মাথাব্যথা হয়নি। আবার এমন অনেকে আছেন, যাদের মাথাব্যথা থেকে জীবন আজ হুমকির পথে। এ জন্য আমাদের সবার মাথাব্যথা সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা থাকা প্রয়োজন।

মাথাব্যথা অনেক রকমের হয়ে থাকে। আজকে আমি ভিডিওতে অনেক ধরনের মাথাব্যথা সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা দেব এবং সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ যেটা সেটা হলো মাথাব্যথার সাথে কী কী উপসর্গ বা ওয়ার্নিং সাইন থাকলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে চলে যাবেন। প্রথমেই আসি আমরা ডাক্তাররা মাথাব্যথাকে কীভাবে ক্লাসিফাই বা শ্রেণিবিভাগ করি।

যখনই কোনো রোগী আমাদের কাছে আসেন, তখন আমরা মাথাব্যথার সব হিস্ট্রি নিয়ে আসেন, আমরা দুই ভাগে সাধারণত ভাগ করার চেষ্টা করি। এক হলো প্রাইমারি হেডেক, আরেক হলো সেকেন্ডারি হেডেক। এই ক্লাসিফিকেশন (শ্রেণিকরণ) কেন জরুরি? কারণ প্রাইমারি হেডেকে কোনো ইনভেস্টিগেশন, যেমন: সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করার কোনো প্রয়োজন নেই এবং সেকেন্ডোরি হেডেকে এই ইনভেস্টিগেশন করাটা খুবই আর্জেন্ট।

প্রাইমারি হেডেক বা মাথাব্যথার প্রাথমিক ধরন

প্রাইমারি হেডেক অনেক রকমের হয়ে থাকে। আমি মূলত তিন রকমের হেডেক নিয়ে কথা বলব, যেগুলো সবচেয়ে কমন।

১. টেনশন হেডেক

২. মাইগ্রেন

৩. ক্লাস্টার হেডেক

টেনশন হেডেক

প্রথমে আসি টেনশন হেডেক নিয়ে। আমরা যে বলেছিলাম, আমাদের সবার কখনও না কখনও মাথাব্যথা হয়েছে, টেনশন হেডেক মোস্ট লাইকলি (খুব সম্ভবত) আপনি সাফার করেছেন কখনও না কখনও। কারণ এটা হচ্ছে সবচেয়ে কমন টাইপ অব হেডেক।

এ মাথাব্যথাটা কেমন হয়? এ মাথাব্যথাটা ব্যান্ডের মতো সারা মাথাজুড়ে হয় এবং চাপ ধরা একটা ব্যথা থাকে। সাধারণত কাজের শেষে, দিনের শেষে আমাদের এ ব্যথাটা হয়ে থাকে। কিছু রিস্ক ফ্যাক্টরস (কারণ) আছে এ মাথাব্যথার। যেমন: আপনার ঘুম যখন কম হয়, আপনি যখন স্ট্রেসড থাকেন অথবা খাবার কোনো কারণে মিস হয়ে গেছে অথবা ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন, তখনই হেডেকটা হয়ে থাকে। আমরা সাধারণত এটা কমানোর জন্য পেইন কিলার এবং মাসল রিলাক্সেন্ট দিয়ে থাকি।

মাইগ্রেন হেডেক

এরপর আসি মাইগ্রেন হেডেক নিয়ে। মাইগ্রেনে হেডেকটা হয় মাথার এক দিকে। রোগীরা সাধারণত বলে ‘ধব ধব’ করে এবং ব্যথা ‍শুরুর আগে পেশেন্ট বুঝতে পারেন। কারণ অনেক সময় তিনি আলোকচ্ছ্বটা দেখতে পান চোখে এবং যখন ব্যথাটা ওঠে, তখন সাধারণত পেশেন্ট প্রেফার করে কোনো অন্ধকার, কাম অ্যান্ড নয়েজ ফ্রি একটা এনভায়রনমেন্টে থাকার জন্য। এই মাথাব্যথার সাথে বমি বমি ভাব, এমনকি বমিও হতে পারে।

কিছু খাবার আছে, যেগুলো থেকে মাইগ্রেন অ্যাটাক ফ্রিকোয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন: চকলেট, কফি অথবা যারা জন্মবিরতিকরণ পিল খাচ্ছেন, তাদের মাইগ্রেন হেডেক হয়ে থাকে এবং এটা কন্ট্রোল করার জন্য আমরা কী ট্রিটমেন্ট দিই?

মেইনলি দিই পেইন কিলার অথবা বমির জন্য আমরা কোনো অ্যান্টি ভমিটিং দিয়ে থাকি এবং যাদের মাসে দুইবারের বেশি অ্যাটাক হয়ে থাকে, তাদের আমরা ফারদার কিছু ট্রিটমেন্ট দিই টু প্রিভেন্ট মাইগ্রেন ফারদার অ্যাটাকস (পরবর্তী সময়ে মাইগ্রেনের ব্যথা যাতে না হয়, সে জন্য ওষুধ)।

মাইগ্রেনের ব্যথাটা যাতে ফেরত না আসে, আমরা ছয় মাসের মতো একটা চিকিৎসা দিয়ে থাকি।

ক্লাস্টার হেডেক

এরপর আসি থার্ড হেডেক, যেটা হচ্ছে ক্লাস্টার হেডেক নিয়ে। ক্লাস্টার হেডেক খুবই রেয়ার (অতি বিরল)। এটা খুব পেইনফুল একটা সিচুয়েশন। কোনো একটা চোখের চারপাশে অথবা মাথার এক পাশে হয়। খুব স্ট্যাবিং টাইপের শার্প (ছুরিকাঘাতের মতো তীক্ষ্ণ) একটা পেইন হয় এবং যখন পেইনটা হয়, তখন দিনে বেশ কয়েকটা অ্যাটাক হয়ে থাকে।

এই অ্যাটাকটা কয়েক দিন থাকার পর আবার রোগী একদম ভালো হয়ে যায়। হেডেকটা হলেও আমরা সাধারণত কিছু ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকি টু প্রিভেন্ট, যাতে আর কোনো অ্যাটাক ফেরত না আসে।

সেকেন্ডোরি হেডেক

এবার আসি সেকেন্ডারি হেডেক নিয়ে। আপনার মাথায় যদি কোনো টিউমার অথবা রক্তক্ষরণ অথবা ব্লাড ভেসেলসে প্রদাহজনিত কারণ অথবা মাথায় কোনো কারণে প্রেশার বেড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে এই হেডেকটি হয়ে থাকে। এই হেডেকটি সাধারণত দেখা যায় দিনের প্রথমাংশে বেশি হয় এবং পারসিস্টেন্ট একটা হেডেক (দীর্ঘসময় ধরে মাথাব্যথা) থাকে। পেশেন্ট বমি অথবা চোখে দেখতে সমস্যা অথবা চোখে ঘোলাও দেখতে পারেন।

অন্যান্য ধরন

১. এ ছাড়া আরও কিছু হেডেক সম্পর্কে আমি বলতে চাই। যেমন: কিছু ড্রাগস আছে, বিশেষ করে ব্লাড প্রেশারের ওষুধ অথবা হার্টের ওষুধ, যেটা থেকে আমাদের এই হেডেক হতে পারে। আমাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী মা আছেন, তাদের ক্ষেত্রে হেডেকটা খুবই ইম্পরট্যান্ট; একটা গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্নিং সাইন। যখন একজন প্রেগন্যান্ট মার হেডেক থাকে, তখন এটাকে প্রোপারলি ইভালুয়েট করি যে, তারা কোনো এক্লাম্পশিয়া বা প্রিএক্লাম্পশিয়ার (গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বাড়া ও খিঁচুনি হওয়া) দিকে যাচ্ছি কি না।

২. রাতে যারা ঘুমানোর সময় নাক ডাকেন, আমরা মেডিক্যালের ভাষায় বলে থাকি যে, তার অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে, তাদেরও দিনের প্রথম অংশে, সকালের দিকে একটা চাপা হেডেক থাকতে পারে।

৩. কোভিড টাইমে অনেকেই আছে, যারা অনেকটা সময় বাইরে থাকার জন্য মাস্ক পরে থাকতে হয়। এই জন্য দিনের শেষে কিছুটা মাথাব্যথা হয়ে থাকে।

৪. এ ছাড়া আরেক ধরনের হেডেক আছে, যেটা হচ্ছে অ্যানালজেসিক ওভারইউজিং হেডেক, যেটা হচ্ছে আপনি যদি মাসে ১৫ দিনের বেশি মাথাব্যথার জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন, তখন এই অতিরিক্ত ওষুধ, পেইন কিলার থেকেও মাথাব্যথা হয়ে থাকে। এটাকে আমরা বলি অ্যানালজেসিক ওভারইউজ হেডেক।

এটার চিকিৎসা হলো সব ধরনের ব্যথার ওষুধ বন্ধ করে দিতে হবে।

কোন কোন উপসর্গে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে

এবার আসি আপনার কোন কোন ওয়ার্নিং সাইন বা উপসর্গ থাকলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাবেন।

১. প্রথমত, আপনার যদি ব্যথাটা হঠাৎ করে শুরু হয় এবং খুব তীব্র ব্যথা হয়, রোগীরা বলে থাকে আমার এ রকম হেডেক জীবনে আগে কখনও হয়নি।

২. আপনার যদি হেডেকটা থাকে এবং পারসিস্ট্যান্ট, কোনোভাবেই কমছে না এবং দিনে দিনে ব্যথাটা বাড়ছে,

৩. চেঞ্জিং প্যাটার্ন অব হেডেক। আপনার আগে এক রকম ব্যথা ছিল। এখন অন্য রকমের ব্যথাটা হচ্ছে এবং ব্যথার প্যাটার্নটা চেঞ্জ হয়ে গেছে।

৪. আপনার বয়স যদি ৬০ বছরের ওপরে হয় এবং তখন নতুন করে ব্যথাটা শুরু হয়।

৫. আপনার যদি মাথাব্যথার সাথে অতিরিক্ত ওজন কমে যায় কোনো কারণ ছাড়া, সেটাও একটা ইম্পরট্যান্ট সাইন।

৬. মাথাব্যথার সাথে যদি আপনার জ্বর অথবা বমি এ ধরনের যদি সমস্যা থেকে থাকে।

৭. আপনার যদি প্যারালাইসিস, অর্থাৎ কোনো এক দিক অবশ অথবা অনুভূতি কম বুঝতে পারছেন অথবা কথা জড়িয়ে আসছে, চোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছে, এগুলা আমাদের ইম্পরট্যান্ট একটা ওয়ার্নিং সাইন।

৮. লাস্টল আরেকটি হলো বয়স্ক যারা আছেন, তাদের যদি মাথাব্যতার সাথে চোয়ালে ব্যথা, বিশেষ করে খাবার সময় যদি ব্যথা হয়ে থাকে চোয়ালে, সেটাও একটা ইম্পরট্যান্ট সাইন।

এই উপসর্গগুলো দেখলে আপনি অবশ্যই দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। হয়তো আপনার সিভিয়ার কিছু নেই। তারপরও চেক করে নেওয়া অবশ্যই জরুরি।

আরও পড়ুন:
পায়ের পেশির ব্যায়াম
সকালে খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতা
অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় যা জানা জরুরী
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ও প্রতিকার
ইন্টারনেট ব্রাউজারের গতি বাড়ানোর উপায়

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Rules for taking medicines for diabetic patients during fasting

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর ওষুধ খাওয়ার নিয়ম রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর ওষুধ খাওয়ার অভ্যাসে আনতে হয় পরিবর্তন। ছবি: সংগৃহীত
ডিপিআরএল ডায়াবেটিস রোগীদের ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে ডায়াবেটিসের ওষুধ ও রোজা ভেঙে ফেলার প্রস্তুতিতে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে অন্য অনেকের মতো রোজা রাখেন ডায়াবেটিস রোগীরা। এ ক্ষেত্রে মাসজুড়ে তাদের বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

রোজার মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা কী করবেন, সে বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ ডায়াবেটিস প্রিভেনশন থ্রো রিলিজিয়াস লিডারস তথা ডিপিআরএল।

এটি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের যৌথ প্রয়াস। এতে আর্থিক সহযোগিতা করেছে ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ফাউন্ডেশন।

ডিপিআরএলের নির্দেশনা

ডিপিআরএল বলেছে, শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখতে পারবেন কি না, সুস্বাস্থ্যকর খাবার কীভাবে খেতে হবে, দৈনন্দিন কায়িক পরিশ্রম কীভাবে করতে হবে, কীভাবে ঘরে বসে নিজের রক্ত পরীক্ষা করতে হবে, খাবার বড়ি বা ইনসুলিনের মাত্রা কী হবে, শর্করা কমে গেলে ও অন্যান্য অসুস্থতা হলে কী করণীয়, এই বিষয়গুলো চিকিৎসকের কাছ থেকে বিশদভাবে জেনে নিতে হবে। এর বাইরেও ১০টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ডিপিআরএলের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে ডায়াবেটিসের ওষুধ ও রোজা ভেঙে ফেলার প্রস্তুতিতে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।

১. সারা দিন রোজা রাখার পর এমন খাবার খেতে হবে, যাতে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

২. ইফতারের সময় চিনিজাতীয় খাবার খাবেন না। চিনিুমক্ত পানীয় বেছে নিন। পানীয়র সঙ্গে চিনি মেশাবেন না। যদি মিষ্টি পানীয় পছন্দ করে থাকেন, তবে আর্টিফিশিয়াল (ডায়াবেটিসের চিনি) সু্ইটনার, যেমন: ক্যানডেরেল বা সুইটেক্স ব্যবহার করতে পারেন।

৩. ভাজা খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। যেমন: পরোটা, সমুচা, কাবাব ইত্যাদি।

৪. খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার রাখুন।

৫. সেহরির খাবার শেষ সময়ের অল্প কিছু আগে খাওয়া বাঞ্ছনীয়। সেহরির সময় নামমাত্র পরিমাণে খাবার খেয়ে রোজা রাখা উচিত নয়। এমনটি করলে আপনার গ্লুকোজের সঠিক ভারসাম্য বজায় থাকবে না।

৬. রোজার দিনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই, তবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করা উচিত। রোজার সময় তারাবিহর নামাজে যে শারীরিক শ্রম হয়, নিয়মিত হাঁটার সমান হওয়ায় রোজার মধ্যে আলাদা করে হাঁটার প্রয়োজন নেই।

৭. রোজার দিনে বিকেলে দৈহিক পরিশ্রমের কাজ না করে বিশ্রাম নেয়া ভালো।

৮. রোজা রেখে ইনসুলিন নেয়া যাবে।

৯. ডায়াবেটিস রোগীর সকালের ওষুধ ইফতারের সময় খেতে হবে। রাতের ওষুধ খেতে হবে সেহরির সময় (রাতের ওষুধের ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক কমিয়ে সেহরির সময় খেতে হবে)। মুখে খাবার ওষুধ ও ইনসুলিনের মাত্রা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করে নিতে হবে এবং তা অবশ্যই রোজার আগেই করতে হবে।

১০. নিম্নের বিশেষ অবস্থায় রোজা ভেঙে ফেলতে হতে পারে।

(ক) রক্তের গ্লুকোজ ৭০ মিগ্রা/ডিএল (৩.৯ মিমো/লি)-এর কম হলে

(খ) রক্তের গ্লুকোজ ৩০০ মিগ্রা/ডিএল (১৬.৭ মিমো/লি.)-এর বেশি হলে

(গ) যেকোনো অসুস্থতায়

আরও পড়ুন:
রোজার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা, যা ঘটে শরীরে
রমজানে বেশি দাম নিলে দোকান বন্ধের হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের
রমজানে রাজধানীতে যানজট কমাতে ১৫ নির্দেশনা
প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫ রমজান পর্যন্ত খোলা, নতুন সময়সূচি
প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেকে ইফতার ও সেহরির বিশেষ আয়োজন

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Health benefits of fasting that occur in the body

রোজার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা, যা ঘটে শরীরে

রোজার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা, যা ঘটে শরীরে রোজায় নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় শরীর। ছবি: সংগৃহীত
‘বিজ্ঞানীরা বলছেন, আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে রোজা রাখতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনার বাড়তি ওজন কমবে। বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলে আপনি একজন স্লিম, স্মার্ট মানুষে রূপান্তরিত হবেন। আর যদি রোজার পরেও আপনার বাড়তি ওজন থেকে যায়, এইটুকু পরিষ্কারভাবে বলা যায়, যে পদ্ধতিতে রোজা রাখার কথা ছিল, সেই পদ্ধতিতে রোজা রাখতে পারেন নাই; রোজা রাখা হয় নাই। ফলে আপনি আপনার ওজন কমাতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাতে সেহরি খেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার বর্জন করেন মুসলিমরা। এ সময়ে পাকস্থলীসহ শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিশ্রাম পায়। এতে করে শরীরে নানাবিধ ইতিবাচক প্রভাব পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

রোজার স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন উপকারিতার কথা এক ভিডিওতে তুলে ধরেছেন মনোদৈহিক ও জীবনযাপনবিষয়ক রোগের থেরাপিস্ট এবং কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের কোঅর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান। পরামর্শগুলো তার ভাষায় উপস্থাপন করা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।

শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিশ্রাম

রমজান আসল, রমজান চলে গেল। ৩০টি রোজা আমি রাখলামও। ৩০টি রোজার পরেও আমার ওজনের একটুও কম-বেশি হলো না। এইটুকু খোলা চোখে বলে দেয়া যায়, রোজা থেকে আমি কোনো কিছু ফায়দা নিতে পারলাম না। আমি ব্যর্থ হয়েছি রোজার মূল উদ্দেশ্য অর্জন করতে। বিজ্ঞান কী বলে?

সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে মরক্কোর ক্যাসাব্লাঙ্কা শহরে সারা বিশ্ব থেকে বিজ্ঞানীরা একত্রিত হয়ে ৫০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র তারা উপস্থাপন করেন। সেই সম্মেলনের নাম ছিল হেলথ অ্যান্ড রামাদান; সুস্থতা এবং রমজান। সেই সেমিনারে বক্তারা বলেন, রমজানের ৩০টি রোজা আমাদের শরীরের জন্য একটা বিশাল অপরচুনিটি; একটা বিশাল সুযোগ। তারা এভাবে তুলনা করে বলছেন, একটা জটিল মেশিন থেকে যদি সারা বছর পূর্ণ সার্ভিস চান, তাহলে অবশ্যই মাঝে মাঝে তাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও তাকে বিশ্রামে রাখতে হবে। তো আমাদের শরীরটাও একটা মেশিন। এর মধ্যে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র রয়েছে; হার্ট, লাং, লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক, পরিপাকতন্ত্র…কত ধরনের হার্ড ডিস্ক। এইসব মেশিনপত্র থেকে যদি আপনি সারা বছর পুরো সার্ভিস চান, তাহলে তাকে বছরের একটি মাস বিশ্রাম দিতে হবে। তাহলে বাকি ১১টা মাস সে পূর্ণোদ্যমে কাজ করে আপনাকে পূর্ণ সাপোর্ট দিতে পারবে। আপনি তার থেকে পুরো আউটপুট পাবেন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে রোজা রাখতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনার বাড়তি ওজন কমবে। বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলে আপনি একজন স্লিম, স্মার্ট মানুষে রূপান্তরিত হবেন। আর যদি রোজার পরেও আপনার বাড়তি ওজন থেকে যায়, এইটুকু পরিষ্কারভাবে বলা যায়, যে পদ্ধতিতে রোজা রাখার কথা ছিল, সেই পদ্ধতিতে রোজা রাখতে পারেন নাই; রোজা রাখা হয় নাই। ফলে আপনি আপনার ওজন কমাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

মস্তিষ্ককে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা

আমেরিকার সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের (এনআইএইচ) একটি শাখা হচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন এজিং। সেখানকার প্রখ্যাত নিউরোসায়েন্টিস্ট ড. মার্ক ম্যাটসন এবং তার সহযোগীরা দীর্ঘ গবেষণা করেন ফাস্টিং নিয়ে। এরপর তারা পাবলিশ করেন এর ফলাফল। সেখানে তারা পরিষ্কার করে বলছেন যে, একজন মানুষ যদি মাঝে মাঝেই ফাস্টিং থাকে, নিজেকে সকল ধরনের খাবার এবং পানীয় থেকে বিরত রাখে, তবে তিনি তার ব্রেনের যে এজিং, সে এজিংটাকে প্রতিরোধ করতে পারবে। ব্রেনকে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবে এবং বৃদ্ধ বয়সে এখন যে রোগগুলো খুব দেখা যাচ্ছে, বৃদ্ধ বয়সে এসে আমাদের স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং যেসব রোগগুলোতে স্মৃতি হারিয়ে যাচ্ছে, সেই রোগগুলোকে বলা হয় আলঝেইমারস, ডিমেনশিয়া, হান্টিংটন, পারকিনসনের মতো রোগগুলো আপনি প্রতিরোধ করতে পারবেন।

রক্ত পরিশোধন

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমাদের রক্তে নানা রকম বর্জ্য পদার্থ এবং ক্ষতিকর পদার্থ ঘুরে বেড়ায়। এই রক্তকে পরিশোধন করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে রোজা।

কোষ পরিষ্কার

আমাদের শরীরে ৩০ ট্রিলিয়ন সেল বা কোষ আছে। এই কোষের ভিতরে প্রতিনিয়ত নানা রকম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তৈরি হচ্ছে বিপাকক্রিয়ার ফলে এবং নানা ক্রিয়া-বিক্রিয়ার ফলে। শক্তি তৈরি হচ্ছে, হরমোন তৈরি হচ্ছে, এনজাইম তৈরি হচ্ছে। এগুলো তৈরির পাশাপাশি কিছু বর্জ্য পদার্থ বা টক্সিন তৈরি হচ্ছে। এইসব বর্জ্য পদার্থ বা টক্সিন দূর করার অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে ফাস্টিং বা রোজা। এটা নিয়ে গবেষণা করে ‍যিনি নোবেল প্রাইজ পান, তিনি হচ্ছেন ড. ইয়োশিনোরি ওহসুমি। তিনিসহ অন্য বিজ্ঞানীরা এটার নাম দিয়েছেন অটোফেজি। এটি (অটোফেজি) যখন ১২ ঘণ্টা থেকে ১৬ ঘণ্টা হবে, এটি চমৎকার কাজ করবে। এটি যখন ১৮ ঘণ্টা, ২০ ঘণ্টা, ২২ ঘণ্টা, ২৪ ঘণ্টা হবে এক্সিলেন্ট।

টাইপ টু ডায়াবেটিস রোধে সহায়ক

আমরা জানি টাইপ টু ডায়াবেটিসের মূল কারণ হচ্ছে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। সম্প্রতি দুটো গবেষণা বলছে, টাইপ টু ডায়াবেটিস রিভার্স করতে চাইলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং কেউ যদি সপ্তাহে তিন দিন করেন, তবে তিনি টাইপ টু ডায়াবেটিস নিরাময় করতে সক্ষম হবেন। সেই সময় তার স্থূলতাও তার শরীর থেকে চলে যাবে।

দীর্ঘায়ু হওয়ায় সহায়তা

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাঝে মাঝে রোজা, উপবাস বা ফাস্টিং একজন মানুষের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করে তাকে দীর্ঘজীবী করে। এই যে দেখেন না, হজরত শাহজালাল (র.) ১৫০ বছর বেঁচে ছিলেন। তিনি স্বল্পাহারি ছিলেন এবং প্রায়ই রোজা রাখতেন। তিনি এক বেলা খেতেন। এই যে ঢাকা থেকে কাছে সোনারগাঁয়ে ছিলেন বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী। ১৬০ বছর বেঁচে ছিলেন। তিনিও স্বল্পাহারি ছিলেন। প্রায়ই উপবাস করতেন।

আমাদের প্রিয় মহানবী (সা.) সপ্তাহে দুই দিন রোজা রাখতেন; সোমবার এবং বৃহস্পতিবার। এ ছাড়াও তিনি প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোজা রাখতেন।

রোজা রাখলে কী ঘটে শরীরে

রোজায় দীর্ঘ সময় পাকস্থলী খালি থাকায় নানা ধরনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় শরীর। ধাপে ধাপে সেটি কীভাবে হয়, তা প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে সুস্থতা নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট মাইন্ডবডিগ্রিন ডটকম।

প্রথম চার ঘণ্টা

খাওয়ার পর প্রথম চার ঘণ্টায় অভ্যন্তরীণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সচল রাখার পাশাপাশি কোষ ও টিস্যুর বিকাশ ঘটায় শরীর। এ সময়ে দরকারি হরমোন ইনসুলিন উৎপন্ন করে অগ্ন্যাশয়। এর মধ্য দিয়ে রক্তে নিঃসৃত গ্লুকোজ ব্যবহারের পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য কোষে বাড়তি শক্তিও মজুত করা যায়।

চার থেকে ১৬ ঘণ্টা

দেশভেদে সেহরি থেকে ইফতারের মধ্যকার সময়ে তারতম্য হয়। কোনো কোনো দেশে ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় উপবাস থাকতে হয় রোজাদারদের।

১৬ ঘণ্টার মতো যারা রোজা রাখবেন, তাদের শারীরিক ক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে চতুর্থ ঘণ্টা থেকে। এ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে সঞ্চিত অতিরিক্ত পুষ্টি ব্যবহার করা শুরু করে শরীর।

কোষে থাকা শক্তি ফুরিয়ে গেলে শরীর নজর দেয় সঞ্চিত চর্বি বা ফ্যাটে। শরীর থেকে চর্বি নির্গমন এবং শক্তি জোগাতে এগুলো পুড়িয়ে ফেলার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘কিটন বডিজ ফর এনার্জি’। এটি সাধারণত ঘটে ১৬তম ঘণ্টার কাছাকাছি সময়ে।

শরীর সঞ্চিত চর্বি পোড়ানোর পর্যায়ে কখন যাবে, সেটি নির্ভর করে রোজা বা উপবাস শুরুর আগে গ্রহণ করা খাদ্যের ধরনের ওপর। কেউ প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও শ্বেতসার খাবার খেলে এ পর্যায় দেরিতে শুরু হবে। বিপরীতে কেউ চর্বি ও প্রোটিনজাতীয় খাবার খেলে আগেই সে পর্যায়ে পৌঁছাবে।

রোজা বা উপবাসের সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি অটোফেজি। ১৬ ঘণ্টার আশপাশের সময়ে এটি শুরু হয়।

অটোফেজি হলো এমন এক প্রক্রিয়া যার মধ্য দিয়ে কোষে থাকা মৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত বস্তুগুলো সরিয়ে দেয় শরীর। এসব বস্তু বার্ধক্য, ক্যানসার ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণ হতে পারে।

১৬ থেকে ২৪ ঘণ্টা

রোজার সময় ১৬ ঘণ্টার বেশি হলে কোষে থাকা গ্লুকোজ ও লিভারে থাকা গ্লাইকোজেন এবং পেশিগুলো দ্রুত ক্ষীণ হতে থাকে। ফলে শক্তি জোগাতে জমানো চর্বি গলাতে হয় শরীরকে।

এ পর্যায়ে এসে শরীরে শক্তির চাহিদার অনেক বেশি পরিবর্তন দেখা যায় না। রোজাদার বা উপবাসে থাকা ব্যক্তি তখনও জেগে থাকা, দৈনন্দিন কাজ করা, লোকজনের সঙ্গে লেনদেন করা কিংবা ব্যায়াম করতে পারেন। এ কারণে উল্লেখযোগ্য মাত্রার শক্তির দরকার হতে পারে।

১৬ ঘণ্টার পরে শরীরে এএমপিকে নামের আরেকটি রাসায়নিক উৎপন্ন হয়। এটি শরীরজুড়ে অটোফেজি আরও বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:
সৌদির সঙ্গে ৯৫ বছর ধরে রোজা হচ্ছে চাঁদপুরে: পির আরিফ
সেহরির দোয়া
রোজায় ত্বকের যত্নে কী করবেন
সৌদির সঙ্গে রোজা পালন শুরু শরীয়তপুরের ২০ গ্রামে
রমজানজুড়ে সুস্থ থাকতে করণীয়

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Shamim Osman Hospital

শামীম ওসমান হাসপাতালে

শামীম ওসমান হাসপাতালে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
শামীম ওসমানের সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি ফেসবুকে লিখেন, ‘সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গতকাল (বুধবার) রাত থেকে অসুস্থ। তিনি বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপনারা সবাই ওনার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।’

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সাংসদের সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি ও ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শামীম ওসমানের সুস্থতা কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সবার দোয়া কামনা করা হয়েছে।

অয়ন নিউজবাংলাকে জানান, তার বাবা (শামীম ওসমান) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি সবার কাছে তার বাবার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া চেয়েছেন৷

এর আগে সালমা ওসমান লিপি ফেসবুকে লিখেন, ‘সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গতকাল (বুধবার) রাত থেকে অসুস্থ। তিনি বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপনারা সবাই ওনার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।

শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম নিউজবাংলাকে জানান, ‘খাদ্য গ্রহণে অনিয়ম, ঠিকমতো না ঘুমানোর কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। তিনি এখন অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন।’

নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফেরদৌস জুয়েল জানান, ‘বর্তমানে শামীম ওসমান শারীরিকভাবে অনেকটা ভালো আছেন। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন৷’

আরও পড়ুন:
শামীম ওসমানকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা ‘সোজাসাপটা’ বন্ধ, সম্পাদকের নামে মামলা
শামীম-আইভী পাশাপাশি, খুশি কাদের

মন্তব্য

p
উপরে