× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রেস-জেন্ডার
The urge to eliminate gender discrimination in the workplace
google_news print-icon

কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ-বৈষম্য দূর করার তাগিদ

কর্মক্ষেত্রে-লিঙ্গ-বৈষম্য-দূর-করার-তাগিদ
গাজীপুরের একটি রিসোর্টে মঙ্গলবার অপরাজিতা প্রকল্পের অবহিতকরণ সভার উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
নারীদের সফট স্কিলড নিশ্চিত করতে ১২টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা সরকারের পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। আর সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই গঠন করা হয়েছে ‘অপরাজিতা’ প্রকল্প।

শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী-বান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি, ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা, পুরুষতান্ত্রিকতা দূরীকরণে কাজ করবে ‘অপরাজিতা’।

নারীদের সফট স্কিলড নিশ্চিত করতে বেসরকারি এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশন ও সুইডেনের অর্থায়নে ১২টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা সরকারের পাশে থেকে এসব কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। আর সে লক্ষ্যেই গঠন করা হয়েছে ‘অপরাজিতা’ নামের এই প্রকল্প।

গাজীপুরের একটি রিসোর্টে মঙ্গলবার এই প্রকল্পের অবহিতকরণ সভার উন্মুক্ত আলোচনায় এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রকল্পটি নারী গার্মেন্টকর্মীদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্র, যেমন- ভবিষ্যৎমুখী দক্ষতা অর্জন, ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত ও পছন্দসই সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে।

সভায় বক্তারা বলেন, আগামীতে প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্তভাবে সজ্জিত করার উদ্দেশ্যে নারী শ্রমিকদের তৈরি করা হবে।

‘অপরাজিতা’ (কালেক্টিভ ইমপ্যাক্ট অন ফিউচার অফ ওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ) প্রকল্পটি গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ২০২৪ সাল পর্যন্ত কাজ করবে। উদ্দেশ্য, ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান নিরাপদ করার জন্য সামগ্রিকভাবে বাধাগুলো মোকাবিলা করা এবং সমাজ, শিল্প ও কর্মশক্তিতে ট্রান্সফরমেটিভ পরিবর্তন করা।

প্রকল্পের সিনিয়র টিম লিডার সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) ওয়াহিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- কেয়ার বাংলাদেশ-এর ডিরেক্টর (নারী ও কন্যা শিশু ক্ষমতায়ন) রওনক জাহান।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ, ব্যাংক, বিভিন্ন পোশাক শিল্পের ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

১২টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার মধ্যে কেয়ার বাংলাদেশ, সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ, আইডিই, সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়াটার এইড, দি এশিয়া ফাউন্ডেশন ও ভার্ক উল্লেখযোগ্য। তারা আলাদাভাবে এসব বিষয়ের ওপর কাজ করবে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রেস-জেন্ডার
Cesarean delivery has increased by 11 percent in 5 years in the country

দেশে ৫ বছরে সিজারিয়ান ডেলিভারি বেড়েছে ১১ শতাংশ

দেশে ৫ বছরে সিজারিয়ান ডেলিভারি বেড়েছে ১১ শতাংশ প্রতীকী ছবি।
বিডিএইচএস-২০২২ এর প্রতিবেদনের তথ্য- বাল্যবিয়ে, দরিদ্র নারীর স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ, গর্ভকালীন সেবা, শিশৃমৃত্যু, দক্ষ সেবাদানকারীর সহায়তায় প্রসবের মতো অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিগত ৫ বছরে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।

দেশে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য, বাল্যবিয়ে, শিশু মৃত্যু, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ সেবাদানকারীর সহায়তায় প্রসব- এমন নানা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে একইসঙ্গে বেড়েছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু জন্মদান। পাঁচ বছরে তা বেড়েছে ১১ শতাংশ।

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে (বিডিএইচএস)-২০২২ এর প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেচে।

রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) আয়োজনে মঙ্গলবার এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।

তাতে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২২ সালে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার ৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৫ শতাংশ হয়েছে। সে হিসাবে ৫ বছরে এই বৃদ্ধির হার ১১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের ফলাফলে বিগত বছরগুলোর তুলনায় দেশে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশু স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতির চিত্র পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২২ সালে শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

নিপোর্ট-এর মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এবং ইউএসএইড বাংলাদেশের পরিচালক (পপুলেশন, হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন) ক্যারি রাসমুসেন।

জরিপের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় দরিদ্র নারীর স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের হার বেড়েছে। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নারীদের তুলনায় বিত্তবান নারীদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের মাত্রা ছয়গুণ বেশি ছিল। ২০২২ সালে এসে দরিদ্র নারীদের তুলনায় বিত্তবানদের সেবা গ্রহণ দ্বিগুণ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ধারাবাহিক তিন বছরের গড় অনুযায়ী, ৫ বছরের নিচে জীবিত শিশু জন্মের পর মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪৩ থেকে ৩১-এ নেমে এসেছে। এক বছরের কম বয়সের শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৫ জন এবং এক মাসের কম বয়সের শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২০ জন।

পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অর্থাৎ সঠিক বৃদ্ধি ঘটছে না এমন শিশুর হার ৩১ থেকে ২৪ শতাংশে নেমেছে। তবে কম ওজন নিয়ে জন্মানো শিশুর হারে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ সেবাদানকারীর সহায়তায় প্রসবের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ প্রসবই দক্ষ সেবাদানকারীর সহায়তায় হয়েছে। এ ছাড়া ৬৫ শতাংশ প্রসব কোনো না কোনো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হয়েছে, যা ২০১৭ সালে ছিল ৫১ শতাংশ।

৮৮ শতাংশ নারী অন্তত একবার একজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকে গর্ভকালীন বা এএনসি সেবা নিয়েছেন। ২০১৭ সালে এই হার ছিল ৮২ শতাংশ। তবে করোনাকালে চারবারের অধিক গর্ভকালীন সেবা বা এএনসি গ্রহণকারীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে কমে ৪১ শতাংশে নেমে এসেছিল।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, জন্ম বিরতিকরণ সামগ্রী ব্যবহারের হার ২ শতাংশ বেড়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের হার ৩ শতাংশ বেড়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে।

২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী কিশোর বয়সে সন্তান জন্ম দেয়ার হার কমেছে। ২০১৭ সালে এ হার ছিল ২৮ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমে ২৩ শতাংশ হয়েছে।

অল্প বয়সে বিয়ের হারও ধীরে ধীরে কমছে। ১৮ বছরের আগে বিয়ে হওয়ার হার ২০১১ সালে ছিল ৬৫ শতাংশ। ২০১৭ সালে তা কমে ৫৯ শতাংশ হয়। আর ২০২২ সালে তা ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।

প্রাথমিক ফলাফলে বলা হয়, মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। ৯৯ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ আছে, ৯৮ শতাংশ ঘরে কারও না কারও মোবাইল ফোন আছে। ৬০ শতাংশ বাড়িতে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা আছে, যা ২০১৭ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Womens domestic labor is added to GDP

নারীর গৃহস্থালির শ্রম যুক্ত হচ্ছে জিডিপিতে

নারীর গৃহস্থালির শ্রম যুক্ত হচ্ছে জিডিপিতে
‘অর্থনীতিতে ঘরের কাজ বা গৃহস্থালি কাজের অবদান স্বীকার করতে হবে। এটা করা গেলে আমাদের জিডিপি আরও বাড়বে। আগামী অর্থবছরে হবে না। কিন্তু তার পরের অর্থবছর থেকে নারীদের অবদান যুক্ত করে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব ধরা হবে।’

মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) গৃহস্থালি কাজে নারীর অবদান যুক্ত হতে যাচ্ছে। ঘরের কাজের আর্থিক মূল্যায়ন আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে জিডিপিতে কীভাবে যুক্ত করা যায়, তার উপায় খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (বিআইডিএস) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী মান্নান সাংবাদিকদের জানান, একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে নারীদের অবদান আন্ডার রিপোর্টেড। এটা জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য গত সভায়ও তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতিতে ঘরের কাজ বা গৃহস্থালি কাজের অবদান স্বীকার করতে হবে। এটা করা গেলে আমাদের জিডিপি আরও বাড়বে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে হবে না। কিন্তু তারপরের বাজেট থেকে নারীদের অবদান যুক্ত করে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব ধরা হবে।

‘ঘরের কাজের আর্থিক মূল্যায়ন আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে জিডিপিতে কীভাবে যুক্ত করা যায়, তার উপায় খুঁজে বের করতে বিআইডিএস নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার ভাষায় বলেছেন- এটা এমন এক চাকরি, যার কোনো কর্মঘণ্টা নেই। বিশ্রাম নেই, ছুটি নেই, বেতন নেই, পেনশন নেই। এগুলো মূল্যায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ খুব বেশি। আমরাও তার সঙ্গে শতভাগ একমত।

‘আমাদের জিডিপি যা দেখাচ্ছি বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি। কারণ আমাদের অর্ধেক জনশক্তির কাজ জিডিপিতে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।’

নারীর শ্রম জিডিপিতে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে মন্ত্রী মান্নান বলেন, ‘সম্প্রতি পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে প্রকাশিত শ্রম জরিপে কৃষিতে পুরুষের তুলনায় নারীর অবদান বেশি বলে তথ্য উঠে এসেছে। নারীদের শুধু মাঠে গিয়ে কাজ নয়; ঘরে হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন, বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদনসহ নানা হিসাব করে দেখা গেছে, কৃষিতে পূরুষের তুলনায় নারীদের অবদান বেশি। অদূর ভবিষ্যতে দুটি একত্র হবে। এবং একটি সুষম অর্থনীতিতে যা হওয়ার কথা তা যথাযথভাবে এই খাতে প্রতিফলিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘মায়ের ভালবাসার মূল্যায়ন করা তো সম্ভব নয়। কিন্তু মায়ের রান্না, ধান বানা, পানি গরম করা, কাপড় ধোয়ার মতো কাজগুলোর তো মূল্যায়ন করা সম্ভব।’

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা যে জিডিপি তৈরি করি, তাতে আমাদের দেশীয় কোনো পদ্ধতি বা মডেল অনুসরণ করা হয় না। সিস্টেম অফ ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জিডিপির হিসাব করা হয়। সারাবিশ্বেই ও পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। সব দেশ একরকমই করে থাকে।’

গৃহস্থালিতে শ্রমের আর্থিক মূল্যমানের পরিমাপ সম্পর্কে একটি ধারণা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণত বাজারে কোনো পণ্যের মূল্য বিনিময় না হলে তা জিডিপিতে আসে না। এজন্য আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী বলেছেন যে একটি স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট করা যায়। যেমন ঘরে একজন নারী যতক্ষণ কাজে সময় দিচ্ছেন, সেই সময়টা যদি বাইরে দিতেন, সেই কাজের মূল্য কত পেতে পারতেন। এ রকম একটি ছায়া অ্যাকাউন্ট করে নারীদের কাজের শ্যাডো প্রাইসিং বা মূল্যায়ন করা যায়।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Abortion Pill Deadlock in US

যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের পিল নিয়ে অচলাবস্থা

যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের পিল নিয়ে অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে বহুল ব্যবহৃত গর্ভপাতের পিল মাইফপ্রিস্টোন। ছবি: রয়টার্স
টেক্সাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিযুক্ত এক বিচারক বহুল ব্যবহৃত গর্ভপাতের পিল মাইফপ্রিস্টোনের দীর্ঘদিনের অনুমোদন আটকে দিয়েছেন। গত ২০ বছর ধরে পিলটি ব্যবহারের অনুমোদন ছিল এবং এটি বেশির ভাগ গর্ভপাতের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ও ওয়াশিংটনে শুক্রবার দুই বিচারকের পরস্পরবিরোধী রায়ে দেশটিতে গর্ভপাতের পিলের ব্যবহার নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, টেক্সাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিযুক্ত এক বিচারক বহুল ব্যবহৃত গর্ভপাতের পিল মাইফপ্রিস্টোনের দীর্ঘদিনের অনুমোদন আটকে দিয়েছেন।

গত ২০ বছর ধরে পিলটি ব্যবহারের অনুমোদন ছিল এবং এটি বেশির ভাগ গর্ভপাতের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

টেক্সাসের বিচারকের ওই রায়ের ঠিক এক ঘণ্টা পর ওয়াশিংটনে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিযুক্ত বিচারক এক আদেশে বলেন, পিলটি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

দুই বিচারকের এমন রায়ের পর পিল ব্যবহারের অনুমোদনের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৬৭ পৃষ্ঠার রায়ে টেক্সাসের আমারিলোর বিচারক ম্যাথু ক্যাকসম্যারিক মাইফপ্রিস্টোন ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদন স্থগিত করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে সাত দিন সময় পাবে সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, তারা এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করবে।

বিচারক ক্যাকসম্যারিকের রায়ে লাখো নারীর মাইফপ্রিস্টোনের প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেক্সাসের বিচারকের রায় যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিতে পারে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে ঢুকে সাবেক ছাত্রীর গুলি, নিহত ৬
যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোতে নিহত ২৩
ব্যাংক খাতে অস্থিরতার মধ্যে সুদহার বাড়াল ফেডারেল রিজার্ভ
বাংলাদেশের নির্বাচন ও দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্রের
টেক্সাসে স্কুলের সামনে গুলিতে ছাত্র নিহত

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
No vaccination in schools and colleges without permission

অনুমতি ছাড়া স্কুল-কলেজে ভ্যাকসিনেশন নয়

অনুমতি ছাড়া স্কুল-কলেজে ভ্যাকসিনেশন নয় জরায়ু ক্যান্সারের নকল ভ্যাকসিনের অ্যাম্পুল। ছবি: নিউজবাংলা
শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৬ হাজার নারীকে জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন দেয়ার খবর প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। চিঠিতে ঔষধ প্রশাসন বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি ছাড়া এ ধরনের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম স্কুল-কলেজে না চালাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া স্কুল-কলেজে ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম আয়োজন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এক চিঠিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই ‘বিশেষ অনুরোধ’ জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৬ হাজার নারীকে জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন দেয়ার খবর প্রকাশের পর ১৯ মার্চ চিঠিটি দেয়া হয়। এর আগের দিন অভিযান চালিয়ে রাজধানীর দারুসসালামে ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন থেকে নকল ভ্যাকসিনের আলামত উদ্ধার করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে সব জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সব জেলার ঔষধ প্রশাসনকে।

তাতে বলা হয়েছে, সেরাভিক্স ভ্যাকসিন নকল পাওয়া গেছে। আন-রেজিস্টার্ড হেপাটাইটিস-বি’র ভ্যাকসিনের ভায়াল থেকে খালি ভায়ালে আংশিক ভরে সেরাভিক্স ভ্যাকসিনের লেবেল লাগিয়ে একটি চক্র নকল করছে।

গত ১৮ মার্চ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দারুসসালামের ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন থেকে নকল ভ্যাকসিনের আলামত পেয়েছে। গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে নকল ভ্যাকসিনের প্রচারণা করা হয়েছে।

চিঠিতে বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজ ও বেসরকারি পর্যায়ে কোনো ধরনের ভ্যাকসিনেশন করতে হলে এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমোদন থাকা আবশ্যক। ঔষধ প্রশাসন বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি ছাড়া এ ধরনের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম স্কুল-কলেজে না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৮ মার্চ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দারুস সালাামের ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশনে অভিযান চালিয়ে নকল ভ্যাকসিনের আলামত পেয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে অধিদপ্তর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা গত কয়েকদিনে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছি। কিছু সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠান নকল ভ্যাকসিন উদ্ধারের খবর পেয়ে সতর্ক হয়ে গেছে।

‘আমরা এখন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের অভিযান চলাকালেও এ ধরনের মাইকিং শুনতে পেয়ে ধাওয়া করেছিলাম। কিন্তু তারা পালিয়ে যায়।’

গত ১৫ মার্চ নকল ভ্যাকসিন তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম শিপন, ফয়সাল আহম্মেদ, আল আমিন, নুরুজ্জামান সাগর ও আতিকুল ইসলাম নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রত্যেককে দুইদিন করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিন বছর ধরে জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্স বাংলাদেশে আমদানি বন্ধ রয়েছে। আর এটাকে সুযোগ হিসিবে কাজে লাগায় প্রতারক চক্রটি। হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিনের একটি অ্যাম্পুল খুলে অন্তত ১০টি জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন বানিয়ে বিক্রি করছে চক্রটি।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের বরাত দিয়ে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের গোয়েন্দারা জানান, চোরাইপথে ভারত থেকে এই ভ্যাকসিন আনতে অ্যাম্পুল প্রতি খরচ হয় ৩৫০ টাকা। একটি অ্যাম্পুল খুলে ১০টি অ্যাম্পুল বানানো হয়। পরে সেগুলোতে লাগিয়ে দেয়া হয় জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্সের লেবেল।

লেভেল লাগানোর পর জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্সের প্রতিটি অ্যাম্পুল বিক্রি করা হয় আড়াই হাজার টাকা করে। গাজীপুরের প্রায় ৬ হাজার নারীর কাছে জনপ্রতি তিনটি করে ১৮ হাজার অ্যাম্পুল ভ্যাকসিন বিক্রি করে চক্রের সদস্যরা। এর মাধ্যমে তারা হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।

পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা ও আশপাশের প্রায় ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করে নকল টিকা বিক্রির তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী, শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের কাছে নকল ভ্যাকসিনের তিনটি করে ডোজ বিক্রি করেছে ওই প্রতারক চক্র।

নকল ভ্যাকসিন তৈরির কারখানা মালিক গ্রেপ্তার

নকল ভ্যাকসিন তৈরির কারখানা মালিক হিমেলকে রোববার গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগ। তাকে দু’দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। এর আগে নকল ভ্যাকসিন তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. গোলাম সবুর বলেন, ‘কারখানা মালিক হিমেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই নকল ভ্যাকসিন তৈরি ও বিপণনে জড়িত অন্যদের বিষয়ে জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছি।’

আরও পড়ুন:
৬ হাজার নারীর দেহে জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন
জরায়ু ক্যানসার আক্রান্ত ৮৫ ভাগ নারীই স্ক্রিনিংয়ের বাইরে
জরায়ুমুখ ক্যানসার নির্মূলে করণীয় কী

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Female Dog Handler in Police

পুলিশে নারী ডগ হ্যান্ডলার

পুলিশে নারী ডগ হ্যান্ডলার এপিবিএনে যুক্ত হয়েছেন নারী ডগ হ্যান্ডলার। ছবি: নিউজবাংলা
সাতজন নারী পুলিশ সদস্য বেসিক কেনাইন হ্যান্ডলার ট্রেনিং কোর্সে অংশ নিয়ে নতুন যুগের সূচনা করেছেন।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়নে (এপিবিএন) দেশে প্রথমবারের মতো নারী পুলিশ সদস্যদের ডগ হ্যান্ডলার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

সাতজন নারী পুলিশ সদস্য বেসিক কেনাইন হ্যান্ডলার ট্রেনিং কোর্সে অংশ নিয়ে নতুন এ যুগের সূচনা করেছেন।

নারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের পেশাদার ডগ স্কোয়াড প্রশিক্ষক টনি ব্রাইসন ও মেলিন ব্রডউইক।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও এয়ারপোর্ট এপিবিএনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি নারী পুলিশ সদস্যরা সফলতার সঙ্গে শেষ করেছেন।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের হাতে বৃহস্পতিবার সকালে সমাপনী সনদ তুলে দেন এয়ারপোর্ট এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি তোফায়েল আহম্মদ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল বলেন, ‘২০১৭ সালে দুইটি ল্যাবরেডর, দুইটি জার্মান শেফার্ড ও চারটি বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস জাতের কুকুর এবং ১৬ জন হ্যান্ডলার নিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কেনাইন ইউনিট যাত্রা শুরু করে। শুধু বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় ডেডিকেটেড এই ডগ স্কোয়াড বিমানবন্দরে আসা যাত্রী, সহযাত্রী এবং তাদের ব্যাগেজ স্ক্রিনিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়াও ক্যানোপি নিরাপত্তা, পার্কিং এরিয়া এবং যানবাহনে বিস্ফোরক পদার্থের উপস্থিতি সার্চ, ব্যাগেজ বেল্ট এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা এবং ভিভিআইপি নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।’

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডগ স্কোয়াডে ২০২৫ সালের মধ্যে কুকুরের সংখ্যা ৬৬টি করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান জিয়াউল হক।

তিনি বলেন, ‘তৃতীয় টার্মিনালের সম্ভাব্য বিশাল অপারেশনের কথা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ব্রিটেন এবং নেদারল্যান্ডস থেকে আরও অন্তত ১৫টি ডগ এই স্কোয়াডে যুক্ত হবে। বর্তমানে ভগগুলো এক্সপ্লোসিভ সার্চের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেও অচিরেই নারকোটিকস ডগ, ট্রাকিং ডগ, কারেন্সি শিফিং ডগও এই বহরে যুক্ত হবে। এ সকল ট্রেনিংয়ে কারিগরি ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে সহায়তা করবে ঢাকার ইউএস অ্যাম্বাসি।’

পরিপূর্ণ ডগ স্কোয়াড বিমানবন্দরে নাশকতা, মাদক চোরাচালান, স্বর্ণ চোরাচালন, মুদ্রা পাচার রোধে অসামান্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকরা।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Cowcart procession on Womens Day

নারী দিবসে গরুর গাড়ির শোভাযাত্রা

নারী দিবসে গরুর গাড়ির শোভাযাত্রা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বুধবার যশোরে বের হয় শোভাযাত্রা। ছবি: নিউজবাংলা
গরুর গাড়ির পেছনে পেছনে নারীরা নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানারসহ অধিকার সংবলিত বিভিন্ন প্যানা নিয়ে অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কালেক্টরেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে যশোরে ব্যতিক্রমী গরুর গাড়ির শোভাযাত্রা বের হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা সদরের কালেক্টরেট চত্বরে শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।

জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা অধিদপ্তর আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিভিন্ন নারী সংগঠনের সদস্যরা। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কালেক্টরেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

গরুর গাড়ির পেছনে পেছনে নারীরা নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানারসহ অধিকার সংবলিত বিভিন্ন প্যানা নিয়ে অংশ নেন। পরে কালেক্টরেট সম্মেলনের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন:
নারীর যথাযথ কাজের সুযোগ আজও হয়নি
ট্রান্সজেন্ডার নারীদের নিয়ে নারী দিবসের আয়োজন
নারী নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সম্মান জানাল আইইউবি
নারী দিবসে বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্প
মেয়েদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানিয়ে সংবর্ধনা পেলেন গ্রামপুলিশ মা

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Digital technology and innovation will eliminate gender discrimination

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষে বুধবার দুপুর আড়াইটায় এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হবে।

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও বুধবার উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা আলাদা বাণী দিয়েছেন। এ বাণীতে তারা বিশ্বের সব নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষে বুধবার দুপুর আড়াইটায় এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হবে।

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বুধবার সরকারি ছুটি থাকায় এ বছর নির্ধারিত সেমিনারটি পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে। খবর বাসস।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার জানানো হয়, বাংলাদেশে নারী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলোর জাতীয় মোর্চা সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এটি অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল বিশ্ব হোক সবার নারীর: অধিকার সুরক্ষায় ও সহিংসতা মোকাবিলায় চাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন বৈষম্যহীন সৃজনশীল প্রযুক্তি।’

দিবসটি উপলক্ষে বিনা মূল্যে নারীদের ‘স্তন ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার’ পরীক্ষা ও সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে হেলথ এ্যান্ড হোপ হাসপাতাল। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পান্থপথে হেলথ এ্যান্ড হোপ হাসপাতালে এটি অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাব আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজন করছে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এটি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, নারী দিবসের বার্ষিক সংকলন ‘কন্ঠস্বর’ এর মোড়ক উন্মোচন এবং বেলা ১১টায় আলোচনা সভা।

এসোসিয়েশন অফ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজন করেছে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে “প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীতে সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ি, নারী-পুরুষের সমতা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখি” শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও রয়েছে নানা আয়োজন। নাট্য সংগঠন স্বপ্নদল হেলেন কেলার সম্মাননা ও বিশেষ নাটক মঞ্চায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে মঞ্চায়িত হবে হেলেন কেলারের জীবন-কর্ম-স্বপ্ন-সংগ্রাম ও দর্শনভিত্তিক বিশেষ নাটক ‘ হেলেন কেলার’। প্রদর্শনীর আগে নিবেদিতপ্রাণ নাট্যজন জয়িতা মহলানবীশকে স্বপ্নদলের ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্মাননা ২০২৩’ প্রদান করা হবে।

২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘স্বপ্নদল’ নারী নাট্যকর্মীদের এ সম্মাননা দিয়ে আসছে। স্বপ্নদলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার সিক্সে বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
সংসারে সবচেয়ে কঠিন কাজ নারীরাই করেন: দীপু মনি
নারীত্ব গোপন করে পুরুষের দুর্বিষহ জীবন জেনেছিলেন যে নোরাহ
নারী যুব বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

মন্তব্য

p
উপরে