আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করে আলোচনায় চলে এসেছেন ১৮ বছরের এক কিশোরী। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তালেবানরক্ষীদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে রোববার একাই প্রতিবাদ করেন মারওয়া নামের এই কিশোরী।
মারওয়া বলেন, ‘আমার জীবনে প্রথমবারের মতো এত গর্বিত এবং শক্তিশালী বোধ করেছি। কারণ আমি তাদের (তালেবান) বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি এবং ঈশ্বর আমাদের যে অধিকার দিয়েছে সে অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।
গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। ক্ষমতায় এসেই নারী আন্দোলনকারী দলের নেতাদের আটক করা শুরু করে তারা। সেই থেকে দেশটিতে নারী-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ আসতে আসতে কমে যায়।
শুরুতে নারীদের অধিকারে আঘাত আসবে এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, সময়ের সঙ্গে সে অবস্থান থেকে সরে আসে তালেবান। প্রথমে নারীদের সরকারে নেয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তালেবান। তারপর নারীদের হাই স্কুল বন্ধ করে দেয়।
গত সপ্তাহে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিষিদ্ধ করে আফগানিস্তানের কট্টর শাসকরা। এর কয়েকদিন পর শনিবার এনজিও-তে নিষিদ্ধ হন আফগান নারীরা।
এমন প্রেক্ষপটে তালেবানের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যথেষ্ট কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। আছে সামাজিক হেনস্তার ভয়ও। তবে এসব কিছুই টলাতে পারেনি মারওয়াকে।
আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বার থেকে মাত্র মিটার দূরে একটি প্লেকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মারওয়া। দূরে একটি গাড়ি থেকে এই দৃশ্য ভিডিও করেন মারওয়ার বোন।
নারী অধিকারের উপর সর্বশেষ আক্রমনের জন্য বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হচ্ছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। শত বাধা উপেক্ষা করে এ পদক্ষেপের প্রতিবাদের চেষ্টা করেছিল কিছু নারী। তবে সরকার তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে মোতায়েন তালেবান রক্ষীদের সামনে রোবাবার মারওয়া যে প্ল্যাকার্ড উঁচু করে ছিল তাতে লেখা-‘ইকরা’। এটি একটি আরবি শব্দ যার অর্থ ‘পড়ুন’।
মারওয়া বলেন, ‘তারা (তালেবান রক্ষী) আমাকে অনেক আজেবাজে কথা বলছিল। তবে আমি শান্ত ছিলাম।
‘আমি একজন অবিবাহিত আফগান মেয়ের ক্ষমতা দেখাতে চেয়েছিলাম। নিপীড়নের বিরুদ্ধে একজনও যে প্রতিবাদ করতে পারে সেটাই দেখাতে চেয়েছিলাম। যখন আমার অন্য বোনেরা (নারী শিক্ষার্থীরা) দেখবে যে একটি অবিবাহিত মেয়ে তালেবানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তখন তা তাদের প্রেরণা যোগাবে।’
শুধু শিক্ষা বা চাকরি ক্ষেত্রেই না। পার্ক, জিম এবং খোলা জায়গায় গোসলেও নিষেধ করা হয়েছে নারীদের।
তালেবান বলছে, নারীরা হিজাবসহ কঠোর ইসলামিক ড্রেস কোড পালন করছে না বলেই এই নিষেধাজ্ঞাগুলো দেয়া হচ্ছে।
আফগানিস্তান এখন নারীদের জন্য কারাগারে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন চিত্রশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখা মারওয়া।
তিনি বলেন, ‘আমি বন্দী হতে চাই না। আমার অনেক বড় স্বপ্ন আছে, যা অর্জন করতে চাই। তাই প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে দরপতনের হিড়িকের মধ্যে স্বল্পমেয়াদি বাড়তি নজরদারি ব্যবস্থায় (এএসএম) রাখা হয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে।
ভারতের মুম্বাইভিত্তিক বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) থেকে বৃহস্পতিবার পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার এ খবর জানায় এনডিটিভি।
নজরদারিতে থাকা প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনোমিক জোন এবং আম্বুজা সিমেন্টস।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গ্রুপের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে লেনদেনে প্রতারণা ও শেয়ার দরে কারসাজির অভিযোগ করা হয়। এর পর থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরে ধস নামে।
ওই প্রতিবেদনকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে আদানি গ্রুপ বলেছে, তাদের কোম্পানিগুলো সব আইন মেনে চলছে।
বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভিত্তিতে কোনো কোম্পানিকে এএসএমের আওতায় রাখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির আয়ের ওপর গ্রাহকদের অংশীদারত্ব, প্রাইস-আর্নিং রেশিও ইত্যাদি।
এনএসই ও বিএসই জানিয়েছে, আদানি গ্রুপের তিনটি কোম্পানি নির্ধারিত মানদণ্ডে পড়ায় এগুলোকে এএসএমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও আদানি গ্রুপের হোল্ডিং কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ার ২৬ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে। গ্রুপের অন্য কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতনও অব্যাহত রয়েছে।
সব মিলিয়ে ছয় দিনে পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিগুলোর ৮ লাখ ৭৬ হাজার কোটি রুপি উধাও হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:১২০ কোটি ডলারে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হাইফা কিনে নিল ভারতের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ।
হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনের জেরে বিধ্বস্ত আদানি গোষ্ঠীর বাজার মূলধন প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার কমার মধ্যেই মঙ্গলবার ওই বন্দর কেনার ঘোষণা আসে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সুউচ্চ বিভিন্ন ভবন নির্মাণ করে ভূমধ্যসাগরীয় শহরটিকে পাল্টে দেয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে ভারতীয় এই ব্যবসায়ী গ্রুপের পক্ষে।
আদানি গ্রুপ ইসরায়েলে অধিকতর বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে তারা হাইফা বন্দর কিনল। এছাড়া তারা তেল আবিবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবরেটরি) চালু করতে যাচ্ছে।
জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিপুল পরিমাণ লোকসানের কারণে গৌতম আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে সম্প্রতি বড় ধরনের ধস নেমেছে।
কৌশলগত কারণে হাইফা বন্দরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে এবং সবচেয়ে বড় পর্যটকবাহী বিলাসবহুল জাহাজও (ক্রুজ শিপ) এই বন্দরে ভিড়ে। এছাড়া এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর।
আরও পড়ুন:
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উদ্বোধন হয়েছে দেশের বৃহত্তম রিটেইল চেইন শপ স্বপ্নের আউটলেট।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নতুন এই আউটলেটের উদ্বোধন করা হয়।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটো, স্বপ্নের হেড অফ বিজনেস এক্সপ্যানশন মো. শামছুজ্জামান, রিজিওনাল ম্যানেজার অফ অপারেশন সাজিদ আহমেদ, ম্যানেজার (প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট) মেহেদী হাসান রাহাত, আউটলেট অপারেশন ম্যানেজার মাসুদুর রহমানসহ অনেকে।
স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, “‘স্বপ্ন’ এখন দেশের ৫১টি জেলায়। মানিকগঞ্জের নতুন এই আউটলেটে আমাদের সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত হবে। আশা করছি স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ পরিবেশে গ্রাহকরা স্বপ্নের এ আউটলেট থেকে নিয়মিত বাজারের সুযোগ পাবেন।”
স্বপ্নের অপারেশন্স ডিরেক্টর আবু নাছের জানান, নতুন এ আউটলেটে থাকছে মাসব্যাপী নানা অফার ও হোম ডেলিভারি সেবা।
স্বপ্নের ২৯৩তম আউটলেটের ঠিকানা: সিটি সেন্টার, ১৬/ঢাকা-আরিচা হাইওয়ে রোড, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, মানিকগঞ্জ।
আরও পড়ুন:পেরুর উত্তরাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির এল অলটো জেলায় পাহাড়ি রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
পেরুর পরিবহন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এসইউটিআরএএন এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে হতাহতের কোনো সংখ্যা তারা উল্লেখ করেনি।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ৬০ জন যাত্রী নিয়ে লিমা থেকে ইকুয়েডর সীমান্তবর্তী টুম্বেসে যাচ্ছিল বাসটি। পথে এটি অরগানোস শহরের কাছে রাস্তার পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়।
পেরুতে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যাও কম নয়।
আরও পড়ুন:
ইরানে নতুন বছরের প্রথম ২৬ দিনে ৫৫ জনের ফাঁসি কার্যকরা হয়েছে বলে জানিয়েছে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। সংস্থাটি বলছে, পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরতদের ভয় দেখাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে তেহরান।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকার দায়ে সম্প্রতি ইরানে তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১৮।
আইএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের প্রথম ২৬ দিনে মাদক মামলার ৩৭ আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ইরানে ১০৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে আইএইচআর-এর পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোঘদ্দাম বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইরান সরকার। কোনো ফাঁসি বরদাস্ত করা হবে না, তা সে রাজনৈতিক হোক বা অরাজনৈতিক।’
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে।
বিক্ষোভ থামাতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ইরান সরকার ধরপাকড় চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ সংখ্যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন:ইসলামবিদ্বেষ কাটাতে প্রথমবারের মতো উপদেষ্টা নিয়োগ করলো কানাডা সরকার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কানাডার ইসলামবিদ্বেষবিরোধী উপদেষ্টা হিসেবে সাংবাদিক আমিরা এলঘাওয়াবির নাম ঘোষণা করা হয়।
এ নিয়ে বিবৃতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট আমিরা এলঘাবাবি ইসলামভীতি, বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টাকে উন্নত করতে কাজ করবেন।
মানবাধিকার কর্মী এলঘাওয়াবি কানাডার দাতব্য সংস্থ রেস রিলেশনস ফাউন্ডেশনের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান ও টরন্টো স্টার পত্রিকার একজন কলামিস্ট। এর আগে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিবিসিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন তিনি।
এলঘাওয়াবিকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ইসলামবিদ্বেষ ও সব ধরনের ঘৃণা-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বৈচিত্রতা সত্যিই কানাডার অন্যতম বড় শক্তি, কিন্তু অনেক মুসলমান ইসলামবিদ্বেষের শিকার।’
গত কয়েক বছর ধরে কানাডার মুসলমান সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে একের পর এক ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে।
২০২১ সালের জুনে অন্টারিওতে একটি মুসলিম পরিবারের চার সদস্যকে ট্রাক দিয়ে পিষে হত্যা করেন এক ব্যক্তি। এর চার বছর আগে, কুইবেক সিটির একটি মসজিদে চালানো হামলায় ছয়জন মুসল্লি নিহত এবং পাঁচজন আহত হন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে আফিমের উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তর ইউএনওডিসি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সেনা-অভ্যুথানের আগে ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে পপি উৎপাদন ধীরে ধীরে কমছিল।
অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর পপি চাষের প্রথম পূর্ণ মৌসুমের ডেটা সংগ্রহ করে ইউএনওডিসি। সে ডেটা অনুযায়ী, ২০২২ সালে মিয়ানমারে পপির চাষ বেড়েছে ৩৩ শতাংশ, যেখানে আফিমের সম্ভাব্য উৎপাদন বাড়ে ৮৮ শতাংশ।
জাতিসংঘের সংস্থাটির মতে, গত বছর মিয়ানমারে ৪০ হাজার হেক্টরের চেয়ে সামান্য বেশি জমিতে পপির চাষ হয়। এ থেকে আফিমের সম্ভাব্য উৎপাদন হয় ৭৯০ টন।
ইউএনওডিসির বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, মিয়ানমারের আফিমকেন্দ্রিক অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য বিকাশ হয়েছে।
ইউএনওডিসির আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, সেনারা মিয়ানমারের দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা এবং শাসনজনিত যে ব্যাঘাত ঘটেছে, তা থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশটিতে আফিম উৎপাদন বেড়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত ও সংঘাতপীড়িত উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য শান ও সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে আফিম চাষে ফিরে যাওয়া ছাড়া খুব কমই বিকল্প আছে স্থানীয় কৃষকদের।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য