১০ বছর আগে আজকের দিনে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি বাসে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং নির্মমভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। গুরুতর আহত তরুণী এর কয়েক দিন পর মারা যান।
ভারতীয় আইনে ধর্ষণের শিকারদের নাম উল্লেখ করা হয় না। এ কারণে মেয়েটি যখন হাসপাতালের বিছানায় জীবনের জন্য যুদ্ধ করছিল, তখন সংবাদমাধ্যম মেয়েটির নাম দেয় ‘নির্ভয়া’- মানে অকুতোভয়।
আলোচিত ঘটনাটি ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে নারী নির্যাতনের আইন কঠোর করতে বাধ্য হয় ভারত সরকার।
মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ওই বাসের চালক। তবে ঘটনার কয়েক মাস পর জেলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ মামলায় ২০২০ সালের মার্চ মাসে আরও চারজনকে ফাঁসি দেয়া হয়; অপ্রাপ্ত থাকায় একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
অপরাধটি ভারতে লিঙ্গ সহিংসতাকে নতুন করে আলোচনায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি নির্ভয়ার মা আশা দেবীর জীবনে বড় পরিবর্তন এনেছিল।
আশা দেবীর জীবনের বড় একটা অংশ কেটেছে একজন ‘আদর্শ’ গৃহবধূ হয়ে। রান্না আর সন্তানদের দেখভাল ছিল তার জীবনের মূল লক্ষ্য। গত এক দশকে এই আশা দেবী হয়ে উঠেছেন একজন নারী অধিকারকর্মী। শুরুতে নিজের মেয়ের জন্য... এখন পুরো ভারতের মেয়েদের ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করছেন তিনি।
দুই বছর আগে ২০২০ সালে মেয়ের ওপর হামলার অষ্টম বার্ষিকীতে ধর্ষণের শিকার সব নারীর ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার অঙ্গীকার করেছিলেন আশা। ঘটনার কয়েক মাস পর ফাঁসিতে ঝুলানো হয় অপরাধীদের।
তিনি বলেছিলেন, ‘এভাবেই আমি আমার মেয়ের প্রতি সম্মান জানাতে পারব।’
৫৬ বছরের আশা দেবীর একটি পা বিকল। প্রতিদিনই তাকে ছুটতে হয় ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে। এ অবস্থা নিয়ে পাঁচ সপ্তাহ ধরে প্রতি সন্ধ্যায় তিনি দিল্লির দ্বারকা জেলায় একটি মোমবাতি প্রজ্বলন সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন।
তারা ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীর জন্য ন্যায়বিচার দাবি করছেন; যাকে ১০ বছর আগে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছিল। এই অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে সম্প্রতি ভারতের শীর্ষ আদালত মুক্ত করে দিয়েছে। আদালত জানায়, আসামিরা যে দোষী তার কোনো প্রমাণ নেই। যদিও শীর্ষ আদালতে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, তার পরও ‘ছাওলা ধর্ষণ’ মামলাটি কেউ যেন ভুলে না যায়, সেটি নিশ্চিতের জন্য আরও অনেকের সঙ্গে আশা দেবী প্রতিবাদ করছেন।
আশা দেবী বলেন, ‘কোনো দিন ১০ আবার কোনো দিন ১৫ জন হয় মিছিলে। এভাবেই আমরা প্রতিদিন প্রতিবাদ করি।
‘আমরা চাই আদালতের আদেশ প্রত্যাহার করা হোক। তাদের (কথিত ধর্ষকদের) আবার জেলে যেতে হবে।’
আসামিদের ছেড়ে দেয়ার পরদিন আশা দেবী নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমার তো এখন চুপ থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমি তা পারিনি। আমার কেবল মনে হতো কীভাবে কোর্টরুমের বাইরে বসে কাঁদতাম, মাঝে মাঝে ভীষণ একা লাগত। সে জন্য আমি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করি এবং তাদের সঙ্গে বসে কাঁদি।’
গুজরাটের আরেকটি আলোচিত ধর্ষণ ঘটনা ছিল বিলকিস বানুর মামলাটি। অভিযুক্তরা বিলকিস বানুর পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে হত্যাও করেছিল। তবে অভিযুক্ত ১১ জনকে খালাস করে দেয় রাজ্য সরকার। এই বিলকিস বানুর প্রতি ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়ে একটি অনলাইন পিটিশনে সম্প্রতি আশা দেবী তার সমর্থন দেন।
ধর্ষিতাদের পাশে দাঁড়ানো এবং পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের পরামর্শ দিতে আশা দেবী তার মেয়ের নামে একটি ট্রাস্ট গড়ে তুলেছেন। এতে আছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ কর্মকর্তা এবং অনেক স্বেচ্ছাসেবক। গত কয়েক বছরে তারা কয়েক ডজন পরিবারের সঙ্গে কাজ করেছে।
আশা দেবী এখন বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তি। তার উপস্থিতি প্রায় পুলিশ এবং কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে উদ্বুদ্ধ করে। তবে আশা দেবী জানান, তার মেয়ে মারা যাওয়ার ১০ বছর কেটে গেলেও ভারতের মাটিতে কিছুই বদলায়নি।
নির্ভয়ার ওপর হামলা হয় ২০১২ সালে। সে বছর ভারতে ২৪ হাজার ৯২৩টি ধর্ষণের মামলা রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০২০ সালে সংখ্যাটি ৩ হাজার ৬৭৭-এ দাঁড়িয়েছে।
আশা দেবী বলেন, ‘কাগজে আইন তৈরি হয়, প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়। তবে তার বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে।
‘এমনটা চলতে থাকলে ন্যায়বিচারের প্রতি আমাদের বিশ্বাস উঠে যাবে।’
আশা দেবীর এমন তৎপর হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে তার নিজের অভিজ্ঞতা, ন্যায়বিচারের জন্য তার দীর্ঘ লড়াই। ১০ বছর আগের স্মৃতি এখনও তার চোখে পানি আনে।
তিনি বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের মতো দিন আর কাউকে যেন দেখতে না হয়।’
নির্ভয়ার বয়স ছিল কেবল ২৩। সবে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করছিল; একটি হাসপাতালে ইন্টার্নশিপের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল।
ছলছল চোখে নির্ভয়ার মা বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে একটি আইডি কার্ড পেয়েছিল। দু-এক দিনের মধ্যে এ কাজে যোগ দিত।’
নির্ভয়ার ওপর নৃশংসতার দিনটি ছিল রোববার। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সে মাকে বলেছিল, ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই ফিরে আসবে।
কয়েক ঘণ্টা পর আশা দেবী মেয়েকে হাসপাতালে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পান। সে সময় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে আশা বলেছিলেন, ‘মনে হচ্ছিল যেন তাকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডাক্তার বলেছিলেন, কীভাবে কী করবেন তারা সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না।
নির্ভয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন বাসচালকসহ আরও পাঁচজন। এ সময় নির্ভয়ার পাশে ছিল তার বয়ফ্রেন্ড। তাকেও চরম মারধর করা হয়েছিল। নগ্ন ও রক্তাক্ত যুগলকে তারা রাস্তার ধারে ফেলে দিয়েছিল। কয়েকজন পথচারী তাদের পেয়ে পুলিশ ডাকে। পরে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়।
আশা দেবী বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে যা ঘটেছিল তা এতটাই নৃশংস ছিল যে সে মরে গিয়ে যেন বেঁচে গেছে। তার পরও সে ১২ দিন বেঁচে ছিল। সবাই তার নাম রেখেছিল নির্ভয়া। সে সত্যিই সাহসী ছিল।’
চোখের পানি মুছতে মুছতে আশা বলেন, ‘হাসপাতালে সে পানির জন্য ছটফট করত। কিন্তু আমরা তাকে এক চামচ পানিও দিতে পারিনি।
‘কেবল মনে হতো কী দোষ ছিল আমার মেয়ের? কেন তাকে এত যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হলো? আমি তাকে তীব্র যন্ত্রণা পেতে দেখেছি। সেই যন্ত্রণা থেকেই আমি শক্তি সঞ্চার করেছি। তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে আমি তার ন্যায়বিচারের জন্য লড়ব।’
বিচার শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই আশা দেবীকে আদালতে দেখা যেত। তিনি বলেন, ‘একটি শুনানিও মিস করিনি। বাড়িঘর তখন ছেড়েই দিয়েছিলাম।’
এসব সত্ত্বেও মামলাটি শেষ হতে এবং ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝুলতে ৭ বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল।
আশা দেবী বলেন, ‘সংকল্প নিয়েছিলাম, যাই হোক হাল ছাড়ব না।’
উত্তর প্রদেশের একটি পিছিয়ে পড়া জেলায় বেড়ে ওঠেন আশা দেবী। হাই স্কুলটি বাড়ি থেকে অনেক দূরে থাকায় অষ্টম শ্রেণির পর স্কুল ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাকে। আইনের ভাষা বোঝার জন্য তাই আশাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে প্রায়ই আসতে হতো আশাকে। টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যেত তাকে। আশার এমন অদম্য শক্তি দেখে অনেক ভারতীয় অনুপ্রেরণা পেয়েছিল। আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী, সেলিব্রিটি এবং রাজনীতিবিদরা একসময় তার পাশে দাঁড়ান। এ সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের মৃত্যুদণ্ড দিলে আসামিদের পরিবার এবং তাদের আইনজীবীরা রিভিউ পিটিশন দাখিল করে এবং শেষ মুহূর্তে সরকারের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চায়।
অধিকারকর্মীরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে গবেষণায় দেখা গেছে মৃত্যুদণ্ড আদতে অপরাধ কমায় না। এটির ফলে আরও বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটে। কারণ অপরাধীরা প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করে।
তবে আশা দেবী মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে একজন জোরালো সমর্থক। জোর গলায় তিনি বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে উচিত বিচার।
‘কিছু মানুষ আছে যারা অভিযুক্তদের মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু যে মেয়েটিকে ধর্ষণ এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, তার মানবাধিকারের কথা কে বলে? মানুষের মধ্যে ভয় না কাজ করলে কিছুই বদলাবে না।’
আরও পড়ুন:ইসরায়েলি সৈন্যরা অভিযান চালিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা গাজার দুটি প্রধান হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। সেসব গণকবরের স্পষ্ট, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বস্ত তদন্তকারীদের অবশ্যই স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে। গাজার প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য আরও সাংবাদিকদের নিরাপদে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, ‘গাজা শহরের আল শিফা মেডিক্যাল সেন্টার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল ধ্বংস এবং ইসরায়েলিরা চলে যাওয়ার পর ওইসব স্থাপনার আশপাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবরে আমি আতঙ্কিত।’
এই হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দায়মুক্তির বিদ্যমান পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে এতে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’
ভলকার তুর্ক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে হাসপাতালগুলো বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী। আর যুদ্ধে অংশ নিতে অক্ষম এমন বেসামরিক নাগরিক, বন্দি ও অন্যদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা যুদ্ধাপরাধ।’
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল হাসপাতালগুলোতে গণকবরের খবরকে অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইসরায়েলি সরকারের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাহাজ ‘চিন ডুইন’ থেকে তাদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায়।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছায়।
প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছানোর পরপরই ঘাট থেকে গাড়িযোগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উদ্দেশে রওনা হয়, যেখানে বিজিবির অধীনে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য রয়েছেন। তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ফেরত যাবে প্রতিনিধি দলটি।
এদিন বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।
তিনি বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে ১৭৩ বাংলাদেশি ঘাটে এসে পৌঁছাতে পারেন। তারা মিয়ানমারের কারাগারে ভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরছেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙ্গামাটি জেলার এবং একজন করে রয়েছেন খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভীড় করছেন তাদের স্বজনরা।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে ফেরত আসাদের গ্রহণ করে পুলিশে হস্তান্তর করবে বিজিবি। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এদিকে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘চিন ডুইন’ জাহাজটি ১৭৩ বাংলাদেশিকে বহন করে মঙ্গলবার যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা পেয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন।
মূলত বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা মিয়ানমারের জাহাজটিই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপির ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবে।
মিয়ানমারের ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছে।
মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নেন। এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন, যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ ও সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে। সেখানেও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ সংরক্ষিত হতে পারে।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ থামাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে প্রশাসন।
নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে (এনওয়াইইউ) বিক্ষোভকারীদের একটি ক্যাম্প ভাঙতে সোমবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দিনের শুরুতে ইয়েল থেকে বহুসংখ্যক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি সশরীরে ক্লাস বাতিল করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে ইহুদি-বিদ্বেষ ছড়ানোর উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
গাজার শাসক দল হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালানোর পর সাঁড়াশি হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেই থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিক্ষোভ ও উত্তপ্ত বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বেড়েই চলেছে।
উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরাই বলছেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি-বিদ্বেষ ও ইসলাম-বিদ্বেষ উভয় ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ গত সপ্তাহে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডেকে এনে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করার পর এই বিক্ষোভ-আন্দোলনের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।
এরপর থেকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। এনওয়াইইউ এবং ইয়েল ছাড়াও বার্কলের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি), ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান, এমারসন কলেজ এবং টাফ্টসে ক্যাম্প স্থাপন করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা-হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
অন্যান্য বিক্ষোভকারীর মতো এনওয়াইইউ-এর বিক্ষোভকারীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে ইসরায়েলি দখলদারত্বে আগ্রহী অস্ত্র প্রস্তুতকারক এবং সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আর্থিক অনুদান না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আলেহান্দ্রো তানন নামের এক শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি সংকটময় মুহূর্তে রয়েছে। এই বিক্ষোভ ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও সাউথ আফ্রিকার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনীয়।’
এক বিক্ষোভকারী সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘আমরা প্যালেস্টাইনের পাশে আছি এবং সব মানুষের মুক্তির পক্ষে।’
এনওয়াইইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিজনেস স্কুলের বাইরে মূল ক্যাম্পে ৫০ জন ছিল। তারা এই বিক্ষোভকে অননুমোদিত বলে বর্ণনা করে বলেছে, এর ফলে ক্লাস ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার শুরু করে। তবে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে কানেক্টিকাটের নিউ হ্যাভেনের ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল। তাদের অনেকেই বিক্ষোভস্থল থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।
সোমবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষার্থীদের ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানিমূলক আচরণের উল্লেখ করে ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। সেখানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:ইরানের মাটিতে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, আরেকবার ‘ভুল’ করলে তেহরানের জবাব হবে বিপর্যয়কর।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটি লাহোরে (জিসিইউএল) মঙ্গলবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সংস্কৃতি ও শিক্ষাঙ্গনের প্রভাবশালীদের সঙ্গে বৈঠকে রাইসি এ বার্তা দেন বলে জানায় প্রেস টিভি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, বক্তব্যে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে সম্প্রতি ইসরায়েলের মাটিতে তেহরানের আক্রমণের বিষয়টি তুলে ধরেন রাইসি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দামেস্কে ইসরায়েলের হামলাটি ছিল সব আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের বিরোধী। এ কারণে ইসরায়েলকে শাস্তি দিয়েছে ইরান।
ইসরায়েলকে ফের ভুল না করার বিষয়ে সতর্ক করে রাইসি বলেন, ‘জায়নবাদী সরকার যদি আরেকবার ভুল করে ইরানের মাটিতে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে এবং এই শাসনব্যবস্থার কতটা অবশিষ্ট থাকবে, তা পরিষ্কার নয়।’
গত ১৩ এপ্রিল ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’ নামে অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক শ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ ভূপাতিত করে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এ কাজে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র রাষ্ট্রগুলো।
আরও পড়ুন:মালয়েশিয়ায় একটি সামরিক মহড়ার সময় মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর দুটি উড়োজাহাজের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলভার সাড়ে ৯টার দিকে মালয়েশিয়ার লুমু শহরে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজের জন্য একটি সামরিক মহড়া চলাকালীন মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর ওই দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়। পরে বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায় বাহন দুটি। কেউই বেঁচে নেই।
নানা মাধ্যমে এর ফুটেজও প্রকাশিত হয়েছে।
রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই ১০ জনকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। লুমুত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মরদেহ শনাক্তের জন্য। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
যে দুটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে এর মধ্যে একটি হলো এইচওএম এম৫০৩-৩। এতে সাতজন আলোরী ছিলেন। চলমান ট্র্যাকে বিধ্বস্ত হয়েছে এই উড়োজাহাজটি। অন্যটি ফেনেক এম৫০২-৬। এতে ছিলেন তিনজন আরোহী। এটি বিধ্বস্ত হয় কাছাকাছি একটি সুইমিং পুলে।
রাজ্যের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার বিষয়য়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
এর আগে গত মার্চ মাসে একটি মালয়েশিয়ান কোস্ট গার্ড উড়োজাহাজ প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় মালয়েশিয়ার আংসা দ্বীপের কাছে সাগরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনার পর পাইলট, কো-পাইলট এবং এতে থাকা দুই যাত্রীকে জেলেরা উদ্ধার করেন।
এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্পে দফায় দফায় কেঁপে উঠল তাইওয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এসব কম্পন অনুভূত হয়।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তীব্রতার ভূমিকম্পের উৎপত্তি পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েনে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশিমক ৩।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসনের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে প্রথম যে ভূমিকম্প আঘাত হানে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশিমক ৫। রাজধানী তাইপেতেও এ কম্পন অনুভূত হয়। এরপর দফায় দফায় কম্পন অনুভূত হতে থাকে। বিশেষ করে মঙ্গলবার সকালে আঘাত হানা দুটি ভূমিকম্প ছিল তীব্র।
রিখটার স্কেলে প্রথমটির তীব্রতা ছিল ৬.০ এবং দ্বিতীয়টির ৬.৩।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল। এতে অন্তত ১৭ জন মারা গেছে। অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তীব্র এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে।
তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত আনে। তাতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যায়।
এদিকে নতুন এ ভূমিকম্পের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপক দলকে পাঠানো হয়েছে।
কেউ হতাহত হয়নি বলে তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বলে তাইওয়ানে ঘন ঘন ভূমিকম্প আঘাত হানে।
আরও পড়ুন:কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ভারি বৃষ্টিপাতের কবলে পড়েছে আরেক মরুর দেশ সৌদি আরব। রাজধানী রিয়াদের কিছু অঞ্চলসহ দেশটির অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাটও।
সৌদি আরবের আবহাওয়া বিভাগ সতর্কতা জারি করে বলেছে, আগামী কয়েকদিন বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। সতর্কতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শনিবার থেকে রাজধানী রিয়াদসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাজধানী রিয়াদ ছাড়াও দিরিয়াহ, হুরায়মালা, ধুর্মা থেকে কুয়াইয়াহ পর্যন্ত।
আবহাওয়ার চলমান এ পরিস্থিতি মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই সময়কালে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে সতর্কতার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টির সময় উপত্যকা ও জলাবদ্ধ এলাকা থেকে নাগরিকদের দূরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সবশেষ গেল সপ্তাহে অতি বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা যায় দুবাই ও শারজাহতে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য