ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ম্যাচ পরিচালনা করতে যাচ্ছেন ৩ নারী রেফারি। বৃহস্পতিবার রাত ১ টায় জার্মানি বনাম কোস্টারিকার ম্যাচ পরিচালনা করবেন ফ্রান্সের স্টেফানি ফ্র্যাপাট, ব্রাজিলের নেউজা বাক, ও মেক্সিকোর ক্যারেন দিয়াজ মেদিনা।
ফ্রাপার্ট এর আগে গত মঙ্গলবার মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের ম্যাচে চতুর্থ অফিসিয়ালের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ফ্রাপার্ট বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপের চাপ নিয়ে ওয়াকিবহাল। সেটাতে আমাদের কাজে কোনো পরিবর্তন আসবে না। আমাদের শান্ত, ফোকাসড থাকতে হবে। মিডিয়া ও অন্য কোথায় কে কী বলছে সেটা নিয়ে বেশি ভাবা যাবে না। মাঠের কাজেই আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।’
আল বাইত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ। ফ্রাপার্ট জানিয়েছেন, ম্যাচ পরিচালনা করতে তাকে নারী হিসেবে কখনই কোনো বিপাকে পড়তে হয়নি।
তিনি যোগ করেন, ‘শুরু থেকেই আমি ক্লাব ও খেলোয়াড়দের সমর্থন পেয়ে এসেছি। স্টেডিয়ামেও আমাকে সবসময় স্বাগত জানানো হয়েছে। নিজেকে অন্য রেফারিদের থেকে আলাদা মনে হয়নি। বিশ্বকাপেও একইভাবে স্বাগত জানানো হবে আশা করছি।’
ফ্রাপার্ট তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য মাইলফলক স্থাপন করেছেন। প্রথম নারী রেফারি হিসেবে তিনি ২০১৯ সালের আগস্টে ইউয়েফা সুপার কাপ, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ২০২২ সালের মে মাসে ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
এবারের বিশ্বকাপের তালিকাভুক্ত বাকি দুই নারী রেফারি হলেন রুয়ান্ডার সালিমা মুকানসাঙ্গা ও জাপানের ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা।
আরও পড়ুন:History is set to be made on Thursday! 🤩
— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup) November 30, 2022
There will be an all-female refereeing trio taking charge for the first time at a men's #FIFAWorldCup in the match between Costa Rica and Germany.
Referee Stéphanie Frappart will be joined by assistants Neuza Back and Karen Diaz. 👏 pic.twitter.com/fgHfh2DICK
পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলা বিক্ষোভে আধাসামরিক বাহিনীর এক সদস্যকে হত্যার অভিযোগে ইরানে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার তাদের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানো হয়।
ইরানের বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে এ পর্যন্ত বিক্ষোভসংশ্লিষ্ট চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
এর আগে গত ডিসেম্বরে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটিতে দুই বিক্ষোভকারীকে ফাঁসি দেয়া হয়, যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা হয়।
ইরানের বিচার বিভাগ নিয়ে কাজ করা সংবাদমাধ্যম মিজান নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, রুহুল্লাহ আজমিয়ানকে হত্যার দায়ে মোহাম্মদ মাহদি কারামি এবং সাইয়্যেদ মোহাম্মদ হোসাইনিকে শনিবার সকালে ফাঁসি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইরানে ফাঁসির ঝুঁকিতে অনেক তরুণ
গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে ওই দুজনের মৃত্যুদণ্ড দেয় ইরানের একটি আদালত। মঙ্গলবার তাদের আপিল খারিজ করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
এএফপি জানায়, গত ৩ নভেম্বর কারাজ শহরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ইরানের আধাসামরিক বাসিজ বাহিনীর সদস্য রুহুল্লাহ।
আইনজীবীরা জানান, হাদিস নাজাফি নামের এক বিক্ষোভকারীর শেষকৃত্যে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের হামলার শিকার হন ২৭ বছর বয়সী রুহুল্লাহ। তাকে নগ্ন করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে।
এ বিক্ষোভে সমর্থন দেয়ায় দেশটিতে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন ১৪ বিক্ষোভকারী। এদের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন:সংসারে সবচেয়ে জরুরি ও কঠিন কাজগুলো নারীরাই করেন বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
ঘরে শান্তি নিশ্চিত করে তারাই আবার সমাজকে এগিয়ে নেয়ার পক্ষে ভূমিকা রাখছেন বলেও মনে করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেছেন, নারীকে তার যোগ্য সম্মান দিতে হবে।
পুলিশ সপ্তাহে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি বা পুনাকের বার্ষিক সমাবেশ ও আনন্দমেলা উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নারীদের এগিয়ে যাওয়ার কারণেই বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার মূল কারণ উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘কোনো একটি সমাজ, কোনো একটি রাষ্ট্রের যদি এগিয়ে যেতে হয় সেখানে নারী-পুরুষের সমান অংশীদার লাগে, সমান অংশগ্রহণ লাগে। অর্ধেক মানুষকে পেছনে ফেলে একটা সমাজ কখনও তার যে সম্ভাবনা আছে সেটাকে বাস্তবায়ন করতে পারে না।’
তিনি বলেন, “অনেক নারীকে কী করেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই করি না।’ অথচ তিনি সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে জরুরি ও সবচেয়ে কঠিন কাজ সারা দিন করেন। সেটা হচ্ছে ঘর সামলানো, সংসার করা। নারীরা আর সর্বত্র, নারীদের জয় সর্বত্র।”
মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের অনুপ্রেরণার সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে তার ঘর। সেখানে শান্তি, অনুপ্রেরণা থাকলে মানুষ বাইরে তার কাজের জায়গায় সাফল্য লাভ করে। কাজেই ওই সাফল্যের আপনারা বড় অংশীদার।’
পুনাকের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ও তাদের তৈরি পণ্যের প্রশংসাও করেন দীপু মনি।
আরও পড়ুন:অনলাইন ডেটিং এর জগতে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাম্বল। ৮ বছরে টিন্ডার, ওকে কিউপিড ও ই-হারমনির মতো প্রতিষ্ঠিত অ্যাপগুলোকে টক্কর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে পরিচালিত অ্যাপটি।
বাম্বল বাজারে আসে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। অ্যাপটিতে বাড়তি কয়েকটি ফিচার যোগ করেন এর নির্মাতা সাবেক টিন্ডারকর্মী হুইটনি উলফ। অ্যাপের ‘সোয়াইপ’ বাটনের কারণে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পায় বাম্বল।
বাম্বল হলো মর্যাদা, সমতা ও অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বিনামূল্যের ডেটিং অ্যাপ। ২০২১ সালের হিসাবে বিশ্বজুড়ে বাম্বল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৫০ লাখ।
অ্যাপটিতে নারী ব্যবহারকারীদের বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। একজন নারী ব্যবহারকারী কাকে তার সঙ্গে যুক্ত করবেন, সে সিদ্ধান্ত কেবল তিনিই নিয়ে থাকেন।
কোনো নারী ব্যবহারকারী যদি কাউকে পছন্দ না করেন তবে বাঁয়ে সোয়াইপ করে ওই ব্যক্তিকে তিনি প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন। আর ডানে সোয়াইপ করে তাকে গ্রহণ করতে পারবেন।
এ সিদ্ধান্ত নিতে একজন নারী ২৪ ঘণ্টা সময় পান। এ সময়ের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায় রিকোয়েস্টটি।
বিষমকামী ম্যাচগুলোতে নারী ব্যবহারকারীরা প্রথমে পুরুষ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আর যখন সমলিঙ্গের ম্যাচে যে কোনো ব্যক্তি প্রথমে একটি বার্তা (মেসেজ) পাঠাতে পারেন।
বাম্বলের নির্মাতা হুইটনি উলফ ২০১৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘২০১৪ সাল ছিল নারীবাদের বছর। তবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে এর ছাপ পাইনি। অথচ আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিসগুলোর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া অন্যতম।
‘আমাদের মূলমন্ত্র ‘নারীর হাতে নিয়ন্ত্রণ উঠুক’। এর মানে এই নয় যে পুরুষের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হবে। আসলে আমরা ভূমিকাগুলো ওলট-পালট করেছি।
‘সবকিছু নিজেকেই শুরু করতে হবে, এমন একটা চাপ সবসময় অনুভব করেন পুরুষরা। এ করে সম্ভবত তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
‘বাম্বলের লক্ষ্য হলো, সম্পর্ক বা সংযোগ শুরু করতে নারীদের উৎসাহিত করা। আমি বিশ্বাস করি সংযোগটি যদি বাস্তব জীবনকে সম্পর্কের দিকে নিয়ে যায়, তবে তা দারুণ হয়ে উঠবে।’
বাম্বলের দুই বছর আগে ২০১৪ সালে ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার বাজারে আসে। তবে অ্যাপটিতে ব্যাপক যৌন হয়রানির অভিযোগ করে থাকেন নারী ব্যবহারকারীরা। বিষয়টি নিয়ে ভাবতেন হুইটনি উলফ। সে সময় টিন্ডারের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ পদে ছিলেন উলফ। এর দুই বছর পর নারীদের ব্যাপক সুবিধা দিয়ে তার প্রতিষ্ঠান বাজারে আনে ডেটিং অ্যাপ বাম্বল।
ইরানে নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলা বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত ১০০ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে নরওয়ে-ভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, এই ১০০ জনের মধ্যে পাঁচজন নারী।
আইএইচআর সতর্ক করে বলেছে, মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকিতে থাকা বিক্ষোভকারীর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ তথ্য গোপন রাখতে অনেক বিক্ষোভকারীর পরিবারকে প্রশাসন চাপ দিচ্ছে।
জাতীয় নিরাপত্তায় আঘাত হানার অভিযোগে বিপ্লবী আদালতের মাধ্যমে মোহসেন শেখারি এবং মাজিদ্রেজা রাহনাভার্ড নামে দুজনকে ইতোমধ্যে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই বিচারকে ‘শেইম ট্রায়াল’ অভিহিত করেছে।
ইরানে চলমান বিক্ষোভের শুরু ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যু হয়। কুর্দি এই তরুণীর নাম মাহসা আমিনি। হিজাব ঠিকমতো না করার অভিযোগে ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মাহসার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি নির্যাতনে মাহসা মারা গেছেন। তবে সরকার বলছে, পুরনো শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে তার। সেদিন সন্ধ্যা থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ইরানে।
ইরান সরকার বিক্ষোভকে বিদেশি-সমর্থিত ‘দাঙ্গা’ বলে চিত্রিত করছে। বিক্ষোভ দমাতে ইরানের পুলিশ সরাসরি গুলি ছুড়তেও দ্বিধা করছে না।
ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) বলছে, বিক্ষোভে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৭৬ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৪ শিশু এবং ৩৪ নারী।
ইরান হিউম্যান রাইটসের মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমন ১০০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের বিক্ষোভে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন কর্মকর্তারা। এসব ব্যক্তির পরিবার এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই তালিকা করেছে মানবাধিকার সংগঠনটি।
আইএইচআর জানায়, ‘আসামিদের নিজস্ব আইনজীবী, যথাযথ প্রক্রিয়া এবং ন্যায্যবিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।
‘আর যারা তাদের পরিবার কিংবা মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন তাদের সবাই জানিয়েছেন, মিথ্যা আত্ম-অপরাধমূলক স্বীকারোক্তিতে বাধ্য করতে তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।’
শিগগিরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে ২২ বছরের মোহাম্মদ ঘোবাদলুর। ইরানের সুপ্রিম কোর্ট শনিবার তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। সেপ্টেম্বরে তেহরানে বিক্ষোভের সময় পুলিশের দলের ওপর গাড়ি তুলে দিয়ে একজনকে হত্যা করার অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন মোহাম্মদ।
মোহাম্মদের মা বলেন, ‘আমার ছেলে বাইপোলার ডিস-অর্ডারে ভুগছে। তার নির্বাচিত আইনজীবীদের বিচারের সময় আসতে দেয়া হয়নি। প্রথম অধিবেশনেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, হেফাজতে মোহাম্মদকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টে তার বাহু, কনুই ও কাঁধে ব্লেডের ক্ষত পাওয়া গেছে।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ নারীর একজন কুর্দি ভাষার শিক্ষক এবং মানবাধিকার কর্মী মোজগান কাভৌসি। আইএইচআর জানায়, তার বিরুদ্ধে ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত সপ্তাহে সারি শহরে কাভৌসির বিচার শুরু হয়। সেদিন এক প্রসিকিউটর কাভৌসিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার দায়ে অভিযুক্ত করেন বলে জানা গেছে।
আইএইচআর পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোগদ্দাম বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের তা কার্যকর করে ইরান সরকার লোকজনকে বাড়ি পাঠাতে চাচ্ছে।
‘আমরা লক্ষ্য করেছি, এতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়ছে।’
বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানের বিপ্লবী গার্ড কয়েকজন ব্রিটিশ-ইরানিয়ান দ্বৈত নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। এসব নাগরিকের তথ্য দিতে এখন তেহরানকে চাপ দিচ্ছে লন্ডন।
ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র বলেন, ‘কূটনৈতিক সুবিধার জন্য আমাদের নাগরিকদের ব্যবহার করা হবে- এটা আমরা কখনই মেনে নেব না।’
এদিকে ফ্রান্স সরকার বলছে, তারা সোমবার গভীর রাতে লিওনের রোন নদীতে পাওয়া এক ইরানি ব্যক্তির মৃত্যুকে আত্মহত্যা ধরে তদন্ত করছে।
মোহাম্মদ মোরাদি নামে ওই ব্যক্তির বয়স ৩৮। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেছিলেন, ইরানে ক্র্যাকডাউনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে তিনি আত্মহত্যা করতে চলেছেন।
এদিকে শীর্ষ ইরানি দাবা খেলোয়াড় সারা খাদেম দ্বিতীয় দিনের মতো হিজাব ছাড়াই কাজাখস্তানে একটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। হিজাব খুলে ফেলা ইরানে নারী নেতৃত্বাধীন প্রতিবাদ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের ইঙ্গিত।
ইরানের আইনে সরকারিভাবে বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সময় নারীদের পোশাক কোড মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন:মেট্রোরেলকে জনবান্ধব করতে নারী যাত্রীদের জন্য থাকছে আলাদা ব্যবস্থা। বর্তমানে বাসে নারীদের যাতায়াতের যে ভোগান্তি সৃষ্টি হয় সেটাকে মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে এ ব্যাবস্থা।
মেট্রোরেল প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছে, মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে শুধু নারী যাত্রীদের জন্য একটি কোচ সংরক্ষিত থাকবে। ওই কোচে সর্বোচ্চ ৩৯০ জন নারী যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।
এ ছাড়া মেট্রো স্টেশনগুলোতে নারী যাত্রীদের জন্য পৃথক ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে আলাদা কক্ষ যেখানে নারীরা তাদের শিশুদের দুধ খাওয়ানো ও ডায়াপার পরিবর্তনের সুবিধা পাবেন।
গর্ভবতী নারী ও বয়স্ক যাত্রীদের জন্য মেট্রো ট্রেনের প্রতিটি কোচে আলাদা আসন সংরক্ষিত থাকবে।
আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করে আলোচনায় চলে এসেছেন ১৮ বছরের এক কিশোরী। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তালেবানরক্ষীদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে রোববার একাই প্রতিবাদ করেন মারওয়া নামের এই কিশোরী।
মারওয়া বলেন, ‘আমার জীবনে প্রথমবারের মতো এত গর্বিত এবং শক্তিশালী বোধ করেছি। কারণ আমি তাদের (তালেবান) বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি এবং ঈশ্বর আমাদের যে অধিকার দিয়েছে সে অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।
গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। ক্ষমতায় এসেই নারী আন্দোলনকারী দলের নেতাদের আটক করা শুরু করে তারা। সেই থেকে দেশটিতে নারী-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ আসতে আসতে কমে যায়।
শুরুতে নারীদের অধিকারে আঘাত আসবে এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, সময়ের সঙ্গে সে অবস্থান থেকে সরে আসে তালেবান। প্রথমে নারীদের সরকারে নেয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তালেবান। তারপর নারীদের হাই স্কুল বন্ধ করে দেয়।
গত সপ্তাহে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিষিদ্ধ করে আফগানিস্তানের কট্টর শাসকরা। এর কয়েকদিন পর শনিবার এনজিও-তে নিষিদ্ধ হন আফগান নারীরা।
এমন প্রেক্ষপটে তালেবানের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যথেষ্ট কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। আছে সামাজিক হেনস্তার ভয়ও। তবে এসব কিছুই টলাতে পারেনি মারওয়াকে।
আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বার থেকে মাত্র মিটার দূরে একটি প্লেকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মারওয়া। দূরে একটি গাড়ি থেকে এই দৃশ্য ভিডিও করেন মারওয়ার বোন।
নারী অধিকারের উপর সর্বশেষ আক্রমনের জন্য বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হচ্ছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। শত বাধা উপেক্ষা করে এ পদক্ষেপের প্রতিবাদের চেষ্টা করেছিল কিছু নারী। তবে সরকার তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে মোতায়েন তালেবান রক্ষীদের সামনে রোবাবার মারওয়া যে প্ল্যাকার্ড উঁচু করে ছিল তাতে লেখা-‘ইকরা’। এটি একটি আরবি শব্দ যার অর্থ ‘পড়ুন’।
মারওয়া বলেন, ‘তারা (তালেবান রক্ষী) আমাকে অনেক আজেবাজে কথা বলছিল। তবে আমি শান্ত ছিলাম।
‘আমি একজন অবিবাহিত আফগান মেয়ের ক্ষমতা দেখাতে চেয়েছিলাম। নিপীড়নের বিরুদ্ধে একজনও যে প্রতিবাদ করতে পারে সেটাই দেখাতে চেয়েছিলাম। যখন আমার অন্য বোনেরা (নারী শিক্ষার্থীরা) দেখবে যে একটি অবিবাহিত মেয়ে তালেবানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তখন তা তাদের প্রেরণা যোগাবে।’
শুধু শিক্ষা বা চাকরি ক্ষেত্রেই না। পার্ক, জিম এবং খোলা জায়গায় গোসলেও নিষেধ করা হয়েছে নারীদের।
তালেবান বলছে, নারীরা হিজাবসহ কঠোর ইসলামিক ড্রেস কোড পালন করছে না বলেই এই নিষেধাজ্ঞাগুলো দেয়া হচ্ছে।
আফগানিস্তান এখন নারীদের জন্য কারাগারে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন চিত্রশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখা মারওয়া।
তিনি বলেন, ‘আমি বন্দী হতে চাই না। আমার অনেক বড় স্বপ্ন আছে, যা অর্জন করতে চাই। তাই প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুন:নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে ইরানে চলা বিক্ষোভ ১০০তম দিনে গড়াল। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভটি ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ইরানের শাসকদের সামনে। যদিও বিক্ষোভের জন্য চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে ইরানিদের।
হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট নিউজ এজেন্সি (এইচআরএএনএ) অনুসারে, ৬৯ শিশুসহ ৫০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার দুই জনকে ইতোমধ্যে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। কমপক্ষে ২৬ জন এখন একই পরিণতির মুখে আছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই বিচারকে ‘শেইম ট্রায়াল’ বলে অভিহিত করেছে।
দেশজুড়ে বিক্ষোভ কয়েক বছর আগেও দেখেছে ইরান। ২০১৭ সালে শুরু হওয়া বিক্ষোভটি ২০১৮ পর্যন্ত চলেছিল। এরপর ২০১৯ সালের নভেম্বরে আরেকবার বিক্ষোভের মুখে পড়ে ইরান। তবে এবারের বিক্ষোভটি একবারেই অন্যরকম।
এতে সমাজের সবস্তরের মানুষ শামিল হচ্ছেন। ইরানের মতো কট্টর ইসলামিক শাসনের দেশে বিক্ষোভটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরা। ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’- স্লোগানে তারা রাজপথ কাঁপিয়ে দিচ্ছেন।
বিক্ষোভে ইরানি সেলিব্রেটিরাও যুক্ত হচ্ছেন। এতে সরকারের রোষানলেও পড়ছেন তারা। অনেকে গ্রেপ্তার হচ্ছেন আবার অনেকে নির্বাসিত হচ্ছেন।
ইরানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারানেহ আলিদুস্তি। এক তরুণ বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর সরকারের নিন্দা করেছিলেন তিনি। এর আগে বাধ্যতামূলক হেডস্কার্ফ ছাড়া নিজের একটি ছবি প্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। তারানেহ এখন ইরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে বন্দী আছেন।
তারানেহ অভিনীত ‘দ্য সেলসম্যান’ সিনেমাটি অস্কার জেতে। সিনেমাটির পরিচালক আসগর ফারহাদি ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘আমি তারানেহের সঙ্গে চারটি সিনেমায় কাজ করেছি। দেশবাসীর ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য এখন তিনি কারাগারে আছেন।
‘যদি এই ধরনের সমর্থন দেখানো অপরাধ হয়, তাহলে এই দেশের কোটি কোটি মানুষ অপরাধী।’
‘মৃত্যুর হুমকি’
পেগাহ আহাঙ্গারানিও ইরানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। গ্রেপ্তারের ভয়ে দেশ ছেড়েছেন তিনি। বিবিসি ফার্সিকে পেগাহ বলেন, ‘দুই পক্ষই উগ্রপন্থী। শাসকরা ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছেন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোকেরাও প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
‘ইরান মাহসা আমিনি যুগে ফিরে যেতে পারে না।’
ইরানে চলমান বিক্ষোভের শুরু ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যু হয়। কুর্দি এই তরুণীর নাম মাহসা আমিনি। হিজাব ঠিক মতো না করার অভিযোগে রাজধানী তেহরান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মাহসার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি নির্যাতনে মাহসা মারা গেছেন। তবে সরকার বলছে, পুরনো শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে তার। সেদিন সন্ধ্যা থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে ইরানে।
আরেক সুপরিচিত ইরানি অভিনেতা হামিদ ফাররোখনেজাদ চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনিকে একনায়ক ফ্রাঙ্কো, স্ট্যালিন এবং মুসোলিনির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি।
ইরানের বিখ্যাত সাবেক ফুটবলার আলি করিমি দুবাইয়ে থাকেন। তিনিও বিক্ষোভকে সমর্থন করেছিলেন।
করিমি বলেন, ‘ইরানি গোয়েন্দারা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসি।’
করিমি এখন তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ইরানের শাসকদের সবচেয়ে স্পষ্টবাদী সমালোচকদের একজন। ইনস্টাগ্রামে তার ১৪ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।
আরেক ইরানি ফুটবল আইকন আলি দাই। বিক্ষোভে সমর্থন দেয়ায় ইরানের বিচার বিভাগ তার গহনার দোকান এবং রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে।
পাগড়ি খুলে ফেলা
ইরানের ‘জেনারেশন জেড’ কঠোর ধর্মীয় শাসনকে অস্বীকার করে। মাথার স্কার্ফ পুড়িয়ে তারা সামনে থেকে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তরুণ বিক্ষোভকারীদের আরেকটি প্রবণতা ভীষণভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তারা শিয়া মুসলিম ধর্মগুরুদের পেছনে লুকিয়ে থাকে। সুযোগবুঝে একপর্যায়ে তারা ধর্মগুরুদের পাগড়ি ফেলে পালিয়ে যায়।
A schoolgirl without a headscarf in Tehran knocks off a cleric’s turban & runs away. “#TurbanTossing is a campaign to protest against the symbol of access to the ruling system, privilege, corruption and oppression. #MahsaAmini #مهسا_امینی #عمامه_پرانی pic.twitter.com/rdwrTXQ2Nr
— Omid Memarian (@Omid_M) November 13, 2022
এই অপরাধে গত মাসে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজ থেকে ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মুক্তি পাওয়ার আগে ১০ দিন আরশিয়াকে আটক করা হয়। এর দুই দিন পর ছেলেটি আত্মহত্যা করে। আরশিয়ার পরিবারের অভিযোগ, আটকের সময় তাকে পেটানো হয়েছিল। তারপর আটক অবস্থায় তাকে ‘অজানা ওষুধ’ খাওয়ানো হতো। এসবের প্রভাবে আরশিয়া আত্মহত্যা করেছে।
ইরানি কর্তৃপক্ষ কেবল প্রতিবাদকারীদের ওপরই দমন-পীড়ন করেনি। যারা হেফাজতে মারা গেছে বা নিহতদের মরদেহ বুঝিয়ে তাদের চুপ থাকার জন্য শাসায় বলে অভিযোগ আছে ঢের।
এ ধরনের চাপের ভয়ে নিহত এক বিক্ষোভকারীর ভাই মর্গ থেকে লাশ চুরি করে পালিয়ে যায় বলে একটি সূত্র বিবিসি ফার্সিকে জানিয়েছে।
কাতার বিশ্বকাপ থেকে ইরানের বিদায়ের পর গাড়ির হর্ন বাজিয়ে তা উদযাপন করছিলেন মেহরান সামাক। জাতীয় দলের ফুটবলাররা বিশ্বকাপে বিক্ষোভ নিয়ে কিছু না বলায়, তাদের ওপর ক্ষেপে ছিল ইরানিরা। সেদিন পুলিশ মেহরানের মাথায় সরাসরি গুলি করে তাকে হত্যা করে।
অন্য একটি পরিবার বলছে, তারা তাদের ২৩ বছর বয়সী ছেলে হামেদ সালাহশুরের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পেয়েছিলেন। হামেদ পুলিশের হেফাজতে মারা গিয়েছিলেন।
‘মৃত্যুদণ্ড এবং নির্যাতন’
এ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দুই বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই বিচারের চরম নিন্দা করেছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের অনেকেই আবার বলেছেন, জেলে তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে।
বেসরকারি সংস্থা-কুর্দিস্তান হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক জানায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কুর্দি-ইরানি র্যাপার সামান ইয়াসিন মঙ্গলবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সংগঠনটি এর আগে বলেছিল, ইয়াসিনকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। ইরানের সুপ্রিম কোর্ট শনিবার তার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল বহাল রেখেছে।
বিবিসি ফার্সির কাছে আসা একটি অডিও ফাইলে ২৬ বছর বয়সী অপেশাদার বডি বিল্ডার সাহান্দ নূরমোহাম্মাদজাদেহ অভিযোগ করেন, তাকে কারাগারে বেশ কয়েকবার ‘প্রতীকী মৃত্যুদণ্ড’ দেয়া হয়েছিল।
নুরমোহাম্মাদজাদেহকে নভেম্বরে ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শত্রুতা’-র (ইরানের আইনে অস্ত্র হাতে জনসাধারণের নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা) অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। ২৩ সেপ্টেম্বর তেহরানের রাস্তায় বিক্ষোভের কারণে যান চলাচলে বাধা দেয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
বিবিসি ফার্সি এক সাবেক বন্দীর এক্সরে ছবি হাতে পেয়েছে। যেখানে হামিদ ঘরে-হাসানলু নামে এক রেডিওলজিস্টের তিনটি পাঁজর ভেঙে গেছে দেখা যায়; তার ফুসফুসেও ছিদ্র ধরা পরে।
হামিদ ‘পৃথিবীতে দুর্নীতি’-এর জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। এটি এমন একটি অপরাধ যার সাজা মৃত্যুদণ্ড।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য হামিদকে নির্যাতন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য