মহাকাশ গবেষকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যশনাল অ্যাস্ট্রোনটিকাল ফেডারেশনের (আইএএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সৌদি নারী মিশাল আশেমিমরি।
মহাকাশ প্রকৌশলী আশেমিমরি প্রথম সৌদি নারী, যিনি আইএএফ-এর মতো প্রভাবশালী সংস্থায় মর্যাদাপূর্ণ এই দায়িত্ব পেলেন।
সৌদি স্পেস কমিশনের (এসএসসি) রোববার এ তথ্য জানায়।
এসএসসির এক টুইটে বলা হয়, আশেমিমরি আইএএফে সৌদি আরবের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন। তার দায়িত্ব ছিল, বিশ্বব্যাপী মহাকাশ গবেষণা খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা, আইএএফ-এর কৌশলগত দিকনির্দেশনা উন্নয়নে অবদান রাখা এবং ফেডারেশনে সৌদি আরবের অবস্থানকে সুসংহত করা।
আইএএফ- এর গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হওয়ার পর আশেমিমরি এক টুইটে লেখেন, ‘আইএএফ-এর অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। মহাকাশ গবেষণা জোরদারের জন্য অন্য ভাইস প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আমি উন্মুখ।’
সৌদি সংবাদ সংস্থা এসপিএ জানায়, আইএএফএ মোট ১২ জন ভাইস প্রেসিডেন্ট আছেন। তারা ফেডারেশনের জন্য বিভিন্ন সুপারিশ তৈরি, সভা তদারকি এবং সংগঠনের সাধারণ অধিবেশনের জন্য এজেন্ডা নির্ধারণ করেন।
এই ফেডারেশনে সারা বিশ্বের চারশরও বেশি সদস্য আছেন, যাদের অনেকেই শীর্ষস্থানীয় স্পেস এজেন্সি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।
দখলকৃত পশ্চিম তীরে শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিরস্ত্র এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, নাবলুসের দক্ষিণে হুওয়ারা শহরের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গুলিতে ২৬ বছর বয়সী আবদুল্লাহ সামি কালালওয়েহ নিহত হন।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র আহমাদ জিব্রিল স্থানীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফাকে জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গুরুতর আহত হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই কালালওয়েহর মৃত্যু হয়।
ওয়াফার তথ্য অনুযায়ী, কালালওয়েহের মৃত্যুতে এ বছর এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আট শিশু ও বয়স্ক এক নারীসহ ৩৬ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এ সময়ে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এক শিশুসহ ইসরায়েলি ছয় বেসামরিক এবং ইউক্রেনের এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, সন্দেহভাজন একজন হুওয়ারা এলাকায় সেনা ঘাঁটি সংলগ্ন সামরিক ফাঁড়ির দিকে হেঁটে যাওয়ার পর বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, কালালওয়েহ এক সেনাকে আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন। ওই স্থানে থাকা আরেক সেনা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
ফিলিস্তিনি ওই যুবক নিরস্ত্র ছিলেন বলে স্বীকার করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
এর আগে শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত পশ্চিম তীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সব কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে পরিচালনা করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি এক বিবৃতিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানগুলোতে নিয়ম মেনে বলপ্রয়োগের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন:দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে শুক্রবার ইহুদি বসতিতে সম্প্রদায়টির উপাসনালয় সিনাগগের কাছে বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে বৃহস্পতিবার শরণার্থী ক্যাম্পে দেশটির সেনাদের তল্লাশির সময় ৯ জন নিহত হওয়ার পরের দিন বন্দুক হামলার ঘটনাটি ঘটে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে পূর্ব জেরুজালেমের হামলাকারী নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম জানায়, বন্দুকধারীর গুলিতে আহত ১০ জনকে তারা চিকিৎসা দিচ্ছে, যাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
হামলাস্থল ইসরায়েলের অবৈধ বসতি নেভে ইয়াকুব থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জেমস বেইজ জানান, তার কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, সিনাগগের সামনে গাড়ি থেকে বেরিয়ে গুলি চালান বন্দুকধারী, যাতে কমপক্ষে সাতজন প্রাণ হারান।
পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজনের ইতোপূর্বে নিরাপত্তা লঙ্ঘনজনিত কোনো রেকর্ড নেই।
তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো পক্ষ।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থার মতে, গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ১৪ বছরের এক কিশোর রয়েছে।
সিনাগগের কাছাকাছি জায়গার বাসিন্দা ১৮ বছর বয়সী ম্যাটানেল আলমালেম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি অনেক গুলির শব্দ শুনেছি।’
আরও পড়ুন:ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে বৃহস্পতিবার দেশটির সেনাদের গুলিতে এক বৃদ্ধাসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জনই জেনিনের শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহ সমর্থিত সশস্ত্র মিলিশিয়া আল-আকসা মার্টিয়ারস’ ব্রিগেড জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইজ আল-দিন সালাহাত নামে তাদের এক যোদ্ধা রয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গুলিতে আহত ২৪ বছর বয়সী সায়েব আজরিকির মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খুবই জটিল ছিল। আহত ব্যক্তিরা একের পর এক হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। হাসপাতালে প্রবেশের পথে অ্যাম্বুলেন্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বাধা দিচ্ছিল ইসরায়েলি বাহিনী।
জেনিন পাবলিক হাসপাতালের প্রধান উইসাম বাকের আল জাজিরাকে বলেন, ব্যাপকতা ও আহতের দিক থেকে হামলাটি ছিল নজিরবিহীন।
বাংলাদেশের প্রতিবাদ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলি সহিংসতা ও নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যার (যাদের মধ্যে নারীও রয়েছে) তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার পাশাপাশি অনেককে আহত করা হয়েছে। জেনিন হাসপাতালে হামলা চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও চুক্তিগুলোর বারবার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:চলতি বছর হজে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা মহামারির আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ। জেদ্দায় হজ মেলা ২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সোমবার তিনি এমনটি জানান।
করোনাভাইরাস মহামারির পর সীমিত করে দেয়া হয়েছিল হজ অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা। অবশেষে তিন বছর পর এ বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হচ্ছে।
সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘মহামারির আগের অবস্থায় ফিরে যাবে হজে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা । এ ছাড়া বয়সের ক্ষেত্রেও কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না।’
২০১৯ সালে হজে অংশ নিয়েছিল ২৫ লাখ মানুষ। করোনার কারণে গত দুই বছর সীমিত সংখ্যা অংশগ্রহণকারী হজে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। গত বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ হজ পালন করার সুযোগ পান। কিন্তু সে সময় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী সুস্থ মানুষই হজ করার সুযোগ পান। এ ছাড়া হজে অংশগ্রহণকারীদের জন্য করোনার ভ্যাকসিন নেয়াও বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
চলতি বছর হজে পূর্ণ কোটা পেয়েছে বাংলাদেশ। আগামী মে মাসের শেষ সপ্তাহে উড়বে হজের প্রথম ফ্লাইট। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় হাজিদের বিড়ম্বনা লাঘবে সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার প্রায় ৩০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করবেন। এর মধ্যে বহির্বিশ্ব থেকে প্রায় ২০ লাখ মুসলমান হজে অংশ নেবেন। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে ১০ লাখের মতো মুসলমান হজে অংশ নেবেন।
সৌদি আরব সফরে গেছেন তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকা পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির।
গত নভেম্বরে দায়িত্ব নেয়ার পর এটি তার প্রথম বিদেশ সফর। এক সপ্তাহের এ সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতেও যাবেন মুনির।
এর আগেও দায়িত্ব নেয়ার পরপরই সৌদি সফরে যেতে দেখা যায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধানদের।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, সেনাপ্রধান উভয় দেশের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারস্পরিক স্বার্থ, সামরিক সহযোগিতা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
সৌদির বার্তা সংস্থা এসপিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রিয়াদে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।
এ নিয়ে টুইটে প্রিন্স খালিদ লেখেন, ‘আমরা দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারত্বের ওপর জোর দিয়েছি, দ্বিপক্ষীয় সামরিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। পাশাপাশি আমাদের সহযোগিতা জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
পাকিস্তানের তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সৌদি সফরে রয়েছেন আসিম মুনির।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির বর্তমান রিজার্ভ ৬০০ কোটি ডলারের কম, যা গত আট বছরে সর্বনিম্ন। এ ছাড়া পাকিস্তানে গত বছরের ভয়াবহ বন্যার পর মূল্যস্ফীতিও ব্যাপক বেড়েছে। বন্যায় দেশটিতে ৩০০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার সংবাদ সম্মেলনে জানান, অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি দিতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আমানত হিসেবে কিছু অর্থ রাখবে সৌদি আরব।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে সৌদির সাহায্য প্রয়োজন পাকিস্তানের। ২০২১ সালের নভেম্বরে ইমরান খানের শাসনামলে ইসলামাবাদকে ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয় রিয়াদ। গত কয়েক মাসে পাকিস্তানকে আরও অর্থ দিয়েছে সৌদি।
গত এপ্রিলে ক্ষমতা নেয়ার পর অর্থনৈতিক সহায়তা ও বিনিয়োগের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সফর করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
ইসলামাবাদ জানিয়েছে, গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানকে ৯০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে সৌদি। এ ছাড়া দেশটি থেকে ৫০ কোটি ডলারের তেল আমদানি করেছে পাকিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কাতারও।
ইসলামাবাদভিত্তিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ ফয়সাল মনে করেন, জেনারেল মুনিরের সফরকে অবশ্যই অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখা উচিত। কারণ এ সফর বিশেষভাবে দুর্বল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে গত আগস্টে ১১৭ কোটি ডলারের ঋণ দেয়। সংস্থাটি আরও ১১৮ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা থাকলেও ইসলামাবাদ এটি পেতে এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঋণ দেয়ার জন্য আইএমএফ পাকিস্তানকে জ্বালানির দাম বাড়ানোর শর্ত দেয়। এ শর্তে একমত না হয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছেন, পাকিস্তানও শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। এটি কেবল অর্থনৈতিক দক্ষতার সঙ্গে প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
পাকিস্তানভিত্তিক বিশ্লেষক মোহাম্মেদ ফয়সাল মনে করেন, কৌশলগত দিক থেকে পাকিস্তানকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে সৌদি আরব। সে জন্যই তারা দেশটির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়।
ফয়সাল আল জাজিরাকে বলেন, ‘পাকিস্তান বৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। ইসলামের পবিত্র স্থান মক্কা ও মদিনার অভিভাবক হওয়ার সৌদি দাবিকে সমর্থন করে ইসলামাবাদ।’
ক্ষমতা নেয়ার পর শাহবাজ শরিফ ও ইমরান খান উভয়ই সৌদি আরব সফর করেছেন। এ ছাড়া পাকিস্তানের সাবেক দুই সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, জেনারেল রাহিল শরিফও দায়িত্ব পাওয়ার পর রিয়াদ সফর করেছেন।
রাহিল ২০১৬ সালে দায়িত্ব পাওয়ার আগে সৌদি নেতৃত্বাধীন ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেররিজম কোয়ালিশনের কমান্ডার হন।
সৌদি আরবে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত শহিদ এম আমিন বলেন, ‘এ দুই দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। পাকিস্তান অর্থনৈতিক সহায়তা পায় এবং নিরাপত্তা সহায়তা দেয়।’
গত পাঁচ দশকে সৌদির উন্নয়নে পাকিস্তানের জনশক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও দাবি করেন শহিদ।
আরও পড়ুন:মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ৩১ বছর বয়সী মারিয়াম রাদকে জামিন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত।
স্থানীয় সময় শুক্রবার তাকে জামিন দেয়া হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আইএসে যোগ দিতে ২০১৪ সালে স্বেচ্ছায় স্বামীর সঙ্গে সিরিয়ায় যান মারিয়াম। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৮ সালে মারিয়ামের স্বামী সিরিয়ায় মারা গেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী, সরকারঘোষিত সন্ত্রাসীদের এলাকায় থাকলে ১০ বছরের জেল হতে পারে।
রাদের জামিনের শর্তে বলা হয়, তাকে প্রত্যেক সোমবার পুলিশের কাছে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাবে না।
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আল রোজ ক্যাম্প থেকে অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরেন রাদ। ওই সময় তার সঙ্গে আরও ১৬ নারী ও শিশুকে সিরিয়া থেকে ফিরিয়ে আনে অস্ট্রেলীয় সরকার। আগামী ১৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার আদালতে তাদের বিচার শুরু হবে।
ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এ নিয়ে বৈঠকের পর নিরাপত্তা পরিষদ এমন উদ্বেগের কথা জানায় বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বৈঠকে জাতিসংঘ আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে। আল আকসা মসজিদটি মুসলমান ও ইহুদিদের কাছে একটি পবিত্র স্থান। বিদ্যমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, মসজিদটিতে শুধু মুসলমানরাই প্রার্থনা করতে পারেন।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেন গভির আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে গেলেও প্রার্থনা করেননি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি রিয়াদ মনসুর আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য ইসরায়েলি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান, তবে যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবে ভেটো দেন।
রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স ও ব্রিটেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে মনসুর বলেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাদের আর কি করতে হবে তা নিরাপত্তা কাউন্সিলকে বলতে হবে। যথেষ্ট হয়েছে।’
জাতিসংঘের রাজনৈতিক বিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা খালেদ খিয়ারি নিরাপত্তা কাউন্সিলকে বলেন, ‘২০১৭ সালের পর গভিরই প্রথম ইসরায়েলি মন্ত্রী যিনি আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছেন। যদিও এই সফরটির কারণে কোনো সহিংসতা হয়নি, তবে বেন গভিরের অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে এ নিয়ে আপত্তি উঠেছে।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পবিত্র স্থান এবং এর আশপাশে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইহুদিরা তাদের পবিত্র স্থানে যেতে পারবে। এ অধিকার সব ইহুদির রয়েছে। ইসরায়েল আল আকসা মসজিদের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্যাঘাত ঘটায়নি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য