× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রেস-জেন্ডার
The day before the game the teacher protested the beating of the students by shaving their heads
google_news print-icon

বেণির কারণে কাবাডির ছাত্রীদের ‘মারধর’, মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ শিক্ষকের

বেণির-কারণে-কাবাডির-ছাত্রীদের-মারধর-মাথা-ন্যাড়া-করে-প্রতিবাদ-শিক্ষকের
ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগে মাথা ন্যাড়া করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুক স্ট্যাটাসে চট্টগ্রামের এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদা পারভীন লেখেন, ‘স্কুলের মেয়েদের মাসখানেক কষ্ট করে খেলা শিখিয়ে মাঠে নিতে যাওয়ার আগের দিন তাদের ফেঞ্চ বেণি করে ছবি তোলা ও খেলতে যাওয়ার অপরাধে আমার স্কুলের হেডমাস্টার মেয়েদের চুল ধরে মারা ও বকার প্রতিবাদে নিজের মাথার চুল ফেলে দিয়েছি। খুব কি খারাপ দেখা যাচ্ছে?’ তার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক নিপা চৌধুরী।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী নারী ফুটবল দলকে নিয়ে সারা দেশ যখন উচ্ছ্বসিত, তখন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আগের দিন ফ্রেঞ্চ বেণি করে ছবি তোলা চট্টগ্রামের একটি স্কুলের ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া করার কথা জানিয়েছেন ওই স্কুলের শিক্ষক জাহিদা পারভীন।

এ শিক্ষকের অভিযোগ, তার প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম নগরীর এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রীদের মারধর ও বকা দেন প্রধান শিক্ষক নিপা চৌধুরী, তবে নিপা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কী অভিযোগ জাহিদার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যক্তিগত আইডি থেকে নিজের মাথা ন্যাড়া করা ছবি পোস্ট করেন জাহিদা। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি মাথা ন্যাড়া করেন।

ওই ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘স্কুলের মেয়েদের মাসখানেক কষ্ট করে খেলা শিখিয়ে মাঠে নিতে যাওয়ার আগের দিন তাদের ফেঞ্চ বেণি করে ছবি তোলা ও খেলতে যাওয়ার অপরাধে আমার স্কুলের হেডমাস্টার মেয়েদের চুল ধরে মারা ও বকার প্রতিবাদে নিজের মাথার চুল ফেলে দিয়েছি। খুব কি খারাপ দেখা যাচ্ছে?

‘পুনশ্চ: আমার মেয়েরা খেলার মাঠে খেলতে নামার অনুমতি পায়নি। স্কুলের সভাপতি আবার বর্তমানে চট্টগ্রামের সিডিএর চেয়ারম্যান এবং স্কুলটি উনার বড় আব্বার নামে।’

জাহিদা নিউজবাংলাকে জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানা জোনে ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কাবাডি খেলার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। স্কুলের শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক হিসেবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য টিম তৈরি তার দায়িত্ব। অংশগ্রহণের নিয়ম অনুযায়ী খেলার এক দিন আগে অংশগ্রহণকারী দলের ছবি তোলে কো-অর্ডিনেটরকে জমা দিতে হয়।

তার ভাষ্য, ওই দিন (৭ সেপ্টেম্বর) ছাত্রীদের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে ছবি তোলার জন্য তিনি তাদের জার্সি পরে তৈরি হতে বলেন। কাবাডি খেলায় চুলে কোনো অলংকার বা ক্লিপ থাকতে পারে না। তাই বেণি করতে হয়। সে কারণে সবাই বেণি করেছিল। ছবি তোলার জন্য মেয়েদের ডেকে তিনি টয়লেটে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে চিৎকার শোনেন যে, প্রধান শিক্ষক তাদের বকাবকি করছেন।

তিনি আরও জানান, ছাত্রীরা দ্বিতীয় তলায় ছিল। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক তাদের নিচে ডেকে নিয়ে চুল ধরে মারছিলেন। তিনি (জাহিদা) বের হয়ে ছাত্রীদের মারতে ও বকতে দেখে প্রধান শিক্ষিকাকে নিবৃত্ত করেন।

জাহিদা পারভীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বেণি কেন করছে সেটা বলে তিনি তাদের মারছিলেন, বকাবকিও করছিলেন। এর মধ্যে কাবাডি টিমের মীম নামের একজনকে বলছিলেন যে, সে-ই সব নষ্টের মূল, সে সব মেয়েদের নষ্ট করছে। আমি বের হয়ে উনাকে থামাই। বলি যে, আমিই তাদের বেণি করত বলেছি।

‘তিনি তখন আমাকেও বলেন যে, এভাবে বেণি করতে পারবে না। তা ছাড়া খেলার দিন মাঠে যাওয়ার আগে নানা ছুতোয় আমাদের দেরি করছিলেন। যেমন: মেয়েদের খাবার-দাবারের হিসাব দিয়ে যেতে বাধ্য করেছিলেন, এটা তো এসেও দেয়া যায়, কিন্তু উনি হিসাব দিয়ে তবেই যেতে বলেছেন।’

শিক্ষক জাহিদার অভিযোগ অস্বীকার করেন এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিপা চৌধুরী। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমি ওই দিন শিক্ষার্থীদের মারধর বা বকাবকি কোনোটাই করিনি; বরং আমিও তাদের সঙ্গে ছবি তুলেছিলাম।’

বেণির কারণে কাবাডির ছাত্রীদের ‘মারধর’, মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ শিক্ষকের
এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধান শিক্ষক নিপা চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা

এই বিষয়ে জাহিদা পারভীন বলেন, ‘উনি মারধর ও বকাবকির পর নিয়ম রক্ষার ছবি উঠিয়েছেন।’

খেলার দিন প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধ্য করায় ভেন্যুতে যেতে দেরি হয়েছে বলে অভিযোগ জাহিদার। তার ভাষ্য, দেরি হওয়ার কারণে আগে জানিয়ে রাখা সত্ত্বেও কো-অর্ডিনেটর শিক্ষার্থীদের মাঠে নামতে দেননি।

জাহিদা বলেন, ‘৩ তারিখ এই সম্পর্কিত একটা মিটিং হয়েছিল। আমি মিটিংয়ে সবার সামনে স্কুলে মডেল টেস্ট চলায় আমার একটু দেরি হবে বলে জানিয়েছিলাম। থানা শিক্ষা কর্মকর্তাকেও জানিয়েছিলাম, কিন্তু খেলার দিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট দেরিতে যাওয়ার অজুহাতে কো-অর্ডিনেটর খাস্তগীর স্কুলের কাজল স্যার আমার মেয়েদের মাঠে নামতে দেননি। আমি এটার প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও তারা কর্ণপাত করেনি।’

শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা এবং নানা ছুতোয় দেরি করানোর অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নিপা চৌধুরী বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা; বরং আমি বলেছি যে, মডেল টেস্ট পরীক্ষা না দিলে কিছু হবে না। তিনি বলেছেন, পরীক্ষা দিক, তিনি কো-অর্ডিনেটরকে বলে রেখেছেন। তা ছাড়া খেলার দিন সকালে আমি উনাকে (জাহিদা) বলেছিলাম যে, আপনার দেরি হয়ে যাচ্ছে। উনি সেটা গুরুত্ব দেননি।’

এই বিষয়ে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজল চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি।

কোতোয়ালি থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হুদা ছিদ্দিকী বলেন, ‘দেরি হবে বলে আমাকে খেলার আগে তো জানায়ইনি। খেলতে না দেয়ার বিষয়েও কিছু জানায়নি; বরং উনার সময়ের চেয়ে দুই ঘণ্টা দেরিতে অন্যান্য স্কুলের টিচারদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এসেছে জাহিদা পারভীনের বিরুদ্ধে। তিনি নাকি কাজল স্যারসহ আরও কয়েকজনকে খুব বাজেভাবে গালাগাল করেছেন।

‘তা ছাড়া উনি দুই ঘণ্টা দেরিতে এসেছেন বলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা জানিয়েছেন। এতক্ষণ অপেক্ষা করা সম্ভব ছিল না। কারণ ২০ মিনিটের ওই খেলা এক দিনেই শেষ করতে হয়েছে। ওই এক দিনে মোট ২০টা খেলা শেষ করতে হয়েছে।’

চাপ দিয়ে পদত্যাগপত্র নেয়ার অভিযোগ

ওই ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক চাপ দিয়ে পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য করে বৃহস্পতিবার থেকে আর স্কুলে ঢুকতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন জাহিদা পারভীন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খেলার দিন বিকেলে বাসায় ফিরে আমি ডায়াবেটিসজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন থেকে তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তিন দিন পর আমি প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানিয়েছিলাম।

‘তিনি আমার অসুস্থতার বিষয়টি গুরুত্বই দেননি; বরং আমার ভাইকে ফোন দিয়ে আমার ওপর চাপ তৈরি করেছেন। আমার নামে খুব বাজে কথা বলেছেন। এমনকি আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে টি-শার্ট পরে ছবি তুলেছিলাম। সেটা নিয়ে বাজে কথা বলেছে। আমাকে পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৩ বা ১৪ তারিখ নিজের ভেতর জমে থাকা ক্ষোভ থেকে বাসার সামনের সেলুনে গিয়ে আমি আমার মাথা ন্যাড়া করেছি প্রতিবাদস্বরূপ। কারও প্রতি অভিযোগ থেকে না।’

চাপ দেয়ার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নিপা চৌধুরী বলেন, ‘এটা আসলে মিথ্যা কথা, আমি কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করিনি; বরং তিনি শিক্ষদানের যোগ্য নন উল্লেখ করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমার স্কুলে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। তাকে ঢুকতে না দেয়ার বিষয়টাও মিথ্যা।’

স্কুলের শিক্ষককে চাপ দিয়ে পদত্যাগপত্র নেয়ার আইনি কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হুদা ছিদ্দিকী।

তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের এ রকম কোনো সুযোগ নেই। এটা তিনি কোনোভাবেই পারবেন না। বিদ্যালয়ের কমিটি হলে অন্য বিষয়।’

আরও পড়ুন:
ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই কর্মীর ওপর হামলা
ছাত্রলীগ কর্মীদের লাঠিপেটা: আরও ৫ পুলিশ প্রত্যাহার
বরগুনায় কর্মীদের সংঘর্ষ তদন্তে ছাত্রলীগের কমিটি
এমপি শম্ভুর সঙ্গে তর্কাতর্কি: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম প্রত্যাহার
ছাত্রলীগ কর্মীদের বেধড়ক পিটুনির তদন্তে পুলিশের কমিটি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রেস-জেন্ডার
Sania in the polling field

ভোটের মাঠে সানিয়া

ভোটের মাঠে সানিয়া সানিয়া মির্জা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।

সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।

আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।

এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।

এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।

এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।

৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Debt of crores after losing bet in IPL suicide of wife

আইপিএলে বাজি হেরে কোটি টাকার ঋণ, স্ত্রীর আত্মহত্যা

আইপিএলে বাজি হেরে কোটি টাকার ঋণ, স্ত্রীর আত্মহত্যা ছবি: এনডিটিভি
জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্জাইচিগুলোর একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচায় এই টুর্নামেন্টে যেমন দেখা যায় তারকার ছড়াছড়ি, তেমনই কোটি কোটি টাকার জুয়া বাণিজ্য চলে আইপিএল চলাকালে।

তেমনই আইপিএলে বাজি ধরে বারবার হেরে কোটি রুপির বেশি ঋণী হয়ে পড়েছিলেন ভারতের কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে টাকা সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাওনাদারদের ক্রমাগত হয়রানিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।

দেড় কোটি টাকা ধার নেয়ার পর পাওনাদাররা তার বাড়িতে এসে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিকে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রকৌশলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।

আর পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।

চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তার।

যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তার জামাই নির্দোষ। তাকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারাই এই কাজ করিয়েছিলেন তার জামাইকে দিয়ে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তারপর তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।

এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা।

তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এরইমধ্যে শিবু, গিরিশ এবং ভেঙ্কটেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Tamim came live and opened up about the phone conversation

লাইভে এসে ফোনালাপের বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম

লাইভে এসে ফোনালাপের বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম ছবি: ফেসবুক লাইভ থেকে
বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম। জানালেন, নগদের ক্যাম্পেইনের প্রচারণার জন্য তারা এই নাটক করেছেন।

ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই এ নিয়ে কথা বলতে ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ঘোষণা অনুযায়ী তিনি তার কথা রেখেছেন।

লাইভে তামিম জানান, মূলত মোবাইল আর্থিক লেনদেনের প্রতিষ্ঠান নগদের একটি বিজ্ঞাপনের প্রচারণায় ফোনালাপ ফাঁসের অভিনয় করেন তারা। লাইভে তামিম-মিরাজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ওই ফোনালাপ প্রচারিত হয় টিভি চ্যানেলে। পরে এটি ভাইরাল হয় ফেসবুকে।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপে তামিম ও মিরাজকে কথা বলতে শোনা যায়। এতে তামিম মুশফিকের কোনো আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা জানান মিরাজকে।

সেই ফোনালাপ প্রচার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন।

অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম। জানালেন, নগদের ক্যাম্পেইনের প্রচারণার জন্য তারা এই নাটক করেছেন।

লাইভে তামিম জানান, ঈদ উপলক্ষে নগদের একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। যেখানে ২৪ জন গ্রাহককে জমি উপহার দেয়া হবে। সেই ক্যাম্পেইনে জয়ের জন্য দুই বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে, যে দলে মুশফিককে রেখেছিলেন তামিম। তবে মুশফিক বের হয়ে গেছেন। মূলত এসব ঘিরেই ছিল এই ফোনালাপ।

আরও পড়ুন:
‘কী কথা, কাহার সনে’, লাইভে জানাবেন তামিম

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Walton Ima Media Cup Cricket 2024 held at Banani

বনানীতে ওয়ালটন-ইমা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত

বনানীতে ওয়ালটন-ইমা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত ওয়ালটন ইমা কাপ ক্রিকেটে বিজয়ী দল গান বাংলার সঙ্গে মেয়র আতিক। কোলাজ: নিউজবাংলা
এবারের টুর্নামেন্টে ২৪ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অংশ নেয়। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। রানার্স-আপ হয় দীপ্ত টিভি।

রাজধানীর বনানীতে শহীদ জায়ান চৌধুরী খেলার মাঠে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইমা) ব্যবস্থাপনায় ‘ওয়ালটন-ইমা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওয়ালটন ইমা কাপ ক্রিকেট রোববার শেষ হয়।

এবারের টুর্নামেন্টে ২৪ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অংশ নেয়। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। রানার্স-আপ হয় দীপ্ত টিভি ।

এ খেলায় ফাইনালে দীপ্ত টিভিকে ছয় উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। বল হাতে ৩ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৩৫ রান করে ম্যাচসেরা হন গান বাংলার শাওন।

ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এ সময় পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. রবিউল ইসলাম মিলটন, ইমার সভাপতি আনিসুর রহমান তারেক ও সাধারণ সম্পাদক তছলিম চৌধুরী, গান বাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নি, প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস, চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নীরব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
ওয়ালটন ১২তম জাতীয় সার্ভিসেস কুস্তি প্রতিযোগিতা
ওয়ালটন প্লাজার ‘চ্যালেঞ্জার্স সামিট’ অনুষ্ঠিত
বিক্রয় বৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রাখায় ৩৮১ জনকে পুরস্কৃত করল ওয়ালটন
ওয়ালটনের নতুন ‘নেক্সজি এন২৫’ সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে
ওয়ালটন অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় যুব হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা শুরু

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Mujib Barsha 18th Fizz Up Cup Golf Tournament held at Mainamati

ময়নামতিতে মুজিব বর্ষ ১৮তম ফিজ আপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

ময়নামতিতে মুজিব বর্ষ ১৮তম ফিজ আপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত ময়নামতিতে শনিবার সকালে 'মুজিব বর্ষ ১৮তম ফিজ আপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
টুর্নামেন্ট শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন ময়নামতি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
কুমিল্লা সেনানিবাসের ময়নামতি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে ‘মুজিব বর্ষ ১৮তম ফিজ আপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরকারি ছুটির দিন শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে বিভিন্ন সেনানিবাস থেকে শতাধিক গলফার অংশ নেন।
টুর্নামেন্ট শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন ময়নামতি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
ওই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অফ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
The Corporate Futsal Cup went to the home of the Asian group

এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ

এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ
ফাইনালে ম্যাফ সুজ ফুটবল দলকে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয় পায় এশিয়ান গ্রুপ ফুটবল দল।

গায়ে রঙ-বেরঙের টি-শার্ট, মুখে ভুভুজেলা বাঁশির সুর। শত শত ফুটবল সমর্থক গলা ফাটাচ্ছেন এক নাগাড়ে, সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে হাততালি আর ড্রাম বাজানো তো আছেই। আর যাদের ঘিরে এত এত আবেগের বিস্ফোরণ টার্ফের সবুজ গালিচায়, তারা লড়ছেন বুক চিতিয়ে। এর মাঝে এক ঘণ্টার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জয় তুলে নেয় এশিয়ান গ্রুপ ফুটবল দল।

এশিয়ান গ্রুপ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ফুটসাল টার্ফের বৃহস্পতিবার রাতের চিত্র এটি। এশিয়ান গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় হওয়া ‘করপোরেট ফুটসাল কাপ’ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল এদিন।

ফাইনালে ম্যাফ সুজ ফুটবল দলকে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয় পায় এশিয়ান গ্রুপ ফুটবল দল।

২৪ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় এই করপোরেট টুর্নামেন্ট। আট গ্রুপে ২৪ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ফুটবল দল অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার ফাইনাল ম্যাচের মধ্যে দিয়ে পর্দা নামল এই টুর্নামেন্টের।

ফাইনাল ম্যাচ শেষে আয়োজন করা হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের।

এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউর করিম চৌধুরী।

মেয়র তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সুন্দর এই আয়োজনের জন্য এশিয়ান গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই খেলার মধ্যে দিয়ে এশিয়ান গ্রুপ প্রমাণ করেছে মাদক-মোবাইলের নেশা থেকে খেলার নেশায় ফিরিয়ে আনা যায়। এই প্রতিযোগিতা বারবার হোক, তরুণ সমাজও উদ্বুদ্ধ হোক। খেলায় যে উদ্দীপনা দেখছি যেন গণজোয়ার ফিরে আসছে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এতদিন টেলিভিশনে ফুটবল দেখেছি। আজকে প্রথম সামনে সামনে দেখলাম। সত্যি আমি আনন্দিত। ছেলেমেয়েরা মোবাইল-মাদক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যদি ভালো সুযোগ পায় তাহলে তারা ভালোভাবে গড়ে উঠবে।

‘যে দেশ খেলাধুলায় উন্নত, সেই দেশ এগিয়েও। সেজন্য আমাদের খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে। এশিয়ান গ্রুপকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম বলেন, ‘এশিয়ান গ্রুপ তরুণদের ভালো উদ্যোগের সঙ্গে, খেলাধুলার সঙ্গে সবসময় আছে। সামনের দিনগুলোতেও থাকবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এশিয়ান গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ সালাম, পরিচালক ওয়াসিফ সালাম, তরুণ উদ্যোক্তা বোরহানুল হাসান চৌধুরী, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, কাউন্সিলর মোরশেদুল আলম প্রমুখ।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
MTB cycle race in tea garden

চা বাগানে এমটিবি সাইকেল রেস

চা বাগানে এমটিবি সাইকেল রেস সিলেটের মালনিছড়া চা-বাগানের পাহাড়ি রাস্তায় শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয় সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা। ছবি; সংগৃহীত
সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানের পাহাড়ি রাস্তায় এই প্রতিযোগিতায় দুই বিভাগে সারা দেশের ১৩৫ জন রেসার অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় পুরুষদের জন্য ২৭ কিলোমিটার আর নারীদের জন্য ছিলো ১৭ কিলোমিটার।

সবুজ শ্যামল উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলায় ঘেরা সিলেট। আর এই পাহাড়-টিলা জুড়ে রয়েছে অজস্র চা-বাগান। সেই চা বাগানের মাঝ পাশে ও মাঝখান দিয়ে থাকা পাহাড়ি পথে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো রোমাঞ্চকর এমটিবি সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা।

মাউন্টেন সাইক্লিং বিশ্বের বহু দেশে বেশ জনপ্রিয়। পাহাড়ের রাস্তায় বা উঁচু টিলায় আয়োজন করা হয় এই মাউন্টেন সাইক্লিং। সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির আয়োজনে শুক্রবার সকাল ৭টায় মালনিছড়া চা বাগানে এসসিসি এমটিবি চ্যালেঞ্জ-২০২৪ পাওয়ারড বাই গ্লোবাল হেলথকেয়ার সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

দুই বিভাগে সারা দেশের ১৩৫ জন রেসার এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। নারী বিভাগে ৭ জন রেসার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পুরুষদের জন্য ২৭ কিলোমিটার আর নারীদের জন্য ছিলো ১৭ কিলোমিটার।

পুরুষ বিভাগে বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কাওসার পয়দা, দ্বিতীয় এম ডি শহীদ হোসেইন ও তৃতীয় হয়েছেন এম ডি জালাল। আর নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তাবাসসুম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন সানজিদা রহমান।

বিজয়ীদের ছাড়াও শীর্ষ ১০ জন রেসারকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন সৈয়দ সুহাগ, মামুনুর রহমান, নুসরাত জাহান ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন এবং আয়োজক কমিটির সদস্য ডা. ওরাকাতুল জান্নাত বলেন, ‘আমরা সব সময় তরুণদের নিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা চাই খেলাধুলায় তরুণদের আগ্রহ বাড়ুক।

‘সাইক্লিং করলে মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকে। এটি একটি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের খেলা। আমরা মনে করি সাইক্লিস্টরা এমন রেসের মাধ্যমে নিজেদের তৈরি করতে পারবে। তাই আমরা চেষ্টা করছি সাইক্লিংয়ে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোর।’

নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া তাবাসসুম বলেন, ‘চা বাগানের ভেতরে এমন একটি সুন্দর প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই রেসের মাধ্যমে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে আর ভালো কিছু করতে পারবো।’

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল হেলথকেয়ার সেন্টারের হেড অফ মার্কেটিং এহতেশাম চৌধুরী।

রেস পরিচালনায় ছিলেন ডা. ওরাকাতুল জান্নাত। রেসের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বে ছিলেন সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন সৈয়দ সুহাগ ও হাসান আহমেদ।

মন্তব্য

p
উপরে