× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রেস-জেন্ডার
What happens in Iran with virginity test of girls
google_news print-icon

কুমারীত্ব পরীক্ষা নিয়ে যা হয় ইরানে

কুমারীত্ব-পরীক্ষা-নিয়ে-যা-হয়-ইরানে
বিয়ের আগে কুমারিত্ব ধরে রাখলেও অনেক নারী দাম্পত্য জীবনে স্বামীর কাছে নিগৃহীত হন।
কুমারীত্ব ইস্যুটি ইরানের অনেক মেয়েরই জীবনকে অতিষ্ঠ করে দেয়। তেমন একজন মেয়ে মরিয়ম। আর দশটা ইরানি রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ের মতো তিনিও বিয়ের আগে কুমারীত্ব ধরে রাখেন। কিন্তু এতেও তার শেষ রক্ষা হয় না।  বিয়ের রাতে রক্তপাত না হওয়ায় তার স্বামী মরিয়মের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।

ইরানে বিয়ের আগে কুমারীত্ব, অনেক মেয়ে ও তাদের পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে পুরুষরা বিয়ের আগে মেয়েপক্ষের থেকে কুমারীত্বের সার্টিফিকেট দাবি করেন। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরনের প্র্যাকটিসকে মানবাধিকার-বিরুদ্ধ বলে মনে করে। এরই মধ্যে দেশটিতে এই প্রথা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে।

অনেক ক্ষেত্রেই কুমারীত্ব ইস্যুটি ইরানের অনেক মেয়েরই জীবনকে অতিষ্ঠ করে দেয়। তেমন একজন মেয়ে মরিয়ম। আর দশটা ইরানি রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ের মতো তিনিও বিয়ের আগে কুমারীত্ব ধরে রাখেন। কিন্তু এতেও তার শেষ রক্ষা হয় না।

বিয়ের পর মরিয়ম যখন তার স্বামীর সঙ্গে প্রথমবার যৌন সম্পর্ক করেন, তখন তার রক্তপাত হয়নি। এতে স্বামীর সন্দেহ হয় এবং তিনি মরিয়মের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন।

তার মতে, বিয়ের আগে কুমারীত্ব হারানোর মতো বিষয় গোপন করে মরিয়ম তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং সত্য জানলে কেউ মরিয়মকে বিয়ে করত না।

মরিয়ম তাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন যে যদিও তার রক্তপাত হয়নি কিন্তু তিনি আগে কখনও সহবাস করেননি। কিন্তু তার স্বামী তাকে বিশ্বাস করেননি এবং তিনি কুমারীত্বের সার্টিফিকেট চেয়ে বসেন।

কুমারীত্ব পরীক্ষা নিয়ে যা হয় ইরানে
ইরানে বিয়ের আগে অনেক মেয়েই কুমারিত্ব পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয়

বিষয়টি শুনতে অদ্ভুত লাগলেও ইরানে মোটেও এমনটা অস্বাভাবিক নয়। বাগদানের পর অনেক নারীই সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে যান। স্বামীকে দেখানোর মতো প্রমাণ জোগাড় করতে যে তারা আগে কখনই যৌনমিলন করেননি।

পরে মরিয়মের সার্টিফিকেটে লেখা হয় যে তার হাইমেনের (সতিপর্দা) ধরন ইলাস্টিক। এর মানে হলো প্রথমবার সহবাসের পর তার রক্তপাত নাও হতে পারে।

যদিও স্বামীর এই সন্দেহ মরিয়মের আত্মসম্মানে আঘাত দেয়। তার স্বামীর করা অপমান তিনি মেনে নিতে না পেরে কিছু ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

ঠিক সময়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় সে যাত্রায় তিনি বেঁচে যান।

তিনি বলেন, ‘আমি এই অন্ধকার দিনগুলো কখনই ভুলব না। সে সময় আমি প্রায় ২০ কেজি ওজন হারিয়েছিলাম।’

অনেক ইরানিই কুমারীত্ব পরীক্ষার প্রথাকে নিষ্ঠুর ভাবছেন

মরিয়মের গল্পই সত্যি বলতে ইরানের অনেক নারীর জীবনের বাস্তবতা। সমাজে প্রচলিত রক্ষণশীলতার কারণে বিয়ের আগে কুমারী থাকা ইরানি মেয়েদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

যদিও ইরানের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম কুমারীত্বের পরীক্ষার সঙ্গে একমত হতে পারছে না। সারা দেশে ইরানি নারীর পাশাপাশি পুরুষরাও এখন কুমারীত্ব পরীক্ষা বন্ধ করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন।

গত নভেম্বরে এক অনলাইন পিটিশনে এক মাসের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ কুমারীত্ব পরীক্ষার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করেছেন। ইরানে এই প্রথম কুমারীত্ব পরীক্ষাকে এত বেশিসংখ্যক মানুষ চ্যালেঞ্জ করলেন।

কুমারীত্ব হারিয়ে নেদার জীবনে যা হলো

ইরানের এক ছাত্রী নেদা। যখন তেহরানে ছিলেন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। সে সময় তিনি তার প্রেমিকের কাছে কুমারীত্ব হারান। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার জানতে পারলে কী হবে, তা নিয়ে আমি খুবই আতঙ্কিত ছিলাম।’

পরে নেদা তার হাইমেন (সতিপর্দা) ঠিক করতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

কুমারীত্ব পরীক্ষা নিয়ে যা হয় ইরানে
হাইমেন ঠিক করতে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয় ইরানে

প্রযুক্তিগতভাবে এটি অবৈধ নয়, তবে এর বিপজ্জনক সামাজিক প্রভাব রয়েছে তাই কোনো হাসপাতালও এটি করতে রাজি হচ্ছিল না।

নেদা একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের খোঁজ পেলেন, যা গোপনে তার হাইমেন ঠিক করে দেবে; কিন্তু এই জন্য তারা অনেক অর্থ দাবি করে।

নেদা বলেন, ‘আমি আমার সব সঞ্চয় খরচ করেছিলাম। আমি আমার ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং আমার সোনার গয়না বিক্রি করেছিলাম। এমনকি কোনো ভুল হলে সম্পূর্ণ আমিই দায়ী থাকব এমন নথিতেও স্বাক্ষর করেছিলাম।’

একজন মিডওয়াইফ পুরো কাজটি করেন। যদিও তা করতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগলেও নেদার সুস্থ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে।

তিনি সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমি অনেক ব্যথায় ছিলাম এবং পা নাড়াতে পারতাম না।’

পুরো বিষয়টিই তিনি তার মা-বাবার কাছে গোপন করেছিলেন।

নেদা সবকিছু সহ্য করে যাওয়ার পরও দেখা গেল প্রক্রিয়াটা আসলে কাজ করেনি।

এক বছর পর এমন একজনের সঙ্গে তার দেখা হয় যিনি তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যখন তারা যৌনতায় মিলিত হলেন, দেখা গেল রক্তপাত হয়নি।

তার প্রেমিক তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন।

নেদা বলেন, ‘সে বলেছিল আমি মিথ্যাবাদী এবং সে আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল।’

ডব্লিউএইচও বলছে, কুমারীত্ব পরীক্ষার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এবং এটি অনৈতিকও। এর পরও ইরান ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, ইরাক ও তুরস্কে কুমারীত্ব পরীক্ষার প্রচলন রয়েছে।

যদি কোনো মেয়ে বিয়ের আগেই তার কুমারীত্ব হারায়, তাহলে সে আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। সে তার স্বামীকে ছেড়ে অন্য পুরুষের কাছে চলে যেতে পারে।

ইরানের মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন বলছে, ধর্ষণের অভিযোগ, কোর্টের নির্দেশ এই ধরনের বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষাপটে তারা কুমারীত্ব পরীক্ষা করে থাকে।

যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে কুমারীত্ব পরীক্ষা করতে আসে বিয়ে হতে যাচ্ছে এমন দম্পতি। সাধারণত মেয়েরা মায়েদের সঙ্গে এই বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে যায়।

কুমারীত্বের সার্টিফিকেটগুলোতে গাইনোকোলজিস্ট বা মিডওয়াইফের স্বাক্ষর থাকে। এই সার্টিফিকেটে হাইমেনের অবস্থার বিবরণ থাকে এবং মন্তব্যে বলা হয়, ‘এই নারী সম্ভবত একজন কুমারী।’

যা বলেছেন গাইনোকোলজিস্ট ড. ফাবিয়া

গাইনোকোলজিস্ট ড. ফাবিয়া বেশ কয়েক বছর ধরেই কুমারীত্বের সার্টিফিকেট ইস্যু করে আসছেন। তিনি স্বীকার করেন যে এটি একটি অপমানজনক প্রথা।

কিন্তু তিনি দাবি করেন, তিনি মেয়েদের সাহায্য করছেন।

তিনি বলেন, তারা পরিবারের পক্ষ থেকে চাপে থাকে। আমি মাঝেমধ্যেই নতুন দম্পতির জন্য মৌখিকভাবে মিথ্যা কথা বলি। তারা যদি আগেই একসঙ্গে সময় কাটায় এবং বিয়ে করতে চায়। আমি তাদের পরিবারের সামনেই বলি, মেয়েটা কুমারী।

রক্ষণশীল পুরুষরা কুমারীত্ব পরীক্ষা নিয়ে যা ভাবছেন

যদিও ইরানের অনেক পুরুষই মনে করেন, কুমারী মেয়েই বিয়ে করা উচিত।

দেশটির সিরাজ শহরে ৩৪ বছর বয়সী ইলেকট্রিশিয়ান আলি বলেন, ‘যদি কোনো মেয়ে বিয়ের আগেই তার কুমারীত্ব হারায়, তাহলে সে আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। সে তার স্বামীকে ছেড়ে অন্য পুরুষের কাছে চলে যেতে পারে।’

যদিও আলি নিজেই ১০ জন নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটিয়েছেন।

আলি ইরানি সমাজের এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তিনি মনে করেন, প্রথা ভাঙার দরকার নেই।

‘সামাজিক রীতি নারীদের থেকে পুরুষের বেশি স্বাধীনতার বিষয়টি মেনে নেয়।’

আলির এই দৃষ্টিভঙ্গি ইরানের অনেক মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। বিশেষ করে ইরানের গ্রাম ও রক্ষণশীল অঞ্চলগুলোতে।

পরে যা হয়েছে মরিয়মের জীবনে

চার বছর আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করা মরিয়ম অবশেষে কোর্টের মাধ্যমে তার স্বামীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ করতে পেরেছেন। কয়েক সপ্তাহ হয়েছে তিনি এখন সিঙ্গেল।

তিনি বলেন, আবারও একজন পুরুষকে বিশ্বাস করা কঠিন।

নিকট ভবিষ্যতে তিনি নিজেকে বিবাহিত দেখতে চান না।

হাজারও নারীর মতো কুমারীত্ব সার্টিফিকেটের বিরোধিতা করে মরিয়মও পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন।

যদিও তিনি মনে করেন না খুব শিগগির কোনো পরিবর্তন আসবে। হয়তো তার জীবদ্দশায় আসবে না। কিন্তু এর পরও তিনি আসা করেন, কোনো একদিন তার দেশে নারী আরও কিছুটা বেশি সমানাধিকার পাবে।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি কোনো একদিন এমনটা হবে। কোনো মেয়েই আমার মতো পরিস্থিতি দিয়ে যেতে হবে না।’

[বিবিসির প্রতিবেদনের আলোকে লেখা। পরিচয়ের সুরক্ষার জন্য এখানে সবকটি নামকেই পরিবর্তন করেছে বিবিসি।]

আরও পড়ুন:
শিরোপা খরা কাটল ইংল্যান্ডের
স্বামী হত্যায় ইরানে ৩ নারীর মৃত্যুদণ্ড
দেশে ভাসমান জনসংখ্যার অধিকাংশই পুরুষ
‘ইরানে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল’
ইসরায়েলের হামলা প্রতিরোধের দাবি ইরানের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রেস-জেন্ডার
Marina Tabassum on Time magazines list of influential people

টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালীদের তালিকায় মেরিনা তাবাসসুম

টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালীদের তালিকায় মেরিনা তাবাসসুম বাংলাদেশের খ্যাতনামা স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের এই খ্যাতনামা স্থপতি টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন সেরা উদ্ভাবক ক্যাটাগরিতে।

টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন মেরিনা তাবাসসুম। বাংলাদেশের এই খ্যাতনামা স্থপতি সেরা উদ্ভাবক ক্যাটাগরিতে তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

মঙ্গলবার এই তালিকা প্রকাশ করে টাইম ম্যাগাজিন। তাবাসসুমকে নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে লিখেছেন অ্যামেরিকান স্থপতি স্যারাহ হোয়াইটিং।

তাবাসসুমকে ‘নিঃস্বার্থ স্থপতি’ উল্লেখ করে স্যারাহ লিখেছেন, ‘‘তাবাসসুমের স্বার্থহীনতার পরিচয় তার নকশা করা ভবনগুলোর মাঝেও দেখা যায়। পৃথিবীর সম্পদে ভাগ বসানো প্রাণিকুলের অংশ হিসেবে তিনি তার নিজের সৃষ্টির প্রতি যত্নশীল।

“আগা খান পুরস্কারপ্রাপ্ত ঢাকার বাইত উর রউফ মসজিদ নিয়ে তাবাসসুম নিজে বলেছেন, ‘কৃত্রিম কোনো সাহায্য ছাড়াই একটা ভবনকে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দিতে হবে।’ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বন্যা ঝুঁকি বাড়তে থাকা একটি দেশে তিনি এমন সব বাড়ির নকশা করেছেন যেগুলো কম খরচে নির্মাণ করা যায় ও সহজে সরিয়ে ফেলা যায়।’’

বাইত উর রউফ ছাড়াও বাংলাদেশের স্বাধীনতা জাদুঘর ও স্বাধীনতা স্তম্ভ মেরিনা তাবাসসুমের উল্লেখযোগ্য কীর্তি। আগা খান পুরস্কার ছাড়াও ২০২১ সালে সোন পুরস্কার পান এই স্থপতি।

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় এবারে জায়গা করে নিয়েছেন এনএফএল সুপারস্টার প্যাট্রিক মাহোমস, অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকি, ফরমুলা ওয়ান ড্রাইভার ম্যাক্স ভেরস্টাপেন, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই, ভারতীয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট ও ব্রিটিশ পপ তারকা ডুয়া লিপা।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Refusal to board a plane because of obesity

স্থূল হওয়ার কারণে বিমানে নিতে অস্বীকৃতি

স্থূল হওয়ার কারণে বিমানে নিতে অস্বীকৃতি এয়ার নিউজিল্যান্ডে হয়রানির শিকার হওয়া এঞ্জেলা হার্ডিং। ছবি: ওয়ান নিউজ
ভুক্তভোগী এঞ্জেল হার্ডিং বলেন, ‘আমার ভীষণ খারাপ লেগেছে। আমার চেহারার কারণে, আকারের কারণে তারা আমাকে নামিয়ে দিল। খোলসা করে না বললেও আসলে এটাই ছিল তাদের অসুবিধার কারণ।’

স্থূল হওয়ার কারণে নিউজিল্যান্ডের একটি ফ্লাইট থেকে দুই নারী যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এয়ার নিউজিল্যান্ডের এমন আচরণে মর্মাহত এবং অপমানিতবোধ করছেন তারা।

গত শুক্রবার দেশটির নেপিয়ার থেকে অকল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে ওঠা ফ্লাইটে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মূখীন হন এঞ্জেলা হার্ডিং ও তার বন্ধু।

নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ান নিউজের প্রতিবদনে বলা হয়েছে, ফ্লাইটটিতে ওঠার পর হঠাৎ বাঁ হাতে ব্যথা অনুভব করেন এঞ্জেলা। এরপর একজন নারী ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্টকে ডেকে হাতের কব্জিটি নীচে নামিয়ে দিতে অনুরোধ করেন তিনি।

তা না করলে তিনি সিটে ঠিক করে বসতে পারছিলেন না। এদিকে তারা না বসা পর্যন্ত পাইলটও বিমান ওড়াতে পারছিলেন না।

এমন সময় বিমানের স্পিকারে ঘোষণা শোনার পর বিভ্রান্তি আরও বেড়ে যায়। ঘোষণায় বলা হয়, সমস্ত যাত্রীদের সুবিধার্থে এঞ্জেল হার্ডিং ও তার বন্ধুকে বিমান থেকে নেমে যেতে হবে।

পরে ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট এসে জানান, তাদের স্থূলতার কারণে দুজনের দুটি করে মোট চারটি আসন বুক করা উচিত ছিল।

এঞ্জেলের দাবি, এর আগে আকাশপথে ভ্রমণকালে এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। এমনকি তিনি বা তার বন্ধু কারোরই দুটি আসনের টিকিট কেনার সামর্থ্য নেই বলে অ্যাটেন্ড্যান্টকে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমার ভীষণ খারাপ লেগেছে। আমার চেহারার কারণে, আকারের কারণে তারা আমাকে নামিয়ে দিল। খোলসা করে না বললেও আসলে এটাই ছিল তাদের অসুবিধার কারণ।’

এ ঘটনার পর অবশ্য ওই যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এয়ার নিউজিল্যান্ড।

এক বিবৃতিতে এয়ার নিউজিল্যান্ডের মহাব্যবস্থাপক অ্যালিশা আর্মস্ট্রং বলেছেন, ‘ওই দুই যাত্রীর সঙ্গে যা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা দুঃখিত। সকল গ্রাহকের সম্মান রক্ষা এবং তাদের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় আচরণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Mim a job student asked the president for justice

যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ জবি ছাত্রী মীম

যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ জবি ছাত্রী মীম বুধবার বঙ্গভবনের সামনে আবেদনপত্র হাতে জবি শিক্ষার্থী মিম। ছবি: নিউজবাংলা
শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষকরা আমাকে বহিষ্কারের ভয়ভীতি, পরীক্ষায় ফেল করানো, অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন এবং মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছেন। আমাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিচ্ছেন।’

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকির বিচার এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ছাত্রী কাজী ফারজানা মীম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার বঙ্গভবনে মীম একটি আবেদন জমা দেন। আবেদনে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের তিনি বিচার চেয়েছেন। পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ার কথাও আবেদনপত্রে তুলে ধরেছেন তিনি।

আবেদনে মিম তার একাডেমিক জীবনের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উপাচার্যের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করে তিনি এখনও বিচার পাননি। তার বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। ওই শিক্ষকের সমর্থনে বিভাগের চেয়ারম্যান তাকে স্নাতক পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন।

সহপাঠীদের কাছ থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। তারা মৃত্যুর হুমকি দিয়ে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। ফলে তিনি বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে নিয়ে আসেন।

যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ জবি ছাত্রী মীম
রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়ে বঙ্গভবনে জমা দেয়া মিমের আবেদনপত্রের অনুলিপি।

সবশেষ আশা-ভরসা নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন। বুলিং ও যৌন নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান মিম। পাশাপাশি প্রশাসনের জবাবদিহির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি আবেদন জানান। তাকে ফেল করানোর বিষয়গুলো বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে তার জীবন পুনরুদ্ধারের আরজি জানান।

আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ওই সময়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের দায়িত্বে থাকলেও তার কাছ থেকে তিনি বিচার পাননি।

এদিকে ভুক্তভোগী মীম তার আবেদনের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেননি বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘সে হল থেকে বের হওয়ার পর আর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার কোনো সাড়া পাইনি। তাকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাই। আবার অনেক সময় ফোন ঢুকলেও সে ধরে না।’

উপাচার্য যা বললেন

এ বিষয়ে চানতে চাইলে উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমি আসার আগের ঘটনার দায়ভার আমি নেব না। তবে আমি এখন সেগুলো নিয়ে সোচ্চার হব। পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় এসব বিষয় উত্থাপন হবে। সবার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিভাগের চেয়ারম্যানের পরীক্ষায় কেন সে ৩ পেল এ বিষয়টি দেখার জন্য ওনার সঙ্গে মিটিংয়ে বসব। আর তার পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

এদিকে এক শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেই যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের এই অভিযোগ সামনে এনেছেন মিম।

এছাড়াও অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানিসহ নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই শিক্ষার্থী সোচ্চার হন। সেখানে অবন্তিকার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে নিজের প্রসঙ্গ টানেন তিনি।

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মিম। এ অবস্থায় তিনি সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) গিয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চান।

ফারজানা মীমের অভিযোগে যা রয়েছে

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কাজী ফারজানা মীম।

তিনি বলেন, ‘আমার বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করেছেন। এই অভিযোগ দেৱয়ার পর থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিম ও অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছেন।

‘আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে একঘরে করে দেয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় ফেল করানো হয়। অনার্সের ফাইনাল ভাইভায় আমাকে ফেল করানো হয়।’

‘স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছি না’ উল্লেখ করে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘কখন আমাকে মেরে ফেলা হয় সেটা জানি না। শুধু আমি নই, তারা আমার পরিবারকেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন এবং হেনস্তা করছেন। বর্তমান এই অবস্থা থেকে বাঁচতে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ নিয়ে এসেছি।’

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম সোমবার একটি অভিযোগ করেছেন। এর ভিত্তিতে আমাদের সাইবার টিম কাজ করছে। অভিযোগকারী মীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমরা জবি ভিসির সঙ্গে কথা বলেছি। ভিসি অনেক কথা বলেছেন। এ অভিযোগের অনেক বিষয়ের অনেক কিছুই আমাদের হাতে নেই।’

তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রীর যে সমস্যা সেটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমেই সমাধান করা হবে। প্রশাসনিক বিষয়গুলো আমরা সমাধান করতে পারব না। তাকে কেন বার বার ফেল করানো হচ্ছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবে। তবে তাকে আটকে রাখা বা হুমকি দেয়ার বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করছি।’

অভিযুক্ত দুই শিক্ষক যা বললেন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন বলেন, ‘এসব অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। এখন অবন্তিকার মৃত্যুতে তার সহানুভূতিকে পুঁজি করে মীম গণমাধ্যমের মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা করছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। মীম এসব বিষয়ে মিডিয়ায় কথা বলতে পারে না। এ ব্যাপারে আমি আর বেশি কিছু মন্তব্য করতে চাই না।’

প্রসঙ্গত, মিম অভিযোগ করার পর তদন্ত কমিটি আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছিল। তখন তিনি উচ্চ আদালতে যান।

অপর অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেয়ার অভিযোগ মিথ্যা। মীম ঠিকমতো ক্লাসই করত না। ক্লাসে তার ৬০ ভাগ উপস্থিতিও ছিলো না। সেখানে আমরা তাকে পরীক্ষা দিতে দিয়েছি। ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে তাকে নম্বর দেয়ার তো কোনো সুযোগই নেই।’

আরও পড়ুন:
জবিতে শিক্ষার্থীবান্ধব সক্রিয় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকরের দাবি
জবি ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা: সহকারী প্রক্টরের জামিন নাকচ
অবন্তিকার আত্মহনন: জবি প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের লালকার্ড
জবি ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা: সহপাঠী, সহকারী প্রক্টর রিমান্ডে

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Bangabandhukanya created the environment for womens progress Food Minister

নারীদের অগ্রযাত্রার পরিবেশ তৈরি করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা: খাদ্যমন্ত্রী

নারীদের অগ্রযাত্রার পরিবেশ তৈরি করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা: খাদ্যমন্ত্রী আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: নিউজবাংলা
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে নারীর সংখ্যা অর্ধেক নয়, বরং অর্ধেকেরও বেশি। ভোটার তালিকা দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। নারীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে নারীদের অগ্রযাত্রার পরিবেশ তৈরি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নের মূল শক্তি তারা নিজেরাই।

নারীদের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আটজন নারী রয়েছেন। বর্তমানে নয়জন নারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় সংসদে স্পিকারের দায়িত্বও পালন করছেন একজন নারী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে নারীর সংখ্যা অর্ধেক নয়, বরং অর্ধেকেরও বেশি। ভোটার তালিকা দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। নারীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

‘বাংলাদেশে নারীদের অগ্রযাত্রার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কিন্তু কিছু অশুভ শক্তি নারীদের পিছিয়ে দিতে চায়।’

আরও পড়ুন:
স্ত্রী চা বানানোর সময় স্বামী সন্তানদের দেখলে সময় বাঁচে: প্রধানমন্ত্রী
‘কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়’
‘নারীদের ওপর বিনিয়োগ করুন, দ্রুত উন্নতি আনুন’
পাচারের আগ মুহূর্তে উদ্ধার দুই তরুণী, আটক ৬
নারীর প্রতিবাদের ভাষা বাঁকা টিপের সেলফি

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Husband watches kids while wife makes tea saves time PM

স্ত্রী চা বানানোর সময় স্বামী সন্তানদের দেখলে সময় বাঁচে: প্রধানমন্ত্রী

স্ত্রী চা বানানোর সময় স্বামী সন্তানদের দেখলে সময় বাঁচে: প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
ঘরে-বাইরে নারীদের কাজের বিষয়ে বলতে গিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মেয়েরা কিন্তু অফিস-আদালত বা যেখানেই কাজ করে, কাজ করার পরে কিন্তু তার আরেকটা কাজ থাকে ঘরে এসে সংসার সামলানো। সেটা আবার হিসাবে ধরা হয় না। সেটা যদি হিসাবে ধরা হয়, তখন দেখা যাবে যে, কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা কিন্তু অনেক অনেক বেশি শ্রম দিচ্ছে তারা। এটাও তো শ্রম।’

ঘরের কাজে নারীদের সহায়তার জন্য পুরুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বামী ও স্ত্রী মিলেমিশে কাজ করলে সময় বেঁচে যায়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঘরে-বাইরে নারীদের কাজের বিষয়ে বলতে গিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “মেয়েরা কিন্তু অফিস-আদালত বা যেখানেই কাজ করে, কাজ করার পরে কিন্তু তার আরেকটা কাজ থাকে ঘরে এসে সংসার সামলানো। সেটা আবার হিসাবে ধরা হয় না। সেটা যদি হিসাবে ধরা হয়, তখন দেখা যাবে যে, কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা কিন্তু অনেক অনেক বেশি শ্রম দিচ্ছে তারা। এটাও তো শ্রম।

“ধরেন একজন পুরুষ অফিসার, নারী অফিসার; স্বামী, স্ত্রী। দুইজন একই সাথে ঘরে ফিরল। আমরা কী দেখব যে, যিনি পুরুষ, তিনি চেয়ারে বসে পড়লেন বা ইজি চেয়ারেই বসে পড়লেন বা সোফায় বসে পড়লেন। বলে, ‘এক কাপ চা দাও তো।’ আর যিনি মেয়ে অফিসার, তিনি ঘরে যেয়েই আগে পাকের ঘরে ঢুকলেন। চা বানানো, বাচ্চাদের খাওয়ানো, বাচ্চাদের গোসল করানো, বাচ্চাদের দেখা—সবকিছু ব্যবস্থা করা। এই ক্ষেত্রে যদি সবাই একটু একসাথে কাজ করে। কেউ চা বানাল, কেউ বাচ্চাদের দেখল, তাহলে পরে সময়ও বাঁচে।”

ঘরের কাজে নারীদের সহায়তা করতে পুরুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়েদের রান্নাও করতে হবে। কারণ এখন তো আসলে আমরা এই যে ভাতা দেয়ার জন্য এখন কাজের লোক তো কম পাওয়া যায়। কাজেই সে দিক থেকে মনে করি, দুজনে মিলে কাজ করলে পরে দ্রুত কাজগুলো শেষ হলো।

‘তারপরে একটু একসাথে বসে গল্প করা যাবে। টেলিভিশন দেখা যায়। সেটা করতে পারে। তো আমাদের পুরুষরা যদি একটু ওই দিকে নজর দেয়, তাহলে জীবনটা কিন্তু আরও সুন্দর হবে।’

আরও পড়ুন:
পাচারের আগ মুহূর্তে উদ্ধার দুই তরুণী, আটক ৬
অবৈধ মুনাফাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মিয়ানমারে সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বমানের চৌকস বাহিনী হবে বিজিবি: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Prime Minister Modi announced to reduce the price of cylinders by 100 rupees on womens day

নারী দিবসে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ রুপি কমানোর ঘোষণা মোদির

নারী দিবসে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ রুপি কমানোর ঘোষণা মোদির এলপিজি সিলিন্ডার। ছবি: এনডিটিভি
পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেন, ‘আজ নারী দিবসে আমাদের (বিজেপি নেতৃত্বাধীন) সরকার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১০০ রুপি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি সারা দেশে লাখ লাখ পরিবারের আর্থিক বোঝাকে কমাবে, বিশেষ করে আমাদের নারী শক্তিকে উপকৃত করবে।’

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ রুপি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (একসময়ের টুইটার) শুক্রবার সকালে এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেন, ‘আজ নারী দিবসে আমাদের (বিজেপি নেতৃত্বাধীন) সরকার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১০০ রুপি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি সারা দেশে লাখ লাখ পরিবারের আর্থিক বোঝাকে কমাবে, বিশেষ করে আমাদের নারী শক্তিকে উপকৃত করবে।’

তিনি আরও লিখেন, ‘রান্নার গ্যাসকে আরও সাশ্রয়ী করে আমরা বিভিন্ন পরিবারের কল্যাণের জন্য সহায়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে চেয়েছি। নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের জীবনযাপন সহজ করতে আমাদের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এটি করা হয়েছে।’

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের রাজধানী শহর দিল্লিতে ১৪ দশমিক ২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে খরচ পড়ে প্রায় ৯০০ রুপি।

নারী দিবসের আগের দিন বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রীর ‘উজ্জ্বলা ইয়োজানা’ প্রকল্পের আওতায় এলপিজি সিলিন্ডারপ্রতি দরিদ্র নারীদের ৩০০ রুপি ভর্তুকির মেয়াদ আগামী অর্থবছর পর্যন্ত বাড়িয়েছে, যা শুরু হচ্ছে আগামী ১ এপ্রিল।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১২টি রিফিল পর্যন্ত ১৪ দশমিক ২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডারপ্রতি ভর্তুকি ২০০ রুপি থেকে বাড়িয়ে ৩০০ রুপিতে উন্নীত করে। সিলিন্ডারপ্রতি ৩০০ রুপি ভর্তুকির মেয়াদ ছিল চলতি অর্থবছরের শেষ দিন ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

এক্সে অপর এক পোস্টে নাগরিকদের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদি লিখেন, ‘আমরা আমাদের নারী শক্তির শক্তিমত্তা, সাহস ও সহনশীলতাকে স্যালুট জানাই এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অবদানের প্রশংসা করি।

‘আমাদের সরকার শিক্ষা, শিল্পোদ্যোগ, কৃষি, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।’

আরও পড়ুন:
মুসলিম বিয়ে ও তালাক আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত আসামের
দুর্ঘটনার ১০ দিন না যেতে সড়কেই প্রাণ গেল তেলেঙ্গানার বিধায়কের
ক্যানসারের উপাদান পাওয়ায় তামিলনাড়ুতে নিষিদ্ধ হাওয়াই মিঠাই
ভোটের প্রচারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গর্ভনিরোধক বিতরণ
ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা সংগীতশিল্পীর

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Womens participation has increased in the workplace but not in decision making

‘কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়’

‘কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ফাইল ছবি
‘সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীত্ব নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। সেটা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, ভাগ-বাটোয়ারার ক্ষেত্র, এমনকি ধর্মীয়ভাবেও। পৃথিবীতে এমন কোনো ধর্ম খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেয়া হয়েছে।’

‘কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদা বাড়েনি। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন জরুরি।

‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে নারীদের কথা বলার জায়গাটা তৈরি করে দিতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গাগুলোতে নারীদের নিয়ে আসতে হবে।’

আন্তর্জাতিক নারী দিবস সামনে রেখে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

তিনি বলেন, ‘নারী পরিচয়ের আগে আমার বড় পরিচয় হলো আমি একজন মানুষ। নারী-পুরুষ ভেদাভেদ তৈরি, নারীকে হেয় করা, শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরুষের চেয়ে দুর্বল মনে করা হয় আজও।’

পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের মূল্যায়ন সম্পর্কে সাদেকা হালিম বলেন, ‘সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এমন হয়েছে যে সমাজে নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয়; যদিও বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও পুরুষ সমান। কিন্তু বাস্তবে কোনো দেশই খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে নারীকে পুরুষের সমান ভাবা হয়।’

‘সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীত্ব নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। সেটা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, ভাগ-বাটোয়ারার ক্ষেত্র, এমনকি ধর্মীয়ভাবেও। পৃথিবীতে এমন কোনো ধর্ম খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেয়া হয়েছে।’

‘এমনকি নারীর সন্তান জন্ম দেয়ার বিষয় নিয়েও রাজনীতি করা হয়। সন্তান জন্মের পর পরই সন্তানের অধিকার কিভাবে হবে সেটা আমরা ধর্মীয়ভাবে নির্ধারণ করি। বাবা ও মায়ের অধিকার কতটুকু, আমাদের সিভিল ল’তে কতটুকু, শরিয়া ল’তে কতটুকু- এসব বিষয় অনেকটাই পুরুষকেন্দ্রিক। পুরুষকে সব সময় প্রাধান্য দেয়া হয়। পুরুষরাই এ সমাজে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে।’

এই উপমহাদেশে নারীদের ভূমিকা সম্পর্কে ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘ভারত উপমহাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন যে এখন হয়েছে তা নয়। অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশে নারীরা কিন্তু ইউরোপের নারীদের আগেই ভোটাধিকার পেয়েছিল। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় নারীরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, রানি হয়েছে, ট্যাক্স সংগ্রহ করেছে।

‘আধুনিক রাষ্ট্রে পুঁজিবাদের বিস্তার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের কাজের পরিধি বেড়েছে, কিন্তু নারীদের পণ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার কাজকে কাজ হিসেবে আমরা দেখিনি। নারীরা স্ত্রী, মা বা মেয়ে হিসেবে যে ভূমিকা পালন করে সেটিকেও অবমূল্যায়ন করা হয়।

‘কোনো নারী চাকরি করলেও তাকে আমরা প্রশ্ন করি তার স্বামী কী করে। সে যদি স্বামীর থেকে বেশি বেতন পায়, তাহলে পুরুষও হীনম্মন্যতায় ভোগে।’

সমাজের সাধারণ নারীদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে জবি উপাচার্য বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন তো নারীদের অনেকেরই হয়েছে। গার্মেন্ট সেক্টর, চিংড়ি মাছের ঘের, কল-কারখানায় নারীরা কাজ করছে। এটি ভারত বা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু নারীর সামাজিক মর্যাদা কি বেড়েছে? এটা খুবই জটিল একটি বিষয়।

‘চরম দারিদ্র্যের শিকার নারীরা কোনো কিছু ভাবে না, বা ভাবার সুযোগ পায় না। তারা জানে তাদেরই কাজ করতে হবে, ক্ষুধা মেটাতে হবে। তারাই শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। সাধারণ নারীরা অনেক পরিশ্রমী। সামাজিক সমালোচনা গ্রাহ্য না করে তারা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় তাদের বাদ দেয়া হচ্ছে।’

নারীর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে সাদেক হালিম বলেন, ‘আমরা নারীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে পারিনি। বাংলাদেশে বা প্রবাসে যে পরিমাণ নারী কাজ করে সেখানেও আমরা দেখি যে নারীরা নিরাপদ নয়। এমনকি খুব নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে তারা ধর্ষণের শিকার হয়।’

তিনি বলেন, ‘তবে বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী। এবারকার কেবিনেটে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নারী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হয়ে আসছেন। এটা ইতিবাচক দিক।

‘সংখ্যার দিক থেকে নারীর অংশগ্রহণ অনেক বেশি, কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদার জায়গায় গুণগত মানের দিক থেকে কতটা বদলেছে সেটি বড় বিষয়। যখন নারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আসবে, নেতৃত্ব দেবে, তখনই বদলাবে সমাজ।’

আরও পড়ুন:
‘নারীদের ওপর বিনিয়োগ করুন, দ্রুত উন্নতি আনুন’

মন্তব্য

p
উপরে