× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রেস-জেন্ডার
Joyful procession in Chapainawabganj as Draupadi became the President of India
google_news print-icon

দ্রৌপদী মুর্মুর সাফল্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর শোভাযাত্রা

দ্রৌপদী-মুর্মুর-সাফল্যে-চাঁপাইনবাবগঞ্জে-ক্ষুদ্র-জনগোষ্ঠীর-শোভাযাত্রা
আদিবাসী নারী রাষ্টপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিনন্দন জানিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে বক্তারা আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতলের আদিবাসীদের জন্য আলাদা ভূমি কমিশন গঠন, বিশেষ ব্যবস্থায় সংসদে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করাসহ সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি জানান।

ভারতের প্রথম আদিবাসী নারী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিনন্দন জানিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর লোকজন।

উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম, সাঁওতাল লেখক ফোরাম, সাঁওতাল সমন্বয় পরিষদসহ বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাঁওতালসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী ও পুরুষরা মঙ্গলবার সকালে শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় জড়ো হন।

বেলা ১১টার দিকে সেখান থেকে শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এ সময় ঢোল, মাদল বাজিয়ে ও সাঁওতালি গান গেয়ে ভারতের ১৫তম রাষ্টপতিকে অভিনন্দন জানান তারা।

শোভাযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে সমাবেশে বক্তব্য দেন উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি কর্ণেলিউশ মুর্মু, সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী প্রভাত টুডু, আদিবাসী নেত্রী ইস্টেফেন টুডু, লুইস টুডু ও কুটিলা রাজায়োর।

দ্রৌপদী মুর্মুর সাফল্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর শোভাযাত্রা

সমাবেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভারতের নতুন এ রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো, সাঁওতালসহ অন্যান্য জাতিসত্তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবি জানানো হয়।

এ ছাড়া আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতলের আদিবাসীদের জন্য আলাদা ভূমি কমিশন গঠন, বিশেষ ব্যবস্থায় সংসদে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করাসহ সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়।

১৯৫৮ সালের ২০ জুন ভারতের ওডিশা রাজ্যের ময়ূরভঞ্জের উপেরবেদা গ্রামে এক সাঁওতালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। দেশটির সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত প্রথম আদিবাসী নারী হলেন তিনি। তিনি দেশটির দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপতি। এ ছাড়া স্বাধীন ভারতে জন্ম নেয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন দ্রৌপদী। ভারতের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতিও হলেন তিনি।

আরও পড়ুন:
ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: এগিয়ে দ্রৌপদী
‘…আপন পাপের বাটখারা দিয়ে; অন্যের পাপ মাপি’
অপেক্ষা মঙ্গল শোভাযাত্রার
রঙেঢঙে বর্ষবরণে প্রস্তুত চবির চারুকলা
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্যে করোনামুক্তির বার্তা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রেস-জেন্ডার
Womens participation in the renewable energy sector will increase gender equality

‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াবে জেন্ডার সমতা’

‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াবে জেন্ডার সমতা’ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যান্ড জেন্ডার ইমপ্যাক্ট শীর্ষক গবেষণা ফলাফল আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: নিউজবাংলা
গবেষণা ফলাফল উপস্থাপনের সময় ইন্সপাইরার পরিচালক সালমান রহমান বলেন, ‘প্রথাগতভাবে এ দেশে নারীরাই মূলত বাড়ির রান্নার কাজের সঙ্গে জড়িত। তবে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও পুঁজির ওপর নিয়ন্ত্রণের অভাব নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে। জ্বালানি সংক্রান্ত সরকারি কোনো নীতিমালা বা পরিকল্পনাতেও নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি অনুপস্থিত থাকায় জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে যথেষ্ট উদ্যোগ দেখা যায় না।’

বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ জেন্ডার সমতা নিশ্চিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

বুধবার সকালে রাজধানীর এমজেএফ টাওয়ারের আলোক অডিটোরিয়ামে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যান্ড জেন্ডার ইমপ্যাক্ট শীর্ষক গবেষণা ফলাফল আলোচনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড এনার্জি প্রজেক্টের আওতায় এমজেএফের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণাটি করেছে ইন্সপাইরা অ্যাডভাইজরি অ্যান্ড কনসালটিং লিমিটেড।

গবেষণা ফলাফল উপস্থাপনের সময় ইন্সপাইরার পরিচালক সালমান রহমান বলেন, ‘প্রথাগতভাবে এ দেশে নারীরাই মূলত বাড়ির রান্নার কাজের সঙ্গে জড়িত। তবে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও পুঁজির ওপর নিয়ন্ত্রণের অভাব নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে। জ্বালানি সংক্রান্ত সরকারি কোনো নীতিমালা বা পরিকল্পনাতেও নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি অনুপস্থিত থাকায় জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে যথেষ্ট উদ্যোগ দেখা যায় না।’

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বকারী ৩৬ জন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার এবং বাংলাদেশ ও একই ধরনের অর্থনীতির চারটি দেশ ও এই খাতে এগিয়ে থাকা আরও চার দেশের সংশ্লিষ্ট নীতিমালা ও পরিকল্পনা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে গবেষণা ফলাফল তৈরি হয়েছে।

এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংক্রান্ত নীতিমালার মূল স্রোতধারায় জেন্ডার সমতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে নারীর ক্ষমতায়ন ও জ্বালানি রূপান্তর প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।

গবেষক সালমান তার উপস্থাপনায় জানান, পর্যাপ্ত জ্ঞান, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার অভাবে এবং জেন্ডার বৈষম্যের কারণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের নীতিনির্ধারণী অবস্থানে নারীরা পৌঁছাতে পারছে না। এতে জেন্ডার বৈষম্য প্রকট হচ্ছে। প্রশিক্ষণ দেয়া গেলে তৃণমূল পর্যায়ের নারীরাও শুধু নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারকারী হিসেবে নয়, টেকনিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবেও ভূমিকা রাখতে পারে।

গবেষণার আলোকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৩ এবং সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা ২০২২ এখনও খসড়া পর্যায়ে আছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি লক্ষ্য জেন্ডার সমতা অর্জনের জন্য এই দুই নীতিমালায় নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি সুনির্দিষ্ট ও বিস্তারিতভাবে যুক্ত করা প্রয়োজন। তবে শুধু নীতিমালায় সংযোজনই যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে প্রয়োজন যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন।

‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে একই সঙ্গে যেমন নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমবে, গৃহস্থালি কাজের সময় বাঁচবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও জীবনযাত্রার মান বাড়বে তেমনি ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও সহজ হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

প্রধান অতিথি বলেন, ‘দেশে জ্বালানির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দশ বছর আগেও ভাবা হয়নি আমাদের এত বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। গ্রামাঞ্চলেও এখন অনেকে এসি, রাইস কুকার ইত্যাদি যন্ত্রাদি ব্যবহার করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এনার্জি ডিপ্লোম্যাসি নিয়ে যেভাবে কাজ করেছেন, বিশ্বের অনেক সরকারপ্রধানই তা করেননি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে। প্রায় ৩৩টি নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। আমাদের সোলার, উইন্ড পাওয়ার আছে। একটি হাইড্রো পাওয়ার প্ল্যান্টও আছে।’

তিনি বলেন, ‘কপ সম্মেলনে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড থেকে যুদ্ধের জন্য প্রচুর বরাদ্দ দেয়া হয়, কিন্তু জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য কোন বরাদ্দ দেয়া হয় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশই প্রথম নিজস্ব অর্থায়নে একটি ক্লাইমেট ফান্ড করেছে। আমাদের দেশে কার্বন নিঃসরণ খুব কম হলেও আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে গুরুত্ব দিচ্ছি, যেন আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। স্টেম এডুকেশনে আগ্রহী করার জন্য নারীদের মেন্টরশিপের প্রয়োজন। সারা পৃথিবীতে রিনিউয়েবল এনার্জি সেক্টরে মাত্র ৩২ ভাগ নারী আছে। আমাদের পুরো লেবার ফোর্সে এখন ৪০ শতাংশ নারী আছেন। নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জিডিপিতেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান বাস্তবায়নের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রতি বছর সব মন্ত্রণালয় যেভাবে নারীদের উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিচ্ছে তাতেও অংশগ্রহণ বাড়ছে। এক্ষেত্রে আরো গবেষণা ও বিশ্লেষণের প্রয়োজন যে কীভাবে নারীদের অংশগ্রহণ ও জীবনযাত্রার মান বাড়ানো যায়। নারীদের জীবনমানের উন্নয়নে নীতিনির্ধারকদের ভূমিকা রাখতে হবে।’

এই অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করায় নারী-পুরুষ সবার ওপরই ভীষণ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তা ছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানির খরচ দিন দিন বাড়ছে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির কমছে। ফলে অর্থনৈতিকভাবে এটি সবাইকে লাভবান করবে।’

২০৪১ সাল নাগাদ নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের সঙ্গে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা ২০২২ সমন্বয় করার আহ্বান জানান ড. মোয়াজ্জেম।

নীতিনির্ধারণী জায়গায় মূলত পুরুষরা থাকায় পুরো সেক্টরেই এর প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।

তিনি বলেন, ‘নীতিমালা তৈরির সময় জেন্ডার লেন্স থেকে বিষয়টি দেখতে হবে। নারীদের মধ্যেও নানা ভাগ আছে যেমন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, চাকরিজীবী, গৃহিণী, প্রবীণ ইত্যাদি। সবার সুবিধার বিষয় বিবেচনা করেই নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। পুরুষতান্ত্রিক খাত হওয়ায় পুরুষদের ওপরও কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই পুরুষদের স্বার্থেও নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন।’

এটুআই-এর জেন্ডার স্পেশালিস্ট নাহিদ শারমিন বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন তাহলে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। সেই সঙ্গে তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে যেন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারে।’

অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে সাধারণত তেমন আলোচনা হয় না। অথচ গৃহস্থালি কাজে জ্বালানি ব্যবহারের সঙ্গে মূলত নারীরাই জড়িত। নবায়নযোগ্য জ্বালানিই আমাদের ভবিষ্যত। এই খাতে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং নারীদের কথা মাথায় রেখে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
4 students of Karnataka face punishment for wearing burka

বোরকা পরে নেচে শাস্তির মুখে কর্ণাটকের ৪ ছাত্র

বোরকা পরে নেচে শাস্তির মুখে কর্ণাটকের ৪ ছাত্র বোরকা পরে নাচছেন ভারতের কর্ণাটের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
একটি বিবৃতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, যারা নেচেছে তারা মুসলিম ছাত্র ছিলেন। এটি অনুমোদিত অনুষ্ঠানের অংশ ছিল না।

ভারতের কর্ণাটকের মেঙ্গালুরুর একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অনুষ্ঠানে বোরকা পরে নেচে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন চার ছাত্র। সেন্ট জোসেফ নামের কলেজটির স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বুধবার এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা যায়, হিন্দি গান ছেড়ে বোরকা পরে নাচছে ওই চার ছাত্র।

কলেজটির প্রিন্সিপালের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় ওই চার ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ।

একটি বিবৃতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, যারা নেচেছে তারা মুসলিম ছাত্র ছিলেন। এটি অনুমোদিত অনুষ্ঠানের অংশ ছিল না। সম্প্রীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন কোনো কার্যক্রমকে সমর্থন বা ক্ষমা করে না কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছরের শুরুতে ভারতের কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক শুরু হয়। সেই ঘটনার জেরে শুধু কর্ণাটক নয়, গোটা ভারতে বিতর্ক ও সংঘাত হয়। দীর্ঘ সময় বেশ কিছু স্কুল ও কলেজ কর্ণাটক রাজ্যে বন্ধ রাখা হয়েছিল।

বিষয়টি শেষ পর্যন্ত ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। স্কুলে হিজাব পরা যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে বিতর্কের অবসান সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ বেঞ্চেও হয়নি। বিষয়টি উচ্চতর বেঞ্চে পাঠানোর জন্য আবেদন করেন বিচারপতিরা।

আরও পড়ুন:
বোরকা পরা সাংবিধানিক অধিকার: হাইকোর্ট
সুইজারল্যান্ডে বোরকা নিষিদ্ধ নিয়ে গণভোট ৭ মার্চ

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Harry Meghan relationship trailer on Netflix

হ্যারি-মেগান সম্পর্কের ট্রেলার নেটফ্লিক্সে

হ্যারি-মেগান সম্পর্কের ট্রেলার নেটফ্লিক্সে নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারিতে সাসেক্সের ডিউক এবং ডাচেস। ছবি: সংগৃহীত
ডকুমেন্টারিতে হ্যারি-মেগান দম্পতির কিছু ব্যক্তিগত ছবি রয়েছে, এগুলো আগে কখনও প্রকাশ হয়নি। বলা হচ্ছে, এটি একটি বৈশ্বিক ঘটনা।’   

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগানের নতুন ডকুমেন্টারি সিরিজের ট্রেলার প্রকাশ করেছে নেটফ্লিক্স। এক মিনিটের ট্রেলারে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের সঙ্গে দম্পতির অপ্রকাশিত কিছু সাদা-কালো ছবি দেখা গেছে।

ট্রেলারে দম্পতিকে প্রশ্ন করা হয় কেন তারা এই ডকুমেন্টারি বানাতে চান? যার উত্তরে হ্যারি বলেন, ‘বন্ধ দরজার আড়ালে কি ঘটছে তা কেউ দেখে না।

‘পরিবারকে রক্ষা করার জন্য যা যা করা সম্ভব আমাকে তাই করতে হয়েছিল’... এ সময় পাশে থাকা মেগানকে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়।

মেগানের একটি বক্তব্য দিয়ে ট্রেলারটি শেষ হয়।

মেগান বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টা এতোই গুরুত্বপূর্ণ, তখন আমাদের গল্পটা আমাদের কাছ থেকেই শোনা ভালো না?’

ট্রেলারে যে ছবিগুলো প্রকাশ হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে, ২০২০ সালে কমনওয়েলথ ডে সার্ভিসে বড় ভাই উইলিয়াম ও ভাবী কেটের সঙ্গে হ্যারি-মেগান দম্পতির ছবি। রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে জনসম্মক্ষে তাদের সর্বশেষ উপস্থিতি ছিল সেদিন।

রান্নাঘরের টেবিলে বসা মেগানকে চুমো খাচ্ছেন হ্যারি...এমন আনন্দের মুহূর্তের ছবিও আছে ট্রেলারে। এ ছাড়া নবদম্পতি তাদের বিয়েতে নাচছে, একটি ফটোবুথে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে এবং মেগানের বেবি বাম্পের ছবিও প্রকাশ হয়েছে ট্রেলারে।

এসবের পাশাপাশি তাদের কষ্টের মুহুর্তগুলোও স্থান পেয়েছে ট্রেলারে; যেখানে মেগানকে চোখের পানি মুছতে এবং মুখ ঢেকে বসে থাকতে দেখা যায়।

হ্যারি-মেগান সম্পর্কের ট্রেলার নেটফ্লিক্সে

হ্যারি অ্যান্ড মেগান শিরোনামের ডকুমেন্টারিটিকে একটি ‘গ্লোবাল ইভেন্ট’ বলে বর্ণনা করছে নেটফ্লিক্স। ‘শিগগিরই আসছে’ লেখা দিয়ে ট্রেলারটি শেষ হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ৮ ডিসেম্বর এটি মুক্তি পাবে।

নেটফ্লিক্স জানায়, বিয়ের পরপর হ্যারি-মেগানের গোপন দিনগুলো; রাজপরিবার থেকে তাদের দূরে সরে যাওয়া বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে ডকুমেন্টারিতে। এতে হ্যারি-মেগান দম্পতির বন্ধু, তাদের পরিবার এবং রাজকীয় ইতিহাসবিদদের বক্তব্যও রয়েছে।

নেটফ্লিক্স জানায়, সিরিজটিতে এক দম্পতির প্রেমের গল্পের চেয়েও বেশি কিছু রয়েছে। এখানে বিশ্ব এবং একে-অপরের সঙ্গে আমরা কেমন আচরণ করি, সেসবের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

এমি-জয়ী পরিচালক লিজ গারবাস এটি নির্মাণ করেছেন। দুইবার একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তিনি।

রাজতন্ত্র ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার পর নেটফ্লিক্স এবং স্পোটিফাই-এর সঙ্গে ‘লোভনীয়’ চুক্তিতে সই করেন হ্যারি-মেগান। বলা হচ্ছে, এই চুক্তির মূল্য ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Outrage over French cartoons denigrating Qatars football team

কাতার ফুটবল দলকে হেয় করে ফরাসি কার্টুনে ক্ষোভ

কাতার ফুটবল দলকে হেয় করে ফরাসি কার্টুনে ক্ষোভ ব্যঙ্গচিত্র এঁকে সমালোচনার ‍মুখে পড়েছে ফরাসি সাময়িকী।
ফরাসি ব্যঙ্গাত্মক সাপ্তাহিক লে ক্যানার্ড এনচাইনের ওই কার্টুনে তাদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে ‘বর্ণবাদ ও ইসলাম বিদ্বেষ’ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীা।

ফিফা বিশ্বকাপের দেরি নেই খুব বেশি, আসছে খেলা নিয়ে নানা খবর। তবে এসবের ভিড়ে আয়োজক দেশ কাতারের দলের খেলোয়াড়দের দিয়ে ফ্রান্সের একটি কার্টুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ফরাসি ব্যঙ্গাত্মক সাপ্তাহিক লে ক্যানার্ড এনচাইনের ওই কার্টুনে তাদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে ‘বর্ণবাদ ও ইসলাম বিদ্বেষ’ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীা।

সাময়িকীটির অক্টোবরের শেষ সংখ্যায় প্রকাশিত ওই কার্টুনে কাতারের খেলোয়াড়দের কাউকে বড় দাড়ি, কাউকে মুখে মাস্কসহ হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, কাউকে রকেট লঞ্চারও বহন করতে দেখা গেছে। কার্টুনে ১০ নম্বরের জার্সি পরানো এক খেলোয়াড়কে পরানো হয়েছে সুইসাইডাল ভেস্ট।

এই খেলোয়াড়েরা ছুটছেন একটি ফুটবলের পেছনে। তাদের পেছনে লেখা কাতার। সাতজনের পাঁচজনের পোশাকের রঙ নীল, দুজনের কালো। তাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন মুসলিম পোশাকের কয়েকজন পুরুষ।

কদিন ধরেই এ কার্টুন নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে কাতারজুড়ে। বক্তব্য দিয়েছে দেশটির জাতীয় গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষও। অন্তত খেলার পরিবেশ বজায় রাখতে অনুরোধ করেছে তারা।

প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় গ্রন্থাগারের সভাপতি হামাদ আল-কাওয়ারী কাতারের ক্রীড়াঙ্গন দেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কাতারে এমনকি কঠোর ব্যঙ্গকেও স্বাগত জানানো হয়। কিন্তু তারা কাতারকে আক্রমণ করতে এবং হেয় করতে মিথ্যা, ঘৃণা এবং ক্ষোভের আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সাময়িকীটির বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, অক্টোবর সংখ্যার প্রচ্ছদে নারীদের প্রতিকৃতি আঁকা হয়েছে। এতে পুরো শরীরে কালো কাপড়ে ঢাকা অবস্থায় দেখানো হয়েছে তাদের।

এ প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি দোহারের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর আচরণকে হামলা উল্লেখ করে তাদের ‘ভন্ডামি’ থামাতে বলেন। এর বিরুদ্ধে নিন্দা করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই বিতর্কিত কর্ম করা হচ্ছে অল্প কিছু মানুষের দ্বারা। এসব দেশের মানুষই সবচেয়ে বেশি টিকিট কিনেছেন। যে ১০টি দেশ কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে টিকিট কিনেছে তার মধ্যে ইউরোপের ফ্রান্সও একটি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল থানি।

এর আগে অবশ্য ফরাসি সাময়িকী ‘শার্লি হেবদো’তে প্রকাশিত ব্যঙ্গচিত্র নিয়েও বেশ সমালোচনা হয় বিশ্বজুড়ে। ওই কার্টুনে একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হয়। এতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটাক্ষ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সাম্প্রতিক ঘটনার পর ওই প্রসঙ্গও সামনে আনছেন অনেকে।

কাতারের বিরুদ্ধে পরিবেশ বিপর্যয় ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ফ্রান্সের অনেক শহর এরই মধ্যে বড় পর্দায় এবারের বিশ্বকাপ না দেখানোর কথা জানিয়েছে।

অবশ্য এসব বিতর্ক এক পাশে রেখে ২০ নভেম্বর হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপে নিরাপত্তাকর্মী পাঠাতে কাতারের সঙ্গে চুক্তি করেছে ফ্রান্স। এ নিয়ে দেশীয় গণমাধ্যমের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে।

আরও পড়ুন:
৬ হাজার আর্জেন্টাইন সমর্থক নিষিদ্ধ
বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত মেসি
মাঠে করোনা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা তুলে নিল কাতার

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
How Indian Sage really is

ঋষি আসলে কতটা ভারতীয়  

ঋষি আসলে কতটা ভারতীয়   ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ছবি: সংগৃহীত
জিও নিউজ বলছে, ৪২ বছর বয়সী ঋষি ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে একটি হিন্দু-পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার দাদা-দাদি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই বেড়ে উঠেছেন।

প্রথম হিন্দু ও কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হিসেবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

জিও নিউজ বলছে, ৪২ বছর বয়সী ঋষি ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে একটি হিন্দু-পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার দাদা-দাদি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই বেড়ে উঠেছেন।

তবে অদ্ভূত উপায়ে ঐতিহ্যগতভাবে ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশেরই ঋষি। তিনি একজন হিন্দু অনুশীলনকারী; গীতার ওপর হাত রেখে কমন্সে শপথ নিয়েছেন।

ঋষির দাদা রামদাস সুনাক চাকরিসূত্রে গুজরানওয়ালা ছেড়ে ১৯৩৫ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে চলে যান। এর পর রামদাসের স্ত্রী সুহাগ রানী সুনাক তার শাশুড়ির সঙ্গে গুজরানওয়ালা থেকে দিল্লিতে চলে যান। দুই বছর দিল্লিতে কাটানোর পর ১৯৩৭ সালে স্বামীর কাছে কেনিয়ায় ফেরেন তিনি।

রামদাস ও সুহাগ দম্পতির ৬ সন্তান; ৩ ছেলে, ৩ মেয়ে। ঋষির বাবা যশবীর সুনাক ১৯৪৯ সালে নাইরোবিতে জন্মগ্রহণ করেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে লেখাপড়ার জন্য ১৯৬৬ সালে তিনি লিভারপুলে চলে আসেন। ভর্তি হন ইউনিভার্সিটি অফ লিভারপুলে। লিসেস্টারে ১৯৭৭ সালে উষাকে বিয়ে করেন যশবীর।

তিন বছর পর ১৯৮০ সালে সাউদাম্পটনে ঋষি জন্মগ্রহণ করেন। অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত তার বাবা-মা সফলভাবে ফার্মেসি ব্যবসা চালিয়ে গেছেন।

এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘গুজরানওয়ালার একটি পাঞ্জাবি খত্রী পরিবার থেকে সুনাকরা এসেছে। ঋষির দাদা রামদাস সুনাক ১৯৩৫ সালে নাইরোবিতে কেরানি পদে কাজ করার জন্য গুজরানওয়ালা ছেড়ে চলে যান।’

ঋষি যে পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা স্পষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টুইটারে পাকিস্তানি নেটিজেনরা ঋষিকে নিজেদের দাবি করে আসছে।

টুইটে একজন লিখেছেন, ‘আমি মনে করি পাকিস্তানেরও ঋষি সুনাকের ওপর দাবি করা উচিত। কারণ তার দাদা গুজরানওয়ালার বাসিন্দা। তারা সেখান থেকে কেনিয়া এবং তারপর ব্রিটেনে চলে যান।’

অন্য একজন লেখেন, ‘বাহ! কী অসাধারণ অর্জন। একজন পাকিস্তানি এখন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ পদে আরোহণ করেছেন। আত্মবিশ্বাস থাকলে সবই সম্ভব।’

অনেকেই আবার লিখেছেন, ঋষির এই অর্জন ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের জন্যই আনন্দের ঘটনা।

একজন লেখেন, ‘গুজরানওয়ালার এক পাঞ্জাবি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এই আশা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঘুমাতে যাচ্ছি! এই মুহূর্তে পাকিস্তান ও ভারত দুই দেশেরই যৌথভাবে গর্ব করা উচিত!’

অন্য একজন লেখেন, ‘যেহেতু গুজরানওয়ালা পাকিস্তানের অংশে পড়েছে, তাই ১০০ বছর আগেও যিনি বা যারা এই শহরের বাসিন্দা ছিলেন, তারা আজও পাকিস্তানি।’

লোভনীয় খাবার ও কুস্তির সংস্কৃতির জন্য গুজরানওয়ালা পরিচিত। সড়ক পথে লাহোর থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা গাড়ি চালালে এই শহরে পৌঁছানো যায়।

জিও নিউজ বলছে, দেশভাগের আগে যখন ঋষির দাদা-দাদিরা গুজরানওয়ালায় থাকতেন, তখন শহরটি অন্তত সাতটি গেট দ্বারা বেষ্টিত ছিল। এগুলো প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

তবে আজকের গুজরানওয়ালা একটি যানজট ও ঘনবসতিপূর্ণ শহর। দেশভাগের আগে এই শহরে সমৃদ্ধশালী একটি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাস ছিল।

ঋষি আসলে কতটা ভারতীয়
গুজরানওয়ালা একটি যানজট ও ঘনবসতিপূর্ণ শহর

যখন ব্রিটিশ ভারতে (আজকের ভারত ও পাকিস্তান) সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়, তখন অনেক হিন্দু, শিখ এবং মুসলমান দেশান্তরিত এবং স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হন। অনেক মুসলিম ও হিন্দু পরিবার আজকের ভারত ও পাকিস্তান ছেড়ে কেনিয়া এবং অন্যান্য দেশে চলে যায়।

ব্রিটেনে এশিয়ান এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো ঋষির উত্থানে ভীষণ আশাবাদী। এ ঘটনাকে তারা নতুন যুগের ভোর উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিংঙ্ক ট্যাঙ্ক ব্রিটিশ ফিউচারের পরিচালক সুন্দর কাটওয়ালা বলেন, ‘ঋষির প্রথম ব্রিটিশ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হওয়া একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এক বা দুই দশক আগেও এটা সম্ভব হতো না। ঋষির প্রধানমন্ত্রী পদে আসা এটাই প্রমাণ করে যে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ পদটি সব ধর্ম ও জাতিগত পটভূমির মানুষের জন্য উন্মুক্ত।’

ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড-সমর্থিত ব্রিটিশ ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দ্য ১৯২৮ ইনস্টিটিউট বলছে, একজন ব্রিটিশ ভারতীয়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখা অবিশ্বাস্য। আমাদের দাদা-দাদিদের অনেকেই ব্রিটিশদের প্রজা ছিলেন। যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ অফিসে ভারতীয় ঐতিহ্যের কাউকে দেখা সত্যিই দারুন।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ঋষি সুনাক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে যারা    
কে হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী
৪৫ দিনেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
১৩ বছরেই ফিলিপের প্রেমে ভেসে যান এলিজাবেথ

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Many girls face huge challenges today Guterres

অনেক মেয়েই আজ ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে: গুতেরেস

অনেক মেয়েই আজ ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে: গুতেরেস জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের দশম বার্ষিকীতে আমরা বিশ্বজুড়ে সব কন্যার জীবন ও অর্জনকে উদযাপন করছি। মেয়েরা যখন মানবাধিকার অনুধাবন করতে সহায়তা পায়, তখন তারা নিজেদের সম্ভাবনাগুলোতে পৌঁছাতে পারে এবং ব্যক্তিগত, নিজ সম্প্রদায় ও সমাজের জন্য অপেক্ষাকৃত উত্তম বিশ্ব গড়তে পারে।’

বিশ্বের অনেক মেয়েই আজ ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের দশম বার্ষিকীতে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গুতেরেস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের দশম বার্ষিকীতে আমরা বিশ্বজুড়ে সব কন্যার জীবন ও অর্জনকে উদযাপন করছি। মেয়েরা যখন মানবাধিকার অনুধাবন করতে সহায়তা পায়, তখন তারা নিজেদের সম্ভাবনাগুলোতে পৌঁছাতে পারে এবং ব্যক্তিগত, নিজ সম্প্রদায় ও সমাজের জন্য অপেক্ষাকৃত উত্তম বিশ্ব গড়তে পারে।

‘মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ পেলে স্বাস্থ্যকর, উৎপাদনশীল ও পরিপূর্ণ জীবনযাপনে তাদের সুযোগ আরও বেড়ে যায়। সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পেলে তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অধিকার সচেতন হয়ে বেড়ে ওঠে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘অনেক মেয়েই আজ ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে হয়তো তাদের পড়ালেখার ইতি ঘটেছে। সংঘাতের কারণে হয়তো তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তারা হয়তো তাদের শারীরবৃত্তীয় ও প্রজনন অধিকার ভোগের সুযোগ পাচ্ছে না।’

গুতেরেস বলেন, ‘আফগানিস্তানে অব্যাহতভাবে মেয়েদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া নিয়ে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এটা মেয়েদের যেমন ক্ষতি করছে, একইভাবে একটি দেশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আবারও মেয়েদের পড়ার সুযোগ দিতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

‘যেকোনো সময়ের তুলনায় আমাদের একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতিকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে, যাতে মেয়েরা নিজেদের অধিকার অনুশীলন ও ভোগ করতে পারে। একইসঙ্গে নিজ সম্প্রদায় ও সমাজে সমানভাবে ও নিজের জায়গা থেকে শতভাগ ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘মেয়েদের জন্য বিনিয়োগ মানে আমাদের সবার ভবিষ্যতের পেছনে বিনিয়োগ। মেয়েরা যেন সব জায়গায় স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারে, পড়ালেখার সুযোগ পায় ও নিরাপদ থাকে তা নিশ্চিত করতে আসুন আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ জোরদার করি।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Uttal Iran killed 5 for womens freedom of dress

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল ইরান, নিহত ৫

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল ইরান, নিহত ৫ ‘সঠিক নিয়মে’ হিজাব না পরায় গ্রেপ্তারের পর মারা যাওয়া মাহসা আমিনিকে (ডানে) কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে ইরানে। ছবি: এএফপি
কুর্দি নারী মাহসা আমিনিকে ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানের নৈতিকতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সঠিকভাবে হিজাব করেননি। পুলিশ হেফাজতে মাহসার হার্ট অ্যাটাক হয়, পরে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান।

‘সঠিক নিয়মে’ হিজাব না পরার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর ২২ বছরের মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান। তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েক দিনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।

মাহসার মৃত্যুর পর চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ জন

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে এই বিক্ষোভে নারীদের পাশাপাশি ইরানি পুরুষও যোগ দিয়েছেন। রাস্তায় প্রতিবাদের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক নারী নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরার ঘোষণা দিয়ে ভিডিও পোস্ট করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ-বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। রাজধানী তেহরানে আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয় ও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাহসার মৃত্যুর প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন।

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল ইরান, নিহত ৫
নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল ইরান

কুর্দি নারী মাহসা আমিনিকে ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানের নৈতিকতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ইরানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তেহরানে ঘুরতে আসা মাহসাকে একটি মেট্রো স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সঠিকভাবে হিজাব করেননি।

পুলিশ হেফাজতে থাকার সময়েই মাহসার হার্ট অ্যাটাক হয়, এরপর তিনি কোমায় চলে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। পুলিশ মাহসাকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরিবারের অভিযোগ গ্রেপ্তারের পর তাকে পেটানো হয়।

মাহসার মৃত্যুর প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তাল ইরান। ফেসবুক ও টুইটারে #mahsaamini এবং #Mahsa_Amini হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে চলছে প্রতিবাদ। ইরানের বিভিন্ন জায়গায় নারীর পোশাকের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষও চলছে।

ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের কুর্দিস্তান প্রদেশের দিভান্দারেহতে সোমবারও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত হয়

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী বাহিনীর (আইআরজিসি) আধাসামরিক বাহিনী বাসিজের বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল ইরান, নিহত ৫
মাহসা আমিনিকে নিয়ে প্রতিবেদন গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম

কিছু ফুটেজে দেখা যায়, ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী সানন্দাজ শহরে বিক্ষোভে ইরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইনের প্রতিবাদে অনেক নারী তাদের মাথার স্কার্ফ খুলে ফেলেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ‘খামিনির মৃত্যু’ বলে স্লোগান দিতে শোনা গেছে।

আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনি হলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা।

প্রাগভিত্তিক রেডিও ফারদা জানিয়েছে, কুর্দি অধ্যুষিত দিভান্দারেহেতে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুড়লে আহত হন ৮ জন।

মাহসাকে দাফনের সময়ও বিক্ষোভকারী গভর্নর ভবনের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল ইরান, নিহত ৫
নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে ইরানে চলছে টানা বিক্ষোভ

এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তেহরানের পুলিশ কমান্ডার হোসেন রাহিমি বলেন, আমিনিকে নৈতিকতা পুলিশ বাধা দিয়েছে, কারণ তার হিজাব অনুপযুক্ত ছিল। সংবাদ সম্মেলনে আমিনিকে পুলিশের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন হোসেন রাহিমি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মাহসা আমিনির মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া দেশটির নৈতিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্নেল আহমেদ মিরজাইকে বরখাস্ত করা হয়েছে

ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পরই নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। ইরানের ধর্মীয় শাসকদের কাছে নারীদের জন্য এটি ‘অতিক্রম-অযোগ্য সীমারেখা’। বাধ্যতামূলক এই পোশাকবিধি মুসলিম নারীসহ ইরানের সব জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের নারীদের জন্য প্রযোজ্য।

এই পোশাকবিধি অনুযায়ী নারীদের জনসমক্ষে চুল সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখতে হবে এবং লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে।

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল ইরান, নিহত ৫
তেহরানের রাস্তায় চলছে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ

ইরানি এক সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট মাসিহ আলিনেজাদ তার অফিশিয়াল টুইটারে প্রতিবাদী নারীদের ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘হিজাব পুলিশের হাতে মাহসা আমিনি হত্যার প্রতিবাদে ইরানের নারীরা তাদের চুল কেটে ও হিজাব পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। নিজেদের চুল ঢেকে রাখলে আমরা (নারী) স্কুলে যেতে পারব না, চাকরি করতে পারব না। আমরা এই লিঙ্গ বৈষম্যভিত্তিক শাসনে অতিষ্ঠ।’

তিনি আরেক টুইটে বলেন, ‘৭ বছর বয়স থেকে আমরা আমাদের চুল ঢেকে রাখতে বাধ্য। তা না হলে আমরা স্কুলে যেতে পারব না, চাকরি পাব না। আমরা এই লিঙ্গ-বৈষম্যভিত্তিক শাসনের অবসান চাই।’

আরও পড়ুন:
ইরানে নারীর পোশাকের স্বাধীনতার আন্দোলন কি নতুন কিছু
ইরানে বোনের পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে প্রাণ দিচ্ছেন ভাই
ইরানজুড়ে নারীর পোশাকের স্বাধীনতা দাবি, বিক্ষোভে নিহত ৭
হিজাব ছাড়া ভিডিও দেয়ায় ইরানি তরুণীর পৌনে ৪ বছরের জেল
ইরানের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা

মন্তব্য

p
উপরে