× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রেস-জেন্ডার
The female staff of the movie coffeeshop will get leave during the period
google_news print-icon

চালচিত্র কফিশপের নারী কর্মী পাবেন পিরিয়ডের সময় ছুটি

পিরিয়ড
চালচিত্র নামের এই কফিশপে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে নারীদের জন্য পিরিয়ডের সময় ছুটির কথা জানানো হয়েছে। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
চালচিত্র নামের এই কফিশপটি রাজধানীর লালবাগ কেল্লার পাশে চালু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১ জুন। ছোটখাটো উদ্যোগ, তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন আমেজের এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিস্তর পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই উদ্যোক্তার।  

পিরিয়ড বা মাসিকের সময় প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যান নারীরা। নানান শারীরিক জটিলতার মাঝেও অনেকে মুখ বুজে সামলান কর্মস্থলের দায়িত্ব।

বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পিরিয়ডের সময় তীব্র ব্যথায় ভোগা নারীদের সর্বোচ্চ তিন দিন কাজ থেকে ছুটি দেয়ার প্রস্তাব মঙ্গলবার অনুমোদন পেয়েছে স্পেনে। এ ছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো এশিয়ার কয়েকটি দেশ ও জাম্বিয়ায় নারীর ঋতুস্রাবকালীন ছুটির অনুমোদন আছে।

তবে বাংলাদেশে নারীর ঋতুস্রাব এখনও নানান গোপনীয়তার বেড়াজালে বাঁধা। মাসিকের কারণে নারীর বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টিও ব্যাপকভাবে উপেক্ষিত।

এমন প্রেক্ষাপটে ব্যতিক্রমী ঘোষণা এসেছে চালু হতে যাওয়া একটি কফিশপের উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপনে তারা বলছেন, নারী কর্মীদের পিরিয়ডের সময় থাকবে সবেতন ছুটি।

চালচিত্র নামের এই কফিশপটি রাজধানীর লালবাগ কেল্লার পাশে চালু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১ জুন। ছোটখাটো উদ্যোগ, তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন আমেজের এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিস্তর পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই উদ্যোক্তার।

চালচিত্র কফিশপে পার্টটাইম ওয়েটার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে ফেসবুকে। তাতে বলা হয়েছে, নারী ওয়েটার হলে তাকে মাসে দুই দিন বৈতনিক মেনস্ট্রুয়াল লিভ দেয়া হবে।

চালচিত্রের অন্যতম স্বত্বাধিকারী নোশিন আঞ্জুমের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। নোশিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের ছাত্র রিয়াদ হোসেনের সঙ্গে মিলে তিনি চালু করতে যাচ্ছেন কফিশপটি।

চালচিত্র কফিশপের নারী কর্মী পাবেন পিরিয়ডের সময় ছুটি
চালচিত্র কফিশপের উদ্যোক্তা নোশিন আঞ্জুম (বাঁয়ে) ও রিয়াদ হোসেন

নোশিন নিউজবাংলাকে জানান, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীদের জন্য এই সুবিধা চালু করতে চান। এতে তার পুরুষ ব্যবসায়িক পার্টনারও সায় দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বিজনেসের প্ল্যান করছিলাম, তখন থেকেই বিষয়টা (নারী কর্মীদের পিরিয়ডের সময় ছুটি) ইন্ট্রোডিউস করার ইচ্ছা ছিল। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং আমার ফ্রেন্ড বা রিলেটিভদের মধ্যে যারা জব করছেন তাদের সমস্যা দেখেই বিষয়টি মাথায় এসেছে।

‘পিরিয়ডের সময় মানুষ অনেক স্ট্রেসড থাকে। হরমোনাল অনেক ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যায়। এ সময় যেখানে তার একটু এক্সট্রা কেয়ার দরকার, সেখানে তাকে অন্য দিনের মতোই কাজে যেতে হয়, কাজ করতে হয়। প্রথমত ইমোশনের জায়গা থেকে, দ্বিতীয়ত আমরা আমাদের ওয়ার্কপ্লেস এমন করতে চেয়েছি যেখানে একজন নারীকে এ রকম ফিজিক্যাল স্ট্রেস নিয়ে কাজ করতে হবে না।’

স্প্যানিশ গাইনোকোলজি অ্যান্ড অবস্টেট্রিক্স সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, পিরিয়ডের সময় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী গুরুতর ব্যথায় ভোগেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ডিসমেনোরিয়া। পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে থেকেই ব্যথায় ভোগা নারীদের বিবেচনায় নিলে সংখ্যা আরও অনেক বেশি। ডিসমেনোরিয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে তীব্র পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া ও জ্বর।

নোশিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যদি একজন পিরিয়ডের সময় সুস্থ ফিল না করেন তাহলে আমি যে আউটপুটটা চাই, দিন শেষে সেটা পাব না। আর একজন ওয়েটারকে সরাসরি কাস্টমারদের সঙ্গে ডিল করতে হয়। তিনি যদি ফিজিক্যালি-মেন্টালি ভালো ফিল না করেন তাহলে নরম্যালি বিহেভ করতে পারবে না। তাহলে আমি যে আউটকাম চাই তা নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার চান্স আছে।

‘এর চেয়ে আমি তাকে একটা লিভ দিলাম। তিনি সুস্থ হয়ে পরদিন এলেন। এতে দুজনেরই সুবিধা হবে। এটা কিন্তু অন্য যে সিক লিভ আছে তার মধ্যে পড়বে না।’

এই ছুটির কারণে উদ্যোক্তা হিসেবে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন না নোশিন। বরং তিনি মনে করছেন, এই ছুটির বিনিময়ে যা তারা পাবেন তার অর্থমূল্য নির্ধারণ করা যায় না।

তিনি বলেন, ‘যখন কোনো পার্টটাইম ওয়েটার পিরিয়ডের কারণে ছুটিতে থাকবেন, তখন তাকে তার কাজ নিয়ে ভাবতে হবে না। সে সময় অন্য কোনো ওয়েটার ওভারটাইম করতে পারবেন বা কাউকে পাওয়া না গেলে আমি বা আমার পার্টনার রিয়াদ কাজগুলো করব।’

নোশিন জানান, নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আপাতত তারা অন্য পদের কর্মীদের জন্যও এই ছুটি চালু করতে পারছেন না। তবে ভবিষ্যতে সার্বক্ষণিক নারী কর্মীদের জন্যও এই ছুটি চালুর ইচ্ছা আছে।

নোশিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যত সিভি এসেছে তাতে নারী-পুরুষের রেশিও ৪০-৬০। তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর আগে আমরা যখন বারিস্তা বা ফুলটাইম ওয়েটারের জন্য সিভি চেয়েছি, তখন একজন নারীরও সিভি আসেনি।

‘আমার কাছে মনে হয় এবার অনেক মেয়ে এই পিরিয়ডের সময় ছুটির কারণেই অ্যাপ্লাই করেছেন। হয়তো পেমেন্ট কম, কিন্তু মাসের একটা নির্দিষ্ট সময় পেইড লিভ পাওয়া যাবে। এটা ভেবেই তারা সিভি পাঠিয়েছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এই দুই শিক্ষার্থীই চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী। তাই তারা কফিশপটি সাজাচ্ছেন সিনেমাটিক থিমে। শপ চালুর কিছুদিনের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকবে সেখানে।

নোশিন বলেন, ‘যেসব উদীয়মান নির্মাতা আর্থিক সমস্যার কারণে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জায়গা পান না, তাদের আমরা একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিন উদীয়মান নির্মাতাদের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। এর জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে সামান্য কিছু ফি নেয়া হতে পারে, যার পুরোটাই দেয়া হবে ওই নির্মাতাকে।’

আরও পড়ুন:
ভারতে তিন নারীর একজন সহিংসতার শিকার
নারী আইপিএলে যাচ্ছেন সালমা
মাদকে ঝোঁক বাড়ছে নারীর, বেশি ঝুঁকি সচ্ছল পরিবারে
নারী ডেটে ডাকলে যৌনতার সম্ভাবনা বেশি
ময়মনসিংহ থেকে রোনালডোর দেশে যাচ্ছেন তিন নারী ফুটবলার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রেস-জেন্ডার
Kamal loadshedding in Barrister Sumans attempt
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধবপুর

ব্যারিস্টার সুমনের চেষ্টায় কমল লোডশেডিং

ব্যারিস্টার সুমনের চেষ্টায় কমল লোডশেডিং
এমপি সুমন বলেন, ‘গ্যাস সংযোগ না থাকায় নসরতপুর ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এতোদিন বন্ধ ছিল। গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে কেন্দ্রটি চালু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আর আগের মতো অতটা লোডশেডিং হবে না।’

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপির প্রচেষ্টায় বিদ্যুতের লোডশেডিং থেকে অনেকটাই রক্ষা পেয়েছে চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার প্রায় ৮ লাখ মানুষ। চালু হয়েছে বন্ধ থাকা ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বিষয়টি এক ভিডিও বার্তায় নিশ্চিত করেছেন তিনি।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ নসরতপুরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সম্প্রতি চালু হয়েছে। এতে করে ব্যারিস্টার সুমন এমপির সংসদীয় এলাকায় আগের তুলনায় লোডশেডিং কমেছে। আগে এখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫-১৬ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকতো না। বর্তমানে দিন-রাত মিলে ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। প্রচণ্ড গরমের এই সময়ে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং কমে আসায় জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি।

পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতীষ্ঠ হয়ে এমপি সুমনের কাছে এর সমাধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হন চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসী। তিনি নিজ সংসদীয় এলাকার জনগণের বিদ্যুৎ-ভোগান্তির খবর শুনে ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় লোডশেডিং কমানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সমাধান না হলে তিনি মহাসমাবেশের ডাক দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

পরবর্তীতে ব্যারিস্টার সুমনের ঐকান্তিক চেষ্টায় ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে আসে।

ভিডিও বার্তায় এই খবর দিতে গিয়ে এমপি সুমন বলেন, ‘গ্যাস সংযোগ না থাকায় নসরতপুর ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এতোদিন বন্ধ ছিল। গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে কেন্দ্রটি চালু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আর আগের মতো অতটা লোডশেডিং হবে না।

‘যদি আবারও অসহনীয় লোডশেডিং হয়, তবে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে জনগণের কাছে।’

পরিশেষে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ
লোডশেডিংয়ে বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় শেরপুরের কৃষকরা
এক হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, গ্রামাঞ্চল বিদ্যুৎবঞ্চিত
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে লোডশেডিং বাড়ার শঙ্কা
তীব্র লোডশেডিং, পানির সংকটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Cultivation of Philippine foreign variety MD 2 pineapple started in Comilla

ফিলিপাইনের আনারস চাষ কুমিল্লায়

ফিলিপাইনের আনারস চাষ কুমিল্লায় কুমিল্লায় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ফিলিপাইনের আনারসের জাত এমডি-২ চাষ শুরু হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের উপপরিচালক আইয়ুব মাহমুদ বলেন, ‘এমডি-২ জাতের আনারসের আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক সুনাম আছে। বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকায় বেশ জনপ্রিয়। এ জাতের আনারস দেশীয় আনারসের তুলনায় অনেক বেশি মিষ্টি।’

কুমিল্লা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে জেলায় শুরু হয়েছে আনারসের ফিলিপাইনের একটি জাত।

এ উদ্যোগে ‍যুক্ত একজন কৃষি কর্মকর্তা জাতটির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, এ বছর আনারস চাষ সফল হলে আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এ জাতের চাষ করা হবে।

রোপণ করা চারা থেকে আগামী মাস ছয়েকের মধ্যে ফলন পাওয়া যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভাষ্য, বিদেশি আনারসের এ জাতটির নাম এমডি-২। এটির আদি নিবাস ফিলিপাইন। এর আগে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় এ জাতের আনারস চাষ হয়েছে। এ আনারসের চামড়া পাতলা ও প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

অধিদপ্তরের কুমিল্লা কার্যালয়ের উপপরিচালক আইয়ুব মাহমুদ বলেন, ‘এমডি-২ জাতের আনারসের আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক সুনাম আছে। বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকায় বেশ জনপ্রিয়। এ জাতের আনারস দেশীয় আনারসের তুলনায় অনেক বেশি মিষ্টি।

‘এ আনারস দ্রুত পচে না। প্রথমবারের মতো এ বছর আমরা পুরো কুমিল্লা জেলায় দেড় হাজার চারা বিতরণ করেছি। জেলায় আদর্শ সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, সদর দক্ষিণ ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বেশ কিছু টিলা ও পাহাড় রয়েছে। ছাড়াও লালমাই পাহাড়কে টার্গেট করে আমরা চারা বিতরণ করেছি। আশা করছি কুমিল্লার মাটি ও আবহাওয়া এমডি ২ জাতের আনারস চাষে বেশ উপযোগী হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফলন ভালো পাওয়া যাবে। এ বছর আমরা সফল হলে আমাদের আগামী বছরে আরও ব্যাপকভাবে এমডি-২ জাতের আনারস চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Crowds to watch the Eid festival of farmers and farmers in Kurigram

কুড়িগ্রামে কিষাণ-কিষাণীর ঈদ উৎসব, দেখতে ভিড়

কুড়িগ্রামে কিষাণ-কিষাণীর ঈদ উৎসব, দেখতে ভিড় কোলাজ: নিউজবাংলা
কৃষকদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করে  ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামে একটি সামাজিক সংগঠন। মূলত কৃষকদের ঈদকে প্রাণবন্ত করতে এ উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলায় ঈদ উৎসবে কিষান-কিষানিদের নিয়ে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। সেসব খেলা দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজারো দর্শনার্থী এস ভিড় জমায়।

কৃষকদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করে ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামে একটি সামাজিক সংগঠন। মূলত কৃষকদের ঈদকে প্রাণবন্ত করতে এ উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি। খেলা শেষে ৩৫ জন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

শুক্রবার দিনব্যাপী ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর বড়ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসব খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

কুড়িগ্রামে কিষাণ-কিষাণীর ঈদ উৎসব, দেখতে ভিড়

দিনব্যাপী চলা অনুষ্ঠানে প্রায় ২২ ধরনের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল হাঁড়ি ভাঙা, বালিশ খেলা, সুঁইসুতা, সাঁতার, তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে চড়া, স্লো সাইকেল রেস, বেলুন ফাটানো এবং কিষানিদের বল ফেলা, বালিশ খেলা এবং যেমন খুশি তেমন সাঁজোসহ আরও অন্যান্য খেলা। এসব খেলায় অংশ নেন বিভিন্ন বয়সের শতাধিক কিষান-কিষানি।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আইনুল ইসলাম, সাংবাদিক শফি খান, রংপুর বিভাগীয় হিসাবরক্ষক সাইদুল হক, ফুল-এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদের প্রমুখ।

খেলা দেখতে আসা ময়নাল হক বলেন, ‘গ্রামে এসব খেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ১০-১৫ বছর পর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী খেলা দেখে খুবই আনন্দ পেলাম। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কৃষকদের হাঁড়ি ভাঙা, সাইকেল খেলা দেখে। এছাড়া কিষানিদের সুঁইসুতা খেলা ও বালিশ খেলা ছিল বেশ আনন্দের।’

কুড়িগ্রামে কিষাণ-কিষাণীর ঈদ উৎসব, দেখতে ভিড়

কৃষক নুর ইসলাম বলেন, ‘কৃষকদের নিয়ে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন সত্যি ভালো লেগেছে। আমরা এখানে শতাধিক কিষান-কিষানি আজকের খেলায় অংশ নিয়েছি। খু্ব ভালো লেগেছে।’

ফুল-এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, ‘কৃষক হাসলে বাংলাদেশ হাসে- এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে দিনব্যাপী শতাধিক কিষান-কিষানিকে নিয়ে প্রায় ২২টি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

‘এ খেলার মাধ্যমে সমাজে বাল্যবিয়ে বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করেছি। এছাড়া গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতেও এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Eid card making competition

ঈদ কার্ড তৈরি প্রতিযোগিতা

ঈদ কার্ড তৈরি প্রতিযোগিতা শনিবার মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতিযোগিতায় মাগুরা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষও অংশগ্রহণ করেন। শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

‘ঈদ কার্ড বানিয়ে খোলা উদ্যানে, শৈশবে ফিরে যাই নব উদ্যমে’ স্লোগান নিয়ে মাগুরায় ঈদ কার্ড তৈরি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টায় মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘পরিবর্তে আমরাই’ নামক একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মাগুরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ও মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার মজুমদার।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক, চিত্রশিল্পী আবুল আজাদ ও মনিরুল ইসলাম। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এ প্রতিযোগিতায় শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষও অংশগ্রহণ করেন।

‘পরিবর্তে আমরাই’ সংগঠনের পরিচালক নাহিদুল রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের সপ্তম বার্ষিকীতে এ আয়োজন। মাগুরাতে এ সংগঠন বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করে থাকে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ নানা উৎসবে আমরা সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি। মাগুরাতে আমরাই বির্তকের নানা কলাকৌশল শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে থাকি। আগামী দিনে মাগুরায় আরও ভালো কিছু সৃজনশীন কাজ আমরা করতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:
শুনানিতে কমিশনের প্রশ্ন- কোন ধানে কোন চাল
চালের ব্যবসা না থাকার দাবি বসুন্ধরার
বাজার কারসাজি: শীর্ষ আরও ৩৬ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
র‍্যাম্পে হাঁটায় বদলি ৫ পুলিশ সদস্য
বর্ষা নিয়ে ফাউন্টেন পেন কালচারের প্রতিযোগিতা

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Eid gift to students with tiffin money

দুই জেলায় টিফিনের টাকায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার

দুই জেলায় টিফিনের টাকায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন বৃহস্পতিবার ঈদ উপহার বিতরণ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
শিশুদের টিফিনের টাকায় ছয় বছর ধরে ঈদ উপহার বিতরণ করছে ‘ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন’ নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ’-এর আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক উপহার দেয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের শিশুকাল থেকে মানবতার শিক্ষা দিতে তাদের টিফিনের টাকায় ছয় বছর ধরে ঈদ উপহার বিতরণ করছে ‘ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন’ নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, কুমিল্লা রেল স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ’-এর আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক উপহার দেয়া হয়েছে।

ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন প্রাঙ্গণে পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাছেদ মিয়ার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈদ উপহার বিতরণে প্রধান অতিথি ছিলেন অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ছয় বছর ধরে পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নে ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের একদিনের টিফিনের টাকার সঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা মিলিয়ে প্রতি বছর নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করা হয়।

এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শতাধিক স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে দুধ, চিনি, সেমাই, নুডুলস, সাবানসহ ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এ ঈদ উপহার বিতরণের মাধ্যমে শিশুদের মানবিক ও পরোপকারী করে গড়ে তোলার জন্য এ আয়োজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপস্থিত এক বক্তা বলেন, ‘আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এ আয়োজন করতে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।’

দুই জেলায় টিফিনের টাকায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার
কুমিল্লা রেল স্টেশন এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ। ছবি: নিউজবাংলা

অন্যদিকে, কুমিল্লা রেল স্টেশনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বৃহস্পতিবার সকালে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণের মাধ্যমে সারা দেশে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ৭০টি শিশুকে ঈদের নতুন পোশাক দেয়া হয়।

সংগঠনটির সদস্যরা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী। তারা নিজেদের একদিনের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে শিশুদের মুখে হাঁসি ফুটাতে ঈদের নতুন জামা উপহার দিচ্ছেন।

আগামী পাঁচ দিন ধারাবাহিক এ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে ঈদের নতুন জামা উপহার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

এ বিষয়ে লাল-সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল বলেন, ‘১৩ বছর ধরে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠদান, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ ছাড়াও মাদক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
9 food items in five taka market

পাঁচ টাকার বাজারে ৯ খাদ্য উপকরণ

পাঁচ টাকার বাজারে ৯ খাদ্য উপকরণ শনিবার খুলনা মহানগরীতে দুস্থদের মাঝে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়াব-এর উদ্যোগে শনিবার খুলনা নগরীতে পাঁচ টাকার বিনিময়ে ৩ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি করে চিড়া, ছোলা, চিনি, মুড়ি, পেঁয়াজ এবং আধ কেজি করে খেজুর ও তেল কিনতে পেরেছেন দুস্থ-হতদরিদ্ররা।

বাজার খরচ পাঁচ টাকা। আর ওই সামান্য টাকায় মিলেছে ৯ ধরনের খাদ্য উপকরণ। আর এই বাজারের ক্রেতারা সবাই সমাজের পিছিয়ে পড়া দুস্থ, অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষ।

শনিবার দুপুরে খুলনা মহানগরীর আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন পাকা রাস্তায় বসেছিল এই বাজার। ‘উই আর বাংলাদেশ’ (ওয়াব) নামের একটি সংগঠন পবিত্র রমজানের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন করেছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পুলিশের কনস্টেবল এস এম আকবর। সংগঠনটি পরিচালনাকারী অন্যরাও পুলিশের সদস্য। চাকরির পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে তারা মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের সঙ্গে সমাজের অন্যান্য শ্রেণী-পেশার মানুষও যুক্ত হয়ে হতদরিদ্রদের সহায়তায় হাত বাড়ান। এরই ধারাবাহিকতায় রমজানে হাজারও পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে তারা উদ্যোগ নিয়েছেন।

মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ক্রেতারা পেয়েছেন ৩ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি করে চিড়া, ছোলা, চিনি, মুড়ি, পেঁয়াজ এবং আধ কেজি করে খেজুর ও তেল। কার্যক্রম শুরুর দিনে প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে এসব উপকরণ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

কেএমপি কমিশনার এ সময়ে বলেন, ‘ওয়াব নামের সংগঠনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা পুলিশের চাকরি করার পাশাপাশি মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। এটা মানবিক পুলিশিং কর্মকাণ্ডের একটি অংশ। এই সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি ইতোপূর্বেও বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

‘সংকটাপন্ন রোগীকে বিনামূল্যে রক্তদান, গৃহহীনদের গৃহনির্মাণ, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষা উপকরণ কিনে দেয়াসহ শিক্ষার খরচ বহন, দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে ‌ওষুধ প্রদান, হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সেলাই মেশিন প্রদান এবং প্রাকৃতিক প্রতিটি দুর্যোগে তারা মানুষের পাশে থাকেন।’

ওয়াব-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের সেবামূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘একটি মানুষ তার কর্ম দিয়েই কিন্তু প্রমাণিত হয়; সে কী চাকরি করে তা দিয়ে প্রমাণিত হয় না। মানুষকে ভালোবাসার মাধ্যমেই পরমাত্মা তথা স্রষ্টাকে পাওয়া যায়। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোও একটি ইবাদত।’

সামাজিক সংগঠন ওয়াবের অ্যাডমিন সরদার মসনুর আলী বলেন, ‘রমজানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হবে। খুলনা থেকে এর উদ্বোধন হলো। ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে যারা ঠিকমতো বাজার করতে পারছেন না তারা পাঁচ টাকার বিনিময়ে এসব উপকরণ পাবেন। এছাড়া যাদের পণ্য কেনার সামর্থ্য নেই তাদেরকে সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য আমাদের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল রয়েছে। রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা পণ্য পৌঁছে দিয়ে আসেন, যাতে গ্রঈতা সামাজিকভাবে নিজেকে হেয় মনে না করেন।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
The embankment was built on the banks by the volunteers of the locals

স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে গড়াই তীরে হলো বেড়িবাঁধ

স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে গড়াই তীরে হলো বেড়িবাঁধ নদীভাঙন রোধে শুক্রবার প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছেন দোরাননগর গ্রামের শতাধিক গ্রামবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
এলাকাবসী জানান, গত বর্ষা মৌসুমে তিন কিলোমিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত পাঁচ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অনেকবার এ বিষয়ে আবেদন করেও কোনো ফল পাননি তারা। যে কারণে উপায়ান্তর না পেয়ে নিজেরাই এ উদ্যোগ নিয়েছেন।

গড়াই নদীর ভাঙন থেকে নিজেদের ঘরবাড়ি, ফসলি খেতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রক্ষায় নিজ উদ্যোগে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছেন মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার দোরাননগর গ্রামের বাসিন্দারা।

নদীভাঙনের আশঙ্কা মাথা নিয়ে প্রতিরাতে ঘুমাতে যেতে হয় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের। গত কয়েক বছরে ভাঙনে এ গ্রামের গড়াই তীরবর্তী বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ফসলি খেত বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন রোধে শুক্রবার প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছেন দোরাননগর গ্রামের শতাধিক গ্রামবাসী।

এলাকাবসী জানান, গত বর্ষা মৌসুমে তিন কিলোমিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত পাঁচ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অনেকবার এ বিষয়ে আবেদন করেও কোনো ফল পাননি তারা। যে কারণে উপায়ান্তর না পেয়ে নিজেরাই এ উদ্যোগ নিয়েছেন।

দোরাননগর গ্রামের বাসিন্দা প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘প্রতি বছর গড়াই নদীর ভাঙনে আমাদের দোরাননগর গ্রামের রাস্তা, বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে সমাজের বিত্তবান মানুষের আর্থিক সহায়তায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘গত বছর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশ, কাঠ দিয়ে ৮টি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটির রুপান্তর ঘটিয়ে এবার নতুন করে ইট, বালু, রড দিয়ে তৈরি কংক্রিটের পিলার দিয়ে সেটিকে মজবুত করা হচ্ছে।’

এই বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে গোটা গ্রাম নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে বলে জানান তিনি।

ওই এলাকার বাসিন্দা ডা. পঙ্কজ কান্তি মণ্ডল বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা ভাঙনের মুখে পড়ছি। এতে বাড়িঘর রাস্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যে কারণে এবার ইট বালু, সিমেন্ট, লোহার রড দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নেই এটি করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, ‘আমি বিষয়টি মাত্র জানলাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য

p
উপরে