কোভিড ১৯ মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিল দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ের পর বাংলাদেশে স্কুলে ফেরেনি হাজার হাজার ছেলেশিশু। তাদের বেশির ভাগই শিশুশ্রমে যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছে। আর্থিক অনটনের কারণে অনেক পরিবার তাদের সন্তানকে আর স্কুলমুখী করতে পারেনি। টাইমের প্রতিবেদনটি ভাষান্তর করেছেন সঞ্জয় দে।
রাজধানী ঢাকায় সূর্য তখন অস্তগামী। দুই সন্তানের জননী ৩৪ বছরের রেখা মন অচঞ্চল রাখার লড়াই করছেন। হাতের প্লাস্টিকের চুড়িগুলো মুচড়ে চলছেন রেখা। ১২ বছর বয়সী ছেলে ফোন করেছিল কি না নিশ্চিত হতে বারবার হাতের মোবাইলটি দেখছেন। আরও আধা ঘণ্টা আগেই ছেলের বাসায় ফেরার কথা।
রেখা সামনের দরজা দিয়ে বাইরে নজর বোলান, তার মুখজুড়ে উদ্বেগের ছাপ। ভ্রূ কুঁচকে বলেন, “কাজটি খুবই বিপজ্জনক। প্রতিদিন সকালে ওকে বিদায় জানাই আর প্রার্থনা করি, ‘আল্লাহ রাতে ঠিকঠাক বাসায় ফিরিয়ে এনো।'”
রেখার দুশ্চিন্তায় ভোগার কারণ আছে। তার বড় ছেলে রাফি স্থানীয় কাচের কারখানায় ১৮ মাস হলো কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে একাধিকবার ক্ষতবিক্ষত ও রক্তাক্ত হয়ে বাসায় ফিরেছে সে। একদিন বিকেলে ধারালো ব্লেড দিয়ে জানালার কাচ কাটার সময় ও নিজের হাতের তালুও বাজেভাবে কেটে ফেলে। শিশুটির টি-শার্ট রক্তে ভিজে যাওয়ায় নিয়োগকারীরা জরুরি কক্ষে নিয়ে যান, কিন্তু রেখাকে কেউ খবর দেননি।
অনুতাপ ভরা গলায় রেখা বলেন, ‘আমি নিজের ভেতরে অনেক খারাপ বোধ করি, আমি একজন খারাপ মা। আমি জানি রাফি কাজ করতে চায় না। ও স্কুলে থাকতে চায়।’
২০২০ সালের মার্চে কর্তৃপক্ষ যখন প্রথম বাংলাদেশের স্কুল বন্ধ করে দেয়, তখন কেউ অনুমান করতে পারেনি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তী ১৮ মাস বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধের আওতায় এটি বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধের অন্যতম ঘটনায় পরিণত হবে সেটাও ভাবা যায়নি।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ক্লাসগুলো পর্যায়ক্রমিক খোলা রাখার সূচিতে ফিরলেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে কোভিড সংক্রমণ বাড়ায় জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে চার সপ্তাহের জন্য স্কুল ফের বন্ধ হয়ে যায়। এখন প্রথম লকডাউনের দুই বছর পর শিশু-অধিকার কর্মীরা বলছেন, সারা দেশে হাজারও শিক্ষার্থী আর স্কুলে ফিরে আসেনি। তারা বলছেন, এদের বেশির ভাগই ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী ছেলেশিশু। স্কুল বন্ধের ওই অন্তর্বর্তী সময়কাল তাদের ঠেলে দিয়েছে পূর্ণাঙ্গ শ্রমজীবনে।
২০২০ সালের মার্চে সরকার দেশব্যাপী লকডাউন জারির আগে রাফি ঢাকার শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিল। ওই স্কুলে ৫ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ছিল ১১০০-এর বেশি। ঢাকার ব্যস্ত রাস্তার পাশের স্কুলটির বন্ধ দরজা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আবার খুলে দেয়া হয়। শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন, তবে ক্লাসের ব্ল্যাকবোর্ডগুলোতে এখনও স্যাঁতসেঁতে ভাব।
স্কুল খোলার পর মাত্র ৭০০ শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হয়। পরের মাসগুলোতে এই সংখ্যা আর বাড়েনি। ডিসেম্বরের মধ্যে অনেক কাঠের বেঞ্চ এবং ডেস্ক খাঁখাঁ করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেগুলো ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের দুই-তৃতীয়াংশই ছেলেশিশু। প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ‘তারা এখন নিজেদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।’
মহামারি শুরুর পর থেকে বাংলাদেশে ঠিক কত শিশু শ্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তা জানা অসম্ভব। টাইম ম্যাগাজিন সারা দেশের ২০টি স্কুলের উপস্থিতির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখেছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ড্রপআউট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেশিশুর সংখ্যা অন্তত ৫৯ শতাংশ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের তথ্যও এই পরিসংখ্যানকে সমর্থন করছে।
ক্রমবর্ধমান এই সংকট মার্চে শিশুশ্রমসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘কনভেনশন ১৩৮’ অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে প্ররোচিত করেছিল। তারা ঘোষণা করে, ১৪ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুকে কোনো শিল্পে নিয়োগ করা উচিত নয়। আগামী তিন বছরের মধ্যে শিশুশ্রম সম্পূর্ণ বিলোপের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়। তবে মহামারির প্রথম ১৮ মাসে সারা দেশে খানা আয় গড়ে ২৩ শতাংশ কমেছে। অনেক বাবা-মা বলেছেন, তাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। তাদের ছেলে কাজ করতে না গেলে অন্য সন্তানসন্ততি খেতে পারবে না।
দুই বছর আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। যখন প্রথম স্কুল বন্ধ হয়ে যায়, রাফির বাবা-মা তাদের ছেলেদের শিক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। রাফির ছোট ভাই বয়স মাত্র আট বছর। লকডাউনের শুরুতে তাদের পরিবার আশপাশের কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল, যাতে করে স্থানীয় এক ডজন শিশুকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে একজন গৃহশিক্ষকের মাধ্যমে পড়ানো যায়। তবে সপ্তাহের পর সপ্তাহ বাংলাদেশে লকডাউন থাকায় পরিবারগুলোর আর্থিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়।
রেখার স্বামী তাজুল ছিলেন একজন সফল উদ্যোক্তা। তবে ২০২০ সালের গ্রীষ্মের মধ্যে তার পোশাক ব্যবসায় ধস নামে। এরপর তিনি দিনের বেলা রাস্তার পাশে একটি ছোট স্টল চালানো এবং রাতে বাজারে নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ শুরু করেন। তার কর্মঘণ্টার কোনো সীমা ছিল না। তবে এরপরেও ঋণের অর্থ ও বাড়ি ভাড়া পরিশোধের মতো পর্যাপ্ত আয় হতো না। ঋণদাতারা বাসার দরজায় হাজির হতে শুরু করেন। ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভোগা রেখাকে তারা হুমকি দেন। একপর্যায়ে হতাশা নিয়ে তাজুল তার সন্তান রাফিকে কাজে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।
সে সময়ের কথা স্মরণ করে রেখা বলেন, ‘এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না; কিন্তু অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল।’
রেখা কখনও কল্পনাও করেননি নিজের ছেলেকে তিনি কাচের কারখানায় দিনে ১২ ঘণ্টার কাজের দিকে ঠেলে দেবেন। নিজেদের শূন্য ইটের ঘরের দিকে ইশারা করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু এখন আমরা একটি বিপর্যস্ত জীবনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’
মহামারি আঘাতের শুরুতে প্রাথমিক উদ্বেগের বিষয় ছিল মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেয়ার ঘটনা। পরিস্থিতির সঙ্গে যুদ্ধ করা অনেক পরিবার খরচ কমানোর উপায় হিসেবে অল্পবয়সী মেয়েদের তাদের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বয়সী পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছিল।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন পরিচালিত একটি সমীক্ষায় লকডাউনের প্রথম ছয় মাসে দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় প্রায় ১৪ হাজার বাল্যবিয়ের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এসব মেয়ের অর্ধেকের বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছর।
রাফি যেখানে পড়ত সেই শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের ছাত্রীদের বিষয়ে খোঁজখবর রাখতেন। তারা জানেন, স্কুল থেকে বাদ পড়া মেয়েদের বেশির ভাগ গ্রামে চলে গেছে এবং শহরের বাইরে স্কুলে ভর্তি হয়েছে। অন্তত ১৫ জন মেয়েকে বাল্যবিয়েতে বাধ্য করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কুমার সাহা বলছেন, ‘১৫ সংখ্যাটি অনেক, তবে এটি আমাদের আশঙ্কার চেয়ে কম।’
তিনি যা প্রত্যাশা করেননি তা হলো মহামারি ছেলে শিক্ষার্থীদের ওপরেও প্রভাব ফেলবে। বিপ্লব কুমার বলেন, ‘এটি আমাদের প্রত্যাশা এবং কল্পনার বাইরে ছিল।’
বাংলাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা বিনা মূল্যে নয় এবং টিউশন ফি বছরে গড়ে প্রায় তিন হাজার টাকা। এই দেশে মহামারির আগে যেখানে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ১৬৫ টাকার (১.৯০ ডলার) চেয়ে কম খরচে দিনযাপন করতেন, সেখানে মহামারির সময়ে স্টেশনারি, পাঠ্যবই এবং ইউনিফর্মের খরচও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাল্যবিয়ের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং স্কুলে যাওয়ায় উৎসাহ দিতে সরকার প্রতি বছর ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী মেয়েদের উপবৃত্তি এবং টিউশন ভর্তুকি হিসেবে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেয়। ব্র্যাকের শিক্ষা পরিচালক সাফি খান বলেন, তবে ছেলে-মেয়েদের পরিবারের জন্য শিক্ষা আরও বিভিন্নভাবে উল্লেখযোগ্য খরচ তৈরি করে। এটি একটি অসম্ভব পরিস্থিতি এবং স্কুলে পাঠানো বজায় রাখার ক্ষেত্রে খুব কম সহায়তা আছে।
আইএলওর বাংলাদেশ ডিরেক্টর তুওমো পাউটিয়াইনেন বলছেন, অর্থনৈতিক সংকটের প্রথম লক্ষণগুলোর একটি হলো বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া। স্কুল বন্ধের সময় বেশির ভাগ পরিবার মনে করেছিল, তাদের মেয়েদের কাজে পাঠানো অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, তবে ছেলেরা তাদের জন্য আয়ের একটি জরুরি সংস্থান করতে পারে।
মেয়েদের শিক্ষার জন্য লাখ লাখ ডলারের বৈদেশিক সাহায্য এলেও বাংলাদেশে শিশু-অধিকার কর্মীরা বলেছেন, তারা কোভিডের প্রাদুর্ভাবের পর স্কুল ছেড়ে দেয়া লাখো ছেলেশিশু-কিশোরের সমান সহায়তার আহ্বান জানিয়ে লড়াই করছেন।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক টনি মাইকেল গোমস বলছেন, “দাতারা যেন শিশুশ্রমের বিষয়ে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে অন্ধ’। আমি একটি বিশাল বিচ্ছিন্নতা দেখতে পাচ্ছি … আপনি যদি সত্যিই জিজ্ঞাসা করেন তারা ঠিক কী অর্থায়ন করছে এবং তাদের সহায়তা শিশুদের জীবনকে প্রভাবিত করে কি না, তবে উত্তরটি ‘না’ হতে পারে।”
এই বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটও একমত। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের ঝুঁকির বিষয়টিতে আমি কম জোর দিতে চাই না, তবে ছেলেদের নির্দিষ্ট চাহিদার প্রতিও আমাদের দৃষ্টি হারানো উচিত নয়।’
অনেক বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান ঋণগ্রস্ততার সঙ্গে তাদের সন্তানদের শিক্ষার খরচ বাড়তি বোঝা তৈরি করেছে। এ কারণে তাদের ছেলেদের পড়াশোনার ইতি ঘটানো ছাড়া আর কোনো উপায় সামনে নেই।
আমেনা যখন তার ১১ বছরের ছেলে আলমগীরকে আর স্কুলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানান, ছেলেটি তখন তার সব বই ভাগাড়ে ফেলে দেয়। আমেনা বলেন, ‘আমার সেই সময়ের অনুভূতি ছিল অনেক কষ্টের।’
কিছুদিন পর আলমগীরের বন্ধুরা যখন গ্রাম ছেড়ে আবার স্কুলে ফিরে যায়, আমেনা দেখতে পান তার ছেলে কুঁড়েঘরের আড়ালে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। আমেনা বলেন, ‘ওকে কাঁদতে দেখে আমিও কেঁদেছি।’
ছেলের কষ্ট আমেনা বুঝতে পারেন। ছোটবেলায় আমেনা তার ক্লাসের শীর্ষে ছিলেন, ১২ বছর বয়সে তার ভাই তাকে স্কুল ছাড়তে বাধ্য করেন। এরপর তাকে একজন বয়স্ক লোকের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়।
আমেনা এর আগেও তার আরেক ছেলেকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করতে বাধ্য হয়েছেন। পাঁচ বছর আগে স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে আলমগীরের ভাইকে ইটের ভাটায় কাজ করতে পাঠানো হয়। ছেলেটির বয়স তখন ১১ বছর, ইটভাটায় দিনে তার উপার্জন ৩০০ টাকা। আমেনা বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম আমাদের বাকি ছেলেরা শিক্ষিত হবে।’
তবে ২০২০ সালের মার্চে দেশব্যাপী লকডাউন শুরুর পর ইটভাটাটি চার মাসের জন্য বন্ধ ছিল। পরিবারের চাল ও চিকিৎসার জন্য ৪০ হাজার টাকা ঋণ করতে হয়। দুই বছর পর এখনও ৩০ হাজার টাকা ঋণ রয়েছে। আমেনার ভয়, এই ঋণ পরিশোধের জন্য আলমগীরেরও কাজ করে যেতে হবে।
বাংলাদেশে শিশুশ্রম বিষয়ক তথ্য খুবই অপ্রতুল। আইএলওর মতে, মহামারির আগে শিশুশ্রমের হার কমেছে বলে মনে হয়। তবে ২০১৩ সাল থেকে শিশুশ্রম নিয়ে দেশব্যাপী সরকারের নেতৃত্বে কোনো সমীক্ষা হয়নি।
২০১৯ সালে ইউনিসেফ একটি সমীক্ষা চালায়। এতে দেখা যায়, ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রতি ১০ জন ছেলেশিশুর মধ্যে একজন পূর্ণকালীন শ্রমে জড়িত। গবেষণায় দেখা গেছে, আয়ের পরিমাণে হেরফের থাকলেও ১৪ বছরের কম বয়সী বেশির ভাগ ছেলে প্রতি মাসে ৪০ ডলারের (৩৪৭৫ টাকা) কম আয় করে।
ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের কাছে আপডেট পরিসংখ্যান নেই। তাই আমরা জানি না শিশুশ্রমের ওপর এর প্রভাব কী হতে চলেছে। তবে ধারণা করছি, প্রভাবটি অনেক খারাপ।’
বাংলাদেশ আইএলও কনভেনশনটি অনুমোদন করার আগেই দেশটির সংবিধানে ‘বিপজ্জনক’ শিশুশ্রম, যেমন ইট ভাঙা বা চামড়া ট্যানিংয়ের মতো কাজ বেআইনি ছিল। তবে বর্তমান আইনে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের অনানুষ্ঠানিক খাত- যেমন ঘরোয়া কাজ বা কৃষিতে তাদের পরিবারের প্রয়োজনে কাজ করা নিষিদ্ধ নয়।
শিশু অধিকার কর্মীরা বলছেন, যারা শিশুদের কোনো শিল্পে নিয়োগ করেন তাদের শাস্তি পাওয়ার ঘটনা বিরল। উদাহরণ হিসেবে তারা একটি জুস কারখানায় আগুনে কমপক্ষে ৫২ শ্রমিক নিহত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন, যাদের মধ্যে ১১ বছরের মতো বয়সী শিশুর সংখ্যা কমপক্ষে ১৬। কারখানার মালিকদের অল্প সময়ের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তারা জামিনে মুক্তি পান। তবে আদালতের মামলা এখনও বিচারাধীন।
অনেক কারখানামালিক বলেছেন, গত দুই বছরে প্রচুর বাবা-মা তাদের ছোট ছেলেদের কাজে নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি তার পোশাক কারখানায় প্রায় ১০ শিশুকে নিয়োগ দিয়েছেন। সবচেয়ে ছোটটির বয়স ছিল আট বছর।
এই ব্যবসায়ীর যুক্তি, সরকার ব্যর্থ হওয়ায় তিনি অসহায় পরিবারগুলোকে সাহায্য করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দেশে অনেক মানুষ এবং সম্পদ সীমিত। শিক্ষা (শিশুদের) ভবিষ্যতের কোনো নিশ্চয়তা দেয় না।’
তিনি যখন কথা বলছিলেন অদূরেই তুলার মেঘের মধ্যে নকঅফ অ্যাডিডাস (অ্যাডিডাসের নকল) ট্র্যাকসুট ভাঁজ করতে ব্যস্ত ১২ ও ১৩ বছর বয়সী দুটি ছেলে কাশির দমকে অস্থির ছিল।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট মনে করছেন, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া এবং আরও বেশি পরিবার দারিদ্র্যের মধ্যে পতিত হওয়ায় বাংলাদেশি শিশুদের কর্মক্ষেত্র থেকে বের করে স্কুলে ফিরিয়ে আনার কাজটি দীর্ঘায়িত হবে।
তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো একক ম্যাজিক বুলেট নেই। কনভেনশনের (আইএলও কনভেনশন) অনুসমর্থন গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু যথেষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় আছে, যেমন বাধ্যতামূলক শিক্ষার সীমা কেবল ১০ বছর বয়স পর্যন্ত। আবার আর্থিকভাবে অসহায় পরিবারগুলোর জন্য তেমন কোনো সামাজিক সহায়তা নেই।’
এর পরেও সেপ্টেম্বরে স্কুলগুলো আংশিকভাবে ফের খোলার পর অনেক শিক্ষক ছাত্রদের বাড়িতে যেতে শুরু করেছেন। তাদের বামা-মাকে সন্তানদের ক্লাসে ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা তাদের (ঝরে পড়া ছেলে শিক্ষার্থী) পছন্দ করতাম। একসময়ের উপচে পড়া শ্রেণিকক্ষগুলোর খালি ডেস্ক দেখতে পেয়ে কিছু শিক্ষক ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন।’
আলমগীর শেষবার স্কুলে গিয়েছে দুই বছর আগে। শিশুটি চুপচাপ তাদের পাঁচটি ছাগলের দেখভাল করছিল, সকালে কাটা ঘাসের স্তূপের দিকে ছাগলগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় সে একটির কান চুলকে দেয়।
তার বাবা-মা চান না আলমগীর তার বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে ইটের ভাটায় কাজ করুক। পরিবারের খামারে প্রচুর কাজ রয়েছে। আমেনারও আশা, ভবিষ্যতে ছেলেকে স্কুলে পাঠানোর টাকা জোগাড় করা যাবেই। তিনি বলেন, ‘আমাকে বিশ্বাস করতে হবে, আমি এটা ঘটাতে পারবই।’
তবে অন্য পরিবারগুলো কম আশাবাদী। রাফি যেখানে তার নিয়োগকর্তার সজাগ দৃষ্টির মাঝে কাচের কারখানার মেঝে পরিষ্কার করে, সেখান থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বের স্কুলে তার সাবেক সহপাঠীরা ইংরেজি ও ইতিহাস অধ্যয়ন করছে। মহামারির আগে রাফি ছিল উচ্ছ্বসিত, সারাক্ষণ বকবক করা এক শিশু। বাবা-মার ভাষায়, শক্তিতে পরিপূর্ণ একটি বলের মতো, যা সারাক্ষণ অশান্ত এবং খুব কমই স্থির।
আজকাল সে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরে, ফেটে পড়ে আবেগ। মাকে বলে, ‘তোমার কারণে আমার জীবনের সব শেষ।’
রেখা জানেন না ছেলেকে কী করে সান্ত্বনা দেবেন, এই অনুতাপ তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। চোখের জলে ভেসে রেখা বলেন, ‘আমরাই ওর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সেস), ‘বি’ ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদ), ‘সি’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) এবং ‘ডি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, শাখা পরিবর্তন) ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবিবার দুপুরে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ডি’ ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রত্যেক শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে লগইন করে নিজ নিজ ফলাফল দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.jnu.ac.bd অথবা https://jnuadmission.com অথবা www.admission.jnu.ac.bd -এ জানা যাবে।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত উল্লিখিত ওয়েবসাইটে (www.admission.jnu.ac.bd) লগইন করে বিষয় পছন্দ (Subject Choice) দিতে পারবেন।
‘এ’ ইউনিটের তিন শিফটে মোট আসন ৮৬০টি। সবগুলো আসন বিজ্ঞান বিভাগের জন্য।
প্রথম শিফটে মোট আসন ২৮৪টি। দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৮৭টি। তৃতীয় শিফটে মোট আসন ২৮৯টি।
এ ইউনিটে ৮৬০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসেন ৪৪ হাজার ২২৩ জন।
‘বি’ ইউনিটের তিনটি শিফটে আসন ৭৮৫টি। প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিকে ২১৬, বাণিজ্যে ৩৭, এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৪১টি।
দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯২টি, যার মধ্যে মানবিকে ২১৮, বাণিজ্যে ৩৫ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৩৯টি।
তৃতীয় শিফটে মোট আসন ১৯৯টি, যার মধ্যে মানবিকে ১২৪, বাণিজ্যে ১০ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৫টি।
‘সি’ ইউনিটের দুটি শিফটে মোট আসন ৫২০টি।
প্রথম শিফটে মোট আসন ২৩০টি, যার মধ্যে শুধু বাণিজ্য বিভাগে ২৩০টি।
দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯০টি, যার মধ্যে বাণিজ্যে ২৩১, মানবিকে ১৬ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৪৪টি।
‘ডি’ ইউনিটের দুটি শিফটে মোট আসন ৫৯০টি।
প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিকে ১৯২, বাণিজ্যে ৩৩ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৯টি।
দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯৬টি, যার মধ্যে মানবিকে ১৯৩, বাণিজ্যে ৩২ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৭১টি।
এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিট, ২২ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিট এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মলচত্বর, ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।
পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।
মিছিলে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদদ দেবে, তারা যেই হোক না কেন, ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।
ঢাবির ছাত্রী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবে না ছাত্রসমাজ।
যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র নাইমুর রহমান সীমান্তের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে মঙ্গলবার ভোর ৫টায় মৃত্যু হয় তার।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন বলে জানান তার সহপাঠীরা। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুমাইয়া ফারাহ খান বলেন, ‘আজ ভোর ৫টায় সীমান্ত শ্যামলীতে কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। আমরা যতটুকু জেনেছি গত দুই দিন আগে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়।
‘গতকাল ওর একটা সাজার্রি করার কথা ছিল। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছে। মা এবং বোন আছে। বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওদের পরিবার ঢাকাতেই থাকে। তবে ওকে দাফনের জন্য কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
সীমান্তের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন:ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এ তালিকায় চিহ্নিত অনেক হামলাকারীর নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী।
বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ১২৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই তালিকায় রয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান ও ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ আরও অনেকে।
তালিকায় নাম নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবি জুবায়ের বলেন, ‘তানভীর হাসান সৈকত, ইউনুসসহ স্পষ্ট ফুটেজ থাকা অনেক সন্ত্রাসীর নামই লিস্টে নাই। কাদের ইশারায় এই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনকে তা স্পষ্ট জানাতে হবে। অপূর্ণাঙ্গ এই লিস্ট আমরা মানি না।’
সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ লিখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা ১২৮ জনের লিস্ট কারা তৈরি করছে, এইটা আমরা জানতে চাই। চোখের সামনে আমাদের যারা জসীম উদ্দীন হলের মাঠে ফেলে আমাকে আর হামজা ভাইকে পিটিয়ে মাথা ফাটানো মেহেদী হাসান শান্তের নাম নাই। আমার বোনদের যারা ভিসি চত্বরে পেটাল, তাদের নাম আসে নাই।’
তিনি লিখেন, ‘সবচেয়ে মজার ব্যাপার হইলো একটা সিঙ্গেল নারীকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করে নাই। অথচ নির্যাতনের মাত্রা হিসাব করলে এরা পুরুষ ছাত্রলীগের থেকেও ভয়ংকর ছিল। নারী ছাত্রলীগার সন্ত্রাসীদের কারা শেল্টার দিচ্ছে?’
স্মৃতি আফরোজ সুমি লিখেন, ‘বহিষ্কৃতদের তালিকা করার তদন্তের দায়িত্ব কি কোনো লীগারকে দেওয়া হয়েছিলো? লিস্ট দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। না হলে স্পষ্ট ফুটেজ, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রতি হল থেকে ১০ থেকে ১৫ জনের নাম বাদ পড়ে কীভাবে?’
সুমাইয়া ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সবচেয়ে অমানবিক কাজ ছিল ঢাকা মেডিক্যালে হামলা। সেই হামলায় বেশির ভাগ হামলাকারী ছিল জগন্নাথ হলের। অথচ জগন্নাথ হল থেকে মাত্র দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রিভু মন্ডল, রাজিব বিশ্বাসের মতো শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও বাদ পড়ে গেল!’
এদিকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন এবি জুবায়ের।
১২৮ জনের তালিকায় দুইজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই ছিলেন না, এমন নামও এসেছে।
তাদের কীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এসবসহ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ১৬ মার্চ (রবিবার) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘একজন প্রাক্তন উপাচার্য ও অধ্যাপকের মৃত্যুতে পরিবারের সম্মতিক্রমে জানাজার সময় ও স্থান সম্পর্কে সকলকে অবহিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে মাইকিং, শোকবার্তা প্রকাশ, কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত সকল প্রথা অনুসরণ করা হয়েছে।
‘উল্লেখ্য, পরিবারের সিদ্ধান্তক্রমেই অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা ও দাফনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবারের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অসুস্থ হয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরের দিন ৭ মার্চ শুক্রবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।
‘ইন্তেকালের পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রশাসনের অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ মরহুমের জানাজা ও দাফন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং দাফন প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।’
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় প্রায় চার মাস ধরে বন্ধ আছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে পরীক্ষামূলকভাবে জাবিতে কার্ট গাড়ি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৬৯৭.৯৬ একরের বৃহৎ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিলো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। কিন্তু তা বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা যাতায়াতে প্যাডেলচালিত রিকশা ব্যবহার করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, গত চার মাস আগে জাবিতে অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে যাতায়াতে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রশাসন কিছু প্যাডেলচালিত অটোরিকশা অনুমোদন দিলেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এ রিকশার বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। চলাচলে সময় অপচয়, অত্যধিক ভাড়া আদায়, উঁচু রাস্তায় নেমে যাওয়াসহ আরও নানা সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
এ ছাড়া প্রতিদিন রুটিন করে ক্যাম্পাসের ভেতর শাটল বাস চললেও শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। অনেককে দীর্ঘসময় রিকশার জন্য অপেক্ষা করতে হয় অথবা বাসে উঠে বসে থাকতে হয়। সময়মতো বাস পাওয়া যায় না, যার ফলে ক্যাম্পাসে ইজিবাইক বা কার্ট গাড়ি চালু করা জরুরি হয়ে পড়ে। অবশেষে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্যাম্পাসে কার্ট গাড়ি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
এ বিষয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবু রায়হান বলেন, ‘এত বড় ক্যাম্পাসে চলাচল করার জন্য অটোরিকশা লাগে। যাদের বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল আছে, তাদের কোনো অসুবিধা নেই, কিন্তু যাদের এসব নেই, তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
‘দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও রিকশা পাওয়া যায় না। ক্লাস- পরীক্ষায় দেরি হয়; সময় অপচয় হয়। শুনলাম প্রশাসন কার্ট গাড়ি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
ক্যাম্পাসে কার্ট গাড়ি চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গবেষণা কারখানার সিনিয়র নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, ‘রমজানে শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা মাথায় রেখে দুইটি গাড়ি নিয়ে এসেছি। আমাদের ক্যাম্পাসের রাস্তাগুলো যেহেতু উঁচু-নিচু, তাই পরীক্ষামূলকভাবে ট্রায়াল দেব।
‘এটাতে ৮ থেকে ১০টি সিট থাকে। এটা পরিবেশবান্ধব হওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। আশা করি একটা ভালো ও স্থায়ী সমাধান আসবে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা মাথায় রেখেই আমরা দীর্ঘদিন থেকে এমন কিছু করার পরিকল্পনা করছিলাম। কয়েকটি মিটিংও করেছি এ ব্যাপারে। এ ছাড়া কয়েকটি গাড়ি কোম্পানির সাথে আমাদের কথাও হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরীক্ষামূলকভাবে দুইটি গাড়ি নিয়ে এসেছি। ভালো ফলাফল পেলে মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ আমরা আরও ১০ থেকে ১৫টি গাড়ি নিয়ে আাসব। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আশা করি আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই আমরা একটা ভালো সমাধান দিতে পারব এবং এই সার্ভিস সম্পূর্ণভাবে চালু করতে পারব।’
গত বছরের ১৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাঁচির অটোরিকশার ধাক্কায় নিহতের ঘটনায় ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনটি রবিবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী ২৭টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হলো।
বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সূত্রাপুর, ঢাকার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কারকুনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকার নাম পরিবর্তন করে তাজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকা, ১৬ নং বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, নারায়ণগঞ্জ পরিবর্তন করে ১৬ নং পাইকপাড়া পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচবাড়িয়া হাসিনা ওয়াজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ীর নাম পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, গাজীপুরের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাখা হয়েছে।
একইভাবে চর সতরাজ শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাকেরগঞ্জ, বরিশালের নাম পরিবর্তন করে চর সতরাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, পিরোজপুরের নাম পরিবর্তন করে পশ্চিম পিরোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধামইরহাট, নওগাঁর নাম পরিবর্তন করে জগৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পত্নীতলা, নওগাঁর নাম পরিবর্তন করে নাদৌড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
অন্যদিকে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পীরগঞ্জ, রংপুরের নাম পরিবর্তন করে সুবর্ণপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলপুর, ময়মনসিংহের নাম পরিবর্তন করে নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের নাম পরিবর্তন করে ভালুক চাপড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলাউড়া, মৌলভীবাজারের নাম পরিবর্তন করে কুলাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুজিবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পার্বতীপুর, দিনাজপুরের নাম পরিবর্তন করে পার্বতীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডোলোপাড়া শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, পঞ্চগড়ের নাম পরিবর্তন করে ডোলোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, পঞ্চগড়ের নাম পরিবর্তন করে রাজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাগনভূঞা, ফেনীর নাম পরিবর্তন করে পশ্চিম করমূল্যাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
মুজিব রাসেল বিদ্যাপীঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাজিরা, শরীয়তপুরের নাম পরিবর্তন করে হরিয়াসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিতারকান্দি বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে নিতারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, কিশোরগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে বত্রিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালপুর, টাঙ্গাইলের নাম পরিবর্তন করে দক্ষিণ সোনামুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য