× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রেস-জেন্ডার
ভারতে অ্যাপে মুসলিম নারীদের বিক্রির বিজ্ঞাপন
google_news print-icon

ভারতে অ্যাপে মুসলিম নারীদের ‘বিক্রির’ বিজ্ঞাপন

ভারতে-অ্যাপে-মুসলিম-নারীদের-বিক্রির-বিজ্ঞাপন
সালি ডিলস অ্যাপে প্রকাশ করা হয় বাণিজ্যিক বিমানচালক হানা খানের ছবি ও তথ্য। ছবি: বিবিসি
অ্যাপটিতে যেসব নারীকে ‘বিক্রি’ তালিকায় তোলা হয়েছিল, তারা সবাই মুসলিম এবং অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। এদের প্রায় সবাই পেশায় সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, শিল্পী বা গবেষক।

গত সপ্তাহে ভারতের অর্ধশত মুসলিম নারী জানতে পারেন যে অনলাইনে বিক্রির জন্য পণ্য হিসেবে তাদের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের হয়রানির নতুন ও বিস্ময়কর এ পন্থার খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

জানা গেছে, ‘শালি ডিলস’ নামের একটি অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে বিভিন্ন নারীর ছবিসহ প্রোফাইল তৈরি ও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে নারীদের বিশেষায়িত করা হয়েছে ‘ডিলস অফ দ্য ডে’ বলে।

পেশায় বাণিজ্যিক বিমানচালক হানা খান নামের এক নারী এ তালিকায় তার নাম ওঠার কথা জানতে পারেন এক বন্ধুর সাবধানবাণীর মাধ্যমে।

ওই বন্ধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের একটি পোস্ট পাঠান হানা খানকে। টুইটে ক্লিক করে হানা যে লিংকে প্রবেশ করেন, সেখানে অপরিচিত এক নারীর ছবি দেখতে পান তিনি। পরের দুই পেইজে নিজের বান্ধবীদের ছবি দেখে চমকে ওঠেন।

এর পরের পেইজে গিয়েই নিজের ছবি দেখে হতবাক হয়ে পড়েন হানা।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ৮৩টা নাম গুণেছি। আরও অনেক থাকতে পারে। তারা টুইটার থেকে আমার ছবি ও ইউজার নেইম নিয়েছে। ২০ দিন ধরে অ্যাপটি চলছে আর আমরা কিছু জানতেও পারিনি। বিষয়টা প্রথম যখন বুঝতে পারি, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল আমার।’

ভারতে কট্টর হিন্দুরা মুসলিম নারীদের প্রতি অসম্মানসূচক ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ হিসেবে ‘শালি’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘শালি ডিলস’ নামের অ্যাপে ব্যবহারকারীদের ‘শালি’ কেনার যে সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে, তা মূলত প্রতীকী। সত্যিকারের কোনো কেনাবেচা নেই অ্যাপটিতে। মুসলিম নারীদের অসম্মান ও অপদস্থ করাই অ্যাপটির উদ্দেশ্য।

হানা খান জানান, নিজের ধর্মবিশ্বাসের কারণে লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন তিনি।

হানা বলেন, ‘আমি মুসলিম নারী, এমন একজন যার পরিচয় আছে, যার কথার গুরুত্ব আছে। তারা চায় আমাদের মতো মানুষদের চুপ করিয়ে দিতে।’

ওপেন সোর্স অ্যাপটি চলছিল ওয়েব প্ল্যাটফর্ম গিটহাবের মাধ্যমে। অভিযোগ পেয়েই দ্রুত শালি ডিলস বন্ধ করে দিয়েছে গিটহাব।

বিবৃতিতে গিটহাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি আমরা। আমাদের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছি।’

কিন্তু অপমানজনক এই অভিজ্ঞতা গেঁড়ে বসেছে ভুক্তভোগী নারীদের মনে। অনেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেকে ভবিষ্যতে এমন আরও হয়রানির শিকার হতে পারেন বলে উদ্বিগ্ন।

অ্যাপটিতে যেসব নারীকে ‘বিক্রি’র তালিকায় তোলা হয়েছিল, তারা সবাই মুসলিম এবং অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। এদের প্রায় সবাই পেশায় সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, শিল্পী বা গবেষক।

এমনই আরেক নারী বলেন, ‘আপনি যতোই শক্তিশালী হোন না কেন, আপনার ছবি ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়ে গেলে সেটা আপনাকে আতঙ্কিত, ক্ষুব্ধ করবেই।’

বেশ কয়েকজন নারী অবশ্য উল্টো প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন। শালি ডিলসে তাদের তথ্য প্রকাশ করে দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের ‘বিকৃতমস্তিষ্ক’ আখ্যা দিয়েছেন তারা; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছেন এই ‘বিকৃতমস্তিষ্ক’দের বিরুদ্ধে লড়াই করার।

হোয়াটসঅ্যাপে এরই মধ্যে একটি গ্রুপ খুলেছেন তারা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে অভিযোগ করেছেন পুলিশের কাছে। এদেরই একজন হানা খান।

এই হয়রানির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ভারতের সুশীল সমাজের অনেক সদস্য, কর্মী ও নেতারা।

এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানালেও অ্যাপটির সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পুলিশ।

ভুয়া পরিচয়ে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়ক হাসিবা আমিনের অভিযোগ, অনেক অ্যাকাউন্ট থেকে মুসলিমদের, বিশেষ করে মুসলিম নারীদের নিয়মিত আক্রমণ করা হয়। কট্টর ডানপন্থি, তথা ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদীদের সমর্থনে এসব হয়ে আসছে বলেও দাবি তার।

ভারতে অ্যাপে মুসলিম নারীদের ‘বিক্রির’ বিজ্ঞাপন
অধিকারকর্মীদের অভিযোগ, ভারতে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হন ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও দলিত বর্ণের নারীরা। ছবি: এএফপি

হাসিবা বলেন, ‘এভাবে মুসলিম নারীদের হয়রানি করার এটা প্রথম ঘটনা নয়। গত ১৩ মে যখন মুসলিমরা তাদের ধর্মীয় উৎসব ঈদ উদযাপন করছিলেন, তখন ইউটিউবে ‘ঈদ স্পেশাল’ নামের একটি সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে ভারত ও পাকিস্তানের নারীদের রীতিমতো ‘নিলামে তুলে বিক্রির’ তাচ্ছিল্য করা হচ্ছিল।’

তিনি আরও জানান, ওই নিলামে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা নারীদের দাম ঘোষণা করছিলেন পাঁচ বা ১০ রুপি করে। নারীদের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে, ধর্ষণের হুমকি দিয়ে, যৌন কার্যকলাপের বর্ণনা দিয়ে তাদের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছিল।

এমনকি টুইটারে একটি অজ্ঞাত অ্যাকাউন্ট থেকে কংগ্রেস নেতা হাসিবা আমিনকেও ‘নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হয়’।

চ্যানেলটি বন্ধ করে দিয়েছে ইউটিউব।

হানা খান জানান, বেশ কয়েকটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তাকে দৈহিক গঠনের কথা উল্লেখ করে অপমানসূচক কথা বলা হচ্ছিল, নোংরা ভাষায় যৌন কার্যকলাপের বর্ণনা দিয়ে তাকে গালি দেয়া হচ্ছিল।

এসব অ্যাকাউন্টের একটি- @sullideals101 অ্যাকাউন্টটি এরই মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

হানা মনে করেন, শালি ডিলস অ্যাপ ও ইউটিউবের ওই চ্যানেলটি যারা তৈরি করেছে, তারাই নারীদের নিলামে তোলার চেষ্টা করেছে।

টুইটারে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে অজ্ঞাত ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি তৈরিতে নিজেদের জড়িত বলে দাবি করেছে এবং খুব শিগগিরই আবার ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে এরকম বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।

এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ব্যক্তিদের অভিযোগ, অনলাইনে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, ভয় দেখানো, অশালীন আচরণ করার লক্ষ্য হলো নারীদের মুখ বন্ধ করে দেয়া।

গত সপ্তাহে সারা বিশ্বের দুই শতাধিক অভিনয়শিল্পী, সুরকার, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তা ফেসবুক, গুগল, টিকটক ও টুইটারের প্রধান নির্বাহীদের কাছে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন। নারীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানানো হয় চিঠিটিতে।

তারা লেখেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে যোগাযোগের কেন্দ্রই ইন্টারনেট। এখানেই এখন বিতর্ক হয়, যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি হয়, পণ্য কেনাবেচা হয় এবং মানুষের ভাবমূর্তিও এই মঞ্চেই তৈরি হয়।

‘কিন্তু অনলাইনে যে হারে হয়রানি বেড়েছে, এর অর্থ হলো, এই ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার কেন্দ্রে নারীরা নিরাপদ নেই।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভারতে অনলাইনে হয়রানিবিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে গত বছর।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, নারীরা যত বেশি সোচ্চার, তারা তত বেশি হয়রানির শিকার। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মতোই ভারতেও ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও দলিত বর্ণের নারীরা হয়রানির সহজ লক্ষ্যবস্তু।

অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার সাবেক মুখপাত্র ও লেখক নাজিয়া ইরাম বলেন, ‘ভারতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা মুসলিম নারীর সংখ্যা হাতে গোণা। তারাও দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন।

‘এসব সুনির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত হামলার লক্ষ্য হলো শিক্ষিত মুসলিম নারীদের মতপ্রকাশে বাধা দেয়া এবং মুসলিমবিদ্বেষের বিরুদ্ধে তাদের কথা না বলতে দেয়া। তাদেরকে লজ্জা দিয়ে মুখ বন্ধ করার এবং সমাজে তাদের অবস্থান নড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়।

কংগ্রেস নেত্রী হাসিবা আমিন বলেন, ‘যারা এসব হয়রানির হোতা, তারা নির্ভয়েই এসব অপকর্ম করে। কারণ তারা জানে যে তাদের কোনো বিচার হবে না, তারা পার পেয়ে যাবে।’

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন হাসিবা, যেখানে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অরাজকতা উসকে দিয়েছে ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির সমর্থকরা।

উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন মুসলিম হত্যার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আট হিন্দুকে ফুলের মালা দিয়ে এক মন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানানোর খবর। গত বছর প্রকাশ্য জনসমাবেশে মুসলিমদের গুলি করার কথা বলা ভারতের নতুন তথ্যমন্ত্রীর একটি ভাইরাল ভিডিওর কথাও জানান হাসিবা।

এমন পরিস্থিতিতে শালি ডিলস অ্যাপে যে নারীদের পরিচয় ও তথ্য চুরি করে প্রকাশ করা হয়েছে, তাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কঠিন ও দীর্ঘ লড়াইয়ের বিষয়। কিন্তু ন্যায়বিচার পেতে সর্বোচ্চ শক্তিতে লড়াই করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারা।

হাসিবা বলেন, ‘নারীদের অনলাইনে নিলামে তোলার ঘটনায় জড়িতদের যদি পুলিশ চিহ্নিত না করে, আমি আদালতে যাব। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব।’

আরও পড়ুন:
সৌদিতে বাড়ছে ‘শর্তহীন বিয়ে’
হিল জুতায় নারী সেনারা, তোপে ইউক্রেন সরকার
হাঁসে হাসছেন ট্রান্সজেন্ডার খুকুমনি
ইরানের যে দ্বীপ শুধু নারী জেলেদের
জেন্ডার সমতার চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন শরণার্থী নারীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রেস-জেন্ডার
Trump Modi called a friend again after a bitterness

তিক্ততা কাটিয়ে ফের বন্ধু বলে ডাকলেন ট্রাম্প-মোদি

তিক্ততা কাটিয়ে ফের বন্ধু বলে ডাকলেন ট্রাম্প-মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ৭৫তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তিক্ততার মাঝেই গতকাল মঙ্গলবার দুই নেতার ফোনালাপ হয়েছে।

ট্রাম্প-মোদির এই ফোনালাপকে সম্পর্কের শীতলতা কাটার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফোনালাপের পর ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন। লিখেছেন, মোদি একটি অসাধারণ কাজ করছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে সহায়তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।

রাশিয়ার কাছে থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে সম্প্রতি ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। পারস্পরিক মিলিয়ে দেশটির ওপর আরোপ হওয়া মোট শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশ। বিবিসি বলছে, এমন পদক্ষেপ নেওয়ার পর মোদির সঙ্গে এটিই ট্রাম্পের প্রথম ফোনালাপ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুভেচ্ছা বার্তার জবাবও দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এক্সে লিখেছেন, ‘জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমার বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ। আপনার মতো আমিও ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আপনার পদক্ষেপে আমাদের সমর্থন আছে।’

এর আগে শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে উভয় নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ভারত ট্রাম্প প্রশাসনের বাড়তি শুল্ককে ‘অন্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। আর ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেছিলেন ট্রাম্প। উভয়পক্ষের তীক্ষ্ণ মন্তব্য আদানপ্রদানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির আলোচনাগুলোও স্থগিত হয়।

তবে গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন বাণিজ্য আলোচক ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি দল দিল্লিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

দিল্লির কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের বৈঠককে কোনো বাণিজ্য আলোচনার শুরু হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। এটি আলোচনা করার চেষ্টা মাত্র।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Landmine explosion in Pakistan killed 5 soldiers

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচ সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে সামা টিভির খবরে বলা হয়েছে।

গত সোমবার কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) নিশ্চিত করেছে।

আইএসপিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা উচ্ছেদের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী একটি অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, যার ফলে পাঁচজন সেনা নিহত হন।

নিহত সেনারা হলেন ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।

আইএসপিআর-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের এই আত্মত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভারত-পৃষ্ঠপোষক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে নিরাপত্তা বাহিনী জাতির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ গত এক সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন সামরিক অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন।

এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন। নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালাচ্ছিল।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
China invites Bangladesh to join Global Governance Initiative

বাংলাদেশকে গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভে যোগদানের আমন্ত্রণ চীনের

বাংলাদেশকে গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভে যোগদানের আমন্ত্রণ চীনের চীনা দূতাবাস । ছবি: সংগৃহীত

ন্যায়সঙ্গত ও অধিক ভারসাম্যপূর্ণ বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকেও গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভ (জিজিআই) এ অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের উদ্যোগে গৃহীত এ কর্মসূচির লক্ষ্য বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি ‘চীনা সমাধান’ উপস্থাপন করা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গত সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে বৈঠককালে এ আমন্ত্রণ জানান।

মঙ্গলবার ঢাকার চীনা দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সোমবারের বৈঠকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক, প্রত্যক্ষ সহযোগিতা, বৈশ্বিক শাসন উদ্যোগ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, উভয় দেশই সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখেছে। দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা নির্বিঘ্নে চলছে এবং বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দু’দেশের নেতাদের মধ্যে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত।

পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম (গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভকে (বৈশ্বিক শাসন উদ্যোগ) স্বাগত জানিয়ে এর প্রশংসা করেন। তিনি এটিকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সি জিনপিংয়ের সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবেও উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ এবং দুই দেশের জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা গভীর করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করে।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Israel has become one

ইসরায়েল একঘরে হয়ে পড়েছে

স্বীকার করলেন নেতানিয়াহু
ইসরায়েল একঘরে হয়ে পড়েছে

ইসরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়েছে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজায় চলমান যুদ্ধ ও কট্টর উগ্র ডানপন্থি নীতির কারণে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে তিনি বলেছেন, দেশকে এখন স্বনির্ভর অর্থনীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। গত সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধ ও তার সরকারের কট্টর ডানপন্থি নীতির কারণে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে অবশেষে প্রথমবারের মতো ইসরাইলের একঘরে হয়ে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা এক ধরনের বিচ্ছিন্নতার মধ্যে চলে যাচ্ছি, আর আমাদের ধীরে ধীরে এমন এক অর্থনীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে যেখানে স্বনির্ভরতার বৈশিষ্ট্য থাকবে।’

মূলত নেতানিয়াহুর সরকার এতদিন কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল। তবে মাসের পর মাস নানা সতর্কবার্তার পর নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যকে বড় ধরনের স্বীকারোক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইসরায়েলি দৈনিক দ্য মার্কারও নেতানিয়াহুর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তিনি বলেছেন- দেশ এখন ‘এক ধরনের রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার’ মধ্যে আছে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাইরের ওপর নির্ভরতা এড়াতে ইসরায়েলকে নিজেদের অস্ত্র নিজেকেই তৈরি করতে হবে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাজ্য, স্পেন ও কানাডা ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করেছে। অন্যদিকে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, নরওয়ে ও যুক্তরাজ্যসহ আরও কয়েকটি দেশ চলতি মাসের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

এদিকে নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতা ভাগ্য নয়, এটা নেতানিয়াহুর ভুল ও ব্যর্থ নীতির ফল। তিনি ইসরায়েলকে তৃতীয় বিশ্বের দেশে পরিণত করছেন এবং পথ বদলানোরও চেষ্টা করছেন না।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Israels ground campaign begins in Gaza

গাজায় এবার ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু

গাজায় এবার ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু

গাজা সিটিতে মঙ্গলবার ভোরের আগে ইসরায়েল তাদের বহুল প্রতীক্ষিত স্থল হামলা চালিয়েছে। এর কিছুক্ষণ আগেই সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গাজায় হামাস নির্মূল করার ইসরায়েলের লক্ষ্যকে সমর্থন জানান।

এদিকে জাতিসংঘের এক তদন্তে অভিযোগ আনা হয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের উসকানির জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।

রাতে ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালায় এবং একইসঙ্গে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্রে স্থলবাহিনী অগ্রসর হয়।

সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত রাতে আমরা গাজা সিটির পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে, মূল ধাপে প্রবেশ করেছি... বাহিনী হামাসের প্রধান ঘাঁটি গাজা সিটিতে স্থল অভিযান সম্প্রসারিত করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গাজা সিটির কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’ সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করেন, সেনারা শহরের কেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করেছে কি না, তখন তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ।’

সেনাদের হিসাব অনুযায়ী, ওই এলাকায় প্রায় ‘দুই হাজার থেকে তিন হাজার হামাস যোদ্ধা’ সক্রিয় রয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, গাজা সিটি এখন ‘আগুনে জ্বলছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আইডিএফ (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) সন্ত্রাসী অবকাঠামোর ওপর লোহার মুঠোয় আঘাত হানছে, আর আইডিএফ সেনারা সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করছে যাতে জিম্মিদের মুক্তি ও হামাসকে পরাজিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানিয়েছে, গাজা সিটিতে নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণ চলছে—অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া প্রায় দুই বছরের ইসরায়েলি হামলার কারণে যার অনেকাংশই ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

২৫ বছর বয়সি বাসিন্দা আহমেদ গাজাল বলেছেন, ‘আমরা তাদের চিৎকার শুনতে পাচ্ছি।’

গত সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে রুবিও এই সামরিক অভিযানে জোরালো সমর্থন দেন। নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে গাজা সিটি দখলের নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসরায়েল ছাড়ার সময় রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মনে করি একটি চুক্তি হওয়ার জন্য সময় খুবই সীমিত। আর মাস নয়, আমাদের হাতে হয়তো কেবল কয়েক দিন কিংবা হয়তো কয়েক সপ্তাহ আছে।’

তিনি বলেন, হামাসকে নিরস্ত্র করার কূটনৈতিক সমাধানই যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার রয়ে গেছে।

তবে তিনি যোগ করেন, ‘কখনো কখনো যখন হামাসের মতো বর্বরদের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, তখন সেটা সম্ভব হয় না। তবু আমরা আশা করি এটি ঘটতে পারে।’

জেরুজালেমে গত সোমবার গাজায় আটক জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রুবিও। তিনি স্বীকার করেন, জিম্মিদের হাতে রেখে হামাস বর্তমানে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, ‘যদি কোনো জিম্মি না থাকত আর কোনো বেসামরিক নাগরিক বাধা হয়ে না দাঁড়াত, তবে এই যুদ্ধ এক বছর ছয় মাস আগেই শেষ হয়ে যেত।’

অন্যদিকে জিম্মিদের পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠন জানিয়েছে, নেতানিয়াহু হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর তারা তাদের প্রিয়জনদের জন্য ‘ভয়ে আতঙ্কিত।’

তারা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘তিনি (নেতানিয়াহু) এমন সবকিছু করছেন যাতে কোনো চুক্তি না হয় এবং যাতে তাদের (জিম্মিদের) ফেরত আনা না যায়।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
The United States declares to give Israel a constant support for the Gaza conflict

গাজা সংঘাত নিয়ে ইসরায়েলকে ‘অবিচল সমর্থন’ দেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

গাজা সংঘাত নিয়ে ইসরায়েলকে ‘অবিচল সমর্থন’ দেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলা ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ইসরায়েল সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতে ইসরায়েলকে ‘অবিচল সমর্থন’ দিয়ে যাবে তার দেশ। উপত্যকাটি থেকে হামাসকে নির্মূল করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

রুবিও ইসরায়েলে পৌঁছান গত রোববার। এরপর গত সোমবার জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার যে পরিকল্পনা করছে, তার সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, এমন পদক্ষেপ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তা শুধু হামাসকে আরও সাহসী করে তুলবে।

রুবিও বলেন, ভালো একটি ভবিষ্যৎ গাজার বাসিন্দাদের প্রাপ্য। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত হামাসকে নির্মূল না করা হবে, ততক্ষণ তারা কোনো ভালো ভবিষ্যৎ পাবে না। নেতানিয়াহুর উদ্দেশে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি আমাদের অব্যাহত সমর্থন ও অঙ্গীকারের ওপর নির্ভর করতে পারেন।’ গাজা নগরী দখলে ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন নেতানিয়াহু। তাকে সম্বোধন করেন ইসরায়েলের ‘সর্বকালের সবচেয়ে ভালো বন্ধু’ হিসেবে। নেতানিয়াহু বলেন, রুবিওর সফর স্পষ্টভাবে এই বার্তা দিচ্ছে যে ইসরায়েলিদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

এমন সময় রুবিও ইসরায়েলকে সমর্থনের ঘোষণা দিলেন, যখন আজ শুধু গাজার উত্তরে গাজা নগরীতেই অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর আগের দিনও শহর এলাকায় অন্তত ৫৩ জনকে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলের হামলা ও হুমকির মুখে সেখান থেকে পালাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। এর বাইরে পুরো উপত্যকায় চলছে ইসরায়েলের হামলা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসা হয় প্রায় ২৫০ জনকে। সেদিন থেকেই গাজায় তীব্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পর থেকে ২৩ মাসের বেশি সময়ে উপত্যকাটিতে হামলায় প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ।

মধ্যপ্রাচ্যে নানা বিষয় নিয়ে চলমান সংকটের মধ্যেই ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় হামলা চালায় ইসরায়েল। দোহায় অবস্থান করা হামাস নেতাদের উদ্দেশ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর। তবে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কাতার। বন্ধুদেশের ওপর হামলার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্পও।

এমন পরিস্থিতিতে আজ থেকে দোহায় শুরু হয়েছে আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি সম্মেলন। সেখানে যোগ দিতে আরব ও মুসলিম দেশের নেতারা কাতারে পৌঁছেছেন। এর আগের দিন এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি ইসরায়েলের ব্যাপক সমালোচনা করেন। ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানানোয় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রশংসা করে তিনি বলেন, কাতারের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Russias warning to seize wealth

সম্পদ জব্দ নিয়ে ইউরোপকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

সম্পদ জব্দ নিয়ে ইউরোপকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

জব্দ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে ইউরোপকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি বলেছে, রাশিয়ার সম্পদ কেড়ে নেওয়া ইউরোপের যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ দেশগুলো রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে লেনদেন সীমাবদ্ধ করে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ জব্দ করে।

বিপুল পরিমাণ এই সম্পদ এখন ইউক্রেনের সহায়তায় ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় দেশগুলো। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন একটা নতুন উপায় খুঁজছেন যার মাধ্যমে ওইসব সম্পদ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহার করা যায়।

এমন প্রতিবেদন সামনে আসার পর গত সোমবার রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, যদি এমনটা ঘটে, চলতি শতকের শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রগুলোকে ধাওয়া করবে রাশিয়া।

তিনি আরও বলেন, এর পাশাপাশি যারা রাশিয়ার সম্পদ দখলে জড়িত থাকবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোকেও ছাড়া হবে না। তিনি বলেন, রাশিয়া সম্ভাব্য সব উপায়ে, সব আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আদালতে এবং আদালতের বাইরেও ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোকে ধাওয়া করবে।

জব্দ সম্পদ নিয়ে রাশিয়া বলছে, তাদের সম্পদ দখল মানে চুরি করা। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বন্ড ও মুদ্রার ওপর আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর বক্তব্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী যুদ্ধে ইউক্রেন ধ্বংসের জন্য রাশিয়াই দায়ী। তাই মস্কোর সঙ্গে জোর করে হলেও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে।

তবে কিছু ব্যাংকার সতর্ক করে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ জব্দের নজির বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে পশ্চিমা দেশগুলোর বন্ড কেনায় নিরুৎসাহিত করতে পারে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর বিনিয়োগে আস্থা কমতে পারে।

মন্তব্য

p
উপরে