× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রেস-জেন্ডার
মিসরে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের মর্যাদার লড়াই
google_news print-icon

ট্রান্সজেন্ডার ফরিদা শোনালেন স্বীকৃতি আদায়ের গল্প

ট্রান্সজেন্ডার-ফরিদা-শোনালেন-স্বীকৃতি-আদায়ের-গল্প
মিসরের ট্রান্সজেন্ডার নারী ফরিদা রামাদান। ছবি: এএফপি
বয়স ২০ বছর পার হওয়ার পর ঘর-পরিবার ছাড়েন ফরিদা। লিঙ্গ নির্ধারণ অস্ত্রোপচার জিসিএসের জন্য প্রশাসনের কাছ অনুমতি আদায়ে তার দীর্ঘ লড়াই শুরু হয় ২০০০ সালে। শেষ পর্যন্ত ছুরিকাঁচির নিচে তিনি গিয়েছেন আরও ১৫ বছর পর।

আফ্রিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দেশ মিসরের ট্রান্সজেন্ডার নারী ফরিদা রামাদান। রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি।

লৈঙ্গিক ও জেন্ডার পরিচয়ের জেরে সৃষ্ট সামাজিক বৈষম্য বন্ধে তার লড়াই। সবার মতো সমান অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করতে চান। এ লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সে লড়াইয়ের গল্প বলেছেন ফরিদা।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষাৎকারে মিসরে বেশিরভাগ মানুষ এলজিবিটিকিউ (লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার) সম্প্রদায়ের প্রতি হীন ধারণা পোষণ করেন বলে জানান ফরিদা।

সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় মাথায় রঙিন স্কার্ফ, চোখে আইলাইনার আর ঠোঁটে লাল লিপস্টিক পরেছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ট্রান্সজেন্ডার নারী।

তিনি জানান, মিসরের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত দামিয়েত্তা শহরে ছেলে হিসেবে বেড়ে ওঠা শুরু তার। কৈশোরের শুরুতে পরিবারকে জানান, নিজেকে ছেলে মনে করেন না তিনি।

ফরিদা বলেন, ‘চরম অবজ্ঞা আর অকল্পনীয় তুচ্ছতাচ্ছিল্যের শিকার হয়েছিলাম আমি।’

বয়স ২০ বছর পার হওয়ার পর ঘর-পরিবার ছাড়েন ফরিদা। লিঙ্গ নির্ধারণ অস্ত্রোপচার জিসিএসের জন্য প্রশাসনের কাছ অনুমতি আদায়ে তার দীর্ঘ লড়াই শুরু হয় ২০০০ সালে। শেষ পর্যন্ত ছুরিকাঁচির নিচে তিনি গিয়েছেন আরও ১৫ বছর পর।

অস্ত্রোপচারের অনুমতি পাওয়ার চ্যালেঞ্জ

মিসরে সমকামী ও ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বেদায়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জানান, দেশটিতে ট্রান্সজেন্ডারদের স্বীকৃতি নেই। দেশটিতে লৈঙ্গিক পরিবর্তনের অস্ত্রোপচারের জন্য ইজিপশিয়ান মেডিক্যাল সিন্ডিকেটের অনুমতি দরকার হয়।

সিন্ডিকেট গঠিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় নেতাদের সমন্বয়ে। ধর্মীয় অনুশাসন বা ফতোয়ার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয় এই কমিটি।

আর ধর্মীয় অনুশাসনে শুধু ‘শারীরিক অবস্থা’ বিবেচনায় এ অস্ত্রোপচারের অনুমতি মেলে। ‘মানসিক চাহিদা’ এ ক্ষেত্রে বিবেচনাযোগ্য হিসেবে ধরা হয় না।

অনুমতি দেয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে আবেদনকারীর রক্ত ও হরমোন পরীক্ষা, আর ক্রোমোসোম বিশ্লেষণ করা হয়। একই সঙ্গে পরবর্তী দুই বছর তাকে মানসিক ও নানা রকম হরমোন চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

এসব শর্ত পূরণ করতে না পেরে ট্রান্সজেন্ডার হতে চাওয়া অনেক মানুষই অস্ত্রোপচারের অনুমতি পান না।

মিসরে এ সংখ্যা কত, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানও নেই।

অভিযোগ রয়েছে, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মতি ছাড়া কোনো অস্ত্রোপচার হয় না। অথচ কমিটির বৈঠকের কোনো নির্দিষ্ট দিন-তারিখ নেই। ইচ্ছেমতো বৈঠক হয়। দুই বছর ধরে কমিটির প্রধানের পদটিও খালি।

এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি আল-আজহার কর্তৃপক্ষ।

অস্ত্রোপচারের পরের লড়াই

লিঙ্গ নির্ধারণ অস্ত্রোপচারের অনুমতি পেতে যখন লড়ছিলেন, সে সময় চাকরিচ্যুত হন ১৩ বছরের স্কুলশিক্ষক ফরিদা।

এ নিয়ে ফরিদা বলেন, ‘আমার কাছে কোনো টাকা-পয়সা ছিল না। ২০১৬ সালে শেষ অস্ত্রোপচারের আগ পর্যন্ত ছোটখাটো কাজ করে টাকা জমিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।’

ট্রান্সজেন্ডার ফরিদা শোনালেন স্বীকৃতি আদায়ের গল্প
প্রায় ৩০ বছর ধরে সামাজিক স্বীকৃতির জন্য লড়াই করছেন ট্রান্সজেন্ডার নারী ফরিদা রামাদান। ছবি: এএফপি

বর্তমানে কর্মহীন ফরিদা। গত ১৫ বছরে অসংখ্য ছোটখাটো কাজ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সব কাজ থেকেই বাদ দেয়া হয়েছে তাকে।

ফরিদা জানান, প্রতিবেশীরাও তাকে এড়িয়ে চলে। অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে গেলেও হয়রানির শিকার হন তিনি। প্রতিনিয়ত অপমানিত ও লাঞ্ছিত হতে হয় তাকে। যৌন হয়রানির ঘটনাও তার জীবনে অজস্র।

শারীরিক রূপান্তর নিয়ে ফরিদা বলেন, ‘যারা নারী থেকে পুরুষ হয়, তাদেরকে আমাদের তুলনায় অনেক কম পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়। তারা ট্রান্সজেন্ডার নারীদের চেয়ে অনেক বেশি সামাজিক স্বীকৃতি পায়।’

হাল ছাড়বেন না ফরিদা

চার বছর আগে উত্তরের বেহেরিয়া অঞ্চলের এক গ্রামে নিজের জন্য একটি বাড়ি পেয়েছেন ফরিদা। প্রতি মাসে গ্রামবাসী নিজেদের সঞ্চয় থেকে ফরিদাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেন তার খেয়ে-পড়ে বাঁচা নিশ্চিতে।

ফরিদার প্রতিবেশী ওম মেন্না এএফপিকে বলেন, ‘আর সবার মতোই ফরিদাকেও আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন।’

প্রতিবেশীরা ফরিদাকে ‘ওম আলা’ বলে ডাকেন, যার অর্থ ‘আলার মা’। যখন ছোট ছিলেন আর মা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, তখন ভবিষ্যতে সন্তান হলে তার নাম আলা রাখবেন বলেন ভেবেছিলেন ফরিদা। সেখান থেকেই এই ডাক।

ফরিদা বলেন, ‘গ্রামের সবাই আমাকে এই নামেই ডাকে। খুব ভালো লাগে আমার। আমাকে ভালোবাসে এমন কিছু মানুষ আমি পেয়েছি। কিন্তু এখনও সম্মান নিয়ে বাঁচতে আরও অনেকটা পথ যেতে হবে আমাকে।’

নিজের অধিকার আদায়ে মামলার পরিকল্পনা করছেন ফরিদা।

তিনি বলেন, ‘আমি কাজ করতে চাই। নিজের জীবিকা উপার্জন নিজেই করতে চাই। আমি চুপ করে বসে থাকব না। আমি ক্লান্ত। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি।’

ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি মিসরের সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি

গত বছরের মে মাসে মিসরের ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের পক্ষে প্রথম সোচ্চার হন দেশটির প্রবীণ অভিনয়শিল্পী হিশাম সেলিম।

এই শিল্পীর ছেলে নূর নারী থেকে পুরুষ হয়েছেন। এতে বাবা হিসেবে নিজের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান তিনি।

এ ঘটনায় কিছু ভক্ত-অনুসারীর সহানুভূতি পেলেও তুমুল বিতর্কও শুরু হয় তাকে ঘিরে।

২০১৭ সালে ট্রান্সজেন্ডার অধিকারকর্মী সারাহ হেগাজি প্রকাশ্যে সমকামী ও ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতীক হিসেবে রংধনু পতাকা ওড়ানোয় গ্রেপ্তার হন।

বন্দি অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হন তিনি। মুক্তি পাওয়ার পর কানাডায় আশ্রয় নেন। গত বছর তিনি আত্মহত্যা করলে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়।

বেদায়া নামের সংগঠনের অধিকারকর্মী বলেন, “নূর আর ফরিদা কিছুটা জনসমর্থন পেয়েছেন। কারণ সমাজের একটি অংশ বিশ্বাস করে যে নূর, ফরিদার লিঙ্গ পরিবর্তন ‘ভুল সংশোধন’ ছিল। যেহেতু নানা পরীক্ষায় উৎরে তারা প্রশাসনের কাছ থেকে লিঙ্গ পরিবর্তনের অনুমতি পেয়েছেন।”

হেগাজির প্রতি জনসমর্থন জানানোর কারণে নূরের প্রতি জনসমর্থন মুহূর্তের ক্ষোভে পরিণত হয়। নানাভাবে আক্রমণের শিকার হন তিনি।

গত নভেম্বরে ফরিদা রামাদান টেলিভিশনে প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ নেন। সেখানে তিনি আবারও শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের উপার্জিত অর্থে বাঁচতে চাই আমি, অন্যের সাহায্যে নয়। আমি অসুস্থ। নিজের চিকিৎসা নিজেই করাতে চাই। এ জন্য অন্তত আমার আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার অধিকার ফিরে পেতে আমাকে সাহায্য করুন।’

সে সময় মিসরের শিক্ষামন্ত্রী তারেক শাওকি জনগণের প্রতি ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানান।

মিসর সরকারের কোনো প্রতিনিধির সরাসরি এ ধরনের আহ্বান সেটাই ছিল প্রথম।

মন্ত্রী সে সময় ফরিদাকে পূর্ণকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা পূরণ হয়নি।

আরও পড়ুন:
গরিবের বন্ধু ট্রান্সজেন্ডার নাছিমা
লিথুয়ানিয়া-সার্বিয়ায় জেন্ডার বৈষম্য কমেছে
ইন্দোনেশীয় ভাষায় রুমির নারী-জেন্ডার সমতা নিয়ে ভাবনা
জেন্ডার রিভিল পার্টির বিস্ফোরণে কাঁপল নিউ হ্যাম্পশায়ার
দুই বেলা ভাত দেন, আর কিছু চাই না

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রেস-জেন্ডার
Trumps former aide saw Daniels at Trump Tower

ট্রাম টাওয়ারে ড্যানিয়েলসে দেখেছেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী

ট্রাম টাওয়ারে ড্যানিয়েলসে দেখেছেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী স্টর্মি ড্যানিয়েলস। ছবি: সংগৃহীত
হাশ মানি ট্রায়ালের শুনানিতে ট্রাম্পের সাবেক সহকারী রোনা গ্রাফ আদালতকে জানান, তার অস্পষ্টভাবে মনে আছে যে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ থাকা পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে তিনি ট্রাম্প টাওয়ারের ২৬ তলার রিসেপশনে দেখেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাশ মানি ট্রায়ালের অষ্টম দিনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ থাকা পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্পের কার্যালয়ে দেখেছেন বলে আদালতে দাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী রোনা গ্রাফ।

এবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলার শুনানি কার্যক্রমে শুক্রবার দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয় রোনা গ্রাফকে।

ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে ৩৪ বছর কাজ করা গ্রাফ আদালতকে জানান, তার অস্পষ্টভাবে মনে আছে যে তিনি স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্প টাওয়ারের ২৬ তলার রিসেপশনে দেখেছেন।

ট্রাম্পের আইনজীবী অবশ্য এ দাবিকে খারিজ করে দিয়ে আদালতকে বলেন, ওই সময় ট্রাম্প রিয়েলিটি টিভি শো ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’ নিয়ে কাজ করছিলেন। ওই শো-র জন্য অনেককেই নিজের অফিসে ডাকতেন ট্রাম্প।

গ্রাফের পর সাক্ষ্য দিতে আসেন ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের সিনিয়ন ম্যানেজিং ডিরেক্টর গ্যারি ফারো। তিনি জানান, ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে রেসোল্যুশন কনসালট্যান্টস এলএলসি নামে নতুন একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে সাহায্য করেন তিনি।

সরকার পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে এই কোম্পানির মাধ্যমেই কোহেন ট্রাম্পের হয়ে ড্যানিয়েলসকে ১৩০ হাজার ডলার দিয়েছেন। এটিই ‘হাশ মানি’ হিসেবে পরিচিত।

এদিন শুনানির শুরুতে চতুর্থবারের মতো আদালতে হাজির হন ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়্যারারের প্রকাশক ডেভিড পেকার। তাকেও নানাভাবে প্রশ্ন করেন দু’পক্ষের আইনজীবীরা।

পেকার জানান, ২০১৫ সালে ট্রাম্প টাওয়ারে এক আলোচনার পর তিনি এনকোয়্যারার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নেতিবাচক প্রতিবেদন সম্পর্কে আগে থেকেই কোহেনকে অবহিত করতে রাজি হন।

পেকার এও দাবি করেন যে ট্রাম্প টাওয়ারের ওই বৈঠকে তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন অর্থের বিনিময়ে না ছাপতে দেয়া বা ‘ক্যাচ অ্যান্ড কিল’ কৌশল নিয়ে আলোচনা করেননি।

তিনদিন বিরতি শেষে মঙ্গলবার পুনরায় এই মামলার শুনানি শুরু হবে।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের
ট্রাম্পের আবেদন বাতিল

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Qatar will give 3 million dollars to the human rights organization of Ukraine

ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থাকে ৩০ লাখ ডলার দেবে কাতার

ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থাকে ৩০ লাখ ডলার দেবে কাতার কাতারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ললওয়াহ আল-খাতের গত ২৪ এপ্রিল দোহায় ইউক্রেনের শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানান। ছবি: এএফপি
শিশু, সহিংসতায় আক্রান্ত নাগরিকসহ ইউক্রেনের সর্বসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগে সহায়তার অংশ হিসেবে কাতার এ অর্থ দিচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইউক্রেনের পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনারের কার্যালয়কে ৩০ ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাতার।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটির ‘কল্যাণ ও সুরক্ষা’য় সহায়তার জন্য এ অর্থ দেয়া হচ্ছে বলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, শিশু, সহিংসতায় আক্রান্ত নাগরিকসহ ইউক্রেনের সর্বসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগে সহায়তার অংশ হিসেবে কাতার এ অর্থ দিচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়টির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনে সংঘাতপীড়িত পরিবারগুলোকে সাহায্যের জন্য ক্রমবর্ধমান আইনি সহায়তা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এ অর্থ।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, মানুষের মর্যাদাকে সম্মান করা হয় এবং প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকারের সুরক্ষা দেয়া হয়, এমন বিশ্ব গড়ে তোলার প্রয়াসের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থাটি।

এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানান, কাতারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ হামলার পর জোর করে রাশিয়ায় পাঠানো ইউক্রেনীয় ১৬ শিশু।

জেলেনস্কি বুধবার জানান, কাতারের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সুবাদে শিশুরা মুক্ত হয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছে।

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত
ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে
কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়
ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা এলেই পারমাণবিক যুদ্ধ: পুতিন
ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না ন্যাটো

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Two CRPF personnel killed two injured in attack in Manipur

মণিপুরে হামলায় দুই সিআরপিএফ সদস্য নিহত, দুজন আহত

মণিপুরে হামলায় দুই সিআরপিএফ সদস্য নিহত, দুজন আহত ভারতের মণিপুরে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য। ছবি: এনডিটিভি
পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানায়, মণিপুরে সংকট শুরুর প্রথম বার্ষিকীর ছয় দিন আগে এ হামলা হলো। পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হামলা আগামী দিনগুলোতে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় হামলায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) দুই সদস্য নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয়, যেটি জঙ্গিরা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের একটি দল নারানসেইনা গ্রামের পাহাড়ি অংশ থেকে উপত্যকা অঞ্চলের দিকে সিআরপিএফের চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর জবাবে সিআরপিএফ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এরই মধ্যে চৌকিতে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বাহিনীর চার সদস্য।

এ চারজনকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলেও দুজনের মৃত্যু হয়। অপর দুজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানায়, মণিপুরে সংকট শুরুর প্রথম বার্ষিকীর ছয় দিন আগে এ হামলা হলো। পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হামলা আগামী দিনগুলোতে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রাণ হারানো দুই সিআরপিএফ সদস্য ১২৮ ব্যাটালিয়নের হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন, যাদের কর্মস্থল ছিল নারানসেইনা এলাকায়। এ দুজন হলেন উপপরিদর্শক এন সরকার ও প্রধান কনস্টেবল অরূপ সাইনি।

আহত দুজন হলেন পরিদর্শক যাদব দাস ও কনস্টেবল আফতাব দাস।

হামলাকারীরা শুক্রবার মধ্যরাতে হামলা শুরু করে বলে খবর পাওয়া যায়, যেটি চলে রাত সোয়া দুইটা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন:
ভারতে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন: শীর্ষ ধনী প্রার্থীর ৬২২ কোটি রুপির সম্পদ
ভোটকেন্দ্রে টানতে ভারতে ‘ফ্রি বিয়ার’
ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ
মুসলিমদের জড়িয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ মোদির, সমালোচনার ঝড়
মালদ্বীপের নির্বাচনে ভারতবিরোধী মুইজ্জুর দলের বিশাল জয়

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
The wealth of the richest candidate in Indias second phase election is Rs 622 crore

ভারতে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন: শীর্ষ ধনী প্রার্থীর ৬২২ কোটি রুপির সম্পদ

ভারতে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন: শীর্ষ ধনী প্রার্থীর ৬২২ কোটি রুপির সম্পদ ভেঙ্কটরমন গৌড়া। ছবি: এনডিটিভি
লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে কম সম্পদ নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন নাগোরাও পাটিল। মহারাষ্ট্রের নান্দেদ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার সম্পদ রয়েছে ৫০০ রুপি এবং কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই।

ভারতের ১৩ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এর আগে ভারতের ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট শুরু হয় ১৯ এপ্রিল।

দ্বিতীয় দফার ভোটে সবচেয়ে বেশি ও সবচেয়ে কম সম্পদ নিয়ে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের তথ্য দিয়ে শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী হলেন কর্নাটকের কংগ্রেস প্রার্থী ভেঙ্কটরমন গৌড়া। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা অনুযায়ী, ৬২২ কোটি রুপি সমমূল্যের সম্পদ রয়েছে তার। তিনি এ নির্বাচনে এইচডি কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন।

দ্বিতীয় ধনী প্রার্থী হলেন কংগ্রেসের ডিকে সুরেশ। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৯৩ কোটি রুপি। ডিকে সুরেশ বেঙ্গালুরু গ্রামীণ আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন।

তৃতীয় ধনী প্রার্থী হলেন বিজেপি নেত্রী এবং অভিনেত্রী হেমা মালিনী। তিনি মথুরা লোকসভা আসন থেকে লড়ছেন। তার সম্পদের পরিমাণ ২৭৮ কোটি রুপি। মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় শর্মা চতুর্থ ধনী প্রার্থী, তার সম্পদের পরিমাণ ২৩২ কোটি রুপি।

সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে কম যাদের

লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে কম সম্পদ নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন নাগোরাও পাটিল। মহারাষ্ট্রের নান্দেদ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার সম্পদ রয়েছে ৫০০ রুপি এবং তার কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই।

এরপরেই আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজেশ্বরী কেআর। তিনি কেরালার কাসারাগড় আসন থেকে লড়ছেন। তার সম্পদের পরিমাণ ১০০০ রুপি।

২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লোকসভায় ৩৫৩টি আসন পায় এনডিএ, যেখানে বিজেপির একক আসনের সংখ্যা ৩০৩টি।

ভারতে এবার ১৮তম লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে, যার ব্যাপ্তিকাল ৪৪ দিন। দেশটিতে মোট সাত দফায় এ ভোট হবে। লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট ১ জুন।

আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
উপজেলা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ ৫ জুন
উপজেলা ভোটে প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
ভোটের মাঠে উপজেলা প্রতি থাকছে ২-৪ প্লাটুন বিজিবি

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
We are ashamed to see the progress of Bangladesh Pakistan PM

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ছবি: সংগৃহীত
শাহবাজ শরিফ বলেন, “যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে।”

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়।

দেশটির ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

তিনি বলেছেন, “যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমি লজ্জিত হই। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনও অনেক পিছিয়ে আছে।”

সময়ের পরিক্রমায় সেই ‘বোঝা’র জনপদ এখন উন্নতির নানান সূচকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানকে।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে, কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গত বুধবার সিন্ধ সিএম হাউসে একটি মতবিনিময় সভা করেন শাহবাজ শরিফ।

সে সভায় মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শাহবাজ শরিফ বলেন, “আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম...তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।”

এদিকে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গেও ব্যবসাবিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সঙ্কটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য দেশটির ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

এ ছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার’ জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শাহবাজ।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Russia vetoes proposal to ban nuclear weapons in space

মহাকাশে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো

মহাকাশে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বুধবার ভোটাভুটির পর তার বক্তব্যে রাশিয়ার উদ্দেশে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘কেন? আপনি যদি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে কেন এমন একটি প্রস্তাব সমর্থন করবেন না? আপনি কী লুকাতে পারেন? এটা বিস্ময়কর এবং এটি লজ্জাজনক।’

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অপরদিকে রাশিয়া ও চীনের উত্থাপিত সংশোধনী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে পরিষদ।

মস্কো স্যাটেলাইট ধ্বংস করতে সক্ষম এমন একটি পারমাণবিক ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সমর্থিত উদ্বেগের মধ্যে বুধবার এমন প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল।

রাশিয়ার অ্যাম্বাসেডর ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জাতিসংঘের খসড়াটিকে একটি ‘নোংরা প্রদর্শনী’ এবং প্রস্তাবের সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তৈরি করা ‘খামখেয়ালি চাল’ বলে বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ফেব্রুয়ারিতে নিশ্চিত করে বলেন, রাশিয়া স্যাটেলাইট বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন করছে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে জড়িত তিনটি সূত্র পরে সিএনএনকে জানায়, এই অস্ত্র বিস্ফোরিত হয়ে ব্যাপক শক্তির তরঙ্গ তৈরি করে স্যাটেলাইটকে ধ্বংস করতে পারে।

জাতিসংঘে ভোটাভুটির আগে যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, ওই প্রস্তাবে ভেটো দিলে বুঝতে হবে রাশিয়া কিছু গোপন করার চেষ্টা করছে।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বুধবার ভোটাভুটির পর তার বক্তব্যে এসব দাবির প্রতিধ্বনি করেন।

প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘কেন? আপনি যদি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে কেন এমন একটি প্রস্তাব সমর্থন করবেন না? আপনি কী লুকাতে পারেন? এটা বিস্ময়কর এবং এটি লজ্জাজনক।’

ভোটাভুটির সময় চীনের অনুপস্থিতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বেইজিং দেখিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী বিস্তার রোধ ব্যবস্থাকে রক্ষা করার পরিবর্তে তারা বরং রাশিয়াকে তাদের অংশীদার হিসেবে রক্ষা করবে।’

থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘বুধবারের ভোটে অনুপস্থিতি বিদ্যমান অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বাধ্যবাধকতার ওপর অতিপ্রয়োজনীয় আস্থা পুনর্নির্মাণের একটি সত্যিকারের সুযোগ হারানো।’

যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের খসড়া প্রস্তাব ৬০টিরও বেশি সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে আন্তঃআঞ্চলিক সমর্থন পেয়েছে।

জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপনের জন্য পরিকল্পিত পারমাণবিক অস্ত্র বা গণবিধ্বংসী অন্যান্য অস্ত্র তৈরি না করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Free beer in India to attract polling booths
ভারতের লোকসভা নির্বাচন

ভোটকেন্দ্রে টানতে ভারতে ‘ফ্রি বিয়ার’

ভোটকেন্দ্রে টানতে ভারতে ‘ফ্রি বিয়ার’ প্রতীকী ছবি
ভোটারদের ভোটের মাঠে আকৃষ্ট করতে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে ব্যাঙ্গালুরুর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ভোট দেয়ার পুরস্কার হিসেবে সেখানে হোটেল, ট্যাক্সি পরিষেবা এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রণোদনা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। দেশের নাগরিকদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি।

দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুতে নাগরিকদের ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে অনেক কোম্পানি বিনামূল্যে খাবার থেকে শুরু করে ফ্রিতে ট্যাক্সি পর্যন্ত অফার করেছে।

প্রতিবারই কম ভোটার উপস্থিতির জন্য খবরের শিরোনাম হয় কর্ণাটক রাজ্যের শহর বেঙ্গালুরু। তাই ভোটারদের ভোটের মাঠে আকৃষ্ট করতে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ভোট দেয়ার পুরস্কার হিসেবে সেখানে হোটেল, ট্যাক্সি পরিষেবা এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রণোদনা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এসব সুবিধার মধ্যে ফ্রি বিয়ার, বিনামূল্যে ট্যাক্সি রাইড এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার মতো সুবিধাকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করছে বিবিসি।

এছাড়া আঙুলে ভোটের কালি দেখাতে পারলে অনেক হোটেল ক্রেতাদের বিনামূল্যে খাবার খাওয়াবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।

বুধবার নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন না করার শর্তে স্থানীয় হোটেল মালিক সমিতিকে ফ্রিতে বা বিশেষ ছাড়ে খাবার বিক্রির অনুমতি দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

এ বিষয়ে ব্যাঙ্গালুরুর হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি পিসি রাও ডেইলি মিররকে বলেন, ‘ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে হোটেলগুলো বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে। কেউ কেউ বিনামূল্যে কফি, ডোসা দেবে। আবার কেউ কেউ গরমে ভোটারদের জুস খাওয়াবে। কিছু হোটেল তো খাবারের ওপর বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে।’

ভোটকেন্দ্রে টানতে ভারতে ‘ফ্রি বিয়ার’

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটক রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে দক্ষিণ ব্যাঙ্গালুরুতে। সেবার ওই নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারদের ৫৩.৭ শতাংশ নাগরিক ভোট দিয়েছিলেন।

ব্যাঙ্গালুরুর জনপ্রিয় পার্ক ‘ওয়ান্ডারলা’ ভোটারদের জন্য টিকিটে বিশেষ মূল্যছাড় দিয়েছে। অন্যদিকে ভোট দিয়ে আসা প্রথম পঞ্চাশ জন ক্রেতাকে বিনামূল্যে বিয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ‘ডেক অফ ব্রুস’ নামের একটি পানশালা।

স্থানীয় রাইড শেয়ার অ্যাপ ‘ব্লু-স্মার্ট’ ভোটকেন্দ্রের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোটারদের রাইডে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। এছাড়া ‘র‌্যাপিডো’ নামের ট্যাক্সি শেয়ারিং কোম্পানি ভোটারদের বিনামূল্যে রাইড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

মিস্টার ফিলি’স নামের একটি ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ প্রথম ১০০ জন ভোটারকে বার্গার ও মিল্কশেকের ওপর ৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘এটি আসলে নাগরিকদের ভোটের গুরুত্ব বোঝানো এবং আমাদের গণতন্ত্র উদযাপনের উপায়।’

তিনি বলেন, ‘আশা করছি, এই উদ্যোগটি ব্যাঙ্গালুরুর নাগরিকদের মধ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও পরিবর্তন আনতে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।’

উল্লেখ্য, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রথম দফা নির্বাচনে সব রাজ্যে গড়ে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে শুক্রবার ভোটগ্রহণ হবে।

এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে সাত ধাপে, চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হবে আগামী ১ জুন এবং ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে