× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রেস-জেন্ডার
মিসরে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের মর্যাদার লড়াই
google_news print-icon

ট্রান্সজেন্ডার ফরিদা শোনালেন স্বীকৃতি আদায়ের গল্প

ট্রান্সজেন্ডার-ফরিদা-শোনালেন-স্বীকৃতি-আদায়ের-গল্প
মিসরের ট্রান্সজেন্ডার নারী ফরিদা রামাদান। ছবি: এএফপি
বয়স ২০ বছর পার হওয়ার পর ঘর-পরিবার ছাড়েন ফরিদা। লিঙ্গ নির্ধারণ অস্ত্রোপচার জিসিএসের জন্য প্রশাসনের কাছ অনুমতি আদায়ে তার দীর্ঘ লড়াই শুরু হয় ২০০০ সালে। শেষ পর্যন্ত ছুরিকাঁচির নিচে তিনি গিয়েছেন আরও ১৫ বছর পর।

আফ্রিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দেশ মিসরের ট্রান্সজেন্ডার নারী ফরিদা রামাদান। রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি।

লৈঙ্গিক ও জেন্ডার পরিচয়ের জেরে সৃষ্ট সামাজিক বৈষম্য বন্ধে তার লড়াই। সবার মতো সমান অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করতে চান। এ লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সে লড়াইয়ের গল্প বলেছেন ফরিদা।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষাৎকারে মিসরে বেশিরভাগ মানুষ এলজিবিটিকিউ (লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার) সম্প্রদায়ের প্রতি হীন ধারণা পোষণ করেন বলে জানান ফরিদা।

সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় মাথায় রঙিন স্কার্ফ, চোখে আইলাইনার আর ঠোঁটে লাল লিপস্টিক পরেছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ট্রান্সজেন্ডার নারী।

তিনি জানান, মিসরের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত দামিয়েত্তা শহরে ছেলে হিসেবে বেড়ে ওঠা শুরু তার। কৈশোরের শুরুতে পরিবারকে জানান, নিজেকে ছেলে মনে করেন না তিনি।

ফরিদা বলেন, ‘চরম অবজ্ঞা আর অকল্পনীয় তুচ্ছতাচ্ছিল্যের শিকার হয়েছিলাম আমি।’

বয়স ২০ বছর পার হওয়ার পর ঘর-পরিবার ছাড়েন ফরিদা। লিঙ্গ নির্ধারণ অস্ত্রোপচার জিসিএসের জন্য প্রশাসনের কাছ অনুমতি আদায়ে তার দীর্ঘ লড়াই শুরু হয় ২০০০ সালে। শেষ পর্যন্ত ছুরিকাঁচির নিচে তিনি গিয়েছেন আরও ১৫ বছর পর।

অস্ত্রোপচারের অনুমতি পাওয়ার চ্যালেঞ্জ

মিসরে সমকামী ও ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বেদায়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জানান, দেশটিতে ট্রান্সজেন্ডারদের স্বীকৃতি নেই। দেশটিতে লৈঙ্গিক পরিবর্তনের অস্ত্রোপচারের জন্য ইজিপশিয়ান মেডিক্যাল সিন্ডিকেটের অনুমতি দরকার হয়।

সিন্ডিকেট গঠিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় নেতাদের সমন্বয়ে। ধর্মীয় অনুশাসন বা ফতোয়ার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয় এই কমিটি।

আর ধর্মীয় অনুশাসনে শুধু ‘শারীরিক অবস্থা’ বিবেচনায় এ অস্ত্রোপচারের অনুমতি মেলে। ‘মানসিক চাহিদা’ এ ক্ষেত্রে বিবেচনাযোগ্য হিসেবে ধরা হয় না।

অনুমতি দেয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে আবেদনকারীর রক্ত ও হরমোন পরীক্ষা, আর ক্রোমোসোম বিশ্লেষণ করা হয়। একই সঙ্গে পরবর্তী দুই বছর তাকে মানসিক ও নানা রকম হরমোন চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

এসব শর্ত পূরণ করতে না পেরে ট্রান্সজেন্ডার হতে চাওয়া অনেক মানুষই অস্ত্রোপচারের অনুমতি পান না।

মিসরে এ সংখ্যা কত, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানও নেই।

অভিযোগ রয়েছে, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মতি ছাড়া কোনো অস্ত্রোপচার হয় না। অথচ কমিটির বৈঠকের কোনো নির্দিষ্ট দিন-তারিখ নেই। ইচ্ছেমতো বৈঠক হয়। দুই বছর ধরে কমিটির প্রধানের পদটিও খালি।

এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি আল-আজহার কর্তৃপক্ষ।

অস্ত্রোপচারের পরের লড়াই

লিঙ্গ নির্ধারণ অস্ত্রোপচারের অনুমতি পেতে যখন লড়ছিলেন, সে সময় চাকরিচ্যুত হন ১৩ বছরের স্কুলশিক্ষক ফরিদা।

এ নিয়ে ফরিদা বলেন, ‘আমার কাছে কোনো টাকা-পয়সা ছিল না। ২০১৬ সালে শেষ অস্ত্রোপচারের আগ পর্যন্ত ছোটখাটো কাজ করে টাকা জমিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।’

ট্রান্সজেন্ডার ফরিদা শোনালেন স্বীকৃতি আদায়ের গল্প
প্রায় ৩০ বছর ধরে সামাজিক স্বীকৃতির জন্য লড়াই করছেন ট্রান্সজেন্ডার নারী ফরিদা রামাদান। ছবি: এএফপি

বর্তমানে কর্মহীন ফরিদা। গত ১৫ বছরে অসংখ্য ছোটখাটো কাজ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সব কাজ থেকেই বাদ দেয়া হয়েছে তাকে।

ফরিদা জানান, প্রতিবেশীরাও তাকে এড়িয়ে চলে। অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে গেলেও হয়রানির শিকার হন তিনি। প্রতিনিয়ত অপমানিত ও লাঞ্ছিত হতে হয় তাকে। যৌন হয়রানির ঘটনাও তার জীবনে অজস্র।

শারীরিক রূপান্তর নিয়ে ফরিদা বলেন, ‘যারা নারী থেকে পুরুষ হয়, তাদেরকে আমাদের তুলনায় অনেক কম পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়। তারা ট্রান্সজেন্ডার নারীদের চেয়ে অনেক বেশি সামাজিক স্বীকৃতি পায়।’

হাল ছাড়বেন না ফরিদা

চার বছর আগে উত্তরের বেহেরিয়া অঞ্চলের এক গ্রামে নিজের জন্য একটি বাড়ি পেয়েছেন ফরিদা। প্রতি মাসে গ্রামবাসী নিজেদের সঞ্চয় থেকে ফরিদাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেন তার খেয়ে-পড়ে বাঁচা নিশ্চিতে।

ফরিদার প্রতিবেশী ওম মেন্না এএফপিকে বলেন, ‘আর সবার মতোই ফরিদাকেও আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন।’

প্রতিবেশীরা ফরিদাকে ‘ওম আলা’ বলে ডাকেন, যার অর্থ ‘আলার মা’। যখন ছোট ছিলেন আর মা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, তখন ভবিষ্যতে সন্তান হলে তার নাম আলা রাখবেন বলেন ভেবেছিলেন ফরিদা। সেখান থেকেই এই ডাক।

ফরিদা বলেন, ‘গ্রামের সবাই আমাকে এই নামেই ডাকে। খুব ভালো লাগে আমার। আমাকে ভালোবাসে এমন কিছু মানুষ আমি পেয়েছি। কিন্তু এখনও সম্মান নিয়ে বাঁচতে আরও অনেকটা পথ যেতে হবে আমাকে।’

নিজের অধিকার আদায়ে মামলার পরিকল্পনা করছেন ফরিদা।

তিনি বলেন, ‘আমি কাজ করতে চাই। নিজের জীবিকা উপার্জন নিজেই করতে চাই। আমি চুপ করে বসে থাকব না। আমি ক্লান্ত। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি।’

ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি মিসরের সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি

গত বছরের মে মাসে মিসরের ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের পক্ষে প্রথম সোচ্চার হন দেশটির প্রবীণ অভিনয়শিল্পী হিশাম সেলিম।

এই শিল্পীর ছেলে নূর নারী থেকে পুরুষ হয়েছেন। এতে বাবা হিসেবে নিজের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান তিনি।

এ ঘটনায় কিছু ভক্ত-অনুসারীর সহানুভূতি পেলেও তুমুল বিতর্কও শুরু হয় তাকে ঘিরে।

২০১৭ সালে ট্রান্সজেন্ডার অধিকারকর্মী সারাহ হেগাজি প্রকাশ্যে সমকামী ও ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতীক হিসেবে রংধনু পতাকা ওড়ানোয় গ্রেপ্তার হন।

বন্দি অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হন তিনি। মুক্তি পাওয়ার পর কানাডায় আশ্রয় নেন। গত বছর তিনি আত্মহত্যা করলে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়।

বেদায়া নামের সংগঠনের অধিকারকর্মী বলেন, “নূর আর ফরিদা কিছুটা জনসমর্থন পেয়েছেন। কারণ সমাজের একটি অংশ বিশ্বাস করে যে নূর, ফরিদার লিঙ্গ পরিবর্তন ‘ভুল সংশোধন’ ছিল। যেহেতু নানা পরীক্ষায় উৎরে তারা প্রশাসনের কাছ থেকে লিঙ্গ পরিবর্তনের অনুমতি পেয়েছেন।”

হেগাজির প্রতি জনসমর্থন জানানোর কারণে নূরের প্রতি জনসমর্থন মুহূর্তের ক্ষোভে পরিণত হয়। নানাভাবে আক্রমণের শিকার হন তিনি।

গত নভেম্বরে ফরিদা রামাদান টেলিভিশনে প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ নেন। সেখানে তিনি আবারও শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের উপার্জিত অর্থে বাঁচতে চাই আমি, অন্যের সাহায্যে নয়। আমি অসুস্থ। নিজের চিকিৎসা নিজেই করাতে চাই। এ জন্য অন্তত আমার আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার অধিকার ফিরে পেতে আমাকে সাহায্য করুন।’

সে সময় মিসরের শিক্ষামন্ত্রী তারেক শাওকি জনগণের প্রতি ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানান।

মিসর সরকারের কোনো প্রতিনিধির সরাসরি এ ধরনের আহ্বান সেটাই ছিল প্রথম।

মন্ত্রী সে সময় ফরিদাকে পূর্ণকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা পূরণ হয়নি।

আরও পড়ুন:
গরিবের বন্ধু ট্রান্সজেন্ডার নাছিমা
লিথুয়ানিয়া-সার্বিয়ায় জেন্ডার বৈষম্য কমেছে
ইন্দোনেশীয় ভাষায় রুমির নারী-জেন্ডার সমতা নিয়ে ভাবনা
জেন্ডার রিভিল পার্টির বিস্ফোরণে কাঁপল নিউ হ্যাম্পশায়ার
দুই বেলা ভাত দেন, আর কিছু চাই না

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রেস-জেন্ডার
Nobel Prize for Economics

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ জন

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ জন

চলতি ২০২৫ সালের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন অর্থনীতিবিদ—জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। উদ্ভাবন নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যা করার জন্য তারা এ পুরস্কার পেয়েছেন।
এই তিন অর্থনীতিবিদের মধ্যে অর্ধেক পুরস্কার পেয়েছেন জোয়েল মোকির। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্তগুলো শনাক্ত করার জন্য তিনি পুরস্কার পেয়েছেন। ‘সৃজনশীল বিনাশ’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব দেওয়ার জন্য বাকি অর্ধেক পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছেন ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। রয়টার্সের তথ্যানুসারে, এই পুরস্কারের মূল্যমান ১২ লাখ ডলার।
বিবৃতিতে নোবেল কমিটি বলেছে, নোবেলজয়ীরা আমাদের শিখিয়েছেন—সব সময় প্রবৃদ্ধি হবে, এটা কখনোই নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায় না। মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রবৃদ্ধি নয়, বরং স্থবিরতাই ছিল স্বাভাবিক অবস্থা। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সম্ভাব্য হুমকিগুলো চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা করতে হবে।
ঐতিহাসিক উপাত্ত ও দলিল ব্যবহার করে মোকির দেখিয়েছেন, কীভাবে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবন একসময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নিয়মিত বিষয়ে পরিণত করেছে। অন্যদিকে আগিয়োঁ ও হাউইট সেই প্রবৃদ্ধির অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন। ১৯৯২ সালের এক প্রবন্ধে তারা গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন, যখন নতুন ও উন্নত কোনো পণ্য বাজারে আসে, তখন পুরোনো পণ্য বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে টিকে থাকতে পারে না। এই প্রক্রিয়াই অর্থনীতিতে ‘সৃজনশীল বিনাশ’ নামে পরিচিত। অর্থাৎ পুরোনো ব্যবস্থার ভেতর থেকেই নতুন উদ্ভাবন হয়।
পুরস্কারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধারাবাহিকভাবে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে, গত দুই শতকের ইতিহাসে তা প্রথম দেখা গেছে। এর ধারাবাহিকতায় কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছে। সেই মানুষেরাই আজকের সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে তুলেছে।
চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট দেখিয়েছেন, উদ্ভাবনই ভবিষ্যৎ অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি। তাদের গবেষণা মনে করিয়ে দেয়—অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্বয়ংক্রিয় বা নিশ্চিত প্রক্রিয়া নয়।
অর্থনীতির এই পুরস্কার মূল নোবেল পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত নয়। ১৯৬৯ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোবেল পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে এই পুরস্কার চালু করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন। আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অর্থনীতিতে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুরস্কার—এটাই এই পুরস্কারের কেতাবি নাম।
সবচেয়ে বেশি বয়সে এই পুরস্কার পেয়েছেন লিওনিড হারউইচ। ২০০৭ সালে এই পুরস্কার পাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৯০ বছর। তিনি আরও দুজনের সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। সবচেয়ে কম বয়সে (৪৬) এই পুরস্কার পেয়েছেন এস্থার দুফলো। ২০১৯ সালে স্বামী অভিজিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পান তিনি।

এবারের বিজয়ীদের পরিচয়
জোয়েল মকিয়র যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। তিনি পুরস্কারের অর্ধেক ভাগ পেয়েছেন। অন্য অর্ধেক ভাগ ভাগাভাগি করেছেন ফিলিপ আজিওন ও পিটার হাওয়িট।
আজিওন বর্তমানে প্যারিসের কোলেজ দ্য ফ্রঁস ও ইনসিয়াড এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিকাল সায়েন্সে অধ্যাপনা করছেন। হাওয়িট যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক।
নোবেল কমিটির সদস্য জন হ্যাসলার বলেন, ‘জোয়েল মকিয়র ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর নির্ভরশীল টেকসই প্রবৃদ্ধির উপাদানগুলো চিহ্নিত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিপ আজিওন ও পিটার হাওয়িট ‘ক্রিয়েটিভ ডেস্ট্রাকশন’-এর একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছেন — এটি এমন এক অন্তহীন প্রক্রিয়া যেখানে নতুন ও উন্নত পণ্য পুরনোকে প্রতিস্থাপন করে।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Trumps speech while hesitated in Israels parliament

ট্রাম্প ভাষণ দেওয়ার সময় ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

* ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ স্লোগান
ট্রাম্প ভাষণ দেওয়ার সময় ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

গাজা শান্তি চুক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইসরায়েলি পার্লামেন্টে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে। একজন আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের দিকে চিৎকার করে ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ স্লোগান দেন। শুধু তাই নয়, তিনি ট্রাম্পকে ‘সন্ত্রাসী’ বলেও বর্ণনা করেন।
গতকাল সোমবার বিরল এই ঘটনার পর দুই এমপিকে পার্লামেন্ট থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়।
জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প তার ভাষণের সময় যখন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের প্রশংসা করছিলেন, তখন হাদাশ পার্টির প্রধান আয়মান ওদেহ এবং দলের একজন সদস্য ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ লেখা প্ল্যাকার্ড ধরে রাখেন।
পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়ার জবাবে ওদেহ বলেছেন, তিনি সবচেয়ে মৌলিক দাবি উত্থাপন করেছেন। এটি এমন একটি দাবি, যার সঙ্গে সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একমত: একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া।
নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা এই হট্টগোলের জন্য ট্রাম্পের কাছে তাৎক্ষণিক ক্ষমা চেয়েছেন। ওহানা বলেন, ‘এর জন্য দুঃখিত, মি. প্রেসিডেন্ট।’
ইসরায়েলি এমপি এবং আরেক সদস্যকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যখন বের করে দিচ্ছিলেন, তখন ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, কর্মকর্তারা ‘খুবই দক্ষ’। এটি শুনে অন্যান্য সংসদ সদস্যরা হেসে ওঠেন।
এদিকে, পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া আগে নিজের বক্তৃতায় ওদেহ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেন, ‘নেসেটে ভণ্ডামির মাত্রা অসহনীয়।’
তিনি বলেন, নজিরবিহীন তোষামোদের মাধ্যমে নেতানিয়াহুকে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত করলেই তাকে বা তার সরকারকে গাজায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। এমনকি লাখ লাখ ফিলিস্তিনি এবং হাজার হাজার ইসরায়েলি নিহতদের রক্তপাতের দায় থেকেও মুক্তি দেওয়া যাবে না।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
The president of Madagascar fled the country in the Jane G protest

জেন-জি বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

জেন-জি বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

জেন-জি নেতৃত্বাধীন রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। গতকাল সোমবার বিভিন্ন সূত্রের বরাতে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা সিতেনি র‍্যান্ড্রিয়ানাসোলোনিয়িকো রয়টার্সকে জানান, সেনাবাহিনীর কিছু ইউনিট বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর রোববার রাজোয়েলিনা মাদাগাস্কার ত্যাগ করেন।
সিতেনি বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্সির কর্মীদের ফোন করেছিলাম। তারা নিশ্চিত করেছে, তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন।’
এর আগে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলেছিল, রাজোয়েলিনা গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তবে তার বর্তমান অবস্থান অজানা।
একটি সামরিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, রাজোয়েলিনা রোববার একটি ফরাসি সামরিক বিমানে দেশত্যাগ করেছেন।

ফরাসি রেডিও আরএফআই জানিয়েছে, রাজোয়েলিনা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, মাদাগাস্কারের সেন্ট মেরি বিমানবন্দরে একটি ফরাসি সেনাবাহিনীর বিমান অবতরণ করেছিল। এর পাঁচ মিনিট পরে একটি হেলিকপ্টার এসে রাজোয়েলিনাকে সেটিতে স্থানান্তর করে।

সাবেক ফরাসি উপনিবেশ দেশটিতে ২৫ সেপ্টেম্বর পানি ও বিদ্যুৎ সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু দ্রুতই তা দুর্নীতি, খারাপ শাসন এবং মৌলিক পরিষেবার অভাবসহ বিস্তৃত অভিযোগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পরিণত হয়।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
In Nepal more than 5 prisoners were missing in Nepal

নেপালে জেল ভেঙে পালানো ৫৫০০ জনেরও বেশি বন্দী ‘নিখোঁজ’

নেপালে জেল ভেঙে পালানো ৫৫০০ জনেরও বেশি বন্দী ‘নিখোঁজ’

নেপালে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে জেন-জি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৫ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি বন্দীকে এখনো খুঁজছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম খবরহাব এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫ হাজার ৫৪৭ জন পলাতক এখনো পলাতক। পুলিশ ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৯ হাজার ৮ জন বন্দীকে আটক করেছে।
মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, বাকি পলাতকদের সন্ধান তীব্র গতিতে চলছে। মন্ত্রণালয় পলাতকদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে।
এর আগে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, অস্থিরতার সময় প্রায় ১ হাজার নাবালকসহ ১৪ হাজারেরও বেশি বন্দি কারাগার থেকে পালিয়ে যায়।
কাঠমান্ডু পোস্ট উল্লেখ করেছে, পলাতকদের মধ্যে খুন, ধর্ষণ, অপহরণ এবং মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। তাদের খুঁজে বের করে আটক করার জন্য সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে।
আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছিলেন, পলাতকরা জননিরাপত্তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি। তারা অপরাধমূলক গ্রুপ গঠন করতে পারে। বিশৃঙ্খলার সময় অফিস এবং ব্যারাক থেকে ১২০০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় ১ লাখ রাউন্ড গুলি চুরি করা হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে কাঠমান্ডু এবং নেপালের অন্যান্য শহরে দুর্নীতি ও সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। এর নেতৃত্বে মূলত জেনারেশন-জেড ছাত্র এবং কর্মীরা ছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রসিকিউটরের অফিসসহ সরকারি ভবনগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তাদের বাড়িতে হামলা করে। দেশজুড়ে সহিংসতায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়।
১২ সেপ্টেম্বর নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান নিযুক্ত করা হয়। তিনি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে শীর্ষ এই পদে অধিষ্ঠিত হন।
কার্কি বলেছেন, বর্তমান সরকার ছয় মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকবে না। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Hamas released Israeli hostages

ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিল হামাস

ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিল হামাস

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বন্দি থাকা জীবিত বাকি ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির হাতে তুলে দিয়েছে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সোমবার সকাল আটটার পর বন্দি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকা থেকে এসব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই রেডক্রসের গাড়িগুলো তাদের সংগ্রহ করে গাজায় অবস্থানরত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দেবে। এদিন মুক্তি পাওয়া বন্দিদের দ্বিতীয় দল তারা।
বন্দিদের দ্বিতীয় এই দলটিকে হামাস রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, এদিন সকালে প্রথম ৭ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। মুক্তি পাওয়া ওই ইসরায়েলিদের গাজার সীমান্ত পার করে নিজ দেশে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ইসরায়েলের এক সামরিক ঘাঁটিতে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার করা হয়।
এরপর গাজায় হামাসের বন্দিশালায় ৭৩৮ দিন কাটানোর পর ইসরায়েলে ফেরা এসব বন্দিরা নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবেন। নতুন মুক্তি পাওয়া ১৩ বন্দিকেও একই প্রক্রিয়ায় ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আরও ৪৮ বন্দির মৃতদেহ আছে হামাসের কাছে। সেগুলোও আজকের মধ্যেই রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

জিম্মি মুক্তির খবরে তেলআবিবে উচ্ছ্বাস-অশ্রু
এদিকে জিম্মি মুক্তির খবরে তেলআবিবে জড়ো হওয়া মানুষের মধ্যে অশ্রুসজল উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে আনন্দের পাশাপাশি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সাত জিম্মি কিছুক্ষণ আগে সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন। তারা এখন প্রাথমিক অভ্যর্থনা কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছেন।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ওই কেন্দ্রেই তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হবেন। ওদিকে ‘দ্য হোস্টেজ ও মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ওয়েলকাম হোম’ পোস্ট করে মুক্তি পাওয়াদের স্বাগত জানিয়েছে। এ সংগঠনটি জিম্মি মুক্তির দাবিতে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে আসছিল।
আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। শেষ জিম্মির অবস্থান শনাক্ত ও যথাযথ দাফনের জন্য ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম শেষ হবে না। এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, বলেছে সংগঠনটি।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Iran suspends the nuclear deal with the United Nations

জাতিসংঘের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্থগিত করল ইরান

জাতিসংঘের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্থগিত করল ইরান

জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি রোববার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরাঘচি বলেন, ‘আমরা আইএইএ-এর সঙ্গে পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করেছি। জাতিসংঘ যদি এমন কোনো প্রস্তাব দেয়, যা ইরানের অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হয়— আমরা আবার চুক্তিতে ফিরে যাব।’
ইরান ১৯৬৮ সালে আইএইএ’র সঙ্গে নন-প্রোলিফারেশন অ্যাক্ট (এনপিটি) চুক্তি করে। তখন ইরানের রাজা রেজা পাহলভী দেশটির রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে ইরান প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা কখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে না এবং আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা করবে।
গত জুনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের পর আইএইএ’র সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। ৬ জুন আইএইএ এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের কাছে বর্তমানে ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত আছে, যার বিশুদ্ধতা ৬০ শতাংশ। বিশুদ্ধতার মান ৯০ শতাংশে উন্নীত করা গেলে তা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরি সম্ভব।
আইএইএ’র ওই বিবৃতির এক সপ্তাহ পর ১২ জুন রাতে ইসরায়েল ইরানে বিমান অভিযান ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ শুরু করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এ অভিযান চালানো হয়েছে।

১২ দিনব্যাপী সংঘাতে ইরানের সেনাপ্রধান, সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অন্তত ১২ জন জ্যেষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোরও। তবে এখনো সেই ৪০০ কেজি ইউরেনিয়ামের কোনো হদিস মেলেনি বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

সংঘাত শেষে আইএইএ তেহরান সফরের আগ্রহ জানালেও ইরান জানায়, সংলাপের জন্য তারা প্রস্তুত, তবে পরমাণু স্থাপনা দেখানোর বাধ্যবাধকতা তাদের নেই।

এরপর সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আব্বাস আরাঘচি। কিন্তু জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় সেই বৈঠক ব্যর্থ হয়। পরে জাতিসংঘ ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

রোববারের সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা হবে কি না— জানতে চাইলে আরাঘচি বলেন, ‘আমরা তার প্রয়োজন দেখছি না। ইউরোপের সঙ্গে বৈঠকের আর কোনো ভিত্তি নেই।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Nobel stops fighting to save lives not for Nobel Trump

নোবেলের জন্য নয়, জীবন বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ থামাচ্ছি: ট্রাম্প

নোবেলের জন্য নয়, জীবন বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ থামাচ্ছি: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যে কয়েকটি যুদ্ধ থামিয়ে ‘লাখ লাখ জীবন’ বাঁচিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি ‘নোবেলের জন্য নয়’ বরং ‘জীবন বাঁচানোর জন্য’ করেছেন।
রোববার হোয়াইট হাউস প্রকাশিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ট্রাম্পের কথোপকথনের এক ফুটেজে প্রেসিডেন্টকে এ কথা বলতে শোনা যায়।
ট্রাম্প বলেন, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাতের সমাধান করতে পারবেন বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি শুনেছি পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে এখন একটি যুদ্ধ চলছে। আপনি জানেন, আমি আরেকটি যুদ্ধ বন্ধ করছি... কারণ আমি যুদ্ধ সমাধানে পারদর্শী।’
এর আগে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সেনারা পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে জড়ায়। আফগানিস্তানের টোলো নিউজ জানিয়েছে, লড়াইয়ে কমপক্ষে ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের জিও টিভি জানিয়েছে, সংঘর্ষে কয়েক ডজন আফগান সেনা প্রাণ হারিয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে