× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রেস-জেন্ডার
ভিক্ষা নয় কাজ চান ময়মনসিংহের ট্রান্সজেন্ডাররা
google_news print-icon

ভিক্ষা নয়, কাজ চান ময়মনসিংহের ট্রান্সজেন্ডাররা

ভিক্ষা-নয়-কাজ-চান-ময়মনসিংহের-ট্রান্সজেন্ডাররা
ময়মনসিংহের হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা ভিক্ষা নয়, কাজ চান। ছবি: নিউজবাংলা
‘আমাদের জীবনকাহিনি বলার কোনো জায়গা নেই। কিছু বলতে চাইলেই ভদ্রবেশী মানুষ ঘৃণায় সরে যায়। বাসা ভাড়া নিতে গেলে বাড়ির মালিক হিজড়া বলে বাসা দিতে চায় না। হোটেলে খেতে গেলে পাশ থেকে মানুষ উঠে যায়।’

জন্মের পর তারাও মাতৃস্নেহে বেড়ে ওঠেন। কিন্তু শৈশব পেরোনোর আগেই তাদের বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জেন্ডার পরিচয়। সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় অল্প বয়সে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য হয় ট্রান্সজেন্ডাররা। এরপর রাস্তায়, গণপরিবহন কিংবা বাড়িতে গিয়ে চেয়েচিন্তে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তাদের।

মেরিয়াম ওয়েবস্টার ডিকশনারি অনুযায়ী যাদের জন্মগত লিঙ্গের সঙ্গে জেন্ডার পরিচয় সাংঘর্ষিক তাদের ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়।

তবে এমন জীবন চান না ট্রান্সজেন্ডারদের অনেকেই। ময়মনসিংহের হিজড়া সম্প্রদায়ের কয়েকজনের সঙ্গে আলাপকালেও উঠে এলো বিষয়টি।

জেলা শহরের সালমা, সমলা, রানী, রুবি, পিয়ারি, প্রিয়াঙ্কা, মমতা, শারমিন, হাসি, জোনাকী, মালা, কাজল, ময়ূরী, অন্তরা, দুলারী, লিপি, সুখীসহ অনেকেই তাদের জীবনের বেদনা ও সংগ্রামের কথা জানিয়েছেন নিউজবাংলাকে।

জীবনসংগ্রাম নিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমাদের জীবনকাহিনি বলার কোনো জায়গা নেই। কিছু বলতে চাইলেই ভদ্রবেশী মানুষ ঘৃণায় সরে যায়। বাসা ভাড়া নিতে গেলে বাড়ির মালিক হিজড়া বলে বাসা দিতে চায় না। হোটেলে খেতে গেলে পাশ থেকে মানুষ উঠে যায়।’

ভিক্ষা নয়, কাজ চান ময়মনসিংহের ট্রান্সজেন্ডাররা
রাস্তায়, গণপরিবহন কিংবা বাড়িতে গিয়ে চেয়েচিন্তে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তাদের। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘গাড়িতে উঠলে যাত্রীর শরীরে শরীর লাগলে নাক সিটকায়। সিটে বসলে সাথে কেউ বসে না। যাত্রীরা ড্রাইভার-হেলপারদের গালিগালাজ করে হিজড়াদের কেন গাড়িতে উঠতে দিয়েছে। আমরাও তো মানুষ। তবে কেন আমাদের সাথে এমন আচরণ?’

ময়ূরী বলেন, ‘তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যে ভরা জীবনে পেটের খিদা মেটাতে ভিক্ষা করি। সমাজ, রাষ্ট্র কেউ আমাদের প্রতি সহনশীল না।

‘এনজিও বা সংস্থা আমাদের নিয়ে কিছু কাজ করলেও সেটা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম।’

ভিক্ষা নয়, কাজ চান ময়মনসিংহের ট্রান্সজেন্ডাররা

ময়মনসিংহের হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকজন দলগতভাবে স্বল্প খরচের বাসা ভাড়া নিয়ে মাথাগুজে দিন কাটাচ্ছে। সংখ্যায় সীমিত কেউ কেউ আবার দলবদ্ধভাবে না থেকে ব্যক্তিগতভাবে কোনো একটি পেশায় যুক্ত হতে পেরেছে।

নগরীর চায়না ব্রিজ মোড়ে পথচারীদের কাছ থেকে সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা হিজড়াদের একজন অন্তরা জানান, জন্মের পর বাবা-মায়ের স্নেহ-ভালোবাসায় পরিবারে ভালোই ছিল তার জীবন। কিন্তু যখনই তার ট্রান্সজেন্ডার পরিচয় স্পষ্ট হয়ে উঠল, তখনই নেমে এলো বিপর্যয়।

তিনি জানান, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাকে বেছে নিতে হয়েছে ভাসমান জীবন। এখন অন্য হিজড়াদের সঙ্গে কষ্টে করতে হচ্ছে দিনাতিপাত।

ভিক্ষা নয়, কাজ চান ময়মনসিংহের ট্রান্সজেন্ডাররা

মমতা জানান, বাইরের চেয়ে মনের ভেতরে অনেক বেশি কষ্ট। নানা সময় নানা অঙ্গভঙ্গি করে, নেচেগেয়ে, আনন্দ-উল্লাসের মধ্যে থেকে মনের কষ্ট চাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, ‘হিজড়ারা সুযোগ পেলে সব ধরনের কাজই করতে পারে। কিন্তু সমাজ আমাদের তেমন কোনো সুযোগ দেয় না। অনেকেই সামান্য সুযোগ পেয়ে হস্তশিল্পের কাজ করছে।’

সমলা বলেন, ‘ভিক্ষাবৃত্তি কার ভালো লাগে? জীবন চালাতে আজ আমরা এখানে। আমরা যদি কাজের সুযোগ পাই, তাহলে কি আমরা এমন পেশায় আসতাম?

‘দুই বেলা দুই মুঠো ভাত পেলেই আমাদের জীবন চলে। আমরা দুই মুঠো ভাতের কাজ চাই।’

২০১৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রিসভা তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতিবিষয়ক ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেটি প্রকাশ হয় ওই বছরেরই ২৬ জানুয়ারি।

এর ফলে হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকজনের অন্যদের মতো শিক্ষা, চাকরি, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার সুযোগ সম্প্রসারণ হয়।

কিন্তু এই প্রজ্ঞাপনের পাঁচ বছর পরে এসেও হিজড়ারা কতটা সুবিধা পেয়েছেন, তা উঠে এসেছে সমলা কিংবা ময়ূরীদের কথায়।

ট্রান্সজেন্ডারদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সেবামূলক সংস্থা ‘বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’।

ভিক্ষা নয়, কাজ চান ময়মনসিংহের ট্রান্সজেন্ডাররা

সংস্থাটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় মিডিয়া কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ কনিক বলেন, ‘সমাজ বাস্তবতায় হিজড়া সম্প্রদায় আসলেই এক চরম অবহেলিত গোষ্ঠী। তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটিয়ে সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি আমরা।

‘সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায় থেকেই হিজড়াদের (ট্রান্সজেন্ডার) নানামুখী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার। সমাজের পিছিয়ে পড়া সকল গোষ্ঠীকে দায়িত্বের সঙ্গে তাদের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসতে হবে।’

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান সরকার অবহেলিত সকল জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

‘আমরা তাদের একটা তালিকা তৈরি করেছি। সেখান থেকে তাদের বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ১০০ জনকে ড্রাইভিং, সেলাই, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আবার প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। আগামীতে এর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে।’

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় ট্রান্সজেন্ডার নারী হত্যা: প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
ট্রান্সজেন্ডার নারী হত্যা: গ্রেপ্তার ৩
টিভিতে খবর পড়বেন ট্রান্সজেন্ডার তাসনুভা
তাসনুভা-হোচিমিন শোনালেন রূপান্তরিত নারীর প্রেমের গল্প
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা হতে বাধা কাটল ট্রান্সজেন্ডারদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রেস-জেন্ডার
Mirza Fakhruls best wishes on the occasion of Janmastami

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মির্জা ফখরুলের শুভেচ্ছা

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মির্জা ফখরুলের শুভেচ্ছা

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাতে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, জন্মাষ্টমী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পুণ্যতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এটি শুধু আনন্দ-উৎসবের দিন নয়, বরং ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার এক মহামিলন ক্ষেত্র।

তিনি বলেন, জন্মাষ্টমী সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য অবারিত উৎসবের প্রাঙ্গণ সৃষ্টি করে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের সমাজ সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হলো ধর্মীয় সম্প্রীতি। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, অশান্তি, হানাহানি, বৈষম্য ও অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব এ সময় দেশবাসীর প্রতি সম্প্রীতি, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Four drug dealers arrested with yaba in bear

ভালুকায় ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ভালুকায় ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিশেষ অভিযানে ৪৩ পিস ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা মডেল থানার একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে হাতেনাতে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—জামিরদিয়ার মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ সজিব মিয়া (২৬), একই এলাকার মোঃ নাবিল হোসেন নবীর ছেলে মোঃ আলী হোসেন ওরফে নাজমুল (২৫), গাজীপুরের শ্রীপুরের উদয়খালী এলাকার মোঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৭) এবং ডুমবারিরচালা এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ নাঈম খান (২৫)।

এসময় সময় তাদের কাছ থেকে ৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মাদক নির্মূলে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে।

মন্তব্য

নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

নওগাঁর আত্রাই নদীর একটি স্থানে কয়েক সেন্টিমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকায় এই বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে তালপাতিলা গ্রামসহ আশেপাশের চকবালু, চকরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে। পানি বন্দী হয়ে পড়েন কয়েকশ পরিবার।

স্থানীয়রা বলছে, এই একই স্থানে গেলো বছর ভেঙ্গে যায়। এরপর মাসখানেক আগে বেড়িবাঁধের এই অংশটুকু মেরামত করা হয়। কিন্তু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ভেঙে গেছে।

বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী। এসময় তিনি উক্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেন।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে দেওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোত বাজার পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও নওগাঁর ছোট যমুনা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বিদসীমার নিচে থাকলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওযায় মান্দা উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাধের লক্ষ্মীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Home Advisor visited Mohammadpur Agricultural Market

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই মার্কেট পরিদর্শন করেন ।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেটে যান। এরপর তিনি কৃষিমার্কেটের বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দোকানিদের পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন এবং পলিথিন ব্যবহারের ভয়াবহতা তুলে ধরেন ।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Case in the case of stone loot in Sylhet All 2000 accused are unknown

সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা: ২ হাজার আসামির সবাই অজ্ঞাত

সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা: ২ হাজার আসামির সবাই অজ্ঞাত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও লুটের ঘটনায় মামলা করেছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিএমডি মহাপরিচালক আনোয়ারুল হাবিব বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা কিছু দুষ্কৃতিকারীর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গেজেভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রতি কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, পাথর লুটপাটে অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তি জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি। সরকারের গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে লুট বা চুরি এ ধরনের কর্মকাণ্ড খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২) (ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা ২০১২-এর বিধি ৯৩ (১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় মৌখিক নির্দেশনায় খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এর ৫ ধারা অপরাধে ও দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩৭৯ নম্বর ধারা ও ৪৩১ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় সরকারি স্বার্থে ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় দায়ী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্প্রতি সিলেটের দুই পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং থেকে পাথর লুটের ঘটনা ঘটে। সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা এ ঘটনায় হাইকোর্ট পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন এবং লুটেরাদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

এরপর সিলেটসহ সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযানে নামে র‌্যাব, পুলিশসহ যৌথবাহিনী। গত তিন দিনে জাফলং ও সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে অবশ্য নারায়ণগঞ্জ থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া ৪০ হাজার টন পাথরও রয়েছে।

সর্বশেষ সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন আসাম পাড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-৯-এর টহল দল, সাদা পোশাকধারী সদস্য এবং সিলেট জেলা প্রশাসনের সহায়তায় একটি যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসাম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Iman robber arrested with weapons in the army operation in Meherpur

মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ইমান ডাকাত গ্রেফতার

মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ইমান ডাকাত গ্রেফতার

মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোঃ ইমান আলী ওরফে ইমান ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার ইমান আলী শিবপুর গ্রামের মৃত আমির শেখের ছেলে। সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল মোনাখালী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে তার বাড়ি ঘেরাও করে। পরে তল্লাশির সময় তার কাছ থেকে মার্কিন তৈরি একটি ৭.৬৫ মি.মি. পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

ইমান আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরক ও নাশকতাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
The army has surrounded huge weapons and explosives at the coaching center

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক, ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক, ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম উদ্ধারের পর একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। ওই বাড়িতে থাকা ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের একটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বাড়িটি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনীর ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির একটি দল।

অভিযানে সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে জানা গেছে, ডক্টরস ইংলিশ নামের ওই প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি বিদেশী এয়ার গান, একটি রিভালবার, একটি কার্তুজ, তিন বক্স ইয়ারগান শিশা, দেশীয় অস্ত্র, জিপিএস, ওয়াকিটকি, বাইনোকুলার, বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম, মাদকদ্রব্যসহ আরো বহু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেনি।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযান সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি কোন তথ্য জানেন না। তবে তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে বিস্তারিত জানানো হবে।

মন্তব্য

p
উপরে