ভারতের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেন্ডার নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা অ্যাকসেঞ্চার ইন্ডিয়া।
চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এ নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো কর্মী নারী বা পুরুষের বাইরে অন্য জেন্ডারেও নিজেকে পরিচিত করাতে পারবে।
আগে অ্যাকসেঞ্চার ইন্ডিয়ার কর্মীরা তাদের লাইফ ইনস্যুরেন্স সুবিধার জন্য শুধু তার অবর্তমানে স্বামী/স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যদের নাম দিতে পারতেন। এখন থেকে তাদের কর্মীরা নমিনির ক্ষেত্রে যে কারও নাম ব্যবহার করতে পারবেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব কর্মী নিজেদের লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার (এলজিবিটিকিউ) কমিউনিটির সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন, তারা চাইলে তাদের সঙ্গীদের নামও ইনস্যুরেন্স সুবিধা নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।
অ্যাকসেঞ্চার ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা লক্ষ্মী সি বলেন, জেন্ডার নিরপেক্ষতার জন্য নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। কর্মীদের গুরুত্ব দেয়া এবং তাদের সম-অধিকার নিশ্চিত করতেই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অ্যাকসেঞ্চার জেন্ডার নিয়ে ধরাবাঁধা ধারণা ভেঙে দিতে চায়। জেন্ডার নিয়ে প্রচলিত শব্দ এবং নীতির মাধ্যমে নারী-পুরুষের বাইরের জেন্ডারের মানুষদের বঞ্চিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান অ্যাকসেঞ্চার ইন্ডিয়ায় অন্তত দুই লাখ কর্মী কাজ করছেন।
প্রথাগত পারিবারিক ধারণা থেকে বের হয়ে অ্যাকসেঞ্চার মাতৃ ও পিতৃকালীন ছুটির বিষয়টিতেও পরিবর্তন এনেছে। সেখানে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি কেয়ারগিভারদের।
আগে যারা নিজেদের নারী হিসেবে পরিচয় দিতেন শুধু তারাই মাতৃত্বকালীন ছুটি পেতেন। এখন সেখানেও আসছে পরিবর্তন। সন্তান জন্মদানে সক্ষম যেকোনো কর্মীর জন্য এ ছুটি প্রযোজ্য হবে।
লক্ষ্মী বলেন, ‘যেসব ট্রান্সজেন্ডার নারী সন্তান জন্ম দেবেন তারাও এখন ২৬ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।’
২০১৫ সালে অ্যাকসেঞ্চার ইন্ডিয়ায় মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়ে ২২ সপ্তাহ করা হয়। তার আগে এই ছুটি ছিল ১২ সপ্তাহের। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পাচ্ছেন ২৬ সপ্তাহ।
লক্ষ্মী বলেন, ‘পিতৃত্বকালীন ছুটির ক্ষেত্রে নিজেদের পুরুষ হিসেবে যারা পরিচয় দিতেন তারাই শুধু ছুটি পেতেন। সেখানেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। এখন থেকে সেকেন্ডারি কেয়ারগিভার হিসেবেও কর্মীরা এই ছুটি পাবেন। এতে করে যারা নিজেদের এলজিবিটি হিসেবে পরিচয় দেন তারাও এই ছুটি পাবেন।’
আগে অ্যাকসেঞ্চারের কর্মীরা তাদের পরিবারের একেবারে ঘনিষ্ঠ, বিশেষ করে বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী বা সন্তান, দাদা-দাদি, শ্বশুর-শাশুড়ির মৃত্যু হলেই শুধু ছুটি পেতেন। নতুন নীতিমালায় এলজিবিটিরা তাদের সঙ্গীবিয়োগেও সেই ছুটি পাবেন।
নতুন নীতিমালায় অ্যাকসেঞ্চারের কর্মীরা আরও বেশি সুবিধা পাবেন বলে জানান প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা লক্ষ্মী।
২০১৭ সালে অ্যাকসেঞ্চার ঘোষণা করে, তারা ২০২৫ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটিতে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করবে। অর্থাৎ সেখানে নারী ও পুরুষ থাকবে ৫০ শতাংশ করে।
আরও পড়ুন:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাহিরের ইন্ধনে দুষ্কৃতকারীরা পূজাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। তারা সফল হতে পারেনি।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ইছাপুরায় শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পূজার শুরুতে ধর্ষণের ঘটনা প্রচার করে পূজাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ কাজে বাহিরের ইন্ধন ছিল কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা সফল হতে পারেনি।
এবার বাংলাদেশের সব জায়গায় ভালোভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পূজা সম্পন্ন হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা ও বৌদ্ধদের বিজু উৎসব যাতে ভালোভাবে হতে না পারে তার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের সহযোগিতায় কিছু সন্ত্রাসী এ ধরনের কাজ করেছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিশেষ করে পূজা কমিটির সহযোগিতায় এ বছর শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন হয়েছে। এ জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল ) মো. ইব্রাহিম, পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাদর পাল। সূত্র : বাসস
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কৃষকদের কাছে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী ক্যাশ মেমো দিয়ে সার বিক্রি করার কথা থাকলেও তা মানছেন না অনেক ডিলার। অভিযোগ রয়েছে, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন তারা। এমনকি অপরাধ ঢাকতে ক্যাশমেমোতে সঠিক দাম লিখলেও ক্যাশমেমোর পেছনে অতিরিক্ত দাম লিখে বস্তাপ্রতি ২০০/২৫০ টাকা নিচ্ছে। আর সেইসাথে অপ্রয়োজনীয় কিটনাশক জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছে। কিটনাশক না নিলে বাড়তি আরও ২০০ টাকা জোর করেও নিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর উপজেলার চরাঞ্চলে সারের বেশি চাহিদা বলে ডিলার থাকতেও ঝিটকা, আন্ধারমানিক, লেছড়াগঞ্জ, কান্ঠাপাড়া বাজার থেকেও বাধ্য হয়ে সার নিতে হচ্ছে কৃষকদের।
উপজেলার লেছড়াগঞ্জ চর, আজিমনগর, হারুকান্দিসহ কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডিলারদের সিন্ডিকেট আর লুটপাটে অসহায় কৃষকের আর্তনাদ যেন কেউ দেখার নেই। অথচ উপজেলা ভিত্তিক প্রতি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সারের খুচরা ডিলার থাকলেও বড় ডিলারদের সিন্ডিগেটে খুচরা ডিলাররা অসহায় আর লুটপাটের কাছে হেরে যাচ্ছে।
পাটগ্রামের কৃষক সুমন মিয়া জানান, প্রতিবস্তা ইউরিয়া সারের ১৩৫০ টাকা সরকারি দামে থাকলেও আজ আমি ঝিটকা বাজার থেকে ‘মেসার্স পলাশ ট্রেডার্স’ বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা করে বেশি রাখে। আর এমওপি বস্তাপ্রতি ১ হাজারের পরিবর্তে ১১৫০ আর ডিএপি ১২শ টাকা রাখে। ক্যাশমেমোতে লেখা সঠিক থাকলেও অপরপাতায় ১৫০/২০০ টাকা করে বেশি রেখেছে। তাছারা কিটনাশক নিতেও বাধ্য করেছে আমাকে। এরকম ঝিটকা বাজারে গত দুইবছর যাবৎ চলছে নিয়মিত। আর কোথাকার ডিলার কোথায় হতে সার বিক্রি করে, সেটাও আমরা বুঝতে পারিনা।
আরেক কৃষক রনি মিয়া বলেন, সারের বাড়তি দামে আমাদের মতো কৃষকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। মৌসুমের শুরুতেই স্থানীয় বাজার থেকে সরকারি দামের চেয়ে কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা বেশি দিয়ে সার কিনতে হচ্ছে, যা উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা আর কৃষি কাজ করুম না।
লেছড়াগঞ্জের কৃষক হারুনার রশিদ বলেন, ঝিটকা বাজারের সারের ডিলারেরা আমাদের জিম্মি করে গত এক বছরেই কোটিপতি হয়ে গেছে। তারা ঘাম ঝরানো অসহায় কৃষকের রক্ত চুষে খাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। দেশে বিভিন্ন দলের দলীয় নেতা মস্তান আছে, তারা পদ পদবী পেয়ে আমাদের মত অসহায় কৃষকের পাশে নেই।
ঝিটকা বাজারের কয়েকজন সারের ডিলারের সাথে বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তারা জানান, এসে দেখা করেন। আর সাংবাদিক পরিচয় দিলে রং নাম্বার বলে ফোন কেটে দেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রয়ের সুযোগ নেই। আমরা মনিটরিং করছি নিয়মিত। অ্যাসিল্যিান্ডের সাথে কথা বলে অতি দ্রতই ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। যারা সারের দাম বেশি নেবে, তাৎক্ষনিকভাবে আমরা জানতে পারলে সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদর বাজারে রং, হার্ডওয়্যার ও লোহালক্করের দোকানে আগুন লেগে ৫ দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। বুধবার সকাল পৌঁনে দশটার দিকে ইলেকট্রিক সর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলা সদর বাজারের পূর্ব দিকে পুরাতন মাছ বাজার সংলগ্ন গৌতম বনিকের রং মেলা, লিটন কুমার বনিকের জিএনজি নামক ইলেকট্রিক সামগ্রী দোকান, লিটন ঘোষ, সুশান্ত মল্লিক ও শীতল মন্ডলের লোহালক্করের দোকানে আগুন লেগে মূহুর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে উল্লেখিত ৫টি দোকানের সমস্ত মালামাল ভস্মিভূত হয়।
উপস্থিত কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের হাউজ অ্যায়ার ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘন্টার মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বাজারের ভিতরে যাবার রাস্তা সরু এবং রাস্তার উপর দোকানের মালামাল রাখায় গাড়ি ঢুকতে একটু সময় লেগেছে। তাছাড়া দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানীদের ভাষ্যমতে গৌতমের রং মেলায় ২৫-৩০ লাখ টাকা, লিটন বনিকের ৮ লাখ টাকা, লিটন ঘোষের ৮০ হাজার টাকা, সুশান্ত মল্লিকের ২ লাখ টাকা ও শীতল মন্ডলের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইলেকট্রিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। নিয়ম থাকা সত্ত্বেও দোকানে কোনো ধরণের আগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ঘটনার সাথে সাথেই কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে শৃঙ্খলা বজায় রেখে সহযোগিতা করেছেন।
আগুন লাগার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা। জানা যায়, বুধবার ভোররাতে মহাসড়কের মোগড়াপাড়া এলাকায় চট্টগ্রামগামী লেনে একটি যানবাহন বিকল হয়ে যানজটের সূত্রপাত হয়। সকালে কিছুটা যানজট কমলেও দুপুর থেকে আবারও তীব্র হয়েছে যানজট। অসহনীয় যানজেট আটকা পড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রীবোঝাই দূরপাল্লার সব যানবাহন। আর অল্প দূরত্বের যাত্রীরা হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।
যানজটে আটকে পড়া কুমিল্লার চাঁদপুর যাত্রী মো. আনোয়র দৈনিক বাংলাকে জানান, ‘সকালে ঢাকা থেকে বাসে উঠে শিমরাইলে এসে যানজটে ৩/৪ ঘণ্টা আটকা পড়েছি।’
আছিয়া আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘নিলাচল পরিবহনে শিমরাইল থেকে উঠেছি। কাঁচপুর পার হতে ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এখনও যানজটে পড়ে আছি। গাড়ির নড়ছেই না। পুলিশ কী করছে জানি না।’
নোয়াখালীর যাত্রী ইউসুফ ও কাজী সোহেল বলেন, ‘শিমরাইল থেকে হিমাচল পরিবহনের একটি বাসে সকাল ১০টায় উঠি। কিন্তু ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লেগেছে ২ ঘণ্টা। কখন নোয়াখালী পৌঁছাবো তার হিসেব নেই। মহাসড়কে পুলিশ ঠিকমতো কাজ করলে এমনটা হওয়ার কথা নয়।’
হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মোগড়াপাড়া ও দড়িকান্দি এলাকায় বড় গাড়ি বিকল হওয়াতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটি উপলক্ষে মহাসড়কে গাড়িরও দ্বিগুণ চাপ রয়েছে। সাইনবোর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল যানজট। বুধবার দুপুর ১টার পর থেকে যানজট কমতে শুরু করেছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘গাড়ি বিকল হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি, অপরদিকে পূজা উপলক্ষে ছুটি থাকায় মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।’ আমরা হাইওয়ে পুলিশ ভোররাত থেকে যানজট নিরসনে কাজ করছি জানিয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন যানজট অনকেটাই কেটে গেছে। ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা ওয়াগেনিঙ্গেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ ও নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ আয়োজিত ফুড সিস্টেমস ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের প্রেস রিলিজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এ বছরের প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল, ‘প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান’ যার লক্ষ্য জীববৈচিত্র্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ আয়োজনের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওম্নিয়া ভবনে। সেখানে দলগুলো তাদের বাস্তবায়িত প্রকল্প আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করে। পিচিং রাউন্ড, সম্মানিত জুরি বোর্ডের প্রশ্নোত্তর এবং অতিথিদের সামনে উপস্থাপনার মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে একমাত্র অংশ নেয় বাকৃবির দুটি দল, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ ও ‘অ্যাকোয়াফোর’। দল দুটির প্রতিনিধিত্ব করেন বাকৃবির ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রুবাইয়া বিনতে রেজওয়ানুর পূর্ণা ও ফুড সেফটি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শবনম ফেরদৌস। প্রতিযোগিতায় তাদের সমন্বয় ও পরামর্শ দেন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান।
অসাধারণ কৃতিত্বের মাধ্যমে, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ দলটি শীর্ষ তিন বিজয়ীর মধ্যে স্থান পায় এবং অর্জন করে ৩,৫০০ ইউরোর গ্র্যান্ড প্রাইজ। অপরদিকে, ‘অ্যাকোয়াফোর’ দর্শকদের ভোটে ৫০০ ইউরোর ভিউয়ার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। বিজয়ী দলটি ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম ও ইয়াস-এর সহযোগিতায় পরিচালিত ইয়ুথ ফুড ল্যাব ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া নেদারল্যান্ডসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ফোন করে অভিনন্দন জানান।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনপাল গ্রামে নলুয়া খালের ওপরে নির্মিত একটি ব্রিজটি ছয় মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এতে চলাচলের দুর্ভোগে পড়েছেন ১২ গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। ব্রিজটির অবস্থান মনপাল গ্রামের হাজী মার্কেট সংলগ্ন স্থানে। ব্রিজের ওপর দিয়ে হাঁটলে সেটি দুলতে থাকে। যেকোনো সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে। স্থানীয়রা ব্রিজটি পুন:নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৯৬সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। দুই বছর আগে ব্রিজের ওপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ সামগ্রী নিতে রেলিং ভেঙে ফেলা হয়। এতে ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়ে। ছয় মাস আগে ব্রিজের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এতে ব্রিজের রড দেখা যায়। রেলিং বিহীন ভাঙা ব্রিজটি যেন রড সিমেন্টের কংকাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে কৃষ্ণপুর,তপৈয়া, মনপাল, রাজাপুরের লোকজন পাশের ষোলদনা, পলকট, মামিশ্বর, আতাকরা, দীঘধাইর, বরইমুড়ি, শেরপুর, নাড়িদিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াত করেন। এছাড়া খিলা গণউদ্যোগ বালিকা বিদ্যালয়, বারাকাতবাগ দাখিল মাদ্রাসা, উত্তরদা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা এই পথে চলাচল করেন। এবার বোরো মৌসুমে ধান কেটে বাড়িতে নিতে কৃষকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল হক মজুমদার, সামছুল হুদা, নুর মিয়া মোল্লা বলেন, এই ব্রিজের ওপর দিয়ে ১০-১২গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। ব্রিজটি ৬মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এনিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই। আমরা ভাঙা ব্রিজটির স্থানে নতুন ব্রিজ স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।
অটোরিকশা চালক সোহাগ মিয়া ও জাকির হোসেন বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা এই পথে যাতায়াত করতে পারছি না। রামপুর ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। এতে আমাদের ভাড়া কমে গেছে।
লাকসাম উপজেলা প্রকৌশলী সাদিকুল জাহান রিদান বলেন, মনপালে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে পিআইও অফিস থেকে আমরা একটি প্রস্তাবনা পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে মহিলা দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের অর্ধেক ভোট হচ্ছে নারী। নারী ভোটারদের উপস্থিতিও সবসময় বেশি থাকে। কাজেই প্রার্থী এবং দলের বিজয় দেখতে চাইলে এখন থেকেই নারী ভোটারদের কাছে যেতে হবে। নারী ভোট ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করতে হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা বিএনপির ৩১দফা বাস্তবায়নের জন্য মহিলা দলের নেতাকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন মহিলা দলের নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঝিনাইগাতী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি জেবুন নেছা হক কোহিনুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোছা. জেসমিন আক্তারের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শাহজাহান আকন্দ, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লুৎফর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য