× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রেস-জেন্ডার
জেন্ডার সমতা নিয়ে বক্তব্য দেবেন কমলা হ্যারিস
google_news print-icon

জেন্ডার সমতা নিয়ে বক্তব্য দেবেন কমলা হ্যারিস

জেন্ডার-সমতা-নিয়ে-বক্তব্য-দেবেন-কমলা-হ্যারিস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ছবি:এএফপি
আগামী ১৬ মার্চ কমলা জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস।

জাতিসংঘে জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

আগামী ১৬ মার্চ কমলা এ ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস।

তিনি জানান, ৬৫তম কমিশনে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রশ্নে আলোচনায় অংশ নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা বলেন, ‘আমরা সবাই এটা বিশ্বাস করি, নারীরা ভালো করলে দেশ ভালো করে। এখনই সময় নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ার।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে যৌন ও জেন্ডারভিত্তিক যে সহিংসতা চলছে, তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে এবং সে লড়াইয়ে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত বছরের মে মাসে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন যে, করোনাভাইরাস সামনে রেখে গর্ভপাতকে উৎসাহী করা হচ্ছে। অবশ্য জাতিসংঘ এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

এই অভিযোগ অবশ্য ট্রাম্প করোনার আগে থেকেই করছিলেন। ২০১৭ সালে এসব অভিযোগ তুলে তিনি জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলে অনুদান দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

তবে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, আবারও ওই তহবিলে অনুদান দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
বাইডেন প্রশাসনে ২০ ভারতীয় বংশোদ্ভূত
লাইভে টিকা নিলেন কমলা হ্যারিস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রেস-জেন্ডার
Protests at the Secretariat demanding the cancellation

চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ

চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ

টানা চতুর্থ দিনের মতো ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মচারীরা। অধ্যাদেশটি বাতিল না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা। পরে সচিবালয়ের ভিতরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

এ সময় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যাননুরুল ইসলাম জানান, চাকরি অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।

কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।

সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। । এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
AIDS larvae in about 5 percent of the capital building
জরিপের তথ্য

রাজধানীর প্রায় ১৫ শতাংশ ভবনে এডিসের লার্ভা

রাজধানীর প্রায় ১৫ শতাংশ ভবনে এডিসের লার্ভা

রাজধানী ঢাকার ৩ হাজার ১৪৭টি বাড়ি থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে নমুনা সংগ্রহ করে ৪৬৩ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। সেই হিসাবে রাজধানীর ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার অস্তিত্ব রয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকালে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে আইইডিসিআরের অডিটোরিয়ামে ডেঙ্গুরোগের বাহকের কীটতাত্বিক জরিপে (২০২৪-২০২৫) এই তথ্য উঠে এসেছে। আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন জরিপের তথ্য তুলে ধরেন।

জরিপের তথ্যে বলা হয়, এ বছর বহুতলা ভবনে এডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে, যা ৫৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এছাড়া নির্মাণাধীন ভবন ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আলাদ ভবন ও আধাপাকা ভবনে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ, পরিত্যক্ত ভবনে ২ দশমিক ৮ শতাংশ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।

ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১৩টি ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি মিলেছে, যা ডেঙ্গু রোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব পাওয়া গেছে।

ঝিনাইদাহ, মাগুরায় এডিস মশার ঘনত্ব বেশি

তাহমিনা শিরীন বলেন, ঢাকার বাইরে ঝিনাইদহ, মাগুরা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি বেশি। ঝিনাইদাহ শহর এলাকায় এডিসের জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২৭০টা বাড়ি পরিদর্শন করে ৫৪টি এডিসের লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঝিনাইদহে ব্রুটো ইনডেক্স ৬০ পাওয়া গেছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

পিরোজপুর ও মাগুরায় ১০০ শতাংশ ভেক্টর এডিস অ্যালবোপেক্টাস পাওয়া গেছে। প্লাস্টিক ড্রাম, প্লাস্টিক বাস্কেট ও দইয়ের খালি পাত্রে লার্ভার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
 Build the park by destroying biodiversity on hill hill

 পাহাড়ী টিলায় জীববৈচিত্র্য  ধ্বংস করে পার্ক নির্মাণ

• বনবিভাগ-উপজেলা প্রশাসন বলছেন জানে না • ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে পার্ক তৈরির কথা বলছেন পার্ক উদ্যোক্তা
 পাহাড়ী টিলায় জীববৈচিত্র্য  ধ্বংস করে পার্ক নির্মাণ বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদি এলাকায় পাহাড় কেটে তৈরি করা আমানা পার্ক। ছবি: নিউজবাংলা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পাহাড়ি টিলা কেটে প্রায় ১ একর জায়গাজুড়ে স্থাপিত হয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন পার্ক। বাঁশখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর জলদি এলাকায় স্থাপিত এই পার্কটির নামকরণ করা হয়েছে ‘আমানা পার্ক’। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে পাহাড়ি টিলার সঙ্গে প্রায় ৫ হাজার গাছ কেটে ওই পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ার বাজার থেকে পূর্বপাশে ২ কিলোমিটারের মধ্যেই চোখে পড়ে পাহাড়ি অঞ্চল। মিয়ার বাজার থেকে দুর্গম পথ ধরে পৌঁছাতে হয় সেই পার্কে। বর্ষায় যাতায়াতের রাস্তা চলার অযোগ্য হয়ে ওঠায় দর্শনার্থী তেমন চোখে পড়েনি। যে কয়জন চোখে পড়ল দম্পতি কিংবা জুটি বেঁধে আসা তরুণ-তরুণী। প্রবেশ মুখেই টিকেট কাউন্টার, প্রতি টিকিটের প্রবেশ মূল্য নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। টিলায় উঠার জন্য দৃষ্টিনন্দন সিড়ি করে দেওয়া হয়েছে। টিলার ওপরে বন্য পশুর আদলে গড়ে তোলা হয়েছে ভাস্কর্য। দর্শনার্থীদের বসার জন্য তৈরি করা হয়েছে কংক্রিটের আসন। আয়োজন বলতে এইটুকুই।

স্থানীয়রা জানান, ‘২০২৪ সালের শুরুর দিকে ওই স্থানে টিলা কেটে পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ১ বছর পর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে এটি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, চারপাশে বনাঞ্চল বেস্টিত পার্কটির জায়গায় এক সময় গাছ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারাও দাবি করেছেন, উক্ত জায়গায় প্রায় ৫ হাজারের মত বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি ছিল। স্বাভাবিকভাবে এই পাহাড়ি টিলা বনবিভাগের জায়গা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পার্কটির উদ্যোক্তা মোহাম্মদ মুমিন বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে আমি এই পার্ক স্থাপণ করেছি। এটি আমার মালিকানাধীন জায়গা। আমি গাছপালা ও পাহাড় কাটিনি। উপজেলা প্রশাসন কিংবা বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে এই স্থাপনা করেছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি এবং প্রতিবেদককে কোন প্রকার অনুমতি পত্র তিনি দেখাতে পারেননি।

কলেজ পড়ুয়া এনামুল হক নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘পার্কে উঠতি বয়সি ছেলেমেয়েদের আনাগোনা বেশি, আর ইউটিউবার-টিকটকার যায়। পার্ক হওয়ার মত কিংবা অবলোকন করার মত কিছুই তো নেই সেখানে। শুধু পাহাড়ের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এটি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এমন একটা জায়গায় পার্ক করার অনুমতি কীভাবে পেল? পাহাড়ের মোহনীয়তা তো প্রকৃতির দান এর বাইরে আর কিছু নেই।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ‘পাহাড় কেটে পার্ক তৈরি করা এটি তো আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয় প্রশাসনকে হাইকোর্ট থেকেও নির্দেশ দেওয়া আছে, পাহাড় ও গাছ কাটলে কঠোর আইণানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এরপরও যদি পাহাড় কাটা হয়, গাছ কাটা হয় তাহলে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হল। এসব কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

কলেজ শিক্ষক নুরুল মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘বন বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসনের অবহেলার সুযোগে একের পর এক পাহাড় বন ধ্বংস হচ্ছে। বাঁশখালীর একাধিক জায়গায় ভূমিদস্যুরা পাহাড় ও বনভূমি উজাড় করলেও উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগ এ বিষয়ে কখনোই পদক্ষেপ নেয় না।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। জায়গা যদি ব্যক্তিমালিকানাধীন হয়, তবে এটি উপজেলা প্রশাসন দেখার কথা। যদি বন বিভাগের জায়গা হয় সেক্ষেত্রে বিষয়টা বন বিভাগ দেখবে।’

এ বিষয়ে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জলদি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, ‘বন অধিদপ্তর থেকে কোন প্রকার অনুমতি গ্রহণ করা হয়নি। তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্ষার পর জরিপ করে সীমানা চিহ্নিত করা হবে। সেখানে বন বিভাগের জায়গা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বাঁশখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বনাঞ্চলের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে লোকালয়ে হাতির আনাগোনা বেড়ে যায় এবং অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের বনাঞ্চলের পরিবেশ ক্ষুন্ন হয় এমন ঘটনা চলমান থাকলে সামনে আরও বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশেদুল আলম বলেন, ‘আমি বাঁশখালীতে যোগদানের আগেই এটি তৈরি করা হয়েছে। পার্কটির সম্পর্কে গতকালকে আমি অবগত হলাম। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গা হলেও ব্যবসায়িক উদ্দেশে সেখানে স্থাপনা করলে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতির একটি ব্যাপার-স্যাপার থাকে। আমি আরও খোঁজখবর নিয়ে দেখতেছি।’

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
What is the status of Delhi seventh Dhaka in Lahore at the top of air pollution?

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, দিল্লি সপ্তম, ঢাকার কী অবস্থা?

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, দিল্লি সপ্তম, ঢাকার কী অবস্থা?

সারা দেশে লঘুচাপের প্রভাবে গত দুদিন ধরে বৃষ্টিপাতের কারণে বাতাসে দূষণের উপস্থিতিও কমে এসেছে অনেকটা। গত দুদিনের মতো আজও ঢাকার বায়ুমান ‘ভালো’র কাছাকাছি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৪। এই সূচক ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত, যেকোনো প্রকার অস্বাস্থ্যকার শ্রেণি থেকে যা অনেক দূরে।

কণা দূষণের একিউআই সূচক যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

ফলে আজ সকালে রাজধানী ঢাকার বাতাস দূষণ থেকে দূরে এবং ‘ভালো’র একপ্রকার কাছাকাছি বলা চলে।

এই সময়ে ১৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহর ছিল পাকিস্তানের লাহোর। সূচক ১৫২, ১৩৯, ১৩৭ ও ১৩৫ নিয়ে তারপরই ছিল যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা, চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো, ফিলিপাইনের ম্যানিলা এবং কুয়েত সিটি।

এ ছাড়াও ৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে ছিল পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের শহর দিল্লি। তবে দূষণের মাত্রা কম থাকায় একই সময়ে ঢাকার অবস্থান ছিল অনেক নিচে; ৫৪ নম্বরে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে ঢাকা। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়। বর্ষার শুরুতেই অবশ্য এই আভাস মিলতে শুরু করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
BNP does not support the electoral college in the presidential election

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থা সমর্থন করে না বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থা সমর্থন করে না বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রস্তাবিত ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণে এই ব্যবস্থাকে আরেকটি ছলচাতুরী হিসেবে দেখা হচ্ছে।’

গতকাল বুধবার বিকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কমিশনের যে প্রস্তাব তাতে একটা ইলেক্টোরাল কলেজ করা হবে। এবং প্রায় ওনাদের ভাষ্য অনুযায়ী ৭০ হাজারের মতো ভোটার থাকবে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ এখানে ভোটার হবেন। এবং রাষ্ট্রপতিকে সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য ওখানে প্রস্তাব করা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবে আগের মতোই একমত নয় বিএনপি।

এই কাউন্সিলের জবাবদিহি না থাকায় সমর্থন করে না বিএনপি। এই কাউন্সিলে আরেকটি ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি হবে বলে মনে করি আমরা।’

স্বাধীন বিচারব্যবস্থার দাবি জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীন বিচারব্যবস্থা হলে ভারসাম্যহীনতা দূর হবে, ফ্যাসিবাদ দমন করবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, অন্য সাংবিধানিক পদ, সংস্থা স্বাধীন করতে পারলে সমস্যা থাকবে না।’

বিএনপি মনে করে সুশাসন নিশ্চিত করতে ন্যায়পাল করা যেতে পারে। বিদ্যমান ব্যবস্থা বজায় রেখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হলে তাদের যোগ করা যেতে পারে, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন সংশোধন করা যেতে পারে। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি মনে করে, দুদক ও মানবাধিকার কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করতে বিদ্যমান আইনগুলো সংস্কারের প্রয়োজন।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Mirpur was shot dead at Tk 22 lakh

মিরপুরে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই

মাইক্রোর সূত্র ধরে গ্রেপ্তার ৬
মিরপুরে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে মানি এক্সচেঞ্জে ব্যবসায়ীর ২২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর আসামিদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সূত্র ধরেই অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-চক্রের হোতা মো. জলিল মোল্লা (৫২), মো. জাফর (৩৩), মোস্তাফিজুর রহমান (৪০), সৈকত হোসেন ওরফে দিপু মৃধা (৫২), মো. সোহাগ হাসান (৩৪) ও পলাশ আহমেদ (২৬)। এ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, তিনটি মোটরসাইকেল, পিস্তল, গুলি, জাল টাকা ও লুণ্ঠিত টাকা-বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়েছে।

পেশাদার চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে আসছিল। চক্রটি দীর্ঘদিন মানি এক্সচেঞ্জের মালিকের ওপর নজরদারি করে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর মিন্টুরোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যুগ্ম-কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাহমুদ মানি এক্সচেঞ্জের মালিক রাসেল ও তার ভগ্নিপতি জাহিদুল হক চৌধুরী মিরপুর-১১ সি-ব্লকের বাসা থেকে ২১ লাখ টাকা ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নিয়ে হেঁটে মিরপুর-১০ নম্বরের অফিসে যাচ্ছিলেন। শেরে বাংলা স্টেডিয়াম ও ফায়ার সার্ভিসের মাঝামাঝি গলির মুখে পৌঁছালে মোটরসাইকেলযোগে ওত পেতে থাকা ৭ থেকে ৮ জন মুখোশধারী ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। তাদের একজন পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে আরেকজন গুলি ছোড়ে এবং একজন ধারালো চাপাতি দিয়ে জাহিদুলের কোমরে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুল রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। ডাকাতরা চারটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার ভিডিও একজন পথচারী মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় আহত জাহিদুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। ঘটনার পরপরই ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে ডিবির একাধিক টিম মাঠে নামে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিবি প্রথমে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস শনাক্ত করে। মাইক্রোবাসের চালক জাফরকে (৩৩) গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাফর ছিনতাইয়ের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে তথ্য বিশ্লেষণ করে একযোগে ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ ও যশোরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারী জলিল মোল্লাসহ চক্রের আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতির ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা, ১০৬টি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, ২ লাখ ১২ হাজার টাকার জাল নোট, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি চাপাতি এবং তিনটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এ চক্র আগেও ভয়াবহ কয়েকটি ঘটনায় জড়িত ছিল। গত ২৪ জানুয়ারি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গুলি করে ৫০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই এবং ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে গুলি চালিয়ে ৫২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এ চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামিরা।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতি চালাতে এ চক্র আধুনিক প্রযুক্তি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন ছদ্মবেশে কার্যক্রম পরিচালনা করতো। বাকি অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত সম্পদ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে যুগ্ম-কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

মন্তব্য

রেস-জেন্ডার
Bhawal Chandipur Agrakhola road is like a death

ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়ক যেন মরণফাঁদ

চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী   
ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়ক যেন মরণফাঁদ

কেরানীগঞ্জের শাক্তা ও তারানগর ইউনিয়নের বুক চিরে চলা ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়কের বেহাল দশায় নিত্যদিন ভোগান্তিতে পড়ছে হাজারো মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কজুড়ে এখন গর্ত আর ধুলাবালি। সামান্য বৃষ্টিতে কাদায় যানবাহন আটকে যায়, আর শুকনো মৌসুমে উড়ে ধূলোর ঝড়।

রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকরা। ছোট-বড় গর্তে হোঁচট খেয়ে পড়ে আহত হন অনেক পথচারী। অন্যদিকে, যানবাহন চলাচলের অযোগ্য এই সড়কে প্রতিনিয়তই নষ্ট হয়ে পড়ে ভ্যান, অটোরিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি। আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল, মেকাইল মাদ্রাসা ও অগ্রখোলা কমিউনিটি হাসপাতালের সামনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে মাঝে মাঝেই উল্টে যায় যাত্রী বোঝাই যানবাহন ।

সড়কের করুণ অবস্থার কারণে অনেক চালক ও পথচারী এখন পাশের বেলনা, কলাতিয়া ও নয়াবাজার হয়ে বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করছেন। এতে সময়, অর্থ ও দুর্ভোগ বাড়ছে।

এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কেরানীগঞ্জ ছাড়াও নবাবগঞ্জ, দোহার, সিরাজদিখানসহ দক্ষিণবঙ্গের হাজার হাজার মানুষ মোহাম্মদপুর হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করে। অথচ বছরের পর বছর ধরে অবহেলায় পড়ে আছে সড়কটি।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, ‘রাস্তাটার অবস্থা এমন যে, অটোরিকশা সিএনজিতে ওঠা মানেই কোমর ভাঙা। মাঝে মাঝেই যানবাহন পড়ে মানুষ আহত হয়। স্কুলের বাচ্চারা পর্যন্ত ভয়ে এই রাস্তায় যেতে চায় না। কোন এমপি-মন্ত্রী একবার এই রাস্তা দিয়ে গেলে বুঝত কষ্টটা কেমন।

একই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পণ্যবাহী ট্রাকচালক রাকিব হাওলাদার। তিনি বলেন, একবার গর্তে পড়লে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। ট্রাকে থাকা জিনিসপত্র পড়ে যায়, এভাবে থাকলে এই রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা সম্ভব নয়। এটি দ্রুত সংস্কার করা উচিত।

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, সড়কটি ইতোমধ্যে ডিপিপিতে অনুমোদন পেয়েছে। তাই এখন সংস্কার করা হচ্ছেনা। বছরের শেষ দিকে ২০ ফুট প্রশস্ত করে এবং আরও শক্তিশালী করে কাজ শুরু হবে। তখন রাস্তাটি আরো টেকসই হবে।

এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, সংস্কার কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত অন্তত গর্ত ভরাট করে সাময়িক চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে। নইলে প্রতিদিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

মন্তব্য

p
উপরে