ঠিক যেভাবে গত এএফসি কাপের টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল, সেভাবে এবারও করল বসুন্ধরা কিংস। মালদ্বীপে স্বাগতিক দল মাজিয়া এসসিকে হারিয়ে দুর্দান্ত জয়ে এএফসি কাপের এবারের আসরের যাত্রা শুরু করল বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা।
মালের জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে মাজিয়াকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
বলা যায় কিংসের লাতিন জাদুতেই ধরাশায়ী মালদ্বীপের দলটি। প্রথমে আত্মঘাতী গোলের পর ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনিয়োর দুর্দান্ত গোলে জয় নিশ্চিত করেছে কিংস।
দুই দেশের ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ লিগের দুই চ্যাম্পিয়নের ম্যাচ যে টানটান উত্তেজনার হবে, সেটা আগে থেকে অনুমান করা যাচ্ছিল।
প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথমদিকে গুছিয়ে উঠতে বেগ পেতে হয় কিংসকে। সময় যত গড়ায় বল দখলে নিয়ে একের পর এক আক্রমণ সাজায় অস্কার ব্রুজনের বাহিনী।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে স্বপ্নের শুরু হয় কিংসের। খালিদ শাফির বাড়িয়ে দেয়া বল দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন রাউল বেসেরা ও মাজিয়ার অধিনায়ক মোহামেদ ইরুফান।
বেসেরার শটের আগেই বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন ইরুফান। শটটা ভাসতে ভাসতে গোলবার ছেড়ে এগিয়ে আসা গোলকিপার মারমাতখানভের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ালে লিড নিয়ে নেয় কিংস।
ম্যাচে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বলের দখল নিতে শুরু করে কিংস। ব্যবধান বাড়াতে মুখিয়ে থাকা কিংস পায় তাদের দ্বিতীয় গোল।
পাল্টা আক্রমণ থেকে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কিংস। ডি বক্সের বাইরে বল দেয়া-নেয়া করে ডান দিক দিয়ে ঢুকে পড়েন রবসন রবিনিয়ো।
বল নিয়ে সিক্স ইয়ার্ডের একটু সামনে থেকে একেবারে বুলেট শটে গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে ম্যাচের সব আলো নিজের করে নেন এই ব্রাজিলিয়ান।
এই দুই গোলের স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় কিংস।
দ্বিতীয়ার্ধে রাউল বেসেরার পাস থেকে ডি-বক্সের ভেতরে দারুণ একটা সুযোগ পান বিশ্বনাথ ঘোষ। বল না থামিয়ে শট নিলে বল চলে যায় বারের অনেক ওপর দিয়ে।
এর পরে মালদ্বীপের ডি-বক্সের বাইরে থেকে বেসেরার দুটি শট ডিফ্লেক্ট হয়ে চলে যায় বারের বাইরে দিয়ে।
পরে আর গোলের দেখা পায়নি কোনও দল। জয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিংস। এ জয়ে তিন পয়েন্ট ঝুলিতে বগলবাদা করল ব্রুজন বাহিনী।
ভরপুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে ২১ আগস্ট টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কিংস খেলবে ভারতের দল ব্যাঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে।
ডি-গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু এফসিকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে মিশন শুরু করেছে এটিকে মোহনবাগান।
আরও পড়ুন:রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৬৭টি মামলা করেছে ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, রোববার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে পরকীয়ার অভিযোগে এক নারীকে প্রকাশ্যে অমানবিকভাবে গলায় জুতার মালা ও চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে রবিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বড়মানিকা ইউনিয়ন বিএনপির ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির নিজ হাতে ওই নারীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। এ সময় তার সঙ্গে আরও ২০-২৫ জন উপস্থিত থেকে ভিডিও ধারণ করাসহ ওই নারীর মাথার চুল কাটছে।
স্থানীয়রা জানান, পরকীয়ার অভিযোগে শাস্তি দেওয়ার নামে এ নারীকে প্রকাশ্যে চুল কেটে জুতার মালা পড়ানো হয়।
তবে ঘটনাটিকে অনেকেই বিচারবহির্ভূত নির্যাতন বলে আখ্যা দিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের ঘটনা সমাজে নারী নির্যাতনের প্রবণতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
অভিযুক্ত ওয়ার্ড সভাপতি হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওরা বহুদিন ধরেই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। কয়েক মাস আগেও হাতেনাতে ধরা পড়েছিল। তাই এবার বিচার করেছি ও চুল কেটে জুতার মালা দিয়েছি। এরপর তাদের বিয়ে হবে।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান জনান, নারীকে প্রকাশ্যে হেনস্থার ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বরিশাল পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি জনাব মঞ্জুর মোর্শেদ আলম জানান, এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। অন্য আসামীদের শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে।
রাজশাহী মহানগরীতে অভিযান চালিয়ে ১৩ মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-৫।
রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানাধীন দাসপুকুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সেলিম রেজা (৫৫), বুলেট অরফে রুবেল (৩০), রিদয় (২৫), শিহাব আহমেদ শিশির (২২), আনোয়ার হোসেন (৪৭), জয়নাল আবেদীন জনি (২৫), জীবন বিশ্বাস (২৩), সাজিদ আলী (২২), জাফর সাদিক অভি (২২), সৌরভ হোসেন (২৪), আরিফুল ইসলাম (৩৬), আলমগীর হোসেন (৫০) ও ইউনূস আলী (৪২)।
আটককৃতদের মধ্যে অধিকাংশ রাজপাড়া থানার বাসিন্দা। এছাড়া একজন পুঠিয়া উপজেলা ও একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট এলাকার বাসিন্দা। এ সময় তাদের কাছ থেকে গাঁজা, মোবাইল ও টাকা জব্দ করা হয়।
আজ সোমবার সকালে র্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিএসসি এর একটি দল জানতে পারে দাসপুকুর এলাকায় ব্যাপকহারে মাদকের কেনাবেচা চলছে। পরবর্তীতে র্যাবের গোয়েন্দা দল ওই স্থানে নজরদারি বাড়ায় ও রাত সোয়া ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে ১৩ মাদক কারবারিকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ মাদক জব্দ করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, আটককৃতরা এলাকার সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সংগ্রহ করে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে।
নানা সমস্যা নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে জয়পুরহাটের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে নেই ওষুধ সরবারাহ। নেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। একই সঙ্গে অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় এ প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসাসেবায় একেবারেই ধস নেমেছে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিনের পুরনো ভবন জরাজীর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে স্বাস্থ্যসেবা। তাই দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান করে কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করার দাবি রোগী ও স্বজনদের। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নানা সংকট থাকায় কাঙ্খিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমস্যাগুলো সমাধান করলে রোগীদের কাঙ্খিত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৭৯ সালে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জয়পুরহাট শহরের ধানম-ি এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় সরকারি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। এটি জয়পুরহাট মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল নামেও বেশ পরিচিত। চিকিৎসাসেবায় হাসপাতালটি এক সময় ব্যাপক সুনাম কুড়ালেও বর্তমানে নানা সমস্যায় চিকিৎসাসেবায় ধস নেমেছে। এ হাসপাতালটিতে গত ৮ মাস ধরে নেই কোনো ওষুধ সরবরাহ। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় বন্ধ রয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা। আর প্রয়োজনীয় জনবল সংকটসহ অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় প্রায় দুই বছর ধরে সব ধরনের অপারেশনও বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র নরমাল ডেলিভারি করানো হচ্ছে এখানে। এছাড়া পুরনো ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় তৈরি হয়েছে ঝুঁকি। ভবনের অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। কিছু জায়গায় খুলে পড়েছে পলেস্তেরা। এতে রোগীদের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালের স্টাফদের। দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান করার দাবি রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।
জয়পুরহাট শহরের সবুজ নগরের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। এ পর্যন্ত চারবার চেকআপ করালাম, কিন্তু একবারও ওষুধ পাইনি। মেশিন না থাকায় আলট্রাসনোগ্রাম করাতে পারিনি। রক্ত পরীক্ষাও করাতে পারিনি। এক কথায় এখানে ল্যাবই নেই। নামে শুধু হাসপাতাল।
জয়পুরহাট শহরের আমতলী এলাকার রিমা আক্তার বলেন, এ হাসপাতালে আগে যে সেবা পাওয়া যেত, এখন তার কিছুই পাওয়া যায় না। আগে ওষুধ পাওয়া যেত, সিজার হতো, এখন কিছুই হয় না। এখানে ওষুধ লিখে দেয়, আর বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসতে হয়।
পাঁচবিবির রতনপুর গ্রামের লাভলী খাতুন বলেন, আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এখানে ভালো কোনো চিকিৎসা পাচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ, বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খেতে হচ্ছে। এছাড়া ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ, কখন যে ভেঙে পড়বে তা বলা যায় না। তাই ভবনটি নতুন করে তৈরিসহ সব সমস্যা সমাধান করা হলে হাসপাতালটি আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবে।
ক্ষেতলালের বানিয়াপাড়ার মিনহাজুল ইসলাম বলেন, মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল মানে জয়পুরহাটে বিখ্যাত একটি হাসপাতাল বলে সবাই চিনত। এখন হাসপাতালের নাম থাকলেও সেবার মান একেবারেই ধ্বংস। এখানে এলেই শুনি কিছুদিনের মধ্যে সব ঠিক হবে, কিন্তু কিছুই হয় না। গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটিকে কেউ গুরুত্ব দেয় না। এটি ভালো করে চালু করা হোক, না হলে বন্ধ করে দেওয়া হোক।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স চম্পা পারভিন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা বেতনভাতা পাই না। হাসপাতালে ওষুধ নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। অ্যনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এজন্য সিজারিয়ান সেকশন থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। আগে রোগীরা অনেক ভিড় করলেও এখন আর রোগী তেমন আসে না। জনবল কম হওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফদের অনেক সময় ডাবল ডিউটি করতে হয়। এতে রোগীদের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালের স্টাফদের।
প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শাহানা পারভীন বলেন, অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এখানে দেড় বছর ধরে কোনো অপারেশন করতে পারছি না। জনবল সংকটের কারণে রোগীদের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছি না। ওষুধের সরবারহ এখনো পাইনি। এখন শুধু আমরা রোগীদের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র লিখে দিচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি এসব বিষয়ে দৃষ্টি দেয় তাহলে আমরা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারব।
দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। নতুন করে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণে ২ হাজার ৭১৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এখন ২২ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাজুসের ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং’ কমিটি বৈঠকে বসে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়।
পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
এর আগে গত ৪ ও ২ সেপ্টেম্বর এবং ৩১ ও ২৭ আগস্ট স্বর্ণের দাম চার দফায় বাড়ানো হয়। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার চর হরিনাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র নাজমুল হোসেন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এখন শয্যাশায়ী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ গ্রামের মো. ইসলাম মন্ডলের ছেলে।
দরিদ্র পরিবারের পক্ষে নাজমুলের চিকিৎসার বিপুল ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। তার পিতা মো. ইসলাম মন্ডল একজন সাধারণ ভ্যানচালক সংসারের দৈনন্দিন খরচ চালাতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে সন্তানের ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা তাদের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই নাজমুলের লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ। স্বপ্ন ছিল একদিন ডাক্তার হয়ে সমাজের সেবা করবে। কিন্তু আজ সেই স্বপ্ন থেমে যেতে বসেছে শুধুমাত্র অর্থের অভাবে।
তাই সমাজের সকল সহৃদয় ও বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি পরিবারটি সহানুভূতি এবং সহযোগিতা কামনা করেছেন।আপনারা যদি যার যার সাধ্য অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে হয়তো নাজমুল আবারও নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে।
নাজমুলের চিকিৎসার জন্য যারা সাহায্য করতে ইচ্ছুক, তারা বিকাশ নাম্বারে অর্থ পাঠাতে পারেন: বিকাশ নম্বর: 01874802351 (নাজমুল হোসেনের পিতা – মো. ইসলাম মন্ডল)। আপনাদের সামান্য সহযোগিতা একটি জীবন বাঁচাতে পারে। সাহায্য পাঠানোর আগে যাচাই করে নিতে পারেন।
কুমিল্লা নগরীতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে নগরীর কালিয়াজুড়ি খেলার মাঠের পাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের মৃত্যুর সময় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
নিহতরা হলেন গৃহিনী তাহমিনা আক্তার ফাতেমা (৫২) ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার রিন্তি (২৩)। সুমাইয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬ ব্যাচের তৃতীয় বষের শিক্ষার্থী ছিলো।
বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানিয়েছেন, চার বছর আগে কুমিল্লার আদালতের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাড়িটি ভাড়া নেন। গত বছর তার মৃত্যুর পর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ফাতেমা (৫০), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া আফরিন রিন্তি (২৪) তার আরও দুই ছেলে বাড়িটিতে থাকছেন।
বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানিয়েছেন, বাড়িতে তারা থাকতেন। তারা অন্য কারো সাথে তেমন কথা বলতেন না। গতকাল রাতে তার দুই ছেলে ঢাকা থেকে বাসায় আসলে তারা ঘরের দরজা খোলা দেখে। এই সময় তারা ভাবে তাদের মা ও বোন ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু বাসায় ঢুকার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তাদের কোন সারা শব্দ না পেলে জাগাতে গিয়ে দেখেন তারা নড়ছে না। পরে ৯৯৯ এ কল পেয়ে সোমবার ভোরবেলা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং কুমিল্লা মেডিকেল এর মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে একজন ব্যক্তি রবিবার দিনের বেলায় তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করেছিল। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নিহত তাহমিনার বড় ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম ফয়সাল (৩৪) জানান, তারা দুই ভাই এক বোন। ছোট ভাই কুমিল্লা ইপিজেড
চাকুরী করে। সে ঢাকায় আইন পেশায় নিযুক্ত। গতকাল ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে যান। তার ভাইও বাসায় ফিরে নিজের রুমে গিয়ে বিশ্রাম নেন৷ তখন তার মাকে বার বার ডেকেও সাড়া না পেয়ে মায়ের রুমে যান। সেখানে তার মায়ের নিথর দেহ দেখতে পান। পরে বোনের কক্ষে গিয়েও বোনের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
তাজুল ইসলাম আরো জানান, দূর্বৃত্তরা তার মা ও বোনকে হত্যা করে মোবাইল ল্যাপটম, কানের দুল নিয়ে যায়।
কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে কিভাবে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য