আন্তর্জাতিক ফুটবল মৌসুমের কী দারুণ সমাপ্তিটাই না ঘটল! একদিকে কোপা আমেরিকা জিতে আর্জেন্টিনা মেটাল শিরোপার জন্য তাদের ২৮ বছরের হাহাকার। তার কয়েক ঘণ্টা পরই বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই করতে না পারার বেদনা ভুলে ইতালি উঁচিয়ে ধরে ইউরোপ সেরার ট্রফি।
দুই দলের সাফল্যের পেছনে দুই মাস্টার ট্যাকটিশিয়ান। রবার্তো মানচিনি ও লিওনেল স্কালোনি জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কখনই অতটা লাইমলাইট পাননা যতটা পান মেসি-দি মারিয়া-ডোনারুমারা। পাওয়ার কথাও না।
তবে আড়ালে আবডালে থেকি কৌশলগত উন্নতির সঙ্গে মানচিনি ও স্কালোনি খেলোয়াড়দের ‘ম্যান ম্যানেজমেন্ট’ করেছেন সমান দক্ষতায়। শুরুতেই তাকানো যাক স্কালোনির দিকে।
তিনি এমন একটা দেশের কোচ যাদের কাছে সাফল্য মানেই শিরোপা। স্কালোনি যখন আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নেন তখন তারা ২০১৮ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কাদাজলে মাখা, টানা তিন ফাইনালে জয়ের একেবারে কাছ থেকে ফেরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা এক স্কোয়াড।
সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় স্কোয়াডের অংশ হলেও প্রত্যাশার ভারে তিনি ন্যুব্জ। বিখ্যাত আকাশী-সাদায় নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন।
সেখান থেকে ধীরে ধীর দল পুনর্গঠন করলেন স্কালোনি। বিদায় জানিয়ে দিলেন পুরনোদের। বলে দিলেন আধুনিক ফুটবলে ধীর গতির, বুড়িয়ে যাওয়া খেলোয়াড়দের জায়গা তার দলে হবে না।
ইউরোপ ও আর্জেন্টিনার লিগগুলো খুঁজে খুঁজে বের করলেন এক ঝাঁক আনকোরা খেলোয়াড়। যাদের ওপরে নেই কোনো প্রত্যাশার চাপ কিংবা ব্যর্থতার ভার যাদেরকে কাবু করেনি।
গোলবারে দুই বিশ্বকাপের অভিজ্ঞ সার্হিও রোমেরোর জায়গায় নিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে ধারাবাহিক এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে। এভার বানেগার মতো ঝানু ও নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডারকে না করে, নিলেন রদ্রিগো দে পলের মতো প্রাণবন্ত তরুণকে।
মার্টিন দেমিকিলিস, মার্কোস রোহোদের জায়গায় রক্ষণে আনলেন ক্রিস্টিয়ানো রোমেরো ও গনসালো মন্তিয়েলকে। স্কালোনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খোলনলচে পালটে দিলেন স্কোয়াডের।
আর মূল অস্ত্র লিওনেল মেসিকে বললেন, সর্বকালের সেরার তকমা তিনি পেয়েই গেছেন। কোনো ট্রফি জিতে কাউকে তার কিছু প্রমাণ করতে হবে না। নিজের আনন্দে ফুটবলটা যেনো তিনি খেলে যান।
ব্যস! এতেই কাজ হলো ভোজবাজির মতো। যেই আর্জেন্টিনা হতচ্ছাড়া দলের মতো খেলে বাদ পড়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে তারাই কিনা টানা ১৩ ম্যাচে অপরাজিত থেকে, তিন বছরের মাথায় জিতে নিলো কোপা আমেরিকা!
আর্জেন্টিনার কোপা জয় শুধুমাত্রই একটা শিরোপা ছিল না তাদের জন্য। নিজেদের ফুটবল দলকে ঢেলে সাজানোরও প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে আলবিসেলেস্তে। স্কালোনি এখন বলতে পারেন কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপ ট্রফির জন্যও চ্যালেঞ্জ করতে পারে তার দল।
একই রকম কাহিনী মানচিনির ক্ষেত্রেও। ইতালি ২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ইতালিতে নেমে আসে জাতীয় দুর্যোগ। ইতালিয়ানদের জাতীয় আবেগ ফুটবল ও তাদের কাছে বিশ্বকাপ না খেলাটা প্রিয়জনের বিদায়ের মতোই ব্যক্তিগত কষ্টের।
সেই দুর্দশার সময়ে দলের হাল ধরেন মানচিনি। পুরোনো ধ্যান ধারণা ত্যাগ করে নতুন আইডিয়া ও কৌশল অবলম্বন করেন এই সাবেক মিডফিল্ডার। স্কালোনির মতো তিনিও স্কোয়াডের পরিচিতি পালটে ফেলেন।
ঐতিহ্যগত ভাবে রক্ষনাত্মক ফুটবল খেলা ইতালি মাঠে উপহার দেয় নজরকাড়া আক্রমণাত্মক ও রোমাঞ্চকর ফুটবল। বিশ্বকাপ, ইউরো বাছাইপর্ব মিলিয়ে মোট ২৮ ম্যাচে অপরাজিত থেকে ইউরো শুরু করে ইতালি।
মানচিনি বনুচ্চি, কিয়েলিনিদের মতো অভিজ্ঞদের সংগে স্কোয়াডে জায়গা দেন ফেদেরিকো কিয়েসা, নিকোলো বারেল্লা, ডমিনিকো বেরার্দি ও জানলুইজি ডোনারুমাদের মতো অনূর্ধ ২৩ তরুণদের। তারুণ্য-অভিজ্ঞতার মিশেলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে ইতালি।
গ্রুপ পর্বের সব শুধু জেতেনি ইতালি, প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ৩ ম্যাচে ৭ গোল করে তারা। নক আউটে বেলজিয়ামকেও অনায়াসে হারায়। একমাত্র কঠিন চ্যালেঞ্জ আসে স্পেনের কাছ থেকে।
টাইব্রেকারে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের চ্যালেঞ্জ উৎরানোর পর ইতালি আবারও ফুটবল মানচিত্রে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার।
ইতালিকে হারানো সম্মান ফিরিয়ে দেয়া মানচিনি ও আর্জেন্টিনার নতুন যুগের সূচনা করা স্কালোনির দেখা হতে পারে সামনের বছরের প্রস্তাবিত ‘ম্যারাডোনা কাপে’। দুই মাস্টার মাইন্ডের মুখোমুখি লড়াই দেখার অপেক্ষা ভক্তরা শুরু করে দিয়েছেন এরই মধ্যে।
সারাহ কুক বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দপ্তর বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন সারাহ। এর আগে তিনি ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ডিএফআইডি) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিলেন।
২০২০ সাল পর্যন্ত সারাহ তাঞ্জানিয়ায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার ছিলেন। সেই দায়িত্ব শেষে তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দপ্তরে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৬টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ীরা শপথ নিয়েছেন। বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
বিএনপির দলীয় এমপিদের পদত্যাগের ফলে শূন্য হওয়ায় ৬টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি।
শপথ নেয়া ছয় সংসদ সদস্যরা হলেন: ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), বগুড়া-৪ এর এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ), বগুড়া-৬ এর রাগেবুল আহসান রিপু (আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর মু. জিয়াউর রহমান (আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এর মো. আব্দুল ওদুদ (আওয়ামী লীগ) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র)।
সংসদ ভবন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, মো. মুজিবুল হক চুন্নু, শিরীন আখতার, ফখরুল ইমাম, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, ফেরদৌসী ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকার্য শুরু হলো।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এদিন ইরফান সেলিম আদালতে হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী সময় আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ঠিক করেন বিচারক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মিজানুর রহমান, মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন।
২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে চান।
তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনার পরদিন ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দেশের ৬টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা ও ৬২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের আহবান জানিয়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলের সভাপতির কার্যালয়ে ফরম পাওয়া যাবে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে ফরম সংগ্রহ করে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে একই সময়ের মধ্যে তা জমা দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে এবং অতিরিক্ত লোকসমাগম ছাড়া প্রার্থী নিজে অথবা একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
উপহারের গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এই গাড়ির নেই ফিটনেসের মেয়াদ, পরিশোধ করা নেই ট্যাক্সও।
সোমবার হবিগেঞ্জর চুনারুঘাট উপজেলার শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান তাকে এই গাড়ি উপহার দিয়েছেন। তবে ওই ফি জমা না দিয়ে গাড়ি রাস্তায় বের করতে পারবেন না হিরো আলম।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, টয়োটা নোয়া ১৯৯৮ মডেলের পুরনো এই গাড়িটির ফিটনেস শেষ হয়েছে এক দশক আগে। একই সময় মেয়াদউত্তীর্ণ হয়েছে ট্যাক্স টোকেনেরও। সব মিলিয়ে গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে সরকারকে হিরো আলমের পরিশোধ করতে হবে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার দুটি আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হিরো আলমকে গত ৩০ জানুয়ারি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রিন্সিপাল এম মুখলেছুর রহমান তার ব্যবহৃত গাড়িটি উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ঘোষণার পর হিরো আলম গাড়িটি নিতে চাইলে মুখলেছুর রহমান গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বেশ সমালোচিত হন ওই শিক্ষক।
আলোচনা-সামলোচনার পর মঙ্গলবার চুনারুঘাটের নিজ বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হিরো আলমের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন মুখলিছুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি ওয়াদা করেছিলাম নির্বাচনে হিরো আলম জয়ী হোন বা না হোন পরের দিন আমার বাড়িতে আসলে আমি গাড়িটি তার হাতে তুলে দেব।
‘কিন্তু কিছু লোক বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার সমালোচনা করেছেন। এতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি সিলেটবাসীর সম্মান ক্ষুন্ন করতে দেব না। সম্মানের সঙ্গে আমি হিরো আলমকে গাড়িটি তুলে দিতে পেরে খুশি।’
গাড়ি উপহার পাওয়ার পর হিরো আলম বলেন, ‘আমার ভাই ভালোবেসে আমাকে গাড়িটি উপহার দিয়েছেন। আমি এই গাড়ি গ্রহণ করলাম। তবে এই গাড়িটি আমি নিজে ব্যবহার করব না। সাধারণ মানুষের কল্যাণে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর জন্য গাড়িটি দান করে দেব।’
হিরো আলমের হাতে তুলে দেয়ার পর পুরনো এই গাড়িটির ফিটনেস নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে।
বিআরটিএর তথ্য বলছে, টয়োটা নোয়া মডেলের ১৮০০ সিসি পুরনো এই গাড়িটির ফিটনেসের মেয়াদউত্তীর্ণ হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই। একই বছরের ১৫ মার্চ টেক্স টোকেনের মেয়াদও শেষ হয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ও ভ্যাট-টেক্সসহ সব মিলিয়ে এই গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ বিআরটিএর সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে ওই গাড়ির ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস সনদ নবায়ন নেই। এছাড়া আরও বিভিন্ন বিষয় মিলিয়ে গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে।’
এ ব্যাপারে এম মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালে গাড়িটি ৬ লাখ টাকায় আমি এফিডেভিটের মাধ্যমে কিনেছিলাম। আমি যখন গাড়িটি কিনি তখনই এটার ফিটনেস সনদের মেয়াদউত্তীর্ণ ছিল। এছাড়া সর্বশেষ ট্যাক্সও পরিশোধ করা হয় ২০১৩ সালেই।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হিরো আলম বলেন, ‘গাড়িটি নেয়ার আগে ফিটনেস ও ট্যাক্সের বিষয়টি জানতাম না। পরে জানতে পেরে কাগজপত্র যাচাই বাচাই করে বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি বিআরটিএর সঙ্গে কথা বলব। যেহেতু আমি গাড়িটি মানবসেবার জন্য দান করেছি। সেহেতু মানবিক দিক বিবেচনা করে কিছু কম-বেশি করে গাড়িটি রাস্তায় নামানো যায় কি না সেটার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন:ছাগলের মাংসের মধ্যে কীটনাশক (বিষ) মিশিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সুন্দরবনে। বাঘের বিচরণ এলাকার আশপাশে রেখে আসা হয় সেই মাংস। এক পর্যায়ে বাঘ ওই মাংস খেয়ে মারা গেলে সেটির চামড়া ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আসা হয়। পরে এক শ্রেণির সৌখিন মানুষের কাছে তা বিক্রি করা হয় প্রায় কোটি টাকা দামে।
বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার এভাবেই সুন্দরবন থেকে শিকার করে আসছিল একটি চক্র। এদের মধ্যে দুইজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার বিকেলে আটক করা ওই দুজন হলেন মো. হাফিজুর শেখ ও মো. ইসমাইল শেখ। তাদের বাড়ি সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধলপাড়া গ্রামে।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘প্রথমে আমারা গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে এই বাঘ শিখার চক্রটি সম্পর্কে তথ্য পাই। পরে বাঘের চামড়া ও অঙ্গ-প্রত্যক্ষের ক্রেতা সেজে তাদেরকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বাঘের চামড়া লবণ মাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২৭ জানুয়ারি ওরা শ্যামনগর উপজেলা সংলগ্ন সুন্দরবন থেকে বাঘটি শিকার করেছিলেন। পরে সৌখিন মানুষদের খুঁজছিলেন, যারা প্রায় কোটি টাকা মূল্য দিয়ে একেকটি বাঘের চামড়া কিনে থাকে।
‘যারা এসব বাঘের চামড়া কেনে তারাও আমাদের নজরদারিতে আছে। গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিকারিরা জানিয়েছেন, তারা মাছ ও গোলপাতা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বাঘ শিকার করতেন। সুযোগ বুঝে বনের অন্যান্য প্রাণিও শিকার করতেন তারা।
অধিনায়ক বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে এই মামলার তদন্তভার আমাদের দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে। তাহলে এই সিন্ডেকেটে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন:কলাম লিখতে হলে প্রথমে নিজেকে তথ্য জানতে হবে। কলাম লিখতে হলে জানার বিকল্প নেই। একটি বিষয় নিয়ে লিখার পূর্বে বিষয়টি সম্পর্কে সত্য মিথ্যা জানতে হবে।
বুধবার বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘কলাম লেখার রীতি-নীতি, কৌশল শিখন ও অনুশীলন ’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন ফোরামের এর সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান, সংগঠনটির সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি শ্যামল দত্ত, বাংলা একাডেমির উপ পরিচালক ড. তপন বাগচী।
সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডমীজানুর রহমান বলেন, কলাম লেখার প্রথম কথা হলো, আপনাকে পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনা না করলে, কলাম লেখা যাবে না। আপনি যে বিষয়ে কলাম লিখবেন, সে বিষয়ে প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে।
অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে আমাদরেকে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে। আগামীর বিশ্ব বাজার দখল করবে তথ্য। এই তথ্য বা ইনফরমেশন যারা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবে, যারা প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রান্স এন্ড টুইস বুঝে চলতে পারবে, তারাই টিকে যাবে।
প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি শ্যামল দত্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, কলাম লেখা, রীতি-নীতি, কৌশল শিখন বিষয়ক অনুশীলন কার্যক্রমটি একটি ভালো উদ্যোগ। আপনাদেরকে এ আয়োজন করার জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি।
মন্তব্য