দুই দুইটি কোপার ফাইনালে যাদের কাছে হেরে ট্রফি জেতা হয়নি, সেই চিলি আবার কোপা আমেরিকার শুরুতে বাধা হয়ে দাঁড়াল আর্জেন্টিনার। লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে গেলেও পরে ড্রয়ের দুঃখ নিয়ে মাঠ ছাড়ে আলবিসিলেস্তেরা।
ব্রাজিলের রিওর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের শুরু থেকে বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে আক্রমণ সাজিয়ে গেছে লিওনেল স্কোলানির শিষ্যরা।
প্রথমার্ধের ১২ থেকে ১৮ মিনিটে তিন তিনটি সুযোগ হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা। তার একটি ছিল লিড নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ।
লো সেলসোর ডিফেন্সচেড়া পাস থেকে চিলির গোলকিপার ক্লদিও ব্রাভোকে ওয়ান টু ওয়ানে পেয়ে যান নিকোলাস গঞ্জালেস।
ডি-বক্সের ভেতর থেকে ব্রাভোকেই বিট করতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। আরেকবার হতাশ হয় আকাশি-নীল জার্সিধারীদের সমর্থকরা।
এর মধ্যে আর্জেন্টিনার ইন্টার মিলানের ফরোয়ার্ড লাউতুরো মারতিনেসের একটি শট দারুণভাবে থামিয়ে দেন ব্রাভো। সমতায় চলতে থাকে ম্যাচ।
ঠিক ৩৩ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের ঠিক আগে। লিওনেল মেসির জন্য দলকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ।
এবার হতাশ করেননি খুদে জাদুকর। অনেকটা চিপ শটে বলটাকে দারুণভাবে বাঁকিয়ে ডান বারের কোণ বরাবর পাঠিয়ে দেন মেসি।
অধিনায়কের গোলে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার উল্লাসে মেতে ওঠে আলবিসেলেস্তেরা।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত আর্জেন্টিনা। সিক্স ইয়ার্ডের সামনে থেকে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন লাউতারো মার্তিনেস।
এক গোলের স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে মেসিদের চেপে ধরে চিলি।
ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে দলকে পেনাল্টি এনে দেন আরতুরো ভিদাল। নিজেই পেনাল্টি নেন ভিদাল। তার শট প্রথমবারে থামিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ফিরতে বলে ভারগাসের হেডে সমতায় ফেরে চিলি।
চিলি ম্যাচের ৬৩ মিনিটে লিড নিয়ে ফেলতে পারত। বাম প্রান্ত থেকে আসা ক্রসে হেড করেন ভিদাল। তা সরাসরি চলে যায় গোলকিপারের গ্লাভসে।
এরপর ম্যাচ যত গড়িয়েছে গুছিয়ে উঠে আক্রমণ সাজানোর চেষ্টা করছিল লিওনেল স্কালোনির দল। দি মারিয়া বদলি হিসেবে নামার পর খেলার গতি বাড়ে আর্জেন্টিনার।
ম্যাচের ৭১ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া মেসির শট রুখে দিয়ে বিপদমুক্ত করেন ব্রাভো। পরে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই।
গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা ও চিলি। শেষ দুবারের মুখোমুখিতে দুই দলের ম্যাচ ড্রয়ে শেষ হয়েছিল।
এবার ৩১ বছরের শিরোপা খরা মেটানোর মিশনে হোঁচট খেয়েই শুরু করতে হয়েছে মেসিদের। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী ১৯ জুন আর্জেন্টিনা খেলবে উরুগুয়ের বিপক্ষে।
জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে চলাচলের অযোগ্য প্রায় ৩ কি.মি কাঁচা রাস্তা। কাঁদাযুক্ত রাস্তায় চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। উপজেলায় আওনা ইউনিয়নের কাশিনাথপুর পূর্বপাড়া ঠান্ডু মিয়ার বাড়ি হতে নাথের-পাড়া দিয়ে জলিলের দোকান পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি কাঁচা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কার নেয়ার দাবী স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রাস্তা দিয়ে কাশিনাথপুর, নাথেরপাড়া, টিকরাপাড়া, তরণীআটা ও কাবারিয়াবাড়ী সহ ৫-৬ টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও হাট বাজারের যাতায়াতে স্থানীয়রা চলাচল করে। উপজেলার আওনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাশিনাথপুর পূর্বপাড়া ঠান্ডু মিয়ার বাড়ি থেকে বাদল মেম্বারের বাড়ী হয়ে নাথেরপাড়া গ্রামের জলিলের দোকান পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি. রাস্তা কাঁচা থাকায় চলাচলে দীর্ঘ দিন ধরে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তার একাধিক স্থানে পরিনত হয় কাঁদাময় রাস্তায়। কোথাও কোথাও মাটি গর্ত হয়ে উচু নিচু বা নিচের দিকে ধসে গিয়ে যানবাহন ও স্থানীদের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সোলায়মান, রাশিদুল, রনি মন্ডল, জোবেদা বেওয়া, শিক্ষার্থী কাকন, মোহনা মিম সহ অনেকেই বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে জরুরি মুহুর্তে রোগী ও গর্ভবতি মা বোনদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে গেলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। অনেক সময় আমাদের স্কুলে যাওয়ার সময় কাঁদার কারনে পোষাক নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির দিনে রাস্তায় প্রায় হাটু সমান কাঁদা জমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তাটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি রাস্তাটি পাকা করার জন্য দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে আওনা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনারা বেগম বলেন, ‘রাস্তাটির বিষয়ে ইতিমধ্যে আমি খোজ নিয়েছি। আপাতত বালি ফালানোর ব্যবস্থা করছি। আর এলজিইডির সাথে কথা বলে পাকা রাস্তা করনে ব্যবস্থা নিবো।
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে মাগুরায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে এবং মাগুরা সিভিল সার্জন অফিসের ব্যবস্থাপনায় শহরে বর্ণাঢ্য রেলি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিভিল সার্জন এর সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
সিভিল সার্জন ডা. শামীম কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো: অহিদুল ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ মহসিন হোসেন, বি এম এর সভাপতি ডা. প্রফেসর আলিমুজ্জামান,মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি মো: হাসানুজ্জামান অস্রু প্রমুখ।
বক্তারা প্রতিটি শিশুর জন্য মায়ের দুধের শক্তি গুনাগুন ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা।
সোমবার বিকালে অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের খেলার মাঠ থেকে মিছিলটি বের করা হয়। উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নজরুলের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ মিছিলটি অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে নিজামুল হক নজরুল ছাড়াও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুবায়ের হাসান ইয়ামিন বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছর আমরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়েছি, তখন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফজলুর রহমান যোগ্য অভিভাবকের মতো আমাদের পাশে থেকেছেন, খোঁজখবর রেখেছেন।
জামায়াত-এনসিপি’র ষড়যন্ত্রের কাছে যদি ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আমরা অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইনের বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘরে বসে থাকবো না। আমরা সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে আমাদের নেতাকে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বের করে নিয়ে আসবো। বক্তারা আরো বলেন, এডভোকেট ফজলুর রহমান একজন সৎ, নির্ভীক ও আদর্শবান রাজনীতিক। জামায়াত ও এনসিপি’র একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানকে হেয় করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের এই মিথ্যা অপপ্রচার ও কুৎসা রটনা অতীতের মতো এবারও ব্যর্থ হবে। গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াইরত একজন পরীক্ষিত রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালিয়ে লাভ হবে না। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ ফজলুর রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল উপজেলার চারাভাঙ্গা এলাকা থেকে ৫৩ কজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে। রোববার রাত ১১ টায় উপজেলার চারাভাঙ্গা মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হল উপজেলার উত্তর সুরমা গ্রামের মৃত আবু শামার ছেলে শাহাব উদ্দিন(৩৫) একই উপজেলার গোয়ালনগর গ্রামের মৃত শিরু মিয়ার ছেলে মাসা মিয়া (৩৮),। এসময় মাদক পরিবহন ব্যবহৃত ১টি প্রাইভটকার জব্দ করা হয়। সোমবার সকালে মাদকসহ তাদের মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। র্যাব ৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ একেএম শহিদুল ইসলাম জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে,তারা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। শাহাবুদ্দিন (৩৫) ও মাসা মিয়া (৩৮) তারা দুজন ৫৩ কজি গাঁজা বিক্রয়র উদ্দেশ্যে নিজ নিজ হেফাজতে রেখেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে পরস্পর যোগসাজসে আর্থিকভাব লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয় মাধবপুর সীমাÍবর্তী এলাকা হতে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ও গাঁজার গুড়া এনে হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন জায়গায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান,র্যাবের হাতে মাদক সহ আটক দু,ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা শেষে আদালতের নির্দেশে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনার আমতলী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লক পাড় এলাকায় পায়রা নদীতে গোসল করতে নেমে সজল (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তিন ঘণ্টা অভিযানের পর তার মরদেহ উদ্ধার করেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে সজল গোসল করার জন্য নদীতে নামেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন । অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় জানায়। খবর পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে এবং দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর তার মরদেহ উদ্ধার করেন ।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন । তিনি আরও বলেন এটি একটি মর্মান্তিক দূর্ঘটনা, ছেলেটি সাঁতার জানতো না। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চট্টগ্রাম বোয়ালখালীতে অনুমোদন ও নিবন্ধন ছাড়াই মরিয়ম নূর দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রসূতিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার অলি বেকারি এলাকার রেসিডেন্স ভবনের দ্বিতীয় তলায় কক্ষ ভাড়া নিয়ে গড়ে উঠে এ দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রটি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ওই দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
এ সময় মরিয়ম নূর চিকিৎসা কেন্দ্রে অনুমোদন ও নিবন্ধন ছাড়াই প্রসূতিদের প্রেসক্রিপশনে ঔষধ লেখার প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসব অপরাধের দায়ে মরিয়ম নূর দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রের রোকেয়া বেগমকে (৪৮) এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত এই ধরণের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আদেশ দেয়া হয়।
অভিযানে আদালতকে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি ও তার মেডিকেল টিম। উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান ও থানা পুলিশের একটি দল।
বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উদ্ভাবনী প্রতিভার খোঁজ এবং তাদের দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (এফএমপিই) বিভাগ এর আয়োজনে সোমবার বারি’র এফএমপিই বিভাগের সেমিনার কক্ষে কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা (এফএমডি) প্রকল্প এর আওতায় “কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ ও বিকাশ কার্যক্রমের অগ্রগতি” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট, সিমিট বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউ, ইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টার, এসিআই মটরস, মেটাল এগ্রো, উইগ্রো এগ্রি-ফিনটেক, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবকগন অংশগ্রহণ করেন।
বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ আতাউর রহমান। এছাড়াও বারি’র বিভিন্ন কেন্দ্র/আঞ্চলিক কেন্দ্র/উপ-কেন্দ্র/বিভাগ/শাখার সিনিয়র বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং বারি’র সাবেক মহাপরিচালক ও পরিচালকবৃন্দ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় প্রকল্পের কার্যক্রমের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফএমপিই বিভাগ) ও প্রকল্প পরিচালক (এফএমডি) ড. মো. নূরুল আমিন। কর্মশালায় প্রদর্শিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফএমপিই বিভাগ) ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক।
কর্মশালার অংশ হিসেবে পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাগুলির বিভিন্ন নতুন ভাবনা উপস্থাপন করেন। এসময় কৃষি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সনাতন যন্ত্রপাতি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। একইসাথে, প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও কার্যকর পদ্ধতিগুলোর প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নতুন ধারণা সৃষ্টি ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অনুষ্ঠানে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সময়ে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ থেকে সেরা দশ উদ্ভাবকগনকে সনদ, ক্রেস্ট ও পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হয়।
মন্তব্য