× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফুটবল
এক ম্যাচে মাঠ মাতান তিন প্রবাসী ফুটবলার
google_news print-icon

এক ম্যাচে মাঠে তিন প্রবাসী ফুটবলার

এক-ম্যাচে-মাঠে-তিন-প্রবাসী-ফুটবলার
ছবির বামে মাহাদী খান, মাঝে তারিক কাজী ও ডানে জোসেফ নূর। ছবি: সংগৃহীত
এই বিরল দৃশ্যটি দেশের ফুটবলার দর্শকরা দেখেছে বসুন্ধরা কিংস ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের মধ্যকার ম্যাচে। শুক্রবার মাঠ মাতান কিংসের ফিনল্যান্ড প্রবাসী লেফটব্যাক তারিক কাজী, নরওয়ের প্রবাসী মিডফিল্ডার মাহাদী খান ও ব্রাদার্সের সুইডেন প্রবাসী ফরোয়ার্ড জোসেফ নূর রহমান।

বিরল ঘটনাই বলা যায়। এক ম্যাচে এর আগে দুই প্রবাসী ফুটবলার মাঠে নামার রেকর্ড আছে। এবার সংখ্যাটা বাড়ল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এক ম্যাচে তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ফুটবলারকে মাঠে খেলতে দেখা গেছে।

এই বিরল দৃশ্যটি দেশের ফুটবলার দর্শকরা দেখেছে বসুন্ধরা কিংস ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের মধ্যকার ম্যাচে। শুক্রবার মাঠ মাতান কিংসের ফিনল্যান্ড প্রবাসী রাইটব্যাক তারিক কাজী, নরওয়ের প্রবাসী মিডফিল্ডার মাহাদী খান ও ব্রাদার্সের সুইডেন প্রবাসী ফরোয়ার্ড জোসেফ নূর রহমান।

কিংসের জার্সিতে নাম লিখিয়ে প্রথম দিকে অনিয়মিত তারিক কাজী এবারের লিগে একটু নিয়মিতই হয়েছেন। কোচ অস্কার ব্রুজনের নিয়মিত একাদশে দেখা যাচ্ছে তাকে।

এই ম্যাচে ফিনল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার তারিক কাজী ৭২ মিনিট পর্যন্ত খেলেন। ডিফেন্ডিংয়ের পাশাপাশি উইঙ্গেও দারুণ সফলতা দেখিয়েছেন এই ফুটবলার।

ম্যাচের ৪৫ মিনিটে তার পা থেকে আসে কিংসের লিড নেয়া গোলের অ্যাসিস্ট। ডানপ্রান্ত থেকে দারুণভাবে বলটা ডি-বক্সের ভেতরে ফেলেন তারিক। তার পাস থেকে মাটি কাঁপানো শটে বল জালে জড়ান রবসন।

সবমিলে এবার আট ম্যাচ খেলেছেন তারিক। তার খেলা আট ম্যাচে মাত্র দুটি গোল হজম করেছে কিংস। ক্লিনশিট ছিল ছয়টিতে। পুরো ম্যাচ খেলা হয়নি তার। ম্যাচের ৭২ মিনিটে তার বদলি হিসেবে নামেন ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা।

একই সময়ে ইব্রাহিমের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মাহাদি খান। কিংসের জার্সিতে অভিষেক হয় নরওয়ের ফোর্থ টায়ারে খেলা এই ফুটবলারের।

ম্যাচে মাঝমাঠে খেলেছেন প্লে মেকিংয়ে ভূমিকায়। তার মাঠে নামার পর আরও দুটি গোল আদায় করে নেয় কিংস। দুটি গোলেই প্লে মেকিংয়ে ছিলেন এই ফুটবলার। কয়েকটি ইন্টারসেপশনও ছিল এই মাহাদির। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

আর ব্রাদার্সের হয়ে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জোসেফ নূর রহমান। কিংসের বিপক্ষে দল যেখানে ৫-১ গোল ব্যবধানে হেরেছে, কয়েকটি আক্রমণ সাজানো ছাড়া সেভাবে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি সুইডিশ প্রবাসী এই ফুটবলার।

জোসেফ মাঠে নামার পরে ব্রাদার্স আরও তিনটি গোল হজম করে। মাঠে সেভাবে আলো ছড়াতে পারেনি ম্যাচে। দূরপাল্লার একটি শট নেন কিংসের গোলপোস্টকে লক্ষ্য রেখে। ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেছেন ম্যাচে। সারা মাঠ জুড়েই খেলতে দেখা গেছে তাকে।

এবার লিগে সবমিলে আট ম্যাচে খেলেছেন জোসেফ। একটি গোলও আছে নামের পাশে। রেলিগেশন জোনে থাকা ব্রাদার্সের হয়ে তার একমাত্র গোলটি আসে মোহামেডানের বিপক্ষে।

এর আগে এক ম্যাচে দুই প্রবাসী ফুটবলার মাঠে নামার রেকর্ড ছিল। ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে মাঠে নেমেছিলেন জোসেফ নূর।

আরও পড়ুন:
জামালদের ফিটনেস বাড়াতে বাফুফের বিশেষ উদ্যোগ
মুক্তিযোদ্ধাকে নাটকীয়ভাবে হারাল শেখ জামাল
ঘাম ঝরিয়ে জিতল চট্টগ্রাম আবাহনী
সাইফকে হারিয়ে মোহামেডানের মধুর প্রতিশোধ
জায়ান্ট কিলারদের হারিয়ে শীর্ষ চারে শেখ রাসেল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফুটবল
Sarisabari railcrossing is like an accident at the risk of death

সরিষাবাড়ীর রেলক্রসিং যেন মরণফাঁদ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার, ঘটছে দুর্ঘটনা

সরিষাবাড়ীর রেলক্রসিং যেন মরণফাঁদ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার, ঘটছে দুর্ঘটনা উপজেলার সবচেয়ে বড় তারাকান্দি রেলস্টেশন সংলগ্ন অরক্ষিত রেলক্রসিং। এখানে ৪টি ডাবল লাইন থাকলেও নেই গেটম্যান। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা। সম্প্রতি তোলা ছবি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিভিন্ন স্থানে অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলো যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। হচ্ছে প্রাণহানি। এসব ক্রসিংগুলোতে নেই কোনো গেটম্যান। কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে কোনো কোনো ক্রসিংয়ে নামে মাত্র সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগালেও সেগুলোর লেখা এখন আর চোখে পড়ে না। রেলের লাগানো অধিকাংশ সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও লেখা নষ্ট হয়ে গেছে। অতি দ্রুত এসব জনগুরুত্বপূর্ণ অরক্ষিত রেল ক্রসিংগুলোতে গেট নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

সরিষাবাড়ী রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় যমুনা, অগ্নিবিণা ও জামালপুর এক্সপ্রেস নামে ৩টি আন্তনগর ট্রেন ও ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস (বর্তমানে সাময়িক বন্ধ), ৩৭ আপ ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ও চট্রগ্রাম মেইল ৩৮ ডাউন নামে ৩টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে। এ উপজেলার রেলপথে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় প্রায় ৩৫টির মতো রেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে গেটম্যান রয়েছে মাত্র ৯টিতে। বাকি ছোট-বড় প্রায় ২৬টি রেলক্রসিং অরক্ষিত। এছাড়া ছোট ছোট কতগুলো অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং রয়েছে তার কোনো হিসাব নেই রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। এ সব ক্রসিংয়ে নেই কোনো গেটম্যান। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু। সরেজমিনে উপজেলার তারাকান্দি রেল স্টেশন সংলগ্ন সব চেয়ে বড় ৪টি ডাবল লাইনের রেল ক্রসিংসে দেখা যায়, অনেকে পায়ে হেঁটে ডান-বাম না তাকিয়েই পার হচ্ছে। অনায়াসে অটো-ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, নছিমন, প্রাইভেটকারসহ নানা যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উপজেলার সব চেয়ে বড় এই রেলক্রসিং থাকলেও কেন এখানে গেটম্যান নেই সেই প্রশ্ন এলাকাবাসীর। এসব অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। এসব যেন দেখার কেউ নেই। এসব দেখেও না দেখার অজুহাতে প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না রেল কর্তৃপক্ষ।

তারাকান্দি রেলস্টেশন এলাকার মনোহারী দোকান ব্যবসায়ী আকবর হোসেন বলেন, ‘তারাকান্দি রেলস্টেশনের সাথেই একটি প্রাথমিক ও হাইস্কুল আছে। এই রেল লাইন ও স্টেশন দিয়ে দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। তারাকান্দি রেলস্টেশন সংলগ্ন এ লেভেল ক্রসিংটি এ উপজেলার সব থেকে বড় অরক্ষিত রেলক্রসিং। এখানে ৪টি ডাবল রেললাইন রয়েছে। এত বড় লেভেল ক্রসিং থাকার পরও এখানে রেলের কোনো গেটম্যান দেওয়া হয়নি। এটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় রেল লাইনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন গাড়ি উল্টে যায়। অতি দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ এই রেলক্রসিংটিতে গেটম্যানের দাবি জানাচ্ছি।’

কান্দারপাড়া বাসস্টেশন এলাকার রেলক্রসিংটির রয়েছে অরক্ষিত। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘এখানে কোনো গেটম্যান না থাকায় নানা দুর্ঘটনা হচ্ছে। এখানে একটি গেটম্যান প্রয়োজন।’

পৌর এলাকার সাতপোয়া জামতলা মোড়ে সম্প্রতি ট্রেনের ধাক্কায় নিজের ৪ বছরের মেয়ে হারানো বাবা ইউনূছ আলী মাস্টার বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে এই রেলক্রসিংটিতে আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। দুই পাশে বাড়ি ও গাছ থাকায় দূর থেকে দেখা সম্ভব হয় না। সম্প্রতি আমার ৪ বছরের ছোট মেয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায়। যদি এখানে গেটম্যান থাকত তাহলে হয়তো আমার মেয়েটা মারা যেত না। আর যাতে কারও বুক খালী না হয় তাই এখানে গেটম্যান দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘তারাকান্দি স্টেশন সংলগ্ন অরক্ষিত রেলক্রসিংটিতে গেট নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তা ছাড়া গেট নির্মাণের বিষয়ে আমাদের স্টেশন মাস্টারদের কোনো হাত নেই। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়টি দেখে থাকেন। এছাড়া রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অরক্ষিত প্রতিটি রেলক্রসিংএ সতর্কতামূলক নির্দেশনা সাইনবোর্ড দেওয়া আছে।

মন্তব্য

ফুটবল
Naogaon

নওগাঁয় বিভিন্ন সংগঠনের মানববন্ধন

নওগাঁয় বিভিন্ন সংগঠনের মানববন্ধন

নওগাঁ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লাগামহীন ঘুষ, দুর্নীতি ও সরকারি কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে এবং নাগরিক সেবায় হয়রানির বিরুদ্ধে রোববার এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় শহরের কেন্দ্রীয় মুক্তির মোড়ে নওগাঁ পৌরসভার সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী পরিষদ নওগাঁর আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট শিক্ষক জাহিদ রাব্বানী রশিদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব দেওয়ান মাহবুব আল হাসান।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদর) জেলা আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মুকুল, সুজনের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, নওগাঁ পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদুন নবী বেলাল, নওগাঁ জেলা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মিজানুর রহমান, এছাড়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নওগাঁর প্রতিটি সরকারি অফিসে দুর্নীতি যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাধারণ নাগরিকদের ন্যায্য সেবা পেতে ঘুষ দিতে হচ্ছে, পড়তে হচ্ছে হয়রানির মুখে।

শহরের যানজট নিরসনে দ্রুত ফোরলেন রাস্তা নির্মাণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের উন্নয়ন কেবল কাগজে-কলমে হলে চলবে না। তা যেন বাস্তবেও প্রতিফলিত হয়। দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ছাড়া জনগণের ভোগান্তি দূর হবে না। সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকরা জানান।

মন্তব্য

ফুটবল
Coast Guard has arrested four smugglers including Bangladeshi cement and food items while smuggling drugs from Myanmar

মায়ানমার হতে মাদকের বিনিময়ে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি সিমেন্ট ও খাদ্য সামগ্রীসহ ৭ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

মায়ানমার হতে মাদকের বিনিময়ে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি সিমেন্ট ও খাদ্য সামগ্রীসহ ৭ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

রবিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিতিত্তে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শনিবার রাত ১০ টায় কোস্ট গার্ড বেইস চট্টগ্রাম কর্তৃক চট্টগ্রামের বহিঃনোঙর সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় একটি সন্দেহজনক কার্গো বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে বহনকৃত প্রায় ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১০০ বস্তা ডাল, ১৪৭ বস্তা পেঁয়াজ, ৩৫০ বস্তা সিমেন্টসহ ৭ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত মালামাল, পাচারকাজে ব্যবহৃত বোট ও আটককৃত পাচারকারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চোরাচালান রোধকল্পে কোস্ট গার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

ফুটবল
 The call of the river to bring back the civilization of the river

 নদীর সভ্যতা ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

পাথরঘাটায় বিশ্ব নদী দিবস পালিত
 নদীর সভ্যতা ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

‘নদী আমাদের মা, প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলে মাকে ধ্বংস করবো না, প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে বিসর্জন নয়, মৎস্য ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়, প্লাস্টিক বর্জ্য বর্জন করুন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করুন, নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ’ নানা স্লোগান দিয়ে নদী দূষণমুক্ত করতে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।

পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংগঠন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র সহযোগিতায় এবং পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের বাস্তবায়নে রোববার বিশ্ব নদী দিবসে সকাল ১০ টায় বিষখালী নদী সংলগ্ন কাকচিড়া লঞ্চঘাট এলাকায় এ প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ ও মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনতা। মানববন্ধন শেষে নদীর পাশে প্লাস্টিক বর্জ্য পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) পাথরঘাটা সমন্বয়ক সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সদস্য আবু মিয়া, সহসভাপতি আজগর আলী পহলান, সিএনআরএসর নিজাম উদ্দিন, সমাজসেবক মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।

কাকচিড়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, পরিবেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। নদী দখল হচ্ছে, প্লাস্টিক বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে। নদী ভরাট করে মাছসহ সামুদ্রিক সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। দ্রুত এই প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণের দাবি জানানো হয়। বিষখালী নদীর পাড় থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ না হলে কঠোর পদক্ষেপসহ পৌরসভা ঘেরাও করা হবে। আজ থেকে নদী দখল, দূষণ, ভরাটসহ ধ্বংসকারীদের শাস্তির দাবির পাশাপাশি আমরাও নদী দূষণ, দখল করবো না এই অঙ্গীকার করলাম।

শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে আজ বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তন হয়েছে, মানুষের জীবিকার ওপর প্রভাব পড়েছে। মানুষের অবাধ প্লাস্টিক ব্যবহারে নদী দূষণ-দখল তো হচ্ছেই পাশাপাশি পরিবেশ এবং সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে।

মন্তব্য

ফুটবল
Prayer and worship are going on in Narail as well as mosque temple

নড়াইলে পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির নির্বিঘ্নে চলছে নামাজ ও পূজা

নড়াইলে পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির নির্বিঘ্নে চলছে নামাজ ও পূজা

নড়াইল পৌরসভার মহিষখোলা গ্রাম। গ্রামে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সব ধর্মীয় অনুসারি ও শ্রেণিপেশার মানুষের বসবাস। গ্রামের সাবেক সাব-রেজিস্টার আফিস। নড়াইলের এই অফিস চত্বরের একই আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির স্থাপিত।

প্রায় চার দশক ধরে মিলেমিশে চলছে মুসলিম সম্প্রদায়ের ইবাদত আর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনা। সময়মতো হচ্ছে আজান ও নামাজ, নিয়ম করে চলে পূজাঅর্চনা। সময় হলে কেউ যাচ্ছেন নামাজে, আর কেউ যাচ্ছেন দেবী দর্শনে। এক পাশে চলছে জিকির অন্য পাশে উলুধ্বানি।

এভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলছে পৃথক দুটি ধর্মীয় উপাসনালয়। ধর্মীয় সপ্রীতির এমন উজ্জ্বল নিদর্শন রয়েছে চিত্রা নদীর পাড়ে নড়াইল পৌরসভার মহিষখোলা এলাকার মহিষখোলা পুরাতন সাবরেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদ ও মহিষখোলা সার্বজনীয় পূজা মন্দির এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, একসময় নড়াইলের পুরান সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়টি মহিষখোলায় ছিল। সেই কার্যালয়ের পাশেই ১৯৭৪ সালে মহিষখোলা পুরাতন সাব রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদ নামে এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৯২ সালে নতুন করে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় মহিষখোলা সার্বজনীয় পূজা মন্দির। নিজস্ব জায়গায় মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সরোজমিনে দেখা যায়, চিত্র নদীর পাড়ে একটি ছোট্ট মাঠের মধ্যে তিনটি স্থাপনা রয়েছে। মাঠের পশ্চিম পাশে মসজিদ, আর উত্তর পাশে রয়েছে মন্দিরটি। মন্দিরটি উত্তর-দক্ষিণমুখী। মন্দির থেকে একটু সামনে এগোলেই রয়েছে শরীফ আব্দুল হাকিম ও নড়াইল এক্সপ্রেস হাসপাতাল। আর মাঠের দক্ষিণ পাশে রয়েছে একটি রাস্তা।

ওই এলাকার কয়েকজন স্থায়ী বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আমরা হিন্দু-মুসলিম একই পরিবারের সদস্য হিসেবে এলাকায় বসবাস করে আসছি। আমাদের এলাকায় কখনও ধর্ম নিয়ে কোনো বিরোধে আমরা লিপ্ত হইনি। এই এলাকার মানুষ মনেপ্রাণে অসাম্প্রদায়িক। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্ম পালনের পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল।

মহিষখোলা সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভংকর সরকার ট্রুপাল বলেন, এই এলাকায় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি হলেও কখনোই আমাদের পূজা-অর্চনা করতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হই না। আমরা সবাই মিলেমিশে এখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি।

মহিষখোলা পুরাতন সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয় জামে মসজিদের ইমাম ইনামুল ইসলাম বলেন, আমাদের মন্দির এবং মসজিদ পাশাপাশি। আমাদের এখানে কোনো সমস্যা ইতোপূর্বে হয় নাই আগামীতেও ইনশাআল্লাহ হবে না।

নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজা আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতীক ।‘সম্প্রীতির ঐকতানে, গাহি সাম্যের গান। শুধু ধর্ম নয় মানুষ, বিদ্বেষ নয় সম্প্রীতি।’

তিনি বলেন, হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই। নড়াইলের মত এমন শান্তিপূর্ণ নিদর্শন খুব একটা দেখা যায় না। দেশপ্রেম, যার যার ধর্মীয় চেতনা বুকে ধারণ ও লালণ করে আগামী দিনে আমরা এগিয়ে যাবো এই প্রত্যাশা করি।

মন্তব্য

ফুটবল
The crowd is growing to see the beauty of cashflow

কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ভিড় বাড়ছে মানুষের

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা
কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ভিড় বাড়ছে মানুষের কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার পাশে পথের ধারে ও মাঠে-ঘাটে শোভা পাচ্ছে কাশফুল।

শরতের আগমন মানেই সাদা মেঘ, নীল আকাশ আর কাশফুলের সারি বাংলা প্রকৃতির এক অনুপম দৃশ্যপট। শরতের রঙে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পথের ধারে ও মাঠে-ঘাটে শোভা পাচ্ছে কাশফুল। শরতের আগমনের বার্তা নিয়ে সাদা কাশফুলে প্রকৃতি সেজেছে তার আপন রূপে। বাংলা সংস্কৃতিতে কাশফুল শুধুমাত্র একটি ঋতুর চিহ্ন নয়, এটি সৌন্দর্য, শান্তি ও নান্দনিকতার প্রতীক। কাশফুলের দুলুনি যেন শরতের মৃদুমন্দ বাতাসে প্রকৃতির সংগীত হয়ে বাজে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে সৌন্দর্য ও প্রশান্তির প্রতীক কাশফুল। ছয় ঋতুর এই দেশে প্রত্যেক ঋতুর রয়েছে আলাদা রূপ ও বৈচিত্র্য। সেটি বহন করে এবারও শরৎ এসেছে।

শরৎকাল বাংলা বর্ষপঞ্জির ভাদ্র ও আশ্বিন মাসব্যাপী কালপর্ব যা বর্ষার পরবর্তী এবং হেমন্তের পূর্ববতী তৃতীয় ঋতু। এ ঋতুকে বাংলার কবি সাহিত্যিক ও সুধীজন ঋতুর রানী বলে অভিহিত করেন। বর্ষার ক্রমাগত বর্ষণ শেষে আগমন ঘটে শরতের। শরতের রূপবৈচিত্র্য উপমাহীন।

শ্রাবণ শেষে বিরামহীন বাদলের সমাপ্তি ঘটলেই প্রকৃতি নতুন রূপে সজ্জিত হয়। এসময় আকাশ বুকে ভেসে চলে শুভ্র মেঘ। সূর্যের কিরণ হয় দীপ্তোজ্জ্বল আর বাতাস হয় অমলিন। শরৎকে ইংরেজিতে ‘অটাম’ বলা হলেও উত্তর আমেরিকায় একে ‘ফল’ হিসেবে ডাকা হয়। পৃথিবীর ৪টি প্রধান ঋতুর একটি হচ্ছে শরৎকাল। ছয় ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। বাংলাদেশে প্রতি ঋতুরই রয়েছে আলাদা আলাদা পরিচয়। আর ঋতুর পার্থক্য ফুটে ওঠে ফুলে। শরতে সাদা কাশফুল আর শিউলির আধিপত্য ছাড়াও ফোটে আরও অনেক সহচরী ফুল। তীব্র গরম আর কাঠফাটা রোদে ময়ূরের মতো কাশফুলের পালকের অপরূপ সৌন্দর্য মন জুড়ায় সব বয়সি মানুষের।

উপজেলার পথের ধারে, গ্রাম-গঞ্জের জমির আইলে, পুকুরপারে, নদীর ধারে, মাঠে-ঘাটে শোভা পাচ্ছে কাশফুল। মূলত ছন গোত্রীয় এই ঘাস কমবেশি দেশের সব অঞ্চলেই দেখা যায়। কাশফুল পালকের মতো নরম এবং রং ধবধবে সাদা। গাছটির চিরল পাতা খুব ধারালো, খসখসে। গ্রাম্য এলাকায় জ্বালানি, ঝাড়ু এবং ঘর ও পানের বরজের ছাউনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

একসময় কমলগঞ্জ উপজেলার নদীর ধারে কিংবা খালবিলসহ প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে দেখা যেত কাশফুল। কালের বিবর্তনে এর পরিমাণ অনেক কমে গেছে। উপজেলার পৌর এলাকায়, শমশেরনগর, আদমপুর, ইসলামপুর, মাধবপুর, আলীনগরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এখনো দেখা মেলে নান্দনিক সৌন্দর্যের কাশফুল। কাশফুলের গাছগুলো প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম হয়। বেড়ে ওঠার সময় চোখে না পড়লেও ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।

উপজেলার পৌরসংলগ্ন এলাকায় কাশবানে ঘুরতে আসা শুভ ও সাগর বলেন, ‘কাশ গাছ দেখতে ঘাস জাতীয় হলেও এর পাতাগুলো বেশ ধারালো ও খসখসে। কাশফুল দেখতে অনেকটা ময়ূরের পালকের মতো, তবে রঙ একদম ধবধবে সাদা। এক সময় গ্রাম বাংলায় এই গাছের ব্যাপক ব্যবহার ছিল জ্বালানি, ঘরের ছাউনি, পানের বরজ ঢাকতে কিংবা ঝাড়ু তৈরিতে। এখনো কিছু কিছু এলাকায় তা দেখা মেলে।

কাশবাগানে ঘুরতে আসা আহমেদুজ্জামান আলম ও রাজন আবেদীন বলেন, কাশফুল শরতের যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি ঝরে যাওয়ার পর ডগা সংগ্রহ করে ঝাড়ু ও বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করা হয়। বাংলার ছয় ঋতুর সৌন্দর্য চর্চার মধ্যে শরতের এই কাশফুল এক অনন্য বিস্ময়। বছরের এই সময়টা যেন একটি প্রাকৃতিক ক্যানভাস, যেখানে রঙ তুলির কাজ করে শুভ্র কাশফুল। নীরব অথচ উজ্জ্বল এক বার্তাবাহক হয়ে কাশফুল যেন বলে ওঠে ‘প্রকৃতির মাঝে এখন শরৎ এসেছে।’

তারা বলেন, ‘কাশফুলের সৌন্দর্যে মানুষের মনে প্রশান্তি আসে। আগে অনেক দেখা যেত। বর্তমানে বিলুপ্তির পথে এই গাছ। এর সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।’

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীর ধারে, রাস্তার পাশে আর ফাঁকা জমিতে কাশফুলের অপরূপ দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। এটি সবার ভালো লাগবে।

মন্তব্য

ফুটবল
Magura Sadar Hospital suffer various disorganized patients

মাগুরা সদর হাসপাতালে নানান অব্যবস্থাপনা, রোগীদের দুর্ভোগ

পানি সংকটে রোগীদের বাড়ছে দুর্ভোগ
মাগুরা সদর হাসপাতালে নানান অব্যবস্থাপনা, রোগীদের দুর্ভোগ

মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পানি সংকটসহ নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। ডাক্তার এবং জনবল সংকটের অজুহাতে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে হাসপাতালের নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখা যায়।
মাগুরা সদর উপজেলার জাগলা বাটিকাবাড়ি গ্রাম থেকে গত বুধবার মাথার যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হওয়া নুরজাহান বেগম অভিযোগ করেন, বুধবার রাত থেকেই হাসপাতালের চতুর্থ তলাসহ সবখানেই ছিল পানি সংকট। বাইরে থেকে পানি কিনে এনে খাবার এবং টয়লেটের কাজ সারতে হচ্ছে। টানা চার দিন হাসপাতালে পানি না থাকায় রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ওয়ার্ডের নার্স এবং ওয়ার্ডবয়দের মাধ্যমে জানা গেছে পানির লাইনের কাজ শুরু হলেও মধ্যে ঠিক হতে কিছু সময় লাগবে।
একই ফ্লোরে ভর্তি হওয়া আরেক রোগী সুমাইয়া জানান, বাথরুমে পানি না থাকায় বাইরে থেকে পানি কিনে আনতে হচ্ছে। হাসপাতালের ভেতরে নোংরা পরিবেশ, দুর্গন্ধ, মশা, মাছি এবং তেলাপোকার অত্যাচার নিত্যদিনের। ফ্লোরে রোগীদের আরো বেশি সমস্যা। ডেঙ্গু রোগী, শিশু, নারী-পুরুষ একই ওয়ার্ড গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। কিছু জায়গায় ফ্যান, লাইট না থাকায় গরমে কষ্ট করতে হচ্ছে।
পানি না থাকার বিষয়টি কয়েকটি বাথরুমে যেয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ফ্লোরে রোগীদের বেডের আশেপাশে মশা মাছি এবং তেলাপোকার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
মাগুরা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর অভিযোগ করেন, পানি সংকট ছাড়াও দুটি লিফট অধিকাংশ সময়ই থাকে নষ্ট। রোগী ও স্বজনরা সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করতে হয়। ডাক্তার এবং জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নিজেদের দায় এড়িয়ে চলেন। ডাক্তার এবং নার্সদের আন্তরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ সাধারণ রোগীদের। অধিকাংশ ইমারজেন্সি রোগীদের ভর্তির পর পরই ফরিদপুর এবং ঢাকা রেফার করা হয়। সরকারি বিনামূল্যের ওষুধ রোগীদের নামমাত্র দেওয়া হলেও বাইরে থেকেই কিনতে হয় বেশি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় মো. মোহসিন উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিজে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে আরএমওর সাথে কথা বলতে বলেন।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মামুন-উর-রশিদ বলেন, পানির দুটি পুরাতন মোটর রয়েছে যা প্রায় নষ্ট হয়। গত বৃহস্পতিবার গণপূর্ত বিভাগকে জানানো হয়েছে। হাসপাতালের বাথরুমের পানির ট্যাবগুলো বিভিন্ন সময় চুরি হয়ে যাওয়ায় ট্যাংকির পানি শেষ হয়ে যায়। ফলে রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। বাড়তি রোগীর চাপে ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খেতে হয়। ডাক্তার এবং জনবল সংকট দীর্ঘদিনের। খাতা-কলমে আড়াইশ বেড হলেও একশত বেডের জনবল এবং জিনিসপত্র দিয়ে প্রায় ৩৫০ জন রোগীকে আবাসিক চিকিৎসা দিতে হয়।
এছাড়া আউটডোরে প্রতিদিন সাত থেকে আটশ রুগীর সেবা দিতে হয়। গত এক বছর আউট
সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগকৃত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে তাদের দিয়ে কাজ করানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ পারভেজ জানান, শুক্রবার দোকানপাট বন্ধ থাকায় পানির লাইনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাবে কাজ সম্পন্ন হয় নাই যা শিগগিরই সম্পন্ন হবে। হাসপাতালের ৫৬টি সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও পানির ট্যাপ প্রায় চুরি হচ্ছে এটা কর্তৃপক্ষের সচেতন হওয়া উচিত।

মন্তব্য

p
উপরে