× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফুটবল
ছবিতে ম্যারাডোনা
google_news print-icon

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর

ছবিতে-ফুটবল-ঈশ্বর-
ম্যারাডোনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নিউজবাংলা বাছাই করেছে তার জীবনের ২০টি ছবি। শৈশব থেকে শুরু করে বোকা জুনিয়র্স, আর্জেন্টিনা, নাপোলি, বার্সেলোনা কাঁপানো মহান শিল্পীর এ এক বর্ণিল অ্যালবাম। 

বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে গেছেন ফুটবলের ঈশ্বর। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা অধ্যায়ের অবসান হলো ৬০ বছরে। ম্যারাডোনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নিউজবাংলা বাছাই করেছে তার জীবনের ২০টি ছবি। শৈশব থেকে শুরু করে বোকা জুনিয়র্স, আর্জেন্টিনা, নাপোলি, বার্সেলোনা কাঁপানো মহান শিল্পীর এ এক বর্ণিল অ্যালবাম।

আর্জেন্টিনার ভাগ্যাকাশে উৎসবের আলো

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
চার্চ অফ পম্পেইয়ে ম্যারাডোনার ব্যাপ্টিজম (১৯৬০)

'আমি তো ওকে বামন ভেবেছিলাম'

১০ বছর বয়সী ম্যারাডোনার খেলা দেখে আর্জেন্টিনার তখনকার শিশু দলের কোচ ফ্রান্সিসকো কর্নেয়ো বিশ্বাস করতে পারেননি তার বয়স ১০। তাই প্রমাণ চেয়ে কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে বলেছিলেন, 'আমি তো ওকে বামন ভেবেছিলাম!'

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
১০ বছর বয়সী ম্যারাডোনা

জাপানে যুব বিশ্বকাপ জয়

১৯৭৯ সালে যুব বিশ্বকাপ খেলতে যান জাপানে। অবধারিতভাবেই ডিয়েগো ফেরেন শিরোপা নিয়ে!

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
যুব বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা

৮২-এর কান্না

১৯৮২ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিলের বিপক্ষে জিততেই হবে। নইলে ছিটকে পড়তে হবে বিশ্বকাপ থেকেই। কিন্তু ব্রাজিল ম্যাচে বারবার ফাউলের শিকার হলেও ম্যারাডোনা দেখলেন, ফাউলের বাঁশি রেফারি বাজাচ্ছেন না। তাতেই মেজাজ হারালেন। ৮৫ মিনিটে বাতিস্তার বুকে লাত্থি মেরে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে হলো। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেল ম্যারাডোনা ও আর্জেন্টিনার।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
ব্রাজিলের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাচ্ছেন মাঠ ছেড়ে

বার্সেলোনায় দিনকাল

বোকা জুনিয়র্স থেকে বার্সেলোনায় ১৯৮২ সালে পাড়ি জমান ম্যারাডোনা। ম্যারাডোনার জন্য বার্সেলোনাকে গুণতে হয়েছিল বিশ্ব রেকর্ড পাঁচ মিলিয়ন ইউরোর ট্র্যানসফার ফি। তবে মাত্র দুই বছর সেখানে থেকে ম্যারাডোনা পাড়ি জমান নাপোলিতে।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
বার্সেলোনায় ম্যারাডোনা

নাপোলির মহারাজা

১৯৮৪ সালে ম্যারাডোনা যখন নাপোলিতে আসলেন, নাপোলি তখন ইতালির সেরা দল হওয়া দূরে থাক, বরং কোনমতে সেরি আতে টিকে থাকাই তাদের দায়। ইতালিয়ান ঘরোয়া ফুটবলের শিরোপা তখন তাদের জন্য ছেড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতই ব্যাপার। বিশ্বের সেরা ফুটবলার কেন সেই ক্লাবে যাবেন!

১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জিতে ফিরে প্রথম মৌসুমে নাপোলির ঘরে নিয়ে আসেন প্রথম সেরি আ শিরোপা। মর্ত্যের মানুষ থেকে হয়ে গেলেন স্বর্গের আরাধ্য।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
১৯৮৯ সালে নাপোলিকে নিয়ে ইউয়েফা কাপ জেতার পর

নেপলস ম্যারাডোনার, ম্যারাডোনা নেপলসের

নেপলসে ম্যারাডোনা ছিলেন ঈশ্বরের চেয়েও বড় কেউ। সাবেক স্টোক সিটি খেলোয়াড় অ্যালান হাডসন বলেছিলেন, ‘যে শহরে শয়তানেরও দেহরক্ষীর প্রয়োজন পড়ত, ম্যারাডোনা সেখানে ঈশ্বরের চেয়েও বড় ছিলেন।’

তার প্রমাণ মিলতো গ্যালারিতে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে স্রেফ ম্যারাডোনার জন্য নাপোলির আল্ট্রাসরা ইতালিকে বাদ দিয়ে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন দেয়।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
নাপোলি গ্যালারিতে ডিয়েগোর উপাসনা

ইংল্যান্ড, ঈশ্বরের হাত, ঐশ্বরিক বাম পা

ইংল্যান্ডের সাথে রাজনৈতিক কলহের সুবাদে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড ম্যাচে ছিল ভিন্ন এক মেজাজ। প্রথম গোলের মধ্য দিয়ে সেই আগুনে ঘি ঢালেন ম্যারাডোনা। ইংল্যান্ড গোলকিপার পিটার শিলটনের দিকে এগুতে থাকা বলে মাথা ছোঁয়াতে পারবেন না বুঝতে পেরে ম্যারাডোনা হাত দিয়েই চেষ্টা করলেন। শিলটনকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়াল জালে, রেফারির চোখ এড়িয়ে গেলো ম্যারাডোনার হাত দিয়ে করা প্রচেষ্টা, গোলের বাঁশি বাজালেন তিনি। ম্যাচের পর ম্যারাডোনা বললেন, ঈশ্বরের হাত ছিল সেটি।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
ঈশ্বরের হাত

কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় গোলে প্রমাণ করলেন, তিনি বাস্তবিকই ঐশ্বরিক। মাঝমাঠে বল পেয়ে গোলকিপার পিটার শিলটনসহ ছয় জনকে কাটিয়ে বল জালে জড়ালেন, ইংল্যান্ড খেলোয়াড়রা হতাশ হয়ে তাকিয়ে রইলেন। এই গোলটিই পরে নির্বাচিত হয় শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
বিংশ শতাব্দীর সেরা গোল

আহ, বিশ্বকাপ!

১৯৮২ বিশ্বকাপ শেষ হয় অশ্রুতে। ১৯৭৮ সালে সুযোগই পাননি। সেই আক্ষেপ মেটান ১৯৮৬ সালে। এক বিশ্বকাপে পাঁচ গোল। পাঁচ অ্যাসিস্ট। ইংল্যান্ডের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে ঈশ্বরের হাত আর শতাব্দীর সেরা গোল। ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির সঙ্গে জয়সূচক গোলের অ্যাসিস্ট তার। ম্যারাডোনার পাস থেকে গোল করে বুরুচাগা আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নেন ৩-২ গোলে। বিশ্বকাপ জিতে নেন ম্যারাডোনা।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে

ম্যারাডোনার বিয়ে

১৯৮৪ সালে ক্লদিয়া ভিয়াফানিয়েকে বিয়ে করেন ম্যারাডোনা।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
ক্লদিয়া ভিয়াফানিয়ের সঙ্গে ম্যারাডোনার বিয়ে

১৯৯০ এর কান্না

১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালেও আর্জেন্টিনাকে নিয়ে গেলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু এবার পারলেন না। ফাইনালে হারতে হলো ১-০ গোলে। প্রশ্ন উঠেছিলো সেদিনের রেফারিং নিয়ে কিন্তু তাতে আর ম্যাচের ফলাফল বদলায় না! ম্যারাডোনা তাই মাঠ ছাড়লেন অশ্রুভরা চোখে, আক্ষেপ মেশানো কান্নায়।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
ফাইনালে হারের পর

নক্ষত্রের পতন

১৯৯০ বিশ্বকাপে ইতালিকে আর্জেন্টিনা হারানোর পর থেকেই ইতালিয়ানদের ক্ষোভের মুখে পড়েন ম্যারাডোনা। তার মাথার উপর থেকে সরে যায় আশীর্বাদের হাত। ১৯৯১ সালে কোকেনের জন্য ডোপ টেস্টে পজেটিভ আসেন তিনি, নিষিদ্ধ হন ১৪ মাসের জন্য।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
১৯৯১ সালে ডোপ টেস্টে পজেটিভ আসার পর

এবার কোকেন

আধা কিলোগ্রাম কোকেন নিয়ে বুয়েনোস আইরোসে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ম্যারাডোনা। শাস্তি? ১৪ মাসের স্থগিত কারাদণ্ড ও পাঁচ মিলিয়ন লিরা জরিমানা।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
আধা কেজি কোকেন নিয়ে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হবার পর

আহা ম্যারাডোনা, আহারে ম্যারাডোনা

১৯৯৪ বিশ্বকাপে গেলেন ৩৪ বছর বয়সে। গ্রিসের সঙ্গে গোলের পর হুংকারে মিশে থাকলো ডোপ টেস্টে পজেটিভ আসার পর জমে থাকা ক্ষোভ। কিন্তু ম্যারাডোনা ডোপ টেস্ট ধরা পড়লেন আরেকবার।

আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ এফেড্রিন পাওয়া গেল ম্যারাডোনার শরীরে। নিষিদ্ধ হলেন ম্যারাডোনা। বিশ্বকাপের মহানায়কের বিশ্বকাপ মঞ্চ থেকে বিদায়টা কী করুণ। নক্ষত্রের পতন তো জ্বলেপুড়ে নিজেকে নিঃশেষ করেই হয়!

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
১৯৯৪ বিশ্বকাপে ডোপ টেস্টে পজেটিভ আসার পর

কাস্ত্রোর সঙ্গে বন্ধুত্ব

কিউবান বামপন্থী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে অসমবয়সী বন্ধুত্ব ছিল বামঘেঁষা ম্যারাডোনার। মৃত্যুতেও কী অদ্ভুতভাবে মিলে গেলেন দুজনে, দুজনের পৃথিবী ছাড়ার তারিখ একই।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
স্ত্রী ও দুই কন্যার সঙ্গে কাস্ত্রোর সান্নিধ্যে ম্যারাডোনা

তারা দুইজন

সর্বকালের সেরা কে? এই প্রশ্ন নিয়ে তর্ক শেষ পর্যন্ত নেমে আসে দুইজনে। একজন ম্যারাডোনা, আরেকজন পেলে। ২০০০ সালে যখন শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করে ফিফা, দর্শকদের ভোটে জিতেছিলেন ম্যারাডোনাই, ফিফার জুরি প্যানেল নির্বাচিত করেন পেলেকে। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর পেলে বলেছেন, স্বর্গে কোনো এক দিন তারা নিশ্চয়ই ফুটবল খেলবেন।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
প্রতিদ্বন্দ্বী পেলের সঙ্গে

অতীত ও বর্তমান

লিওনেল মেসি তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই শুনে গেছেন তিনি 'নতুন ম্যারাডোনা'। শোনার কারণও যৌক্তিক, ছোটখাটো গড়ন, বা পায়ে বল পেলে তাদের থামানো অসম্ভব এবং অবশ্যই, দু'জনই বুয়েনোস আইরেসের।

আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে মেসিকে পেয়েছিলেন ম্যারাডোনা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ২০১০ বিশ্বকাপটা আর্জেন্টিনার জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল আক্ষেপের খাতায় আরেকটি পাতা। কিন্তু সেবার অন্তত দুই প্রজন্মের দুই আর্জেন্টাইন জিনিয়াস মিলে গিয়েছিলেন এক প্রান্ত।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
মেসির কোচ যখন ম্যারাডোনা

শেষ পাগলামি

২০১৮ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে আর্জেন্টিনাকে জিততেই হতো নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ১-১ গোলে সমতায় ম্যাচ। ঠিক সেই সময় মার্কাস রোহোর গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। পুরো গ্যালারিতে বুনো উল্লাস, উল্লাসে ভেসে যান ম্যারাডোনা। উদযাপন করেন নিজের আপন ভঙ্গিতে।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
মার্কাস রোহোর গোলের পর ম্যারাডোনার বুনো উদযাপন

শেষ ছবি

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে কিছু দিন আগেই অস্ত্রোপচার হয়েছে ম্যারাডোনার। সেখান থেকে সেরেও উঠছিলেন। শেষ ছবিটি তুলেছিলেন ডাক্তার লিওপোলদো লুকে, অস্ত্রোপচারের পর।

ছবিতে ফুটবল ঈশ্বর
ম্যারাডোনার শেষ ছবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফুটবল
Leverkusen won the Bundesliga for the first time in 120 years

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন শিষ্যদের নিয়ে শিরোপা হাতে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন শাবি আলোনসো। ছবি: সংগৃহীত
এ পর্যন্ত পাঁচবার দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করলেও শিরোপার স্বাদ কখনও পাওয়া হয়নি লেভারকুসেনের। এই শিরোপার মাধ্যমে লেভারকুসেনর তাদের কুখ্যাত ‘নেভারকুসেন’ তকমা থেকেও সরে আসতে সমর্থ হয়েছে।

১২০ বছরের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগার শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছে বায়ের লেভারকুসেন। রোববার ভার্ডার ব্রেমেনকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে লিগে বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের টানা আধিপত্য ভাঙতে সক্ষম হয়েছে শাবি আলোনসোর দল।

লিগের ২৯তম ম্যাচে এসে পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। পুরো মৌসুমে দারুণ ফর্মে থাকা লেভারকুসেন এখন পর্যন্ত শুধু লিগে নয়, ইউরোপা লিগসহ সব ধরনের প্রতিযোগিতায় অপরাজিত রয়েছে।

ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টসের হ্যাটট্রিক এবং ভিক্টর বনিফেস ও গ্রানিট জাকার গোলে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এদিন লেভারনকুসেন টানা ৪৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকার গৌরব অর্জন করল।

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন
খেলা শেষ হওয়ার আগেই স্ট্যান্ড ছেড়ে লাইনে ভিড় জমান লেভারকুসেন সমর্থকরা। ছবি: সংগৃহীত

এ পর্যন্ত পাঁচবার দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করলেও শিরোপার স্বাদ কখনও পাওয়া হয়নি লেভারকুসেনের। এই শিরোপার মাধ্যমে লেভারকুসেনর তাদের কুখ্যাত ‘নেভারকুসেন’ তকমা থেকেও সরে আসতে সমর্থ হয়েছে।

শিরোপা জয়ের আনন্দে কাল ম্যাচ শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগেই উদযাপন শুরু করে দেয় উচ্ছসিত সমর্থকরা। একে একে তারা সাইডলাইনে জড়ো হতে শুরু করেন। যদিও ম্যাচ তখনও চলছিল। লেভারকুসেনের খেলোয়াড়রা এক পর্যায়ে তাদের অনুরোধ জানায় গ্যালারিতে ফিরে যেতে। কিন্তু ৯০ মিনিটে পর পুরো স্ট্যান্ডই খালি হয়ে যায়, তখন সবাই ছিল মাঠের ভেতর। আবেগ আপ্লুত সমর্থকরা এ সময় খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের এই বিজয় উৎসব উপভোগ করতে থাকেন।

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন
খেলা শেষ হতে না হতেই গ্যালারি ছেড়ে মাঠে নেমে আসেন সমর্থকরা। ছবি: সংগৃহীত

এই জয়ে লেভারকুসেনের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯। জার্মান লিগ ইতিহাসে ২৯ ম্যাচ পর এটাই সর্বোচ্চ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের থেকে লেভারকুসেন ১৬ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে।

ম্যাচের হ্যাটট্রিকম্যান ভিয়ার্টস বলেন, ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। আমি বলতে পারব না, আমরা কী করেছি। আমার এখন ড্রেসিং রুমে ফিরে গিয়ে শান্ত হয়ে বসতে হবে। ইতোমধ্যেই আমরা সমর্থকদের সঙ্গে পার্টি শুরু করে দিয়েছি।’

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন
সমর্থকদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন ম্যাচের ‘হ্যাট্রিক বয়’ ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস। ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচ শুরুর ৯০ মিনিট আগে স্টেডিয়ামে এসে উপস্থিত হয় লেভারকুসেনের বাস। ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ঘরের মাঠ বে আরেনাতে কাল পুরোটা সময়জুড়েই ছিল লাল-কালো জার্সিধারীদের আধিপত্য।

কোচ শাবি আলোনসোর সম্মানে শহরের বিমসার্ক স্ট্রিটটি সমর্থকরা সাময়িকভাবে ‘শাবি আলোনসো স্ট্রিট’ নামে আখ্যায়িত করে।

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন
স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের বাস আসার সঙ্গে সঙ্গে তা ঘিরে উল্লাসে মেতে ওঠেন সমর্থকরা। ছবি: সংগৃহীত

শিরোপা জয় নিশ্চিত হবার পর আলোনসোর এখন মূল লক্ষ্য বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লন্ডনে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষেও ম্যাচটি। ওই ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল মূল একাদশে সাতটি পরিবর্তন এনেছিলেন আলোনসো। এ কারণে বদলি বেঞ্চে ছিলেন ভিয়ার্টস, জেরেমি ফ্রিমপং ও আলেক্স গ্রিমালদো। এদের মধ্যে মৌসুমে এই প্রথম ম্যাচ শুরু করার সুযোগ পাননি গ্রিমালদো। তার পরিবর্তে মাঠে নামা পিয়েরো হিনকেপি শুরুতেই গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।

এদিন ব্রেমেন ডিফেন্ডার হুলিয়ান মালাতিনির বিপক্ষে ইয়োনাস হফমানের আদায় করা পেনাল্টি থেকে লেভারকুসেনকে এগিয়ে দেন বনিফেস। রেফারি সরাসরি পেনাল্টির নির্দেশ দিলেও পরবর্তীতে ভিএআর পরীক্ষা করে তা নিশ্চিত হতে হয়। বিরতির ঠিক আগে হফম্যান আবারও গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন, কিন্তু তার পাস থেকে আমিন আদলির শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।

১২০ বছরে প্রথম বুন্দেসলিগা জিতল লেভারকুসেন
ফ্রিমপংকে শূন্যে তুলে সমর্থকদের উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে খেলা শুরু করে ব্রেমেন, কিন্তু ম্যাচের ৬০তম মিনিটে বনিফেসের পাস থেকে শক্তিশালী শটে জাকা ব্যবধান দ্বিগুণ করলে ব্রেমেনর সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।

আদলির পরিবর্তে মাঠে নামা ভিয়ার্টস আট মিনিট পর জাকার মতো প্রায় একইভাবে বল জালে জড়ান। ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে ভিয়ার্টস তার দ্বিতীয় গোল করেন। এরপর ৯০তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ২০ বছর বয়সী এ জার্মান ফুটবলার। শেষপর্যন্ত ৫-০ গোলের বড় জয় পেয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে লেভারকুসেন।

মন্তব্য

ফুটবল
Xabi Alonso is staying in Leverkusen not Bayern Liverpool

লেভারকুজেনেই থাকছেন শাবি আলোনসো

লেভারকুজেনেই থাকছেন শাবি আলোনসো চলতি মৌসুমে বায়ের লেভারকুজেনকে স্বপ্নের গালিচায় চড়ানো স্প্যানিশ কোচ শাবি আলোনসো। ছবি: ফোর্বস
শিষ্যদের শাবি বলেছেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে আরও ট্রফি জিততে চাই। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য প্রস্তুত হও।’

ইউরোপিয়ান ফুটবলে বড় চমক। লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখ নয়, বায়ের লেভারকুজেনেই থেকে কোচিং চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাবি আলোনসো।

ট্রান্সফার মার্কেট গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ আগেই লেভারকুজেনের খেলোয়াড়দের শাবি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি এ ক্লাবটিতেই থেকে যাচ্ছেন।

ওই পোস্টে রোমানো লেখেন, শিষ্যদের তিনি (শাবি) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে আরও ট্রফি জিততে চাই। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য প্রস্তুত হও।’

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে শাবি আলোনসো বলেন, ‘লেভারকুজেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার মিটিং হয়েছে। সেখানে আমি তাদের জানিয়েছি, আগামী মৌসুমে আমি এখানেই নিজের কাজ চালিয়ে যাব।

‘অনেক ভেবেচিন্তে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি, আমার জন্য বর্তমানে এটিই (লেভারকুজেন) সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা।’

এ স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘এখানে আমার কাজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। ক্লাবকে আমি সাহায্য করতে চাই, খেলোয়াড়দের আরও উন্নতি করতে চাই। আমাদের ভক্তরা, (লেভারকুজেন) বোর্ডও অসাধারণ… এখানকার সবকিছুই চমৎকার।

‘ম্যানেজার হিসেবে আমি এখনও অনেক ছোট। তাই মনে করি, নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে এটিই আমার জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। আমি এ কথাগুলো বলার আগে যথেষ্ট সময় নিয়েছি এবং এ বিষয়ে আমার মনে কোনো সংশয় নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, শিষ্যদের আমি ইতোমধ্যে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়েছি।’

লেভারকুজেনেই থাকছেন শাবি আলোনসো
সংবাদ সম্মেলনে শাবি আলোনসো। ছবি: এক্স

এ সময় লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখ সম্পর্কে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নটি তিনি এড়িয়ে যান। বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। তারা (লিভারপুল ও বায়ার্ন) অবশ্যই অনেক বড় ক্লাব এবং দুই ক্লাবের সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে আমি যেখানে থাকতে চাই, সে জায়গাটিই এখন বেছে নিয়েছি।

‘নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবার সময় এখনই নয় বলে মনে করছি। বায়ের লেভারকুজেনে আমি নিজেকে আরও উন্নীত করতে চাই।’

চলতি মৌসুমে লেভারকুজেনের খেলোয়াড় ও ভক্ত-সমর্থকদের রূপকথার গালিচায় চড়িয়ে নিয়ে চলেছেন শাবি আলোনসো। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে শুধু তার দলই এখনও সব প্রতিযোগিতায় অপরাজিত।

বুন্দেসলিগায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একপ্রকার অজেয় বায়ার্ন মিউনিখকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে তার শিষ্যরা। পয়েন্ট টেবিলেও বেশ বড় ব্যবধানে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দলটি। চলতি মৌসুমে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বায়ার্নের সঙ্গে তাদের ব্যবধান ১০ পয়েন্টের। দুই দলেরই হাতে রয়েছে কেবল আটটি করে ম্যাচ।

অনেক ফুটবলবোদ্ধার মতো বায়ার্নের সাবেক অধিনায়ক ফিলিপ লামও মনে করেন, এবার লিগ শিরোপা লেভারকুজেনের ঘরেই যাচ্ছে। আর তা হলে ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগার শিরোপা জয়ের স্বাদ দিতে চলেছেন আলোনসো।

শুধু তা-ই নয়, শীর্ষ চারে থাকায় আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে লেভারকুজেন।

গত ২৬ জানুয়ারি চলতি মৌসুম শেষে লিভারপুলের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। ক্লপের এমন ঘোষণায় লিভারপুল সমর্থকরা চমকে গেলেও তখন থেকে ইংলিশ ক্লাবটির পরবর্তী কোচ কে হবেন, তা নিয়ে ফুটবল পাড়ায় শুরু হয় জোর আলোচনা।

এক্ষেত্রে আলোনসোর নামটি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেতে থাকে। আলোনসোর খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুর দিকে অল রেডদের জার্সি পরে খেলার কারণে তার প্রার্থিতা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছিল।

লিভারপুলের পরবর্তী কোচ হিসেবে আলোনসোকে দেখতে চেয়েছিলেন খোদ ক্লপও।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের ক্লপ বলেছিলেন, ‘সে (শাবি) বিশ্বমানের খেলোয়াড় ছিল। কোচিং পরিবার থেকে আসায় এ কাজেও সে ভালো মনোবল পায়।

‘খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই সে কোচের মতো ছিল। (লেভারকুসেনকে) যে ফুটবল সে খেলাচ্ছে, যেভাবে খেলোয়াড় এনে দল সাজিয়েছে- এককথায় অনবদ্য।’

লিভারপুলের পরবর্তী কোচ সম্পর্কে ক্লপ বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে আরও আট সপ্তাহ আগেও এই প্রশ্নটি করতে, তাহলেও আমি একই কথা বলতাম। ওর জন্য আমি যেকোনো মুহূর্তে স্থান ছেড়ে দিতে পারি।’

অন্যদিকে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ভালোভাবে টিকে থাকা সত্ত্বেও গত বছরের মার্চে কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমানকে ছাঁটাই করে বায়ার্ন মিউনিখ। দল জয় পেলেও ‘পারফরম্যান্স ভালো নয়’ অজুহাতে তাকে সরিয়ে ডর্টমুন্ড ও চেলসির সাবেক কোচ টমাস টুখেলকে দায়িত্ব দেয় ক্লাবটি।

তবে টুখেলের কোচিংয়েও সন্তুষ্ট নয় বায়ার্ন কর্তৃপক্ষ। এমনকি চলতি মৌসুম শেষে তার সঙ্গে ক্লাবটির সম্পর্কচ্ছেদের কথাও জানিয়ে দেয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। ফলে নতুন কোচের খোঁজে রয়েছে তারাও।

এদিকে বায়ার্নে খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষ করা আলোনসো যেভাবে লেভারকুজেনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে তার নামটি বায়ার্নেরও পরবর্তী কোচ হওয়ার তালিকায় উপরের দিকে স্থান পায়।

এসব বিষয় নিয়ে এতদিন টুঁ-শব্দ করেননি শাবি। তবে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এসে সব জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, লেভারকুজেন থেকে সরছেন না লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের জার্সি গায়ে মাঝমাঠ সামলানো সাবেক এ তারকা ফুটবলার।

আরও পড়ুন:
হঠাৎ লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা ক্লপের

মন্তব্য

ফুটবল
Former footballer Robinho arrested in rape case

ধর্ষণের মামলায় সাজা পাওয়া সাবেক ফুটবলার রবিনহো গ্রেপ্তার

ধর্ষণের মামলায় সাজা পাওয়া সাবেক ফুটবলার রবিনহো গ্রেপ্তার ব্রাজিলের সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় রবিনহো। ছবি: সংগৃহীত
ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলাকালীন ২০১৩ সালে একটি নাইট ক্লাবে আলবেনিয়ান নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইতালিতে রবিনহোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

ব্রাজিলের সাবেক আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলোয়াড় রবিনহোকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার করেছে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ।

ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলাকালীন ২০১৩ সালে একটি নাইট ক্লাবে আলবেনিয়ান নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইতালিতে রবিনহোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল বলে জানায় বিবিসি।

ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। এরপর বৃহস্পতিবার নিজ শহর সান্তোসের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ৪০ বছর বয়সী এ খেলোয়াড়।

ব্রাজিলের একটি আদালত বুধবার তাকে কারাগারের পাঠানোর আদেশ দেয়।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০২২ সালে ইতালির সর্বোচ্চ আদালত রবিনহোর শাস্তি বহাল রেখে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, বিদেশে অপরাধ সংঘটিত করে কোনো নাগরিক দেশে ফিরলে বিদেশের বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধীকে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল সরকার। রায়ের আগেই রবিনহো ইতালি ছাড়ায় ব্রাজিলেই শাস্তি কার্যকরের অনুরোধ জানায় দেশটির আদালত।

ব্রাজিলের বিচার ব্যবস্থার দ্বারা গৃহীত এ পদক্ষেপ স্থানীয় মিডিয়াতে অনেকের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, রবিনহো তার খ্যাতি এবং সম্পদের কারণে ন্যায়বিচার এড়িয়ে যাবেন।

তবে ম্যানচেস্টার সিটিতে দুই বছর কাটানো এ ফুটবলার বরাবরের মতো এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নাইট ক্লাবের ঘটনাটি ওই নারীর ‘সম্মতিতে’ হয়েছিল।

আরও পড়ুন:
৬২.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঝলসাচ্ছে ব্রাজিলের জনজীবন
গ্যালারিতে বর্ণবাদী স্লোগান, দল নিয়ে মাঠ ছাড়লেন এসি মিলানের গোলরক্ষক
ব্রাজিলে পর্যটকবাহী বাসে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২৫

মন্তব্য

ফুটবল
National womens football player Razia passed away

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে হারিয়ে গেলেন জাতীয় ফুটবলার রাজিয়া

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে হারিয়ে গেলেন জাতীয় ফুটবলার রাজিয়া ছবি: সংগৃহীত
রাজিয়ার স্বামী ইয়াম রহমান জানান, সন্তান প্রসবকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

মাত্র ২৫ বছর বয়সেই চলে গেলেন জাতীয় নারী দলের ফুটবলার রাজিয়া। বৃহস্পতিবার পুত্র সন্তান জন্ম দেয়ার পর সাতক্ষীরায় মারা গেছেন এই রাইট উইঙ্গার।

রাজিয়া সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার মৌতলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামের নূর আলী সরদারের মেয়ে।

জাতীয় ও বয়সভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন রাজিয়া। ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে খেলেন তিনি। ভুটানে ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন রাজিয়া। এছাড়া ২০১৯ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফে জাতীয় দলে সাবিনা খাতুনদের সঙ্গেও খেলেছেন তিনি।

নারী ফুটবল লিগে খেলেছেন নাসরিন স্পোর্টিং ও এএফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জার্সিতে।

তার স্বামী ইয়াম রহমান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাজিয়ার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি গাজীপুরে চাকরি করি। ইফতারির সময় বাসায় গিয়ে ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু ফোনটা ওর ছোট ভাই রিসিভ করে বলে ব্যস্ত আছি। কেউ আমাকে জানায়নি যে ওর পেইন (প্রসব ব্যথা) উঠেছে। আসলে ওর প্রচুর রক্তক্ষরণে হয়েছে। অথচ কেউ বিষয়টাতে গুরুত্ব দেয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওরা আমাকে গত রাত ১১টার দিকে জানায়, ছেলে ও মা সুস্থ আছে। কিন্তু পরে ওর প্রচুর রক্ত ঝরেছে। অচেতন হয়ে ছিল অনেক সময়। ভোর বেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছে। আমি সিজার করাতে বলেছিলাম, কিন্তু ওরা শোনেনি।’

ইয়াম নিজেও ফুটবলার ছিলেন। খেলেছেন বসুন্ধরা কিংস অনূর্ধ্ব-১৮, সাইফ স্পোর্টিং যুব দলে। তৃতীয় বিভাগেও খেলেছেন। ভালোবেসে ৩ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন রাজিয়াকে।

মন্তব্য

ফুটবল
Bangladesh girls beat India as champions
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা ফাইল ছবি
খেলার পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায়ং ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফেরে সমতা। এরপর টাইব্রেকারে গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের দক্ষতায় কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের। 

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লিগ পর্বে টানা জয়ের পর শিরোপাও জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

রোববার কাঠমান্ডুর অদূরে ললিতপুরে আনফা একাডেমিতে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারান প্রীতিরা।

খেলার পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায়ং ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফেরে সমতা। এরপর টাইব্রেকারে গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের দক্ষতায় কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের।

এর আগে ৮ মার্চ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা দল সেদিন ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:
ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা
জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের
এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ

মন্তব্য

ফুটবল
Bhutan was blown away by the girls of Bangladesh

ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা

ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা
নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুর চেসাল স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লিগ পর্বে শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুর চেসাল স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।

টানা তিন ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকে সাইফুল বারী টিটুর দল খেলার ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায়। এরপর একে একে ৬টি গোল। সুরভী আকন্দ পেয়েছেন জোড়া গোল। বাকি ৪টি গোল করেছেন ফাতেমা, ক্রানুচিং, সাথী মানদা ও থুইনুই মারমার।

আগামী রোববার কাঠমান্ডুর অদূরে ললিতপুরে আনফা একাডেমিতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। লিগ পর্বে তাদের ৩-১ গোলে হারিয়েছিলেন প্রীতিরা।

মন্তব্য

ফুটবল
Bangladesh started with a win
অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ

জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের

জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের ছবি: সংগৃহীত
সাফ-১৬ টুর্নামেন্টে চারটি দল অংশ নিয়েছে। এক ম্যাচ শেষে সমান তিন পয়েন্ট করে অর্জন করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। ৫ মার্চ বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশের নারীরা।

শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সংঘবদ্ধ এক আক্রমণের প্রদর্শনীতে প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটে বাংলাদেশ গোল পায়। সাথী মুন্ডার দারুণ এক মুভে থ্রু বল ঠেলে দেন প্রতিপক্ষের গোল বক্সের ভেতর। নেপালের গোলরক্ষক গোল বাঁচাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সুরভী আকন্দ প্রীতি দ্রুতগতিতে বক্সে প্রবেশ করে প্লেসিংয়ে গোল করেন।

৫ মিনিট পর গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন প্রীতি নিজেই। বক্সের বাম দিকে দিয়ে আক্রমণে ছিলেন বাংলাদেশের আরেক খেলোয়ার আলফি। গোলরক্ষক তাকে থামাতে গিয়ে গিয়ে ফেলে দেন মাটিতে। ফলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। স্পট কিক থেকে বাংলাদেশকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন প্রীতি। এভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতির পর স্বাগতিক নেপাল ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালালেও বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ভেদ করেতে পারেনি। বারবার তাদের আক্রমণ নস্যাৎ করে দিয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। খেলার ৬২ মিনিটের মাথায় আরিফার করা ক্রসে সুরভী প্রীতির প্লেসিং করা বল ফিরে আসে জালের পাশে লেগে। এরপর নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলায় গোল পায়নি আর কোনো দল।

এবারের সাফ-১৬ টুর্নামেন্টে চারটি দল অংশ নিয়েছে। এক ম্যাচ শেষে সমান তিন পয়েন্ট করে অর্জন করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। ৫ মার্চ বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।

মন্তব্য

p
উপরে