× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

‘প্রিয় শিষ্যকে হারালাম’

প্রিয়-শিষ্যকে-হারালাম
জাতীয় ফুটবল দল ও ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ক্লাবে শিষ্য হিসেবে বাদল রায়কে খুব কাছ থেকে পেয়েছেন টিপু। বাদলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়াঙ্গনে। ফুটবল কিংবদন্তিকে হারিয়ে শোকার্ত বাদল রায়ের একসময়কার ক্লাব ও জাতীয় দলের গুরু গোলাম সারওয়ার টিপু।

জাতীয় ফুটবল দল ও ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ক্লাবে শিষ্য হিসেবে বাদল রায়কে খুব কাছ থেকে পেয়েছেন টিপু। বাদলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। নিউজবাংলার সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেছেন বাদল রায়কে নিয়ে।

এতো কম বয়সে শিষ্যের চলে যাওয়া বেদনাদায়ক টিপুর কাছে। বললেন, ‘বাদল আমার প্রিয় একজন মানুষ ছিল। প্রিয় একজন শিষ্যকে হারালাম।’

মোহামেডানের জার্সিতে ১২ বছর দাপিয়ে খেলেছেন বাদল রায়। একই ক্লাবের হয়ে পুরো ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ করে বুট তুলে রাখেন বাদল।

তরুণ টগবগে বাদল রায়ের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের গল্পটা মনে পড়ে টিপুর। বলেন, ‘শের-ই-বাংলা কাপ খেলতে গেলাম চট্টগ্রামে। সেখানে হোটেলে উঠছিলাম। তিন-চারজন তরুণ ফুটবলার সিঁড়ি বেয়ে উঠছে। প্রথমবার তাকে দেখলাম। সুন্দর, হ্যান্ডসাম, হাসিখুশি ছেলে।

‘প্রিয় শিষ্যকে হারালাম’
মোহামেডানে বাদল রায়ের কোচ ছিলেন গোলাম সারওয়ার টিপু। ছবি: সংগৃহিত

‘ঐ সময়ে মোহামেডানের ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করলাম ওরা কারা? জানাল, ওরা আমাদের প্লেয়ার। প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছিলাম সম্ভবত। সেই ম্যাচে ওর খেলার সুযোগ হয় নাই।’

কুমিল্লায় এক আঞ্চলিক ম্যাচ থেকে কীভাবে মোহামেডানের জার্সি পড়লেন বাদল রায় সেই গল্পটা স্মৃতির হাতড়ে বের করেন এই সাবেক কোচ ও বিশ্লেষক।

বলেন, ‘১৯৭৭ সালে আগা খান কাপ হওয়ার সময় মোহামেডান ক্লাবে নতুন খেলোয়াড় আসলো অনেক। বাদল আসল কুমিল্লা থেকে। দুলাল ভাই নামে একজন ছিল যিনি কুমিল্লায় বাদলের খেলা দেখে পছন্দ করেছেন। মোহামেডানে নিয়ে এসেছেন।’

মোহামেডানের জার্সিতে ক্যারিয়ার শুরু করে সাদা-কালো জার্সিতেই অবসর নিয়েছেন বাদল। পরে ক্লাবের প্রশাসনিক দায়িত্বেও দীর্ঘদিন পাশে ছিলেন। ক্লাবের প্রতি তার ভালোবাসায় মুগ্ধ টিপু। বলেন, ‘সেই যে মোহামেডানে ঢুকল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মোহামেডানেই থেকে গেল। আমার মনে হয় বাংলাদেশে এই রেকর্ড কারও আছে কি না, যে এক ক্লাবে শুরু করে এক ক্লাবেই শেষ করেছে। বাদল শুরুই করেছে মোহামেডানে ফার্স্ট ডিভিশনে। অবসরও নিল এখান থেকে।’

গত বছর ক্যাসিনো ঝড়ে মোহামেডান ক্লাবের যখন দুরাবস্থা তখন ক্লাবের হাল ধরতে বাদল রায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশংসা করেছেন তার গুরু।

বলেন, ‘সবশেষ মোহামেডানের দুঃসময়ে তাকে রিভাইভও করে গেল সে। সে দৌড়াদৌড়ি করেছে। ফুটবলের সঙ্গেই আজীবন ছিল। এ জন্য হয়তো সে তার ফ্যামিলিকেও বিসর্জন দিয়েছে।’

জাতীয় দলে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় বাদলকে পেয়েছেন। মোহামেডান ক্লাবে পাঁচ বছর কোচিং ক্যারিয়ারের পুরো সময়টা তাকে কাছ থেকে দেখেছেন টিপু। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বাদল রায়ের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের বিশেষ দিকগুলো তুলে ধরেছেন তিনি।

টিপু বলেন, "সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল ও যখন টপ ফর্মে ছিল তখন সব ক্লাব থেকে প্রস্তাব দেয়া হতো। সে বলতো ‘আমি মোহামেডান ছাড়ব কেন? মোহামেডানে আমি সম্মানের সাথে আছি। মোহামেডানে আমি ভালবাসার সঙ্গে আছি। মোহামেডানের জন্যই আমি বাদল।’ এই অ্যাটিচিউডটা কয়জন খেলোয়াড়ের মধ্যে পাওয়া যায়?’’

শিষ্যের যে বিশেষ দিকটি পছন্দ করতেন কোচ টিপু তাহলো বাদল রায়ের শৃঙ্খলা। বলেন, ‘আমি যখন জাতীয় দলের কোচ হই তখন সে আমার গ্রিন দলের খেলোয়াড় ও ক্যাপ্টেন ছিল। এটা ৮১ সালের ঘটনা। যখন অধিনায়ক ছিল না তখনও খুব নিয়মতান্ত্রিক ছিল। সময়তো সবকিছু করতো। সবাই ওকে পছন্দও করতো। ও কোনোদিন উচ্চস্বরে কথা বলেছে বলে মনে হয় না।’

ফুটবলার জীবনেই সংগঠক বাদলকে দেখেছিলেন টিপু। সেই বাদল পরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সংগঠক হিসেবে ওতপ্রতভাবে জড়িত ছিলেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহ-সহভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মোহামেডানের পরিচালকও ছিলেন একসময়। এই সংগঠনমনা চরিত্র তার খেলোয়াড়জীবনেই সুপ্ত ছিল বলে মনে করেন টিপু।

বলেন, ‘ওকে দিয়ে ডিসিপ্লিনারি ও প্রশাসনিক কাজ অটোমেটিক হয়ে যেতো। বলতাম যে বাদল, সেভেন ও ক্লক মানে সেভেন ও ক্লক। দেখা যেত সে-ই সবাইকে ঘুম থেকে উঠিয়ে মাঠে নিয়ে আসছে। যে কোনো কোচ সেই সাপোর্টটা পেয়েছে। ওর ব্যবহার, চালচলন আর পড়াশুনার কারণে কেউ কখনও কোনও টুঁ শব্দ করতে পারতো না। সবদিক থেকে সে দুর্দান্ত ছিল।’

মাঠের মধেও বাদল রায়কে আলাদা করা যেতো। শান্ত থেকে ম্যাচ খেলে গেছেন তিনি। দল পিছিয়ে থাকলেও মাথা ঠান্ডা রেখে দলের সবাইকে উজ্জ্বীবিত করতে বাদলের জুড়ি ছিল না বলে জানান তিনি।

‘প্রিয় শিষ্যকে হারালাম’
খেলোয়াড়ি জীবনে বাদল রায় (মাঝখানে)

টিপু বলেন, ‘তার খেলোয়াড় জীবনে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, তার মধ্যে কোন স্বার্থপরতা ছিল না। খুব যে আহামরি বা টেকনিক্যালি সাউন্ড ছিল তা নয়। তার যেটুকু ছিল সেটাকে সে পরিচর্যা করতো। যেমন সে বাঁ পায়ে খুব ভালো ছিল না। কিন্তু উন্নতি করার চেষ্টা করতো। ইম্প্রুভ করেছে শেষে। খুব বেশি কিছু করতে যাইতো না। সিম্পল খেলত।

‘মাঠের মধ্যে সে খুব কুল থাকত। দেখা যেতো, এক গোলে পিছিয়ে পড়েছে তারপরও সে খুব নিরুত্তাপ। সবাইকে অর্গানাইজ করে আবার উজ্জ্বীবিত করত।’

বাদল রায় জাতীয় দলে খেলেছিলেন পাঁচ বছর। ১৯৮১ সালে অভিষেকের পর খেলেন ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচে জয়সূচক গোলটি আসে তার পা থেকেই। ১৯৮২ সালের এশিয়াডে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন বাদল রায়।

বল পায়ে ঠাণ্ডা মেজাজে গোলের পাশাপাশি প্লেমেকিংয়েও সিদ্ধহস্ত ছিলেন বাদল। টিপু বলেন, ‘গোলপোস্টের সামনে সে খুব ঠান্ডা মাথার ছিল। তাড়াহুড়া করত না। যেইখানে বলটা রাখার সেখানে রাখত। সবসময় কারেক্ট ছিল তাও না।

‘ডিফেন্স চেরা পাসগুলি ভালো দিত সে। সে কারণে সালাম মুর্শেদী এতো গোল পেয়েছে। কারণ ডিফেন্সের পাশ দিয়ে সে অনেক পাস দিয়েছে। দুই জন স্ট্রাইকার ছিল। বাদল আর সালাম মুর্শেদী। তাছাড়া খুব দ্রুতগতির ছিল সে। যে কারণে সালাম মুর্শেদীর খুব সুবিধা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ফুটবল কিংবদন্তির বিদায়
চলে গেলেন বাদল রায়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফুটবল
Former footballer Robinho arrested in rape case

ধর্ষণের মামলায় সাজা পাওয়া সাবেক ফুটবলার রবিনহো গ্রেপ্তার

ধর্ষণের মামলায় সাজা পাওয়া সাবেক ফুটবলার রবিনহো গ্রেপ্তার ব্রাজিলের সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় রবিনহো। ছবি: সংগৃহীত
ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলাকালীন ২০১৩ সালে একটি নাইট ক্লাবে আলবেনিয়ান নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইতালিতে রবিনহোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

ব্রাজিলের সাবেক আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলোয়াড় রবিনহোকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার করেছে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ।

ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলাকালীন ২০১৩ সালে একটি নাইট ক্লাবে আলবেনিয়ান নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইতালিতে রবিনহোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল বলে জানায় বিবিসি।

ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। এরপর বৃহস্পতিবার নিজ শহর সান্তোসের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ৪০ বছর বয়সী এ খেলোয়াড়।

ব্রাজিলের একটি আদালত বুধবার তাকে কারাগারের পাঠানোর আদেশ দেয়।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০২২ সালে ইতালির সর্বোচ্চ আদালত রবিনহোর শাস্তি বহাল রেখে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, বিদেশে অপরাধ সংঘটিত করে কোনো নাগরিক দেশে ফিরলে বিদেশের বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধীকে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল সরকার। রায়ের আগেই রবিনহো ইতালি ছাড়ায় ব্রাজিলেই শাস্তি কার্যকরের অনুরোধ জানায় দেশটির আদালত।

ব্রাজিলের বিচার ব্যবস্থার দ্বারা গৃহীত এ পদক্ষেপ স্থানীয় মিডিয়াতে অনেকের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, রবিনহো তার খ্যাতি এবং সম্পদের কারণে ন্যায়বিচার এড়িয়ে যাবেন।

তবে ম্যানচেস্টার সিটিতে দুই বছর কাটানো এ ফুটবলার বরাবরের মতো এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নাইট ক্লাবের ঘটনাটি ওই নারীর ‘সম্মতিতে’ হয়েছিল।

আরও পড়ুন:
৬২.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঝলসাচ্ছে ব্রাজিলের জনজীবন
গ্যালারিতে বর্ণবাদী স্লোগান, দল নিয়ে মাঠ ছাড়লেন এসি মিলানের গোলরক্ষক
ব্রাজিলে পর্যটকবাহী বাসে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২৫

মন্তব্য

ফুটবল
National womens football player Razia passed away

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে হারিয়ে গেলেন জাতীয় ফুটবলার রাজিয়া

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে হারিয়ে গেলেন জাতীয় ফুটবলার রাজিয়া ছবি: সংগৃহীত
রাজিয়ার স্বামী ইয়াম রহমান জানান, সন্তান প্রসবকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

মাত্র ২৫ বছর বয়সেই চলে গেলেন জাতীয় নারী দলের ফুটবলার রাজিয়া। বৃহস্পতিবার পুত্র সন্তান জন্ম দেয়ার পর সাতক্ষীরায় মারা গেছেন এই রাইট উইঙ্গার।

রাজিয়া সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার মৌতলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামের নূর আলী সরদারের মেয়ে।

জাতীয় ও বয়সভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন রাজিয়া। ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে খেলেন তিনি। ভুটানে ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন রাজিয়া। এছাড়া ২০১৯ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফে জাতীয় দলে সাবিনা খাতুনদের সঙ্গেও খেলেছেন তিনি।

নারী ফুটবল লিগে খেলেছেন নাসরিন স্পোর্টিং ও এএফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জার্সিতে।

তার স্বামী ইয়াম রহমান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাজিয়ার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি গাজীপুরে চাকরি করি। ইফতারির সময় বাসায় গিয়ে ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু ফোনটা ওর ছোট ভাই রিসিভ করে বলে ব্যস্ত আছি। কেউ আমাকে জানায়নি যে ওর পেইন (প্রসব ব্যথা) উঠেছে। আসলে ওর প্রচুর রক্তক্ষরণে হয়েছে। অথচ কেউ বিষয়টাতে গুরুত্ব দেয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওরা আমাকে গত রাত ১১টার দিকে জানায়, ছেলে ও মা সুস্থ আছে। কিন্তু পরে ওর প্রচুর রক্ত ঝরেছে। অচেতন হয়ে ছিল অনেক সময়। ভোর বেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছে। আমি সিজার করাতে বলেছিলাম, কিন্তু ওরা শোনেনি।’

ইয়াম নিজেও ফুটবলার ছিলেন। খেলেছেন বসুন্ধরা কিংস অনূর্ধ্ব-১৮, সাইফ স্পোর্টিং যুব দলে। তৃতীয় বিভাগেও খেলেছেন। ভালোবেসে ৩ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন রাজিয়াকে।

মন্তব্য

ফুটবল
Bangladesh girls beat India as champions
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা ফাইল ছবি
খেলার পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায়ং ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফেরে সমতা। এরপর টাইব্রেকারে গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের দক্ষতায় কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের। 

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লিগ পর্বে টানা জয়ের পর শিরোপাও জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

রোববার কাঠমান্ডুর অদূরে ললিতপুরে আনফা একাডেমিতে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারান প্রীতিরা।

খেলার পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায়ং ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফেরে সমতা। এরপর টাইব্রেকারে গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের দক্ষতায় কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের।

এর আগে ৮ মার্চ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা দল সেদিন ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:
ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা
জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের
এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ

মন্তব্য

ফুটবল
Bhutan was blown away by the girls of Bangladesh

ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা

ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা
নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুর চেসাল স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লিগ পর্বে শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুর চেসাল স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।

টানা তিন ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকে সাইফুল বারী টিটুর দল খেলার ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায়। এরপর একে একে ৬টি গোল। সুরভী আকন্দ পেয়েছেন জোড়া গোল। বাকি ৪টি গোল করেছেন ফাতেমা, ক্রানুচিং, সাথী মানদা ও থুইনুই মারমার।

আগামী রোববার কাঠমান্ডুর অদূরে ললিতপুরে আনফা একাডেমিতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। লিগ পর্বে তাদের ৩-১ গোলে হারিয়েছিলেন প্রীতিরা।

মন্তব্য

ফুটবল
Bangladesh started with a win
অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ

জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের

জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের ছবি: সংগৃহীত
সাফ-১৬ টুর্নামেন্টে চারটি দল অংশ নিয়েছে। এক ম্যাচ শেষে সমান তিন পয়েন্ট করে অর্জন করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। ৫ মার্চ বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশের নারীরা।

শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সংঘবদ্ধ এক আক্রমণের প্রদর্শনীতে প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটে বাংলাদেশ গোল পায়। সাথী মুন্ডার দারুণ এক মুভে থ্রু বল ঠেলে দেন প্রতিপক্ষের গোল বক্সের ভেতর। নেপালের গোলরক্ষক গোল বাঁচাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সুরভী আকন্দ প্রীতি দ্রুতগতিতে বক্সে প্রবেশ করে প্লেসিংয়ে গোল করেন।

৫ মিনিট পর গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন প্রীতি নিজেই। বক্সের বাম দিকে দিয়ে আক্রমণে ছিলেন বাংলাদেশের আরেক খেলোয়ার আলফি। গোলরক্ষক তাকে থামাতে গিয়ে গিয়ে ফেলে দেন মাটিতে। ফলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। স্পট কিক থেকে বাংলাদেশকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন প্রীতি। এভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতির পর স্বাগতিক নেপাল ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালালেও বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ভেদ করেতে পারেনি। বারবার তাদের আক্রমণ নস্যাৎ করে দিয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। খেলার ৬২ মিনিটের মাথায় আরিফার করা ক্রসে সুরভী প্রীতির প্লেসিং করা বল ফিরে আসে জালের পাশে লেগে। এরপর নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলায় গোল পায়নি আর কোনো দল।

এবারের সাফ-১৬ টুর্নামেন্টে চারটি দল অংশ নিয়েছে। এক ম্যাচ শেষে সমান তিন পয়েন্ট করে অর্জন করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। ৫ মার্চ বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।

মন্তব্য

ফুটবল
I will work for the development of football in Bangladesh Barrister Suman

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করব: সুমন

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করব: সুমন বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। ছবি: নিউজবাংলা
সুমন বলেন, ‘আমি ফুটবলের ব্যাপারে প্রতিবাদ করছি বহুদিন আগে থেকেই, প্রতিবাদ করতে করতেই আমি এখন মেম্বার অফ পার্লামেন্ট। আমি এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে কথা বলতে পারি। আমার একটা বিশ্বাস ফুটবলের এখন গণজাগরণ শুরু হয়েছে।’

নব্বই দশকের ফুটবলে ফিরে যেতে চান উল্লেখ করে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন।

তিনি বলেন, ‘আমার যতটুকু সাধ্য, আমি মেম্বার অফ পার্লামেন্ট হিসেবে শুধু আমার এলাকার ফুটবল না, বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করব। যেভাবে কাজ করলে নব্বই দশকের ফুটবলে ফিরে যাওয়া যায়, যেখানে ফুটবল আমাদের ঐহিত্য ছিল। আমরা সেটাই করব।’

জামালপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল হাকিম স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সুমন বলেন, ‘আমি ফুটবলের ব্যাপারে প্রতিবাদ করছি বহুদিন আগে থেকেই, প্রতিবাদ করতে করতেই আমি এখন মেম্বার অফ পার্লামেন্ট। আমি এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে কথা বলতে পারি। আমার একটা বিশ্বাস ফুটবলের এখন গণজাগরণ শুরু হয়েছে।’

ভারতের ফুটবলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেখেন, ইন্ডিয়া অনেক দূর এগিয়ে গেছে, এখন তারা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আর আমরা এখনও সাউথ এশিয়াতেই টিকতে পারি না।

‘যেহেতু আমাদের প্রথম প্রেম ফুটবল, এ ফুটবলের প্রেমটা আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চাই। আমরা সবাই আবার মাঠে আসতে চাই।’

আরও পড়ুন:
পোস্টারে জাতির পিতার ছবি, ব্যারিস্টার সুমনকে শোকজ
ব্যারিস্টার মইনুলের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
ব্যারিস্টার মইনুলের সম্মানে অর্ধবেলা বন্ধ বিচারকাজ
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন
শোকজের জবাব দিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

মন্তব্য

ফুটবল
The Corporate Futsal Cup went to the home of the Asian group

এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ

এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ
ফাইনালে ম্যাফ সুজ ফুটবল দলকে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয় পায় এশিয়ান গ্রুপ ফুটবল দল।

গায়ে রঙ-বেরঙের টি-শার্ট, মুখে ভুভুজেলা বাঁশির সুর। শত শত ফুটবল সমর্থক গলা ফাটাচ্ছেন এক নাগাড়ে, সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে হাততালি আর ড্রাম বাজানো তো আছেই। আর যাদের ঘিরে এত এত আবেগের বিস্ফোরণ টার্ফের সবুজ গালিচায়, তারা লড়ছেন বুক চিতিয়ে। এর মাঝে এক ঘণ্টার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জয় তুলে নেয় এশিয়ান গ্রুপ ফুটবল দল।

এশিয়ান গ্রুপ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ফুটসাল টার্ফের বৃহস্পতিবার রাতের চিত্র এটি। এশিয়ান গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় হওয়া ‘করপোরেট ফুটসাল কাপ’ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল এদিন।

ফাইনালে ম্যাফ সুজ ফুটবল দলকে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয় পায় এশিয়ান গ্রুপ ফুটবল দল।

২৪ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় এই করপোরেট টুর্নামেন্ট। আট গ্রুপে ২৪ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ফুটবল দল অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার ফাইনাল ম্যাচের মধ্যে দিয়ে পর্দা নামল এই টুর্নামেন্টের।

ফাইনাল ম্যাচ শেষে আয়োজন করা হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের।

এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউর করিম চৌধুরী।

মেয়র তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সুন্দর এই আয়োজনের জন্য এশিয়ান গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই খেলার মধ্যে দিয়ে এশিয়ান গ্রুপ প্রমাণ করেছে মাদক-মোবাইলের নেশা থেকে খেলার নেশায় ফিরিয়ে আনা যায়। এই প্রতিযোগিতা বারবার হোক, তরুণ সমাজও উদ্বুদ্ধ হোক। খেলায় যে উদ্দীপনা দেখছি যেন গণজোয়ার ফিরে আসছে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এতদিন টেলিভিশনে ফুটবল দেখেছি। আজকে প্রথম সামনে সামনে দেখলাম। সত্যি আমি আনন্দিত। ছেলেমেয়েরা মোবাইল-মাদক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যদি ভালো সুযোগ পায় তাহলে তারা ভালোভাবে গড়ে উঠবে।

‘যে দেশ খেলাধুলায় উন্নত, সেই দেশ এগিয়েও। সেজন্য আমাদের খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে। এশিয়ান গ্রুপকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম বলেন, ‘এশিয়ান গ্রুপ তরুণদের ভালো উদ্যোগের সঙ্গে, খেলাধুলার সঙ্গে সবসময় আছে। সামনের দিনগুলোতেও থাকবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এশিয়ান গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ সালাম, পরিচালক ওয়াসিফ সালাম, তরুণ উদ্যোক্তা বোরহানুল হাসান চৌধুরী, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, কাউন্সিলর মোরশেদুল আলম প্রমুখ।

মন্তব্য

p
উপরে