ট্রিকোটেক্স নারী ফুটবল লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে নাসরিন স্পোর্টস অ্যাকাডেমি। একই রাউন্ডে কুমিল্লা ইউনাইটেড ও স্পার্টান এমকে গ্যালাকটিকো সিলেট এফসির রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ শেষ হয়েছে ড্রতে।
রোববার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হয়।
দিনের প্রথম ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপহার দিয়েছে কুমিল্লা ইউনাইটেড ও স্পার্টান এমকে গ্যালাকটিকো সিলেট এফসি। ৪৩ মিনিটে মাসুদার গোলে এগিয়ে যায় কুমিল্লা। বিরতির পর ৬৭ মিনিটে সিলেটকে সমতায় ফেরান বিপাশা।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে রোকসানার গোলে জয়ের পথে থাকে সিলেট। চার মিনিট পরেই তাদের আশাভঙ্গ করেন আশামনি। তার গোলেই হার এড়িয়ে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা। ম্যাচটি ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়।
পরের ম্যাচে উত্তেজনার ছিটেফোটাও দেখা মিলেনি। নাসরিন স্পোর্টস অ্যাকাডেমি একপেশে ম্যাচে নাস্তানাবুদ করে জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশকে। ৫-০ বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নাসরিন স্পোর্টস।
দলের হয়ে জোড়া গোল করেন স্বপ্না রানি। একবার করে জালে বল জড়ান রাজিয়া খাতুন, ঋতুপর্না চাকমা ও রেহেনা আক্তার।
সপ্তম রাউন্ডে সোমবার একমাত্র ম্যাচে একই ভেন্যুতে লড়বে বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাব ও এফসি উত্তরবঙ্গ।
লিওনেল মেসি কি পিএসজি ছেড়ে কি বার্সেলোনায়ই ফিরবেন নাকি অন্য কোথাও যাবেন? গত কয়েকদিনে অনেক গুঞ্জনই শোনা যাচ্ছে এসব নিয়ে। তবে দিন যত গড়াচ্ছে, পিএসজি থেকে মেসির চলে যাওয়ার সুরই বেশি গাঢ় হচ্ছে।
এতসব আলোচনার মধ্যে বার্সেলোনার সহ-সভাপতি রাফা ইয়ুস্তের জানিয়েছেন, তারা মেসিকে ফেরানোর জন্য তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
পিএসজিতে মেসির বর্তমান চুক্তি এই মৌসুমে শেষ, তবে ক্লাব ও খেলোয়াড় দুই পক্ষই সম্মত হলে মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ বর্তমান চুক্তিতেই আছে। কিন্তু মেসি কি তা করতে রাজি হবেন? গুঞ্জন অনেক।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বার্সা সহ-সভাপতি ইয়ুস্তে বললেন, ‘আমার তো এখনো এটাই খারাপ লাগে যখন মনে আসে যে ও (মেসি) এখানে চালিয়ে যেতে পারল না। অবশ্যই আমি চাইব ও যাতে এখানে ফিরে আসে। কারণ, খেলার দিক থেকে বলুন, সমর্থকদের দিক থেকে বলুন বা আর্থিক দিক থেকে – ও থাকা মানেই অন্য কিছু।’
এরপর ইয়ুস্তে স্বীকার করে নিলেন, মেসিকে ফিরিয়ে আনতে কথাবার্তা চলছে, ‘হ্যাঁ, আমরা মেসির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। সুন্দর গল্পগুলোর শেষটাও আনন্দের হওয়া উচিৎ, এখানে দুই পক্ষের মধ্যেই একটা ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্ক আছে।’
কিন্তু মেসিকে আনতে গেলে বার্সা টাকাপয়সা পাবে কোথায়? স্প্যানিশ লিগের আর্থিক সঙ্গতির নীতির সঙ্গে মানিয়ে নতুন কোনো খেলোয়াড় দলে টানতে হলে বার্সাকে আগে তাদের বার্ষিক খরচের অঙ্ক থেকে ১৫ কোটি ইউরো কাঁটছাট করতে হবে, নতুবা কোনোভাবে এই অর্থের জোগান করতে হবে। এ নিয়ে প্রশ্নে ইয়ুস্তে অবশ্য বললেন, ‘(লা লিগা সভাপতি) হাভিয়ের তেবাসের কাছে আমাদের রাজস্ব ও স্থিতিশীলতার পরিকল্পনা জমা দেয়ার আগে এখনো দুই মাস সময় হাতে আছে আমাদের।’
বার্সা কোচ চাভি এর্নান্দেসও মেসির প্রত্যাবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে। এলচের বিপক্ষে আগামীকাল লিগে ম্যাচ আছে বার্সার, তার আগে মেসির ফেরা নিয়ে প্রশ্নে শাভির উত্তর, ‘এমন কিছু হতে হলে তার আগে আরও অনেক কিছুকেই ঠিকঠাকমতো হতে হবে। আমি ওকে বাড়ি ফিরতে দেখতে চাই। সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের প্রত্যাবর্তন দেখে বেশি খুশি হওয়া প্রথম মানুষটি আমিই হব।’
আরও পড়ুন:স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের পরিচিতি ও ইতিহাস তুলে ধরে সম্প্রতি আর্জেন্টিনার পেশাদার লিগ কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেটির রেশ কাটতে না কাটতেই বিশ্বকাপে সমর্থনের জন্য এবার বাংলাদেশ ও ভারতকে ধন্যবাদ জানালেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার।
কাতার বিশ্বকাপের সময় মেসি ও আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনার কথা কার না জানা। এই সমর্থনের জেরেই ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু হয়েছে। বাংলাদেশে একাডেমি গড়ার অভিপ্রায় নিয়ে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন দেশটির নামী ক্লাব রিভার প্লেটের কর্মকর্তারা।
বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে বাংলাদেশে মাতামাতি হওয়ার কথা ভুলে যাননি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। এক ভিডিও বার্তায় বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানালেন বাংলাদেশকে। ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে ভারতের নামটিও মুখে এনেছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার, ‘আমি অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, হ্যালো বাংলাদেশ এবং ভারত। সমর্থনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’
গতকাল আর্জেন্টিনার পেশাদার লিগের স্বীকৃত টুইটারে পোস্ট করা হয়েছে ভিডিওটি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ৬৮ হাজার বার দেখা হয়েছে ভিডিওটি।
একের পর এক বিশেষ সম্মাননায় ভেসেই চলেছেন লিওনেল মেসি। দুদিন আগে আর্জেন্টাইন ফেডারেশন তাদের অনুশীলন গ্রাউন্ডে খেলোয়াড়দের বাসভবনের নাম দিয়েছে মেসির নামে।
সোমবার মেসি আরও অনন্য এক সম্মাননা পেলেন দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের কাছ থেকে।
মেসির সমান উচ্চতার এক ভাস্কর্য গড়েছে কনমেবল, ‘বিশ্বের সেরা’ মেসিকে সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ। সোমবার সেটির উন্মোচনের ক্ষণে পুরো আর্জেন্টিনা দল এবং আর্জেন্টাইন ফেডারেশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া ছিলেন অনুষ্ঠানে। ভাস্কর্যের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন মেসি নিজে। এই ভাস্কর্যের জায়গা হচ্ছে কনমেবলের জাদুঘরে দুই কিংবদন্তি পেলে ও মারাদোনার ভাস্কর্যের পাশে।
অনুষ্ঠানে পুরো আর্জেন্টিনা দলকেই বিশেষ সম্মান জানিয়েছে কনমেবল। বিশ্বকাপের সময় ভাইরাল হয়ে পড়া ১২ বছর বয়সী আর্জেন্টিনা ভক্ত হোসে আনদ্রাদার কথায় চোখ ভিজেছে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি, মিডফিল্ডার এনসো ফের্নান্দেসসহ অনেকের।
মারাদোনাকে নিয়ে এক সময়ে বিশেষ গান গাওয়া আর্জেন্টাইন গায়িকা সোলেদাদ পাস্তোরুত্তি বিশেষ গান গেয়েছেন মেসিকে নিয়ে, আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে।
বিশ্বকাপ জেতার পর এই প্রথম আর্জেন্টিনার তিন তারকা খচিত জার্সিটা পরে খেলতে গেছেন মেসি-দি মারিয়া-মার্তিনেসরা। কিন্তু এ যে শুধুই খেলার উদ্দেশে আর্জেন্টিনায় যাওয়া নয়, তা আগে থেকেই অনুমিত ছিল। পানামা আর কুরাকাওয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচগুলো আসলে ম্যাচ ছাপিয়ে ছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের উদযাপন।
তা উদযাপন হচ্ছে বটে, পানামার বিপক্ষে ম্যাচে নিজেদের বিশ্বজয়ীদের সামনে পেয়ে রিভারপ্লেটের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভেসেছে উচ্ছ্বাসে। এরপর আর্জেন্টিনার অনুশীলন গ্রাউন্ডের বাসভবনের নামকরণের পর সোমবার কনমেবলের এমন অনন্য সম্মাননা স্বপ্নের মতো সময়ই কাটছে মেসিদের।
সোমবার ভাস্কর্য উন্মোচনের পর মেসিও তাই বললেন, ‘এটা আসলেই অনেক বিশেষ কিছু। কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি এমন কিছু হবে। আমার স্বপ্ন তো ছিল শুধুই আশৈশব যেটা পছন্দ করতাম, সেটা করতে পারা, পেশাদার ফুটবলার হওয়া, ফুটবল খেলে যাওয়া।’
আর্জেন্টিনার জার্সিতে এই সোনালি দিনগুলো পেয়েও এর আগের ব্যর্থতায় ধূসর অতীতের কথা মেসি কখনও ভোলেননি। যে কারণে যেকোনো সাফল্যেই তার আগের সতীর্থদেরও ভাগিদার করে নেন।
সোমবার বিশেষ এমন সম্মাননার দিনেও অতীতের কথা থাকল মেসির মুখে, ‘অনেক হতাশা সয়েছি, অনেক হার দেখেছি। কিন্তু সবসময় সামনে তাকিয়েছি। সবসময় এই একটা জয়ের খোঁজে থেকেছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের স্বপ্নের পেছনে ছোটা, এটা মনে গেঁথে নেয়া যে জীবনে যেকোনো কিছুই সম্ভব। আর ফুটবলটাকে উপভোগ করে যাওয়া, যেটা আমার জন্য, আমাদের সবার জন্য সবচেয়ে সুন্দর বস্তু।’
আরও পড়ুন:ইউরো বাছাইয়ে গত ম্যাচেই রেকর্ড গড়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন মাঠে নেমেই, আর মাঠ ছেড়েছেন প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে।
রোববার রাতে অবশ্য কোনো রেকর্ড গড়েননি, পুরো সময় মাঠেও থাকেননি। কিন্তু ৬৫ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের জার্সিতে নেমে দুই ম্যাচেই দুটি করে গোল। ৩৮ বছর বয়সী রোনালদোর দেখানো পথে লুক্সেমবার্গকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল।
৯ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন রোনালদো, ৩১ মিনিটে আবার। এর মাঝেই ১৫ ও ১৮ মিনিটে গোল করেছেন জোয়াও ফেলিক্স ও বের্নার্দো সিলভা। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা ওতাভিও এবং রাফায়েল লিয়াও লুক্সেমবার্গের গোলের বোঝা বাড়িয়েছেন।
নতুন কোচ রবের্তো মার্তিনেস ম্যাচ শেষে রোনালদোর গুরুত্বের কথা আবার জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে, ‘ক্রিস্টিয়ানো বিশ্বেই অনন্য এক খেলোয়াড়, সবচেয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ড্রেসিংরুমে যে অভিজ্ঞতা জোগান, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
রোনালদোর ১৯৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ, ১২২ গোল-দুটোই বিশ্বরেকর্ড। পর্তুগালের উদীয়মান তারকাদের বেড়ে ওঠার জন্যই ড্রেসিংরুমে রোনালদোর উপস্থিতি কাম্য মার্তিনেসের, ‘সব খেলোয়াড়ের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। তরুণরা খেলার জন্য ব্যগ্র, ওদিকে রোনালদো, রুই পাত্রিসিও এবং বের্নার্দো সিলভা অভিজ্ঞতা জোগাচ্ছে। একটি পরিপূর্ণ ড্রেসিংরুম থাকা দরকার।’
বল জালে পাঠিয়ে দৌড় দিলেন গোলদাতা। দুই হাত উপরে তুলে লাফিয়ে উঠে করলেন পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান রোনাল্ডোর মতো ‘সিউ’ উদযাপন। এরপরই হয় বিপত্তি। বাম হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় ওই ফুটবলারের। শেষ পর্যন্ত খেলার মাঝে তাকে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভিয়েতনামের ঘরোয়া লিগে।
স্থানীয় ভিয়েত্তেল এফসি দলের ফুটবলার ট্র্যান হং কিয়েন গোল করার পরই রোনাল্ডোর মতো সিউ উদযাপন করতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন। পরে উঠে আবার তাকে রোনাল্ডোর ‘পিস অফ মাইন্ড’ উদযাপনটি করতে দেখা যায়।
২০১৩ সালে চেলস্যার বিরুদ্ধে একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে প্রথমবারের মতো ‘সিউ’ উদযাপন করেন রোনাল্ডো। এছাড়া ২০২১-২২ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলার সময় পিস অব মাইন্ড উদযাপনটি করেনন পর্তুগিজ এ ফুটবল তারকা।
২০২১ সালে ঘরের মাঠে কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। গতবছর ব্যস্ত সূচিতেও মাত্র এক ম্যাচ দেশে খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে সে ম্যাচেও জয় পায়নি জাতীয় ফুটবল দল। ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে সর্বশেষ জয়ের আনন্দে ভাসতে দেখা গেছে ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর। শনিবার সিলেটে সিশেলসের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে সে আক্ষেপ দূর হলো।
জাতীয় দলের হয়ে ৪২ মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেছেন তারিক কাজী। সে গোলই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য করে দিয়েছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। গোছানো আক্রমণ করে র্যাঙ্কিংয়ে সাত ধাপ পিছিয়ে থাকা সিশেলসকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছিল স্বাগতিক দল। কিন্তু দক্ষ একজন স্ট্রাইকারের অভাবে গোল পাওয়া হচ্ছিল না বাংলাদেশের। মূলত ডানদিক থেকেই আক্রমণে উঠছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সাদের ক্রসগুলো কাজে লাগানোর মতো ছিলেন না বক্সে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে অবশ্য সে আক্ষেপ দূর করেছেন তারিক কাজী। ডি-বক্সের বেশ বাইরে ফ্রি কিক পেয়েছিল বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার ক্রস ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের ব্র্যান্ডন। কিন্তু ব্র্যান্ডনের হেড গিয়ে পড়ে তারিক কাজীর সামনে। জোরালো হেডে জালে বল পাঠান এই ডিফেন্ডার। এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশের দাপট ছিল। আক্রমণে শক্তি বাড়াতে নামানো হয় অভিষিক্ত এলিটা কিংসলেকে। বাংলাদেশের পক্ষে এই প্রথম কোনো ভিনদেশির জাতীয় দলে অভিষেক। বেশ কয়েকবার শট নিলেও গোল পাননি কিংসলে।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টের শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে ভারতের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। এই সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
টুর্নামেন্টে দিন তিনেক আগে রুশ মেয়েদের কাছে তিন গোল খেয়ে বাংলাদেশ বুঝেছিল, ইউরোপ অনেক এগিয়ে, তাদের মানে যেতে কাঠখড় পোড়াতে হবে অনেক।
তবে কমলাপুর স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যায় আবার চেনা প্রতিপক্ষ যখন এল সামনে, বাংলাদেশ আবার ফিরল জয়ে। প্রতিপক্ষ সাফের অন্যতম শক্তিশালী ভারত, তাদের বিপক্ষে জয়টাও একেবারে সহজে আসেনি। দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের এক ডিফেন্ডারের আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
ভাগ্যপ্রসূত ঠিকই, তবে গোলাম রব্বানী ছোটনের দলের জন্য জয়টা প্রয়োজন ছিল। রাশিয়ার কাছে হারের পর চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়তো আর সম্ভব হবে না – যদি রাশিয়া নিজেদের বাকি দুই ম্যাচে জেতে। তবে অন্তত রানার্সআপ হওয়া নিয়ে কোনো সংশয় রাখতে না চাইলেও ভারত ও নেপালের বিপক্ষে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জিততে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম কাজটা করে রাখল বাংলাদেশ।
৭৪ মিনিটে ভারত বক্সের ডান পাশে থ্রো থেকে বক্সে ক্রস করেছিলেন নাদিয়া আক্তার যুথী। বাংলাদেশের কোনো স্ট্রাইকার সেটি পাবেন– আশা এমনই ছিল নিশ্চয়ই। কিন্তু ভাগ্য যে আরও বেশি কিছু নিয়েই বাংলাদেশের অপেক্ষায় ছিল, তা কে জানত! ভারতের সেন্টারব্যাক আখিলা রাজন বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার মাথায় লেগে বল উল্টো ঢুকে গেল ভারতেরই জালে। কমলাপুর স্টেডিয়াম মেতে ওঠে উল্লাসে।
জয়ের পথে বড় অবদান আছে বাংলাদেশ গোলকিপার সঙ্গীতারও। ৯০ মিনিটে বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে অসাধারণ থ্রু ধরে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ভারতের শিবানি। তবে সঙ্গীতা পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন শিবানির শট।
দিনের আগের ম্যাচে শুক্রবার রাশিয়া ৯-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভূটানকে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য