বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে ইশতেহার আকারে অনেক আশ্বাসই দিয়েছেন প্রার্থীরা। তৃণমূলের নামে জেলা ফুটবলের উন্নয়নে জোর দিয়েছে দুটি প্যানেলই। তবে কারও ইশতেহারে জায়গা হয়নি ‘শিশু ফুটবল’। এই দুই প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে স্বতন্ত্রভাবে যিনি নির্বাচন করছেন তার ইশতেহারেও নেই বিষয়টি।
সবার ইশতেহারে তৃণমূল হিসাবে দেখানো হয়েছে ১৩ বছরেরর বেশি বয়সী ফুটবলারদের। উপেক্ষিত থেকে গেছে ক্ষুদে ফুটবলারদের নিয়ে পরিকল্পনার কথা।
ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, ফুটবল শেখার বয়স হলো ৮-৯ বছর। তৃণমূল ফুটবলের ব্যাখ্যা দিয়েছেন দেশে ইউয়েফার এ-লাইসেন্সপ্রাপ্ত একমাত্র কোচ মারুফুল হক।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, 'ফুটবলে হাতেখড়ি ৮-৯ এর আগে হওয়া দরকার। ফিজিক্যাল স্কিল (শারীরিক দক্ষতা) শেখার গোল্ডেন বয়স হচ্ছে ৯-১২। এরপরে ফিজিক্যাল স্কিল পারমানেন্ট হয় না। এই বয়সের মধ্যে খেলোয়াড়দের ফুটবলের ট্যাকটিক্যাল ও টেকনিক্যাল বিষয়গুলো শিখতে হয়।’
জাতীয় দলের এই সাবেক কোচের মতে, কারও ইশতেহারে জায়গা পায়নি শিশু ফুটবল। বরাবারের মতো উপেক্ষিত থেকে গেছে তৃণমূলের প্রকৃত ফুটবল।
আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দুটি প্যানেল। একটি কাজী সালাউদ্দিন-মুর্শেদী সম্মিলিত ফুটবল পরিষদ, অন্যটি শেখ আসলাম-মহি সমন্বয় পরিষদ। আর সভাপতি পদে স্বতন্ত্রভাবে লড়ছেন শফিকুল ইসলাম মানিক।
দেশের ফুটবল উন্নয়নে তিন পক্ষ থেকে তিনটি ইশতেহার পাওয়া গেছে। তাদের কারো ইশতেহারে কার্যত শিশু ফুটবলকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। জোর দেয়া হয়েছে তৃণমূলের নামে ১৩ এর বেশি বয়সীদের।
কাজী সালাউদ্দিন-মুর্শেদীর নেতৃত্বের প্যানেলের যে ইশতেহার দেয়া হয়েছে একমাত্র তাতেই ছোট করে বলা হয়েছে অনূর্ধ্ব ১০ বছরের জন্য একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, 'ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘ডেভেলপমেন্ট কাপ ফুটবল’ সহ বাফুফে কর্তৃক আয়োজিত ‘শেখ রাসেল অনূর্ধ্ব-১০ জাতীয় জুনিয়র ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ’ হতে প্রাপ্ত প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড়গণকে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে ‘বাফুফে ফর্টিজ ফুটবল অ্যাকাডেমি’র এবং ‘বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টার’ এর আওতাভুক্ত করা হবে।'
তবে সমালোচনা রয়েছে বাফুফের ফর্টিজ ফুটবল অ্যাকাডেমি নিয়েও। অ্যাকাডেমির নামে এখানে অনূর্ধ্ব ১৫ ও ১৭ বয়সের ফুটবলারদের ট্রেনিং দেওয়া হয়।
জাতীয় দলের সাবেক কোচে মারুফুল হক আরও বলেন, ‘অবশ্যই একেবারে ছোট বয়স থেকে একাডেমিতে ফুটবল শেখানো উচিত।’
শেখ আসলাম-মহির প্যানেল যে ইশতেহার দেয়া হয়েছে সেখানেও উপেক্ষিত শিশু ফুটবল। তাদের ইশতেহারে শিশু ফুটবলকে ধরা হয়েছে ১২ এর বেশি বয়সীদের।
বলা হয়েছে- অনূর্ধ্ব-১২ বছর থেকে থানা, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রত্যেক ফুটবল খেলোয়াড়কে একটি একক রেজিস্ট্রেশন প্রথার আওতায় নিয়ে আসা হবে; যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বয়সভিত্তিক সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।
শফিকুল ইসলাম মানিকের ইশতেহারেও নেই শিশু ফুটবল। ইশতেহারে তিনি তৃণমূল ফুটবলকে গোছাতে ক্লাবগুলোকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আনার কথা বলেছেন।
তিনি ইশতেহারে দিয়েছেন এভাবে 'প্রফেশনাল (সক্ষমতা সম্পন্ন) প্রতিটি ক্লাবের অন্তত দুইটি গ্রাসরুট/এইজ গ্রুপ দল থাকে তার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু/বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে থেকে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে পরিকল্পনা সাজানো হবে। এই বাছাইকৃত খেলোয়াড়রা যাতে প্রাতিষ্ঠানিক ফুটবল শিক্ষা পায় সেজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।'
সবমিলে দেশজুড়ে শিশুদের সম্পৃক্ততার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা উপেক্ষিত হয়েছে এসব ইশতেহারে। যেখানে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশু ফুটবল ছাড়া তৃণমূল ফুটবলের উন্নয়ন হয় না। ইশতেহারে প্রকাশ করা ছাড়াও দেশের ফুটবলে শিশুদের সম্পৃক্ত করতে নির্বাচিতদের আগ্রহী ও উদ্যোগী হয়ে দীর্ঘ পরিকল্পনা নিতে হবে বলে মনে করেন তারা।
নিউজবাংলা/জাহা/আজা
শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)।
সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।
২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।
বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি ও শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর।
‘ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’
এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।
ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।
ভদ্রলোক: চার্জ কী?
ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, '৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।
এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'
চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, 'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"
চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'
আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'
চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'
চাষা বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'
হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'
চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।
হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'
তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"
দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।
হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'
মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'
চাষা বলল, 'ব্যা-!'
মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'
চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'
চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'
উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'
চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'
উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'
বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।
আরও পড়ুন:এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।
ইসমাইল: জি স্যার?
সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।
ইসমাইল: ঠিক আছে।
সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।
ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?
সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?
ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?
বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?
মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?
ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’
অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’
যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’
‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।
যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’
‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।
‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
মন্তব্য