× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
যেভাবে আম কাঁঠাল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করবেন
google_news print-icon

যেভাবে আম-কাঁঠাল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করবেন

যেভাবে-আম-কাঁঠাল-দীর্ঘদিন-সংরক্ষণ-করবেন
দীর্ঘদিন আম সংরক্ষণ করে রাখা যাবে, সে ক্ষেত্রে মানতে হবে কিছু নিয়ম। ফাইল ছবি
আম ও কাঁঠাল ক্লাইমেকটেরিক ফল হওয়ায় এগুলো বেশি দিন রাখা যায় না। তবে কিছু প্রক্রিয়া অবলম্বন করলে এক মাস পর্যন্ত আম সংরক্ষণ করা সম্ভব। 

কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, আর আমের উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম বাংলাদেশ। তবে এসব ফল নির্দিষ্ট মৌসুমে সীমাবদ্ধ। চাইলেও বেশি দিন তাজা সংরক্ষণ করা যায় না। এতে উৎপাদনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নষ্ট হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর সংরক্ষণকাল ১৫ দিন থেকে এক মাস বাড়িয়ে নেয়া যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেসব ফল বেশি দিন সংক্ষণ করা যায়, যেগুলো গাছ থেকে পাড়ার পর এর অবস্থার পরিবর্তন হয় না। এসব ফল পরিপক্ব হওয়ার পর যে অবস্থায় গাছ থেকে পাড়া হয়, সে অবস্থাতেই থাকে। তবে যেসব ফল গাছ থেকে পাড়ার পর অবস্থার পরিবর্তন ঘটে বা পরিপুষ্ট হওয়ার পর ঘরে রাখলে পেকে যায়, সেসব ফলের সংরক্ষণকাল কম। এর মধ্যে আম-কাঁঠাল অন্যতম।

বিজ্ঞানের ভাষায় বললে, ফল দুই ধরনের। একটি ক্লাইমেকটেরিক ফ্রুট, অপরটি নন-ক্লাইমেকটেরিক ফ্রুট।

ক্লাইমেকটেরিট ফলের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এসব ফল গাছ থেকে বাড়িতে পেড়ে রাখার পরও রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপ চলে। এ ধরনের পরিপক্ক ফল থেকে ইথিলিন উৎপন্ন হয়, যা ফলটিকে আরও পাকিয়ে তোলে। এ ছাড়া ফলের মধ্যে কোষীয় পরিবর্তন ঘটে। আম-কাঁঠাল-পেঁপে-কলা এ ধরনের ফল।

নন-ক্লাইমেকটেরিক ফল থেকে ইথিলিন উৎপন্ন হয় না। ফলে ঘরে রেখে দিলেও পাকে না, মিষ্টিও বাড়ে না। যেমন, আঙ্গুর ও স্ট্রবেরি।

ফল সংরক্ষণের উপায়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমের মতো ফলগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ১৫ থেকে ২০ দিন বা সর্বোচ্চ এক মাস রাখা যায়। সংরক্ষণ সময় বাড়াতে পুরোপুরি পাকার আগে ফল পরিপক্ক হলেই গাছ থেকে পাড়তে হবে। যে স্থানে তা রাখা হবে তা অবশ্যই বাতাস চলাচলের উপযোগী ও শীতল হতে হবে। প্রয়োজনে ইলেকট্রিক ফ্যান ব্যবহার করা যেতে পারে। আর্দ্র আবহাওয়ায় ও বদ্ধ ঘরে আম তাড়াতাড়ি পাকে এবং সহজে পচন ধরে যায়।

যেভাবে আম-কাঁঠাল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করবেন
কাঁঠাল সংরক্ষণে জানতে হবে কিছু বিষয়

তবে একেবারে কম তাপমাত্রায় রাখা যাবে না। কারণ এতে ফলের ওজন কমবে এবং ফল শুকিয়ে যাবে। তাই ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উপযুক্ত।

কাঁঠালের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি প্রযোজ্য।

আবার এ সময় কোনো ফলে পচন দেখা দেয়ামাত্রই আলাদা করে রাখতে হবে, কারণ এর জীবাণু অন্যান্য ফলকে আক্রমণ করে।

তবে বাড়িতে রাখতে গেলে আস্ত আম প্রথমে কাগজের ব্যাগে ভরে নিতে হবে। পরে কাগজের ব্যাগটি একটি কাপড়ের ব্যাগে ভরে মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। তৃতীয় ধাপে ব্যাগটি অন্য একটি পলিথিন ব্যাগে রাখতে হবে। এরপর ব্যাগটি রেখে দিতে হবে ডিপ ফ্রিজে।

এতে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে আম।

কাঁঠালের ক্ষেত্রে কোষগুলো আলাদা করে অল্প সময়ের জন্য হলে ফ্রিজের নরমাল অংশে এবং বেশি দিনের জন্য হলে ডিপে সংরক্ষণ করতে হবে।

গরম পানিতে আম শোধন

গরম পানিতে আম শোধন করলে আমের সংরক্ষণক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি আমের মধ্যে থাকা দূষিত পদার্থ এবং রোগবালাইও দূর হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) গরম পানিতে আম শোধনের (হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট) এমন যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে। বিদ্যুচ্চালিত এই যন্ত্রে ৫৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার পানির ভেতরে পাঁচ মিনিট আম রাখলে তা পরিশোধিত হয়। বিদ্যুচ্চালিত এ যন্ত্রের এক প্রান্তে গরম পানির মধ্যে প্লাস্টিকের আমভর্তি ঝুড়ি চুবিয়ে দেয়া হয়। এটি অন্য প্রান্তে যেতে পাঁচ মিনিট সময় লাগে। পরে আমগুলো থেকে পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) গবেষকরা বলছেন, দেশে গাছ থেকে আম পাড়ার পদ্ধতি অবৈজ্ঞানিক। আম পাড়ার পর আমের বোঁটা থেকে নির্গত রসে ম্যালিক অ্যাসিড থাকে। এই অ্যাসিড আমের পচন ত্বরান্বিত করে। এ রোগকে বোঁটা পচা রোগ বা অ্যানথ্রাক নোজ বলে। এ ছাড়া আমে মাছি পোকার (ফ্রুটফ্লাই) আক্রমণ হয়ে থাকলে ওই পোকার ডিমও সেখানে থাকতে পারে। সেই ডিম কয়েক দিনের ব্যবধানে পোকায় পরিণত হয়। গরম পানিতে শোধন করলে সেই ডিম নষ্ট হয়ে যায়, আমের সংরক্ষণক্ষমতাও বাড়ে। বাড়িতেও একই তাপমাত্রাায় আম শোধণ করে সংরক্ষণ করা যায়।

বারির উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ফল) বাবুল চন্দ্র সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, উচ্চ ইথিলিন উৎপন্ন হয় এমন ফল বেশিদিন থাকে না। তাই বৈজ্ঞানিক ভাবেই আম-কাঁঠাল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বেশি দিন তাজা রাখা যায় না। বেশি দিন কম তাপমাত্রায় রাখলেও পচন ধরে। ঠান্ডাজনিত ক্ষত হয়ে যায়। স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তাই বিশ্বের কোথাও এসব ফল এক মাসরে বেশি রাখা যায় না।

তিনি বলেন, ‘কোল্ড স্টোরেজের মাধ্যমে কিছুদিন সংরক্ষণ করা যায়। ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে এবং আর্দ্রতা ৯২ থেকে ৯৫ শতাংশ রাখা গেলে আম-কাঁঠাল সর্বোচ্চ এক মাস রাখা যাবে। ট্রান্সপোর্টেশনের জন্য বা রপ্তানি করার জন্য এ পদ্ধতি ব্যবহার করা সম্ভব। তবে এর বেশি হলেই ফল নষ্ট হয়ে যাবে বা গুণগত মান আর থাকবে না। আবার আমের ক্ষেত্রে হট ওয়াটার ট্রিটমেন্টও ব্যবহার করা যায়।’

তিনি বলেন ‘তবে বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থায়। যেমন কাঁঠাল পুরোপুরি পাকার আগে একটু শক্ত থাকতে কোয়া খুলে তা একই তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। আবার আমের ক্ষেত্রে পাল্প করে রাখা যায়। পাকা আম ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিয়ে লম্বাভাবে টুকরো করে কাটতে হবে। এই আমের টুকরোগুলো ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। বড় বড় কোম্পানি বাণিজ্যিকভাবে আমের পাল্প সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করছে। আম-কাঁঠাল থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারও তৈরি করা যায়। তবে সবচেয়ে ভাল বিকল্প হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের জাত উদ্ভাবন, যাতে সারা বছর ফলন পাওয়া যায়।’

আম-কাঁঠালের অবস্থা

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য বলছে, ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে সাড়ে ১২ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বাড়ছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশ কাঁঠাল উৎপাদনে সারা বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম ও পেয়ারায় অষ্টম। মৌসুমি ফল উৎপাদনে বাংলাদেশ ১০ নম্বর স্থান দখল করেছে। এখন দেশে ৭২টিরও বেশি দেশি-বিদেশি ফল চাষ হচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে দেশে প্রায় ২৪ লাখ টন আম উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে ৯ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কাঁঠালের বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ ১০ লাখ টন। সংরক্ষণ সময় স্বল্পতা ও নানা কারণে মোট উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়।

আমের সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়াতে প্রকল্প

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বলছে, প্রচুর আম উৎপাদন হলেও রপ্তানিতে অবদান সামান্য – বছরে মাত্র এক হাজার টনের মতো। বিদেশে চাহিদা থাকার পরও কম সংরক্ষণ সময়ের কারণে কাঙ্খিত হারে আম রপ্তানি করা যাচ্ছে না। তাই গরম পানিতে শোধনের মাধ্যমে আমের সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে তা রপ্তানি উপযোগী করার প্রকল্প নিচ্ছে সরকার।

‘ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে আমের রপ্তানি বাজার সম্পসারণ’ নামে একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার ৮০০ জন কৃষক, উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী ও প্রক্রিয়াজাতকারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। গরম পানিতে শোধন করলে আমের সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়বে এবং আমে থাকা রোগ-বালাই ও জীবাণুও নষ্ট হবে। একই সঙ্গে সংরক্ষণ ব্যবস্থাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হবে, যা আমের রপ্তানি উপযোগিতা বাড়বে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আম উৎপাদন এলাকায় বড় পরিসরে ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। একই ধরনের ভিএইচটি স্থাপন করতে চায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), বিএডিসি, ডিএইসহ কয়েকটি সংস্থা।

আরও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০০ জাতের আমের তথ্য নিয়ে বই
নওগাঁর আম গেল ইংল্যান্ড
হাঁড়িভাঙ্গা আমের জন্য অ্যাপ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
Chittagong port and traders face new tariffs

নতুন শুল্ক নিয়ে এবার চট্রগ্রাম বন্দর ও ব্যবসায়ীরা মুখোমুখি

দ্রুত ট্যারিফ স্থগিতের দাবি ব্যবসায়ীদের
নতুন শুল্ক নিয়ে এবার চট্রগ্রাম বন্দর ও ব্যবসায়ীরা মুখোমুখি

ব্যবসায়ী সংগঠনের তীব্র আপত্তি থাকার পরেও মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের আরোপ করা বর্ধিত শুল্ক (ট্যারিফ)। তবে নতুন শুল্ক নিয়ে বন্দর এবং ব্যবসায়ীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। ৩৯ বছর পর এই ট্যারিফ বাড়লেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দর তো এত বছর লস করেনি। গত বছরও প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা লাভ করেছে। তারপরও ট্যারিফ বাড়ানো হচ্ছে কার স্বার্থে?

আলোচনা ছাড়াই ট্যারিফ কার্যকর করায় আমদানি খরচ বেড়েছে বলে দাবি করেছে বন্দর ব্যবহারকারীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন শুল্ক নীতির বড় প্রভাব পড়বে ভোক্তা পর্যায়ে। ফলে নতুন শুল্কনীতি স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইর প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমান বলেন, ট্যারিফ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে একবারও আলোচনার প্রয়োজন মনে করেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমার কাছ থেকে বাড়তি ট্যারিফ নেবেন, আপত্তি নেই। কিন্তু তা হবে আলোচনার ভিত্তিতে।’ তিনি বলেন, ২৯ বছরের ব্যবসায়িক ক্যারিয়ারে চট্টগ্রাম বন্দরের লস হয়েছে শুনিনি। তাহলে এখন কেন এই ট্যারিফ বাড়াবেন?’

চিটাগাং চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজ বর্ধিত এই ট্যারিফ পরিশোধ করবে না। এর আগে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে ট্যারিফ কতটুকু বাড়ানো যায়; কিংবা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে কি না। এই আলোচনার আগ পর্যন্ত ট্যারিফ আদায় স্থগিত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘ট্যারিফ বাড়ানোর কাজ তো এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ না। এটি নির্বাচিত সরকারের কাজ।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, ১৯৮৬ সালে প্রতি ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা ছিল ৩০ টাকা, এখন তা ১২২ টাকা। তাহলে তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্যারিফ বাড়ছেই। নতুন করে আবার বাড়াতে হবে কেন? নতুন এ বৃদ্ধিতে প্রতি কনটেইনারে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হবে। আর এই টাকা গিয়ে পড়বে ভোক্তাদের ওপর।

ট্যারিফ কত বাড়ছে: আগে যেখানে একটি জাহাজের পাইলটিং চার্জ ছিল ৩৫৭ দশমিক ৫০ ডলার, এখন সেখানে করা হয়েছে ৮০০ ডলার। আগে যেখানে ২০০ থেকে ১,০০০ জিআরটির জাহাজের টাগ চার্জ ছিল ১৫৮ ডলার, এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬১৫ ডলার। ইকুইপমেন্টের ক্ষেত্রে আগে যেখানে পণ্যভর্তি ২০ ফুট কনটেইনারের কি গ্যান্ট্রিক্রেন চার্জ ছিল ১৫ ডলার, এখন তা ২০ দশমিক ৮০ ডলার করা হয়েছে। ২০ ফুটের খালি কনটেইনারের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৪০ ডলার করা হয়েছে। ১০ টনের মোবাইল ক্রেন ব্যবহারে আগে দিতে হতো ১ দশমিক ৭২৩ ডলার, এখন দিতে হবে ১০ দশমিক ৭০ ডলার। আমদানি করা এফসিএল কনটেইনারের ক্ষেত্রে প্রথম চার দিন, রপ্তানিযোগ্য এফসিএল এবং এলসিএল কনটেইনারে ছয় দিন ফ্রি টাইম রাখা হয়েছে। কিন্তু সপ্তম দিন থেকে ৬ দশমিক ৯ শূন্য ডলার দিয়ে শুরু হবে ট্যারিফ আদায়। যার ২১ দিন পার হলেই যুক্ত হবে ৬২ মার্কিন ডলার করে। এ ছাড়া এখন থেকে বন্দরে জাহাজের অবস্থানকালীন সময় ১২ ঘণ্টা অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য ১০০ শতাংশ, ২৪ ঘণ্টার জন্য ৩০০, ৩৬ ঘণ্টার জন্য ৪০০ এবং ৩৬ ঘণ্টার বেশি হলে অতিরিক্ত চার্জ ৯০০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে প্রতিটি কনটেইনারে বর্তমানে গড়ে মাশুল আদায় হয় ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা। এখন তা বেড়ে হবে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা। অর্থাৎ কনটেইনারপ্রতি মাশুল বাড়ছে গড়ে ৩৭ শতাংশ। প্রতিটি কনটেইনার জাহাজ থেকে ওঠানো বা নামানোর জন্য পরিশোধ করতে হতো ৪৩ দশমিক ৪০ ডলার। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬৮ ডলার। বাল্কের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পণ্যে আগে গড়ে মাশুল দিতে হতো ১ টাকা ২৮ পয়সা, এখন আরও বাড়তি দিতে হবে ৪৭ পয়সা।

অবশেষে কার্যকর হলো আলোচিত-সমালোচিত চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গত ১৫ সেপ্টেম্বর কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীদের সমালোচনার মুখে ট্যারিফ কার্যকর এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত গত সোমবার রাত ১২টা থেকে ট্যারিফ কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ট্যারিফ সিস্টেমে পাইলটিং চার্জ ৮০০ মার্কিন ডলার এবং প্রতিবার জাহাজ টেনে আনার টাগ চার্জ ৬১৫ থেকে শুরু করে ৬ হাজার ৮৩০ ডলার পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। বেড়েছে কনটেইনার ওঠানামার চার্জও।

সবশেষ ১৯৮৬ সালে ট্যারিফ বাড়িয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ৩৯ বছর পর ৩৮-৪১ শতাংশ হারে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে। আর এই বাড়তি ট্যারিফ নিয়েই যত আপত্তি বন্দর ব্যবহারকারী এবং ব্যবসায়ীদের।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘এটি অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। তাই গেজেটের আলোকে ১৫ অক্টোবর থেকে বর্ধিত এই ট্যারিফ কার্যকর হচ্ছে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ চট্টগ্রাম বন্দরের নেই।

মন্তব্য

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
Tareq Rahmans public relations with Tareq Munshi

তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে তারেক মুন্সীর গণসংযোগ

তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে তারেক মুন্সীর গণসংযোগ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার দিনব্যাপী দেবিদ্বার উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী। এ সময় তিনি খলিলপুর বাজার, নূরপুর, ফতেহাবাদ মোকামবাড়ি ও ফতেহাবাদ বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। এছাড়া খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গঙ্গামন্ডল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ফতেহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

গণসংযোগকালে এ এফ এম তারেক মুন্সী বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি হলো জাতির পুনর্জাগরণের নকশা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ধানের শীষ কেবল একটি প্রতীক নয়, এটি পরিবর্তন ও আশার প্রতীক। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন মাহফুজ, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম পাঠান, ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পূর্ব বিএনপির সভাপতি শাকিল মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, পশ্চিম শাখার সভাপতি এডভোকেট সোহরাব হোসেন, সদস্য সচিব দৌলত খান, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ইমরান হাসান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুল হাসান, জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ এবং উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কাউছার মোল্লা।

মন্তব্য

নওগাঁয় চক্ষু শিবিরে ফ্রি সেবা

নওগাঁয় চক্ষু শিবিরে ফ্রি সেবা

নওগাঁয় চক্ষু শিবিরে বিনামূল্যে দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে তিনটি ইউনিয়নের ৫শতাধিক মানুষকে এই এই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

নওগাঁ সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের প্রথম ভিপি, বিএনপির তথ্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য ও নওগাঁ-৫ (সদর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহবুবুর রহমান ডাবলুর এই আয়োজন করে।

জয়পুরহাট জেলার খঞ্জনপুর মিশন চক্ষু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই চিকিৎসা সেবা দেন। এই উদ্যোগের ফলে অনেক দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ প্রয়োজনীয় চক্ষু চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন বলে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

চোখের ছানি নিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা আকবর হোসেন জানান, তার পক্ষ্যে অর্থের অভাবে কোনো হাসপাতালে গিয়ে ছানি অপারেশন করা সম্ভব ছিল না। এখান থেকে তার অপারেশন, থাকা-খাওয়া সব ফ্রিতে করে দিবে।

ফাতেমা বেগম নামের সেবা প্রত্যাশাী বলেন, শহরে বড় হাসপাতালে গেলে অনেক টাকা লাগতো। এখানে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা পেলাম। যারা এমন মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন বিশেষ করে ডাবলু ভাতিজার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।

এসময় মাহবুবুর রহমান ডাবলু জানান, চিকিৎসা সেবায় দরিদ্রদের চক্ষু পরীক্ষা এবং চশমা প্রদান করা হয়। এছাড়া চোখের ছানি পড়া রোগীদের বাছাই করে বিনামূল্যে আপারেশন, কৃত্রিম লেন্স সংযোজনসহ ওষুধ প্রদান, হাসপাতালে ভর্তি ও খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, এলাকার অনেক অসহায় ও দরিদ্র মানুষ অর্থাভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে না পেরে নানা রোগে ভুগে থাকে। আর চোখ হচ্ছে মানুষের অমূল্য সম্পদ। তাই সমাজের পিছিয়ে পড়া এসব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরের আয়োজন করেছি। এই কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। এসময় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
Ramgati Kamlnagars khamaris are in a panic over anthrax disease

রামগতি-কমলনগরের খামারিরা অ্যানথ্রাক্স রোগ নিয়ে আতঙ্কে

ছড়িয়ে পড়েছে পক্সভাইরাস রোগ: রয়েছে অ্যানথ্রাক্স নিয়ে
রামগতি-কমলনগরের খামারিরা অ্যানথ্রাক্স রোগ নিয়ে আতঙ্কে

লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৬৩৩টি খামারের ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদিপশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে খামারিরা। এসব গবাদিপশুর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি নামে একটি রোগ। যাকে পক্সভাইরাস বলা হয়। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া অ্যানথ্রাক্স নিয়েও আতঙ্কে রয়েছে এ অঞ্চলের গরুর খামারিরা। গবাদিপশুর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে নেই কোনো উদ্যোগ। এই রোগের জন্য সরকারিভাবে টিকা দেওয়া কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে সম্পূর্ণ উদাসীন। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এসব রোগ সম্পর্কে অবহিত না করে ঘুমিয়ে আছেন। গরুর খামারিদের জনসচেতনতা নিয়ে কোনো সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ খামারিদের।

পশু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগটি গবাদিপশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর মধ্যে যদি অ্যানথ্রাক্স রোগটিও ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এ অঞ্চলে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদিপশু ও সাধারণ মানুষের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তাই শুরুতেই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

পক্সভাইরাস ও অ্যানথ্রাক্স মূলত গবাদিপশুর থেকে ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এই রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে টিকা দেওয়া কথা রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

ইতোমধ্যে অধিকাংশ খামারের গরু-ছাগল ও ভেড়ার মধ্যে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ ছড়িয়ে পড়লেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাউকে পাশে পাচ্ছে না বলে জানান, কয়েকজন খামার মালিক।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, রামগতিতে ১০২টি গরুর খামারে ৬৭ হাজার ২৫১টি গরু, ১৩৯টি ছাগলের খামারে ১৩ হাজার ৩৩৮টি ছাগল, ৫৯টি ভেড়ার খামারে ১০ হাজার ২২৮টি ভেড়া ও ৮ হাজার মহিষসহ মোট ৯৯ হাজার ১০৭টি গবাদিপশু রয়েছে।

কমলনগরে ২৫০টি গরুর খামারে ২০ হাজার ২৩০টি গরু, ৫০টি মহিষের খামারে ৬ হাজার ৫২৫টি মহিষ, ২৫টি ছাগলের খামারে ৪ হাজার ৫৯৮ ছাগল ও ৮টি ভেড়ার খামারে ৪৫৫টি ভেড়াসহ মোট ৩১ হাজার ৮০৮টি গবাদিপশু আছে। দুই উপজেলায় মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদিপশু রয়েছে।

রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মীগ্রামের খামার মালিক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘তার খামারের সব গরুর মধ্যে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ রয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে ফোন দিলে তারা ফোন ধরে না। কোনো খবরও নিচ্ছে না।’

কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও রামগতি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রুবেল সরকার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে গবাদিপশু বা মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স রোগ ধরা পড়লেও আমাদের এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত এই ধরনের রোগের খবর আমরা পাইনি। তবে কয়েকটি গরু-ছাগলের খামারে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ ধরা পড়েছে। আমরা কিছু কিছু খামারের গরুকে টিকা দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সব খামারে টিকা দেওয়া হবে।

মন্তব্য

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
Veteran journalist Sarwar Uddins mourning and prayer ceremony held

প্রবীণ সাংবাদিক সরওয়ার উদ্দিনের শোক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রবীণ সাংবাদিক সরওয়ার উদ্দিনের শোক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য মরহুম সাংবাদিক সরওয়ার উদ্দিন আহমেদর স্মরণে এক শোক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ইউনিয়নের সভাকক্ষে এ শোক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান।

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান মজুমদান নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সারোয়ার উদ্দিন আহম্মদের স্মৃতিচারণ করেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতির সভাপতি, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মোস্তফা নঈম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ টাইমস্ এর ব্যুরো প্রধান সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি সানের সাবেক ব্যুরো প্রধান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সেলিম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি ও আরটিভির ব্যুরো প্রধান গোলাম মওলা মুরাদ, দৈনিক পূর্বদেশের স্পোর্টস এডিটর সাইফুল্লাহ চৌধুরী, এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবুল হাসনাত, দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরো প্রধান নুরুল মোস্তফা কাজী, সাংবাদি ছগির আহমদ, মাহবুবুল মওলা, ইকবাল করিম, দৈনিক বাংলার ব্যুরো প্রধান জামালুদ্দিন হাওলাদার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান ফরহাদী, শহিদুল ইসলাম, এনাম হায়দার, মীম ওসমান গণি, জাহাঙ্গীর আলম ও বজলুর রহমান প্রমুখ। উল্লেখ্য: সাংবাদিক সরওয়ার উদ্দিন আহমেদ গত শনিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ইন্তেকাল করেছেন।

মন্তব্য

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
NCP Sargis Alam can choose from alliance

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারে এনসিপি: সারজিস আলম

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারে এনসিপি: সারজিস আলম

যারা ভারতীয় আধিপত্যের বাইরে থাকবে, তাদের সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের চিন্তা করছে বলে জানিয়েয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

এ সময় তিনি বলেন, এনসিপির শাপলা প্রতীকে আইনি কোনো বাঁধা নেই। তাই আমরা শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করব। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপি যেকোনো এলায়েন্সেও যেতে পারে। তবে এনসিপি নিজের প্রতীকে নির্বাচন করবে।

গত সোমবার রাতে শেরপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও উপজেলা নেতা ও কর্মীদের নিয়ে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজেদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করা। আগামীর রাজনীতির লড়াইয়ের জন্য, গণতান্ত্রিক পথ উত্তরণের জন্য, ফ্যাসিস্টবিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখার জন্য কিংবা নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতি, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সাংগঠনিক কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক জেলায় সমন্বয় সভা করছে এনসিপি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে বিএনপি কখনো এককভাবে সরকার গঠন করেনি, আবার জামায়াতও কখনো বড় পরিসরে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনি। সে জায়গা থেকে আগামী নির্বাচনে কারা সরকার গঠন করবে সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকায় থাকবে এনসিপি। এজন্য আমরা সাংগঠনিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সারাদেশে সমন্বয় সভা করছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের সব ওয়ার্ডে এনসিপির কমিটি থাকবে।

শেরপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এনসিপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলমসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এনসিপি নেতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা ও জুলাই যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
Of the 5 primary schools in Rausan there are no head teachers

রাউজানের ১৮১ প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে ৮১টিতে নেই প্রধান শিক্ষক

উপজেলার ৮টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
রাউজানের ১৮১ প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে ৮১টিতে নেই প্রধান শিক্ষক

বহুমুখী সংকটের মধ্যে সময় পার করছে রাউজানের প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এ উপজেলার ১৮১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮১টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ প্রায় অর্ধশত। চলতি অর্থবছরে আরও অনেক শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে। শিক্ষক সংকটের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংকট রয়েছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়েও। এখানে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার (এটিও) ৮টি পদের মধ্যে আছেন মাত্র ৩ জন। ৫ কর্মচারীর মধ্যে আছেন ৫ জন। রাউজানের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বর্তমান অবস্থার খবর নিতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিগত নাম ব্যবহারের কারণে উপজেলার ৮টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। নানা সমস্যায় থাকা প্রাথমিক শিক্ষার হালচাল দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা কয়েকটি বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকট। শিক্ষার্থীরা পাঠ নিচ্ছে বারান্দায় অথবা বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসে। প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়ে লক্ষ্য করা গেছে, বিশৃঙ্খল পরিবেশ। অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা মানছেন না বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময়সূচি। সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঘরের মূল অভিভাবক না থাকলে যেমন হয় সেই অবস্থায় চলছে প্রধান শিক্ষকবিহীন বিদ্যালয়গুলো। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে এক সহকারীকে দেওয়া হলেও তার পক্ষে অন্য সহকর্মীদের শৃঙ্খলা দেখা সম্ভব হয় না। খবর নিয়ে জানা গেছে, রাউজানে যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় আছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগ নারী শিক্ষক। তাদের প্রায় আশি শতাংশ থাকেন চট্টগ্রাম শহরে। এসব শিক্ষককে সকালে সংসারের কাজ গুছিয়ে বাসা থেকে বের হতে হয়। অনেক সময় রাস্তায় যানজটে পড়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে হয় বিলম্বে। এমন সমস্যার মধ্যে কিছু কিছু বিদ্যালয়ে শিক্ষক উপস্থিতি দেখা যায় ১০টার পর। আরও দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ সংকটে থাকা এমন অন্তত ৩০টি বিদ্যালয়ের পাশে নতুন ভবন নির্মাণকাজ অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কয়েকটির কাজ চালানো হচ্ছে ধীরগতিতে। কাজ বন্ধ হয়ে থাকা নির্মাণাধীন ভবন নিয়ে কথা বললে রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসব ভবন নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছিল। সেই সময় নির্মাণকাজ পেয়েছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠিকাদাররা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তারা কাজ ফেলে এলাকা ছেড়েছেন। এখন তিনি পলাতক ঠিকাদারদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিকল্প ব্যবস্থায় নির্মাণাধীন ভবনসমূহের কাজ শেষ করার ব্যবস্থা নিয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছে। অন্যগুলো দ্রুত শেষ করতে পারবেন বলে তিনি দাবি করেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ ও নিজ কার্যালয়ে জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুন্নবী বলেন, চলতি অর্থবছরে আরও কিছু শিক্ষক অবসরে যাবেন। অতিদ্রুত শূন্যপদে শিক্ষক, কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অবশ্য এ কর্মকর্তা যোগ করেন জনবল নিয়োগ বিলম্ব হলে বিদ্যমান সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষকদের আসা-যাওয়ার নিয়ম না মানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকতায় থাকা বেশির ভাগ শিক্ষক শহরে থাকেন। বিভিন্ন সময় রাস্তায় যানজটে পড়তে হয়। তবে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ে পৌঁছে পাঠদানে অংশ নেন। তিনি আরও বলেন, ৮টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য ও তার পিতা-মাতার নামে নামকরণ করা সাতটিসহ-আটটি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত পেলে কার্যকর হবে।

মন্তব্য

p
উপরে