× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
যেভাবে আম কাঁঠাল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করবেন
google_news print-icon

যেভাবে আম-কাঁঠাল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করবেন

যেভাবে-আম-কাঁঠাল-দীর্ঘদিন-সংরক্ষণ-করবেন
দীর্ঘদিন আম সংরক্ষণ করে রাখা যাবে, সে ক্ষেত্রে মানতে হবে কিছু নিয়ম। ফাইল ছবি
আম ও কাঁঠাল ক্লাইমেকটেরিক ফল হওয়ায় এগুলো বেশি দিন রাখা যায় না। তবে কিছু প্রক্রিয়া অবলম্বন করলে এক মাস পর্যন্ত আম সংরক্ষণ করা সম্ভব। 

কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, আর আমের উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম বাংলাদেশ। তবে এসব ফল নির্দিষ্ট মৌসুমে সীমাবদ্ধ। চাইলেও বেশি দিন তাজা সংরক্ষণ করা যায় না। এতে উৎপাদনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নষ্ট হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর সংরক্ষণকাল ১৫ দিন থেকে এক মাস বাড়িয়ে নেয়া যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেসব ফল বেশি দিন সংক্ষণ করা যায়, যেগুলো গাছ থেকে পাড়ার পর এর অবস্থার পরিবর্তন হয় না। এসব ফল পরিপক্ব হওয়ার পর যে অবস্থায় গাছ থেকে পাড়া হয়, সে অবস্থাতেই থাকে। তবে যেসব ফল গাছ থেকে পাড়ার পর অবস্থার পরিবর্তন ঘটে বা পরিপুষ্ট হওয়ার পর ঘরে রাখলে পেকে যায়, সেসব ফলের সংরক্ষণকাল কম। এর মধ্যে আম-কাঁঠাল অন্যতম।

বিজ্ঞানের ভাষায় বললে, ফল দুই ধরনের। একটি ক্লাইমেকটেরিক ফ্রুট, অপরটি নন-ক্লাইমেকটেরিক ফ্রুট।

ক্লাইমেকটেরিট ফলের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এসব ফল গাছ থেকে বাড়িতে পেড়ে রাখার পরও রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপ চলে। এ ধরনের পরিপক্ক ফল থেকে ইথিলিন উৎপন্ন হয়, যা ফলটিকে আরও পাকিয়ে তোলে। এ ছাড়া ফলের মধ্যে কোষীয় পরিবর্তন ঘটে। আম-কাঁঠাল-পেঁপে-কলা এ ধরনের ফল।

নন-ক্লাইমেকটেরিক ফল থেকে ইথিলিন উৎপন্ন হয় না। ফলে ঘরে রেখে দিলেও পাকে না, মিষ্টিও বাড়ে না। যেমন, আঙ্গুর ও স্ট্রবেরি।

ফল সংরক্ষণের উপায়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমের মতো ফলগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ১৫ থেকে ২০ দিন বা সর্বোচ্চ এক মাস রাখা যায়। সংরক্ষণ সময় বাড়াতে পুরোপুরি পাকার আগে ফল পরিপক্ক হলেই গাছ থেকে পাড়তে হবে। যে স্থানে তা রাখা হবে তা অবশ্যই বাতাস চলাচলের উপযোগী ও শীতল হতে হবে। প্রয়োজনে ইলেকট্রিক ফ্যান ব্যবহার করা যেতে পারে। আর্দ্র আবহাওয়ায় ও বদ্ধ ঘরে আম তাড়াতাড়ি পাকে এবং সহজে পচন ধরে যায়।

যেভাবে আম-কাঁঠাল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করবেন
কাঁঠাল সংরক্ষণে জানতে হবে কিছু বিষয়

তবে একেবারে কম তাপমাত্রায় রাখা যাবে না। কারণ এতে ফলের ওজন কমবে এবং ফল শুকিয়ে যাবে। তাই ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উপযুক্ত।

কাঁঠালের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি প্রযোজ্য।

আবার এ সময় কোনো ফলে পচন দেখা দেয়ামাত্রই আলাদা করে রাখতে হবে, কারণ এর জীবাণু অন্যান্য ফলকে আক্রমণ করে।

তবে বাড়িতে রাখতে গেলে আস্ত আম প্রথমে কাগজের ব্যাগে ভরে নিতে হবে। পরে কাগজের ব্যাগটি একটি কাপড়ের ব্যাগে ভরে মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। তৃতীয় ধাপে ব্যাগটি অন্য একটি পলিথিন ব্যাগে রাখতে হবে। এরপর ব্যাগটি রেখে দিতে হবে ডিপ ফ্রিজে।

এতে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে আম।

কাঁঠালের ক্ষেত্রে কোষগুলো আলাদা করে অল্প সময়ের জন্য হলে ফ্রিজের নরমাল অংশে এবং বেশি দিনের জন্য হলে ডিপে সংরক্ষণ করতে হবে।

গরম পানিতে আম শোধন

গরম পানিতে আম শোধন করলে আমের সংরক্ষণক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি আমের মধ্যে থাকা দূষিত পদার্থ এবং রোগবালাইও দূর হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) গরম পানিতে আম শোধনের (হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট) এমন যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে। বিদ্যুচ্চালিত এই যন্ত্রে ৫৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার পানির ভেতরে পাঁচ মিনিট আম রাখলে তা পরিশোধিত হয়। বিদ্যুচ্চালিত এ যন্ত্রের এক প্রান্তে গরম পানির মধ্যে প্লাস্টিকের আমভর্তি ঝুড়ি চুবিয়ে দেয়া হয়। এটি অন্য প্রান্তে যেতে পাঁচ মিনিট সময় লাগে। পরে আমগুলো থেকে পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) গবেষকরা বলছেন, দেশে গাছ থেকে আম পাড়ার পদ্ধতি অবৈজ্ঞানিক। আম পাড়ার পর আমের বোঁটা থেকে নির্গত রসে ম্যালিক অ্যাসিড থাকে। এই অ্যাসিড আমের পচন ত্বরান্বিত করে। এ রোগকে বোঁটা পচা রোগ বা অ্যানথ্রাক নোজ বলে। এ ছাড়া আমে মাছি পোকার (ফ্রুটফ্লাই) আক্রমণ হয়ে থাকলে ওই পোকার ডিমও সেখানে থাকতে পারে। সেই ডিম কয়েক দিনের ব্যবধানে পোকায় পরিণত হয়। গরম পানিতে শোধন করলে সেই ডিম নষ্ট হয়ে যায়, আমের সংরক্ষণক্ষমতাও বাড়ে। বাড়িতেও একই তাপমাত্রাায় আম শোধণ করে সংরক্ষণ করা যায়।

বারির উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ফল) বাবুল চন্দ্র সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, উচ্চ ইথিলিন উৎপন্ন হয় এমন ফল বেশিদিন থাকে না। তাই বৈজ্ঞানিক ভাবেই আম-কাঁঠাল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বেশি দিন তাজা রাখা যায় না। বেশি দিন কম তাপমাত্রায় রাখলেও পচন ধরে। ঠান্ডাজনিত ক্ষত হয়ে যায়। স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তাই বিশ্বের কোথাও এসব ফল এক মাসরে বেশি রাখা যায় না।

তিনি বলেন, ‘কোল্ড স্টোরেজের মাধ্যমে কিছুদিন সংরক্ষণ করা যায়। ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে এবং আর্দ্রতা ৯২ থেকে ৯৫ শতাংশ রাখা গেলে আম-কাঁঠাল সর্বোচ্চ এক মাস রাখা যাবে। ট্রান্সপোর্টেশনের জন্য বা রপ্তানি করার জন্য এ পদ্ধতি ব্যবহার করা সম্ভব। তবে এর বেশি হলেই ফল নষ্ট হয়ে যাবে বা গুণগত মান আর থাকবে না। আবার আমের ক্ষেত্রে হট ওয়াটার ট্রিটমেন্টও ব্যবহার করা যায়।’

তিনি বলেন ‘তবে বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থায়। যেমন কাঁঠাল পুরোপুরি পাকার আগে একটু শক্ত থাকতে কোয়া খুলে তা একই তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। আবার আমের ক্ষেত্রে পাল্প করে রাখা যায়। পাকা আম ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিয়ে লম্বাভাবে টুকরো করে কাটতে হবে। এই আমের টুকরোগুলো ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। বড় বড় কোম্পানি বাণিজ্যিকভাবে আমের পাল্প সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করছে। আম-কাঁঠাল থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারও তৈরি করা যায়। তবে সবচেয়ে ভাল বিকল্প হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের জাত উদ্ভাবন, যাতে সারা বছর ফলন পাওয়া যায়।’

আম-কাঁঠালের অবস্থা

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য বলছে, ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে সাড়ে ১২ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বাড়ছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশ কাঁঠাল উৎপাদনে সারা বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম ও পেয়ারায় অষ্টম। মৌসুমি ফল উৎপাদনে বাংলাদেশ ১০ নম্বর স্থান দখল করেছে। এখন দেশে ৭২টিরও বেশি দেশি-বিদেশি ফল চাষ হচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে দেশে প্রায় ২৪ লাখ টন আম উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে ৯ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কাঁঠালের বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ ১০ লাখ টন। সংরক্ষণ সময় স্বল্পতা ও নানা কারণে মোট উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়।

আমের সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়াতে প্রকল্প

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বলছে, প্রচুর আম উৎপাদন হলেও রপ্তানিতে অবদান সামান্য – বছরে মাত্র এক হাজার টনের মতো। বিদেশে চাহিদা থাকার পরও কম সংরক্ষণ সময়ের কারণে কাঙ্খিত হারে আম রপ্তানি করা যাচ্ছে না। তাই গরম পানিতে শোধনের মাধ্যমে আমের সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে তা রপ্তানি উপযোগী করার প্রকল্প নিচ্ছে সরকার।

‘ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে আমের রপ্তানি বাজার সম্পসারণ’ নামে একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার ৮০০ জন কৃষক, উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী ও প্রক্রিয়াজাতকারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। গরম পানিতে শোধন করলে আমের সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়বে এবং আমে থাকা রোগ-বালাই ও জীবাণুও নষ্ট হবে। একই সঙ্গে সংরক্ষণ ব্যবস্থাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হবে, যা আমের রপ্তানি উপযোগিতা বাড়বে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আম উৎপাদন এলাকায় বড় পরিসরে ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। একই ধরনের ভিএইচটি স্থাপন করতে চায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), বিএডিসি, ডিএইসহ কয়েকটি সংস্থা।

আরও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০০ জাতের আমের তথ্য নিয়ে বই
নওগাঁর আম গেল ইংল্যান্ড
হাঁড়িভাঙ্গা আমের জন্য অ্যাপ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
Former President Abdul Hamids departure Investigation Committee Formation

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: তদন্ত কমিটি গঠন

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: তদন্ত কমিটি গঠন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে (প্রশাসন) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) এই কমিটি গঠন করা হয় বলে জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল হোসেন।

হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এছাড়া এই ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) তাহসিনা আরিফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আজহারুল ইসলাম ও এসবির এটিএসআই মো. সোলায়মাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এর আগে সকালেই খবর ছড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুইবার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদ বুধবার শেষ রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেছেন বলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আব্দুল হামিদকেও আসামি করা হয়েছে।

মন্তব্য

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
International Crimes Tribunal 2 formation

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করেছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রাপ্ত অভিযোগ ও অভিযুক্তের সংখ্যা, দ্রুত বিচার-নিষ্পত্তির প্রয়োজন, কাজের চাপ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালটি গঠন করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের সদস্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মঞ্জুরুল বাছিদ এবং মাদারীপুরের জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের প্রাপ্য বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।

এছাড়া প্রজ্ঞাপনে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্তব্য

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
Indo Pakistan Tension Warning BGB on the 5 km border of Jessore

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: যশোরের ৭০ কিলোমিটার সীমান্তে সতর্ক বিজিবি

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: যশোরের ৭০ কিলোমিটার সীমান্তে সতর্ক বিজিবি

ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতকে ঘিরে যশোরের ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। তবে বিজিবি টহল জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোয় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

বিজিবির দেওয়া তথ্যমতে, যশোরে ৭০ কিলোমিটার এই সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সাতক্ষীরার ৭০ ব্যাটালিয়ন রয়েছে। সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নীরব নজরদারির সঙ্গে বিজিবি জোরদার করেছে টহল। এলাকাবাসীও সীমান্তের দিকে নজর রাখছেন।

সীমান্তবাসী আল মামুন জানিয়েছেন, এখনও যশোর সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিএসএফের অপতৎপরতায় কোনো প্রকার অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান বিজিবির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিহত করতে প্রস্তুত এলাকাবাসী।

সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের থাকলেও এই সীমান্ত এখন স্বাভাবিক। তবে আগে ৫০০ গজ অন্তর একজন বিএসএফ সদস্য দায়িত্ব পালন করলেও এখন ৩০০ গজ অন্তর দেখতে পাওয়া গেছে। এটা কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে। যদি বিএসএফ কোনোরকম তৎপরতা দেখায়, তাহলে বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।’

৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, সীমান্তে বিজিবিকে কঠোর আবস্থানে রাখা হয়েছে।

নিরাপওা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভারত থেকে যাতে কোনো অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সেজন্য বিজিবিও টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

মন্তব্য

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
Ambulance passenger killed in a bus collision on Mawa Expressway

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের ধাক্কায় অ্যাম্বুলেন্স আরোহীসহ নিহত ৫

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের ধাক্কায় অ্যাম্বুলেন্স আরোহীসহ নিহত ৫

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে থেমে থাকা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নারীসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। হতাহতের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নীমতলি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— আব্দুস সামাদ ফকির, তার ছেলে বিল্লাহ ফকির, মেয়ে আফসানা ও এ্যাম্বুলেন্স চালক। অপরজনের নাম জানা যায়নি।

আহতরা জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলার মিঠাপুকুর এলাকায়। বিল্লাল ফকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) অন্তঃসত্ত্বা। চলতি মাসের ২৩ তারিখ তার বাচ্চা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ রয়েছে। তবে গতরাত থেকে তার ব্যাথা হচ্ছিল। এজন্য সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাতে পরিবারটির ১০ জন মিলে ঢাকার পথে আসছিলেন। ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কথা ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা দেওয়ার পর এক্সপ্রেসওয়ের নীমতলি এলাকায় আসার পর সেটির চাকা ব্লাস্ট হয়ে যায়। এরপর রাস্তার ডান পাশে চাপিয়ে সেটির চাকা মেরামত করছিলেন চালক। আর তারা কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে বসে ছিলেন, আর কয়েকজন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। মেরামত প্রায় শেষের দিকে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস পিছন থেকে এসে সজোরে অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা দেয়।

এদিকে, গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসটির হেল্পার সাইফুল ইসলাম শান্ত জানান, তারা কুষ্টিয়া থেকে যাত্রীবোঝাই বাসটি নিয়ে আসতেছিলেন ঢাকার আব্দুল্লাহপুর এলাকায়। নীমতলি এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের ডান পাশের লেনে দাঁড় করানো ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। তখন দ্রুতগতির বাসটি চালক ফয়সাল (৪০) ব্রেক করেও থামাতে পারেনি। সজোরে গিয়ে ধাক্কা লাগে থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের পিছনে।

এদিকে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, মাওয়ার নিমতলা এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। আর আহতদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল পাঠান হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে কেউ মারা গিয়েছে কিনা সেটি তার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। ঘটনাস্থলে যেই নারী নিহত হয়েছেন তার লাশ পুলিশ হেফাজতে আছে। বাস, অ্যাম্বুলেন্স দুটিই জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
Evyzing Three of the three murder cases are the death sentence of three people

ইভটিজিং: তিন হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ডের রায়

ইভটিজিং: তিন হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ডের রায়

ইভটিজিংয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় তিন জনকে হত্যার মামলায় তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মাসুদ করিম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো—রাকিবুল হাসান সৌরভ ওরফে সৌরভ প্রধান, শিহাব প্রধান এবং রনি বেপারী। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—শাকিব প্রধান, শামীম প্রধান, অনিক বেপারী, রায়হান এবং জাহাংগীর ওরফে ছোট জাহাঙ্গীর।

তাদেরকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর বিল্লাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।ৎ

এক মেয়েকে ইভটিজিং করা নিয়ে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ উত্তর ইসলামপুর এলাকায় আওলাদ হোসেন মিন্টুর বাড়ির সামনে অভি, ইমনসহ অন্যদের নিয়ে সালিশ হয়। সেখানে তাদের ইভটিজিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

পরে উভয় পক্ষের মধ্যে আপস করে দেয়া হয়। তবে, এর কিছু সময় পর অভির নেতৃত্বে কয়েকজন ইমন, শাকিব ও আলফাজের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় ইমন বাঁশ দিয়ে অভিকে আঘাত করতে গেলে তা গিয়ে লাগে সৌরভের গায়ে। সৌরভের সাথে ইমন ও শাকিবের হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনায় সৌরভের বাবা জামাল হোসেন আওলাদ হোসেনের কাছে তাৎক্ষণিক বিচার দাবি করে। পরে রাত ১১টার দিকে আবার সালিশে বসেন তারা।

এ সময় জামাল হোসেনের লোকজন আওলাদ হোসেন, আফজাল হক, ইমন, শাকিবদের ওপর হামলা করে। অভি ও শিহাব ইমনকে, রনি আওলাদ হোসেনকে এবং শিহাব শাকিবকে ছুরিকাঘাত করে। তাদের চিৎকারে লোকজন এলে জামালদের লোকজন পালিয়ে যায়। আহত তিন জনকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য অপর দুই জনকে নেওয়ার পথে শাকিব মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আওলাদ হোসেন ২৫ মার্চ মারা যান। এ ঘটনায় ২৬ মার্চ আওলাদ হোসেনের স্ত্রী খালেদা আক্তার মুন্সীগঞ্জ থানায় ১২ জনের নামে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে মুন্সীগঞ্জ সিআইডির ইন্সপেক্টর আসলাম আলী অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মন্তব্য

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
and 1 million will invest in Laldia Bida Chairman

লালদিয়ায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে: বিডা চেয়ারম্যান

লালদিয়ায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে: বিডা চেয়ারম্যান

লালদিয়ার চরে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনালে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বার্ষিক এফডিআই ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি নয়। একটি প্রকল্প থেকেই যদি ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আসে, তবে তা আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। বিডা’র পক্ষ থেকে আমরা এই প্রকল্পের অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া চর ও বে টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।

এরপর তিনি চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা রাজনৈতিক রাজধানী আর চট্টগ্রাম হবে আমাদের বাণিজ্যিক রাজধানী। বাংলাদেশের যে সম্পূর্ণ উন্নয়ন লক্ষ্যের দিকে আমরা এগুচ্ছি, তার মূল অংশ চট্টগ্রাম। অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য চট্টগ্রাম একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।’

তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- দেশের মানুষের জন্য, বিশেষ করে চট্টগ্রামের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা। অর্থনৈতিক উন্নয়ন সব সরকারের প্রথম এজেন্ডা দেওয়া উচিত আর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এসব টার্মিনালকে আমরা যত বেশি বিশ্বমানের করতে পারব, তত বেশি ব্যবসার জন্য কন্ট্রিবিউশন করা যাবে।

লালদিয়ার চরে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আসবে এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখানে কোনো বিনিয়োগ করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস তৈরির সুযোগ আছে। বাংলাদেশকে ম্যানুফেকচারিং হাব করা সরকারের লক্ষ্য। লালদিয়া গ্রিন পোর্ট হবে। ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। বিষয়টি আমরা খুবই সিরিয়াসলি ট্র্যাক করার চেষ্টা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। পোর্ট ক্যাপাসিটি এখন লিমিটেড। ছয় গুণ করার পরও আমরা ভিয়েতনামের ধারে কাছেও যাব না। তাই এক্সপার্ট প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে হবে, যাতে কম জায়গায় বেশি অপারেশন করা যায়। বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বন্দরসমূহের উন্নয়ন জরুরি। এজন্য বিশ্বসেরা বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমাদের কাজ করতে হবে।’

বিডা চেয়ারম্যান জানান, দেশে একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সম্ভাব্য স্থান হিসেবে আনোয়ারা পরিদর্শন করা হয়েছে।

২০২৪ সালে লালদিয়া টার্মিনালে কার্যক্রম শুরু করে এপিএম টার্মিনালস। শুরুতে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা থাকলেও আজ বেজা চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে ৮০০ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে।

এপি মোলার মায়ের্স্ক-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ও সরকার-থেকে-সরকার ভিত্তিতে বিওটি (বিল্ড-অপারেট-ট্রান্সফার) পদ্ধতিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

মন্তব্য

ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল
BSF pushed 4 Indians in Khagrachari

খাগড়াছড়িতে ৮১ ভারতীয়কে পুশ-ইন করল বিএসএফ

খাগড়াছড়িতে ৮১ ভারতীয়কে পুশ-ইন করল বিএসএফ

খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৮১ জন ভারতীয় নাগরিককে ঠেলে দিয়েছে (পুশ-ইন) ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ( বিএসএফ)। বুধবার (৭ মে) জেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার মাটিরাঙ্গার শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন, পানছড়ি উপজেলার রুপসেন পাড়া সীমান্ত দিয়ে ৩০ জন, তাইন্দংয়ের আচালং বিটিলা বিওপি সীমান্ত দিয়ে ২৩ জন, রামগড় সীমান্ত দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ১ জনসহ মোট ৮১ জন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।

তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। জানা যায়, খাগড়াছড়ির পানছড়ি সীমান্তে আসা ৩০ জনকে বুধবার রাত ৮টা নাগাদ পানছড়ির লোগাং বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। মাটিরাঙ্গায় অনুপ্রবেশকারীদের বিভিন্ন বিওপিতে বিজিবি নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এদিকে, খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা, পানছড়িসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় মুসলিম নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ ইনের ঘটনায় সীমান্তজুড়ে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িতে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছেন। দেশের সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবিকে সর্তক পাহারায় রাখা হয়েছে। টহল জোরদারের পাশাপাশি বিজিবিকে সহায়তা করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিকের অনুপ্রবেশের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা।

তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশ করা সবাইকে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা হেফাজতে রেখেছে বিজিবি। মানবিক সহযোগিতা বিবেচনায় তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। তাদের সব ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’

বুধবার (৭ মে) ভোর রাতে ভারতীয় এ নাগরিকদের সীমান্ত পার করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে বাধ্য করে বিএসএফ। জানা গেছে, ভারতের গুজরাট থেকে প্রায় সাড়ে চার শত জনকে আটক করে দুটি বিমানে তাদের ত্রিপুরায় নিয়ে আসা হয়। পরে বিএসএফের তত্ত্বাবধায়নে গাড়িতে করে পুশ ইনের জন্য বিভিন্ন সীমান্তে জড়ো করা হয় তাদের।

অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্তে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

মন্তব্য

p
উপরে