লবণে আয়োডিন না মেশালে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ বিল-২০২১’ পাস হয়েছে। এ আইন অমান্যকারীদের সর্বোচ্চ ৩ বছর জেল ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সোমবার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিলটি পাসের সুপারিশ করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
১৯৮৯ সালের ‘আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন’ রহিত করে নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছিল।
বিলে মানুষের জন্য ভোজ্য লবণ এবং প্রাণিখাদ্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত লবণে আয়োডিন না থাকলে সর্বোচ্চ তিন বছর জেল এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। খুচরা লবণ বিক্রেতারা এই অপরাধে দণ্ডিত হবেন না।
বিলে বলা হয়, লবণ আমদানি, উৎপাদন, গুদামজাত, ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন করতে চাইলে এ আইনের অধীনে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন না করলে ২ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
প্যাকেট বা লেবেলহীন ভোজ্য বা অভোজ্য লবণ বিক্রি করলে ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে বিলে।
এতে আরও বলা হয়, একটি জাতীয় লবণ কমিটি থাকবে। কমিটি লবণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুত, বিক্রয়, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, লবণ কারখানার জন্য আয়োডিন সরবরাহ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা নীতির বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে।
১৪ সদস্যের জাতীয় লবণ কমিটিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব সভাপতি ও বিসিক চেয়ারম্যান সদস্যসচিব হবেন। কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেল কার্যক্রমগুলো নজরদারি করবে।
বিলে বলা হয়, জাতীয় মানমাত্রা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ থেকে ৫০ পিপিএম এবং খুচরা পর্যায়ে ২০ থেকে ৫০ পিপিএম মাত্রার আয়োডিন থাকতে হবে।
সরকার জাতীয় লবণ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লবণ পরিশোধনাগার আয়োডিনযুক্তকারী কারখানার জন্য আয়োডিনের সরবরাহ নিশ্চিত করবে। সরকার প্রয়োজনে লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট করতে পারবে।
লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়, ভোজ্য লবণে আয়োডিনযুক্তকরণ এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণিখাদ্য তৈরিতে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের আয়োডিনযুক্ত লবণ খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বিদ্যমান আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন-১৯৮৯ রহিতক্রমে প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক যুগোপযোগী করে লবণ বিল-২০২১ সংসদে উত্থাপন করা হলো।
আরও পড়ুন:জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বিশেষ এই কর্মসূচির বিস্তারিত জানানো হয়।
গত ১৯ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করতে আগামী ১ জুলাই থেকে বিশেষ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। কিন্তু মূল ইভেন্ট শুরু হবে জুলাইয়ের ১৪ তারিখ থেকে। এটি চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য— জুলাইয়ে যে রকম পুরো বাংলাদেশ এক হয়েছিল, আবার সে অনুভূতিটাকে ফিরিয়ে আনা।’
অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত কর্মসূচি-
১ জুলাই
মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে শহীদদের স্মরণে এদিন দোয়া ও প্রার্থনা। জুলাই ক্যালেন্ডার দেওয়া হবে। জুলাই হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির শুরু হবে; যা চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। জুলাই শহীদ স্মরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবৃত্তি চালু হবে।
৫ জুলাই
বিভিন্ন সময়ে অবৈধ আওয়ামী সরকারের জুলুম নির্যাতন প্রচারে ৫ জুলাই দেশব্যাপী পোস্টারিং কর্মসূচি চালু।
৭ জুলাই
৭ জুলাই Julyforever.org নামক একটি ওয়েবসাইট চালু।
১৪ জুলাই ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’
১৪ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার, একজন শহীদ পরিবারের সাক্ষ্য; যা চলবে ৩৬ জুলাই পর্যন্ত। জুলাই নারী দিবস হিসেবে এই দিনটিকে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিন প্রত্যেক জেলায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন। শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ৬৪টি জেলায় ও দেশের প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাইয়ের ভিডিও প্রদর্শন। টিএসসিতে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, প্রজেকশন ম্যাপিং ও জুলাইয়ের গান এবং ড্রোন শো।
১৫ জুলাই ‘আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া’
১৫ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। জুলাইয়ের স্মৃতিচারণ। ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও জুলাইয়ের গান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলইডি ওয়াল ইনস্টলেশন। প্রজেকশন ম্যাপিং। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন।
১৬ জুলাই ‘কথা ক’
১৬ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে তিনটি বিভাগীয় শহরে ‘ভিআর শো’ প্রদর্শন। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণ অনুষ্ঠান। জুলাইয়ের গান এবং ড্রোন শো প্রদর্শন। চট্টগ্রামে জুলাইয়ের গান এবং ড্রোন শো প্রদর্শন।
১৭ জুলাই ‘শিকল-পরা ছল’
১৭ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। প্রতীকী কফিন মিছিল। দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই স্মরণ’ অনুষ্ঠান। বিভিন্ন প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ১৭ জুলাইয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা অনুষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী।
১৮ জুলাই ‘আওয়াজ উডা’
১৮ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। ১ মিনিটের প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, জুলাইয়ের গান, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও ড্রোন শো, ঢাকার বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘জুলাই স্মরণ’ অনুষ্ঠান। ট্র্যাশন শো ও ম্যারাথন।
১৯ জুলাই ‘কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা’
১৯ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। শহীদদের স্মরণে সমাবেশ-১ নরসিংদী, সাভার। ঢাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শন। এইদিনটিকে গণহত্যা ও ছাত্রজনতার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০ জুলাই ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’
২০ জুলাইয়ের স্মরণ ভিডিও শেয়ার। ঢাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শন। শহীদদের স্মরণে সমাবেশ-২ (স্থান—বসিলা, মিরপুর ১০)।
২১ জুলাই ‘রক্ত গরম মাথা ঠাণ্ডা’
২১ জুলাইয়ের স্মরণ ভিডিও শেয়ার। ঢাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে সব মাদ্রাসায় জুলাইয়ের স্মরণে অনুষ্ঠান। শহীদদের স্মরণে সমাবেশ-৩ (স্থান-যাত্রাবাড়ি)।
২২ জুলাই ‘আভাস’
২২ জুলাইয়ের স্মরণে ভিডিও শেয়ার। জাহাঙ্গীরনগরে ‘অদম্য-২৪’ স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন। জুলাইয়ের পঙ্ক্তিমালা। রাজু ভাস্কর্যের সামনে জুলাইয়ের কবিতা পাঠ করবেন কবিগণ।
২৩ জুলাই ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’
২৩ জুলাইয়ের স্মরণ ভিডিও শেয়ার। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সংযুক্ত করে অনুষ্ঠান। বৈশ্বিক সংহতি: জুলাই আন্দোলনে বিদেশি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের মধ্যে যারা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের নিয়ে অনলাইন ও অফলাইন আয়োজন। দূতাবাসগুলোতে জুলাইয়ের কিছু নির্বাচিত ছবি ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচি। জুলাই গ্রাফিতি প্রদর্শনী।
২৪ জুলাই ‘কি করেছে তোমার বাবা’
২৪ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার শিশু শহীদদের স্মরণে দেশব্যাপী কর্মসূচি, দেশব্যাপী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘২৪-এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন’ প্রতিযোগিতা, নারায়ণগঞ্জে শিশু শহীদ রিয়া গোপের স্মরণে অনুষ্ঠান, শিশু শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠান, জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও গান, শিশু অ্যাকাডেমিতে জুলাইয়ের শিশু শহীদদের থিম করে একটি আইকনিক ভাস্কর্য স্থাপন, শিশুদের জন্য জুলাই আন্দোলনকে উপজীব্য করে গ্রাফিক নভেল প্রকাশ। এই দিনটি আয়োজন করা হয়েছে শিশু শহীদদের স্মরণে
২৫ জুলাই ‘চলো ভুলে যাই’
২৫ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। মঞ্চে বিপ্লব: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট নাট্যমঞ্চ প্রস্তুত করে নাটক দেখানো হবে।
২৬ জুলাই ‘পলাশীর প্রান্তর’
২৬ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের জমায়েত ও অনুষ্ঠান। মাদ্রাসার ভূমিকা নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। জুলাইয়ের র্যাপ গানের অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমিতে জুলাইয়ের প্রকাশিত বই নিয়ে বইমেলা।
২৭ জুলাই ‘ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর গান’
২৭ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক সংলাপ। কালচারাল প্যারাডাইম শিফট তথ্যচিত্র ও বৌদ্ধ পূর্ণিমা নিয়ে ভিডিওচিত্র প্রচার।
২৮ জুলাই ‘চলো ভুলে যাই’
২৮ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। প্রধান উপদেষ্টার একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। জুলাইয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুষ্ঠান। ‘মনসুন আর্কাইভ’র প্রকাশ। ‘চিকিৎসা নেই, লাশ নেই’ শীর্ষক তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনী। সারা দেশে রক্তদান ও মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন।
২৯ জুলাই ‘বাংলা মা’
২৯ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। জুলাই অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক বুদ্ধিবৃত্তিক প্যানেল ডিসকাশন। গাজীপুরে অথবা সাভারে শ্রমিকদের সমাবেশ।
৩০ জুলাই ‘চল চল চল’
৩০ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। অনলাইনে জুলাই স্মরণ। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখা সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান। জুলাই অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক বুদ্ধিবৃত্তিক প্যানেল ডিসকাশন।
৩১ জুলাই ‘কাণ্ডারি হুঁশিয়ার’
৩১ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। দেশব্যাপী সব কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির স্মরণে অনুষ্ঠান।
৩২ জুলাই (আগস্ট ১) ‘গণজোয়ার’
৩২ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। ৬৪টি জেলায় জুলাই নিয়ে বানানো তথ্যচিত্র প্রদর্শন। সব বাংলাদেশি দূতাবাসে জুলাই নিয়ে বানানো নির্বাচিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। ‘২৪ জুলাই ফটোগ্রাফারের চোখ দিয়ে’ কফি টেবিল বুক প্রকাশনা। জুলাই হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির সমাপ্তি।
৩৩ জুলাই (আগস্ট ২) ‘আমি বাংলায় গান গাই’
৩৩ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। বাংলাদেশের সব জেলার ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, প্রজেকশন ম্যাপিং।
৩৪ জুলাই (আগস্ট ৩) ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’
৩৪ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। শাহবাগ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত শোভাযাত্রা। রিকশায় জুলাইয়ের গ্রাফিতি অঙ্কন ও রিকশা মিছিল। ৬৪টি জেলায় জুলাই নিয়ে বানানো তথ্যচিত্র প্রদর্শনী।
৩৫ জুলাই ( আগস্ট ৪ ) ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’
৩৫ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। সারা দেশে জুলাই যোদ্ধাদের সমাগম, জুলাইয়ের কার্টুনের প্রদর্শনী। ৬৪টি জেলায় ‘স্পটলাইট অন জুলাই হিরোজ’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী।
৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ‘শোনো মহাজন’
৩৬ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। ৬৪ জেলার কেন্দ্রে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ। শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, শহীদদের জন্য প্রার্থনা, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে বিজয় মিছিল, এয়ার শো। গানের অনুষ্ঠান, ‘জুলাইয়ের ৩৬ দিন’সহ জুলাইয়ের অন্যান্য ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, ড্রোন শো এবং র্যাপের সঙ্গে বচসা।
আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টায় ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২৫’ এবং ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৫’ উদ্বোধন করবেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় পরিবেশ পদক এবং বৃক্ষরোপণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করবেন।
এছাড়াও তিনি সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগীদের মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করবেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে আগামী ২৫ জুন থেকে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলা শুরু হচ্ছে।
তিনি জানান, পরিবেশ মেলা চলবে ২৫ থেকে ২৭ জুন এবং বৃক্ষমেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এ বছরের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’ এবং বৃক্ষরোপণ অভিযানের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’।
উপদেষ্টা বলেন, এ উপলক্ষ্যে জেলা-উপজেলা এবং ঢাকা মহানগরের ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, স্লোগান প্রতিযোগিতা, সেমিনার ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের আয়োজন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বৃক্ষমেলা এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ করা হবে। জনসচেতনতা বাড়াতে মোবাইলে এসএমএস প্রচারণা, ব্যানার স্থাপন ও জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় ১৯৯৫-৯৬ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ-বছর পর্যন্ত ৪ লাখ ২৬ হাজার ৮৪২ হেক্টর ব্লক বাগান, ৭২ হাজার ৫৮১ কিমি স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং ২০ কোটি ৬২ লাখ চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়েছে। সামাজিক বনায়নের ২ লাখ ৫০ হাজার উপকার ভোগীর মধ্যে ৫০৫ কোটি টাকা লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া হাতি, শকুন, শাপলা পাতা মাছ, পরিযায়ী পাখি, হাঙর, ডলফিন, ঘড়িয়াল সংরক্ষণ কার্যক্রম চালু আছে। হালনাগাদ করা হয়েছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, বাতিল করা হয়েছে মৌলভীবাজারের লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক প্রকল্প এবং পূর্বাচল এলাকাকে জীববৈচিত্র্য অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের ১৮ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে হাসপাতালটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। বিশেষ করে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও চিকিৎসকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া পানি সরবরাহ বন্ধসহ হিমায়িত ভ্যাকসিন ও ওষুধ সংরক্ষণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে বিদ্যুৎ কর্মীরা এসে হাসপাতালের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
জানা যায়, পিডিবির ভৈরব বিদ্যুৎ বিক্রি ও বিতরণ কেন্দ্রের আওতায় ১০০ শয্যার ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। হাসপাতালের পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় অর্থ সংকটের কারণে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগ দফায় দফায় বকেয়া বিল পরিশোধ করতে নোটিশ দিলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধে ব্যর্থ হন। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
ভৈরব বিদ্যুৎ বিক্রি ও বিতরণ কেন্দ্রের সহকারি প্রকৌশলী মো.শামসুল আলম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় বকেয়া বিল প্রদানের নোটিশ দেয়া হলেও তারা বিল পরিশোধ করছে না। সেজন্যই আজকে সকালে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি মহোদয়ের বিল প্রদানের আশ্বাসে পুর্নরায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.আব্দুল করিম বলেন, কোন ধরণের নোটিশ ছাড়াই আজ সকাল ৯ টায় বিল বকেয়া থাকায় হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শতাধিক রোগী। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় হাসপাতালের সকল কার্যক্রম ব্যাহৃত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও বরাদ্দ আসে ৫০ শয্যার শয্যার । কিন্তু বিদ্যুৎ বিল আসে ১০০ শয্যার । ফলে আর্থিক সংকট দেখা দেয়। এ কারণে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যুতের বিল দেয়া যাচ্ছে না। আজকে হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়টি ডিজি মহোদয়কে অবগত করা হলে তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কথা বলে পুর্নরায় সংযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকার ২৪ মামলা ও ৫ গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ইব্রাহিম হোসেন ডলারকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটকৃত ডলার ষষ্টিতলাপাড়ার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
গতকাল (২৩ জুন) রাতে রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, বিভিন্ন থানায় ১টি খুন, ৬টি অস্ত্র, ৬টি বিস্ফোরক, ৮টি মাদক, ২টি দ্রুত বিচারসহ ২৪টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া ৫ টি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।
সে এলাকায় সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল, এসংক্রান্তে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে ডিবি পুলিশ।
কক্সবাজারের উখিয়ায় বসত ঘরে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় গৃহকর্তা নিহত এবং নিহতের এক ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এসময় ডাকাতরা বাড়ী থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে বলে দাবি ভূক্তভোগীদের।
সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নূরারডেইল পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত নুরুল আমিন ওরফে বাবুল (৪০) একই এলাকার মৃত ইসহাক আহমদের ছেলে। ঘটনায় আহত হয়েছে মোহাম্মদ হাসান (৩৫)। তিনি নিহতের ছোট ভাই।
নিহতের স্ত্রী আছিয়া খাতুন বলেন, সন্ধ্যায় বাড়ীতে স্বামী নুরুল আমিন সহ পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে মিলে নিজের বরজ থেকে তুলে আনা পান গোজগাজ ( বিড়া ) করছিল। তিনি কাজের প্রায় শেষ পর্যায়ে স্বামীকে বাজার মাছ কিনে আনার কথা জানান। পরে ছোট ভাই মোহাম্মদ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তার স্বামী স্থানীয় স্টেশনে মাছ কিনতে বের হন। তারা মাছ কিনতে বের হবার ২০/২৫ মিনিট পরই মুখোশ পরিহিত ১০/১২ জনের একদল বাড়ীতে হানা দেয়।
এসময় ডাকাতদের হাতে দেশিয় তৈরী লম্বা বন্দুক, লম্বা কিরিচ ও ছোরা ছিল। বাড়ীতে ঢুকেই বাড়ীর লোকজনকে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে। পরে মারধরের এক পর্যায়ে আমার ও মেয়ের পরিহিতসহ বাড়ীতে থাকা স্বর্ণালংকার এবং কোরবানির সময় গরু বিক্রি বাবদ নগদ ২ লাখ টাকা লুটে করা হয়।
ভূক্তভোগী এ গৃহকর্ত্রী বলেন, চলে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আমার স্বামী ও দেবর ডাকাতদলে সম্মুখে পড়েন। দেখা মাত্রই তাদের লক্ষ্য করে ডাকাতরা গুলি ছুঁড়ে। পরে কুপিয়ে তাদের ফেলে রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় হাসপাতালে আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার তরুণী মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করে আছিয়া খাতুন জানান, ডাকাতরা চলে যাওয়ার তার মেয়েকে বাড়ীর পাশের ছড়া পর্যন্ত তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরে ডাকাতদলের সদস্যদের হাতে-পায়ে ধরে অনেক কাকুতি-মিনতি করার পর মেয়েকে ছেড়ে দিয়েছে।
ঘটনার ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন জানান, সন্ধ্যার পরে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তার আগেই আহত দুই ভাইকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি ডাকাতি নাকি পূর্ব শত্রুতার জেরে সংঘটিত হয়ে তা নিশ্চিত নন অবহিত করে তিনি বলেন, বাড়ী ফেরার সময় পথেই দুই ভাই দূর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন। তাই ডাকাতি নাকি অন্য কোন বিরোধের জেরে ঘটেছে রহস্য উদঘাটনে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।
আরিফ হোছাইন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।
এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।
এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু
কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের ১নং প্লাটফর্মে সন্দেহজনকভাবে মো.শামীম (২২) নামের এক যুবককে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে তার কোমরে মিললো ১ টি লোহার তৈরি পিস্তল। তাছাড়াও তার কাছ থেকে একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের ২নং প্লাটফর্মে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
আটকৃত আসামী কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার ভাটি ঘাগড়া এলাকার মো.আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ শামীম মিয়া (২২)।
রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী ‘এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি স্টেশনে থামলে ২নং প্লাটফর্মে শামীম নামের ওই যুবক সন্দেহজনকভাবে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরাঘুরি করছিলেন। এসময় বিষয়টি প্লাটফর্মে দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ সদস্যদের নজরে আসলে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং চৌকিতে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালান। এসময় যুবকের কোমরে গোজা অবস্থায় একটি লোহার তৈরি পুরনো পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ভৈরব চৌকির ইনচার্জ হাসান মাহমুদ জানান, “রাত প্রায় সাড়ে ৮টার সময় কর্তব্যরত সদস্যরা একজন যুবকের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করেন। তাকে আটক করে তল্লাশি চালানো হলে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এরপর আইন অনুযায়ী তাকে ভৈরব রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া রয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য