যেদিকে চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। মাঝখানে ছোট ছোট গ্রাম, কোথাও বা পানির নিচ থেকে মাথা বের করে দাঁড়িয়ে গাছগাছালি।
গত কয়েক বছরে হাওর এলাকার এই দৃশ্য ফেসবুক ওয়ালগুলোতে কত শত বা হাজারবার এসেছে, তার হিসাব নেই।
কিশোরগঞ্জে হাওরের বুক চিরে নির্মিত সড়ক মানুষকে জলের সৌন্দর্যের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। তবে এই শুকনো মৌসুম, যখন, নদী ক্ষীণকায় হয়ে গেছে, তখনও মানুষের ঢল যে কম, এমন নয়।
এবার ঘুরতে যাওয়া মানুষ দুই চোখ ভরে উপভোগ করছে সবুজের সৌন্দর্য। পানি সরে যাওয়ায় চাষ হয়েছে হাওরের জমিতে। কাঁচা ধানগাছের পাশাপাশি এবার উন্মাদনা তৈরি করেছে এখানে-সেখানে সূর্যমুখীর বাগান।
ঘন সবুজের মাঝে যেন ছোট ছোট সূর্য ফুটে আছে। পাশাপাশি আছে দিগন্ত বিস্তৃত ঘাষের ক্ষেত। দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানো মহিষ আর গরুর পালগুলো ঘুরতে যাওয়া মানুষদের মনে নিউজিল্যান্ডের আবহ তৈরি করে।
বর্ষায় বিস্তীর্ণ জলরাশির সৌন্দর্যের হাতছানি উপেক্ষা করা কঠিন। গত কয়েক বছর দল বেঁধে পর্যটকদের হাওর ঘুরতে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে জনতার ঢল এই শুকনো মৌসুমেও কম নয়।
কিশোরগঞ্জে হাওর ঘুরতে যাওয়া মানুষের কাছে নতুন সংযোজন দৃষ্টিনন্দন সড়ক। এটি যাতায়াতকেও সহজ করেছে।
একদম ব্রেক না চেপে ১০ কিলোমিটার বা ২০ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি এলাকা যদি গাড়িতে পাড়ি দিতে চান, তাহলে আপনার কাছে দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামকে সংযুক্ত করা চওড়া এক সড়ক। সেখান স্থানীয় যানবাহন বলতে কেবল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, তার সংখ্যাও কম।
এর বাইরে প্রাইভেট কার বা মোটরসাইকেলে করে ভোঁ ছুটে চলা যে মানুষদের দেখা যায়, তারা সবাই বাইরে থেকে এসেছে হাওর দেখতে।
গ্রীষ্ম আসার আগে আগে মৃদুমন্দ বাতাস, চারপাশে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ধানক্ষেত আর ঘাষের গালিচা আপনাকে মুগ্ধ করবে, যতক্ষণ সেখানে থাকেন, ততক্ষণ।
এই সৌন্দর্য কোনো নতুন বিষয় নয়। তবে হাওরে যাওয়ার অনীহা থাকার মূল কারণ ছিল যাতায়াতের সমস্যা। বর্ষায় আসতে হলে সারা দিন নৌকায় বসে থেকে যেতে হতো। আর শুকনো মৌসুমে হাঁটা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
কিন্তু এখন হাওরবাসীর যোগাযোগের জন্য নির্মিত হয়েছে ‘অলওয়েদার সড়ক’। ফলে সহজেই এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলাতেগুলোতে আসা-যাওয়া করা যায় অনায়াসে। সেই সঙ্গে হাওরে নির্মিত হয়েছে অগুনতি সাবমার্সেবল বা ডুবো সড়ক।
গত বছর হাওরের ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম উপজেলার অলওয়েদার সড়কটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও এর আগেই সামাজিক যোগাযোগেরমাধ্যমে ভাইরাল হয় এ সড়কটি।
এরপর থেকেই বাড়তে থাকে পর্যটকদের আনাগোনা। দুই দিকে দিয়েই পানি আর মাঝখান দিয়ে রাস্তা। যারা কখনো হাওরে আসেনি তাদের অনেকের মনেই কৌতূহল জাগত কীভাবে সম্ভব হয়েছে এই বিস্তীর্ণ জলরাশির মধ্য দিয়ে এত দীর্ঘ সড়ক।
বর্ষায় হাওরে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় বাড়তে থাকে এই সড়কটি ঘিরে। পর্যটকদের ভিড় দেখা যায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতেও। পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে সড়কটির আশপাশে তৈরি হয় আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট। ঘুরে বেড়ানোর জন্য তৈরি করা হয় শ শ দৃষ্টিনন্দন নৌকা, কিনে আনা হয় স্পিডবোট।
আর সড়কে পর্যটকদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য বাড়তে থাকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ব্যবহার।
এই একটি সড়ককে ঘিরে হাওরে সৃষ্টি হয়েছে মানুষের নতুন কর্মসংস্থান। অতীতে যারা ছয় মাস কাজ করত আর বাকি সময়টা অলস সময় পার করত, তারাও এখন সারা বছরই উপার্জন করছে।
পানি নেই, এখন পর্যটকদের ডাকছে ঘন সবুজের মাতোয়ারা দৃশ্য।
ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে সপরিবার ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, গত বর্ষাকালে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অলওয়েদার সড়কটি দেখতে এসেছিলেন। তখন দেখেছিলেন চারদিকে শুধু পানি আর পানি।
‘আবার এখানে এসে সবুজ ফসলের মাঠ দেখে প্রাণভরে নিশ্বাস নিলাম। যারা এখানে আসবে না তারা বুঝবে না প্রকৃতির এই দৃশ্য কতটা শান্তি আনে মনে’- বলেছিলেন শফিকুল।
সড়কের ধারে উঁচু ঘাসে শুয়ে ছবি তুলেলেন তিনি। বলেন, ‘একই এলাকাটির দুটি রূপ সত্যিই ভিন্ন। সবুজের এই সমারোহ দেখে মন চায় যেন এখানে সারাক্ষণ শুয়ে থাকি।’
‘আমার ছেলেমেয়েরা ও এই এলাকার প্রকৃতির প্রেমে পড়ে গিয়েছে। ছেলেমেয়ের আনন্দ দেখে আরও ভালো লাগছে। সময়-সুযোগ মিললে আবার পরিবার নিয়ে আসব’- বলছিলেন এই পর্যটক।
কিশোরগঞ্জ শহরের শিক্ষকপল্লি থেকে বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে আসা গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ছাত্র জাকুয়ান আহাম্মেদ বলেন, ‘হাওরের এই অপরূপ সৌন্দর্য এবং মুক্তবাতাস, সবুজ প্রকৃতি আমাদের টেনে নিয়ে এসেছে। হাওরের এই সবুজ ঘাসের গালিচা দেখে শুয়ে থাকতে মন চাইতেছে। এ যেন নিউজিল্যান্ড।’
কিশোরগঞ্জ - ৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একসময়ের অবহেলিত হাওরে পর্যটনের অপারসম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্ষাকালে চারদিকে পানি আর পানি। অপরদিকে শুকনো মৌসুমেই ফসলের মাঠ। একই জায়গায় দুটি রূপ সত্যিই অসাধারণ।’
তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমিও খানিকটা সময় কাটিয়ে এসেছি হাওরে। এই সময়ের হাওরের প্রকৃতি যেন সবুজ গালিচা। রাস্তার পাশ দিয়ে সবুজ ঘাসের গালিচা দেখে শুয়ে থাকতে মন চায়। ঘাসের ওপর শুয়ে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারিনি আমিও।’
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ‘হাওরে যোগাযোগব্যবস্থার অভাবে কেউ আসতে চাইত না। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয় এবং মাননীয় প্রধানন্ত্রীর সহযোগিতায় হাওরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেই আজ প্রচুর পর্যটক হাওরে আসে। পর্যটকদের আগমন দেখে আমারও ভালো লাগে।’
হাওর ঘিরে আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি-পুত্র বলেন, ‘সেগুলো বাস্তবায়ন হলে পর্যটকদের সবচেয়ে পছন্দের জায়গায় পরিণত হবে আমাদের এলাকা।’
আরও পড়ুন:আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। গণতন্ত্র উত্তরণের এই প্রক্রিয়ায় গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের পূর্ণ সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে।’
যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এটি বিরল ঘটনা যে, সরকার প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের জন্যই সবাইকে নিয়ে এ সফর। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।
তিনি বলেন, বিদেশ সফরে গিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যারা গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, এটা তো স্বাভাবিক। আমাদের প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিবের ভাষায়, প্রধান উপদেষ্টা কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এতে জাতীয় ঐক্যের একটি দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।’
তিনি উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে এসব আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সফর চলাকালে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও তা বড় করে দেখার কিছু নেই।
এর আগে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে সেখানে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও এনসিপির সদস্য সচিবসহ ৩টি রাজনৈতিক দলের ৬ নেতা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় তারা দেশে ফেরেন।
দেশের ৮ অঞ্চলের ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুরের অধিকাংশ এলাকায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের শঙ্কা রয়েছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে রোগাক্রান্ত গরু জবাই করার পর একই গ্রামের অন্তত ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাদের মধ্যে সাত জন গাইবান্ধা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আক্রান্তরা গাইবান্ধা রাবেয়া ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম ও রাবেয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নেন। গুরুতর আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন- মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, শফিকুল ইসলাম ও মাহবুর রহমান।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মঞ্জুরুল করিম প্রিন্স আক্রান্তদের চিকিৎসা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক ডা. মো. মঞ্জুরুল করিম প্রিন্স জানান, সাত জন রোগীর শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে। তাদের হাতে, মুখে, চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোসকা ও পচন ধরেছে। জ্বর, ব্যথা, ঘা ও চুলকানিতে ভুগছেন তারা। প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে আক্রান্তদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত বা রোগাক্রান্ত পশু থেকেই এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্তরা একটি অসুস্থ গরু জবাই ও মাংস কাটার কাজে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। ওই সময় তাদের শরীরে রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তবে এটি কোনও ছোঁয়াচে রোগ নয়। আক্রান্তরা এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকেও জানানো হয়েছে। নিয়মিত চিকিৎসা নিলে রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠবেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
কিশামত সদর গ্রামে বাসিন্দা বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. হাফিজার রহমান জানান, গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গ্রামের মাহবুর রহমানের একটি অসুস্থ গরু জবাই করে গ্রামের অন্তত ১২০ জনের মধ্যে ভাগ করা হয়। জবাই ও মাংস কাটাকাটির কাজে ১০–১৫ জন সরাসরি যুক্ত ছিলেন। চার দিন পর থেকেই তাদের শরীরে ফোসকা ও ঘা দেখা দেয়। এর মধ্যে আক্রান্ত কয়েকজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শহরের ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪-৫ জন অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাইবান্ধা ও রংপুর মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে তাদের উপসর্গ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি অ্যানথ্রাক্স।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মোজাম্মেল হক জানান, পাশের পীরগাছা উপজেলায় অ্যানথ্রাক্সের প্রকোপ ছিল, এখন সুন্দরগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঘাঘট ও তিস্তা নদীবেষ্টিত বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, তারাপুর, বেলকা ও পৌরসভা এলাকায় এ রোগ শনাক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকায় টিকা প্রদান চলছে।
তার ভাষায়, ‘আক্রান্ত পশু পরিচর্যা বা জবাই করলে মানুষের শরীরে অ্যানথ্রাক্স ছড়াতে পারে। তবে মাংস খেলে এ রোগ ছড়ায় না। তাই কোনও অবস্থাতেই রোগাক্রান্ত পশু জবাই করা যাবে না।’
এদিকে, অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস। তিনি জানান, প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে এলাকায় লিফলেট বিতরণ, মাইকিংসহ সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি আক্রান্ত পশু জবাই না করার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দেশজুড়ে শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি অভিযান। প্রতিবছরের মতো এবারও মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ঝালকাঠি জেলায় এ উপলক্ষে জেলা মৎস্য দপ্তরের তৎপরতা দেখা গেলেও বাস্তবে কতটা সফল হবে এ অভিযান তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে প্রশ্ন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানিয়েছেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আগামী ২২দিন মা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাব, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে নদীতে টহল জোরদার করা হবে। ঝালকাঠি জেলায় দিনে ও রাতে পৃথক ভাবে ৮টি টহল টিম অভিযান পরিচালনা করবে। পাশাপাশি জেলেদের সচেতন করতে আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালানো হয়েছে।
তবে মাঠপর্যায়ে এসব কার্যক্রম কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, প্রতি বছরই অভিযান চললেও অনেক জায়গায় গোপনে মা ইলিশ ধরা ও বিক্রি অব্যাহত থাকে। তাই শুধুমাত্র হাকডাক নয়, কঠোর নজরদারি ও বাস্তবায়নই পারে এই উদ্যোগকে সফল করতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার সঠিক বাস্তবায়ন হলে ইলিশের প্রজনন সুরক্ষিত হবে এবং আগামীতে আরও বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে। এখন দেখার বিষয় কথায় নয়, বাস্তবে কতটা কার্যকর হয় এ অভিযান।
মহাকাশে অদ্ভুত গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ‘চা ১১০৭-৭৬২৬’ নামের গ্রহটি নক্ষত্রের মতো অস্বাভাবিক আচরণ করছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গ্রহটি বৃহস্পতি গ্রহের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বড়। চ্যামেলিয়ন নক্ষত্রমণ্ডল থেকে প্রায় ৬২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে গ্রহটি।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গ্রহটি কোনো নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে না। ফলে অনেকটা স্বাধীনভাবে মহাকাশে অবস্থান করছে গ্রহটি। শুধু তা–ই নয়, গ্রহটি তার চারপাশের মহাজাগতিক ডিস্ক থেকে প্রতি সেকেন্ডে ছয় শত কোটি টন গ্যাস শুষে নিচ্ছে। এমন আচরণ সাধারণত তরুণ নক্ষত্রের মধ্যে দেখা যায়।
গ্রহটির বিষয়ে ইতালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের বিজ্ঞানী ভিক্টর আলমেনড্রোস-আবাদ বলেন, মানুষ বিভিন্ন গ্রহকে আপাত শান্ত ও স্থিতিশীল জগৎ হিসেবে ভাবতে পারে। তবে নতুন এই আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা দেখছি মহাকাশে স্বাধীনভাবে ভাসমান গ্রহ বেশ বিস্ময়কর হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চিলির আতাকামা মরুভূমিতে অবস্থিত ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরির (ইএসও) ভিএলটির এক্স-শুটার স্পেকট্রোগ্রাফের মাধ্যমে গ্রহটির সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নক্ষত্রের মতোই শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র গ্রহটির আচরণকে প্রভাবিত করছে। নতুন গ্রহটির অদ্ভুত এ আচরণ মহাকাশের গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যকার পার্থক্য কমিয়ে ফেলেছে। এর ফলে গ্রহ ও নক্ষত্র গঠনের প্রক্রিয়া আগে যা ভাবা হয়েছিল, তা পরিবর্তন হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট অ্যান্ড্রুজের বিজ্ঞানী আলেক্স শোলজ জানান, অদ্ভুত গ্রহটি নক্ষত্রের মতো গঠিত সবচেয়ে কম ভরের বস্তু নাকি তাদের জন্মস্থান থেকে ছিটকে আসা বিশাল কোনো গ্রহ, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নতুন এই আবিষ্কার আসলে মহাকাশে নক্ষত্র ও গ্রহ গঠনের প্রক্রিয়া ও আচরণ সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
সূত্র: এনডিটিভি
গত বছর ঠিক একই সময়ের তুলনায় এখন চাল-তেল থেকে শুরু করে মাছ-মাংসসহ অনেক নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সাধারণ নিম্নআয়ের মানুষের ব্যয় বেড়েছে।
রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় বাজারে মানভেদে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, মাছ ও মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে পেঁয়াজ, রসুন ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি সব ধরনের শাক-সবজির দাম বেশি গত বছরের তুলনায়।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি চিকন চাল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর আগে একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৬৪ থেকে ৮০ টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজি চিকন চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ থেকে ১১ টাকা পর্যন্ত। একইভাবে মাঝারি মানের চাল কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডালের দামের মধ্যে মোটা ডালের দাম কিছুটা কমলেও মাঝারি ও ছোট দানার ডালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
টিসিবির তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি বড় দানার মসুর ডাল ৯৫ থেকে ১১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। যার গত বছর এ সময়ে দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। মাঝারি মানের মসুর ডালের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর একই সময়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় পাওয়া যেত। ছোট দানার মসুর ডালের কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় অ্যাংকর ডালের কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে বলে টিসিবি তথ্য দিচ্ছে। প্রতি কেজি অ্যাংকর ডাল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
আটা ও ময়দার মধ্যে খোলা আটার কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫২ টাকায়। যা গত বছর একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা ময়দার কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট আটার কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ময়দার কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। যা গত বছর এ সময়ে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।
আলোচ্য সময়ে ভোজ্যতেলের মধ্যে সব ধরনের তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৮ টাকা। যা গত বছর একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ১৫১ থেকে ১৫৫ টাকা। এ হিসাবে প্রতি লিটার খোলা তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ থেকে ২৩ টাকা। আর বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৮ থেকে ১৯০ টাকায়। যা গত বছর ছিল ১৬৭ টাকা বা তারও কম। আর বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৯০ থেকে ৯২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা পাম অয়েলের লিটারে ১৬ থেকে ১৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৩ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুপার পাম অয়েলের লিটারে ১০ থেকে ১৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৫ থেকে ১৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর রাইস ব্রান তেলের ৫ লিটার গত বছর যেখানে ৯০০ টাকায় পাওয়া যেত এখন সেই তেল কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৩০ টাকা বা তারও বেশি দামে।
তবে চাল, ডাল, তেল ও আটা-ময়দার দাম বেশি থাকলেও গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে মসলাজাত পণ্যের দাম কমেছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত বছর এ সময়ে ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। দেশি রসুনের কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। গত বছর ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা। আমদানি রসুনের কেজি ১৩০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর একই সময়ে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
মাছের মধ্যে প্রায় সব মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশের ভরা মৌসুমেও মাছটির দাম সাধারণের হাতের নাগালের বাইরে। ছোট আকারের (৪ পিসে কেজি) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। যা গত বছর ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় পাওয়া গেছে। আর আকারভেদে এক কেজি বা তারও বেশি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশের দাম ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ বা তারও বেশি। যা গত বছর একই সময়ে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় পাওয়া গেছে।
এদিকে, ইলিশ মৌসুমে দাম না কমায় রুই-কাতলাসহ অন্যান্য মাছের দামও বেশি। প্রতি কেজি রুই-কাতলা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর এ সময়ে ২৮০ থেকে ৪০০ টাকায় পাওয়া গেছে। এছাড়া রাজধানীর এলাকাভেদে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে, ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা বা তারও বেশি দামে। যা গত বছর ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
তবে গত বছরের তুলনায় বাজারে প্রতি হালি ফার্মের ডিমের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। প্রতি হালি ফার্মের (লাল বা বাদামি) ডিম বিক্রি হচ্ছে, ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
নিত্যপণ্যের সঙ্গে বাজারে সব ধরনের শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। শিমের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি সংকট ও দাম বাড়তি দেখা গেছে কাঁচামরিচের। মসলাজাতীয় এই পণ্যটির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১০০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় উঠেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ী একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী খিলগাঁও বাগিচা এবং শাহজাহানপুর এলাকায় গণসংযোগ এবং নিজ বাসভবনে উঠোন বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পিআরসহ কিছু অযৌক্তিক দাবিতে নির্বাচন বানচালের হুমকি দিয়ে একটি ধর্ম ব্যবসায়ী দল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। একদিকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। এ দলটি সবসময়ই জাতিকে অন্ধকারে রাখতে পছন্দ করে। তারা মুখে এক কথা বলে আর বাস্তবে ভিন্নরূপ।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রকম ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ। বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি দল দেশের প্রশাসন দখল করে নিয়েছে। স্কুল-কলেজ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ সকল জায়গা দখল নিয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ী এদলটি, যা দৃশ্যমান।’
তিনি বলেন, ‘এই দলটি মুখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেও তলে তলে তারা পতিত দোসরদের সাথে আঁতাত করছে। কয়েকদিন আগেও জামায়াত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল। আর এখন বলছে সব আওয়ামী লীগার খারাপ না।’
দিনব্যাপী গণসংযোগকালে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা খোকন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, সাবেক কমিশনার সাজ্জাদ জহির, আরিফুর রহমান আরিফ, ফজলে রূবায়েত পাপ্পুসহ স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য