২০২০ সালটি বিমান চলাচল খাতের জন্য ছিল একটি আতঙ্কের বছর। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে লকডাউন, যাত্রী পরিবহনে কড়াকড়ি আর নতুন নতুন স্বাস্থ্যবিধির কারণে যেসব খাত সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে তার মধ্যে এভিয়েশন বা বিমান পরিবহন খাত অন্যতম।
তবে খুব খারাপ এই বছরটিতেও হাতেগোনা কিছু মজার, আশা জাগানিয়া ও ব্যতিক্রমী মুহূর্ত কিছুটা হলেও খুশির ছটা ফেলেছে।
১. বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত আলাস্কার পিচ্চি বিমানবন্দর
বরফে ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার অ্যাংকরেজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে না আছে সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি বিমানবন্দরের মতো ঝরনা বা শিকাগোর ও’হারা বিমানবন্দরের মতো আটটি রানওয়ে। তারপরেও গত এপ্রিলে ছোট এই বিমানবন্দরটিই কিছু সময়ের জন্য হয়ে উঠেছিল বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর। মূলত মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে যাত্রী পরিবহন অনেকটা স্থবির হওয়ার কারণে এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে গিয়েই এমন ঘটনা। পণ্য পরিবহনে অ্যাংকরেজ বিমানবন্দরের বিশেষ সুবিধা থাকায় হঠাৎ করেই এর নাম বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকায় উঠে যায়।
২. ‘ফ্লাইটস নোহোয়্যার’ বা ‘গন্তব্যহীন ফ্লাইট’
মহামারির এই সময়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অভিনব উপায় বের করার বিকল্প নেই, আর সে পথে হেঁটেছে কোয়ানটাস/কানটাস এয়ারলাইনসের ‘ফ্লাইট নোহোয়্যার’। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে উড়ে আবার সিডনি বিমানবন্দরেই ফিরে আসা যাত্রীর অভাব হয়নি এমন ফ্লাইটে। ভ্রমণপাগল মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে কিনেছেন টিকিট। এয়ারলাইনস কর্মীরা জানান, বায়রন বে ও গোল্ড কোস্টের মতো দর্শনীয় স্থানের ওপর দিয়ে ঘুরে আসার সাত ঘণ্টার একটি ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।
তাইওয়ানেও বেশ ভালো সাড়া মিলেছে এ ধরনের ‘গন্তব্যহীন ফ্লাইট’-এ। সেখানকার বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো আরও অভিনব উপায় বের করেছে, উড়োজাহাজে ‘স্পিড ডেটিং’। ওই অঞ্চলের জনপ্রিয় একটি বিমান পরিবহন সংস্থা ইভা এয়ার-এর স্লোগান ‘ফ্লাই! লাভ ইজ ইন দ্য এয়ার (উড়ুন! ভালোবাসা বাতাসে ভাসছে)’। থাই এয়ারওয়েজ তাদের ‘ফ্লাই নোহোয়্যার’-এর আয়োজনে গুরুত্ব দিয়েছে আধ্যাত্মিকতাকে। সেদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থানগুলোর ওপর দিয়ে যাত্রীদের ঘুরিয়ে আনছে এয়ারলাইনসটি।
৩. এভিয়েশন-এর নসট্রাডামুস নাওমি ক্যাম্পবেল
ব্রিটিশ মডেল, অভিনেত্রী নাওমি ক্যাম্পবেল যেন বিমান পরিবহন খাতের এক নসট্রাডামুস- ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। ২০১৯ এর গ্রীষ্মে নাওমি উড়োজাহাজে ভ্রমণে তার রীতিনীতি চালু করেন। হাতমোজা, মাস্ক, ব্যাকটেরিয়া নিরোধক ইত্যাদির ব্যবহার তিনি যখন শুরু করেন, তখনও বিশ্ববাসী ভাবতেও পারেনি আর কয়েক মাসের মধ্যে এটাই হয়ে উঠবে স্বাভাবিক বিধি।
৪. বিশ্বের দীর্ঘতম ফ্লাইট আরও দীর্ঘ
করোনা মহামারির কারণে পথ-পরিবর্তন, সূচি-পরিবর্তন করার পাশাপাশি বিমান পরিবহনের রেকর্ড বইতেও বেশ ওলটপালট হয়েছে। প্রথম ঘটনাটি ফরাসি বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার তাহিতি নুই-র।
যাত্রী পরিবহনে বিশ্বের দীর্ঘতম পথ পাড়ি দেয়ার রেকর্ড গড়েছে তাদের একটি ফ্লাইট। কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে নয় হাজার ৭৬৫ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে তাহিতি থেকে প্যারিস পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। এরপর, কিছুদিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমান এয়ারবাস এ থ্রিএইটজিরো দিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে কোয়ানটাস। সবশেষ ঘটনাটি সিঙ্গাপুর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়ার্ক বিমানবন্দর যাওয়ার।
নভেম্বরে টানা ১৮ ঘণ্টা উড়ে বিশ্বের স্বীকৃত দীর্ঘতম যাত্রীবাহী ফ্লাইটের রেকর্ড গড়ে এই ফ্লাইট। কারণ, মহামারি পরিস্থিতিতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস তাদের গন্তব্য নিউ ইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দর থেকে নিউ জার্সির নেওয়ার্ক বিমানবন্দরে সরিয়ে নেয়, ফলে যাত্রা পথের মোট দূরত্ব আরও আড়াই মাইল বেড়ে হয় নয় হাজার ৫৩৬ দশমিক ৫ মাইল।
৫. যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ হয়েছে মালবাহী উড়োজাহাজ
করোনা মহামারির কারণে যাত্রী বহনে খরা, দুর্দশা কাটাতে পণ্য পরিবহনেই মনোযোগ বাড়াতে হয়েছে বিমান সংস্থাগুলোর। এই পথে হাঁটতে গিয়ে সংবাদ হয়েছে পর্তুগালের চার্টার অপারেটর হাই ফ্লাই। বিমান পরিবহন সংস্থাটি তাদের মালিকানাধীন একমাত্র এ থ্রিএইটজিরো উড়োজাহাজের বেশিরভাগ যাত্রী-আসন সরিয়ে একে মালবাহী উড়োজাহাজে রূপান্তর করেছে। এর মধ্যদিয়ে তারা প্রথম একটি এ থ্রিএইটজিরো উড়োজাহাজকে পণ্যবাহী উড়োজাহাজে পরিণত করার রেকর্ড গড়ে।
৬. পাইলটের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই উড়োজাহাজের টেক অফ
এটা বছরের শুরুর দিকের একটি ঘটনা। জানুয়ারিতে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস সফলভাবে স্বয়ংক্রিয় পাইলট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উড়োজাহাজের টেক অফ বা উড্ডয়ন করে সংবাদ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ফ্রান্সের তুলো-ব্লাগনাক বিমানবন্দরে একটি এ থ্রিফাইভজিরো-থাউজেন্ড উড়োজাহাজে এই সাফল্য অর্জন করে তারা। সাধারণত আকাশে ওড়ার সময় উড়োজাহাজের অটো-পাইলট সিস্টেম সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং টেক অফ এবং ল্যান্ডিংয়ের কাজটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে পাইলটরাই এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তবে এই প্রথম অটো-পাইলটে আটবার সফলভাবে টেক অফ করার খবর জানায় এয়ারবাস। এ সময় দুজন পাইলট বিমানের ককপিটে স্ট্যান্ডবাই ছিলেন।
৭. জ্বালানি তেল ছাড়াই উড়োজাহাজের উড্ডয়ন
বিমান পরিবহন খাতের আরেকটি সাফল্যগাঁথার খবর আসে ২০২০ সালের মে মাসে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত উড়োজাহাজ এর প্রথম ফ্লাইট সম্পন্ন করে। নয় জন যাত্রী বহনে সক্ষম ইক্যারাভান উড়োজাহাজটি ওয়াশিংটনের মুসা হ্রদের ওপর ৩০ মিনিটের সফল উড়ান পরিচালনা করে। এরপর সেপ্টেম্বরে এয়ারবাস তাদের জিরো ই উড়োজাহাজ উন্মুক্ত করে। ইউরোপের এই বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০৩৫ সাল নাগাদ দূষণমুক্ত যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
৮. অবশেষে চালু হলো বার্লিনের ‘অভিশপ্ত’ বিমানবন্দর
প্রায় এক দশকের টানাপোড়েন, অভিযোগ আর অদক্ষতার সমাপ্তি ঘটিয়ে গত অক্টোবরে চালু হয়েছে বার্লিন-ব্রানডেনবুর্গ ভিলি ব্রান্ডট্ বিমানবন্দর। জার্মানির ব্রানডেনবুর্গের এই বিমানবন্দরটি শুধু নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১০ বছর পিছিয়েই পড়েনি, এর নির্মাণ খরচ বেড়েছে ৪০০ কোটি ইউরো এবং করোনা মহামারির সময়ে এটি চালু হয়েছে। এতেও শেষ রক্ষা হয়নি, এক জন যাত্রীও ওঠানামা করার আগেই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আরও ৩০ কোটি ইউরো সাহায্য নিতে হয়েছে।
৯. তীব্র গতির বিমান
গত শতাব্দীর আশি-নব্বইয়ের দশকে কনকর্ড উড়োজাহাজের কথা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। সুপারসনিক যাত্রীবাহী বিমানের এক অনন্য প্রতীক ছিল সেটি। তবে নানা জটিলতায় বন্ধ হয়ে যায় কনকর্ডের উড়ান। তবে তীব্র গতির উড়োজাহাজের সম্ভাবনা মরে যায়নি।
গত ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ দ্রুততম সাবসনিক ফ্লাইটের রেকর্ড গড়ে নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডনগামী একটি ফ্লাইটে, যার সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৮০০ মাইলের বেশি। এরপর সেপ্টেম্বরে একটি সংবাদ প্রচার হয় যে, ২০২৫ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে একটি সুপারসনিক এয়ার ফোর্স ওয়ান দেখা যেতে পারে। বলে রাখা ভালো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যে উড়োজাহাজে ভ্রমণ করেন সেটাই এয়ার ফোর্স ওয়ান।
এ ছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্টার্টআপ এক্সোসনিক একটি লো-বুম সুপারসনিক বিমান বানানোর চেষ্টা করছে। আটলান্টাভিত্তিক আরেকটি প্রতিষ্ঠান হারমেউস করপোরেশন ২০ আসনের একটি হাইপারসনিক উড়োজাহাজ তৈরির প্রচেষ্টায় যুক্ত হয়েছে, তাদের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে যাত্রীদেরকে ৯০ মিনিটে নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন পৌঁছে দেয়া। ডেনভারত্তিক স্টার্টআপ বুম অক্টোবরে তাদের এক্সবিওয়ান উড়োজাহাজের প্রতিরূপ উন্মোচন করে। এক্সবিওয়ান ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত প্রথম সুপারসনিক উড়োজাহাজ।
১০. বুদ্ধের রথে উল্টোপথে
যাওয়ার কথা ছিল দক্ষিণে কিন্তু বিমান থেকে নেমে দেখলেন পৌঁছে গেছেন উত্তরে! একদম বোকা বনে যাওয়ার কথা। ঘটনা ঘটেছেও তেমন। গত ১৮ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬৯ জন যাত্রী নিয়ে বুদ্ধ এয়ারওয়েজের একটি বিমান দক্ষিণ-পূর্বে জনকপুর শহরের উদ্দেশে রওনা দেয়, কিন্তু নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার বদলে সেটি চলে যায় উত্তর-পশ্চিমের শহর পোখারায়। আর এই কাণ্ডে হতবাক যাত্রীরাও। তবে বড় ধরনের ঝামেলা হয়নি। পরের একটি বিমানে সবাই সঠিক গন্তব্য পৌঁছাতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
আরও পড়ুন:বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।
‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।
‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি
করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।
বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’
এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।
পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।
ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।
এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।
‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
আরও পড়ুন:প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় অংশই আসে ঢাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলোতে। অর্থাৎ প্রবাসীদের পরিবারের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকেন বা তাদের অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ঢাকার ব্যাংক শাখায়।
ইউএনবি জানায়, রেমিট্যান্সের জেলাভিত্তিক চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সিলেট তৃতীয় এবং কুমিল্লা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
এরপরে রয়েছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদীর অবস্থান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয় প্রতিবেদনে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২১৬ কোটি ডলার। তার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় ছিল ২১০ কোটি ডলার।
জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়কালে ঢাকা জেলায় এসেছে ৫২৩ কোটি ডলার এবং চট্টগ্রাম জেলায় এসেছে ১৪২ কোটি ডলার।
এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন ডলার, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ডলার এবং নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ডলার এবং নরসিংদীতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে না। কারণ অনেক প্রবাসী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বরং তারা (প্রবাসীরা) দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অর্থ পাচার বাড়ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য