পুঠিয়া রাজবাড়ির মাঠ। ক্রিকেট খেলছে স্থানীয় ছেলেরা। তাদের একজন আবার পকেটে ফুল নিয়ে বল করছে।
ছেলেটার কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম, ‘তুমি ফুলগুলো কোথায় পেলে?’ তার সরল উক্তি, ‘খুব সুন্দর দেখতে। তাই এসব আমি একটা অটোরিকশা থেকে নিয়ে এসেছি।’
‘এই ফুলগুলো আমার’ বলতেই সে কিছু না বলে সব ফুল ফেরত দিল।
আখের ফুল। এসব আমি কাছের আখ ক্ষেত থেকে তুলে এনেছি। নাটোর থেকে পুঠিয়া আসতে আমরা পথে পথে অনেক আখ খেতের দেখা পেয়েছি।
ছবি তুলেছি; সঙ্গে ফুলও তুলেছি। সেসব ফুলই ছেলেটি আমাদের অটোরিকশা থেকে নিয়েছিল।
২
শীতের মধ্যে আমরা নাটোর ঘুরতে এসেছি। ভোর পাঁচটায় যখন ন্যাশনাল ট্রাভেলসের গাড়ি ভিআইপি হোটেলের ফটকে থামল, তখন ঠান্ডায় শরীর জমে গেছে। কোনো রকমে আমাদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। সে ঘুম ভাঙল দুপুর ১২টায়।
তখনও প্রকৃতি কুয়াশার চাদরে মোড়া; ঘোর ঘন কুয়াশা যাকে বলে। আস্তে-ধীরে তৈরী হয়ে বের হলাম। কই যাব করতে করতে ফারুকের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে বসি।
ফারুক আমার পূর্ব পরিচিত। নাটোরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ব্যবসা প্রথম তিনিই শুরু করেন। এখন অটোরিকশা নাটোরের পথে পথে অনেক। তবু আমি এখানে এলেই ফারুকের খোঁজ করি। সেও যেখানেই থাকুক, আমার ডাকে সারা দিয়ে চলে আসবেই।
আজ ফারুক আমাকে নিয়ে চলেছে পুঠিয়া রাজবাড়িতে। এখানে পথ চলতে পথের দুই ধারে আখ ক্ষেত চোখে পড়ে। আরও চোখে পড়ে একটু পরপর আখবোঝাই গাড়ি।
পথ চলছি, ছবি তুলছি। এভাবেই আখ ক্ষেতে আখের মাথায় ফুল দেখে ফারুককে তার অটোরিকশা থামাতে বলি। তারপর ক্ষেতের আল ধরে একেবারে আখ ক্ষেতের ভেতরে যাই।
৩
ছোটবেলায় আদর্শ লিপিতে পরেছি ইক্ষুর রস অতি মিষ্ট। সেই অতি মিষ্ট ইক্ষুকে কেউ কেউ বা কোথাও বলে গেন্ডারি। ১২ বছরের দুই শিশু আখ ক্ষেতে আখ ছিঁড়ে খাচ্ছিল। তারা আমাকে দেখে কাছে আসে।
আমাকে আখের ফুলে হাত বুলাতে দেখে বলে, ‘আপনি কুইশাল দিয়ে কী করবেন?’ আমি ‘কিছু না’ বলে ছবি তুলতে উদ্যত হতেই তারা সমস্বরে বলে ওঠে, ‘তাইলে আগে আমাগো ছবি তুইলা দেন।’
কী আর করা। ওদের ছবি তুলে দিয়ে আমি আখ ফুলের ছবি তুলি। তারপর ক্ষেতমালিক সলিম মিয়ার সঙ্গে কথা বলি।
এই আখ খাওয়ার জন্য নয়। তবে কেউ তা খেলেও আসলে এসব চলে যায় চিনিকলে। মূলত এই আখ থেকে চিনি তৈরি হয়; হয় গুড়ও। এসব সলিম মিয়ার কথা।
আমি তার সেসব কথার চাইতে আখ ফুল নিয়ে ভাবছি। মিথ্যা বলে কী হবে, আমি জীবনে প্রথমবার আখ ফুল দেখলাম। আখ ফুল দেখে আমি যারপরনাই অভিভূত। সে অনুভুতি নিয়ে পথ ধরি পুঠিয়া রাজবাড়ির।
৪
নাটোর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে রাজশাহীর পুঠিয়ায় অবস্থিত বিখ্যাত পুঠিয়া রাজবাড়ি। এখানকার পিচঢালা পথের সৌন্দর্যে মন ভরে যায়। রাস্তার দুই পাশের আখ ক্ষেতের কথা আগেই বলেছি; রয়েছে শর্ষে ক্ষেতও।
তবে এই শীতেও আমাদের কিছু বিবর্ণ কাশফুলের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। বিষয়টা অবাক করার মতো। সে অবাক করা ভাব বুকে থাকতেই দেখি সারি সারি ভ্যান গাড়ি। আর সে ভ্যানগাড়িতে মাটির হাঁড়ি।
এভাবেই আমরা আধা ঘণ্টায় ফাঁকা রাস্তা, ক্ষেত আর ছোট ছোট গঞ্জ পেরিয়ে পুঠিয়া বাজারে পৌঁছাই। এখান থেকেই শুরু পুঠিয়া রাজবাড়ির পথ। এ পথে প্রবেশের পরপরই বিশাল আকারের পুকুরের পাশে এই উপমহাদেশের বৃহত্তম শিবমন্দিরটির অবস্থান।
চমৎকার কারুকার্যময় পুকুর ঘাট পেছনে ফেলে দাঁড়িয়ে শিবমন্দিরটি। রানী ভুবন মোহিনী দেবী এই শিবমন্দির নির্মাণ করেন।
আমরা শিবমন্দিরের ভেতর প্রবেশ করি। মন্দিরের কক্ষ মাত্র একটি। সে কক্ষে রয়েছে শিবলিঙ্গটি। কিন্তু ভর দুপুরে সে কক্ষটিতে তালা ঝুলতে দেখে মন খারাপ হওয়ার উপক্রম হতেই পাশের তরকারি বিক্রেতা এগিয়ে আসেন।
তিনি মন্দির রক্ষক বিশ্বনাথ দাসের বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ‘আপনি ডাকলেই তিনি চলে আসবেন।’ সত্যি তাই হলো। বিশ্বনাথ এসে মন্দিরের কক্ষটি খুলে আমাদের ভেতরে নিয়ে গেলেন। তারপর বললেন মন্দিরের ইতিহাস আর নিজের সম্পর্কে অনেক কিছু।
এখানে আমরা নকশাখচিত শিবলিঙ্গ দর্শন করলাম। আর ঘুরে দেখলাম পুরো মন্দির এলাকা।
৬৫ ফুট দীর্ঘ বেদির ওপর শিবমন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরের দুই দিক দিয়েই সিড়ি আছে। চারিদিকে বিশাল বারান্দা। বারান্দার দেয়ালের গায়ে হিন্দু পুরানের ১৪টি চিত্র। এসব চিত্র এখন নামমাত্র আছে। কারণ সবকিছুই ভেঙে গেছে।
তবে এখনও এখানে শিবপূজা ঠিকই হয় প্রতি বছর। আর দূর-দুরান্ত থেকে হাজারো মানুষ ছুটে আসেন। আমরা চমৎকার গম্বুজ শোভিত শিব মন্দির দর্শন শেষে বিশ্বনাথ বাবুকে বিদায় জানিয়ে হেঁটে পুঠিয়া রাজবাড়ি চলে আসি।
৫
আমাদের সামনে এখন পুঠিয়া রাজবাড়ির বিশাল মাঠ; পেছনে দোলমঞ্চ। পিরামিড আকৃতির দোলমঞ্চটি চমৎকার।
আমরা দোলমঞ্চ ঘুরে দেখে রাজবাড়ির দিকে যাই। রাজবাড়ির মাঠে এলাকার ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে, গরু চড়তেও দেখা গেল। সাথে বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেল করা, বরযাত্রী এসেছে।
১৯৭৩ সালে এই বিশাল রাজবাড়িটিতে পুঠিয়া ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা লস্করপুর ডিগ্রি বিদ্যা নিকেতন নামে পরিচিত। ডিগ্রি কলেজের সাইনবোর্ডটি এখন আর নেই।
রাজবাড়িটির সংস্কারমূলক কাজ চালানো হয়েছে, গায়ের নতুন রং দেখেই তা বোঝা যায়। শুক্রবার বিধায় আজ দর্শনাথীদের সংখ্যাও কম নয়। আমরা ইট আর সুড়কির তৈরী রাজবাড়িটি ঘুরে দেখি। চমৎকার দোতলা বাড়িটি গ্রিক স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণে নির্মিত। এর সুন্দর কারুকার্যময় কাঠের দরজা-জানালা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
পুঠিয়া রাজবংশের রাজা পাঁচআনী জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ। পরবর্তী সময় তার মৃত্যুর পর দত্তক পুত্র হরেন্দ্র নারায়ণ এখানকার রাজা হন।
হরেন্দ্র নারায়ণের পর তার পুত্র যোগেন্দ্র নারায়ণ জমিদারির দায়িত্ব নেন। যোগেন্দ্র নারায়ণের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী শরৎ সুন্দরী রাজ্যভার গ্রহণ করেন।
রানী হেমন্তকুমারী দেবী তার শাশুড়ি মহারানী শরৎ সুন্দরী দেবীর সম্মানার্থে ১৮৯৫ সালে এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন।
শেষ কথা
পুঠিয়া রাজবাড়ি চত্বর বিশাল। এখানে রয়েছে চারদিক পরিখাবেষ্টিত পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দির, জগদ্বাত্রী মন্দির, কালীমন্দির ও গোপাল মন্দির। ইতিহাস আর ঐতিহ্যের ভান্ডার এই পুঠিয়া রাজবাড়িটি দেখলেই বোঝা যায় চরম অবহেলা আর অযত্নে পড়ে আছে।
কোনো সংস্কার নেই। অবশ্য সারা দেশের চিত্রটাই এমন।
পুঠিয়া রাজবাড়িতে বেড়াতে আসা দশনার্থীদের কৌতূহল মেটাতে নেই কোনো গাইডের ব্যবস্থা বা তথ্য কেন্দ্র।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের দিকে তাকালেই বুঝতে পারব, তারা ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে কত যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করে চলেছেন। আমরাই কেবল তার ব্যতিক্রম। নিজের স্বার্থে দখল করি, ধ্বংস করি। এমন যদি চলতে থাকে, তাহলে একদিন এসব ইতিহাস বিলুপ্ত হবে।
পুঠিয়া রাজবাড়ির পথ
আমরা নাটোর হয়ে পুঠিয়া গিয়েছি। এখান থেকে সময় কম লাগে। বাসে মাত্র ১৫ মিনিট। রাজশাহী হয়েও পুঠিয়া যেতে পারেন। কলাবাগান, কল্যাণপুর বা গাবতলী থেকে ভোর পাঁচটায় শুরু হয়ে রাত একটা পর্যন্ত বাস পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের বাসে যেতে আগেই বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। এ ছাড়া হানিফ ও শ্যামলী পরিবহনের বাস ও এই পথে চলে।
নাটোরে থাকতে পারেন হোটেল ভিআইপি কিংবা হোটেল আরপিতে। রেস্তোরাঁর প্রসঙ্গ এলে অনেকেই বলবেন ইসলামিয়া পচুর হোটেলের কথা। তা ছাড়া নয়ন হোটেলেও খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন। হোটেল ভিআইপিতে দেশীয় খাবারের সঙ্গে চায়নিজ খাবারের ব্যবস্থা আছে।
নাটোরে গিয়ে কাচাগোল্লা না খেয়ে আসবেন, তা কী হয়? কাচাগোল্লা খেয়ে সঙ্গে নিয়েও আসুন।
নাটোরে দেখারও আছে অনেক কিছু। রাজবাড়ি, দিঘাপাতিয়ায় উত্তরা গণভবন এবং চলন বিল এগুলোর অন্যতম।
আরও পড়ুন:ইফতার সামগ্রী তৈরিতে পোড়া তেল, বিষাক্ত নন-ফুড গ্রেড কালার ও কেমিক্যাল ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আসন্ন রমজানে খাবারে হাইড্রোজসহ কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার, পরিবেশনের ক্ষেত্রে নন-ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার, রান্নার জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ডাস্টবিন ও খাবার তৈরির উপাদান/রান্না করা খাবার পাশাপাশি রাখা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও চকবাজার ইফতার সামগ্রী বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক এই সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এই আহ্বান জানান।
সভায় খাবার খোলা অবস্থায় বিক্রির জন্য সংরক্ষণ, বিক্রয়কারী ও পরিবেশনকারীদের হ্যান্ড গ্লাভস ও ক্যাপ না থাকা, খাবার পরিবেশনের কাজে খবরের কাগজ ব্যবহার, খাবার তৈরিতে নন-ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার, পোড়া তেল ব্যবহার, বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তার বক্তব্যে নানামুখী অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ না করার আহ্বান জানান। তিনি অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধান করার আহ্বান জানান।
চকবাজারে ফুটপাতে ও ইফতারসামগ্রী বিক্রির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে চকবাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা বলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
বক্তব্য দেন পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বিভিন্ন হোটেল-রেঁস্তোরা সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, চকবাজারের বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী বিক্রেতাসহ অন্য ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির মহাসচিব আলোচনায় বিভিন্ন রেস্তোঁরার মালিক ও কর্মচারীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া ও সচেতন করার কথা বলেন।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত সোমবার বিশেষ ইফতার বুফে ডিনারের আয়োজন করে প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেক্।
জাঁকজমকপূর্ণ এ আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন দেশের নামী সাংবাদিক, ফুড ব্লগার ও কয়েকজন বিশেষ অতিথি।
রমজান উপলক্ষে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ড ও প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সে পাওয়া যাবে দক্ষ শেফদের তৈরি মধ্যপ্রাচ্যের মুখরোচক আইটেম (যেমন: হায়দরাবাদি মাটন হালিম, চিকেন নেহারি, দাজাজ আল ফাহাম, কাবসা)। সেই সঙ্গে মিলবে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ইফতার আইটেমও। আরও পাচ্ছেন মহলাবিয়া, উম্মে আলী, পেস্ট্রি, আনলিমিটেড আইসক্রিম, সফট ড্রিংকস ও জুস।
প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে এই ইফতার ও ডিনার বুফেটি পেয়ে যাবেন B1G2 অফারে ৩৬৫০ টাকায় (৩১ মার্চ পর্যন্ত)। B1G1 অফারে সেটি ৩ হাজার ৩০০ টাকা।
প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের ক্ষেত্রে B1G2 অফার ২ হাজার ৯৯৯ টাকা (৩১ মার্চ পর্যন্ত) এবং B1G1 অফারে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সেই সঙ্গে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে প্রতিদিন থাকছে দেশীয় এবং কন্টিনেন্টাল আইটেমের সেহরি বুফের আয়োজন, যার জনপ্রতি মূল্য ১ হাজার ৯৯৬ টাকা।
সেই সঙ্গে যারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা অফিসের কলিগদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করতে চাইছেন, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের জিজি এবং প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের টেরা বিস্ত্রতে থাকছে ইফতারের বিশেষ ব্যবস্থা। আরও পাওয়া যাবে টেকওয়ে ইফতার বক্স যেখানে পেয়ে জাচ্ছেন হায়দরাবাদি মাটন হালিম, জাফরানি রেশমি জিলাপি, চিকেন ও ফিশ কাবসা এবং দই বড়া। এ ছাড়া প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ দেশের যেকোনো প্রান্তে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার জনের ক্যাটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে।
শুধু তাই নয়, যারা একটু নিরিবিলি পরিবেশে পুল সাইডে বসে ইফতার করতে চান, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের ট্রাইব রুফটপ লাউঞ্জে থাকছে দুটি ফুল কোর্স সেট মেনু।
এই মেন্যুতে থাকছে চিকেন টেন্ডার, মোজারেলা স্টিকস, চিকেন ক্যাশিউনাট সালাদ, পিৎজা, ব্রেডেড প্রন, গ্রিলড চিকেনের সঙ্গে স্প্যাগেটি অ্যালিও ওলিওর মতো সিগনেচার ডিশ। এসব সেট মেন্যু ২০০০ ও ১৬০০ টাকায় B1G1 অফারে পেয়ে যাবেন।
ঢাকার নানান অফিস, রেস্টুরেন্ট ও দোকান থাকা বনানী ১১ নম্বরে প্লাটিনাম গ্র্যান্ডের অবস্থান। এর দূরত্ব হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫ মিনিটের। বিমানবন্দর থেকে উত্তরায় অবস্থিত প্লাটিনাম রেসিডেন্সের দূরত্ব চার কিলোমিটার। দুটি হোটেলের মার্জিত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ যেকোনো বিশ্বমানের হোটেলের সঙ্গে তুলনাযোগ্য, যা ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ জায়গা।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে 01922110976, 01922110975 নম্বর দুটিতে।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন তরমুজের মজাদার স্মুদি। শেফ মরিয়ম নাইসের তরমুজের স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. তরমুজের টুকরা-১৫০ গ্রাম (খোসা ছাড়ানো)
২. কলা-১টি
৩. কোল্ড আপেল জুস- ১০০ মিলিলিটার
প্রস্তুত প্রণালি
কেটে রাখা তরমুজের টুকরা, কলা ও কোল্ড আপেল জুস একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে স্মুদি ঢেলে মনমতো সাজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:রোজাসহ বিভিন্ন উপলক্ষে আমরা জিলাপি খেয়ে থাকি। কেউ কেউ নিয়মিতই খাবারটি খান।
এ জিলাপি দোকান থেকে কিনতে গেলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে সেটি বানানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তবে বাসায় খাবারটি বানানো গেলে এমন শঙ্কা আর থাকে না।
ঘরে বসে কীভাবে জিলাপি বানানো যায়, তা জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজমা আক্তার।
উপকরণ
ডো তৈরির জন্য এক কাপ ময়দা, তিন থেকে চার কাপ পানি, এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ টক দই, এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ বেকিং সোডা।
সিরা তৈরির জন্য দুই কাপ চিনি, এক কাপ পানি, এক টেবিল চামচ ঘি, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও সামান্য অরেঞ্জ ফুড কালার। এর সঙ্গে ভাজার জন্য লাগবে দেড় কাপ তেল।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে পানির সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে ভালো করে ফেটে নিতে হবে। এরপর টক দই দিয়ে খুব ভালো করে পাঁচ মিনিট ফেটে নিতে হবে। তারপর এক ঘণ্টা এভাবে রেখে দিতে হবে।
পরে সিরা করে নিতে হবে। পাত্রে পানি, চিনি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে তার মধ্যে ঘি, লেবুর রস, সামান্য ফুড কালার দিয়ে সিরা করে ঠান্ডা করতে হবে।
এক ঘণ্টা পরে মেখে রাখা ডোর মধ্যে বেকিং সোডা মিশিয়ে আবার দুই মিনিট ফেটে নিতে হবে। পরে কড়াইয়ে তেল গরম করে হালকা আঁচে মুচমুচে করে জিলাপি ভাজতে হবে। চিনির সিরায় এক মিনিটের মতো রেখে তা উঠিয়ে নিতে হবে।
জিলাপি ভাজার জন্য সসের বোতল, ছোট পানির বোতল বা পাইপিং ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন:আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস। দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন মজাদার আম পান্নার শরবত। ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল কুক উইথ পারুলের আম পান্নার রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১.কাঁচা আম- ৪টি
২.চিনি/মিশ্রি- স্বাদমতো
৩. ভাজা জিরার গুঁড়া- আধা চা চামচ
৪. গোলমরিচ গুঁড়া- আধা চা চামচ
৫. বিট লবণ- ১ চা চামচ
৬. লবণ- স্বাদমতো
৭. কাঁচা মরিচ- ২টি (কুচি)
৮. এলাচ গুঁড়া- সামান্য
৯. পুদিনা পাতা-সামান্য
১০. লেবুর রস- ১ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে আমের খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে কেটে নিন। এবার গরম পানিতে আম সেদ্ধ করে নিন। এরপর একটি ব্লেন্ডারে সেদ্ধ আম, চিনি, কাঁচা মরিচ কুচি, বিট লবণ, গোল মরিচের গুঁড়া, লবণ, ভাজা জিরা গুঁড়া, এলাচ গুঁড়া, লেবুর রস ও পুদিনাপাতাসহ সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার আম পান্না। এটিকে আরও লোভনীয় দেখাতে আপনি সামান্য সবুজ খাবারের রং দিতে পারেন।
আরও পড়ুন:যাত্রীসেবার মান্নোয়নের অংশ হিসেবে অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু করেছে জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিমানের যে সকল সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ অনলাইন (বিমান ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ)-এর মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করবেন, তারা অনলাইনেই ভ্রমণ তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।
‘সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ টিকেট ক্রয়ের সময়ে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট কার্ডটি অথবা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে বিমানের ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com অথবা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন। বিমানের ওয়েবসাইটে বুক ফ্লাইট (Book Flight) অপশনের মধ্যে ম্যানেজ মাই ট্রিপ (Manage My Trip) অপশনে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহজেই ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে।’
আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস। রোজায় ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ইফতারে মজার মজার খাবারের পাশাপাশি রোজাদারদের জন্য দরকার হয়ে পড়ে পুষ্টিকর খাবারেরও। এসব বিষয় চিন্তা করে ইফতারে রাখতে পারেন শির খুরমা।
রন্ধন শিল্পি রোকসানা আক্তার সুমি রেসিপি শির খুরমার রেসিপি তুলে ধরেছেন নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ:
১. সেমাই ১কাপ
২. দুধ এক লিটার
৩. গুঁড়া দুধ ১কাপ
৪. কনডেন্স মিল্ক এক কাপ
৫. ঘি ৩ টেবিল চামচ
৬. ৩টি এলাচ গুঁড়ো
৭. নুন এক চিমটি
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমেই কাজু,কিসমিস, পেস্তা, খোরমা সব ১ টেবিল চামচ করে কুচি করে নিতে হবে। এক লিটার দুধ ৫ মিনিট ভালো করে জ্বাল দিতে হবে। গুঁড়া দুধ ও কনডেন্স মিল্ক দিয়ে আরও তিন মিনিট জ্বাল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে ড্রাই ফ্রুটস গুলো হালকা ফ্লেমে ভেজে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে সেমাই ভাজতে হবে। সুগন্ধ বের হলে দুধে ঢেলে দিতে হবে। কিছু ড্রাই ফ্রুটস দিতে হবে। এক চিমটি নুন দিতে হবে। ৫ থেকে ৭ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে পছন্দমতো ড্রাই ফ্রুটস ও কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য