× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফলোআপ
The Admin Associations statement is an expression of anger
google_news print-icon

অ্যাডমিন অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য ‘ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’

অ্যাডমিন-অ্যাসোসিয়েশনের-বক্তব্য-ক্ষোভের-বহিঃপ্রকাশ
বরিশালে ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিবৃতি দেয় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। ফাইল ছবি
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কখনও কখনও সংক্ষুব্ধ পক্ষ এ রকম কথা বলতে পারে। সংক্ষুব্ধ পক্ষ তাদের পক্ষ থেকে আবেগ, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বিভিন্নভাবে করতে পারে। সে রকম আবেগ, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ অস্বাভাবিক কিছু না।’

বরিশালে পোস্টার-ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের লিখিত বক্তব্যকে সংক্ষুব্ধ পক্ষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

পুরো ঘটনাকে মন্ত্রী দেখছেন নিছক ভুল-বোঝাবুঝি হিসেবে। তার আশা, এ নিয়ে সংকট দ্রুত নিরসন হবে।

সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে রোববার সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তাজুল।

মন্ত্রী বলেন, ‘কখনও কখনও সংক্ষুব্ধ পক্ষ এ রকম কথা বলতে পারে। সংক্ষুব্ধ পক্ষ তাদের পক্ষ থেকে আবেগ, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বিভিন্নভাবে করতে পারে। সে রকম আবেগ, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ অস্বাভাবিক কিছু না।

‘তারা মনে করেছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রতিবাদের ভাষা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।’

মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য সমর্থন করেন কি না।
জবাবে উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, ‘আমার সমর্থনের প্রশ্ন কেন আসছে?’

তিনি বলেন, ‘আমি সমর্থন করি সম্পূর্ণ সমস্যা সমাধান হয়ে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে সহবস্থান করুক। শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করুক।’

ভুল-বোঝাবুঝির কারণ ব্যাখ্যায় তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে ভুল-বোঝাবুঝিই তো। আপনারা অন্য কিছু মনে করেন নাকি? সব ঘটনাই ভুল-বোঝাবুঝি থেকেই হয়।

‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধও ভুল-বোঝাবুঝির কারণে হয়েছিল। মহাযুদ্ধ যদি ভুল-বোঝাবুঝির কারণে হয়, তাহলে এখান থেকে ভুল-বোঝাবুঝি হবে না কেন? প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নিঃসন্দেহে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে।’

চলমান সংকটের মধ্যেও সিটি করপোরেশন তার কাজ শুরু করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন তারা সেখানে ক্লিন করেছে। সেখানে প্রতিবাদ মিটিং-মিছিল ছিল। সেটা তো বন্ধ হয়েছে।

‘প্রশাসন এবং মেয়রদের পরস্পরের মধ্যে কিছু আলোচনা হয়তো হয়েছে। তারা হয়তো একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে এসেছে। তারা নিজেরা দায়িত্বশীল এবং এখানে স্থানীয় যে প্রশাসন আছে, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, নির্বাহী কর্মকর্তা তারা তো দায়িত্বশীল।’

বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই তিনি একজন দায়িত্বশীল মানুষ। তারা বুঝেছেন এটা নিজেদের মধ্যে একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং। এটা কারও জন্যই শুভকর না।’

‘প্রয়োজনে তদন্ত’

বরিশালের ঘটনায় প্রয়োজনের সাপেক্ষে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তাজুল ইসলাম। মন্ত্রণালয় ঠিক কীভাবে এ ইস্যুতে কাজ করছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনের সাপেক্ষে তদন্ত অবশ্যই করা হবে। সবকিছুই তদন্ত করা হবে। সিটি করপোরেশন যেমনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রত্যেককেই দায়িত্ব পালন করার জন্য সুযোগ করে দিতে হবে, স্ব-স্ব মর্যাদার প্রতি সম্মান করে।’

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি করা হয়নি।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যেহেতু মামলা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করবে। আমাদের পক্ষ থেকে যদি তদন্ত করার দরকার হয়, সেটা আমরা তো বিভিন্নভাবেই করি।

‘এটা সাংবাদিকদের তো বলারই দরকার নেই। আমার মনে হয়, আপনারা নিশ্চয়ই চাইবেন না যে, আমরা আমাদের কাজ কী করি পুঙ্খানুপুঙ্খ এই মুহুর্তে আপনাদেরকে বলে ফেলি। কাজটি একটি ফলাফল আকারে আসলে তখন হয়তো আপনারা জানবেন। আপনারা চান যে সমস্যাগুলো নিরসন হোক, ভুল-বোঝাবুঝি না থাকুক, আমরাও চাই।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে উভয়েই দায়িত্বশীল। তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ববোধের কারণে এ সমস্যা নিরসন হবে।’

প্রশাসন ক্যাডারদের সংগঠন থেকে যে প্রেস রিলিজ দেয়া হয়েছে, এতে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘না, আমি একেবারেই মনে করি না।’

তিনি বলেন, ‘মতপার্থক্য থাকতে পারে; এটা থাকবেই। পরিবারের ভেতরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেমনি মতপার্থক্য থাকে, বাবা-সন্তানের মধ্যেও মতপার্থক্য থাকে। আমরা যারা কাজ করি, আমার অধীনস্থদের সঙ্গে আমার যেভাবে কথায় মতপার্থক্য থাকে, আবার আমরা একসঙ্গে কাজও করি।’

‘কখনও কখনও একটা বিষয়ে আমি এক রকম মনে করি আবার আরেকজন আরেক রকম মনে করে। সময়ের ব্যবধানে আমরা আবার উভয়েই ঐকমত্যে পৌঁছাই।’

কী হয়েছিল বরিশালে

গত বুধবার রাতে ব্যানার অপসারণ নিয়ে বরিশাল সদরের ইউএনও মু‌নিবুর রহমানের সঙ্গে সি‌টি করপোরেশনের প্রশাস‌নিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথা-কাটাকা‌টি হয়।

প্রশাস‌নিক কর্মকর্তার সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এ সময় ইউএনওর সঙ্গে বিবাদে জ‌ড়িয়ে পড়েন।

এ সময় আনসার‌ সদস্যদের সঙ্গে হাতাহা‌তি শুরু হলে আওয়ামী লী‌গ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইউএনওর বাসায় হামলার চেষ্টা চালান। আনসার সদস্যরা গু‌লি ছুড়লে প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ চারজন আহত হন।

সংঘর্ষের পর সদর ইউএনওর কার্যালয়ের সামনে পুলিশ অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আবার ইউএনওর বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেন। এ সময় পু‌লিশ ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

যা ছিল সেই বিবৃতিতে

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর গ্রেপ্তার দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও তার অনুসারীদের ‘দুর্বৃত্ত বাহিনী’ উল্লেখ করা হয়েছে, মেয়রকে ‘অত্যাচারী’ বলা হয়েছে।

বিবৃতিটি ছিল এমন: ‘আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা করা হবে এবং আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। বরিশালের ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সরকারি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে একজন নির্বাহী কর্মকর্তা কীভাবে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের দ্বারা হেনস্থা হয়েছেন। তার বাসায় হামলা করা হয়, যেখানে তার করোনা আক্রান্ত অসুস্থ বাবা-মা ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতেই ওই কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করা হয়েছে। তার বাড়ির গেট ভেঙে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তার চামড়া তুলে নেয়ার জন্য প্রকাশ্যে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছে দুর্বৃত্তরা।’

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও তার ‘দুর্বৃত্ত বাহিনী’ সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের দিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। তারা পুরো জেলায় ‘ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মেয়রের অত্যাচারে বরিশালবাসী অতিষ্ঠ। মেয়রের হুকুমেই এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে অ্যাসোসিয়েশন মনে করে। অ্যাসোসিয়েশন অবিলম্বে তার গ্রেপ্তার দাবি করছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।’

আরও পড়ুন:
বরিশালের ইউএনওর নামে ২ মামলার আবেদন
বরিশালের ঘটনায় ২১ আসামির জামিন নাকচ
অ্যাডমিন অ্যাসোসিয়েশন কি এই বিবৃতি দিতে পারে
কাজে ফিরেছে বরিশাল সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফলোআপ
Handing over the dead body of a Bangladeshi who was shot at Naogaon border

নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর

নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর নওগাঁর পোরশা সীমান্তের হাঁপানিয়া এলাকায় ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বুধবার রাত ৯টার দিকে বিএসএফ ও বিজিবি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁ ১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে বুধবার দিনভর যোগাযোগ করেন তারা। এরপর সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের পর রাতে আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে দেয়া হয় আল আমিনের মরদেহ।

নওগাঁর পোরশা সীমান্তে ২৬ মার্চ গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

সীমান্তের হাঁপানিয়া এলাকায় ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বুধবার রাত ৯টার দিকে বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

ওই সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ ১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে বুধবার দিনভর যোগাযোগ করেন তারা। এরপর সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের পর রাতে আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে দেয়া হয় আল আমিনের মরদেহ।

তিনি জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের কেদারিপাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র মিনা উপস্থিত ছিলেন।

নীতপুর সীমান্ত এলাকায় ২৬ মার্চ ভোরে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন।

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যা: স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর ঢাকায় গ্রেপ্তার
নওগাঁয় কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, আওয়ামী লীগ নেতা আটক
নওগাঁয় এনজিও কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 
মিয়ানমারে ফের মর্টার শেলের শব্দ, কাঁপল টেকনাফ সীমান্ত
সীমান্তে গুলিতে নিহত কিশোরের মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

মন্তব্য

ফলোআপ
6 members of the family were electrocuted one by one

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পরিবারের পাঁচ সদস্যের পর চলে গেল শিশু সোনিয়াও

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পরিবারের পাঁচ সদস্যের পর চলে গেল শিশু সোনিয়াও সিলেট থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়ার কিছুক্ষণ পর বুধবার ভোররাত চারটার দিকে মৃত্যু হয় শিশু সোনিয়ার। ছবি: নিউজবাংলা
সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে মঙ্গলবার সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করেন। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়।

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের পর মৃত্যু হলো আট বছর বয়সী শিশু সোনিয়ারও।

সিলেট থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়ার কিছুক্ষণ পর বুধবার ভোররাত চারটার দিকে মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় এর আগে মৃত্যু হয়েছিল সোনিয়ার মা, বাবা ও তিন ভাই-বোনের।

সোনিয়া জুড়ীর উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

পূর্ব জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি জানান।

সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে মঙ্গলবার সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করেন। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সোনিয়ার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

স্বাধীনতা দিবসের দিন মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব জুড়ীতে ঝড় ও বজ্রপাতের সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পুরো টিনের ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে পরিবারের পাঁচ সদস্য ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া (১৫), সাবিনা (০৯) এবং একমাত্র ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭) ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে বিকেল চারটায় ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন:
একুশে ফেব্রুয়ারিতে পতাকা টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু
ডোবার পানিতে ভাসছিল দুই শিশুর মরদেহ
মৌলভীবাজারে দেয়াল ধসে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
মায়ের সাহসিকতায় বেঁচে গেল শিশু, কব্জি বিদ্যুতের তারে
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

মন্তব্য

ফলোআপ
Trawler sinking in Bhairab bodies of three including constable Sohail recovered

ভৈরবে ট্রলারডুবি: কনস্টেবল সোহেলসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

ভৈরবে ট্রলারডুবি: কনস্টেবল সোহেলসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে কনস্টেবল সোহেল রানা। ফাইল ছবি
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে সোমবার সকালে আলাদা স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই তিনজন হলেন পুলিশ কনস্টেবল কুমিল্লার দেবিদ্বারের সোহেল রানা (৩৫), তার ছেলে রাইসুল (৫) ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫)।

এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

গত রোববার বিকেল তিনটার দিকে মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ যৌথভাবে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। তারা হলেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭), ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)। একই দিন দুপুর ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার দিন শুক্রবার একজনের এবং পরের দিন দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন ভৈরব পৌরসভার কমলপুর এলাকার সুবর্ণা বেগম (৩৫), পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী (২৫) ও ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী চন্দন দের মেয়ে আরাধ্য দে (১২)।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে প্রায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে সুন্দরবন নামের পর্যটকবাহী একটি ট্রলার বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।

এ ঘটনায় বাল্কহেডের অজ্ঞাতনামা সুকানি ও ইঞ্জিনচালকের নামে ভৈরব নৌ থানায় একটি মামলা করা হয়।

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৪
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: একজনের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৫ 
পদ্মায় পিকনিকের ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ১০
পদ্মায় পিকনিকের ট্রলারডুবি: আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার  
পদ্মায় পিকনিকের ট্রলারডুবি: আট মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ পাঁচ

মন্তব্য

ফলোআপ
Super Board factory fire under control after 13 hours

১৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুপার বোর্ড কারখানার আগুন

১৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুপার বোর্ড কারখানার আগুন গজারিয়ার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদীর সুপার বোর্ড কারখানাটিতে গতকাল দুপুর একটার দিকে আগুন ধরেছিল। ফাইল ছবি
ঘটনার পরের দিন সোমবার সকাল সাতটার দিকে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর রোববার রাত দুইটার দিকে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আগুন এখন আর বাড়ার বা অন্য ভবনে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই, তবে ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন সম্পূর্ণ নিভতে আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে।’

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় টি কে গ্রুপের সুপার বোর্ড কারখানায় রোববার দুপুরে ধরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।

বাহিনীর ১২টি ইউনিট ১৩ ঘণ্টার চেষ্টায় রোববার রাত দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গজারিয়ার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদীতে সুপার বোর্ড কারখানাটিতে গতকাল দুপুর একটার দিকে আগুন ধরে। এ আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানা যায়নি।

ঘটনার পরের দিন সোমবার সকাল সাতটার দিকে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর রোববার রাত দুইটার দিকে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আগুন এখন আর বাড়ার বা অন্য ভবনে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই, তবে ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন সম্পূর্ণ নিভতে আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে।

‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটের সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে।’

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক জামাল হোসেন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত ১১টাা ৫০ মিনিটের দিকে আমরা আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিলাম। রাত দুইটার দিকে আগুনের তীব্রতা একেবারেই কমে যায়। আমরা চারদিক থেকে আগুনটিকে ঘিরে ফেলি ফলে। তা আর আশপাশের ভবনে ছড়াতে পারেনি। যদি নতুন ভবন বা শেডে আগুন লাগত, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে।

‘আমরা এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি। সে জন্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস এখন আর আগের ফায়ার সার্ভিস নেই। আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং প্রশিক্ষিত জনবলের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক গুণ কমিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে।

‘আমাদের ১২টি ইউনিটের ১৪৭ জন প্রশিক্ষিত কর্মী এখানে কাজ করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় এখন মাত্র তিনটি ইউনিট কাজ করছে। অগ্নিকাণ্ডে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানতে আরও কিছু সময় লাগবে।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার দুপুর একটার দিকে প্রতিষ্ঠানটির পাটের গুদামে আগুন দেখতে পান কর্মরত শ্রমিকরা। সে আগুন নদীতে নোঙর করে রাখা পাটখড়িবোঝাই ট্রলারে লেগে যায়। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে বাহিনীর সদস্যরা অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু করেন।

তারা আরও জানান, প্রতিষ্ঠানের ভেতর পার্টিকেল বোর্ড, পাটখড়ি, প্লাস্টিকের দরজা ও প্লাস্টিকের পাইপের মতো দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন কোম্পানির সাত কর্মী

যা বলছেন কোম্পানির কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি

বিষয়টি সম্পর্কে সুপার বোর্ড কোম্পানির পরিচালক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) শফিউল আতাহার তাসলিম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে আমাদের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ চিত্র নিরূপণ করতে আরও বেশ খানিকটা সময় লাগবে।’

হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, ‘কারখানাটিতে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন। প্রায় ১০ বছর আগেও কারখানাটিতে আগুনের ঘটনা ঘটেছিল।

‘সেবার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যায়। সেই ঘটনার পরও কোম্পানিটি অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা প্রতিরোধে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

তদন্ত কমিটি

আগুনের ঘটনা তদন্তে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
গাজীপুরের বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১৬
গাউছিয়া কাঁচাবাজারে আগুনে পুড়ল ১৮০ দোকান, দাবি ব্যবসায়ীর
পুরান ঢাকায় রাসায়নিক গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
নেত্রকোণায় অগ্নিকাণ্ডে ৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই
ধানমন্ডিতে ভবনের ছাদে অগ্নিকাণ্ড

মন্তব্য

ফলোআপ
Death toll rises to 115 in Moscow concert attack

মস্কোয় কনসার্টে হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩৩

মস্কোয় কনসার্টে হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩৩ ছবি: সংগৃহীত
প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় এখন পর্যন্ত ১১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

কনসার্ট হলে মুখোশ পরা বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে এখন পর্যন্ত ১৩৩ জনে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত কর্তৃপক্ষ আজ শনিবার এ তথ্য বিশ্ব মিডিয়াকে জানিয়েছে।

তদন্তকারী কমিটি আরও জানিয়েছে, এখনও ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উৎসবের আমেজে চলছিল কনসার্ট। সেখানে হামলা হয় দুর্বৃত্তদের। রাশিয়ার মস্কোর এই ঘটনায় পুরো বিশ্ব হতবাক। এই হামলাকে পরিকল্পিত বলছে রাশিয়া।

এদিকে ক্রেমলিনের বরাতে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন সরাসরি জড়িত বলে জানা গেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকেন।

এর আগে প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, হামলায় এখন পর্যন্ত ১১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। তার আগে, নিহতের সংখ্যা ৯৩ জন বলে জানানো হয়েছিল।

এ ঘটনাকে ‘রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলা’ উল্লেখ করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ হামলায় কারা জড়িত তেমন কিছুই নিশ্চিত করেনি।

কয়েক দশকের মধ্যে রাশিয়ায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলোর একটি এটি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, কিউবাসহ বিশ্বনেতারা।

আরও পড়ুন:
হামলার বিষয়ে মার্চের শুরুতে রাশিয়াকে সতর্কবার্তা: যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ায় কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের গুলি, নিহত ৬০

মন্তব্য

ফলোআপ
Body of policemans wife and daughter recovered missing 6
ভৈরবে নৌকাডুবি

পুলিশ সদস্যের স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও ৬

পুলিশ সদস্যের স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও ৬ ভৈরবে মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির পর চলছে উদ্ধার অভিযান। ছবি: নিউজবাংলা
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘সকাল ৮টায় আমাদের ডুবুরি দল অভিযান শুরু করে। দুপুর ১টার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনায় তলিয়ে যাওয়া নৌকাটিও শনাক্ত করা গেছে।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৮ জনের মধ্যে এক কিশোরী ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হলো। শিশু ও নারীসহ আরও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।

শনিবার দুপুর ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মেঘনা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার দুজন হলেন নিহত পুলিশ সদস্য সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী ও মেয়ে মাহমুদা।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকাল ৮টায় আমাদের ডুবুরি দল অভিযান শুরু করে। দুপুর ১টার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনায় তলিয়ে যাওয়া নৌকাটিও শনাক্ত করা গেছে।

‘নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব, নৌ থানা পুলিশ কাজ করছে।’

নিখোঁজ অন্য যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) এবং নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)।

বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক রেজাউল জানান, আপাতত উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে। রোববার সকাল ৭টায় পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।

বিআইডব্লিউটিএর পাঁচজন ডুবুরি, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজনসহ স্থানীয় দুইজন উদ্ধার কাজে অংশ নেন বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুবাহী বাল্কহেডের যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:
ভৈরবে প্রমোদতরি ডুবি: একজনের মৃত্যু, নিখোঁজ আট
শ্যালকের বিয়ে শেষে না ফেরার দেশে দুলাভাই
ব্রহ্মপুত্রের বালু বিক্রি নিয়ে সংঘর্ষে নারী নিহত

মন্তব্য

ফলোআপ
Contact with Somali pirates by ship owner

সোমালি দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষের

সোমালি দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষের ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামের বাংলাদেশি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় জলদস্যুরা। ফাইল ছবি
কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দস্যুদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে, তবে এখনও আলোচনা হয়নি। তাদের সঙ্গে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামের বাংলাদেশি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়া জলদস্যুদের সঙ্গে মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের যোগাযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দস্যুদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে, তবে এখনও আলোচনা হয়নি। তাদের সঙ্গে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

ভারত মহাসাগর সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে ১২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছিল কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পথে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেন সোমালি জলদস্যুরা।

জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা আছে। এতে থাকা ২৩ ক্রুর সবাই বাংলাদেশি।

জাহাজটির অবস্থান এখন কোথায়

পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাহাজটির সবশেষ অবস্থান মনিটর করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পাশাপাশি বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন তথা বিএমএমওএও জাহাজটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে।

জলদস্যুরা এরই মধ্যে জাহাজটিকে নিয়ে কয়েক দফায় ভারত মহাসাগরে স্থান পরিবর্তন করেছে।

জাহাজটির এ গতিপথ ও অবস্থান দেখে বিএমএমওএ বলছে, নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর প্রথমেই জলদস্যুরা বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটিকে দেড় দিনের মাথায় সোমালিয়া উপকূলের কাছাকাছি নিয়ে যায়।

জলদস্যুদের কবলে পড়ার পরের দিন বুধবার এটি ছিল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু উপকূলের কাছাকাছি অবস্থানে। পরবর্তী সময়ে সেটিকে আরও উত্তর দিকে সরিয়ে প্রথমে নেয়া হয় গারদাকে।

এরপরই ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজটি ঘিরে নজরদারি বাড়ালে সেটি আবারও সরিয়ে নেয়া হয় গদবজিরান উপকূলে।

তিন দিন ধরে জাহাজটি একই জায়গায় নোঙর করা ছিল বলে জানায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের ভাষ্য, জাহাজটি গদবজিরান শহর থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী মঙ্গলবার বলেন, ‘এমভি আব্দুল্লাহ যে জায়গায় ছিল গত তিন দিন ধরে সেখানেই আছে। আমরা আশা করছি এখানে থেকেই তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে দেনদরবার শুরু করবে।’

আরও পড়ুন:
জাহাজটিকে অন্য কোথাও সরিয়েছে জলদস্যুরা: কবির গ্রুপ 
জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের দ্রুত মুক্ত করতে চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করছে ‘অপারেশন আটলান্টা’
২৩ নাবিকসহ জাহাজ ফেরত আনার ক্ষেত্রে সময় একটা ব্যাপার
জলদস্যুরা কোনো যোগাযোগ করেনি, মুক্তিপণও চাওয়া হয়নি

মন্তব্য

p
উপরে