বরিশালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বুধবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলা করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান। আরেকটি করা হয়েছে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে।
এসব মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েক শ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক ১৩ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।
তিনি জানান, ইউএনওর মামলায় তার বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর পুলিশের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমণ, জনগণকে লাঞ্ছিত ও ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে।
এসব মামলায় দুপুরে আটক মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু ও রুপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহারিয়ার বাবুসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবনে বেলা পৌনে ১২টা থেকে মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা বেলা ২টার দিকে সরে যান।
এ বিষয়ে ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল, রাতের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের কেউ কেউ ওখানে অবস্থান করছিল। সে জন্য সেখানে যাওয়া। তবে সেখানে গিয়ে সে রকম কাউকে পাওয়া যায়নি এবং কাউকে সেখান থেকে আটকও করা হয়নি।’
যেভাবে সংঘর্ষ শুরু
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে বুধবার রাতে শোক দিবসের ব্যানার খুলতে যান বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা। এ সময় ব্যানার খোলার কারণ জানা নিয়ে ইউএনও মুনিবুর রহমানের সঙ্গে সিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথা-কাটাকাটি হয়।
প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ওই সময় ইউএনওর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে সেখানে উপস্থিত আনসার সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হলে উপস্থিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইউএনওর বাসায় হামলার চেষ্টা চালান। এ সময় আনসার সদস্যরা গুলি ছুড়লে প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ চারজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগ নেতা শাহরিয়ার বাবু, হারুন অর রশিদ ও তানভীরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পর ইউএনও কার্যালয়ের সামনে পুলিশ অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ফের ইউএনওর বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন।
ইউএনও মুনিবুর রহমান বলেন, ‘১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলে করে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আমার কম্পাউন্ডে ঢুকে ব্যানার ছিঁড়তে থাকেন। তাদের বারণ করা হলে তারা আমাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় আমার সেফটির জন্য আনসার সদস্যরা যেটা প্রয়োজন সেটা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘরে আমার বৃদ্ধ বাবা-মা করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে এমন ঘটনায় আমি আতঙ্কিত।’
বরিশালের জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘ব্যানার অপসারণ করতে হলে সেটা আমাদের আগে জানাতে পারত। এখন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত বলেন, ‘ইউএনও মুনিবুর রহমান নিজে বন্দুক নিয়ে গুলি ছুড়েছেন। সিটি করপোরেশনের লোকজন ব্যানার খুলতে আসলে এ আচরণ করেন তিনি। এতে করপোরেশনের কর্মকর্তা স্বপনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে মেয়র মহোদয় এখানে এসে নিজের পরিচয় দিলেও তার ওপর গুলি ছোড়েন ইউএনও।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এনামুল হক বলেন, ‘কিছু স্থানীয় লোকজন সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে রাতে ব্যানার খুলতে আসেন। ইউএনও সাহেব তাদের সকালে আসতে বলেন। কিন্তু তা না করে ইউএনও সাহেবের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তারা।
‘পরে তার বাসায় হামলার চেষ্টা করলে আনসার সদস্যরা গুলি ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’
ঘটনার সময় কোনো বক্তব্য না দিলেও রাত ৩টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিটি মেয়র সাদিক।
তিনি বলেন, ‘বরিশালে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন প্রশাসনের লোকজন, তাতে আমার পদত্যাগ ছাড়া উপায় নেই। আমাকে তারা কাজ করতে দিচ্ছেন না। কার ইশারায় এমনটা করছেন তারা? আমার কাজে মনোনিবেশ করতে পারছি না ওনাদের কারণে। ওনারা সব প্যাকড হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন।’
মেয়র জানান, ব্যানার সরিয়ে নিতে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। যেগুলো সরানো হয়নি, সেগুলো অপসারণে রাতে কাজ শুরু করেন কর্মচারীরা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে তাদের বাধা দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘নগর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের রেগুলার কাজ। সেই অনুযায়ী আমার করপোরেশনের কর্মীরা রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন ব্যানার অপসারণে যান। এ সময় ইউএনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের লোকজনের ওপর গুলি চালান। এতে আমার প্রশাসনিক কর্মকর্তাও আহত হন। গুলিবিদ্ধ হন আরও অনেকে।
‘খবর শোনার পর আমি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের ঘটনাস্থলে পাঠাই বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য। তবে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদেরও গালিগালাজ করেন ইউএনও। পরবর্তীতে আমি ঘটনাস্থলে গেলে আমার ওপরও গুলি চালানো হয়। আমার শরীরেও গুলি লাগে। এর পরই আমার লোকজন আমাকে ঘিরে রাখেন। আমার মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবুকেও আটকে রাখেন।’
মেয়র বলেন, ‘আসলে আমি কষ্ট পেয়ে লজ্জায় সেখান থেকে বাসায় চলে আসি। প্যানেল মেয়রদের রেখে আসি, যাতে সেখানে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। পরে শুনি পুলিশ গিয়ে আমার নেতা-কর্মীদের এলোপাতাড়ি মারধর করেছে।
‘শত শত লোক আহত হয়েছেন। এমন হলে আমি কীভাবে কী করব? আমাকে এমনভাবে কেন টার্গেট করা হচ্ছে? আমাকে কেন কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না? এগুলো আমার প্রশ্ন নয়, নগরবাসীর প্রশ্ন।’
এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান মেয়র সাদিক।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে ভোটগ্রহণ শেষে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. রেদোয়ান খান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জি. কে. গউছ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজাসহ বিএনপির অন্যান্য নেতারা।
ফলাফলে সভাপতি পদে মো. জয়নাল আবেদীন বাচ্চু ৪৯৩ ভোট, সিনিয়র সহসভাপতি পদে মো. আব্দুল জলিল জামাল ৩৬০ ভোট, সাধারণ সম্পাদক পদে বদরুজ্জামান সজল ৩৯২ ভোট, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কমর উদ্দিন আহমদ কমরু ৪১৮ ভোট এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. আব্দুল মুক্তাদির মনু ৩২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন পর হওয়া এ নির্বাচনী কাউন্সিলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।
আগামীকাল ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ দুপুর ২:০০ টা থেকে পদ্মা সেতুতে লাইভ পাইলটিং আকারে চালু হচ্ছে আধুনিক নন-স্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) সিস্টেম। এ সিস্টেমের মাধ্যমে গাড়ি থামানো ছাড়াই নির্ধারিত লেন ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল পরিশোধ করে সেতু পার হওয়া যাবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান-এর বিশেষ নির্দেশনায় পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) সিস্টেম চালু হচ্ছে।
ইটিসি সিস্টেমে আগ্রহী ব্যবহারকারীগণকে প্রথমে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এর TAP অ্যাপ-এ গিয়ে “D-Toll” অপশনে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন ও রিচার্জ সম্পন্ন করতে হবে। এরপর পদ্মা সেতুর RFID বুথে শুধু প্রথমবারের মতো RFID ট্যাগ চেক ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গাড়ি ব্যবহারকারীগণ ন্যূনতম ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ETC লেন ব্যবহার করতে পারবেন। এ সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর একাউন্ট থেকে নির্ধারিত টোল কর্তন হবে।
ভবিষ্যতে TAP এর পাশাপাশি অন্যান্য ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপও এই সেবার সঙ্গে যুক্ত হবে মর্মে আশা করা যায়। TAP সহ বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য কাজ করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের a2i (এটুআই)।
আনোয়ারা উপজেলায় লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং কর্ণফুলীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
রোববার সকালে উপজেলার রায়পুর গাউছিয়া হাশেমীয়া আলিম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে মাদ্রাসার এক হাজারের অধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য বিনা মূল্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়।
সেবার মধ্যে ছিল রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিস পরীক্ষা, চক্ষু পরীক্ষা, ক্যান্সার সচেতনতা ও প্রাথমিক পরীক্ষা এবং ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াবিষয়ক পরামর্শ।
অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সোলাইমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের জেলা গভর্নর লায়ন মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ অপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রথম সহকারী জেলা গভর্নর লায়ন মো. কামরুজ্জামান লিটন, দ্বিতীয় সহকারী জেলা গভর্নর লায়ন মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং কর্ণফুলীর সভাপতি লায়ন মো. ইকবাল হোসেন সুমন, রায়পুর গাউছিয়া হাশেমীয়া আলিম মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ ফয়সাল মিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের জেলা গভর্নর লায়ন মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ অপু। তিনি বলেন, লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী ২১২টি দেশে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও আমরা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করছি। এ স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি তারই অংশ। পাশাপাশি আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। এই ধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
কুমিল্লা নগরীর শান্ত ভোর মুহূর্তেই পরিণত হচ্ছে ছিনতাই আতঙ্কে। শহর পুরোপুরি ঘুম থেকে জাগার আগেই সকালের পথচারী ও বিভিন্ন পেশাজীবীরা পড়ছেন ছিনতাইকারীদের খপ্পরে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরের ফাঁকা সড়ককে টার্গেট করছে ছিনতাইকারীরা। মোটরসাইকেলে এসে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মুহূর্তেই লুটে নিচ্ছে সর্বস্ব। কখনো কখনো তারা টার্গেট করা ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহতও করছে। এতে নগরবাসীর মধ্যে তীব্র উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মঈনুল ইসলাম ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পথে একটি সিএনজিতে উঠতেই তিনি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। সিএনজির ভেতরে থাকা দুই ব্যক্তি ছুরি ধরে মঈনুলের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং আঘাত করে আহত করে। থানায় গেলেও আশানুরূপ সহযোগিতা পাননি তিনি। শুধু একটি মোবাইল ফোন হারানোর সাধারণ ডায়েরি করতে বলা হয়। এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো ছিনতাইকারীরা ধরা পড়েনি।
দেড় মাস আগে কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে একইভাবে ছিনতাইয়ের শিকার হন কালীপদ দেবনাথ ও তার বন্ধু পলাশ দে। সালাউদ্দিন মোড়ে অস্ত্রের মুখে তাদের কাছ থেকেও মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। থানায় অভিযোগ করা হলেও সেই চক্রও এখনো ধরা পড়েনি।
গত কয়েক মাস ধরে নগরীতে ভোর হলেই এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। থানায় ও গণমাধ্যমে এসব বিষয়ে নিয়মিত মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ আসছে। তবে অনেকেই ঝামেলা এড়াতে ঘটনাগুলো গোপন রাখছেন।
নগরীর ঠাকুরপাড়া বিসিক এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, ভোর হলেই ঠাকুরপাড়া ও রানীরবাজার এলাকার বিভিন্ন মোড়ে ছিনতাইকারীরা ওৎ পেতে থাকে। রিকশায় বা হেঁটে যাতায়াতকারী কাউকে দেখলেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় তারা।
সম্প্রতি পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে ছিনতাইয়ের একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রোববার রাত সোয়া ৩টার দিকে মোটরসাইকেলে আসা তিন ছিনতাইকারী এক অটো রিকশা যাত্রীর মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে।
৭ আগস্ট ভোরে টমছম ব্রিজ সংলগ্ন কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার পাশে এক মাদ্রাসার শিক্ষক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। দুর্বৃত্তরা তার কাছ থেকেও নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এর আগে, ৪ আগস্ট ভোরে শাসনগাছা এলাকায় চান্দিনার বাসিন্দা ইব্রাহীম একইভাবে ছিনতাইয়ের শিকার হন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে নগরীতে কুড়িটির বেশি ছিনতাইকারী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা জোগাড় করতেই তারা ছিনতাইয়ে জড়াচ্ছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।
এদিকে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার বেশিরভাগই অকার্যকর। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এসব ক্যামেরা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম স্বীকার করেছেন- নগরীতে ছিনতাই বেড়েছে এবং ছিনতাইকারী ধরা পড়েছেও। তিনি জানান, গত এক বছরে ৪০ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য, গাড়ি ও কার্যকর সিসিটিভি না থাকায় টহল জোরদার করা যাচ্ছে না। লজিস্টিক সহায়তা বাড়ানো গেলে ছিনতাই প্রতিরোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হতো।
রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শুক্রবার বিকাল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানাধীন তারাবো ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। বাল্কহেডের সাথে নৌকার সংঘর্ষের ফলে ৮ জন মাদ্রাসার ছাত্রসহ নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়। অতঃপর ৮ জনের মধ্যে ৬ জন জীবিত উদ্ধার হলেও ২ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। উক্ত বিষয়টি জনৈক এক ব্যক্তি কোস্ট গার্ড কে অবগত করে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা কর্তৃক একটি উদ্ধারকারী দল অতি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান আরম্ভ করে। পরবর্তীতে আজ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শনিবার বিকাল ৫ টায় কোস্ট গার্ড উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ ২ কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত মৃতদেহ ২ টি অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ডেমরা নৌপুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
কুষ্টিয়ার পৌর কবরস্থানে বাবা মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ‘লালন সম্রাজ্ঞী’ খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। ফরিদা পারভীনের শেষ ইচ্ছানুযায়ী তাকে কুষ্টিয়ায় তার বাবা মায়ের কবরে দাফন করা হয়েছে।
রবিবার এশার নামাজের শেষে রাত সাড়ে ৮টায় কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানের জানাযার স্থানে জানাযা শেষে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের জানাযায় অংশ নেন কবি চিন্তক ফরহাদ মজহার, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মাদ আরেফিনসহ কুষ্টিয়ার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী, ললন ভক্ত, অনুরাগীসহ সাধারণ মানুষ।
এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে কুষ্টিয়ায় নিয়ে আসা হয় লোক সংগীতের বরেণ্যশিল্পী ফরিদা পারভিনকে।
গত শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায় জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। গানে তাঁর যাত্রা শুরু হয় মাগুরা জেলায় মাত্র চার-পাঁচ বছর বয়সে, ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে। এরপর রাজশাহী বেতারে ১৯৬৮ সালে তালিকাভুক্ত নজরুল সংগীতশিল্পী হিসেবে যুক্ত হন।
স্বাধীনতার পর কুষ্টিয়ায় বসবাসকালে তাঁর সংস্পর্শে আসে লালন সংগীত। ১৯৭৩ সালে মোকছেদ আলী সাঁইয়ের কাছ থেকে ‘সত্য বল সুপথে চল’ গানটি শেখার মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর লালনগীতির যাত্রা। এরপর খোদা বক্স সাঁই, ব্রজেন দাস, বেহাল সাঁই, ইয়াছিন সাঁই এবং করিম সাঁইয়ের কাছ থেকেও তিনি তালিম নেন।
বিদায় বেলায় ফরিদা পারভীন রেখে গেলেন স্বামী ও চার সন্তানকে। তবে তার গানের ভুবন ও লালনচর্চার উত্তরাধিকার বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে চিরকাল বেঁচে থাকবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষ কারো চাকরি করার জন্য জন্মায়নি, মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। তাই দেশে এমন আর্থিক ব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবে যেন সবাই উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ পায়।
আজ রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খিলজি রোডে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘মানুষ কারো চাকরি করার জন্য আসে নাই। মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে সবাই উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে।’
তিনি বলেন, এখনকার প্রজন্ম আগের মতো নয়। এখন গ্রামের ছেলেমেয়েরাও অনেক কিছু বোঝে, জানে, নিজস্ব চিন্তাভাবনায় সমৃদ্ধ। কাজেই এদের জন্য এমন একটি আর্থিক ও সামাজিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে তারা নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করতে পারে, চাইলে এককভাবে কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি একটি কাঠামো তৈরি করতে পারি যেখানে মানুষ নিজের উদ্যোগ শুরু করতে পারবে, এমনকি চাইলে বিনিয়োগকারী হিসেবেও যুক্ত হতে পারবে—তাহলে এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন সম্ভব।’
অধ্যাপক ইউনূস মনে করেন, যে কেউ চাইলে প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারবে, আবার ইচ্ছা করলে ব্যক্তি উদ্যোগেও এগিয়ে যেতে পারবে। এমনকি কেউ চাইলে বিনিয়োগ সংগ্রহ করে নিজ এলাকায় উদ্যোগ পরিচালনা করতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সামনে অগ্রসর হতে চাই। পরীক্ষামূলকভাবে দেখা যেতে পারে কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ। কিন্তু ইতোমধ্যে কয়েক লাখ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে, যাদের অনেকে ছেলে-মেয়ে মিলে দলগতভাবে কাজ করছে।’ তিনি বলেন, এই অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে এর সম্প্রসারণ ঘটানো সম্ভব।
পিকেএসএফ-এর জন্ম ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকিয়ে ইউনূস বলেন, এর সূচনা হয়েছিল অনেকটা ঘটনাচক্রে। ‘বিশ্বব্যাংক ২০ কোটি টাকা দিচ্ছিল, তা নিয়ে নানা পর্যায়ে চিঠিপত্র চালাচালি হচ্ছিল। আমি বলেছিলাম, এই চিঠিগুলো সংরক্ষণ করা হোক, এগুলো ইতিহাস। এই টাকা ঘিরেই সরকার, পরিকল্পনা কমিশন, দাতা সংস্থা—সবাই মিলে মতবিনিময় করেছে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ পর্যন্ত নিজে তাতে যুক্ত হয়েছেন।’
ড. ইউনূস বলেন, এই ২০ কোটি টাকা না এলে পিকেএসএফ হয়তো গঠিত হতো, কিন্তু এভাবে হতো না। তিনি জানান, সেসময় গঠন করা হয় একটি কমিটি, যার সভাপতি হন তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এবং আমি নিজে সদস্য হই। প্রস্তাবনার ভিত্তিতে একটি নাম ঠিক হয়—পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, প্রাথমিকভাবে পিকেএসএফ যে উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল, তা সময়ের সঙ্গে আরও বিস্তৃত হয়েছে। তবে বিভিন্ন সময় কাঠামোগত ও নীতিগত চ্যালেঞ্জ এসেছে। বিশেষ করে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) এর-সঙ্গে কিছু দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যেটা দূর করা জরুরি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো মাইক্রোক্রেডিট দিচ্ছি না। আমরা অংশীদার হই উদ্যোক্তার সঙ্গে। তাই এই কাঠামোকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, এখন সময় এসেছে এমন একটি আর্থিক কাঠামো দাঁড় করানোর, যেখানে প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যক্তি উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে হবে। ‘আমরা ব্যবসার পার্টনার হতে চাই। কেউ যদি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আসে, আমরা তার সঙ্গে অংশীদার হব। শুধু ঋণ নয়—সোজা বিনিয়োগ। সে যদি পাঁচ লাখ টাকা চায়, আমরা দেব। তবে বিনিময়ে আমাদের শেয়ার থাকবে।’
এই মডেলে উদ্যোক্তা সফল হলে ধীরে ধীরে পুরো মালিকানা নিজের হাতে নিতে পারবে—এই ধারণার ভিত্তিতে তিনি একটি কাঠামো প্রস্তাব করেন, যেটি যৌথ মালিকানা থেকে সম্পূর্ণ মালিকানায় রূপান্তরযোগ্য।
তিনি বলেন, ‘সে যদি ভালো করে, তাহলে আমাদের অংশ ক্রয় করে নিয়ে নিতে পারবে। আমরা চাই সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে সহায়তা করতে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তালিকা করে রাখিনি, কিন্তু বহু রকমের উদ্যোক্তা গড়ে উঠেছে। প্রযুক্তি এখন বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা প্রত্যেক ব্যক্তিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে পারি। সে যে পথেই যেতে চায়, সেই সুযোগ করে দিতে হবে।’
বর্তমান আইন কাঠামো যে প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছিল তা আজকের বাস্তবতায় অনেকাংশে প্রয়োজনীয়তা হারিয়েছে এমন মন্তব্য করে ইউনূস বলেন, ‘৮০ দশকের যে আইন, তা আজকের উদ্যোক্তা ব্যবস্থার সাথে খাপ খায় না। বিশেষ করে পিকেএসএফ-এর নিজস্ব আইন, সেটাকে সংস্কার করে সম্প্রসারিত করা যেতে পারে। নানামুখী কর্মসূচি সংযোজনের সুযোগ আছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ভবনের যাত্রা হোক পিকেএসএফ-এর নতুন দিগন্তের সূচনা। দীর্ঘ ৩৫ বছরের যাত্রায় যা অর্জিত হয়েছে, তা একটি শক্ত ভিত। এখন সময় এসেছে বড় পরিসরে যাওয়ার।’
তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘টাকার কোনো অভাব হবে না। আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ওপর আস্থা আছে। আমরা যদি একটি সমন্বিত ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম দাঁড় করাতে পারি, তাহলে সত্যিকারের উদ্যোক্তা তৈরির যে স্বপ্ন—তা বাস্তবায়ন সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ,পিকেএসএফ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য