সুনামগঞ্জের শাল্লায় এসআই শাহ আলীকে মারধরের ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মারধরের মামলার আসামি যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপুর সঙ্গে ওসি নূরে আলমের একটি ফোন কলের রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার পর তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
বৃহস্পতিবার রাতে এসপি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সম্প্রতি শাল্লা থানার ওসির একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় তাকে ক্লোজ করে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
ঘটনার দিনের ভাইরাল হওয়া ফোন রেকর্ডটিতে অপু ও ওসি নূরের কথোপকথনটি ছিল-
ওসি- ‘অপু দা।
অপু- ‘জি ভাই, কোন জায়গায় আছেন এখন?
ওসি- ‘আমি এই যে রওয়ানা দিছি।
অপু- ‘কথা কইলাইন (বলেন) তাইলে দাদার সাথে’। তখন দাদা সম্বোধনকারী ব্যক্তি ওসিকে বলেন, ‘আদাব’।
ওসি- ‘আদাব দাদা।
‘দাদা’- ‘আপনি যেটা বলছিলেন, ওই যে শাহিদ আলীর (শাল্লা সদরের শাহিদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়) পিছে আপনার দারোগারে মন-ইচ্ছামতো দিছি।
ওসি- ‘হুম।
দাদা- ‘দুইজন লোক আসায় বাইচ্চা গেছে। নাইলে জানে শেষ করে দিতাম। আমরার দিকে একটু খেয়াল করইন যে, আমরার যেন কোনো সমস্যা না হয়।
ওসি- ‘আরেহ দূর সমস্যা না।’
ওই অডিও ফাঁস হওয়ার পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। আসামি অপুর জামিন নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
এর আগে ১২ জুলাই রাতে এসআই শাহ আলীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন দুর্বৃত্তরা। অভিযোগ ওঠে যুবলীগ নেতা অপু মারধরে নেতৃত্ব দেন। ওইদিন রাতেই অপুকে আটক করে পুলিশ।
শাহ আলী পরে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় ৮ আগস্ট অপুকে জামিন দেয় আদালত।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদের মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া ২০ জেলে ও মাঝি-মাল্লাকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এ সময় তাদের ব্যবহৃত দুটি বোট ও ১৩টি নৌকাসহ জালও নিয়ে গেছে তারা।
সোমবার বিকেলে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের অদূরে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় বঙ্গোপসাগর থেকে ওইসব জেলে ও মাঝি-মাল্লাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘আবারও বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করে মাছ ধরার ১৫টি নৌকাসহ ২০ জেলে ও মাঝি-মাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি।
‘এর আগে মিয়ানমারের নৌবাহিনী বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন জেলেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। সে সময় একজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এসব ঘটনায় টেকনাফে জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনটি বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘মাছ ধরার ট্রলারসহ ২০ জেলে ও মাঝি-মাল্লাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবহিত হয়েছি। এ ঘটনায় আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।’
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে নাফ নদ মোহনা হয়ে বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া নামক জায়গায় মাছ ধরতে যাওয়া ১৫টি নৌকা মাছ শিকারে যায়। এ সময় মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সদস্যরা ওইসব নৌকা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে। এতে জেলেদের পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ বলেন, ‘আমার এলাকার ১৫টি নৌকা নাফ নদে মাছ ধরতে গেলে তাদের ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। নৌকার মালিক পক্ষ থেকে প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।’
এর আগে ৯ অক্টোবর টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট থেকে মাছ ধরার ছয়টি ট্রলারে ৫৮ জন জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় জেলে ও মাঝি-মাল্লাদের অপহরণ করে সে দেশের নৌবাহিনী। সে সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিডবোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে এক জেলে নিহত ও দুই জেলে আহত হন। পরে আটক অন্য জেলেদের ফেরত দেয়া হয়। ওই ঘটনায় সে সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।
এছাড়া ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত আনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আরও পড়ুন:নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার কারণে এক কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
প্রাণ হারানো কিশোরীর বয়স ১৭ বছর।
পরিবারের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিশোরীর ছবি ও ভিডিও ছড়াচ্ছিলেন তার সাবেক স্বামী হেলাল উদ্দিন সরদার (২৭)।
কিশোরীর বাবা জানান, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় সোমবার রাতে অভিমান করে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিশোরী। পরে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দুইটার দিকে মারা যায় সে।
কিশোরীর বাড়ি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গ্রামে। অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন সরদারের বাড়ি একই উপজেলার আঁকনা গ্রামে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আঁকনা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলাল উদ্দিন সরদারের সঙ্গে একই এলাকার মালশন গ্রামের ওই কিশোরীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সাত মাসের মাথায় কলহের জেরে গত ৭ জুলাই তাদের বিয়েবিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকেই হেলাল ফেসবুকে একটি আইডি খুলে সেখানে তার সাবেক স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে থাকেন।
পরিবার ও স্থানীয়রা আরও জানায়, শুধু ফেসবুকই নয়, হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন হেলাল। এমনকি সাবেক স্ত্রীর হোয়াটসআ্যপে এসব ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে তাকে উত্যক্ত করেন তিনি। পরে কিশোরী তার ব্যবহৃত ফোনটি ভেঙে ফেলেন।
ঘটনাটি পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে অভিমান করে সোমবার রাত আটটার দিকে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিশোরী। পরে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
কিশোরীর বাবা বলেন, “আমার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকেই হেলাল নানাভাবে বিরক্ত ও উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তার নামে ফেসবুক আইডি খুলে নানা রকম ছবি ও ভিডিও পোস্ট করত। আমার মেয়েকেও হোয়াটসঅ্যাপে সেসব দিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বলত, ‘তোর জীবন শেষ করে দিব।’ এসব জানাজানি হলে আমার মেয়ে সবার অজান্তে ঘরে বিষ খায়।
“হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মেয়েটা মারা যায়। এসব ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। অপমান ও অভিমানে মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে। হেলালসহ যারাই জড়িত থাক, তাদের সবার কঠিন শাস্তি চাই। আমরা থানায় মামলা করব।’
এদিকে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন সরদারের পরিবারের লোকজন। গ্রামের বাড়ি আঁকনাতে গিয়েও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত মালয়েশিয়াপ্রবাসী হেলালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফজলুল হক নয়ন বলেন, ‘(কিশোরীকে) বিষ পান করার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা পর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা প্রদান করেছি।
‘পরবর্তীতে রাজশাহী বা বগুড়া নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলাম, তবে এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘মালশন গ্রামের একজন বিষ পান করে। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
‘যেহেতু নওগাঁ সদর হাসপাতালে মারা গেছেন, যার কারণে সদর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন:৩০ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় হরিপুরের সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ৭ নম্বর গ্যাসকূপ। তারপর চলতি বছর এ কূপে পুনর্খনন করে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার পর এবার জাতীয় গ্রিড লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে সঞ্চালন শুরু হয়েছে।
জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সোমবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করা হয় এ কূপের গ্যাস। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৮ মিলিয়ন (৮০ লাখ) ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে আসছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। এবার আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়ল।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৮৬ সালে এই কূপ খনন করা হয়। ১৯৮৭ সাল থেকে ২ হাজার মিটার গভীরে তেল পাওয়া যায়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেল উৎপন্ন করা হয়। এরপর ২০০৪ সালে ওয়ার্ক ওভার করে ১৯০০ মিটার গভীরে গ্যাস মেলে। গত জুন মাসে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
‘জুলাইয়ে ফের ওয়ার্ক ওভারে গেলে ১২০০ মিটার গভীরে ৯০ থেকে ৯৫ বিলিয়ন কিউসেক ঘনফুট গ্যাসের মজুত পাওয়া যায়। এ গ্যাস আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত উত্তোলন করা যাবে।’
দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় পর মঙ্গলবার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই।
‘খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো মঙ্গলবার থেকে উন্মুক্ত হবে। ফলে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন।’
এর আগে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। এতে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় সাজেকে পর্যটকদের প্রবেশ।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সাজেকে মোট ১২০টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী সাজেক ছেড়ে চলে গেছেন।
এ ছাড়া সহিংসতার জেরে ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র গমনে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় প্রশাসন।
পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘এখানকার পর্যটন খাতের সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এ খাতে অনেকে বেকার হয়ে পরেছে। পর্যটন চালু হওয়ায় খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।’
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সাজেকে যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক হয়ে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে সাজেকেও পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।’
তিনি আরও জানান, এক মাস পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১৫ কোটি টাকার।
আরও পড়ুন:মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে ঝালকাঠিতে মামলার সংখ্যা, জরিমানাকৃত অর্থের পরিমাণ, কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের সংখ্যা ও নৌযান নিলামে আছে কি না, সেসব তথ্য জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে সোমবার জানতে চেয়েছিল নিউজবাংলা, কিন্তু ১৮ ঘণ্টা পার হলেও সে সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারেননি রবিউল ইসলাম নামের এ কর্মকর্তা।
ইলিশ রক্ষায় সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ওপর টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। গত রোববার রাত ১২টার পর শেষ হয় এ নিষেধাজ্ঞা।
ওই নিষেধাজ্ঞা শেষে ঝালকাঠিতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে মামলা, জরিমানার টাকা, কারাদণ্ড ও নৌযান নিলামের বিষয়ে জানতে চেয়ে সোমবার বিকেল ৪টা ৫৬ মিনিটে এ প্রতিবেদক জেলা মৎস্য কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠান।
সে বার্তা পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে রবিউল ইসলাম সাড়া দিলেও মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তিনি ওই তথ্য দিতে পারেননি।
অভিযানের তথ্য দিতে না পারার কারণ জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
এর আগে নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনগুলোতে ঝালকাঠি জেলায় মৌসুমি জেলেদের কারাদণ্ড, জরিমানা, জাল জব্দ, কর্মকর্তাদের তৎপরতার ছবিগুলো ফেসবুকে প্রকাশ করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল। সে সংক্রান্ত খবরের লিংকগুলোও তিনি শেয়ার করেন, কিন্তু অভিযানের নানা দিকের সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে পাওয়া যায়নি তার কাছ থেকে।
অভিযানে শৈথিল্যের অভিযোগ
স্থানীয় কয়েকজন জেলে ও নদীতীরের বাসিন্দার অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার সময়ে ঢিলেঢালা অভিযান চালায় ঝালকাঠি জেলা মৎস্য অফিস।
জেলে রফিকুল ইসলাম, রাজীব মৃধা ও ফরিদ হাওলাদার এবং নদীর তীরের বাসিন্দা নান্টু সেলিম ও মাহফুজের ভাষ্য, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মৎস্য দপ্তরের ঢিলেঢালা অভিযানের কারণে ২২ দিনই অব্যাহত ছিল মৌসুমি জেলেদের ইলিশ ধরা।
জেলে ও স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার দুপুরে খুদেবার্তা পাঠানোর পাশাপাশি কল করা হয় ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে।
এ কর্মকর্তার কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে খুদেবার্তা ও কলের উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে একটি খুদেবার্তা পাঠিয়ে আগামী সোমবার এ প্রতিবেদককে তার দপ্তরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
কাঙ্ক্ষিত মাছ পাচ্ছেন না জেলেরা
স্থানীয় জেলেরা জানান, ঝালকাঠিতে গত এক সপ্তাহ ধরে জাল, ট্রলার, নৌকাসহ মাছ ধরার সব উপকরণ মেরামত করে প্রস্তুতি ও স্বপ্ন নিয়ে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে জাল ফেলেন তারা। তাদের আশা ছিল প্রচুর পরিমাণে মাছের দেখা পাওয়ার, কিন্তু মাছের আনাগোনা কম দেখা গেছে।
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে ছুরিকাঘাতে আহত যুবক শুভ বেপারির (২৩) মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে রামগোপালপুর এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ওই যুবক।
নিহত শুভ মিরকাদিমের কালিন্দীপাড়া এলাকার মুকুল বেপারীর ছেলে।
তার বাবা মুকুল বেপারি ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘শনিবার রাতে আমাদের সাথে বাড়িতেই অবস্থান করছিল শুভ। তখন স্থানীয় নাজমুল নামে একজনকে কয়েকজন আটকে রেখেছে, এ রকম খবর পেয়ে আমার ছেলে রামগোপালপুর চিশতী বাড়ির সামনে যায়। সেখানে ফয়সাল নামের একজন তাকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে।
‘পরে ছুরিকাঘাতের খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে মারা যায়। ওর পেটে ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে কাপড়ের ব্যবসা করত। কারও সাথে শত্রুতা নাই।
‘কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটাল, আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে বিল ভাউচার, কোথাও কোথাও নামমাত্র বাস্তবায়ন, কোথাও আবার কৃষকের ফসলি জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রদর্শনী দেখিয়ে বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠা কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে এ বদলি করা হয়।
এ আদেশের এক কপি এসেছে এ প্রতিবেদকের হাতে।
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদও বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তার নাম সুমন কুমার সাহা, যিনি ২০২৩ সালের ১৭ মে থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।
এ কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে গত ২ নভেম্বর ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। এরপর ৩ নভেম্বর তাকে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
তাড়াইল উপজেলায় পাঁচটি প্রকল্পে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুমন সাহা প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষি কর্মকর্তার দাবি, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সব উপকরণ বিতরণ করেন তিনি। যদিও তার এমন দাবি নাকচ করেছেন সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য, কোনো প্রদর্শনীর বরাদ্দের পরিমাণ জানেন না তারা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য