রাজধানীর কদমতলীতে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধারের পর গ্রেপ্তার মেহজাবিন মুন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, মেহজাবিন তার বাবা, মা ও ছোট বোনকে হত্যার পর শনিবার সকালে নিজেই পুলিশের কাছে ফোন করেন। মেহজাবিনের ঘুমের ওষুধ মেশানো পানীয় খেয়ে তার দাদি, স্বামী ও সন্তানও অচেতন হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকা থেকে শনিবার সকালে মাসুদ রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম এবং তাদের ছোট মেয়ে ২১ বছরের জান্নাতুল মহিনীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর মধ্যে ৫০ বছর বয়সী মাসুদ রানা সৌদি প্রবাসী ছিলেন, ছুটিতে দেশে আসেন কয়েক মাস আগে।
ঘটনাস্থল থেকে মেহজাবিন মুনকে গ্রেপ্তার এবং তার দাদি, স্বামী শফিকুল ইসলাম ও পাঁচ বছর বয়সী সন্তান তৃপ্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিন জনকে হত্যা করার পর মেহজাবিন নিজেই ৯৯৯ এ কল করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তিনি আত্মসমর্পণ করে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। মেহজাবিন হত্যার কিছু কারণ বলেছেন, আমরা সেগুলো যাচাই বাছাই করছি।’
পুলিশের কয়েক জন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে জানান, জটিল পারিবারিক জটিলতার জের ধরে বাবা, মা ও বোনকে হত্যা করেন মেহজাবিন। এজন্য শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চা পান করিয়ে বাড়ির সদস্যদের অচেতন করা হয়। পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় তিন জনকে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে বাবা-মা, বোন, দাদি, স্বামী ও মেয়েকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান পরিবারের বড় মেয়ে মেহজাবিন। অচেতন হওয়ার পর বাবা মাসুদ রানা, মা মৌসুমি ও ছোটবোন জান্নাতুলকে রশি, ওড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে ফেলেন তিনি। পরে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তবে বাসার সবাইকে অচেতন করলেও স্বামী-সন্তান ও দাদিকে হত্যা করেননি মেহজাবিন।’
পরদিন সকাল ১০টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করেন মেহজাবিন। এরপর পুলিশ গিয়ে তিনজনকে মৃত অবস্থায় পায় এবং তিন জনকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় মেহজাবিনকে।
হাসপাতালে ভর্তি তিন জনের মধ্যে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন আছেন। তার পাঁচ বছরের মেয়ে ও দাদি আশঙ্কামুক্ত বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরদার রোডের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন মাসুদ রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা। বড় মেয়ে মেহজাবিন তার স্বামী ও সন্তান নিয়ে অন্যত্র থাকেন। স্বজনেরা জানান, শুক্রবারই তারা মাসুদ রানার বাড়িতে আসেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন মাসুদ ও তার পরিবার। দুই কক্ষের ফ্ল্যাটটির দরজা খুলতেই প্রথম কক্ষ, সোজা সামনে গেলেই আরেকটি কক্ষ। ভেতরের কক্ষের মেঝেতে পড়েছিল মাসুদ রানা, তার স্ত্রী ও ছোট মেয়ে জান্নাতুলের হাত-পা বাঁধা মরদেহ। শ্বাসরোধ করে হত্যা করায় প্রত্যেকের নাক ও মুখে রক্তের দাগ দেখা গেছে।
রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
কেন এই হত্যা?
কদমতলী থানার কর্মকর্তারা জানান, মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা সৌদি আরবে থাকেন। কয়েক মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। সৌদি আরবে মাসুদ রানার আরও এক স্ত্রী রয়েছে। তিনি দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর খুব একটা নিতেন না।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেহজাবিন জানিয়েছেন, মাসুদের স্ত্রী মৌসুমী নিজের মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতেন। বড় মেয়ের বিয়ে হওয়ার পর ছোট মেয়েকে এই কাজে নামান তিনি। ছোট বোন জান্নাতুলের সঙ্গে মেহজাবিনের স্বামীরও সম্পর্ক ছিল। এসব নিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন মেহজাবিন।
নিহত মৌসুমি ইসলামের বোন ইয়াসমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের সঙ্গে ছোট বোন জান্নাতুলের সম্পর্ক ছিল। এটি পরিবারের সবাই জানত। এ নিয়ে অশান্তি চলছিল।’
এছাড়া শফিকুল টাকা দেয়ার জন্য মেহজাবিনের মাধ্যমে তার বাবা-মাকে চাপ দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেন ইয়াসমিন।
নিহত মৌসুমির আরেক বোন সোনিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেহজাবিনের ছোট বোনের সঙ্গে শফিকুলের সম্পর্ক নিয়ে পারিবারিক ঝামেলা ছিল। শফিকুল তার একটি মামলা শেষ করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা এনে দিতে মেহজাবিনকে চাপ দিচ্ছিল। এ নিয়ে আমার বোন (মৌসুমি) কান্নাকাটি করেছে আমাদের সামনে।’
মৌসুমীর দুই বোনের দাবি, তাদের বোনজামাই শফিকুলই সবাইকে সবাইকে হত্যা করেছে। এরপর নিজের মেয়েকে জিম্মি করে মেহজাবিনকে দিয়ে ৯৯৯ এ কল করিয়েছে।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার শনিবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহতদের লাশ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গের পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।
এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।
পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।
মন্তব্য