× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফলোআপ
যে বাড়িতে ছিলেন ত্ব হারা যা জানালেন গৃহকর্তী
google_news print-icon

যে বাড়িতে ছিলেন ত্ব-হারা, যা জানালেন গৃহকর্ত্রী

যে-বাড়িতে-ছিলেন-ত্ব-হারা-যা-জানালেন-গৃহকর্ত্রী
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পিয়ারাপুর গ্রামের এই বাড়িতে সাত দিন অবস্থান করেছেন ত্ব-হা ও তার তিন সঙ্গী। ছবি: নিউজবাংলা
সিয়াম ও ত্ব-হা একেবারে শৈশব থেকে বন্ধু। কিন্ডারগার্টেন থেকে এইচএসসি পর্যন্ত একসঙ্গে পড়েছেন রংপুরে। তখন সিয়ামরা রংপুরে ভাড়া থাকতেন। ত্ব-হার মা আজেদা বেগম ও সিয়ামের মা নিশাত নাহার রংপুরে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল দিয়েছিলেন। সেখানে শিক্ষকতা করেছেন নিশাত। তবে সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। বছর পাঁচেক আগে তারা গাইবন্ধায় ফিরে আসেন। তারা গাইবান্ধায় চলে আসার পর ত্ব-হা একাধিকবার এসেছেন বাড়িটিতে; কখনও সিয়ামের সঙ্গে, কখনও এসেছেন একাই।

ক্রিকেটার থেকে ইসলামি বক্তা বনে যাওয়া আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান গাইবান্ধার যে বাড়িতে তিনজন সঙ্গীকে নিয়ে সাত দিন অবস্থান করেছেন, সেটি খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। এটি তার ছোটবেলার বন্ধু সিয়াম ইবনে শরীফের বাবার বাড়ি।

বাড়িটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পিয়ারাপুর গ্রামে। জেলা শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরের এই বাড়িটি আকারে বিশাল। সেখানে কক্ষ আছে সাতটি, প্রতিটিই পরিপাটি করে সাজানো।

এই বাড়িতে মানুষের আনাগোনা কম, গাছগাছালি, ঝোপঝাড়ে ভরপুর বাড়ির চারপাশ। অনেকটাই নির্জন।

ছায়াঘেরা বাড়িটিতে অন্ধকার নামে একটু আগেভাগেই। আশপাশে বাড়িঘর থাকলেও এই বাড়িটি অনেক বড়, আর সেখানে প্রতিবেশীদের যাতায়াতও কম।

গত ১০ জুন ত্ব-হা ঢাকায় আসছিলেন বলে জানিয়েছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন্নাহার। তবে রাত ২টা ৩৮ মিনিটের পর তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যান। তবে পুলিশ এই ডায়েরি নেয়নি।

তবে তার মা আজেদা বেগমের ডায়েরি নিয়েছে রংপুর পুলিশ। আর এই তরুণের অন্তর্ধান নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে শুক্রবার তিনি রংপুর আবহাওয়া অফিসের পাশে তার প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে ফিরে আসেন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। আর রাতে রংপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে মায়ের জিম্মায় বাড়ি ফিরে যান।

পুলিশ প্রথমে জানায়, ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা এই কয়দিন ছিলেন গাইবান্ধায় বন্ধুর বাড়িতে। পরে আদালতে দেয়া জবানবন্দিতেও বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। ব্যক্তিগত কারণে এই আত্মগোপন বলেও জানান তিনি। তবে আদালত থেকে বের হয়ে একটি কথাও বলেননি।

পরদিন সকাল থেকেই নিউজবাংলা চেষ্টা করেছে সেই সাত দিনের কাহিনি জানতে। পরে গাইবান্ধার সেই বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, তিনি সেখানে ওঠেন ১১ জুন। এরপর বাড়ি ফেরার আগ পর্যন্ত ত্ব-হা বা তার তিন সঙ্গীর কেউ বাড়ি থেকে এক দিনের জন্যও বের হননি। তাই তাদের বিষয়ে জানতেন না প্রতিবেশীরাও।

যে বাড়িতে ছিলেন ত্ব-হারা, যা জানালেন গৃহকর্ত্রী
সিয়ামের মা নিশাত নাহার, তিনিই ত্ব-হা ও তার তিন সঙ্গীকে আশ্রয় দিয়েছেন সাত দিন

বাড়িটিতে একাই থাকেন সিয়ামের মা নিশাত নাহার। গৃহকর্তা শরীফ খান বছর দুয়েক আগে মারা গেছেন। তিনি ছিলেন ব্যাংকার।

সিয়াম রংপুর শহরে একটি প্রতিষ্ঠানে এইচআর বিভাগে চাকরি করেন। তার বোনের বিয়ে হয়েছে ঢাকায়।

ত্ব-হা তার তিন সঙ্গীকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়া, আট দিন অবস্থান আর ফিরে আসার পুরো কাহিনি নিশাতের কাছ থেকে জেনেছে নিউজবাংলা।

তিনি জানান, বিষয়টি ছেলে সিয়ামকেও জানাননি নিশাত। কারণ, ত্ব-হা এসেই জানিয়েছিলেন তিনি বিপাকে আছেন। তাকে ফলো করছেন দুজন। বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হলে তার বিপদ হতে পারে।

এই সাতটি দিন ঘরে বই পড়েই সময় কাটাতেন ত্ব-হা ও তার তিন সঙ্গী। আর গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ত্ব-হা ও তার তিন সঙ্গী বাড়ি ফেরার কথা বলে চলে যান।

সিয়াম-ত্ব-হার বন্ধুত্ব

বাড়ির সামনে ও পেছনে দুটি লোহার গেট আছে।

শনিবার বেলা ২টার দিকে গেটে নক করলে দরজা খুলে দেন নিশাত নিজেই। বসতে দেন ড্রয়িংরুমে। এরপর ঘণ্টাখানেক সময় দেন।

নিশাত জানান, সিয়াম ও ত্ব-হা একেবারে শৈশব থেকে বন্ধু। কিন্ডারগার্টেন থেকে এইচএসসি পর্যন্ত একসঙ্গে পড়েছেন রংপুরে। তখন সিয়ামরা রংপুরে ভাড়া থাকতেন।

যে বাড়িতে ছিলেন ত্ব-হারা, যা জানালেন গৃহকর্ত্রী
এই কক্ষটিতে ত্ব-হা তার এক সঙ্গীকে নিয়ে থেকেছেন

ত্ব-হার মা আজেদা বেগম ও সিয়ামের মা নিশাত নাহার রংপুরে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল দিয়েছিলেন। সেখানে শিক্ষকতা করেছেন নিশাত। তবে সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। আর বছর পাঁচেক আগে তারা গাইবন্ধায় ফিরে আসেন।

তারা গাইবান্ধায় চলে আসার পর ত্ব-হা একাধিকবার এসেছেন বাড়িটিতে; কখনও সিয়ামের সঙ্গে, কখনও এসেছেন একাই।

এক ফাঁকে নিশাত জানিয়ে রাখেন, ত্ব-হাকে ছোটবেলা থেকেই তিনি আদর করতেন। ছেলের মতোই দেখতেন। আর তার কাছে আবদারও করতেন ত্ব-হা।

সিয়ামের মায়ের সঙ্গে কথোপকথন

-ত্ব-হা কখন আসলেন এবং এসে কী বলেছেন?

সিয়ামের মা বললেন, ‘শুক্রবার ও (ত্ব-হা) হুট করেই আসছে। আগে কিছুই জানায়নি। সঙ্গে ছিল আরও তিনজন। সবার চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ ছিল। পরে বলে যে, কে জানি ওদের ফলো করতেছে। এটা বলার পর কয়েক দিন এখানে থাকতে চায়! আমি আর না করতে পারিনি।’

এক প্রশ্নে নিশাত জানিয়ে দেন, তাদের অন্তর্ধান নিয়ে দেশজুড়ে যে তোলপাড়, সেটি বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জানতে পারেননি। সেই রাতে তার মেয়ে ফোন করে ত্ব-হার বিষয়টি জানিয়েছেন।

তবে তারা যে এই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন, সেটি জানতেন না সিয়ামের বোন। আর মেয়ের কাছ থেকে জানতে পেরে নিশাত ত্ব-হাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন।

যে বাড়িতে ছিলেন ত্ব-হারা, যা জানালেন গৃহকর্ত্রী
এই কক্ষটিতে থেকেছেন ত্ব-হার আর ‍দুজন সঙ্গী

নিশাত জানান, তিনি ত্ব-হাকে বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, ‘তোমার তো বিপদ কেটে গেছে। তোমার সঙ্গে মিডিয়া আছে। তুমি তাহলে কাল সকালে বাড়িতে যাও। তোমার আর কোনো সমস্যা নাই।’

তখন তারা শুক্রবার সকালে ফিরে যান।

-ওরা চলে যাওয়ার সময় কী বলেছে?

‘ওরা শুধু বলেছে, আমরা বাড়িতে গেলাম।’

-এত তোলপাড় হওয়া ঘটনাটি নিয়ে মেয়ে ফোন করার আগ পর্যন্ত জানতেন না কিছুই?

‘না, আমি এটা জানি না। ঘরে টেলিভিশন নষ্ট।’

বাড়িতে পত্রিকাও রাখা হয় না আর স্মার্টফোনও চালান না নিশাত।

-কিন্তু তারা আট দিন থাকল, কেউ জানল না, এমনকি আপনার ছেলেও জানে না। এটা কেমন কথা?

‘ওরা (ত্ব-হা) বলতে নিষেধ করেছিল। তাই কাউকে বলিনি।’

-এই আট দিনে তারা কি বাড়ির বাইরে যাননি কেউ? ওদের জন্য তো বাজার-সদাইও করতে হয়েছে, সেটা কে করে দিয়েছে?

‘বাজারঘাট করাই ছিল ফ্রিজে। যা যা ছিল তাই খাওয়াইছি। নিজে যা খাই, তাই খাওয়াইছি।’

যে বাড়িতে ছিলেন ত্ব-হারা, যা জানালেন গৃহকর্ত্রী
এই ডাইনিং টেবিলে বসেই খাওয়াদাওয়া করেছেন ত্ব-হা ও তার তিন সঙ্গী

-ওনারা এখানে থাকা অবস্থায় কোনো মিটিং হয়েছে কি না, তারা ফোনে কাউকে জানিয়েছেন কি না বা বাইরে থেকে কেউ এসেছেন কি না।

‘তারা এখানে আসার পর থেকে সবাই ফোন বন্ধ করে রাখছে। বাড়ি থেকে বের হয় নাই। বাইর থেকে কেই আসেও নাই এখানে।’

-ত্ব-হা এবারই কি প্রথম এসেছেন?

‘না, এর আগেও ও (ত্ব-হা) অনেকবার আসছিল। এসে এসে থাকত।’

-ত্ব-হাকে রাখলেন ঠিক আছে, কিন্তু অপরিচিত লোকদের কেন রাখলেন?

-সে বলেছে তার বন্ধু হয়। তাই। তা ছাড়া সে তো এর আগেও বহুবার এখানে থাকছে।

-ত্ব-হা এর আগে সিয়ামের সঙ্গে এসেছিল নাকি তাকে ছাড়া?

‘তার (সিয়াম) উপস্থিতিতেও আসছিল, অনুপস্থিতিতেও আসছিল।

-আগে যে আসত, কয়দিন ধরে থাকত, কী করত?

‘সর্বোচ্চ থাকছিল ছয় দিন। তখন মসজিদে মসজিদে খুতবা দিত।’

যে বাড়িতে ছিলেন ত্ব-হারা, যা জানালেন গৃহকর্ত্রী
১০ জুন নিখোঁজ হওয়ার আট দিন পর ১৮ জুন তিনি তার প্রথম স্ত্রীর বাসায় ফেরেন

-এলাকাবাসী এবার জানল না, কিন্তু এর আগে যে এসেছে, তখন তো চলাফেরা করেছে। এলাকাবাসী কীভাবে তাকে দেখে?

‘তারা তো তাকে হুজুর হিসেবে চেনে। সবাই তাকে ভালো লোক হিসেবেই দেখে।’

-যদি এরা কোনো অপকর্ম করত, দায়ভার আপনার ওপর তো পড়তে পারত, এমনকি আপনার ছেলের ওপরেও।

‘ওই যে বলেছে, দুজন লোক তাদের ফলো করছে, এ কারণে আমি সরল বিশ্বাসে তাদের থাকতে দিছি। আমি ত্ব-হার মায়ের মতো। ছোটবেলা থেকে আদরযত্ন করে তাকেও তো বড় করছি। যদি আমার ছেলে ২/৪/৫টা বন্ধু নিয়ে এসে বলত, তারা বিপদে পড়েছে, আমি কি তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিতাম?’

আরও পড়ুন:
ত্ব-হা সব খুলে বললেন আদালতে
মুখ বন্ধ ত্ব-হার, পরিবার বলছে ‘অসুস্থ’
বাসায় ফিরলেন ত্ব-হা, বললেন না কিছুই
ত্ব-হার যে তথ্য এখনই জানাতে চায় না পুলিশ
আপনার ছেলে বাসায় এসেছে: ত্ব-হার মাকে পুত্রবধূর ফোন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফলোআপ
Cyclone power in the Bay of Bengal 

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ সৃষ্টি 

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ সৃষ্টি 

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় অবস্থান করছে।

জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের সকাল ৯টার বার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের উপকূলের পূর্বদিকে এবং কলকাতা থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। সেখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৬৫ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ায় ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড হয়েছে।

আবহাওয়া সংস্থাটি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘শক্তি’। আজ রাতেই এটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার মধ্যবর্তী উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনো একে ‘গভীর নিম্নচাপ’ হিসেবেই গণ্য করছে।

ঘূর্ণিঝড় সরাসরি বাংলাদেশ অতিক্রম করবে না। তবে এর প্রভাবে বাংলাদেশসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের উপরে এখনও বর্ষা মৌসুম চলছে। বর্ষা মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত বঙ্গোপসাগরে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করে না। ফলে বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পূর্বেই ঘূর্ণিঝড় শক্তি সৃষ্টি হওয়া খুবই ব্যতিক্রম একটি ঘটনা। এখানে উল্লেখ্য যে এই বছর বর্ষা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে রেকর্ড সংখ্যক মৌসুমি লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে একের পর এক, যা ছিল বঙ্গোপসাগরে রেকর্ড।

মন্তব্য

ফলোআপ
1 km of traffic on Comilla Sylhet highway

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে বিকল ট্রাক, ১০ কিলোমিটার যানজট

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে বিকল ট্রাক, ১০ কিলোমিটার যানজট

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কংশনগর এলাকায় একটি পণ্যবাহী ট্রাক বিকল হওয়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল ৮টার পর দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ছগুরা এলাকা থেকে বুড়িচং উপজেলার দেবপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে সিলেটগামী পণ্যবোঝাই একটি ট্রাক কংশনগর এলাকায় সড়কের মাঝে বিকল হয়ে যায়।

এতে সড়কের দুই পাশেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কজুড়ে খানাখন্দের কারণে যান চলাচলে ধীরগতি দেখা যায়। একপর্যায়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকটির পেছনের দুই চাকা খুলে মেরামতের চেষ্টা করছেন চালক, হেলপার ও স্থানীয় কয়েকজন।

পাশে সড়কের ভাঙা অংশ দিয়ে সীমিত পরিসরে যান চলছে। তবে সড়কের দুই পাশে সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

বিকল ট্রাকের হেলপার সিরাজ আলী বলেন, কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের অধিকাংশ এলাকা ভাঙ্গাচোরা। সকালে তেমনই একটি গর্তে চাকা পড়ে গাড়ি বিকল হয়ে যায়।

চাকা খুলে এখন মেরামত করছি। আরো প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগতে পারে।

সুগন্ধা পরিবহনের বাস চালক জসিম উদ্দিন বলেন, এই সড়কটি মানুষের জন্য ভোগান্তির আরেক নাম। ভাঙা রাস্তার কারণে যাত্রীদের কষ্ট হয়, সময়মত গন্তব্য পৌঁছাতে পারি না। এটি শুধু নামেই মহাসড়ক, কাজে নয়।

মিরপুর হাইওয়ে থানার ইনচার্জ পারভেজ আলী বলেন, কংশনগর বাজার এলাকায় প্রায় সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। এই যানজট কংশনগর ছাড়িয়ে দেবিদ্বার পর্যন্ত চলে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, কংশনগর এলাকায় একটি ট্রাকের চাকা বিকল হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে আমাদের একটি টিম কাজ করছে। রাস্তাটি দুই লেনের হওয়ায় কোন গাড়ি বিকল হলেই যানজটের সৃষ্টি হয়। ট্রাকটি মেরামত করা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

মন্তব্য

ফলোআপ
Three cases of police in the murder and violence in Khagrachari

খাগড়াছড়িতে হত্যা ও সহিংসতায় পুলিশের তিন মামলা

খাগড়াছড়িতে হত্যা ও সহিংসতায় পুলিশের তিন মামলা

খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় হাজারের বেশি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুইমারা থানায় হত্যা মামলাসহ দুইটি এবং খাগড়ছড়ির সদর থানায় অপর মামলাটি করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মহাজন পাড়া, স্বনির্ভর ও উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সংঘর্ষের ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ মামলায় ৬০০-৭০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার এ মামলা করেন।

এ দিকে গুইমারা থানার ওসি মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকালে ৪টা পর্যন্ত গুইমারায় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং পরবর্তীতে ধানক্ষেত থেকে তিন ব্যক্তি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুই থেকে আড়াই’শ জনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়িতে শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে গত শনিবার ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা জনতা’র ডাকা অবরোধের সময় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, অগ্নি সংযোগ, দাঙ্গা ও হত্যার ঘটনা ঘটে।

মন্তব্য

ফলোআপ
The driver was injured in a collision between two trucks in Pabna

পাবনায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত ৩

পাবনায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত ৩

পাবনার ঈশ্বরদীতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সবুজ প্রামানিক (৩৫) নামে এক ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের পৌর এলাকার অরণকোলা হারুখালির মাঠসংলগ্ন বটতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সবুজ প্রামানিক পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের টেবুনিয়া বড়মাটিয়া গ্রামের খোকন প্রামানিকের ছেলে। আহতরা হলেন ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার চুকাই গ্রামের নাজমুল হোসেন (৩০), একই উপজেলার কৃষ্টপুর গ্রামের বাবু মিয়া (৩০) এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার আশরাফুল ইসলাম (৩৫)।

সংবাদ পাওয়ার পর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে উদ্ধার কাজ শুরু হয় এবং প্রায় এক ঘণ্টা চলার পর সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হয়। উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেন স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইনস্পেক্টর মীর আমিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, ঈশ্বরদী ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি খালি ট্রাক পাবনাগামী ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ঢাকা থেকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীতমুখী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ট্রাকচালক সবুজ প্রামানিক ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং অন্য ট্রাকের চালক-হেলপারসহ তিনজন আহত হন। আটকে পড়া সকলকে উদ্ধার করে আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় এবং নিহত সবুজের মরদেহ ট্রাকের ভেতর থেকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুন নূর বলেন, “দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক চালক নিহত হয়েছেন এবং তিনজন আহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা হয়েছে।”

সড়কের এই অংশটি (পাবনা-লালপুর হাইওয়ে) দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। যানবাহনের অতিরিক্ত গতি ও ঢিলেঢালা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ।

মন্তব্য

ফলোআপ
The possibility of lowering the temperature of the day will remain unchanged at night 

দিনের তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা, অপরিবর্তিত থাকবে রাতে 

দিনের তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা, অপরিবর্তিত থাকবে রাতে 

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

পাশাপাশি সারাদেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘন হয়ে প্রথমে নিম্নচাপে এবং পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

আজ ভোরে এটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এবং আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

সকালে ঢাকায় ঢাকায় বাতাসের গতি ছিল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

গতকাল (বুধবার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নরসিংদীতে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে।

মন্তব্য

ফলোআপ
Two truck drivers killed in a road accident at Kanchpur Bridge

কাঁচপুর ব্রিজে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ট্রাকচালক নিহত

কাঁচপুর ব্রিজে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ট্রাকচালক নিহত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ট্রাক চালক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তারা দুজন একই মালিকের দুটি ট্রাক চালান। ঢাকামুখী দুটি ট্রাকের একটি মহাসড়কের উপর বিকল হয়ে পড়লে অপর ট্রাক সেটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে ট্রাকটি সেতুর ওপর ঢাকামুখী লেনের সড়ক বিভাজকে আটকে যায়। ধারণা করা হচ্ছে তখন দুই ট্রাকের চালক সড়কে নেমে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তখনই অজ্ঞাত কোনো গাড়ি তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, ভোর ৪টা থেকে পৌনে ৬টার মধ্যে যেকোনো সময় ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ জানায়, নিহতদের বয়স ২৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এদের একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি হলেন ময়মনসিংহের রহমতপুর এলাকার রাকিব, যিনি সচল ট্রাকটির চালক ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর ট্রাক মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে আসছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মন্তব্য

ফলোআপ
The bus was killed by pushing the electric pole upside down

বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দিয়ে উল্টে গেলো বাস, নিহত ৩

বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দিয়ে উল্টে গেলো বাস, নিহত ৩

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিলোনিয়া বাজারে যাত্রীবাহী বাস উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- দাগনভূঞা উপজেলার জায়ালস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ জায়ালস্কর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো. শ্রাবণ (২০), একই ইউনিয়নের খুশিপুর গ্রামের মো. শহীদুল্লাহর স্ত্রী শামীম আরা বেগম (৫০) ও অজ্ঞাত যুবক (৩০) পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সুগন্ধা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ফেনী থেকে নোয়াখালীর দিকে যাচ্ছিল। সিলোনিয়া বাজারে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা বাস থেকে আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

২৫০ শয্যা ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শোয়েব ইমতিয়াজ নিলয় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশিদ জানান, মৃত্যু ও গুরুতর আহতের খবর পেয়েছি, তবে এর সংখ্যা এখনো জানতে পারিনি। আমাদের পুলিশ কাজ করছে। কী কারণে এমন দুর্ঘটনা হতে পারে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মন্তব্য

p
উপরে